Tag: Himanta Biswa Sarma

Himanta Biswa Sarma

  • Himanta Biswa Sarma: “জুবিন গর্গের মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি খুন”, অসম বিধানসভায় বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “জুবিন গর্গের মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি খুন”, অসম বিধানসভায় বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি খুন।” মঙ্গলবার বিধানসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সমুদ্রে ইয়ট ভ্রমণের সময় সাঁতার কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় বছর বাহান্নর গায়ক-সুরকার জুবিনের। প্রথমে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে বলা হয়েছিল রহস্যজনক দুর্ঘটনা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে আরও গুরুতর তথ্য।

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ (Himanta Biswa Sarma)

    বিরোধী দলের আনা স্থগিতাদেশ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অসম পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে এটি ছিল একেবারে সোজাসাপ্টা খুন।” তাঁর দাবি, একজন ব্যক্তি সরাসরি জুবিন গর্গকে হত্যা করেছে এবং আরও কয়েকজন এ কাজে তাকে সহায়তা করেছে। তাঁর মতে, এখন চার থেকে পাঁচজনকে এই হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে।

    সিট গড়ল রাজ্য সরকার

    উত্তর-পূর্ব ভারত উৎসবে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন গর্গ । তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অসমজুড়ে ৬০টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়। দাবি জানানো হয়, পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। এর পাশাপাশি, কী ঘটেছিল তা যাচাই করতে গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র শইকিয়ার নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয় (Himanta Biswa Sarma)। সিট তদন্ত শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যেই জুবিনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন, এনইআইএফ সংগঠক শ্যামকানু মহন্ত, গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, তাঁর দুই ব্যান্ড সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী ও অমিত প্রভ মহন্ত, এবং তাঁর এক আত্মীয় সন্দীপন গর্গ, যিনি অসম পুলিশের একজন প্রবীণ আধিকারিক (Zubeen Garg)। গ্রেফতার করা হয় তাঁর দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী – নন্দেশ্বর বরা এবং প্রবীন বৈশ্যকেও। কারণ তদন্তকারীরা তাদের ব্যাঙ্কের হিসেব থেকে ১.১ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিট খুব শীঘ্রই একটি চার্জশিট জমা দেবে। গর্গকে হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য রাজ্যবাসীকে হতবাক করবে (Himanta Biswa Sarma)।”

  • Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ৯ নভেম্বর। এদিন থেকেই ফের শুরু হবে অসমের (Assam) বনভূমিতে বাংলাদেশি মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান (Eviction Drives)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্বয়ং। তিনি বলেন, “কিছু মানুষ জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যুর আবেগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অসমে নেপালের মতো অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। তাদের ধারণা ছিল, এভাবে সরকারকে চাপের মুখে ফেলে উচ্ছেদ অভিযান থামানো যাবে। কিন্তু দুঃখিত, আমি আপনাদের সেই আশা পূরণ করতে পারিনি। ৯ নভেম্বর থেকে গোয়ালপাড়া জেলার দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ফের শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান।”

    দখলদার উচ্ছেদ অভিযান (Assam)

    জানা গিয়েছে, বনবিভাগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ১ হাজার ১৪৩ বিঘে বনভূমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে। ৯ নভেম্বরের আগেই বনভূমি খালি করার নির্দেশ দিয়ে ৩০০-রও বেশি বাংলাদেশি মুসলিম পরিবারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর বহু অবৈধ দখলদার বনভূমি ছেড়ে চলে গিয়েছে। দোহিকোটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি হাতির বাসস্থান হলেও, অবৈধ দখলদারির জেরে ব্যাঘাত ঘটছে হাতির জীবনযাত্রার। তাই গোয়ালপাড়া জেলায় মানুষ–হাতি সংঘাত বাড়ছে দ্রুত।

    অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা

    প্রসঙ্গত, গায়ক জুবিন গর্গের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর অসমে একদল মানুষ অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। গায়কের অকাল প্রয়াণের বিচার দাবি করার নামে ওই গোষ্ঠী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। ১৫ অক্টোবর বকসা জেলা জেলের সামনে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের ওপর ব্যাপক হামলা হয় (Assam)। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় যানবাহনে (Eviction Drives)। ওই ঘটনায় ২৫ জনেরও বেশি মানুষ জখম হন। পরে জানা যায়, এই হিংসার উসকানি দেওয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরু থেকে পরিচালিত একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। ঘটনার পর পুলিশ ১১ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৯ জনই মুসলমান, বাকিরাও স্থানীয় নয় (Assam)।

