Tag: Hezbollah

Hezbollah

  • Israel air strikes: হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পরও থামছে না হামলা, ইজরায়েলের বিমান হানায় লেবাননে মৃত শতাধিক

    Israel air strikes: হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পরও থামছে না হামলা, ইজরায়েলের বিমান হানায় লেবাননে মৃত শতাধিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে মারার পরও লেবাননে (Lebanon) বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল (Israel air strikes)। রবিবার নতুন করে লেবাননে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েলের সেনা। তাতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন সাড়ে তিনশো জনের বেশি। গত সোমবার থেকে টানা হিজবুল্লা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লেবাননে এয়ারস্ট্রাইক করেছে ইজরায়েল সেনা। সেই ধারা এখনও অব্যাহত।

    খতম হিজবুল্লার শীর্ষ নেতারা

    শনিবার ইজরায়েলের (Israel air strikes) সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ সোসানি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “হাসান নাসরাল্লা মৃত। হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদ দিয়ে ভয় দেখাতে পারবে না।” রবিবার বেইরুটের দক্ষিণ শহরতলির এক ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হিজবুল্লা প্রধানের দেহ। হিজবুল্লা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লেবাননে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। মূলত হিজবুল্লা ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যু পরও যে হামলা থামবে না, রবিবার নতুন করে বিমান হামলায় তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েল সেনাবাহিনীর দাবি, হিজবুল্লার প্রায় সব শীর্ষ নেতাদের এয়ারস্ট্রাইকে খতম করে দিয়েছে তারা। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত লেবাননের দক্ষিণ বেইরুটে হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে টানা হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। বেইরুটে জনবসতি এলাকাতেও বোমাবর্ষণ করে তারা। তাঁদের লক্ষ্যই ছিল হিজবুল্লা প্রধান এবং বাকি শীর্ষ নেতাদের খতম করা।

    আরও পড়ুন: রাফাল যুদ্ধবিমানের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তাব দিল ফ্রান্স, কমানো হয়েছে দাম

    সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু

    লেবাননের (Lebanon) স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আইডিএফ যে হামলা চালিয়েছে তাতে ৩৫০ জনের বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। নতুন করে বেইরুটেও হামলা করেছে তাঁরা, যেখানে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।  হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যু পর কেউ কেউ ভেবেছিল যে হামলার গতি কমে আসবে। কিন্তু তা হয়নি। ক্রমাগত দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়ে গিয়েছে ইজরায়েল (Israel air strikes)। লেবানন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লার বিরুদ্ধে ইজরায়েলি সেনার বিমান হামলা বাড়ার পর থেকে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ৬ হাজারের বেশি মানুষ জখম হয়েছেন। গত সোমবারই দক্ষিণ লেবাননে ইজরায়েলের বিমান হামলায় প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বক্তব্য ছিল, তাঁদের নাগরিকদের ১০০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে তিনি যা খুশি করতে পারেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ‘সিজফায়ার’-এর প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা মানেনি ইজরায়েল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel attack: হিজবুল্লার পর ইজরায়েলের নিশানায় ইয়েমেনি হুথি, বিমান হামলায় তছনছ জঙ্গি-ঘাঁটি!

    Israel attack: হিজবুল্লার পর ইজরায়েলের নিশানায় ইয়েমেনি হুথি, বিমান হামলায় তছনছ জঙ্গি-ঘাঁটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেবানানে জঙ্গি নিধনের পর রণংদেহি মুডে ইজরায়েল (Israel attack)। হিজবুল্লার প্রধান নেতা নাসারুল্লা সহ আরও ২০ জন শীর্ষ কমান্ডারকে খতম করার পর, এবার ইজরায়েলি সেনার নিশানায় ইয়েমেনের হুথি (Yemen Houthi) জঙ্গিরা। প্রায় ১৮০০ কিমি দূরত্ব পার করে হামলা চালিয়েছে ইহুদি যুদ্ধবিমান। সমুদ্র বন্দর এবং হুথিদের গোপন আস্তানা তছনছ হয়ে গিয়েছে। ইয়েমেনে ইজরায়েলি যুদ্ধ বিমানের হামলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে পশ্চিমের দুনিয়ায়।

    শত্রুদের উপর হামলা লাগাতার চলবে (Israel attack)

    হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসারুল্লা হত্যার দুই দিন পর, ইজরায়েলের (Israel attack) সামরিক বাহিনী রবিবার ঘোষণা করেছে, যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইয়েমেনে (Yemen’s Houthis) বেশ কয়েকটি হুথি জঙ্গির গোপন আস্তানায় হামলা করা হয়েছে। ইয়েমেনের রাস ইসা এবং হুদাইদাহ অঞ্চলে এই হামলা হয়েছে। ইহুদি সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়, সাম্প্রতি হুথিরা তাদের দেশে হামলা করেছিল, আর তার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ এই হামলা হয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বিবৃতি দিয়ে বলেন, “দূরত্ব যাই হোক না কেন আমাদের শত্রুদের উপর হামলা লাগাতার চলবে। বার্তা খুব স্পষ্ট, আমাদের জন্য কোনও জায়গাই খুব বেশি দূরে নয়।” উল্লেখ্য ইয়েমেন থেকে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইজরায়েলি বিমান বাহিনীর একটি কমান্ড-কন্ট্রোল রুম থেকে হামলা পর্যবেক্ষণ করার পরে নিজের অফিস থেকে এই বিবৃতি প্রকাশ করেছেন গ্যালান্ট।

