Tag: Hijab

Hijab

  • Hijab Law: মহিলাদের জন্য ইরানে নয়া পোশাকবিধি, না মানলে হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও! শুরু বিতর্ক

    Hijab Law: মহিলাদের জন্য ইরানে নয়া পোশাকবিধি, না মানলে হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও! শুরু বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোশাকবিধি না মানলে এবার মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে ইরানি (Iran) নারীদের। এই বিষয়ে চলতি সপ্তাহে নয়া আইন (Hijab Law) চালু করেছে তেহরান। নতুন আইনে পোশাক বিধি না মানার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে আলাদা আলাদা শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। কেউ অশোভন পোশাক পরলে কিংবা নগ্নতাকে তুলে ধরছেন বলে মনে করা হলে ভারতীয় মুদ্রায় জরিমানা হতে পারে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা।

    কড়া শাস্তির বিধান (Hijab Law)

    বারংবার একই অন্যায় করলে ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। যদি কোনও মহিলার অপরাধকে ‘পৃথিবীর প্রতি অনাচার’ বলে মনে করে প্রশাসন, তাহলে ইরানের ইসলামীয় দণ্ডবিধি অনুসারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। নয়া আইন অনুসারে যাঁরা এই পোশাকবিধি লঙ্ঘন করবেন, তাঁদেরও পেতে হবে শাস্তি। কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, সংবাদমাধ্যম মায় কোনও ট্যাক্সিচালকও যদি মহিলাদের অশোভন পোশাকে দেখেন, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে প্রশাসনকে। না হলে, সেটাও গণ্য হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে।

    পোশাক বিধি

    ইরানে দীর্ঘদিন ধরে মহিলাদের জন্য কড়া পোশাক বিধি চালু রয়েছে। হিজাবে মাথা ঢাকা সে দেশে আবশ্যিক। রাস্তায় বের হলে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয় মহিলাদের। ইরানের প্রাক্তন ধর্মগুরু আয়াতোল্লা খোমেইনি এই নিয়ম চালু করেন। বর্তমান ধর্মগুরু আলি খামেনেইও মহিলাদের জন্য জারি রেখেছেন পোশাকবিধি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কড়াকড়ি বেড়েছে পোশাকবিধিতে (Hijab Law)। পোশাক-ফতোয়ার বিরুদ্ধে নানা সময় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হয়েছে সে দেশে। তার পরেও শিথিল হয়নি পোশাক বিধি। বরং প্রশাসন সেই আন্দোলন দমন করেছে কড়া হাতে। শাস্তি হয়েছে কঠোরতর।

    আরও পড়ুন: “জোর করে জমির ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা”! আতঙ্কে নদিয়ার সীমান্ত এলাকার চাষিরা

    ইরানের নয়া পোশাকবিধিকে ‘ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠনের পশ্চিম এশিয়ার সহকারি অধিকর্তা ডায়ানা এল্টাহাওয়ে। তিনি বলেন, “নারী স্বাধীনতা ও নারীর অধিকার খর্ব করতে এই আইন চালু করা হয়েছে।” ইরানে হিজাব না পরার অপরাধে মাহসা আমিনিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতি পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভও দেখাতে দেখা যায় মহিলাদের। সেবার কড়া হাতে সেই আন্দোলন দমন (Iran) করেছিল ইরানের পুলিশ (Hijab Law)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Iran: ইরানে হিজাবের বিরুদ্ধে পোশাক খুলে অন্তর্বাস পরে বিক্ষোভ তরুণীর, শোরগোল মধ্যপ্রাচ্যে

    Iran: ইরানে হিজাবের বিরুদ্ধে পোশাক খুলে অন্তর্বাস পরে বিক্ষোভ তরুণীর, শোরগোল মধ্যপ্রাচ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসালামি রাষ্ট্রের কঠোর পোশাকবিধির (Against Hijab) প্রতিবাদে ইরানের (Iran) বিশ্ববিদ্যালয়ে এক তরুণী নিজের পোশাক খুলে অন্তর্বাস পরে বিক্ষোভ দেখান। ইরানের ইসলামি আজাদ ইউনিভার্সিটির মুখপাত্র আমির মাহজব সামজিক মাধ্যমে এক্স হ্যান্ডলে বলেছেন, “পুলিশ স্টেশনে দেখা গিয়েছে মহিলা গুরুতর মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন। তিনি একপ্রকার মানসিক ব্যাধির মধ্যে রয়েছেন।” তবে এই ভাবে কট্টর পোশাকবিধিকে উপেক্ষা করে সরাসরি আন্দোলনে নামায় মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। যদিও ওই দেশে হিজাবের বিরুদ্ধে আগেও মহিলা সমাজ আন্দোলনে নেমেছিলেন।

    তরুণীকে মানসিক বিকারগ্রস্থ (Iran)?

    সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট ইতিমধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শনিবার ইসলামি কট্টর পোশাকবিধিকে (Against Hijab) অমান্য করে ইরানের (Iran) ইসালামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণী বিক্ষোভ ঘোষণা করেছেন। তাঁকে নিজের জামা খুলে অন্তর্বাস পরে ক্যাম্পাসে হেঁটে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তরক্ষীরা তাঁকে আটক করে। সামজিক মাধ্যমে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই তরুণীকে মানসিক বিকারগ্রস্থ বলে বিবৃতি জারি করেছে।

    পোশাক বিধির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ

    অপর দিকে ইরানের (Iran) এক নেট নাগরিক লেই লা বলেছেন, “ওঁই তরুণীর এই জামাকাপড় খোলার পদক্ষেপটি একটি ইচ্ছাকৃত প্রতিবাদ। মেয়েদের যেরকম বাধ্যতামূলক ভাবে হিসাব পরার বিধি আরোপ করা হয়েছে, এটা সেই পোশাকবিধির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ। অধিকাংশ নারীর জন্য এই বিধি ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী। একজন নারীর অন্তর্বাস খোলার মধ্যে দিয়ে সামজের সকল নারীর মনের কথাকে ঐ তরুণী তুলে ধরেছেন।” উল্লেখ্য মহিলার পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে মহিলাকে গুরুতর মানসিক বিকারগ্রস্থ বলা হয়েছে। আপাতত তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব সম্ভবত একটি মানসিক হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সাইবার হামলার হুমকি দিচ্ছে ভারত! ফের এক নতুন অভিযোগ কানাডার, কী প্রতিক্রিয়া দিল্লির?

    ২০২২ সালের কুর্দি নামক এক মহিলার মৃত্য হয়েছিল

    উল্লেখ্য ইরানে (Iran) মেয়েদের পোশাকবিধিতে (Against Hijab) হিজাব পরার বাধ্যতামূলক নিয়মভঙ্গের কারণে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কুর্দি নামক এক মহিলার মৃত্য হয়। আশ্চর্যজনক ভাবে যখন মৃত্যু হয়েছিল, তখন তিনি ইরান পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। সাধারণ মানুষের দাবি, হিজাব পরার বিরোধিতা করায় তাঁকে খুন করা হয়েছিল। এরপর দেশব্যাপি নারী সমাজ গর্জে ওঠে, হিজাব, বোরখার মতো পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে ইরানের মহিলা সমাজ বিরাট আন্দোলনে নামে। ঐ দেশ এবং একাধিক ইসলামি রাষ্ট্রের মহিলারা ইরানের নারী মুক্তির আন্দোলনে সামিল হন। প্রতিবাদের মূল ভাষাই ছিল মাথার চুল কেটে কট্টর মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tajikistan Hijab Ban: হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে!

    Tajikistan Hijab Ban: হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম অধ্যুষিত দেশ তাজিকিস্তানে (Tajikistan Hijab Ban)! মধ্য এশিয়ার এই দেশটির মোট জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশই মুসলমান। দেশের সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিলটি পাশ হয় ১৯ জুন, বুধবার। কেবল তাই নয়, নয়া আইনে গুচ্ছের বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে। ইদের দিন রাস্তায় বেরিয়ে উদযাপনে মাততে পারবে না সে দেশের শিশুরা। ‘ইদগারদাক’ (তাজিকিস্তানে ইদ এই নামেই পরিচিত)-এর দিন তাজিকিস্তানের শিশুরা রাস্তায় ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে পয়সা চায়। তাতেও এবার ইতি টানা হল।

