Tag: hili

hili

  • Balurghat: থমকে ছিল এক যুগ! সুকান্তর উদ্যোগে শুরু বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ

    Balurghat: থমকে ছিল এক যুগ! সুকান্তর উদ্যোগে শুরু বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জট কাটল। এই প্রকল্পের জন্য ১২ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল রেলের পিলার। বালুরঘাটের (Balurghat) সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে থমকে থাকা প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে। সেই পিলারের কাজে এবার হাত লাগাচ্ছে রেল। তার অধিকৃত জমি খালি করা হচ্ছে। বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকায় রেলওয়ে ব্রিজের আগেই জমি খালি করা হচ্ছে। জেসিবি নামিয়ে ব্রিজের ১০০ মিটারের মধ্যে জায়গা খালি করা হচ্ছে। বেশকিছু বাড়ি ঘরও ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

    ৩০ শতাংশ জমি তুলে দেওয়া হয়েছে (Balurghat)

    রেল (Balurghat) সূত্রে খবর, ১২ বছর আগে ওই এলাকায় ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছিল। পিলারের কাজ হওয়ার পর আর কোনও কাজই হয়নি। এবার নতুন করে কাজ শুরু হওয়ায় এলাকায় খুশির হাওয়া। প্রসঙ্গত, সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) একাধিক বার রেল দফতরের কাছে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জন্য দরবার করেন। রেল দফতর থেকে ইতিমধ্যেই রেলের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে। ওই টাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফে ৩০ শতাংশ জমি ইতিমধ্যেই রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, রেলের জন্য আরও জমি দেওয়া হোক। তার মধ্যে খিদিরপুর মৌজায় বেশি জমি রয়েছে। বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকায় বড় রেলের ব্রিজ তৈরি হবে। দ্রুত আত্রেয়ী নদীর ওপরে ওই রেলের কাজ শুরু হবে। ওই নদীপারের বেশকিছু বাড়ি ঘর পড়েছে। তারা রেলের হাতে জমি হস্তান্তর করে টাকাও পেয়ে গিয়েছে। সেই বাড়িঘর তারা বর্তমানে ছেড়েও দিয়েছেন। ওই বাড়িঘরগুলি এবার ভাঙার কাজ শুরু করল রেল দফতর। এদিন রেলের উচ্চপর্যায়ের ইঞ্জিনিয়াররা ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। এই বিষয়ে ঠিকাদার সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার দীপ্তমান তালুকদার বলেন, ‘‘শনিবার থেকে বালুরঘাট-হিলি রেলের কাজ শুরু হল। পাঁচ ছয় মাসের মধ্যে রেল ব্রিজের কাজটা শেষ হবে।’’ যদিও জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘‘অনেকটা জমি অধিগ্রহণ করে রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসে আরও অনেকটা কাজ হবে।’’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি বাপি সরকার বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের ধরে বালুরঘাটবাসীর (Balurghat) প্রত্যাশা ছিল হিলি-বালুরঘাট রেল লাইন নিয়ে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে বালুরঘাট রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ শুরু হল। আমাদের বিশ্বাস ছিল সুকান্ত মজুমদার দ্বিতীয় বার সাংসদ হয়ে বালুরঘাট-হিলি রেল সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। আর সেই কাজ শুরু হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Protest: উত্তাল বাংলাদেশ! উৎকন্ঠা নিয়ে ভারতে ফিরলেন ৩২০ জন পড়ুয়া, বন্ধ হল হিলি সীমান্ত

    Bangladesh Protest: উত্তাল বাংলাদেশ! উৎকন্ঠা নিয়ে ভারতে ফিরলেন ৩২০ জন পড়ুয়া, বন্ধ হল হিলি সীমান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলন ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। সেখানে মৃত্যুমিছিল চলছেই। এই আবহে চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরলেন পড়ুয়ারা। এরমধ্যে নেপালের পড়ুয়াও রয়েছেন। প্রত্যেকে বাংলাদেশে মেডিক্যাল পড়তে গিয়েছিলেন। রবিবার হিলি সীমান্ত দিয়ে তাঁরা ভারতে ফিরলেন। বাংলাদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের হিলি সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বেশকিছু ভারতীয় হিলি চেকপোস্ট (Hili Border) দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন।

    ৩২০ জন পড়ুয়া বাংলাদেশ দিয়ে ভারতে ফিরলেন (Bangladesh Protest)

