Tag: Himanta Biswa Sharma

Himanta Biswa Sharma

  • Assam: পলিগ্যামি এবং লাভ জিহাদ নিষিদ্ধ করাই পরবর্তী লক্ষ্য অসম সরকারের

    Assam: পলিগ্যামি এবং লাভ জিহাদ নিষিদ্ধ করাই পরবর্তী লক্ষ্য অসম সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে (Assam) বহুবিবাহ বন্ধ করার আইন নিয়ে আসা এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। সেই রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই বহুগামিতা বন্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি ঘোষণা করেছেন যে রাজ্য সরকার শীঘ্রই পলিগ্যামি নিষিদ্ধ করবে এবং তাদের মূল লক্ষ্য হলো বিয়ে নিবন্ধন বিল কার্যকর করা। অসম প্রশাসন এখনও ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো কাজী নয়, উপ-নিবন্ধকদের মাধ্যমে বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন নিশ্চিত করা।

    অসম সরকারের পরিকল্পনা

    অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma) বলেন, “আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে বহুগামিতা বা পলিগ্যামি নিষিদ্ধ করা, যা যেকোনও সময় ঘটতে পারে। আমরা আরও কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে উত্তরাখণ্ড ইউসিসি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি।” মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে অসমের কৌশলটি বৃহত্তর ইউসিসি আলোচনা থেকে পৃথক, এবং তাদের লক্ষ্য হলো নাবালিকা বিবাহ এবং নারীদের শোষণ সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সমাধান করা। তাঁর কথায়,”আমাদের কার্যপ্রণালী আলাদা, তাই আমরা ব্যাপক ইউসিসি অনুসরণ করছি না। আমরা নাবালিকা বিবাহ বন্ধ করতে এবং নারীদের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” 

    আরও পড়ুন: সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

    বহুবিবাহ রোধে ভূমিকা

    অসম সরকার (Assam) ২০২৫ সালের এপ্রিলে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করার কথা ভাবছে। নয়া আইন অনুযায়ী, দম্পতিদের বিয়ের আগে ছয় মাসের নোটিশ দিতে হবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো বিয়ের পবিত্রতা রক্ষা করা। অসম বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময়, শর্মা (Himanta Biswa Sharma) অনলাইনে পরিচয়, নাম পরিবর্তন এবং সামাজিক প্রচলন থেকে বাইরে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, “বিয়ে একটি আইনি স্বীকৃত এবং সম্মানিত প্রতিষ্ঠান, কিন্তু পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা এর সম্মানকে ক্ষুণ্ন করছে।” এই সমস্যার সমাধান করতে, নতুন আইনে পূর্ব নিবন্ধন বা নোটিশের প্রয়োজন হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে রাজ্যকে নাবালিকা বিবাহ মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাবালিকা বিবাহ সম্পর্কিত ঘটনায়, মুখ্যমন্ত্রী শর্মা জানিয়েছেন যে গত পাঁচ বছরে ৩,৯০৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩,৩১৯ জনকে ২০১২ সালের পকসো আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’ চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। সোমবার রাতে এ খবর জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma)। এ বছরই ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে চম্পাই গেরুয়া খাতায় নাম লেখালে ঝাড়খণ্ডে যে শাসক দল ঝড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানান, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    চম্পাইকে সরতে হয় (Champai Soren)

    ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন। তখনই হেমন্তর স্ত্রীকে ওই পদে না বসিয়ে বসানো হয় চম্পাইকে। হেমন্ত জামিন পাওয়ার পর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয় চম্পাইকে। তখন থেকেই জেএমএম-এর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে চম্পাইয়ের (Champai Soren)। তাঁর অভিযোগ, দলের নেতারা তাঁকে অসম্মান করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই থেকে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল চম্পাইয়ের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চম্পাইয়ের সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগাল গেরুয়া শিবির।

    কবে যোগ চম্পাইয়ের?

    দিন কয়েক আগে ক্ষুব্ধ চম্পাই জানিয়েছিলেন, নতুন দল গঠন করছেন তিনি। বছর সাতষট্টির চম্পাই কবে নয়া দল গড়বেন, তা নিয়ে জল্পনার আবহেই সোমবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sharma) বলেন, “আমি চাই চম্পাই সোরেন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিন। আমাদের দলকে আরও শক্তিশালী করুন।” সোমবার রাতে দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন চম্পাই। তার পরেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। শাহের সঙ্গে বৈঠকের ছবি পোস্ট করে হিমন্ত লেখেন, ‘‘কিছুক্ষণ আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আদিবাসী নেতা চম্পাই সোরেন। ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন বিজেপিতে (BJP)।” এ ব্যাপারে অবশ্য চম্পইয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, ঝড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বাবা শিবু সোরেনকে রাজনৈতিক ‘গুরু’ বলে মনে (Himanta Biswa Sharma) করেন চম্পাই। সেই ‘গুরু-পুত্র’র সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই চম্পাই (Champai Soren) নাম লেখাতে চলেছেন গেরুয়া (BJP) খাতায়। তাও আবার এমন একটা সময়, যখন শিবু-হেমন্তের রাজ্যে দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Gandhi: ‘‘রাহুল গান্ধী বিজেপির সবথেকে বড় স্টার ক্যাম্পেনার’’, কটাক্ষ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Rahul Gandhi: ‘‘রাহুল গান্ধী বিজেপির সবথেকে বড় স্টার ক্যাম্পেনার’’, কটাক্ষ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বিজেপির সব থেকে বড় স্টার ক্যাম্পেনার’’, একথা বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। কারণ হিসেবে তিনি জানান যে যেখানে যেখানে কংগ্রেসের এই নেতার পা পড়েছে সেখানেই বিজেপি জিতেছে। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী যে পথ দিয়ে হাঁটেন সেখান থেকেই কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়’’ তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনও রকমের যোগ্যতা নেই। রবিবারই ডিব্রুগড়ে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই তোপ দাগেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি আরও বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেখানেই যান তা বিজেপির পক্ষে ইতিবাচক হয়।’’

