Tag: High Court

High Court

  • Supreme Court: ২০১৪ সালের টেটে সব প্রার্থীকে ৬ নম্বর, হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ২০১৪ সালের টেটে সব প্রার্থীকে ৬ নম্বর, হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ছ’টি ভুল প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের ৬ নম্বর দিতে হবে। এবার সেই নির্দেশেই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পরবর্তীকালে প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের একটা অংশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়। পরীক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকালই এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি এএস বেপান্না এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথম মামলা দায়ের হয় ২০১৮ সালে

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার এই মামলাটি উঠেছিল ২০১৮ সালে। তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলিকে যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি জানায় যে সেখানে ছয়টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এরপরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নম্বর দিতে হবে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    এরপরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে  চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সেখানে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২০১৪ সালে যারা টেট দিয়েছিলেন, সেই সকল প্রার্থীকে ৬ নম্বর দিতে হবে। পরবর্তীকালে একই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান এই ৬ নম্বর পাওয়ার ফলে যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরাও এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়া অংশ নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ২০ লাখ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাশ করেছিলেন ১ লাখ ২৫ হাজার জন। ২০১৪ সালের সকল প্রার্থীকে ৬ নম্বর দিতে হবে, এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • High Court: নাবালিকাকে অপহরণ সিকিমে, ধর্মান্তরণ করে বিয়ে! হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    High Court: নাবালিকাকে অপহরণ সিকিমে, ধর্মান্তরণ করে বিয়ে! হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম থেকে এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নের বিরুদ্ধে। অপহরণের পাশাপাশি নাবালিকা ওই ছাত্রীকে বিয়ের আগে জোর করে ধর্মান্তরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, নাবালিকাকে সাবালিকা প্রমাণ করতে জন্ম শংসাপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় নথি জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টেও (High Court)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (High Court)

    মামলাকারীর আইনজীবী তন্ময় বসুর বক্তব্য, পিংলা থানা এলাকার বাসিন্দা বছর ১৫ র নাবালিকা যখন রোজ স্কুলে যেত‌, তখন প্রায়ই তাকে উত্তপ্ত করত অসিউর রহমান নামে এক যুবক। সে পিংলার অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নে। বেশ কয়েকবার তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নের হাত থেকে বাঁচাতে বাধ্য হয়েই মেয়েকে পিংলা থেকে সিকিমে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তার পরিবার। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অভিযোগ, সিকিম থেকেই ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। গত ১৮ জুন অপহরণের অভিযোগ আনা হয় পরিবারের তরফে। কিন্তু, তিন মাসেও হারানো মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হন নাবালিকার বাবা।

    আদালত কী নির্দেশ দিল?

    এক সপ্তাহের মধ্যে ওই নিখোঁজ নাবালিকাকে উদ্ধার করে সিডব্লিউসি-র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালতের (High Court) আরও নির্দেশ, নাবালিকার পরিবারকে সম্পূর্ণ পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। নাবালিকা ও তার পরিবারের যদি কোনও ক্ষতি হয়, তার জন্য দায়ী থাকবে পিংলা থানার পুলিশ। মামলাতেই হাইকোর্টের কোপে পড়তে হয় পিংলা থানার পুলিশকে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশ কি কাউকে আড়াল করছে! নাকি কাউকে বাঁচাতে চুপ রয়েছে! না হলে, তিন মাস কোনও তদন্ত হয়নি কেন? আদালতে পুলিশের নতুন তথ্য জমা পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেখা যায়, পনেরো বছরের নাবালিকাকে সাবালিকা করতে তার জন্মশংসাপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় নথি জালিয়াতি করা হয়েছে। আগামী শুনানিতে এনিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: রাস্তায় টাকা তুলছে পুলিশ, দিচ্ছে জাল চালান, ছবি দেখে হতবাক বিচারপতি, তদন্তের নির্দেশ