  • Himanta Biswa Sarma: “রাহুল গান্ধী পাগল হ্যায়”, বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: “রাহুল গান্ধী পাগল হ্যায়”, বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী পাগল হ্যায়” অর্থাৎ রাহুল গান্ধী পাগল। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে পাগল বলে ঘোষণা করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ইতিমধ্যেই অসম মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। উল্লেখ্য, রাহুল (Rahul Gandhi) দেশে এবং দেশের বাইরে একাধিকবার ভারত সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে সব মহলেই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। এক একবার তো মামলা গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত।

    সেনা বাহিনীতে সংরক্ষণ (Himanta Biswa Sarma)!

    বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) রাহুলের করা মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। দেশের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে রাহুল পরিণত নন। তাঁর বাস্তব জ্ঞানের অভাব বলে মন্তব্য করেন হিমন্ত। সেনাবাহিনীতে শক্তিশালী এবং বিচক্ষণ ব্যক্তিদের কাজ করা উচিত। রাহুল কথিত শতাংশের হারে ব্যক্তি নিয়োগের সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

    হিমন্ত সাংবাদিকদের বলেন, “রাহুল (Rahul Gandhi) পাগল। তাঁর সম্পর্কে কথা বলাই উচিত নয়। তিনি মুখে যা আসে তা-ই বলেন। এখন যদি ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা হয় তাহলে কি সেনাবাহিনীতে ১০-২০ শতাংশ ডিভিশন করবেন। সেনাবাহিনীতে কে থাকা উচিত? যে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী যে সেই তো পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই করতে পারেবেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী আলাদা কথা বলছেন। সেনাবাহিনীতে যদি ১০-২০ শতাংশ বিভাজন হয় তাহলে তো সেনাবাহিনীকে দুর্বলই করা হবে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে রাহুলকে পাগল ঘোষণা করা উচিত।”

    সেনাবাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারবিভাগকে টার্গেট

    ২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তাঁর দাবি ভারতীয় সেনাবাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারবিভাগ এবং একাধিক প্রতিষ্ঠানে দলিত, মহাদলিত, অনগ্রসর, মুসলিম এবং নানা প্রকারের সংরক্ষণ রাখা উচিত। তবে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের নানা সমালোচনা করতে করতে বিভিন্ন সময়ে সাংবিধানিক নানা প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন। আর তাতেই শাসকদলের নেতারা পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে পিছিয়ে থাকেননি। বিশেষ করে প্রতিরক্ষায় সংরক্ষণ করে পুনর্মূল্যায়ণ করা উচিত-এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই তোপ দাগেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

  • Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি বিরোধী দলনেতা গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) পাকিস্তানের এজেন্ট।” অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের এজেন্ট। তাঁর সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন। গৌরব গগৈ পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের নিযুক্ত চর। হ্যাঁ, আমি এ কথা বলছি একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই।”

    অভিযোগের প্রমাণও রয়েছে (Himanta Biswa Sarma)

    তিনি জানান, তাঁর কাছে এই অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও রয়েছে। এটি যে কোনও নির্বাচনী ইস্যু নয়, তাও জানিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যের পক্ষে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যেদিন আমি তা প্রকাশ করব, সেদিন মানুষ বুঝতে পারবেন যে তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। বিদেশি শক্তি তাঁকে ভারতে নিয়োগ করেছে। আমি সব কথা প্রমাণ-সহই বলছি।” হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে। তা না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন এমন ব্যবস্থা নিলে বিরোধীরা বলবেন, এটি নির্বাচনী ইস্যু। নইলে ওই সব প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এখন জেলেই থাকতেন।”

    রিপোর্ট জমা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, (Himanta Biswa Sarma) কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-ঘনিষ্ঠ এক নাগরিকের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল অসম সরকার, তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিটের রিপোর্টে পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য উন্মোচন করা হয়েছে। তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অসম মন্ত্রিসভা পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল (Gaurav Gogoi)। এই তদন্তেই সিট এমন চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে, যা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।”

  • Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের দলীয় বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) ‘আমার সোনার বাংলা’। ঘটনায় তোলপাড় অসমের (Assam) রাজনীতি। এবার এই ঘটনায় জড়িত শ্রীভূমি জেলার কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    হিমন্ত বিশ্বশর্মার বক্তব্য (Assam)

    সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনা ভারতের প্রতি এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি এক প্রকাশ্য অসম্মান। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে কংগ্রেস আসলে বাংলাদেশে কিছু মানুষের সেই ধারণাকেই সমর্থন করছে, যে ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল নাকি তাদের দেশের অংশ।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি পুলিশকে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। শ্রীভূমি শহরে কংগ্রেসের সেবা দলের বৈঠক হয় মঙ্গলবার। বৈঠকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায় বছর পঁচাশির এক ব্যক্তি গানটির দু’টি লাইন গাইছেন। ভিডিওতে এও দেখা গিয়েছে, গায়ক দাঁড়িয়ে গান করলেও, অন্যান্যরা সবাই বসে ছিলেন। গানটি রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাও তিনিই।

    কী বলল কংগ্রেস

    কংগ্রেসের (Assam) অভিযোগ, বিজেপি মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে অযথা বিতর্কের সৃষ্টি করছে। শ্রীভূমি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমাদের পঁচাশি বছর বয়সী কবি বিধুভূষণ দাস গানটির মাত্র দু’টি লাইন গেয়েছেন।” তাঁর দাবি, গানটিকে অপমান করা মানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা। অসমের কংগ্রেস সভাপতি গৌরব গগৈ বলেন, “বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক রূপ দিচ্ছে এবং গানটির পেছনের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করছে।” তিনি বলেন, “বিজেপি বাংলা সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দাবি করলেও তাদের আচরণ বারবার বাংলা ভাষা ও বাঙালি জনগণের প্রতি অপমানজনক হয়ে উঠেছে।”

    গৌরবের (Assam) বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস সভাপতির উচিত ছিল দলীয় নেতাদের পক্ষ নেওয়ার বদলে তাঁদের তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করা। কারণ তাঁরা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন।” তিনি বলেন, “এটি পাকিস্তান সরকারের একটি পরিকল্পনা। কয়েক দিন আগে (National Anthem) পাকিস্তান মহম্মদ ইউনূসকে একটি উপহার দিয়েছে, যেখানে ত্রিপুরা ও অসমকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই কংগ্রেস পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ‘ডট ডট’ দল। খারাপ শব্দটি আমি বলতে চাই না।”

  • Tiwari Commission Repot: প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নেল্লি গণহত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Tiwari Commission Repot: প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নেল্লি গণহত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৮৩ সালে ঘটেছিল নেল্লি  গণহত্যাকাণ্ড। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে গঠিত হয় তিওয়ারি কমিশন। ১৯৮৫ সালে রিপোর্টও (Tiwari Commission Repot) দেয় কমিশন। তার পর থেকে প্রায় চার দশক পার হয়ে গেলেও, প্রকাশ্যে আসেনি ওই রিপোর্ট। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই রিপোর্ট পেশ করার কথা ঘোষণা করল অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। অসমবাসী জানতে পারবেন বর্তমান নগাঁও জেলার এই নৃশংস গণহত্যার প্রকৃত সত্য।

    মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা (Tiwari Commission Repot)

    সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৮৩ সালে নেল্লিতে একটি ভয়াবহ গণহত্যা ঘটেছিল। সেই সময় রাজ্য সরকার একটি কমিশন গঠন করেছিল, নাম ছিল তিওয়ারি কমিশন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই কমিশনের রিপোর্ট কখনও রাজ্য বিধানসভায় উপস্থাপন করা হয়নি। আসন্ন ২৫ নভেম্বরের বিধানসভার অধিবেশনে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ১৯৮৩ সালের নেল্লি গণহত্যার প্রেক্ষিতে গঠিত তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট পেশ করব।” তিনি বলেন, “এটি অসমের ইতিহাসের একটি অংশ, যা পরে বিভিন্নভাবে বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা স্টাডি এবং বিশ্লেষণ করেছেন। তাই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে অন্তত মানুষ সেই সময়ে কী ঘটেছিল, তার সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।”

