Tag: hindu custom

hindu custom

  • Janmashtami 2024: এ বারের জন্মাষ্টমী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কত তম জন্মতিথি, জানেন?

    Janmashtami 2024: এ বারের জন্মাষ্টমী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কত তম জন্মতিথি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2024)। চলতি বছরের জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনেকটাই বিশেষ। বাংলার ১৪৩১ সাল বা ইংরেজির ২০২৪ সালে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের (Lord Shri Krishna) ৫২৫০তম জন্মাষ্টমী পালন করা হচ্ছে।

    শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব কবে?

    বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্র থেকে জানা যায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর মর্ত্যলোকে ছিলেন। পুরাণ অনুসারে, মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান ইহধাম ত্যাগ করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সেই দিনই কলি প্রবেশ করে। জানা যায়, ওই দিন ছিল শুক্রবার। অর্থাৎ হিসেব করে দেখলে খ্রিস্টপূর্ব ৩১০১ সালে কলিযুগ শুরু হয়, বর্তমানে চলছে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। অঙ্কের হিসেবে কলির বয়স দাঁড়াচ্ছে ৩১০১ + ২০২৪= ৫১২৫ বছর। শ্রীকৃষ্ণের (Lord Shri Krishna) অর্ন্তধানের দিন কলি যুগের সূচনা বলে মনে করা হয়। আগেই বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর ধরাধামে ছিলেন। তা হলে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব  ৫১২৫ + ১২৫= ৫২৫০ বছর পূর্বে হয়েছিল বলে বোঝা যাচ্ছে।

    জন্মাষ্টমী ২০২৪-এর তিথি (Janmashtami 2024)

    পণ্ডিতরা বলছেন, এবছর জন্মাষ্টমীতে অষ্টমী তিথি একদিনেই পড়েছে। অন্যান্যবার তা আলাদা-আলাদা দিনে হত। সেই কারণে চলতি বছরে সন্ন্যাসী ও গৃহস্থরা একই দিনে শ্রীকৃষ্ণের (Lord Shri Krishna) আরাধনা করতে পারবেন। পঞ্জিকা অনুসারে দেখা যাচ্ছে, এই বছর জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে আজ, ২৬ অগাস্ট সোমবার। অষ্টমী তিথি পড়ে গিয়েছে আজ ভোররাত ৩টে ৪০ মিনিটে। তা থাকবে আজ গভীর রাত ২টো ২০ মিনিট (ইংরেজি মতে, ২৭ অগাস্ট, মঙ্গলবার) পর্যন্ত।

    কৃষ্ণের জন্মের সময় যে শুভ যোগ ছিল, এ বছরও সেই একই যোগ!

    আসলে জন্মাষ্টমী হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি, এ তো আমরা সবাই জানি। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্র যোগে কৃষ্ণ মথুরায় কংসের কারাগারে মাতা দেবকীর অষ্টম সন্তান রূপে জন্মগ্রহণ করেন। কংসের কারাগারে কৃষ্ণের জন্মের সময় যে যোগ ছিল, এই বছর জন্মাষ্টমীতেও একই শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে। এই বছরও জন্মাষ্টমী তিথিতে রয়েছে রোহিনী নক্ষত্র। ২৬ অগাস্ট বেলা ৩টে ৫৫ মিনিটে রোহিনী নক্ষত্র শুরু হচ্ছে এবং তা থাকবে ২৭ অগাস্ট ভোর ৩টে ৩৮ মিনিট পর্যন্ত। জ্যোতিষীরা বলছেন, এবছর জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2024) তিথিতে চাঁদ রয়েছে বৃষ রাশিতে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময়ও চাঁদ বৃষ রাশিতেই ছিল বলে জানা যায়।