    হুথিরা সারা বছর হামলা করে থাকে

    ইজরায়েলের (Israel attack) সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, “আমাদের মূলত লক্ষ্যবস্তুতে ছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং তেল আমদানির জন্য ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। হুথিরা এই অঞ্চলেই ইরানের সঙ্গে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের আদানপ্রদান করত। নিয়মিতভাবে, হুথিদের জঙ্গি কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ মদত দিয়ে থাকে ইরান। ইজরায়েলি গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে আক্রমণ করা হয়েছে। হুথিরা শুধু গত মাসেই নয়, সারা বছরই ইজরায়েলকে লক্ষ্য হামলা করে থাকে।” আবার ‘দ্য জেরুজালেম পোস্ট’ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর ৭ অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলে অসংখ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করে চলেছে হুথিরা। গত শনিবারও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেল আবিব সহ মধ্য ইজরায়েল জুড়ে। আতঙ্কের সাইরেন বেজে উঠেছিল। হুথি এবং হিজবুল্লা উভয়ই হামাসকেও সমর্থন করে থাকে। ইজরায়েল গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।

    আরও পড়ুনঃ “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    লেবানন, ইয়মেনের বিস্তৃত অঞ্চলে ভয়ঙ্কর রূপ

    ইজরায়েলের (Israel attack) বিমান হামলা হিজবুল্লার সিনিয়র কমান্ডার সহ আরও অনেকে নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে নাসরাল্লার ডান-হাত ব্যক্তি ফুয়াদ শুকর, রাদওয়ান ফোর্সের প্রধান ইব্রাহিম আকিল এবং অন্যান্য আরও অনেকে। রবিবার হিজবুল্লা একটি বিবৃতিতে স্বীকার করেছে যে দক্ষিণ লেবাননে শীর্ষ কমান্ডার আলি কারা শুক্রবার নিহত হয়েছে। হিজবুল্লাকে লক্ষ্য করে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া হামলার প্রভাব লেবাননের সীমান্ত ছাড়িয়ে ইয়মেনের (Yemen’s Houthis) বিস্তৃত অঞ্চলেও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    Israel: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না।” হিজবুল্লার শীর্ষ নেতা (Hezbollah Leader) হাসান নাসরাল্লাহকে বেইরুটে হত্যা করার পর এমনই মন্তব্য করল ইজরায়েল (Israel)। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বকে সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না। নাসরাল্লাহর পাশাপাশি হিজবুল্লার তথাকথিত দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার আলি কারাকিও নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

    খতম হিজবুল্লার কয়েকজন কমান্ডারও (Israel)

    হিজবুল্লার কয়েকজন কমান্ডারও নিহত হয়েছেন বলে ওই সূত্রের খবর। বেইরুটের দক্ষিণে হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দাহিয়া। এখানেই রয়েছে হিজবুল্লার প্রধান সদর দফতর। সেটাও আবার একটি আবাসিক ভবনের নীচে, ভূগর্ভে। এখানেই নিশ্চিন্তে ছিলেন নাসরাল্লাহ। শুক্রবার এই সদর দফতরেই হামলা চালায় ইজরায়েল। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) তরফে জানানো হয়, এই হামলাটা এমন সময় চালানো হয়, যখন হিজবুল্লার শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের সদর দফতরে উপস্থিত ছিল। সেই সময় তারা ইজরায়েলবাসীর বিরুদ্ধে কীভাবে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালানো যায়, তার পরিকল্পনা করছিল। ইজরায়েলি সেনার তরফে এও জানানো হয়েছে, বেইরুটে থাকা ভবনের নীচে হিজবুল্লার রাখা কয়েক ডজল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলও ধ্বংস করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    কী বলছে আইডিএফ

    হিজবুল্লা প্রধানের নিকেশ হওয়ার খবর দেওয়ার পাশাপাশি আইডিএফ (Israel) চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি বলেন, “যারা ইজরায়েল ও তার নাগরিকদের হুমকি দেয়, তাদের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে যাবে ইজরায়েল। যারা ইজরায়েলবাসীকে হুমকি দেয়, তাদের কাছে কীভাবে পৌঁছতে হয়, তা আমরা জানি।” প্রসঙ্গত, ইজরায়েল যেদিন বেইরুটে হিজবুল্লার ঘাঁটিতে অভিযান চালায়, সেদিন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানয়াহু ইরান ও তেহরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এই বলে যে, “ইরানের এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে ইজরায়েলের দীর্ঘ হাত পৌঁছতে পারবে না। এটা গোটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্যও সত্য।”