    ‘এলিয়েনদের পোশাক’ (Tajikistan Hijab Ban)

    সদ্য পাশ হওয়া এই আইনে হিজাবকে ‘এলিয়েনদের পোশাক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর ইদ উদযাপনকে বলা হয়েছে বিদেশি সংস্কৃতি। প্রসঙ্গত, ৮ জুন তাজিকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষে পাশ হয়েছিল এই বিলটি (Tajikistan Hijab Ban)। এবার পাশ হয়ে গেল উচ্চকক্ষেও। নয়া আইনে বলা হয়েছে, শিশুদের পড়াশোনা নিশ্চিত করতে হবে। নজর দিতে হবে তাদের সুরক্ষার দিকেও। আইন না মানলে গুণতে হবে মোটা টাকা জরিমানা। সে দেশের মুদ্রায় গচ্চা দিতে হতে পারে ৭,৯২০ থেকে ৩৯,৫০০ সোমোনি পর্যন্ত। সরকারি আধিকারিক এবং ধর্মীয় নেতা কিংবা কোনও প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ এই আইন ভাঙলে ভারতীয় টাকায় জরিমানা দিতে হবে ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।

    লম্বা দাড়ি রাখায়ও নিষেধাজ্ঞা!

    তাজিকিস্তানের সরকারি ধর্ম ইসলাম। দেশটির ৯৫ শতাংশই মুসলমান। তবে অন্য যে কোনও ধর্মীয় রীতি পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে সে দেশে। হিজাব ও লম্বা দাড়ি রাখায় নিষেধাজ্ঞা আগেও ছিল সে দেশে। তবে এ সংক্রান্ত কোনও আইন ছিল না। এবার আইন করে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় হিজাব। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজাবের আড়ালে দুষ্কর্ম করে চলে চরমপন্থীরা। তাই আইন করে বন্ধ করে দেওয়া হল ‘এলিয়েনদের এই পোশাক’। সরকারি বিবৃতিতে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট রহমন ইমোমালি বলেছেন, “পূর্বপুরুষের মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতি বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ।”

    আর পড়ুন: বাংলায় জাল নথি বানিয়ে হিন্দু ‘সেজে’ বাস অনুপ্রবেশকারীর, গ্রেফতার বাংলাদেশি

    প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল এশিয়ারই ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য কর্নাটকের সরকার। তা নিয়ে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি শুরু করে দেয় বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের আন্দোলন থেকে অক্সিজেন পেয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন ভারতীয় মুসলমানদের একটা বড় অংশ। এবার খোদ ইসলামিক একটি রাষ্ট্রেই নিষিদ্ধ হয়ে গেল হিজাব।

    মুখের মতো জবাব পেলেন তো আন্দোলনকারীরা (Tajikistan Hijab Ban)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hijab Ban Row: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    Hijab Ban Row: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের নাম কংগ্রেস। সরকারও তাদেরই। তবে মাত্র দু’ দিনের ব্যবধানে হিজাব (Hijab Ban Row) নিয়ে প্রকাশ্যে চলে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী বনাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতবিরোধ। দিন দুই আগেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “এখন হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর সোমবার তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, “এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস সরকার।”

    হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 

    বিজেপি জমানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় স্কুল-কলেজে হিজাব পরে আসার ওপর। বিষয়টি গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এমতাবস্থায় মে মাসে পালাবদল হয় কর্নাটকে। ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। অভিযোগ, তার পরেই শুরু হয়েছে মুসলমান তোষণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে মুসলমান ভোট পেতে দিন দুই আগে ইসোরে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া বলেন, “পোশাক বেছে নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে মেয়েদের।”

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য 

    তিনি বলেন, “কর্নাটক সরকার রাজ্যে হিজাবের (Hijab Ban Row) ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলছেন, এখন হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। হিজাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে রাজ্য সরকার।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন প্রকাশ্য-ভাষণের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিবৃতি জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস সরকার।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সরকার হিজাব নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনও আদেশ জারি করেনি। সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”

