Tag: High Court

High Court

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দেন তিনি। ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য দায়ী করেন দফতরের চার কর্মীকে। পর্ষদকে ভুল শুধরে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেয় আদালত।

    পর্ষদকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

    বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, ২২ জানুয়ারির মধ্যে কার্যকর করতে হবে আদালতের নির্দেশ। কোথায় গাফিলতি ছিল, তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে পর্ষদকে। গাফিলতির প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, জানাতে হবে তাও। রাজ্য শিক্ষা দফতর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসিকে শূন্যপদ নিয়ে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাঁকুড়া শালতোড়া গার্লস স্কুলে চাকরির সুপারিশ পান জনৈক উমা প্রামাণিক। অভিযোগ, দু’বছর (Calcutta High Court) পরেও তাঁকে চাকরি দেয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    কীভাবে ঘুরল মামলার মোড়?

    হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে পর্ষদ জানায়, সুপারিশপত্র দেয়নি এসএসসি। তাই চাকরি দেওয়া যায়নি। পরে এসএসসি উমাকে সুপারিশপত্র দিয়েছে, এমন প্রমাণ তুলে ধরতেই ঘুরে যায় মামলার মোড়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদ অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। পর্ষদের গাফিলতির জেরেই দু’বছর পরেও চাকরি পাননি মামলাকারী। এর পরেই পর্ষদের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিবকে তলব করেন বিচারপতি। আদালত কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না, তার কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের আবেদন জানালেন শুভেন্দু

    এদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে সুব্রত বলেন, “ভুল ছিল পর্ষদেরই। দফতরের চার কর্মীর উদাসীনতার কারণেই ওই ভুল হয়েছে। এঁরা হলেন, পর্ষদের সহকারী সচিব, পর্ষদ সভাপতির পিএ এবং চুক্তিভিক্তিক দুই গ্রুপ সি কর্মী।” বিচারপতি বসু জানান, একজন যোগ্য প্রার্থীকে এতদিন চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এর জন্য যাঁরাই দায়ী, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ওই চারজনের বিরুদ্ধে পর্ষদ সচিব কী পদক্ষেপ করেছেন, পরবর্তী শুনানিতে তা জানাতে হবে আদালতে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Calcutta High Court: ডালিম, তপনের পর এবার নেতাই গণহত্যায় জামিন পেলেন সিপিএমের রথীন

    Calcutta High Court: ডালিম, তপনের পর এবার নেতাই গণহত্যায় জামিন পেলেন সিপিএমের রথীন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর জামিন পেয়েছিলেন নেতাই গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে। সোমবার ওই মামলায় জামিন পেলেন সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাট। প্রায় দশ বছর পর জামিন পেলেন তিনি। রথীনের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিবিআইয়ের অপদার্থতা!

    রথীনের জামিনের পর সিবিআইয়ের দিকে আঙুল তোলেন আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন। তিনি বলেন, “আজ নেতাইয়ের বাসিন্দারা সিবিআইয়ের কাছে প্রশ্ন করছেন। তাঁরা রাজনৈতিক মামলায় এত সক্রিয়। অথচ নেতাইয়ের নয় শহিদের পরিবার কেন এখনও বিচার পাচ্ছে না? সিবিআইয়ের অপদার্থতার জন্য আজও নেতাই মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। শহিদ পরিবার বিচার পাচ্ছে না।”