    জন্মাষ্টমীতে পুজোর শুভ সময়

    পণ্ডিতরা বলছেন, জন্মাষ্টমীতে সারাদিনই কৃষ্ণের আরাধনা আপনি করতে পারেন। তবে আজ গোপালের পুজো করার জন্য বিশেষ শুভ সময় রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পণ্ডিতরা। এই নির্দিষ্ট সময়ে পুজো করলে তা কার্যকরী হয় বলে মনে করা হয়। জন্মাষ্টমীতে সকালের পুজো সকাল ৫টা ৫৬ মিনিট থেকে ৭টা ৩৭ মিনিটের মধ্যে করে নেওয়া ভালো। এর পর বিকেলের পুজো করতে পারেন বিকেল ৩টে ৩৬ মিনিট থেকে সন্ধে ৬টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে। তবে জন্মাষ্টমীর নিশীথ কালের পুজো রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত করা অত্যন্ত শুভ বলে জানাচ্ছেন পণ্ডিতরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jhulan Yatra 2024: এ বছর ঝুলনযাত্রা কবে? কেন পালিত হয় এই উৎসব? জানুন কাহিনি

    Jhulan Yatra 2024: এ বছর ঝুলনযাত্রা কবে? কেন পালিত হয় এই উৎসব? জানুন কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের (Hindu Dharma) অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব হল ঝুলন যাত্রা (Jhulan Yatra 2024)। এই উৎসব প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে পালিত হয়। ইংরেজি মাস হিসেবে দেখলে জুলাই-অগাস্টের মধ্যেই পড়ে ঝুলন যাত্রা। কৃষ্ণভক্ত বৈষ্ণবদের মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব মনে করা হয় ঝুলন যাত্রাকে। ঝুলন উৎসব পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয় তাই একে শ্রাবণী পূর্ণিমাও বলা হয়। শ্রাবণ মাসের শুক্লা পক্ষের একাদশী তিথি থেকে রাখিপূর্ণিমা — এই পাঁচ দিন ধরে ঝুলনযাত্রা পালন করা হয়। দোলযাত্রা এবং জন্মাষ্টমীর মতোই কৃষ্ণ ভক্তরা এই উৎসবে প্রভুর বন্দনায় মেতে ওঠেন। ২০২৪ সালের ঝুলন যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে ৩১ শ্রাবণ শুক্রবার। ইংরেজি তারিখ হিসেবে ১৬ অগাস্ট।

    হিন্দু বাড়িগুলিতেও রাধাকৃষ্ণের ভক্তরা এই উৎসব (Jhulan Yatra 2024) পালন করেন

    দেশজুড়েই পালিত হয় এই উৎসব (Jhulan Yatra 2024)। এর মধ্যে মথুরা, বৃন্দাবন, পুরী ও মায়াপুর- ঝুলন যাত্রার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। ঝুলন যাত্রাকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ ভক্তদের পা পড়ে মথুরা-বৃন্দাবন-পুরী-মায়াপুরে। বৃন্দাবনের মধ্যে শ্রী রূপ-সনাতন গৌড়ীয় মঠ, বাঁকেবিহারী মন্দির এবং রাধারমণ মন্দির, মথুরার দ্বারকাধীশ মন্দির, পুরীর গৌড়ীয় মঠ, ইস্কন মন্দির, গোবর্ধন পীঠ, শ্রী রাধা কান্ত মঠ, শ্রী জগন্নাথ বল্লভ মঠ এবং মায়াপুরের ইসকন প্রভৃতি স্থানে এই উৎসব অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। দোলনায় অধিষ্ঠিত করা হয় রাধাকৃষ্ণের মূর্তি। ভক্তরা কৃষ্ণ বন্দনায় মেতে ওঠেন। তবে শুধুমাত্র মন্দিরেই নয়, এর পাশাপাশি হিন্দু (Hindu Dharma) বাড়িগুলিতেও রাধাকৃষ্ণের ভক্তরা, এই উৎসব পালন করেন। দুই মূর্তিকে সাজিয়ে পুজো করা হয়। প্রতি পাড়াতেই হিন্দু বালক-বালিকারা এদিন রাধাকৃষ্ণের বেশে সেজে ওঠে।