    হিজাব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কংগ্রেসের এই ভোলবদলে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করেছে ভারত রাষ্ট্র সমতি। দলের নেতা কেটি রামা রাও বলেন, “সিদ্দারামাইয়া সরকার এখনও রাজ্যে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি এবং তারা এখনও এ ব্যপারে ভাবনাচিন্তা করছে। মানুষ দেখছে, কংগ্রেসের আচরণ। তারা ক্ষমতায় আসার আগে কী বলেছিল এবং ক্ষমতায় আসার পরে কীভাবে বদলে গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে ঢোঁক গিলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত (হিজাব নিষিদ্ধের) প্রত্যাহারের কথা ভাবছি। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বাসবরাজ বোমাই বলেন, “গোটা রাজ্যে হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কেবল নির্দিষ্ট ড্রেস কোড রয়েছে এমন জায়গায় হিজাব অনুমোদিত নয়।” তাঁর প্রশ্ন, “হিজাবের (Hijab Ban Row) ওপর যখন কোনও নিষেধাজ্ঞাই নেই, তাহলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রশ্নই বা কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Burqa: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    Burqa: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজে রয়েছে ড্রেস কোড (Dress Code)। তা লঙ্ঘন করেই বোরখা (Burqa) পরে কলেজে এসেছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ছাত্রী। স্বাভাবিকভাবেই কলেজে ঢুকতে বাধা পান ওই পড়ুয়ারা। কলেজ গেটে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁদের বাধা দেন। উত্তর প্রদেশের মোরদাবাদের (Moradabad) হিন্দু কলেজের ঘটনা। বোরখা পরিহিত ওই ছাত্রীদের অভিযোগ, বোরখা পরে আসার কারণে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। কলেজের গেটেই বোরখা খুলতে বাধ্য করা হয় তাঁদের। এনিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমাজবাদী ছাত্রসভার কর্মীদের বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ড্রেস কোড পরে কলেজে আসার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অনড় থাকেন। ওই কলেজের অধ্যাপক এপি সিং বলেন, কলেজের পড়ুয়াদের জন্য ড্রেস কোড চালু হয়েছে। সেই ড্রেস কোড কেউ না মানলে তাকে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে সমাজবাদী ছাত্র সভার তরফে কলেজ কর্তৃপক্ষকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ড্রেস কোডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বোরখাকেও (Burqa)।

    হিজাব বিতর্ক…

    ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল কর্নাটকে। উদুপির একটি সরকারি মহিলা কলেজে হিজাব (Hijab) পরে এসেছিলেন কয়েকজন ছাত্রী। তাঁদেরও ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। যদিও সেক্ষেত্রেও হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের কাছে নতি স্বীকার করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পরে পরেই বিজয়পুরার একটি কলেজে গেরুয়া উত্তরীয় পরে আসেন কয়েকজন পড়ুয়া। একইভাবে তাঁদেরও কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পড়ুয়াদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কলেজে আসতে হবে ড্রেস কোড মেনেই। এর পরেই ওই রাজ্যের প্রি-ইউনিভার্সিটি এডুকেশন বোর্ড রীতিমতো সার্কুলার জারি করে জানিয়ে দেয়, নির্দিষ্ট ড্রেস কোড পরেই আসতে হবে স্কুল-কলেজে।

    আরও পড়ুুন: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় আচরণও করা যাবে না। বিতর্কের রেশ গড়ায় কর্নাটক হাইকোর্ট পর্যন্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হয় একাধিক পিটিশন। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়। হিজাব কখনও বাধ্যতামূলক নয়। কোরানে উল্লেখ থাকলেই যে সেই প্রথা জরুরি হবে এমন নয়। ইসলামিক দেশগুলিতেই হিজাব পরা নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মেয়েরা। ইরানের রাজপথে হিজাব না পরার পক্ষে সওয়াল করেছেন সেখানকার স্বাধীনচেতা মেয়েরা। সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের পক্ষে সওয়াল করে একথাই জানিয়েছিলেন আইনজীবী তুষার মেহতা। ভারতের সলিসিটর জেনারেল তথা কর্নাটক সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, দেশে হিজাব-বিতর্ক তৈরি করা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার চক্রান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • FIFA World Cup: সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ! বিশ্বকাপের মঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন না ইরানের ফুটবলাররা