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “হামাস অস্ত্র ত্যাগ করলে ও বন্দিদের মুক্তি দিলে যুদ্ধ শেষ হতে পারে। তবে সম্পূর্ণ বিজয় না পাওয়া (Hezbollah Leader) ইস্তক লড়াই চালিয়ে যাবে ইজরায়েল (Israel)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লার ১১০০ ঠিকানায় রকেট হামলা ইজরায়েলের, লেবাননে নিহত প্রায় ৫০০

    Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লার ১১০০ ঠিকানায় রকেট হামলা ইজরায়েলের, লেবাননে নিহত প্রায় ৫০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধক্ষেত্র দক্ষিণ লেবানন! পেজার, ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের পর এবার সরাসরি রকেট বর্ষণ। হিজবুল্লার ১১০০টি ঠিকানা লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইজরায়েল (Israel-Lebanon Conflict)। তার আগে ইজরায়েলের তরফে লেবাননের বাসিন্দাদের ফোনে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দ্রুত সরে যেতে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) রেকর্ড করা ভয়েস-মেসেজ পাঠানো হয় প্রায় ৮০ হাজারের বেশি ফোনে। তারপরই শুরু হয় হামলা। সোমবারের এই ভয়াবহ আক্রমণে অন্তত প্রায় ৫০০ জন নিহত বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় হাজার দুয়েক।

    ছিন্নভিন্ন লেবানন

    সোমবার থেকে লেবাননের (Israel-Lebanon Conflict) উপর রকেট বর্ষণ শুরু করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েল-লেবানন সীমান্ত এলাকা ইতিমধ্যেই প্রায় খালি হয়ে গিয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দুই দেশেরই সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা প্রাণ হাতে করে বাঁচছেন সন্তান-পরিবার নিয়ে, না জানি কখন বাড়ির ছাদে আছড়ে পড়ে বোমা। হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ লেবানন ছেড়ে বেইরুটের দিকে পালাচ্ছেন। ঘরছাড়া মানুষকে ঠাঁই দিতে স্থানীয় স্কুলগুলিতে ত্রাণ শিবির খোলা হচ্ছে। ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু লেবনানের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছেন হিজবুল্লারা তাঁদের ব্যবহার করছে। তাঁরা এটা না বুঝলে আরও মৃত্যু হবে। এদিন প্রায় ৬০০ রকেট হামলা চালায় ইজরায়েল। শয়ে শয়ে রকেট দুরমুশ করে দিয়ে গিয়েছে লেবাননের একাধিক বাড়ি। শিশু থেকে বৃদ্ধ-মহিলা অসংখ্য সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন।

    কেন হামলা

    লেবাননের উপর ইজরায়েলের (Israel-Lebanon Conflict) এই হামলার কারণ গাজা। প্রায় এক বছর ধরে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে, তাতে গোড়া থেকেই প্যালেস্তাইন এবং হামাসকে সমর্থন করছে লেবানন। এর ফলে লেবাননের উপর খেপেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, লেবাননে আশ্রয় নিয়েছে হিজবুল্লা জঙ্গিরা। প্রায় ৮০০ হিজবুল্লা জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে লেবাননে। তাঁরা লেবাননের বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে সেখানে অস্ত্র মজুত করছে। এক কথায় লেবাননের সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যববার করেছে হিজবুল্লা জঙ্গিরা।

    পাল্টা হামলা হিজবুল্লার

    হিজবুল্লার (Israel-Lebanon Conflict) তরফেও পাল্টা রকেট ফেলা হয়েছে ইজরায়েলের পাঁচটি জায়গায়। জানা গেছে, লেবানন থেকে রকেট উড়ে আসতে দেখেই সাইরেন বেজে ওঠে উপকূলবর্তী হাইফাতে। একদিন আগেও সেখানে হামলা হয়। ইজরায়েলেকে জবাব দিতে প্রায় ৩০০টি রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লারা। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল এবং লেবানন, দু’পক্ষকেই যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ইজরায়েল লেবাননকে শ্মশানে পরিণত করতে চাইছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) অবশ্য জানিয়েছেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই হিজবুল্লাকে নিকেশ করতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hezbollah Conflict: কীভাবে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে পেজার অপারেশনের ছক কষেছিল মোসাদ?