    রাহুল গান্ধীর অসমে কর্মসূচি, একাধিক কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দিলেন

    প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসের ১৮ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ছিল অসমে। সেখানেই একাধিক কংগ্রেসের নেতাকে যোগদান করতে দেখা যায়। অসমের বিজেপি সদর দফতরে এই নেতারা যোগদান করেন। যাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে ছিলেন অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী বিসমিতা গগৈ। রাজ্যের যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অঙ্কিতা দত্ত। অসমে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভবেশ কালিতা রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা এবং পার্টির বিভিন্ন বিধায়করাও ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে চরমতম ব্যঙ্গ করেন পীযূষ হাজারিকা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে কটাক্ষ করে বলেন যে অসম রাজ্যে বিপুল সফল হয়েছে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা। যেখানে অজস্র বিরোধী নেতা বিজেপিতে যোগদান করেছেন।

    রাহুলের বিরুদ্ধে তোপ দলেরই প্রাক্তন যুব নেত্রীর

    প্রসঙ্গত, রাজ্য যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অঙ্কিতা দত্ত বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কংগ্রেসে থাককালীন তিনি সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন। তখনই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে কংগ্রেস। তিনিও একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তাঁর পুরনো দলের বিরুদ্ধে। বিজেপিতে যোগদানের করে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের বর্তমানে একটাই আদর্শ সেটা হচ্ছে রাহুল গান্ধীকে আবার ব্র্যান্ড হিসেবে প্রস্তুত করা।’’ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন যে নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীদের সাথে রাহুল গান্ধী কথাই বলতে চান না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আগেই বহু বিবাহ রোধে বিল আনছে অসম সরকার!

    UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আগেই বহু বিবাহ রোধে বিল আনছে অসম সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) পক্ষে সওয়াল করেছেন খোদ প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির অ্যাজেন্ডায়ও রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার কথা। আসন্ন বাদল অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিল পেশ হতে পারে বলে কিছু দিন আগেই দাবি করেছিলেন দিল্লির এক বিজেপি নেতা। তবে দেশে কবে লাগু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, তার অপেক্ষায় থাকছেন না অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    বহু বিবাহ রোধে রাজ্য বিল

    তিনি জানান, বহু বিবাহ রোধে রাজ্য বিল পাশ করবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ব্যাপারে যতক্ষণ না চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ততদিন এই আইন লাগু থাকবে রাজ্যে। এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেন্দ্রের প্রতি আমাদের রাজ্যের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বহু বিবাহ রোধে অসম সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পার্লামেন্টে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    তবে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যের। ল’ কমিশন এবং পার্লামেন্টারি কমিটি বর্তমানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য ও সংগঠনের মত জানতে চেয়েছে। অসম সরকার এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে। তিনি জানান, বহু বিবাহ রোধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে ঝুলে রয়েছে অসমে। এর কারণ হল, এটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিলের একটা অংশ মাত্র। তিনি বলেন, তাই আমরা ভাবছি অসমে দ্রুত বহু বিবাহ রোধে বিল আনা যায় কিনা।

    আরও পড়ুুন: “তুঙ্গে মোদির জনপ্রিয়তা, তাই কলেবরে বাড়ছে এনডিএ”, বললেন রাজনাথ

    গত মে মাসেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেছিলেন, বহু বিবাহ রোধে বিল পাশ করাবে অসম সরকার। এজন্য গুয়াহাটি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রুমি ফুকানের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়া হয়েছিল। রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কমিটিকে ৬০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। যদি এই সময়সীমার মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্ট দিতে পারে, তাহলে সেপ্টেম্বরে বিধানসভার অধিবেশনেই পেশ করা হবে বিলটি (UCC)। তা নিতান্তই সম্ভব না হলে বিলটি পেশ করা হবে জানুয়ারিতে, শীতকালীন অধিবেশনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assam: ফেব্রুয়ারিতে দু দিনের বিশেষ ছুটি ঘোষণা অসম সরকারের, কেন জানেন?