    FIFA World Cup: সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ! বিশ্বকাপের মঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন না ইরানের ফুটবলাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিফা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করেছে ইরান। ম্যাচ শুরুর আগে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন ইরানের ফুটবলাররা। কেউই গাইলেন না জাতীয় সংগীত। ইরানে হিজাববিরোধী যে আন্দোলন চলছে তার প্রতি সমর্থন জানাতেই এই পদক্ষেপ।  ইরানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে একমাস ধরে প্রতিবাদ চলছে। যা গোটা ইরানকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তারই প্রতিবাদে এভাবে মৌন থাকা। 

    ইরানে সরকার বিরোধী আন্দোলন

    ইরানে সরকার-বিরোধী আন্দোলন চলছে। কিছু দিন আগেই গোটা দেশ উত্তপ্ত হয়েছে। বিক্ষোভকারী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলালেন না ইরানের ফুটবলাররা। ম্যাচের আগেই ইরানের অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবকশ জানিয়েছিলেন, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে কিনা সেটা দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ইরানের বেশির ভাগ ফুটবলারই জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ার পক্ষে মত দেন। ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, স্টেডিয়ামে হাজির অনেক সমর্থকও জাতীয় সঙ্গীতের সময় চুপ ছিলেন। দু’মাস আগে প্রতিবাদী মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে ফুঁসছে ইরান। রোজই বিক্ষোভ হচ্ছে গোটা দেশে। এদিন খেলা শুরুর আগে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে যখন ইরানের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় তখন তাতে ইরানের ১১ ফুটবলারের কেউই গলা মেলাননি। তাঁরা নীরব ছিলেন। এটি দেশে আন্দোলনকারীদের প্রতি নীরব সমর্থন এবং শাসকের প্রতি প্রতিবাদ।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব-ফুটবলের যুদ্ধ কাতার ছাড়িয়ে কলকাতাতে! শহরের রাস্তায় প্রিয় তারকাদের ছবি

    কী ঘটেছিল

    ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, পুলিশি হেফাজতে কুর্দিশ তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে ইরানে। আমিনির দোষ ছিল, তিনি ঠিকমতো হিজাব পরেননি। যা ইরানে অপরাধ। এর বিরুদ্ধে সরব হয় ইরানের সাধারণ মানুষ। দেশের মহিলারা প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তায় নামেন। তাঁদের দাবি, নারীকে স্বাধীন ভাবে বাঁচার এবং পোশাক পরার অধিকার দিতে হবে। এ নিয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ চলবে না। মাহশার মৃত্যুতে যে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল, সেই প্রতিবাদই এখন দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের মৃত্যু পর্যন্ত চাইছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখনও পর্যন্ত শতাধিক বিক্ষোভকারী প্রাণ হারালেও প্রতিবাদের আগুন নেভার নাম নিচ্ছে না। দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদে নেমেছে তরুণ প্রজন্ম। শুধু দেশ নয়, সমাজমাধ্যমে বাধাহীন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আঁচ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cyber attack on Iran state tv : হিজাব বিতর্কের জের,সাইবার হামলা ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে

    Cyber attack on Iran state tv : হিজাব বিতর্কের জের,সাইবার হামলা ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়াতুল্লাহ খামেইনির নেতৃত্বাধীন ইরান সরকার ১২ জুলাই দিনটিকে জাতীয় হিজাব ও পবিত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সে দেশের মহিলারা। সরকার হিজাব বিরোধী আন্দোলনকারীদের স্বর বন্ধ করার জন্য নির্মম ভাবে হত্যালীলা চালাচ্ছে সারাদেশ জুড়ে।