    Israel-Hezbollah Conflict: কীভাবে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে পেজার অপারেশনের ছক কষেছিল মোসাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেবাননের হিজবুল্লা (Israel-Hezbollah Conflict) গোষ্ঠীর ওপর বারবার আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েল। পেজার, (Pager Blast) ওয়াকিটকির পর ল্যান্ডফোন বিস্ফোরণেই থেমে নেই তেল আভিভ। এয়ারস্ট্রাইকের মাধ্যমে লেবাননে হিজবুল্লার সামরাস্ত্রকেও টার্গেট করেছে ইজরায়েলি সেনা। এককথায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। মঙ্গলবার লেবাননের বিভিন্ন স্থানে একযোগে পেজার বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে হয়েছিল যার সূচনা। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের বিশ্বখ্যাত গুপ্তচর বাহিনী মোসাদের তৈরি একটি বেনামি সংস্থাই এই পেজারগুলি তৈরি করেছিল এবং সেগুলিতে বিস্ফোরক সংযোজন করেছিল। এরপর গোপনে পরিকল্পনা করে সেই পেজার ইরান-সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহকে সরবরাহ করা হয়।

    কীভাবে পেজার হামলার পরিকল্পনা

    এর আগে, মনে করা হয়েছিল যে ইজরায়েলের (Israel-Hezbollah Conflict) গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সরবরাহ চেনে ঢুকে তাইওয়ানে তৈরি পেজারগুলিতে বিস্ফোরক লাগিয়েছিল। তবে নতুন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ইজরায়েল প্রথম থেকেই একটি শেল (ভুয়ো) কোম্পানি তৈরি করেছিল, যার মাধ্যমে পেজারগুলি সরবরাহ করা হয়। এমনকী, আরও দুটি কোম্পানি তৈরি করেছিল ইজরায়েল, যাতে আসল নির্মাতাদের পরিচয় লুকানো যায়। মোসাদ তাদের ফোনে আড়ি পাতছে বা ট্র্যাক করছে ধরে নিয়ে হিজবুল্লার শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ তার সদস্যদের আধুনিক যোগাযোগ ডিভাইস, যেমন মোবাইল ফোন, ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, কারণ সেগুলি হ্যাক বা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই মোতাবেক, ফোনের বদলে পেজার ব্যবহার করার ফরমান জারি করেন নাসরাল্লাহ। কিন্তু পেজারকেও যে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে তা বুঝতে পারেনি হিজবুল্লা। আচমকা পেজার-অ্যাটাকের দাপটে হিজবুল্লা ঘাবড়ে গিয়েছে বলে একাংশের মত। 

    পরিকল্পনা করে হামলা

    নিরাপদ এবং গোপনীয় যোগাযোগের জন্য হিজবুল্লা (Israel-Hezbollah Conflict) হাজার হাজার পেজার কেনার আদেশ দেয়। গত কয়েক মাসে পেজারগুলি হাঙ্গেরি-ভিত্তিক একটি কোম্পানির মাধ্যমে লেবাননে আমদানি করা হয়। লেবানন থেকে পেজারগুলির অর্ডার পাওয়ার পরে, ইজরায়েলের গোয়েন্দারা একটি সংস্থা তৈরি করে। এই শেল কোম্পানিটি তিন বছরের ব্র্যান্ড-লাইসেন্সিং চুক্তির অধীনে তাইওয়ানের কোম্পানি গোল্ড অ্যাপোলোর ব্র্যান্ডিং ব্যবহার করেছিল। শেল কোম্পানিটি হাঙ্গেরিতে সদর দফতর স্থাপন করে, এবং তাইওয়ানের গোল্ড অ্যাপোলোর সাথে চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য পেজার তৈরি করতে দেখা যায়। এরাই পরে হিজবুল্লার জন্য বিস্ফোরক যুক্ত পেজার তৈরি করে।

    লেবাননই এখন যুদ্ধক্ষেত্র

    মিডিয়ার একাংশের দাবি, পেজার-বিস্ফোরণের (Pager Blast) ঠিক আগে লেবাননে হামলা চালাবে বলে ইজরায়েল (Israel-Hezbollah Conflict) আগাম জানিয়ে রেখেছিল আমেরিকান প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনকেও। ওয়াশিংটন তা স্বীকার করলেও তাদের দাবি, হামলার ধরন সম্পর্কে তারা একেবারেই অবগত ছিল না। ইজরায়েল যে কোনও মুহূর্তে লেবাননে ‘গ্রাউন্ড ইনভেশন’ চালাতে পারে বলেও এখন আশঙ্কা একাংশের। লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অরাষ্ট্রীয় মিলিটারি (নন স্টেট অ্যাক্টর) সংগঠন বলে মনে করা হয়। লেবানন, সিরিয়া, ইরানে ছড়িয়ে থাকা হিজবুল্লার সদস্য সংখ্যা লাখখানেকের বেশি। যার মধ্যে শুধু লেবাননেই অ্যাক্টিভ যোদ্ধা অন্তত ২০ হাজার। ইজরায়েলি আগ্রাসন রুখতে ১৯৮২ সালে লেবানেন জন্ম নেয় ‘হেজবোল্লা— পার্টি অফ গড’। তাই হামাসের মতো হিজবুল্লার সঙ্গেও ইজরায়েলের সংঘাত কয়েক দশকের। গত ৭ অক্টোবরের পর হিজবুল্লা প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের পক্ষ নেওয়ার পর থেকেই তিক্ততা আরও বেড়েছে। ইলেকট্রনিক্স অ্যাটাকের পর এয়ারস্ট্রাইক তারই জের বলে মনে করা হচ্ছে। 