    শ্রীকৃষ্ণকে হলুদ রঙের বস্ত্র পরালে মিলবে শুভ ফল

    পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শুধুমাত্র মায়াপুরই নয়, এর পাশাপাশি নবদ্বীপ ও শান্তিপুরেও ঝুলনযাত্রা বড় করেই পালিত হয়। ঝুলন যাত্রায় (Jhulan Yatra 2024) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকাল থেকে কিশোর বয়স পর্যন্ত পৌরাণিক ঘটনাগুলিকে পুতুল দিয়ে সাজানো হয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, ঝুলন উৎসবে রাধার সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণকে দোলনায় অধিষ্ঠিত করলে ভগবানের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কলকাতার বরানগরের পাটবাড়ি আশ্রম ও বউ বাজারের বিখ্যাত রামকানাই অধিকারীর বাড়িতে ঝুলনযাত্রা উৎসব দেখার জন্য প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। হিন্দু শাস্ত্রবিদরা বলছেন, ঝুলন যাত্রার বিশেষ দিনে শ্রীকৃষ্ণকে হলুদ রঙের বস্ত্র পরিয়ে, হলুদ মিষ্টি, হলুদ ফল, হলুদ ফুল সহযোগে পুজো করলে বিশেষ সুফল মেলে। এর পাশাপাশি ঝুলন যাত্রার উৎসবে ময়ূরের পালক কিনে তা ভগবানের পাশে রাখলে খুব তাড়াতাড়ি শুভ ফল পাওয়া যায়।

    ঝুলন যাত্রার কেন পালিত হয়? বৈষ্ণব শাস্ত্রের কাহিনী জানুন

    হিন্দু শাস্ত্রবিদরা বলছেন, যুগ যুগ ধরেই ঝুলন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগে আবির্ভূত হয়েছিলেন। বৃন্দাবনে থাকাকালীন তিনি নানা লীলা করেন। কিশোর শ্রীকৃষ্ণ ও রাধারানির প্রেমের অংশই হল ঝুলন যাত্রা উৎসব।

    এই নিয়ে একটি কাহিনীও বৈষ্ণবদের শাস্ত্র অনুযায়ী প্রচলিত রয়েছে। একবার ব্রজের গোপীরা সেজেগুজে কুঞ্জবনে এসেছিলেন, সেখানে তাঁরা রাধা ও কৃষ্ণকে দোলনায় দোল খাওয়াবেন বলে সমবেত হয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ সেদিন রাধাকে নিজের হাতে সাজিয়েছিলেন। বৈষ্ণব শাস্ত্র অনুযায়ী, ঐদিন গোপীরা কোনওভাবেই বুঝতে পারছিলেন না, কোনটা রাধা আর কোনটা কৃষ্ণ! দুজনকেই তাঁরা শ্রীকৃষ্ণ হিসেবে দেখতে পাচ্ছিলেন আবার কখনও দুজনকেই রাধা হিসেবে দেখছিলেন। এভাবেই তাঁরা শ্রীকৃষ্ণকে রাধা মনে করে তাঁকেই দোলনার কাছে নিয়ে যান। রাধা ভেবে গোপীরা শ্রীকৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন যে, তাঁর চেহারা এমন পুরুষের মতো কীভাবে হল? কথিত আছে, সেসময় শ্রীকৃষ্ণ রাধার কণ্ঠে জবাব দিয়েছিলেন যে, তাঁর ওপর মন্ত্রপূত জল ফেলে শ্রীকৃষ্ণ এরকম পুরুষালী চেহারা করে দিয়েছেন, তিনি আসলে রাধা। বৈষ্ণব শাস্ত্র মতে, এরপরেই গোপীদের একে একে আড়ালে নিয়ে যেতে থাকেন শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁদের বোঝাতে থাকেন, তিনি রাধা নন। আবার যোগমায়া বলে গোপীদের সেসব কথা তিনি ভুলিয়েও দেন। এরপরে জানা যায়, রাধা গোপীদের শ্রীকৃষ্ণের (Jhulan Yatra 2024) ছলনা ধরিয়ে দিয়েছিলেন। গোপীদের ভুল ভেঙেছিল এর ফলে। তারপর একে একে সমস্ত সখীরা, রাধাকৃষ্ণকে দোলনায় বসিয়ে দোল খাইয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু ঝুলনযাত্রা। সাধারণভাবে ঝুলনে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে দোল খাওয়ানোর রীতি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nag Panchami 2024: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    Nag Panchami 2024: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয় নাগ পঞ্চমী। এ বছর আজ, ৯ অগাস্ট শুক্রবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী (Nag Panchami 2024)। সনাতন ধর্মে, নাগ দেবতাকে ভগবান ভোলানাথের অত্যন্ত প্রিয় বলে মনে করা হয়। এই বিশেষ দিনে তাই নাগ দেবতার পুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে যে নাগ পঞ্চমীতে নাগ দেবতার পুজো করলে ভগবান শিব অত্যন্ত প্রসন্ন হন এবং ব্যক্তি জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করেন।