    নেতাইকাণ্ডের নেপথ্যে

    ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে (Calcutta High Court) দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় ন’জন গ্রামবাসীর। গুলির ঘায়ে জখম হন ২৮ জন। অভিযোগ, স্থানীয় সিপিএম নেতা রথীনের বাড়ি থেকে গুলি চালিয়েছিল সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রথীনের বাড়িতে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর শিবির ছিল। স্থানীয়দের তারা নানাভাবে কাজে লাগাচ্ছিল। শিবিরের নানা কাজে সাহায্যের জন্য ডেকে পাঠানো হত বাড়ির মহিলাদের। এসব নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয়দের মধ্যে। জানুয়ারির সাত তারিখে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হন স্থানীয়রা। তার পরেই রথীনের বাড়ি থেকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: “চুরির সাত কাহন কাব্য লেখা উচিত”, তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরে ২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হাত বদল হয় তদন্তের রশি। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গ্রেফতার হন সিপিএমের তৎকালীন বিনপুর জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে-সহ ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মী। নেতাই গণহত্যা মামলায় বছরখানেক আগে জামিন পান ফুল্লরা মণ্ডল। গত ফেব্রুয়ারিতে জামিনে মুক্ত হন ডালিম এবং তপন। এদিন পেলেন (Calcutta High Court) রথীন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ঠেকাতে পারল না পুলিশ, শুভেন্দুর নেতাই যাওয়াতেও অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: ঠেকাতে পারল না পুলিশ, শুভেন্দুর নেতাই যাওয়াতেও অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভাকে আটকাতে পারলো না তৃণমূল সরকার। আগামী ৭ জানুয়ারি শুভেন্দুকে নেতাইয়ে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি নেতাই যাওয়ার সময় তাঁকে পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এমনকী গত বছর পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। এই বছর তাই সভা করতে যাতে পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন না হতে যদি হয়, তাই আগে থেকেই হাইকোর্ট স্মরণ সভা করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। অবশেষে কোর্টের অনুমতি মিলেছে আজ বৃহস্পতি বার। ফলে পুলিশ চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারল না শুভেন্দুকে।

    কী বললেন বিচারপতি (Suvendu Adhikari)?

    আদালতে শুভেন্দুর আবেদনের সাপেক্ষে আজ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) এক ঘণ্টার মধ্যে যেতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। প্রত্যেকের যে কোনও স্মরণ সভায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই জটিলতার বৃদ্ধি যাতে না হয় সেই জন্য কাজ করুন।” এই কথার উত্তরে রাজ্যের এজি বলেন, “আগামী ৬ এবং ৭ জানুয়ায়রি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অন্য একটি দল নেতাইয়ে অনুষ্ঠান করবে বলে আগে থেকেই অনুমতি নিয়েছে।” পালটা বিচারপতি আবার বলেন, “দুই দিনের মধ্যে অন্যদের অন্তত এক ঘণ্টার জন্য সময় দেওয়া উচিত। কোনও কর্মকাণ্ড নয়। স্মরণে শুভেন্দুকে মালা দেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হোক।” বিজপির দাবি রাজ্য সরকারের অগণতান্ত্রিকের আচরণ করলে বিচার বিভাগ গণতন্ত্র রক্ষার কাজ করে।

    নেতাই হত্যাকাণ্ড

    ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে লালগড়ের নেতাইয়ে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছিল। এই ঘটনায় মারা গিয়েছিল ৯ জন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এরপর থেকে এই দিনটিকে নেতাই গণহত্যার দিবস হিসাবে স্মরণ করা হয়। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূলে থাকার সময়ও এই দিনে নেতাইয়ে যেতেন। গত বছরে পুলিশ প্রশাসন ইচ্ছাকৃত গোলমাল করার করার জন্য এই বছর যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হতে না হন তাই আগাম হাইকোর্টে আবেদন করেছিল নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রাথমিকের ৪২ হাজার প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রাথমিকের ৪২ হাজার প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিকের ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে প্রাথমিকে টেট সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হয় এই মামলার শুনানি।

    প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ 

    তখনই এমন নির্দেশ দেন তিনি। যদি আগেই প্যানেল প্রকাশ হয়ে থাকে, তাহলে সেই প্যানেলের হার্ড ও সফ্ট কপি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের ওই টেটে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মতো চাকরিপ্রার্থী। দু’ বছর পরে শুরু হয় নিয়োগ। উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে নিয়োগ (Calcutta High Court) করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৯৪৯জনকে। নিয়োগে ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। অভিযোগ, যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩২ হাজারই ‘প্রশিক্ষিত’ নন। ঠিকঠাক ইন্টারভিউ এবং অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না নিয়েই অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ মামলাকারীদের।