    হিজবুল্লা-র কাছে বড় ধাক্কা

    লেবাননে পেজার (Pager Blast) ও ওয়াকি-টকির বিস্ফোরণে ৮৭৯ জন হিজবুল্লা সদস্য নিহত হয়েছেন, এমনই তথ্য উঠে এসেছে হিজবুল্লার অভ্যন্তরীণ সামরিক গোয়েন্দা নথি থেকে। এই বিস্ফোরণে ১৩১ জন ইরানি ও ৭৯ জন ইয়েমেনিও প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৯১ জন হিজবুল্লার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাও রয়েছেন। হিজবুল্লা প্রকাশ্যে বলেছিল যে বিস্ফোরণে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় ক্ষতি হয়েছে, প্রথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে এই ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং ৩,০০০ জন আহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লার গোয়েন্দা নথি অনুযায়ী ৮৭৯ জন সদস্যের মৃত্যু, সংগঠনের জন্য এক বিশাল ধাক্কা।

    ইজরায়েলকে হুমকি

    হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ইজরায়েলকে (Israel-Hezbollah Conflict) হুমকি দিয়ে বলেছেন, এই হামলার জন্য ইজরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে, কারণ তারা সব সীমা অতিক্রম করেছে।  এরপরই ফের বৃহস্পতিবার রাতে ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণে সবচেয়ে তীব্র হামলা চালায়। যা প্রায় এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তারা দক্ষিণ লেবাননে শতাধিক রকেট লঞ্চার ধ্বংস করেছে। ওই লঞ্চারগুলো ইজরায়েলের দিকে নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pager Blast: লেবাননে একের পর এক পেজার হামলা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, আহত ৪ হাজার

    Pager Blast: লেবাননে একের পর এক পেজার হামলা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, আহত ৪ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেবাননে লাগাতার পেজার বিস্ফোরণে (Pager Blast) মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। আহতের সংখ্যা চার হাজার ছুঁইছুঁই। সিরিয়াতেও পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মূলত হিজবুল্লা (Hezbollah) জঙ্গি সংগঠনকেই নিশানা করে এই হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি। এই হামলার পিছনে ইজরায়েলকেই (Israel) দোষারোপ করেছে হিজবুল্লা। হামলার পরই লেবাননের (Lebanon) সরকার সাধারণ মানুষকে পেজার ফেলে দিতে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া রেডিও এবং ট্রান্সমিটারও বিস্ফোরিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ধরনের কোনও যন্ত্রই  আপাতত ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে। 

    পেজার কী?

    পেজার (Pager Blast) হল যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম একটি ডিভাইস। মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসাবে পেজারের ব্যবহার হয়ে থাকে। সাধারণত বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী এই ডিভাইস ব্যবহার করে। লোকেশন ট্র্যাক করা যায় না এই পেজারে। হাতে বা পকেটে করে পেজার নিয়ে ঘোরা যায়। সেই পেজারের মধ্যেই বিস্ফোরক রেখে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে খবর। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে বহুল ব্যবহার হত পেজারের। পেশাদার লোকজন অফিসের বাইরেও একে অপরকে দ্রুত কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার জন্য পেজার ব্যবহার করতেন। জরুরি পরিষেবাগুলিতে চিকিৎসক, নার্সদের কাছে এটি একটি দরকারি ডিভাইস ছিল। মোবাইল ফোন জনপ্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেজারের ব্যবহার কমতে থাকে। আজকাল আর কেউ পেজার ব্যবহার করে না। স্মার্টফোনেই কলিং, মেসেজ  থেকে ইন্টারনেটের যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর থেকে প্রথমবার! ভারতবাসীর খাদ্যশস্যের খরচে উল্লেখযোগ্য হ্রাস

    কেন হামলা?

    লেবাননে (Lebanon) পর পর পেজার বিস্ফোরণের (Pager Blast) পিছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলেই দাবি হিজবুল্লার। গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে চলা যুদ্ধে হামাসকে সমর্থন করে হিজবুল্লা। ইজরায়েলের উপরে হামলাও চালিয়েছে এই গোষ্ঠী। তাদের সন্দেহ, বদলা নিতেই এবার পেজার হ্যাক করে লাগাতার বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে ইজরায়েল। দাবি করা হচ্ছে, লেবাননের রাজধানী এবং তার সংলগ্ন এলাকার রাস্তায় পড়ে শয়ে শয়ে মানুষ। কারও হাত উড়েছে, কারও আবার পা। কেউ আবার চোট পেয়েছেন মাথায়। পরিজনদের খোঁজে উদ্ভান্তের মতো চারপাশ দৌড়তেও দেখা যাচ্ছে মানুষজনকে। সামান্য সময়ের পর পর বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত লেবানন এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ জনজীবন। সরকারি সূত্রে খবর, এই হামলায় হিজবুল্লার একাধিক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের তালিকায় রয়েছে এক কিশোরীও। ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজিতবা আমানি আহত হয়েছেন এই হামলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: আত্মরক্ষার অধিকার! লেবাননে হিজবুল্লার কয়েক ডজন জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক ইজরায়েলের