    তিথি ও পুজোর সময় (Nag Panchami 2024)

    ৯ অগাস্ট সকালেই শুরু হয়ে গিয়েছে তিথি। পঞ্জিকা অনুসারে, পুজোর শুভ সময় সকাল ৫টা ৪৭ মিনিট থেকে ০৮টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত রয়েছে। দুপুরে পুজোর শুভ সময় হবে দুপুর ১২টা ১৩ মিনিট থেকে ১টা পর্যন্ত। সন্ধ্যা বেলায় পুজোর সময় ০৬টা ৩৩ মিনিট থেকে রাত ০৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত।

    নাগ পঞ্চমীর (Nag Panchami 2024) পৌরাণিক আখ্যান

    হিন্দু ধর্মের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব হল নাগ পঞ্চমী। প্রসঙ্গত শুধুমাত্র ভারতেই নয়, পার্শ্ববর্তী নেপালেও পালন হয় এই উৎসব। নাগপঞ্চমী ঘিরে রয়েছে বেশ কিছু পৌরাণিক কাহিনীও। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণ একবার যমুনা নদীর ধারে খেলছিলেন। এমন সময়ে শ্রীকৃষ্ণ নদীতে পড়ে যান এবং কলিঙ্গ নামের একটি সাপ তাঁকে জাপটে ধরে। নিজেকে বাঁচানোর জন্য কঠিন লড়াই শুরু করেন ভগবান। কলিঙ্গ সাপ বুঝে যায় যে শ্রীকৃষ্ণ কোনও সাধারন শিশু নয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মারে কলিঙ্গ সাপের তখন বেসামাল অবস্থা। কলিঙ্গ সাপ এরপর শ্রীকৃষ্ণকে অনুরোধ করেন, তাঁকে হত্যা না করার জন্য। শ্রীকৃষ্ণ আশ্বাস দেন এবং কলিঙ্গ সাপকে ছেড়ে দেন। এর পাশাপাশি ওই সাপকে তিনি বলেও দেন যে সাধারণ মানুষের কোনও রকম ক্ষতি না করার জন্য। সাধারণভাবে নাগ পঞ্চমী শ্রীকৃষ্ণের বিজয়কেই চিহ্নিত করতে উদযাপিত হয়, বলে বিশ্বাস করেন অনেক ভক্ত।

    বৃষ্টি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয় নাগদেবতার কাছে

    হিন্দু ধর্মে এই দিন গোবর দিয়ে সাপের প্রতিকৃতি বানানোর প্রথা দেখা যায়। নাগ পঞ্চমীর দিন বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে গোবর দিয়ে সাপের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়। সনাতন ধর্মে, নাগ দেবতাকে জল এবং খাদ্যের দেবতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গোবর দিয়ে তৈরি সাপ রূপী নাগ দেবতার পুজো করা হয় এবং বৃষ্টি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয় তাঁর কাছে।