    চাকরি খোয়া যায় ৩২ হাজার শিক্ষকের

    ওই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী ও পরীক্ষকের বয়ান রেকর্ড করেন। মামলাকারীদের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে মেনে নিয়ে ১২ মে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক অসঙ্গতির উল্লেখ করে রায় দেন তিনি। চাকরি খোয়া যায় ৩২ হাজার শিক্ষকের। পরের চার মাস ওই শিক্ষকরা প্যারাটিটারের মতো বেতন পাবেন বলেও জানিয়ে দেন। তিন মাসের মধ্যে পর্ষদকে নতুন করে সম্পন্ন করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ওই ৩২ হাজার শিক্ষকও।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নবীন-প্রবীণ কারা, ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, কেবল প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও অতীতে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরিও গিয়েছিল তাঁর রায়ে। চাকরির সময় বেতন বাবদ তিনি যে অর্থ নিয়েছিলেন, তাও ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় প্রথমে চাকরি দেওয়া হয় ববিতা সরকারকে। পরে অবশ্য তাঁরও চাকরি যায় (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়, আদালতে কী বলল সিবিআই?

    Calcutta High Court: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়, আদালতে কী বলল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নয়া মোড়। ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ বলে যা বলা হচ্ছে, তা আদতে একটি স্ট্যাম্প। এর আড়ালেই হত অবৈধ নিয়োগ। মঙ্গলবার এই মামলায় মুখবন্ধ খামে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মর্মে রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই এবং ইডি। তার পরেই খুলেছে নিয়োগ কেলেঙ্কারির একের পর এক পরত।

    কী জানাল সিবিআই?

    আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কোনও অনুমোদন ছিল না। রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে অনলাইন পোর্টাল করা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। এমনকী সংস্থায় কোনও কর্মীই নেই। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার যাবতীয় নথি নষ্ট করা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওএমআর শিট দেখার পর নম্বর দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকেই। এই কোম্পানির দুই কর্মী কৌশিক মাজি ও পার্থ সেনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।

    ‘সিঙ্গল রোল নম্বরে মাল্টি রেজিস্ট্রেশন’

    আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া সিবিআই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘সিঙ্গল রোল নম্বরে মাল্টি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল যাতে আসল পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা না যায়। অয়ন শীল ওএমআর কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত। তিনি এখন জেলে রয়েছেন। তাঁকে গিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। ১৭টি পুরসভায় দুর্নীতি করে নিয়োগ করেছে অয়ন।’ আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, ‘২০২২ সাল পর্যন্ত চাটার্ড অ্যাকাউন্ট ফার্ম হিসেবে নথিভুক্ত ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। তার পরেই বেশ কিছু বিষয় এই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়। এই কোম্পানিকে সামনে রেখেই চলছিল দুর্নীতি। বোর্ডের কর্মীরাও যুক্ত ছিল এই দুর্নীতির সঙ্গে। কার ওএমআর শিট, সেটা যাতে কেউ বলতে না পারে, সেভাবেই করা হয়েছিল দুর্নীতির পরিকল্পনা।’

    আরও পড়ুুন: “মুষল পর্ব চলছিলই, সেটা প্রকাশ্যে এল”, তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের

    সিবিআইয়ের পাশাপাশি নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত-রিপোর্ট জমা দিল ইডিও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা জানিয়েছে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সাড়ে ৭ কোটির ৮টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বুধবার ইডির যুগ্ম অধিকর্তাকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, “চিকিৎসকদের নিয়ে একটি টিম গঠন করবে ইডি, যাঁরা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা টেস্ট করতে পারবেন।” এর পরেই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসককেও বুধবার আদালতে (Calcutta High Court) উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Gujarat High Court: “গোহত্যা হলে ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না”, মন্তব্য গুজরাট হাইকোর্টের