    Assam: ফেব্রুয়ারিতে দু দিনের বিশেষ ছুটি ঘোষণা অসম সরকারের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজের চাপে সময় দেওয়া যাচ্ছে না বাবা-মাকে। কর্মসূত্রে অনেকেই থাকেন দূর-দুরান্তে। বাবা-মা আগলে বসে থাকেন ভিটে। তাই দূরত্ব বাড়ছে মা বাবার সঙ্গে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য চলতি বছর থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য দু দিনের বিশেষ ক্যাজুয়েল লিভের ব্যবস্থা করেছে অসমের (Assam) বিজেপি (BJP) সরকার। আগামী বছরও মিলবে ছুটি। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়ে দিয়েছে অসম সরকার। এ বছর ছুটি ছিল জানুয়ারিতে (January)। আগামী বছর ছুটি মিলবে ফেব্রুয়ারিতে। ফেব্রুয়ারির ৯ এবং ১০ তারিখ এই দু দিন ছুটি। কর্মীরা চাইলে ওই দু দিন ছুটি না নিয়ে অন্য সময় নিতে পারেন।

    অসমই প্রথম?

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ছুটি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তবে এ দেশে এর চল নেই বলেই মনে হয়। অসমই প্রথম রাজ্য যারা এটা চালু করেছে। চলতি বছর মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য অসমে ছুটি দেওয়া হয়েছিল ৬ ও ৭ জানুয়ারি। অনেক কর্মী ওই দিনই ছুটি নিয়েছেন। অনেকে আবার অন্য ছুটির সঙ্গে এই দু দিন জুড়ে দিয়ে দীর্ঘায়িত করে নিয়েছেন ছুটির তালিকা। সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই যে দু দিনের বিশেষ ছুটি, সেই ছুটি দিনের দিন না নিয়ে শনি-রবিবারের সঙ্গে জুড়ে দিয়েও নেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে মা-বাবার সঙ্গে কাটানোর জন্য মিলবে টানা চারদিন। এই বিশেষ ছুটি পেতে গেলে কীভাবে আবেদন করতে হবে, তা একটি স্পেশাল ওয়েব পোর্টাল মারফত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    ২০২১ সালে অসমের (Assam) ক্ষমতায় আসে হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। ওই বছরই ১৫ই অগাস্টের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বলেছিলেন, সরকারি কর্মীরা যাতে মা-বাবা এবং শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন, তাই দু দিনের বিশেষ ছুটি দেওয়া হবে। পরে মন্ত্রিসভা সায় দেয় এই প্রস্তাবে। তার পরেই চলতি বছর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় জানুয়ারির ৬ এবং ৭-এ। হিমন্ত জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব এবং পুলিশের ডিজি ছাড়া এই ছুটি সবাই পাবেন। এমনকী মন্ত্রীরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, রবিবার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচ জনের। এখনও ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ। এই বছর এই অবধি আসামে বন্যার কারণে জলে ডুবে এবং ভূমি ধ্বসে মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের। 

    রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলার বুলেটিনে এদিন বলা হয়, নওগাঁ জেলার ২ জন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর এবং শিবসাগর জেলার  একজন করে জলে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। ২৩ জেলার ১৮,৩৫,৫০০ জন মানুষ এখনও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ। বরপেটা, কাছার, দারাং, ডিব্রুগড়, হোজাই, কামরূপ মেট্রপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মরিগাঁও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শিবসাগর, এই জেলাগুলি এখনও জলের তলায়।

    আরও পড়ুন: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কাছার জেলা।  সেখানে এখনও ১০.২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। তারপরেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ নওগাঁ (৩.৭৬ লক্ষ), মরিগাঁও (১.৭৬ লক্ষ)। শনিবার অবধি ২৪ জেলায় ২২.১৭ লক্ষ মানুষ বন্যার কারণে আটকে ছিলেন।

    আরও পড়ুন: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ? 

    এখনও ১,৬১৮টি গ্রাম, ৪৭,১৯৮.৮৭ হেক্টর জমি জলের তলায়। রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ত্রাণকেন্দ্রে ২০ জেলার ৬৫,৭৫৭ জন শিশুসহ মোট ২,৭৮,০৬০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। 

    বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলিতে রাজ্য প্রশাসন ৬৮৫.২৬ কুইন্টাল চাল, ডাল, নুন এবং ২,৬৩৪ লিটার সরষের তেল এবং ৪৭৯২.৯২ কুইন্টাল গবাদি পশুর খাদ্য বিতরণ করেছে।

    ১২ জেলায় ৫,৯০,৯৪৯ গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্থ। ব্রহ্মপুত্র এবং তিনটি উপনদী কপিলি, ডিসাং এবং বুড়িদিহিং বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। ব্রহ্মপুত্র এবং অন্যান্য নদীর জল বাড়ায় প্লাবিত হয়েছে ২৬৭৫টি গ্রাম। সেখানের এখনও প্রায় ৯১ হেক্টর জমি জলের তলায়। 

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় সাধ্যমত ত্রাণ এবং পানীয় জল বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি, আমির খানরা। কেন্দ্রের তরফেও সব ধরণের সাহায্যের কথা বলা হয়েছে।   

     

LinkedIn
Share