    Uttar Dinajpur: রাস্তায় টাকা তুলছে পুলিশ, দিচ্ছে জাল চালান, ছবি দেখে হতবাক বিচারপতি, তদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশের টাকা তোলার অভিযোগ নতুন নয়। বাম আমলেও এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের জমানাতে তা অনেকটাই বেড়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। গত বছর খড়দায় তোলাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড হয়েছিলেন। তবে, কোনও পুলিশ কর্মীর তোলাবাজির ছবি বিচা্রপতি নিজের এজলাসে বসে দেখছেন, এই দৃশ্য খুব কম দেখা যায়। জানা গিয়েছে, পাথর বোঝাই ট্রাক চালকদের থেকে টাকা তুলছে পুলিশ। আর পুলিশের সেই টাকা তোলার ছবিই রেকর্ড করা হয় মোবাইলে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ডালখোলা শহরে। সোমবার এজলাসে সেই রেকর্ডিং দেখেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশের তোলাবাজি দেখে বিচারপতিও হতবাক হয়ে যান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Uttar Dinajpur)

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ডালখোলায় পাথর বোঝাই ট্রাক থেকে তোলা তোলার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। দু’টি ট্রাক বেআইনিভাবে এই টাকা দিতে না চাওয়ায়, তাদের আটকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আবার কিছু ট্রাকচালক বাধ্য হয়ে টাকা দেন। কিন্তু, তাঁদের যে চালান দেওয়া হয়েছে তাও জাল বলে অভিযোগ। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পুলিশের সমস্ত তোলাবাজির বিষয়টি মোবাইলে রেকর্ড করা হয়। হাইকোর্টে শুনানির সময় বিচারপতির সামনে তা পেশ ধরা হয়।

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিলেন?

    ছবি দেখে বিচারপতি বলেন, ‘এটা কী হচ্ছে? একটা থানায় এত টাকা, তিনটে থানা এত টাকা…এটা কি ভেটিং প্লেস? পুলিশ ঠিক করে দিচ্ছে! আশ্চর্য…।’ মামলাকারীর তরফে বলা হয়, ‘একটা থানা সাড়ে ৪ হাজার টাকা চাইছে।’ সেই কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘সরকার ওই অফিসারের নাম দেবে। আমি দিচ্ছি না। রেকর্ডিং থেকে সব দেখা গিয়েছে, শোনাও গিয়েছে।’ বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘পুলিশ রেট ঠিক করে দিচ্ছে কত টাকা দিতে হবে! ভিডিও ফুটেজ দেখে এটা স্পষ্ট, এটা অতি গুরুতর অভিযোগ। এর ফরেন্সিক পরীক্ষা করতে হবে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে এই মামলা সিআইডি-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল। নতুন এফআইআর করে তদন্ত করতে হবে সিআইডি-কে।’ এছাড়া জাল চালান দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই চালানও পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠান হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ নভেম্বর। সেই শুনানিতেই রেকর্ডিং সম্পর্কে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রানিনগর-২ বোর্ড গঠনে জেলবন্দি সভাপতি ভোট দিতে যাবেন, নির্দেশ আদালতের

    Murshidabad: রানিনগর-২ বোর্ড গঠনে জেলবন্দি সভাপতি ভোট দিতে যাবেন, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর-২ পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে টালবাহানা চলছিল। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর স্থায়ী সমিতি গঠনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতে কী জানাল রাজ্য?

    গত ১১ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনের কথা ছিল। তার আগে পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেসি সভাপতি কুদ্দুস আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পালটা আদালতে যান কুদ্দুস আলি। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থায়ী কমিটি গঠনে স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি গঠন করা যাবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সঙ্গে কবে রাজ্য সেখানে স্থায়ী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় তা মঙ্গলবারের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয় ২৭ সেপ্টেম্বর সেখানে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় তারা। এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিরোধীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একের পর এক নির্দেশ দেন।

    পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে কী নির্দেশ দিলেন বিচারক?

    এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশে জানিয়েছেন, ২৭ সেপ্টেম্বরই  মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। বোর্ড গঠনের সময় ভোটাভুটিতে জেল থেকে হাজির করাতে হবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলিকে। এছাড়া কংগ্রেসের যে ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে তাদের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফের মামলাটির শুনানি হবে।

    রানিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হওয়ায় বিজয় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। অভিযোগ, সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে একযোগে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে যেতে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরাও। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মীরা রানিনগর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালান। থানা লক্ষ্য করে চলে তুমুল ইটবৃষ্টি। রাজ্য সড়কের পাশে তৃণমূলের পার্টি অফিস মান্নান হোসেন ভবনেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, রানিনগর থানার পুলিশকে সাহায্য করতে ডেকে পাঠানো হয় আশপাশের থানার পুলিশকর্মীদেরও। তারপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি-সহ মোট ৩১ জন বাম এবং কংগ্রেস সমর্থককে। ধৃতদের  লালবাগ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত কুদ্দুস-সহ ৩১ জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল! মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ স্থায়ী সমিতি গঠন ঝুলে রইল

    Murshidabad: কোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল! মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ স্থায়ী সমিতি গঠন ঝুলে রইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল! মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ স্থায়ী সমিতি গঠন ঝুলে রইল। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ২ পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে টালবাহানা চলছিল। অবশেষে স্থায়ী সমিতি গঠনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের উপর স্থায়ী সমিতি গঠনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে ঘোষণা করায় স্থায়ী সমিতি গঠন কবে হবে তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।

    আদালত ঠিক কী নির্দেশ দিল?

    সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)  ডোমকলের মহকুমাশাসককে  নির্দেশ দিয়ে বলেন, পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য সভা ডেকে এখনই ভোটাভুটি করা যাবে না। আর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী বোর্ড গঠন নিয়ে ইতিমধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকলে তা কার্যকর হবে না। আদালতের নির্দেশের উপর স্থায়ী সমিতি গঠনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আপাতত আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করা যাবে না। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আদালতে কী জানায় কংগ্রেস?

    কংগ্রেসের অভিযোগ, নিজেরা স্থায়ী সমিতি গঠন করতে চেয়ে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেও আদালতে অভিযোগ করে কংগ্রেস। উল্লেখ্য যে, কংগ্রেসের ছ’জন সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারি এড়াতে তাঁরা পলাতক। আদালতে কংগ্রেস জানায়, ওই সদস্যরা ভোটাভুটিতে অংশ নিতে চান। স্থায়ী সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ৪২। এই পঞ্চায়েতে খাতায় কলমে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও পরে কয়েক জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।

    রানিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হওয়ায় গত শুক্রবার বিজয় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। অভিযোগ, সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে একযোগে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে যেতে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরাও। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মীরা রানিনগর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালান। থানা লক্ষ্য করে চলে তুমুল ইটবৃষ্টি। রাজ্য সড়কের পাশে তৃণমূলের পার্টি অফিস মান্নান হোসেন ভবনেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, রানিনগর থানার পুলিশকে সাহায্য করতে ডেকে পাঠানো হয় আশপাশের থানার পুলিশকর্মীদেরও। তারপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি-সহ মোট ৩১ জন বাম এবং কংগ্রেস সমর্থককে। ধৃতদের  লালবাগ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত কুদ্দুস-সহ ৩১ জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

    কী বললেন কংগ্রেস সাংসদ?

    বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, পুলিশ এবং তৃণমূলের লোকেরা পরিকল্পিত ভাবে কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করে উত্তেজনা তৈরিতে ইন্ধন জুগিয়েছে। মিথ্যা মামলায় জেলে যাওয়া দলীয় কর্মীদের মুক্তির দাবিতে জেলা জুড়ে আন্দোলন হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: খেজুরিতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী! নির্দেশ আদালতের

    Gram Panchayat Election: খেজুরিতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী! নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠনে বোমাবাজির অভিযোগ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, পরবর্তী বোর্ড গঠনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর  নিরাপত্তায় করতে হবে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। রাজ্য অবিলম্বে এর জন্য কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইবে। আদালতের আরও নির্দেশ, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ওই জেলার পুলিশ সুপার। আগের দিনের চাইতে বেশি সংখ্যায় রাজ্য পুলিশের কর্মী মোতায়েন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই বোর্ড গঠনের কাজ হবে বিডিও অফিসের পরিবর্তে জেলাশাসকের দফতরে।

    কী নির্দেশ দিল আদলত?