    Gujarat High Court: “গোহত্যা হলে ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না”, মন্তব্য গুজরাট হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এ দেশে গরুকে ভগবান বলে পুজো করা হয়। তাই গোহত্যা হলে কিংবা গরুর ওপর কোনও অত্যাচার হলে ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না।” শুক্রবার এমনই মন্তব্য করল গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। বয়স হলে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয় গরুকে। তার জেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে বলে একটি মামলা দায়ের হয়েছে গুজরাট হাইকোর্টে।

    প্রাণীহত্যা অপরাধ

    ওই মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি আশুতোষ শাস্ত্রী ও বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাস্তাঘাটে মৃত গরু পড়ে থাকা ঠিক নয়। দিন কয়েক খেড়া জেলার এই দৃশ্যের প্রসঙ্গ টেনে আদালতের মন্তব্য, “এজন্য ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না। মানুষের আরামের জন্য প্রাণীহত্যা অপরাধ। বা যেখানে সেখানে তাদের দেহ পড়ে থাকাও ঠিক নয়।”

    অকেজো গরুর করুণ হাল 

    উত্তরপ্রদেশ সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ। কোথাও আবার গোহত্যা নিষিদ্ধ হলেও, গোমাংস খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা নেই। এসব কারণেই বাড়ছে গরুর সংখ্যা। বয়স কম থাকার সময় কদর থাকলেও, বয়স বাড়লেই আর গরুর যত্নআত্তি করেন না তার মালিকরা। ছেড়ে দেন রাস্তাঘাটে। তাই অকেজো গরুর হাল হয় করুণ। অকেজো এই গরুদের রাখতে গোয়াল রয়েছে গুজরাটে (Gujarat High Court)। তবে সেখানেও ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই রব। আদালতে একথা জানিয়েছে সরকারও। কেন গবাদি পশুদের নিয়ে ঠিকঠাক ব্যবস্থা করা হচ্ছে না, এদিন সে প্রশ্নও তোলে আদালত।

    আরও পড়ুন: “আব কি বার ৫০ শতাংশ ভোট পার”, প্রচারের সুর বাঁধলেন মোদি

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানিও চলছে। রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা করা গবাদি পশুদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গবাদি পশুর আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। এই কারণেও সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে আদালত (Gujarat High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টের কড়া অবস্থানের পরেই সিবিআইকে বাড়ি-গাড়ির সুবিধা রাজ্যের

    Calcutta High Court: হাইকোর্টের কড়া অবস্থানের পরেই সিবিআইকে বাড়ি-গাড়ির সুবিধা রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি এবং সমবায়ের বিরুদ্ধে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিভিন্ন ইস্যুতে দুর্নীতির তদন্তে নেমে মামলার চাপ সামলাতে কার্যত হিমসিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিন দুয়েক আগে আলিপুরদুয়ারের সমবায়ে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে রোজ গিয়ে তদন্ত করা অফিসারদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর তাই তদন্তের জন্য একটি অফিস দরকার। শুক্রবার, রাজ্য সরকার বিচারপতিকে জানিয়েছে, সিবিআইকে সবরকম সুবিধার ব্যবস্থা করবে। বিচারপতির নির্দেশ অনুসারেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী  স্থানীয় প্রশাসনকে কাজ করার কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিচারপতি কী বলেছিলেন (Calcutta High Court)?

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলার শুনানিতে বলেছিলেন, “সিবিআইকে সাহায্য করতে ১০ জন পুলিশকর্মী সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করার জন্য গাড়ি এবং অফিসারদের থাকা ও একটি স্থায়ী অফিসের জন্য বাড়ি দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। এই কাজ করবে রাজ্য।” গত ৩ এবং ৭ নভেম্বর রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিলেও তার বাস্তবায়িত হয়নি। তার পর গত সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কড়া অবস্থান নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে জানাতে চান, আদালতের নির্দেশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করবেন কি না? মাঝে দু’দিন বিচারপতি অনুপস্থিত ছিলেন। এরপরে আবার গতকাল মামলা কোর্টে উঠলে বিচারপতিকে মুখ্যসচিব জানান আদলাতের নির্দেশ পালন করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব এদিন আদালতে (Calcutta High Court) জানিয়েছেন যে, সিবিআই মোট ১০ জন পুলিশ কর্মী চেয়েছিল। ইতিমধ্যে রাজ্য থেকে ৮ জন পুলিশকর্মীকে ডেপুটেশনে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে একটি গাড়ি এবং ২ মাসের জন্য একটি অস্থায়ী অফিসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। সবটাই দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যসচিব।