    Israel: আত্মরক্ষার অধিকার! লেবাননে হিজবুল্লার কয়েক ডজন জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ইরান সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লার (Hezbollah) কয়েক ডজন ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক চালাল ইজরায়েলের (Israel) সেনা। জানা গিয়েছে, রবিবার ১০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান লেবাননে এই অপারেশন চালিয়েছে। পাল্টা হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী ইজরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে ৩২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে খবর। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী জানিয়েছে যে তাদের কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যার বদলা নিতেই এই হামলা। প্রসঙ্গত এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ইজরায়েলে নেতানিয়াহুর সরকার সে দেশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন।

    আমাদের যারা ক্ষতি করে, আমরা তাদেরও ক্ষতি করি, বিবৃতি নেতানিয়াহুর (Israel)

    এর পাশাপাশি সে দেশের (Israel) রাষ্ট্রপ্রধান বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্যই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত কিছু পদক্ষেপ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইজরায়েলের উত্তর দিকের বাসিন্দাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের যারা ক্ষতি করে, আমরা তাদেরও ক্ষতি করি।’’ অন্যদিকে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে তাদের যুদ্ধবিমানগুলি হাজার হাজার হিজবুল্লার রকেট লঞ্চারকে ধ্বংস করতে সমর্থ হয়েছে।

    ইজরায়েলের (Israel) আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

    অন্যদিকে ইজরায়েল এবং হিজবুল্লার জঙ্গিগোষ্ঠীর এই সংঘাতের মাঝে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিও সামনে এসেছে। মার্কিন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র শন স্যাভেট জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইজরায়েল-লেবাননের সংঘাতকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছেন। স্যাভেট আরও জানিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সর্বক্ষণ জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এর পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা ইজরায়েলের প্রতিপক্ষ হিজবুল্লার (Hezbollah) সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করে চলেছে বলেও জানা গিয়েছে। বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট আরও জানিয়েছে যে ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে তারা সর্বদাই সমর্থন করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iran-Israel Tensions: উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য! ইজরায়েলে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা

    Iran-Israel Tensions: উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য! ইজরায়েলে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সম্মুখ সমরে ইজরায়েল ও ইরান (Iran-Israel Tensions)। হামলা পালটা হামলায় নতুন করে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। যে কোনও সময়ে ওই অঞ্চলে (Middle East) থাকা ভারতীয় নাগরিকরাও আক্রান্ত হতে পারেন। তাঁদের জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতীয় দূতাবাস। জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা।

    হামলা-পাল্টা হামলা

    সম্প্রতি তেহরানে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে। হামাস এবং ইরান (Iran-Israel Tensions) সেনার বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘জিয়োনিস্ট’রা হানিয়ার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তেহরান গিয়েছিলেন হানিয়া। অন্যদিকে নিহত হয়েছেন ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অন্যতম নেতা ফুয়াদ শুক্রও, এমন দাবি করেছে ইজরায়েল। মঙ্গলবার থেকে সিরিয়াকে কেন্দ্র করে লড়াই শুরু হয়েছিল ইজরায়েল এবং হিজবুল্লার মধ্যে। হিজবুল্লা, তাদের অধিকৃত ‘সিরিয়ান গোলান মালভূমি’ (গোলান হাইটস) এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। পাল্টা জবাব দেয় ইজরায়েলের সেনাও। দু’পক্ষের লড়াইয়েই খতম ফুয়াদ, দাবি ইজরায়েলের।

    ভারতীয়দের জন্য সতর্কতা

    এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্য (Middle East) আরও উত্তাল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ভারত এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ এই অঞ্চলে সতর্কতা জারি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েল ও হিজবুল্লার (Iran-Israel Tensions) মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে তাতে হামাসের ষড়যন্ত্রই কার্যত সফল হচ্ছে। হিজবুল্লার যুক্তি ছিল গাজায় হামাসকে সমর্থন জানিয়েই এই আক্রমণ শানানো হচ্ছে। পাশাপাশি লোহিত সাগর উত্তপ্ত করে রেখেছে ইরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের হাউথিরা। কয়েকদিন আগেই তারা তেল আভিভের মার্কিন দূতাবাসের সামনে ড্রোন হামলা চালায়। সেখানেও ঘটে প্রাণহানি। ফলে সবদিক থেকে ইজরায়েলকে কার্যত ঘিরে ফেলেছে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। এজন্য ইজরায়েলে থাকা ভারতীয়দের সতর্ক থাকতে বলেছে দিল্লি।