    নেল্লি হত্যাকাণ্ড

    ১৯৮৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অসমের মধ্যাঞ্চলের নেল্লি এলাকায় এবং তার আশপাশে ঘটেছিল নেল্লি হত্যাকাণ্ড। এই সময় অসম আন্দোলন বা বিদেশি বিরোধী আন্দোলন ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মানুষ। সেই সময় এলাকার শয়ে শয়ে আদিবাসী বাঙালি মুসলমানদের বসতিতে আক্রমণ চালিয়েছিল। দা, বর্শা ও লাঠি হাতে নিয়ে উন্মত্ত জনতা তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল, অবরোধ করেছিল রাস্তা, যারা প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করেছিল, তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী ও শিশু। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮১৯ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩২৭ জন নারী এবং ২৫৩ জন শিশু। যদিও মানবাধিকার সংগঠন এবং গবেষকদের মতে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা এই হিসেবের তুলনায় অনেক বেশি। অভিযোগ, পুলিশ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে সিআরপিএফ পৌঁছনোর পর (Tiwari Commission Repot)।

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    অসমের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১২টিই শূন্য ছিল ১৯৮০ সাল থেকে। বিদেশি-বিরোধী আন্দোলনের জেরে ১৯৮২ সালে ভেঙে দেওয়া হয় বিধানসভাও। পরের বছর ৬ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় চার দফায় হবে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন বয়কট করেন অসম আন্দোলনের সমর্থকরা। তা সত্ত্বেও হিংসা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই ভোট হয়। জয়ী হয় কংগ্রেস। হিতেশ্বর সইকিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে সোনিয়া গান্ধীর দল। অসম আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন সংক্ষেপে, আসু। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও বহিষ্কার করা হোক। তাদের নাম মুছে ফেলা হোক ভোটার তালিকা থেকে। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা ছিল, বাংলাদেশের মানুষের অবাধ অনুপ্রবেশের জেরে বদলে যাবে অসমের জনসংখ্যাগত কাঠামো (Tiwari Commission Repot)।

    কাঠগড়ায় কংগ্রেস

    নেল্লি হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করতে হিতেশ্বর সইকিয়ার নেতৃত্বাধীন অসমের কংগ্রেস সরকার তৎকালীন আইএএস কর্তা ত্রিভুবন প্রসাদ তিওয়ারির নেতৃত্বে তিওয়ারি কমিশন গঠন করে। এই কমিশন ১৯৮৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর সইকিয়ার কাছে ৬০০ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট পেশ করে। যদিও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আজও এই রিপোর্ট পেশ করা হয়নি বিধানসভায়। রিপোর্টে বলা হয়, সরকারের নথিপত্রে মাত্র তিনটি শ্রেণিবদ্ধ (classified) কপি সংরক্ষিত রয়েছে (Tiwari Commission Repot)। গত চার দশকে রিপোর্টটি কেন প্রকাশ করা হয়নি, তা অজানাই রয়ে গিয়েছে। অনেকে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ায়।

    কেন প্রকাশ করা হয়নি রিপোর্ট

    যদিও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, রিপোর্টটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তাই প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বলেন, “অসম সরকারের কাছে থাকা ৬০০ পৃষ্ঠার তিওয়ারি কমিশন রিপোর্টের কপিগুলিতে কমিশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা ত্রিভুবন প্রসাদ তিওয়ারির সই ছিল না। তাই প্রতিবেদনটি আসল কি না, এ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা তখনকার বিভিন্ন কেরানির সাক্ষাৎকার নিয়েছি, ফরেনসিক পরীক্ষাও করেছি এবং রিপোর্টটি সত্য বলে জানতে পেরেছি। আগের বিভিন্ন সরকার রিপোর্ট প্রকাশ করার সাহস দেখায়নি। কিন্তু কোনও না কোনও সরকারকে এটি প্রকাশ করতেই হত। কারণ এটি আমাদের ইতিহাসের একটি অধ্যায় (Tiwari Commission Repot)।”

  • Himanta Biswa Sarma: “আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Infiltrators) ফের একবার কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। এর ঠিক আগের দিনই অসম স্টেট ক্যাবিনেট “ইমিগ্র্যান্টস (অসম থেকে বহিষ্কার) অ্যাক্ট, ১৯৫০”-এর আওতায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর (SOP) প্রণয়নের অনুমোদন দেয়। এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর জেলা কমিশনার এবং সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশকে অসম থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে আসতে থাকা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মোকাবিলা করার নির্দেশ দেবে।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা (Himanta Biswa Sarma)