    শহরে সিবিআই অতিরিক্ত নির্দেশক

    এদিকে, রাজ্যে কয়লা থেকে শুরু করে গরু, শিক্ষক নিয়োগ, সমবায়, পুরসভা, রেশন দুর্নীতি সহ আরও একাধিক বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসেন সিবিআইয়ের অতিরিক্ত নির্দেশক মনোজ শশিধর। শুক্রবার উচ্চপদস্থ অফিসারদের নিয়ে দফায় দফায় নিজাম প্যালেসে বৈঠক করেন তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে। এরপর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সেও বৈঠক করেন। সেই সঙ্গে তদন্তের জন্য কী কী সুযোগ-সুবিধা লাগবে তা নিয়েও দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় এইদিন। রাজ্যে তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তের বিষয়ে একটা খসড়া রিপোর্ট তিনি দিল্লির অফিসে দেবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রাথমিকে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য, রায় কলকাতা হাইকোর্টের   

    Calcutta High Court: প্রাথমিকে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য, রায় কলকাতা হাইকোর্টের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের আগেই বড় খবর! তবে এই খবর সুপবন বয়ে আনবে কেবল রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের জীবনে। রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য। এমনই রায় দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। আদালতের এই রায়ের সঙ্গে সঙ্গেই আইনি জট কাটল প্রায় সাত বছর পরে।

    আদালতের রায়

    আদালতের এই রায়ে আদতে মান্যতা পেল রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তিই। বিচারপতি ভট্টাচার্য তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষণ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না। আদালত জানিয়েছে, প্যারাটিচার নিয়োগ, তাঁদের কাজের ধরন, গুরুত্ব সবই অন্যদের থেকে আলাদা। তাই ২০১৭ সাল থেকে স্পেশাল এডুকেটর, সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকা, মুখ্য সহায়ক এবং সহায়িকাদের দায়ের করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আগের স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যে পার্শ্বশিক্ষকের সংখ্যা 

    প্রসঙ্গত, বাম আমলে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষক ছিলেন ৫০ হাজারেরও বেশি। সেই সংখ্যা কমতে কমতে বর্তমানে ঠেকেছে ৪২ হাজারে। রাজ্যে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদের মধ্যে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত ১ হাজার ৪৩৩টি পদ। প্রসঙ্গত, এতদিন এই ১ হাজার ৪৩৩টি পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের এই রায়ের জেরে এবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিতে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদেই শুরু হবে কাউন্সেলিং।

    আরও পড়ুুন: ফের অ্যাম্বুলেন্সকে পথ ছেড়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়, ভাইরাল মোদির ‘কীর্তি’

    পার্শ্বশিক্ষকদের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সৌমিক প্রামাণিক। তিনি বলেন, “পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগ হয় জেলা প্রজেক্ট অফিসারের মাধ্যমে। তাই তাঁদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ কম। তাঁদের নিয়মিত ক্লাস করতে হয়। পরীক্ষা নেওয়া ও খাতা দেখার কাজও করতে হয় তাঁদের।” এ সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা দেন সৌমিক। আদালত সাফ জানিয়েছে, সর্বশিক্ষা মিশনের অন্তর্গত স্পেশাল এডুকেটর, সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকা সহ সমগোত্রীয়রা যেহেতু এমন কোনও নথি দিতে পারেননি, তাই তাঁদের দায়ের করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • SSC: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    SSC: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে পাঁচ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়। হাইকোর্টের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে পারল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এমনই অভিমত আদালতের।  বুধবার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। হলফনামায় আদালতের ঘাড়েই দায় চাপায় এসএসসি। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। তাঁর নির্দেশ চাকরি বাতিলের ‘অবস্থান’ প্রসঙ্গে নিজেদের মত ১৮ ডিসেম্বর মধ্যে স্পষ্ট করতে হবে এসএসসিকে। 