    ৫ সেপ্টেম্বর খেজুরিতে পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat Election) স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে তিনটি মামলা হয় হাইকোর্টে। কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী সেদিন বিডিও অফিসে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। তখনই শিশিরের গাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। শিশিরের গাড়িতে যথেচ্ছ বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। এবার ওই মামলায় বিস্ফোরক আইন যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মামলার শুনানিতে শিশিরের আইনজীবীর মোবাইল ফোনে বোমাবাজির ফুটেজ দেখেন বিচারপতি। এরপরই রাজ্যের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কি মনে হয় না যে, আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে? এখানে তো আদালত মামলাকারীদের নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছিল। মামলাকারীরা যদি এফআইআর দায়েরের ক্ষেত্রে কোনও ভুল করেও থাকেন, তবে পুলিশ কী করছিল? তিনি আরও বলেন, ‘আদালতকে বোকা ভাবার কোনও কারণ নেই। যেখানে মানুষের প্রাণ সংশয়ে আছে, সেখানে পুলিশের এই ভূমিকা কেন?’ রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানা হয়, ঘটনার দিন ২৫০ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। তবে, তারা বাইরে ছিল। বিডিও অফিসের ভিতরে গন্ডগোল হয়েছে। বিচারকের প্রশ্ন, পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও ঘটনার মোকাবিলা করা গেল না কেন? তাহলে তাদের বাইরের বাহিনীর সাহায্য প্রয়োজন।

    খেজুরিকাণ্ডে গ্রেফতারি নিয়ে আদালতে কী জানাল রাজ্য?

    শিশিরের সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Gram Panchayat Election) সময় নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী খুকুমণি মণ্ডল। যেহেতু বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই কারণে এই মামলার তদন্তের অধিকার রাজ্যের নেই বলে দাবি করেন কেন্দ্রের আইনজীবী। রাজ্য জানায়, মোট ৯ জন গ্রেফতার হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। গোয়ালতোড় কলেজ (Paschim Medinipur) মাঠের পর পিংবনিতেও সভার অনুমতি বাতিল করল পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি। সভা বাতিল করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ বিজেপির। পাল্টা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। আজ হাইকোর্ট থেকে বিচারতি জয় সেনগুপ্ত সময় বেঁধে দিয়ে পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা করার অনুমতি দিলেন। 

    মূল অভিযোগ কী (Paschim Medinipur)?

    উল্লেখ্য ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবসের দিন, একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে সভা করবেন, ঠিক সেই সময় গোয়ালতোড়ে (Paschim Bardhaman) সভা করার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রথমে জেলা বিজেপির তরফে গোয়ালতোড় কলেজ মাঠে সভা করার কথা ঠিক করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। এরপর পিংবনিতে এই সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, ইচ্ছে করেই শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি প্রত্যাহার করেছে পুলিশ। গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে।

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    জেলার (Paschim Medinipur) বিজেপি সহ-সভাপতি শংকর গুচ্ছাইত বলেন, পুলিশ অনৈতিক ভাবে সভা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন। পিংবনির মাঠের কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে আমাদের সভার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ বারবার সভাকে বাতিল কারার কথা বলছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সভা বলেই পুলিশ বাধা প্রদান করছেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশ জোর করে সভাকে বাতিল করার অপচেষ্টা করছেন। বিজপির সভাকে নিয়ে দলদাস পুলিশ তৃণমূলের মতন আচরণ করছেন। এই সভায়, রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা জনজাতি সমাজের মানুষকে সম্মানিত করবেন। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সভা বাতিলের চেষ্টা করছেন পুলিশ। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা হাইকোর্টে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করব। অবশেষে আজ হাইকোর্ট পিংবনিতে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতি বলেছেন- সবার অনুমতি দেবে কি দেবে না তা পুলিশের ব্যাপার। এর সাথে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যানজট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জমা পড়েছিল আদালতে। তার পরিপেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে বর্ধমান (Burdwan) শহরের ভিতর দিয়ে বাইরের বাস চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর সেই নির্দেশ কার্যকর করতে কড়া জেলা প্রশাসন। চলছে অভিযান। অন্যদিকে এই ধরনের ব্যবস্থার জেরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল শহরবাসী, যাত্রী ও বাসকর্মীদের মধ্যে।

    আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট

    গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বর্ধমান (Burdwan) শহরের মূল অংশের ভিতর টাউন সার্ভিস আর স্কুল বাসই শুধু চলবে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি (সিঙ্গল বেঞ্চ) নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বড়শুল, মেমারি, খণ্ডঘোষের বাস মালিকদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে ডিভিশন বেঞ্চ আগের রায়কেই বহাল রাখে। এই নির্দেশের ফলে বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া আরামবাগ, বাঁকুড়া, মেমারি, বড়শুল, খণ্ডঘোষ, রায়নার বিভিন্ন ছোট ও বড় রুটের বাস আর ঢুকবে না। সেই রায় কার্যকর করতে মঙ্গলবারই পরিবহণ দফতর ও পুলিশ যৌথভাবে উল্লাসের আলিশা বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায়।

    কী ব্যবস্থা নিল জেলা পরিবহণ দফতর (Burdwan)?

    জেলা (Burdwan) পরিবহণ দফতরের অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক (এআরটিও) সুপ্রভাত দাস বলেন, শহরের যানজট মোকাবিলায় পূর্বেই হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছিল। কিন্তু তারপর আবারও পাল্টা কেস হয়। গত ২৬ শে জুলাই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পূর্বের রায়ই বহাল রাখে। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে ও রুট ঠিক করে দেওয়ার জন্যই আজ অভিযান চালানো হয়। বাসগুলি যাতে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট রুটে যাতায়াত করে, সেটাই বলা হচ্ছে।

    বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া (Burdwan) 

    এদিকে, শহরের (Burdwan) ভিতর বাস ঢোকায় বাধা পড়তেই ভোগান্তির মুখে পড়েন অনেক যাত্রী। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এই নির্দেশের ফলে একদিকে যেমন খরচ বাড়বে, তেমনি সময়ও অপচয় হবে।। বাসকর্মীদের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, এই নির্দেশের ফলে বাসের রুট ছোট হয়ে যাচ্ছে। তাই খরচ উঠবে না, লোকসান হবে। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়বে। যদিও যানজট মোকাবিলায় আদালতের দেওয়া নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরের একাংশ। অন্যদিকে বর্ধমান জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানকীরঞ্জন সিনহা জানিয়েছেন, যানজট মোকাবিলায় ও দুর্ঘটনা এড়াতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সঠিক। তাঁরা এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন।।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: খড়্গপুরে শ্রীনু নাইডু খুনের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনই বেকসুর খালাস!

    Paschim Medinipur: খড়্গপুরে শ্রীনু নাইডু খুনের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনই বেকসুর খালাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়্গপুরের (Paschim Medinipur) এক সময়ের ত্রাস শ্রীনু নাইডু খুনের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিলেন বিচারক। বিচারকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সরকারি পক্ষের আইনজীবী সমরকুমার নায়েকের। শ্রীনু নাইডুর স্ত্রী পূজা নাইডু বলেন, আইনের প্রতি বিশ্বাস আমার চলে গেল। হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন করব।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Paschim Medinipur)?