    এক্স হ্যান্ডেলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা সতর্ক থাকুন! ইমিগ্র্যান্টস (অসম থেকে বহিষ্কার) অ্যাক্ট, ১৯৫০ সম্পূর্ণ কার্যকর রয়েছে এবং আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে।” শর্মা জানান, আরও কড়াকড়ি পদক্ষেপ করা হবে, কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি জানান, যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী জিরো লাইনের কাছে বা অবৈধ প্রবেশের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ে, তবে তাকে তৎক্ষণাৎ ফেরত পাঠানো হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, সমস্ত শনাক্ত হওয়া অভিবাসীর বায়োমেট্রিক্স বা ডেমোগ্রাফিক ডিটেলস পুশব্যাক করার আগে নিয়ে নিতে হবে।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গুয়াহাটির লোকসেবা ভবনে আয়োজিত রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব শর্মা স্বয়ং (Himanta Biswa Sarma)। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানিক বেঞ্চের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে অসম সরকার ইমিগ্র্যান্টস অ্যাক্ট, ১৯৫০ প্রয়োগ করে বিদেশিদের শনাক্তকরণ ও বিতাড়ন করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। এই আইন অনুসারে, ডেপুটি কমিশনারকে কেন্দ্রীয় সরকার এই ক্ষমতা দিয়েছে যে, যে কোনও ব্যক্তি যিনি ডেপুটি কমিশনারের মতে বিদেশি বলে বিবেচিত হবে, তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।”

    আইনটি যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভা একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর ঘোষণা করেছে। নতুন এসওপির আওতায়, ডেপুটি কমিশনার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তার নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য ১০ দিন সময় দেবেন। এই পর্বে শুনানির পরে যদি তিনি নির্ধারণ করেন যে ওই ব্যক্তি একজন বিদেশি, তাহলে তিনি অবিলম্বে তাকে (Illegal Infiltrators) স্বদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেবেন (Himanta Biswa Sarma)।

  • Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারী রুখতে নয়া পদক্ষেপ অসম (Assam) সরকারের। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। ২১ অগাস্ট অসম সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, অনুপ্রবেশকারীরা যেন বেআইনি উপায়ে আধার কার্ড (AADHAAR) সংগ্রহ করতে না পারে, তাই এই পদক্ষেপ। অন্য যে কেউ, যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি, নতুন আধার কার্ড করতে চাইলে তাঁদের জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।

    সুযোগ মিলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (Assam)

    তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই সুযোগ খোলা থাকবে, অর্থাৎ যাঁরা এখনও আধার কার্ড করেননি তাঁরা আগামী মাসের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী অসম থেকে আধার কার্ড সংগ্রহ করতে না পারে। বর্তমানে অসমে আধার কার্ডের সংখ্যা ১০৩ শতাংশ। তাই এসসি, এসটি এবং চা-বাগান সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কোনও প্রাপ্তবয়স্ক নতুন আবেদনকারী হলে তাঁকে অবশ্যই জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।” তিনি জানান, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে এসসি, এসটি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। যদি কেউ জেলা কালেক্টরের কাছে নতুন আধার কার্ডের জন্য আবেদন করেন, তবে জেলা কালেক্টরকে স্পেশাল ব্রাঞ্চ পুলিশের রিপোর্ট ও বিদেশি ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট যাচাই করে তারপর অনুমোদন দিতে হবে।

    ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায় ষড়যন্ত্র!

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতের বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায়। এই এলাকাটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে (Assam) মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করেছে। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চিকেন্স নেক অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা মূলত বাংলাদেশ বা পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসেছেন। এখন তাঁরা আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিক হলেও, তাঁদের মধ্যে সবসময়ই তাঁদের জন্মভূমির প্রতি একটা (AADHAAR) টান রয়ে গিয়েছে। এখন বাংলাদেশের কিছু কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী সংগঠন এঁদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং “স্লিপার সেল” সক্রিয় করছে। তিনি বলেন, “আমরা আগুনের ওপর বসে আছি।” যতদিন বাংলাদেশ সঙ্গে কোনও সংঘাত নেই, ততদিন সব ঠিক আছে। কিন্তু যদি কোনও সংঘাত হয়, তবে বাংলাদেশ থেকে আসা এক বড় অংশের মানুষ (AADHAAR) আসলে কোন দিকে তাঁদের আনুগত্য দেখাবেন, সেটিই বড় প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী ২০ বছর অসমের (Assam) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এবং যে কোনও বিপদ এড়াতে খুব শক্তিশালী পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন।”

  • NRC: এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    NRC: এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআরসি (NRC) নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এমন দাবি করতে শোনা গেল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “এনআরসি নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঙালিদের মধ্যে ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।” এর পাশাপাশি এনআরসি নিয়ে মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলেও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (NRC)

    গুয়াহাটিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “হঠাৎ উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলছেন, আমি এনআরসি মানব না। কে এনআরসি-র নির্দেশ দিয়েছে? বিগত পাঁচ বছরে উনি এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি। হঠাৎ তিনি এইসব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বাঙালিদের মধ্যে ভয় তৈরি করা এবং তাদের ভোট আদায় করার কৌশল এটা। গত ৫ বছরে এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি। এখন নির্বাচন আসছে, তাই উনি এইসব কথা বলতে শুরু করেছেন।”

    এসআইআরের বিরোধিতা কেন করছেন মমতা?