    কী বলল আদালত

    এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টে এসএসসি জানিয়েছিল, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। আর তাই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের। অন্যদিকে, আবার স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপ্রিম কোর্টে জানায়, হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ায় বরখাস্ত করতে হয়েছে এই পাঁচ হাজার জনকে। উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আগামী ছয় মাসের মধ্যে যাতে শুনানি শেষ হয় সেই বিষয়টিও দেখার কথা কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বোর্ড মিটিং করে পাঁচ দিনের মধ্যে কমিশনকে তাঁদের  সুনির্দিষ্ট ‘অবস্থান’ জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র মদতেই বিপুল সাম্রাজ্য! ২ জেলাতেই ১০০-র বেশি সম্পত্তি বাকিবুরের

    চাকরি বাতিল নিয়ে এদিন এসএসসি-র আগের হলফনামাও ফিরিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, হাইকোর্ট যার পক্ষেই রায় দিক, তার ফলে কেউ না কেউ প্রভাবিত হবে। চাকরিহারাদের মধ্যে অনেক প্রার্থী আইন অনুযায়ী চাকরি পেয়েছেন আবার অনেকে ভুয়ো প্রার্থীও আছেন। যাঁরা সঠিক তাঁরা কেন ফল ভুগবে? এক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। যদিও কমিশন জানিয়েছিল তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশেই চাকরি বাতিল করেছে। তবে এতে সন্তুষ্ট ছিল না ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসির নিজস্ব মত জানতে চায় আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: ধর্মতলায় ‘শাহি’ সমাবেশ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দুয়ারে রাজ্য

    BJP Rally: ধর্মতলায় ‘শাহি’ সমাবেশ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দুয়ারে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দুয়ারে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপির ‘শাহি’ সমাবেশ (BJP Rally)।

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য 

    ফি বার একুশে জুলাই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করে তৃণমূল। ওই একই জায়গায় ২৯ নভেম্বর সভা করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সভায় উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সভার অনুমতি না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালতে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, কম্পিউটার জেনারেটেড মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে। পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, মামলাকারীর সভার জন্য নিয়ম অনুযায়ী দু সপ্তাহ আগে আবেদন করেছেন। তাহলে কেন কম্পিউটার জেনারেটেড বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে এবং তাদেরকে মেনে চলতে বলা হচ্ছে? আদালতের কাছে এটা পরিষ্কার যে, পুলিশ ওই আবেদনকে গুরুত্ব দেয়নি। আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কম্পিউটারের এই ত্রুটি তৈরি করা হয়েছে। যাতে মামলাকারী কোনও আবেদন করলেই তা খারিজ হয়ে যায়। এর পরেই বিজেপিকে (BJP Rally) সভার অনুমতি দেয় আদালত।

    বিচারপতি মান্থার রায় 

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রায় দিতে গিয়ে বলেন, “স্বাধীন দেশে যে কেউ যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। কারণ না জানিয়ে সভার অনুমতি বাতিল করার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ জাগছে। বিচারপতি মান্থার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। রাজ্যকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। দ্রুত শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় বিজেপির ওই সভার অনুমতি চেয়ে ১৮ অক্টোবর কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনারের কাছে আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে সভার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছিল ২৮ নভেম্বর। তারিখটি খারিজ হয়ে যাওয়ায় সভার জন্য চাওয়া হয় ২৯ নভেম্বর। সেই দিনটিও খারিজ হয়ে যায়। আদালতের দ্বারস্থ হয় পদ্মশিবির (BJP Rally)।

    আরও পড়ুুন: আগেই উদ্বেগ প্রকাশ মোদির, ডিপফেক নিয়ে মেটা, গুগলকে ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share