    আমেরিকার সাহায্যের আশ্বাস

    বৈরুতে (Middle East) ভারতীয় দূতাবাস ভারতীয় নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লেবানন ভ্রমণের ক্ষেত্রেও সতর্ক হত বলা হয়ছে। এমনকি লেবানন ছাড়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা প্রোটোকল মানতে বলা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া তেল আভিভ থেকে তাদের বিমান বন্ধ রেখেছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরান এবং তার মিত্রদের সম্ভাব্য হামলা থেকে ইজরায়েলকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ এবং ফাইটার জেট পাঠাবে। আমেরিকা জানিয়েছে তারা যুদ্ধ চায় না কিন্তু ইজরায়েলকে (Iran-Israel Tensions) সবরকম সাহায্য করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Germany: জার্মানির প্রাচীনতম মসজিদে হানা পুলিশের, কারণ জানলে ভিরমি খাবেন

    Germany: জার্মানির প্রাচীনতম মসজিদে হানা পুলিশের, কারণ জানলে ভিরমি খাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জার্মানির (Germany) বিখ্যাত ব্লু-মস্ক বা নীল-মসজিদে অভিযান চালাল পুলিশ। হামবুর্গের এই মসজিদটি সে দেশের প্রাচীনতম মসজিদগুলির একটি। মসজিদটি ইমাম আলি মসজিদ নামেও পরিচিত। সম্প্রতি এই মসজিদেই হামলা চালায় পুলিশ। বালাক্লাভাসের অফিসাররা মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে প্রচুর নগদ টাকা ও একটি কালো রংয়ের অডি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লার (Hezbollah) সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে জার্মান পুলিশ।

    মসজিদে পুলিশি অভিযান (Germany)

    তার জেরেই পুলিশি অভিযান চালানো হয় ওই মসজিদে। ইরানি শাসনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইসলামিক জঙ্গি দমনে কড়া পদক্ষেপ করছে জার্মান পুলিশ। সেই সূত্রেই এবার তারা ঢুকে পড়ল দেশের প্রাচীনতম একটি মসজিদে। জানা গিয়েছে, তদন্ত চালিয়ে জার্মান পুলিশ দেখেছে, ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’ কেবল ধর্মীয় কাজকর্ম করে না। তারা কাজ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনির প্রতিনিধি হিসেবে। জার্মানিতে তারা ইসলামি বিপ্লব রফতানি করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ। জার্মানির ইন্টিরিয়র মন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ব্লুমবার্গ মসজিদ পরিচালনাকারী সংগঠন ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’কে (ICH) চরমপন্থী গোষ্ঠী দেগে দেন।

    মসজিদে ঝুলিয়ে দেওয়া হল তালা

    মসজিদটিকে নিষিদ্ধও ঘোষণা করা হয়েছে। ফয়েসার বলেন, “এই গোষ্ঠীটি একটি চরমপন্থী প্রচারকারী সংগঠন। এরা এ দেশে ইরানি বিল্পব রফতানি করতে চায়। এরা হিজবুল্লাকে সমর্থন করে। এই হিজবুল্লা ইরানপন্থী প্রতিরোধের অক্ষ। তাই জার্মানিতে (Germany) নিষিদ্ধ।” তিনি বলেন, “আমরা ধর্মের পরিপন্থী নই। আমরা বিশেষত ইসলামিক উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে। জার্মানিতে যেসব মুসলমান শান্তিতে ধর্মাচরণ করছেন, তাঁদের থেকে এই জঙ্গিদের বিচ্ছিন্ন করতে চাইছি আমরা।” ইন্টিরিয়র মন্ত্রী বলেন, “আমরা একটা সুস্পষ্ট লক্ষ্মণরেখা টানতে চাইছি। যে জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি, তাদের সঙ্গে সেই সব মুসলমানদের দূরে রাখতে চাইছি, যাঁরা নিজেদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়েই রয়েছেন।” তিনি মনে করিয়ে দেন, “এই নিষেধাজ্ঞা শিয়া ধর্মের শান্তিপূর্ণ অনুশীলনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।”

    শিশু মনে পোঁতা হচ্ছিল ইরানি বিপ্লবের বীজ!

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে ইরান বিরোধী সাংসদ এবং সমাজকর্মীরা  ব্লু-মসজিদ বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। ২০১৭ সালে গোয়েন্দা সূত্র মারফৎও প্রশাসন খবর পায়, জার্মানিতে ইরানের সরকারপন্থী কার্যকলাপের সব চেয়ে প্রভাবশালী কেন্দ্র এই মসজিদ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে জার্মান সরকার। তার পরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয় দিন দুই আগে (Germany)। জানা গিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদে শিশুদের ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া হয় ফার্সি, আরবি এবং জার্মান ভাষায়। এর নেতৃত্ব দিত ইরানি বিপ্লবের কট্টর সমর্থকরা। শিশু মনে তারা পুঁতে দিত ইরানি বিপ্লবের বীজ।

    আরও পড়ুন: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    খামেইনির প্রতিনিধিত্ব করছিল চরমপন্থীরা