    সম্প্রতি হিজাব নিয়ে ‘নীতি পুলিশির’ জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় বছর ২২-র মাহশা আমিনীর। তাঁর মৃত্যুর পরেই ইরান জুড়ে শুরু হয় হিজাব বিরোধী আন্দোলন। রাজধানী তেহেরানের রাস্তায় হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে জড়ো হন প্রতিবাদীরা। রবিবার সকালে এই আন্দোলনের আঁচ দেখা গেল ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে। ইরানের এই সরকারি চ্যানেলটিতে লাইভ সম্প্রচার (Live Broadcast) চলাকালীন হঠাৎ সাইবার হানাকারীরা কয়েক সেকেন্ডের জন্য চ্যানেলটিকে হ্যাক করে ফেলে। তারা একটি ছবি প্রদর্শন করে, সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে দেশটির সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেইনির (ayatollah khaminei) ছবির নীচে হিজাব বিরোধী আন্দোলনে নিহত মাহসা আমিনী (Mahsa Amini) হাদিস নাজাফি (Hadis Najafi) সহ আরও দুটি মেয়ের ছবি রয়েছে। আয়াতুল্লাহ খামেইনিকে উল্লেখ করে ছবিতে লেখা আছে, তরুণ- তরুণীদের (Youth) রক্ত আপনার হাতে লেগে আছে। হ্যাকিংয়ের কারণে ১২ সেকেন্ড আইআরআইবির পর্দা হ্যাকারদের দখলে থাকার পর ফিরে আসেন সংবাদ উপস্থাপক।এদালাত-ই আলী (Edalat-e Ali ) নামে একদল হ্যাকার গ্রুপ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

    [tw]


    [/tw] 

    ইরান সরকারের এই বর্বরচিত অত্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব মহল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সরকারি কর্মকর্তাদের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। এমনিতেই তেল রপ্তানি নিয়ে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই আরোপ ছিল। আমেরিকার ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল অফিস ইরানের মানুষদের মানবাধিকার হনন করার অপরাধে সাতজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের উপর আর্থিক জরিমানা করেছে।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মৌলিক অধিকারের জন্য বিক্ষোভরত ইরানের সাহসী নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে তারা।

    এছাড়াও কানাডা সরকারও ২৫ ব্যক্তি সহ নয়টি প্রতিষ্ঠান, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এবং দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের উপর  নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। ইরানের প্রেস টিভি নামক ইংরেজী চ্যানেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে কানাডা সরকার।

    প্রসঙ্গত, নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস গত ৭ অক্টোবর জানায়, বিক্ষোভে অন্তত ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেক মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই কর্নাটকের (Karnataka) মাঙ্গালুরুর উপ্পিনাংগাদির গভর্নমেন্ট ফার্স্ট গ্রেড কলেজে পোশাকবিধি না মেনে হিজাব (Hijab Row) পরে ক্লাস করায় ৬ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ফের একই অপরাধে চলতি সপ্তাহেই ২৪ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড (Suspend) করল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে ক্লাসে! কর্নাটকে সাসপেন্ড ছয় ছাত্রী 

    পুত্তুরের বিধায়ক সঞ্জীবা মাতান্দুর (Sanjeeva Matandoor) এবিষয়ে বলেন, “ছাত্রীরা কর্নাটক হাইকোর্টের কলেজ পোশাকবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নিয়ম ভেঙে হিজাব পরে ক্লাসে আসবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের।”    

    প্রাক্তন মন্ত্রী ইউটি খাদের (UT Khader) বলেন, “যারা হিজাবের পক্ষে সওয়াল করছেন তারা ভারতে যে স্বাধীনতা পাচ্ছেন তাতে খুশি থাকুন। যারা সত্যিই পড়াশোনা করতে চান তাদের বিরক্ত করবেন না।” মাতান্দুর আরও বলেন, “কলেজ সব ধর্মের মানুষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে কোনও দায়িত্বহীন ব্যবহার মেনে নেওয়া হবে না।”

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    গত মার্চ মাসে কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, “হিজাব ইসলামি ধর্মীয় অনুশাসনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়। তাই কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পোশাকবিধি থাকলে তা মানতে হবে পড়ুয়াদের।” এরপরেই কর্নাটকের কয়েক জন পড়ুয়া হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাটির জরুরিভিত্তিক শুনানির আবেদন জানায় তারা। তবে শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।  

    এদিনের ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বিক্ষোভ। নেটমাধ্যমে হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে বিজেপি নেতা জশপাল সুবর্ণ এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শ্রীরাম সেনার প্রধান প্রমোদ মুতালিকের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে!

    এই হুমকির জেরে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি জশপাল এবং প্রমোদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। এবিষয়ে জশপাল বলেন, ‘‘দেশবিরোধী শক্তি আবার কর্নাটকে গোলমাল বাধাতে চাইছে। আমরা তাতে ভীত নই।’’

LinkedIn
Share