    ভারতে চিকিৎসা বা অন্যান্য কাজে আসা বাংলাদেশিরা (Bangladesh Protest) হিলি চেকপোষ্টের মাধ্যমে দেশে ফিরে যান। অপরদিকে, বাংলাদেশে কার্ফু থাকার কারণে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে। শনিবার যারা ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানি নিয়ে গিয়েছিলেন, এদিন সকালে ফাঁকা লরি নিয়ে ভারতে ফিরে আসেন। প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিকে সামাল দিতে নামানো হয় সেনা-বাহিনী। শুক্রবার রাত থেকে কার্ফু জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে মেডিক্যাল পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীরা এবং ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। সেই দৃশ্য এদিন দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি চেকপোষ্টে। পাশাপাশি নেপাল থেকে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের ভারতে ফিরতে দেখা যায়। এদিন ৩২০ জন পড়ুয়া হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরলেন।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    দেশে ফিরে কী বললেন পড়ুয়ারা?

    বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে ভারতে ফেরা ছাত্ররা বলেন, আমরা বাংলাদেশের বুগুড়াতে পড়াশুনা করতে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও তার আঁচ আমরা পাইনি। কিন্তু, ভয়ে ভয়ে ছিলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দিল। কলেজ থেকে বলেছে বাংলাদেশে এখন থাকা সেফ হবে না। তাই আমরা ফিরে এলাম। আমাদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মুম্বই, কাশ্মীরের পড়ুয়াও রয়েছে। আমরা সকলেই মেডিক্যাল পড়তে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম।

    আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্তে

    হিলি (Hili Border) এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুব্রত সাহা বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ওপার বাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাই, রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে। এরফলে রফতানি করার জন্য কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিদাতাদের ‘কাটমানি’ চেয়ে ফোন! শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিদাতাদের ‘কাটমানি’ চেয়ে ফোন! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট – হিলি রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই বহু জমিদাতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। তবে এখনও অনেকের জমির কাগজ ও নানা নথি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য টাকা দেরিতে ঢুকছে। তাই প্রতিদিনই হিলি ও বালুরঘাটে জমি দাতারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছে। এর সুযোগেই বেশকিছু দালাল চক্রের সক্রিয় হয়ে এমন কাজ করছে বলে এক অডিও কল রেকর্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে। যদিও বা ওই অডিও যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    অডিও কলে কী রয়েছে? (Dakshin Dinajpur)

    ওই অডিও কলে এক ব্যক্তি সরকারি অফিসের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে এক জমিদাতাকে ফোন করেছেন। ওই জমিদাতার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর ৫৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। যা নিয়ে দর কষাকষি চলছে। ওই জমিদাতা ব্যক্তির অভিযোগ, ঘুষ দিলে টাকা ঢুকবে। শুধু একজনই নয়, এমন একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এনিয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।  যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই ফোন প্রশাসনের কোনও কর্মী নয়। এর পিছনে দালালচক্র কাজ করছে বলেই মত প্রশাসনের একাংশের। তবে এমন গুরুতর অভিযোগ ঘিরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরেই দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগকারী জমিদাতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।এবিষয়ে অভিযোগকারী ব্যক্তি বলেন, আমার সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়েছিল। জমি দেওয়ার টাকা দ্রুত আমার অ্যাকাউন্টে দেবে বলে সেই ব্যক্তি জানিয়েছিল। আমাকে ফোন করে জানায় যে আজ কালের মধ্যে টাকা ঢুকে যাবে। তাই ওই ব্যক্তিকে যেন ৫৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমি মনে করি এটা ঘুষের টাকা। তাই প্রমাণ রাখার জন্য  ওই কল রেকর্ড করেছি। আর কারও কাছে  এই ধরনের টাকা যাতে না চাওয়া হয়, তাই আমি অভিযোগ দায়ের করব।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (এলআর) হারিশ রসিদ বলেন, বিষয়টি গুরুতর। তবে এখনও এনিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। আমরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এমনটা ঘটে থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব সুকান্ত

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেখানে টাকার গল্প থাকে সেখানেই এক প্রকার দালাল চক্র শুরু হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেই রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের  টাকা নিয়েও দালালি শুরু হয়েছে। প্রশাসন সঠিকভাবে নজর দিচ্ছে না। তাই তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই ধরনের দালাল চক্র বাড়ছে। আমরা এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, এই ধরনের কাজ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুরোপুরি প্রশাসনের ব্যাপার, প্রশাসন নিশ্চয়ই সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে সব কিছুর সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ানো বিজেপির কাজ। আসলে বিজেপির মদতেই এই ধরনের দালাল চক্র বাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, খুশি জেলাবাসী

    Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, খুশি জেলাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের বাজেটে বালুরঘাট (Balurghat)-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করল রেলমন্ত্রক। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ মূল্য বরাদ্দের পরেই চলতি বাজেট  বরাদ্দ দিয়ে লাইন পাতার কাজ করবে রেল। ওই অর্থ বরাদ্দের পরে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে বরাত প্রক্রিয়া শুরু করতে তৎপর হয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ সংস্থা। তবে ওই প্রকল্পে ফের ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হতেই উচ্ছ্বসিত সব মহল। বিশেষ করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারা খুশি।

    এই প্রকল্পে মোট কত টাকা বরাদ্দ করল রেলমন্ত্রক (Balurghat)

    ২০১০ সাল বালুরঘাট (Balurghat)-হিলি রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে ওই প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছিল। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে জমিজটে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ থমকে যায়। মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন, হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ ও সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগী হতেই ২০২২ সাল থেকে পুনরায় ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬৩৩ কোটি লক্ষমাত্রা ধার্য করে রেল। ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের বাজেটে ওই প্রকল্পে ২০ কোটি ১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষের বাজেটে ওই প্রকল্পে পুনরায় ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যদিও ওই অর্থ বর্ষেই ওই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৩১০ কোটি খরচ করে রেল। তারপরেই চলতি বছরের বাজেটে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৫২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।

    রাজ্য সরকারের সহযোগিতা দাবি

    এই প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ও বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী বলেন, ‘এই বাজেটে বালুরঘাট-হিলি রেলের জন্য ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। ২০১০ সালে এই প্রকল্পের খরচ ছিল ২৩৮ কোটি টাকা। কিন্তু এখন তা দ্বিগুণ হয়েছে। যুগের সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। আর্থসামাজিক কারণে দ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করব।

    এই প্রকল্পে আরও টাকা দিতে প্রস্তুত রেল

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিকাংশ টাকাই বরাদ্দ হয়ে গেল। রাজ্য সরকারকে দ্রুত জমি দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করছি। ওই প্রকল্পে টাকার কোনও খামতি নেই। আমি নিজে রেলমন্ত্রক থেকে টাকা আনার দ্বায়িত্ব নিয়েছি। আরও টাকা লাগলে রেল দিতে প্রস্তুত রয়েছে।‘

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা তৃণমূলের সহসভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, ‘এই বছরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে কথাটি সঠিক নয়। ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষের জন্য ধার্য করা হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার ও অশোক কুমার লাহিড়ী রাজনৈতিক কারণে কথাবার্তা বলছে। সামনে লোকসভা ভোটকে নজরে রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব করা হচ্ছে। প্রচুর মানুষ টাকা পেয়েছেন। নথি যাচাইয়ের কাজ চলছে। উন্নয়নের কাজে রাজনৈতিক অভিপ্রায় অনভিপ্রেত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: কেন্দ্র মিটিয়ে দিলেও হিলি রেল প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে বঞ্চিত জমিদাতারা

    Dakshin Dinajpur: কেন্দ্র মিটিয়ে দিলেও হিলি রেল প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে বঞ্চিত জমিদাতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেল জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকা দিয়ে দিয়েছে। জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনও জমিদাতাদের টাকা মেলেনি। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা মিটিয়ে দিলেও রাজ্য তা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে, জমির টাকা পেতে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট শহরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখালেন জমিদাতারা। 

    জমিদাতারা কী বললেন? (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনী, ধলপাড়া, পাঞ্জুল সহ একাধিক গ্রামের শতাধিক জমিদাতারা জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনকে জমি দেওয়ার জন্য সমস্ত নথি জমা করেছেন। কিন্তু এখনও জমির টাকা মেলেনি। জমিদাতাদের অভিযোগ, টাকা না পাওয়ায় কারও মেয়ের বিয়ে আটকে, কেউ অন্যত্র জমি কিনতে পারছেন না। ফলে, তাঁরা আর্থিক সংকটের মুখে পড়ছেন। এবিষয়ে হিলির ধলপাড়া এলাকার একজন জমিদাতা সুজন ঘোষ বলেন, রেলকে জমি দেওয়ার জন্য আমাদের কারও বসত জমি, কেউ আবাদি জমি দিয়েছে। এখন আমাদের টাকার প্রয়োজন। একবছর হতে চলল তবুও টাকা পাচ্ছি না। অনেকের বিবাহ যোগ্য কন্যা রয়েছে, টাকার অভাবে বিয়ে দিতে পারছি না। আবার কেউ অন্যত্র জমি কিনবে, তবুও পারছে না। ফলে আমরা আর্থিক সমস্যায় ভুগছি। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের যাতে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য প্রশাসনকে চিঠি করেছি।

    জেলাশাসকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। যাদের কাগজ ঠিকঠাক রয়েছে, টাকাও ঢুকে যাচ্ছে। তবে একই প্লটে অনেকেই রয়েছে। সেই বিষয়গুলি ফিল্ডে গিয়ে ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভালো করে সবার কাগজ দেখেই টাকাটা দেওয়া হবে। কারণ একটা ভুল হলে পুরো প্রকল্পের ক্ষতি হতে পারে। তাই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। কারও দ্রুত টাকার প্রয়োজন হলেও তা দিয়ে দেওয়া হবে।

    কেন্দ্রীয় সরকার টাকা মিটিয়ে দিলেও রাজ্য টাকা দিচ্ছে না

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরুপ চৌধুরী বলেন, রেলের তরফে প্রশাসনকে ২৯৮ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কেন এই টাকা জমিদাতাদের অ্যাকাউন্টে এখনও ঢোকেনি, সেই বিষয় প্রশাসনই বলতে পারবে। ইচ্ছে করেই দেরি করছে প্রশাসন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

     তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, টাকা যখন ঢুকতে শুরু করেছে, তাহলে সবাই টাকা পাবে। এনিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর কিছু নেই। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই মনে হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত  ২৯.৭ কিলোমিটার পথ এবং ওই পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেলের তরফে ২৯৮ কোটি টাকা প্রশাসনকে দিয়েছে রেল মন্ত্রক। এছাড়াও রেলমন্ত্রী ওই প্রকল্পের জন্য ৬৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছে। এদিকে জেলাপ্রশাসনের তরফে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যেই জেলাপ্রশাসনের তরফে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা জমিদাতাদের দিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, একই প্লটে অনেকের জমি রয়েছে। সেই প্লটের কারও না কারও কাগজের সমস্যা রয়েছে। ফলে, বাকিদেরও টাকা পেতে দেরি হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: নিজের ঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী বিএসএফ আধিকারিক, চাঞ্চল্য

    BSF: নিজের ঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী বিএসএফ আধিকারিক, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী  হলেন এক বিএসএফ (BSF) আধিকারিক। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তের চকগোপাল বিওপিতে ঘটেছে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিএসএফের ওই ক্যাম্পে। মৃত বিএসএফ আধিকারিকের নাম ওমপ্রকাশ মীনা (৪৮)। তাঁর বাড়ি রাজস্থানে। বিএসএফের ১৩৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। পারিবারিক অশান্তি ছিল না কি না তা জানতে তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে। সম্পর্কের কোনও টানাপোড়েন রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, কাজের জায়গায় কোনও সমস্যা ছিল না কি না সেই বিষয়টিও নজরে রাখছে পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত ওই বিএসএফ আধিকারিক কেন আত্মহত্যা করলেন, সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ সূত্রে খবর, বর্তমানে বিএসএফের (BSF) আধিকারিক চকগোপাল বিওপিতে ছিলেন। এমনিতেই তিনি নিয়ম করে তিনি ডিউটি করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হন ওই বিএসএফ আধিকারিক। নিজের রিভলবার দিয়ে পর পর চার রাউন্ড গুলি চালান ওই বিএসএফ জওয়ান। সব কটি গুলি নিজের বুক লক্ষ্য করে চালিয়েছিলেন ওই জওয়ান। গুলির আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর সহকর্মীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে বালুরঘাট থানার আধিকারিক, বিএসএফের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। কী কারণে ওই বিএসএফ আধিকারিক আত্মঘাতী হল তা নিয়ে ধন্দে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। রবিবার মৃত ওই বিএসএফ জওয়ানের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়।  তারপর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

    সহকর্মীরা কী বললেন?

    সহকর্মীদের বক্তব্য, আচমকা ঘরের ভিতর থেকে পর পর গুলির আওয়াজ শুনে আমরা চমকে উঠি। প্রথমে বাইরের কেউ হামলা করল কি না  ভেবে আমরা ছুটে যাই। ঘরের ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখি। এভাবে নিজে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হবেন তা আমি ভাবতে পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রেলপথ সম্প্রসারণে উচ্ছেদের আশঙ্কা! অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিজেপি

    BJP: রেলপথ সম্প্রসারণে উচ্ছেদের আশঙ্কা! অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলপথ সম্প্রসারণে গৃহহীন হ‌ওয়ার আশঙ্কায় থাকা অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিজেপি (BJP)। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব জেলা শাসকের দফতরে অসহায় পরিবারগুলির দাবিদাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে উচ্ছেদ হওয়া অসহায় গ্রামবাসীদের জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়।

    কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট-হিলি রেললাইন সম্প্রসারণে গৃহহীন হতে চলেছে ডুম‌ইর এলাকার একটি কলোনির প্রায় ৫০টি পরিবার। বালুরঘাট ব্লকের দৌল্লা এলাকার অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুমইর গ্রামের চক আমোদ কলোনির প্রায় ৫০টি বাড়ি এবং দৌল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তাবিত রেললাইনের মধ্যে পড়েছে। ইতিমধ্যেই চিহ্নিতকরণের খুঁটি বসানো হয়েছে। রেলের জমির জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, “আমাদের গ্রামের উপর দিয়ে রেল লাইনের খুঁটি বসানো হয়েছে। রেলের জমির জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের কোনও জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায়, আমরা জমির দাম পাব না। বাড়ি থেকে উৎখাত করে দিলে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেব? আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। উন্নয়নের প্রয়োজনে জমি ছাড়তে রাজি আছি। তবে, আমাদের মতো অসহায় পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে খুব ভাল হয়। তাই আমরা পুনর্বাসনের দাবিতে জেলা শাসকের কাছে দরবার করেছি।”

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব? 

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “ডুমইর গ্রামের চক আমোদ এলাকায় পঞ্চাশটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে। কিন্তু তাদের নিজের জমি বলে কোনও কাগজপত্র নেই। আর সেই বাড়িগুলোর উপর বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের জমি পড়েছে। তাই বাড়ির লোকেরা দুশ্চিন্তায় আছেন। যদি তাঁদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হতে হয়, তাহলে তাঁরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না। কারণ, তাঁদের জমির কোনও কাগজ নেই। তাই তাঁদের পুনর্বাসনের দাবিতে জেলাশাসকের কাছে এসেছিলাম। আমরা তাঁদের জমির পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train: ডিজেল ইঞ্জিন নয়, ইলেকট্রিক ট্রেনে এবার চড়বেন বালুরঘাটবাসী, কবে থেকে জানেন?

    Train: ডিজেল ইঞ্জিন নয়, ইলেকট্রিক ট্রেনে এবার চড়বেন বালুরঘাটবাসী, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। এবার থেকে ইলেকট্রিক ট্রেনে (Train) চড়বে বালুরঘাটবাসী। বালুরঘাট স্টেশন থেকে ডিজেল ইঞ্জিনের ট্রেন (Train) আর ছুটবে না। ইতিমধ্যেই বৈদ্যুতিকরণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বালুরঘাট সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্টেশনে উন্নয়নমূলক কাজের অবস্থা পরিদর্শন করেন উত্তর পূর্ব রেলের কাঠিহার ডিভিশনের ডিআরএম শুভেন্দু কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, এই মাসেই বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু, সেই কাজ এখনও হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি, তাড়াতাড়ি সেই কাজ শেষ করার। আশা করছি, আগামী এপ্রিলের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এখন দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। এপ্রিল মাস থেকেই ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে ইলেকট্রিক ট্রেন (Train)  চলবে। এদিকে মার্চের মধ্যেই বালুরঘাট স্টেশনে পিট লাইনের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ধীর গতিতে কাজ হওয়ায় ডিআরএম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।

     হিলি- বালুরঘাট রেল প্রকল্পের কী অবস্থা? Train

    জমি অধিগ্রহণে দেরি হওয়ার জন্য এই রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। জেলার পূর্ত দপ্তরের ঢিলেমিকেই দায়ী করেছে রেল মন্ত্রক। এই বিষয়ে ডিআরএম বলেন, জমি অধিগ্রহণ এখনও শেষ হয়নি। আমরা জমি অধিগ্রহণ করার জন্য যে টাকা প্রয়োজন তা দিয়ে দিয়েছি। জমি অধিগ্রহণ হলেই কাজ শুরু হবে। হিলি-বালুরঘাট রেল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার আনন্দ প্রকাশ বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। তবে, জমির মধ্যে থাকা ঘর, বাড়ির ভ্যালুয়েশন এখনও জেলার পূর্ত দপ্তর করেনি। ওই কাজে তারা দেরি করছে। এনিয়ে আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। মে মাসের মধ্যেই ওই জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ সঠিকভাবেই চলছে। দেরি হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। অতি দ্রুত সেই কাজ শেষ করার  বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

    বালুরঘাট থেকে দূরপাল্লার ট্রেন চালুর জন্য স্টেশন চত্বরে পিট ও সিক লাইনের কাজ চলছে। কিন্তু, অভিযোগ ওই কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে হচ্ছে। যা নিয়ে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সামনেই বর্ষা, তাই ওই কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে না বলে আশঙ্কা আরও বাড়ছে। যদিও রেলের আধিকারিকরা দ্রুত কাজ শেষ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। সময়মতো সেই কাজ হয় কি না সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বালুরঘাটবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share