    হামবুর্গের নিরাপত্তা মন্ত্রী অ্যান্ডি গ্রোট মসজিদে এই নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইসলামিক জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এটা একটা রামধাক্কা।” ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’কে তিনি জঙ্গিদের আউটপোস্ট বলেও উল্লেখ করেন। গত নভেম্বরেও মসজিদটিতে অভিযান চালিয়েছিল জার্মান পুলিশ। সেই সময় দেশে চলছিল শিয়া বিরোধী আন্দোলন। এর কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে গাজা-ইজরায়েল লড়াই। জার্মান পুলিশের দাবি, মসজিদটিতে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে হিজবুল্লা এবং ২০২৩ সালে হামাস সমর্থকদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করেছিল জার্মান প্রশাসন। নীল-মসজিদের কাজকর্মকে জার্মানির গোয়েন্দারা সাংবিধানিক নির্দেশের বিরোধী বলে অভিহিত করেছেন। এরা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেইনির প্রতিনিধিত্ব করছিল। চলতে চাইছিল খামেইনির আদর্শ নিয়ে। এসবই তারা করতে চাইছিল সন্ত্রাসের পথে। সেই কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মসজিদটি।

    জার্মান সরকারের বিবৃতি

    ইরান সমর্থিত লেবানের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লা। হিজবুল্লাকে জঙ্গি সংগঠন বলে দেগে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২০ সালে হিজবুল্লাকে বেআইনি ঘোষণা করে আইসিএইচ-ও। জার্মান (Germany) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সংগঠন (হিজবুল্লা) মানব মর্যাদা, নারীর অধিকার, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা এবং গণতান্ত্রিক শাসনের বিরোধিতা করে একটি ইসলামপন্থী চরমপন্থী, সর্বগ্রাসী মতাদর্শ প্রচার করে। নিষেধাজ্ঞাটির লক্ষ্যবস্তু যে চরমপন্থী ইসলামিরাই, সে কথাও (Hezbollah) সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিবৃতিটিতে (Germany)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: হামাসের পর এবার ইজরায়েলে হামলা হেজবোল্লা, সিরিয়ার, লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

    Israel: হামাসের পর এবার ইজরায়েলে হামলা হেজবোল্লা, সিরিয়ার, লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের (Israel) ওপর হামলা চালিয়েছিল হামাসরা। এবার আক্রমণ ধেয়ে এল উত্তরের লেবানন ভূখণ্ড থেকেও। বুধবার রাতে  আকাশযান থেকেও হামলা চালানো হয়েছে লেবানন সীমান্তবর্তী ইজরায়েলি শহর বেইট শিয়ার, সাফেদ এবং টাইবেরিয়াসের ওপর। অনুমান, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লার ড্রোন হানা দিয়েছে ইজরায়েল ভূখণ্ডে। ইজরায়েল সেনা সূত্রে খবর, ঘটনার নেপথ্যে লেবাননের বায়ুসেনার ভূমিকাও থাকতে পারে।

    হেজবুল্লা বাহিনীর হুঁশিয়ারি

    বুধবার সকালেই ইরানের মদতপুষ্ট হেজবুল্লা বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইজরায়েলকে। বিবৃতি জারি করে লেবাননের ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর এক মুখপাত্র বলেছিলেন, “প্যালেস্তাইনকে ইউক্রেন ভাবলে ভুল করবে অন্যরা। বাইরের কোনও শক্তি ইজরায়েল ও হামাসের সংঘাতে হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এরই কয়েক ঘণ্টা পরে শুরু হয়েছে হামলা। হেজবুল্লা বাহিনীতে রয়েছে লক্ষাধিক যোদ্ধা। এর আগেও ইজরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা।

    হামাসকে শুভেচ্ছা হেজবুল্লার 

    ৭ অক্টোবর হামাস যখন প্রথম হামলা চালায়, তখন তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল লেবানের হেজবুল্লা। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ বুধবার পড়ল পঞ্চম দিনে। এদিন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে হাজার চারেক ইজরায়েলি নাগরিকের। এহেন পরিস্থিতিতে হেজবুল্লা ঢুকে পড়ায় হতাহতের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা। ইজরায়েলি (Israel) সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দেশের আকাশসীমায় বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে লেবানন। তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভিতরে ঢুকে পড়েছে পড়শি দেশ।

    ১৯৮২ সালে হেজবুল্লা প্রতিষ্ঠা করে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড। ইজরায়েলের বাহিনী লেবানন আক্রমণ করলে এবং ইসলামি বিপ্লবকে আরব দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতেই গড়া হয়েছিল হেজবুল্লা। সেই হেজবুল্লাই এবার সঙ্গত দিতে শুরু করল হামাসকে।

    আরও পড়ুুন: “কয়েকজন জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজো উদ্বোধন”! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    এদিকে, সিরিয়া সীমান্তে মোতায়েন থাকা কামান থেকেও গোলা ছোড়া হচ্ছে ইজরায়েলে (Israel)। তেল আভিভের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের বাহিনী গোলা ও মর্টার শেলের জবাব দিচ্ছে। সিরিয়া থেকে যে হামলা হচ্ছে, তা আমরা প্রতিহত করছি।” প্রসঙ্গত, সিরিয়ার সঙ্গেও ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলের রক্তাক্ত সংঘাত হয়েছে একাধিকবার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share