    প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই এসআইআরের তীব্র বিরোধিতায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটার তালিকা সংশোধন এবং অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক বাদ দেওয়ার যে প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশন চালু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে, তাকেই এনআরসি বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এসআইআর তো নতুন কিছু নয়, আগেও পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। এভাবে ভোটার তালিকায় থাকা অবৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজে বাধা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে কাদের সুরক্ষিত করতে চাইছেন — সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে (NRC)।অনেকের মতে, অবৈধ ভোটব্যাঙ্কই (NRC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটে জেতার বড় একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। তাই তিনি এসআইআরের বিরোধিতা করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে একাধিক সভায় বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

  • Online Arms Licences: ভূমিপুত্রদের নিরাপত্তার স্বার্থে অসমে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেবে সরকার

    Online Arms Licences: ভূমিপুত্রদের নিরাপত্তার স্বার্থে অসমে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেবে সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (Online Arms Licences) প্রদান ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে অসম সরকার। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই চালু হতে চলেছে এই অনলাইন পোর্টাল। এই পোর্টালের মাধ্যমে যারা নিজেদের সুরক্ষার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র প্রয়োজন মনে করছেন, তারা আর জেলা শাসকের (ডিসি) দফতরে না গিয়েই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় যে ভূমিপুত্ররা থাকেন, তাঁদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ বলে খবর। অসমের যে সমস্ত প্রত্যন্ত এলাকায় বা উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় রাজ্যের বাসিন্দারা ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ছেন, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    ডিব্রুগড়ের এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আগামী দিনে অসমের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিস্ফোরক হতে চলেছে। সেই সময় স্থানীয় মানুষ কীভাবে বাঁচবেন বা নিজেদের রক্ষা করবেন? একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রই তখন তাদের রক্ষা করবে।” বিরোধী কংগ্রেসের (Online Arms Licences) সমালোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার বক্তব্য স্পষ্ট। ৪০,০০০ একরেরও বেশি জমি বাংলাদেশি মুসলিম দখলদারদের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করার পর, অসমবাসী নির্ভয়ে বাঁচতে শিখেছে। ভবিষ্যতেও এই সাহস ধরে রাখতে হবে। শুধু আন্দোলন করেই অধিকার আদায় হয় না, বাস্তববাদী হতে হবে। অসমবাসীকে বাঁচতে হলে বাস্তববাদী হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সরকার অসমবাসীর নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য একাধিক বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ করেছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আরও পদক্ষেপ করবে। আমাদের সামনে কিছু লক্ষ্য রয়েছে এবং আমরা তা সংবিধানের সীমার মধ্যে থেকে দ্রুত বাস্তবায়ন করব।”

    কীভাবে লাইসেন্স দেওয়া হবে

    বর্তমানে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের (Online Arms Licences) আবেদন করা গেলেও, ‘সেবা সেতু’ পোর্টালে এই পরিষেবা যুক্ত হওয়ায় আবেদন আরও সহজ হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আবেদন করার পর ডিসি যাচাই করবেন, আবেদনকারী লাইসেন্সের যোগ্য কি না, তারপরই লাইসেন্স প্রদান করা হবে। এর আগে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, ধুবড়ি, বরপেটা এবং হাইলাকান্দি জেলার মতো এলাকায়, যেখানে স্থানীয়রা সংখ্যালঘু, সেখানে তারা ভয় এবং হুমকির মধ্যে বাস করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর, বাংলাদেশি মুসলিমদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের হুমকি দেওয়ার একাধিক অভিযোগও উঠেছে। এমনকি এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, আগামী ২০ বছরের মধ্যে অসমবাসীর জমি ও সম্পত্তি দখল করার হুমকি দিচ্ছেন এক বাংলাদেশি।

LinkedIn
Share