    উল্লেখ্য, রেল শহরের (Paschim Medinipur) এক সময়ের ‘ত্রাস’ শ্রীনু নাইডু খুনের রায় ঘোষণা হল দীর্ঘ ছয় বছর পর। ২০১৭ সালের ১১ই জানুয়ারি বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন শ্রীনু। দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত হন শ্রীনুর ডান হাত ধর্মা রাও। জখম হন আরও তিনজন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই বছরই ২৮ শে ফেব্রুয়ারি অন্ধপ্রদেশের তানুকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বাসব রামবাবুকে। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পড়েছিল মেদিনীপুর আদালতে। খড়্গপুরে এক সময়ের রেল মাফিয়া বাসব রামবাবু সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয় এই মামলায়। দীর্ঘদিন বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে ঘোষণা হল রেল শহরের অন্যতম মাফিয়া শ্রীনু নাইডু হত্যা মামলার রায়। অপর দিকে রায় অপ্রত্যাশিত বলে দাবি সরকারি পক্ষের আইনজীবীর।

    স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটরের বক্তব্য

    স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর সমরকুমার নায়ক বলেন, কোর্টের আদেশকে প্রভাবিত করা হয়েছে। এই মামলায় (Paschim Medinipur) সাক্ষী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের বিষয়কে উপেক্ষা করে রায় ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত অনভিপ্রেত এই রায়। যেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তার তথ্য, যাঁরা গুলি খেয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাঁরা সবাই দোষীদের চিহ্নিত করেছেন। ফলে, এই আদেশে বিচারক প্রভাবিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী। তিনি বলেন, আমরা বিচারে খুশি নই। এসপির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা হাইকোর্টে কেস ফাইল করব।

    আসামি পক্ষের উকিলের বক্তব্য

    আসামি পক্ষের আইনজীবী (Paschim Medinipur) অজয়কুমার ঘোষের বক্তব্য, ১৩ জন আসামি যারা ছিল, তাদের সকলকেই এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক। মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে অজয়বাবু বলেন, যদি দোষীরা কেউ অন্য মামলায় গ্রেফতার না হয়ে থাকেন, তাহলে মুক্তি পাবেন। আর যদি গ্রেফতার হয়ে থাকেন তাহলে মুক্তি পাবেন না। কিন্তু এই মামলায় ১৩ জন সকলেই অব্যাহতি পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: হাইকোর্টের নির্দেশে ৫টি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস

    Murshidabad: হাইকোর্টের নির্দেশে ৫টি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাইকোর্টের নির্দেশে বড়ঞায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে দিল জেলা প্রশাসন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত আফ্রিকা হিমঘর মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দলীয় কার্যালয় ছিল বলে সূত্রে জানা গেছে। অবশেষে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। সবটাই আইন মেনে, প্রশাসনের উপস্থিতিতে হয়েছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, এই অবৈধ ভবন তৃণমূলের কার্যালয় ছিল না। 

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) অভিযোগ কী ছিল?

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, বড়ঞায় আফ্রিকা মোড়ে এই ভবনটি মূলত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়, যা বেআইনিভাবে পূর্ত দফতরের (Murshidabad) সরকারি জায়গায় তৈরি হয়েছিল। এই অবৈধ নির্মাণের বিষয়কে সমানে রেখে স্থানীয়রা কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করার পর মামলা হয়। এরপর কোর্টের রায় ঘোষণা হলে বেআইনি তৃণমূল ভবনটি ভাঙা হয়। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বেআইনিভাবে এখানে তৃণমূলের পার্টি অফিস গড়ে তুলেছিলেন বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এই তৃণমূল বিধায়ক জেলে রয়েছেন। বিধায়কের অফিস ভাঙাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

    কীভাবে ভাঙা হয়েছে?

    গত ২৪ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল এই অবৈধ ভবনটি ভাঙার জন্য! সেই মতো ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ভবন ভাঙার জন্য আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনকে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও রক্ষা হয়নি ভবন নির্মাণকারীর আবেদন। অবৈধ এই নির্মাণটি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ৫ টি বুলডুজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। যদিও বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি কোনও দলীয় কার্যালয় ছিল না, তবে এখানে দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হত। পাশাপাশি তৃণমূলের দাবি, দলের কার্যালয় বলে বদনাম করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। অন্যদিকে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবৈধ নির্মাণ এবং ভেঙে ফেলার বিষয় থেকে নিজেরা রক্ষা পেতে, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা বলেছেন, অবৈধ ভবনটি দলীয় কার্যালয় নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share