    শিব ও পার্বতীকেও এইদিন পুজো করা হয়

    নাগ দেবতা (Nag Panchami 2024) শিবের (Lord Shiva) গলায় অবস্থান করেন। নাগ পঞ্চমীর এই বিশেষ দিনে শিব ও পার্বতীকেও পুজো করা হয় বেশ কিছু জায়গায়। ভক্তদের বিশ্বাস, এর ফলে পরিবারে সুখের আগমন ঘটে। এর সঙ্গে ইতিবাচক শক্তিও সঞ্চারিত হয় মনে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গোবর দিয়ে তৈরি সাপের প্রতিকৃতি ঘরে মঙ্গল বয়ে আনে। এটি তৈরি করলে ঘরে কখনও সাপের ভয় থাকে না।

    নাগ দেবতাকে সম্পদ ও শস্যের দেবতাও মনে করা হয়

    নাগ দেবতাকে সম্পদ ও শস্যের দেবতাও মনে করা হয়। বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে একটি নাগদেবতার প্রতিকৃতি তৈরি করলে গৃহে সমৃদ্ধি আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। শুধু তাই নয়, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মূল দরজায় সাপের প্রতিকৃতি তৈরি করলে ঘরে প্রবেশকারী সমস্ত মানুষের উপর নাগ দেবতার আশীর্বাদ থাকে। এছাড়া মূল ফটকে সাপের প্রতিকৃতি তৈরি করলে ভগবান শিবেরও (Lord Shiva) আশীর্বাদ মেলে বলে ভক্তদের বিশ্বাস।

    পশ্চিমবঙ্গ বাদে অন্যত্রও হয় নাগ পঞ্চমী উৎসব

    শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, মহারাষ্ট্র কেরল সর্বত্র এই উৎসব দেখা যায়। মহারাষ্ট্রে এই দিন থালায় করে সাপ নিয়ে গৃহস্থের দরজায় দরজায় যাওয়ার রীতি রয়েছে। অন্যদিকে, কেরলেও একইভাবে সাপের মূর্তি পুজো করার রীতি দেখা যায়। অনেক জায়গাতে ভারতবর্ষে কাদা ও বালির তৈরি সাপের মূর্তিও পুজো করা হয়। নাগ দেবতাকে দুধ, ধান, দুর্বা অর্পণ করা হয়। হিন্দুদের বিশ্বাস রয়েছে, দেবাদিদেব মহাদেবের গলায় জড়িয়ে থাকে নাগ দেবতা, তাই সেই নাগ দেবতাকে খুশি করলে সুফল পাওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shravan Somvar: অল্পতেই সন্তুষ্ট হন মহাদেব, শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার কীভাবে পালন করবেন?

    Shravan Somvar: অল্পতেই সন্তুষ্ট হন মহাদেব, শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার কীভাবে পালন করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাসকে (Shravan Somvar) মনে করা হয় মহাদেবের অতি প্রিয় মাস। শ্রাবণ মাসে শিব ভক্তরা প্রতি সোমবারেই দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশে পূজা অর্পণ করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, মহাদেবের (Mahadev) আশীর্বাদে দূর হয় জীবনের যাবতীয় সমস্যা ও বাধা বিঘ্ন। জীবনে নেমে আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। শাস্ত্র বিশারদরা বলেন, শ্রাবণ মাসের সোমবার পালনের সময় বিশেষ কিছু রীতি পালন করলে সন্তুষ্ট হন মহাদেব। রয়েছে বিশেষ কিছু পুজোর পদ্ধতিও। তাই শ্রাবণ মাসের সোমবারে (Shravan Somvar) ভগবান শিবের পুজো অত্যন্ত ফলদায়ক ও শুভ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষীরা বলছেন, যদি কারও কুণ্ডলীতে বিবাহের যোগ না থাকে বা বিবাহে বাধা আসে, তাহলে শ্রাবণ মাসের সোমবার পালনে সে বাধা কেটে যায়। শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবারে কীভাবে করবেন পুজো? সে নিয়েই আজকে আমাদের প্রতিবেদন।

    শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবারের (Shravan Somvar) পুজো পদ্ধতি

    ১) চলতি বছর শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার (Shravan Somvar) ২২ জুলাই। সোমবার সকালে স্নান করার পরে শিবের মন্দিরে যান। এক্ষেত্রে খালি পায়ে মন্দিরে যেতে পারলে ভালো হয়। জল ভর্তি পাত্র বাড়ি থেকে জল নিয়ে যান। মন্দিরের শিবলিঙ্গে তা অর্পণ করুন। ১০৮ বার শিব মন্ত্র জপ করুন। দিনে অন্ন গ্রহণ না করাই ভালো, শুধু ফল খান। সন্ধ্যায় আবার দেবাদিবের মন্ত্রগুলি জপ করুন। 

    ২) ভগবান শিবকে (Mahadev) খুশি করতে শ্রাবণ মাসের সোমবার শিবলিঙ্গে বিভিন্ন সামগ্রী নিবেদন করুন। গঙ্গাজল, বেলপাতা, ধুতুরা ফুল, ভাঙ, কর্পুর, দুধ, রুদ্রাক্ষ ভস্ম নিবেদন করুন। জ্যোতিষীরা বলছেন এই জিনিসগুলো অর্পণ করলে ব্যক্তির সৌভাগ্য জাগ্রত হয়।

    ৩) শিবের মাথায় জল ঢালার পর বেলপাতা, ধুতুরা ও আকন্দর মালা নিবেদন করতে হবে। প্রদীপ জ্বালিয়ে করতে হবে আরতি। পুজো শেষে উপোস ভাঙতে পারেন ফল খেয়ে। ভক্তি দিয়ে পুজো করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয় এবং বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি আসে।

    কী কী করবেন না

    ১) শিবলিঙ্গে কখনই হলুদ, সিঁদুর, তুলসী, ডাল, কুমকুম, তিল, চাল, লাল ফুল, শঙ্খ সহ গঙ্গাজল অর্পণ করা উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    ২) শিবলিঙ্গ কখনও প্রদক্ষিণ করবেন না। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাদেব তাঁকে প্রদক্ষিণ করা পছন্দ করেন না। তাই শিবলিঙ্গ বা মহাদেবের মূর্তিকে ভুলেও প্রদক্ষিণ করবেন না।

    ৩) মহাদেবের আরাধনায় বেলপাতা জরুরি হলেও সোমবার ভুলেও বেলপাতা ছিঁড়বেন না। আপনি সোমবার পুজো করলে আগের দিন বেলপাতা গাছ থেকে তুলে রাখুন।

    ৪) শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে জল এবং দুধ ঢালতে হয়। কিন্তু তার জন্য ভুলেও স্টিল বা তামার পাত্র থেকে শিবলিঙ্গে জল দেবেন না। কেবলমাত্র পেতলের পাত্র থেকেই শিবলিঙ্গে জল ঢালুন।

    ৫) উপবাসের সময় ভুলেও দুধ খাবেন না। শ্রাবণ মাসে মহাদেবকে দুধ নিবেদন করুন, শিবলিঙ্গে দুধ ঢালুন। এর ফলে কোষ্ঠী থেকে চন্দ্র দোষ দূর হবে এবং মনের অশান্তি কমবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Shravan Festival 2024: শুরু হয়েছে শ্রাবণ, মহাদেবের প্রিয় মাসে কী কী উৎসব রয়েছে?

    Shravan Festival 2024: শুরু হয়েছে শ্রাবণ, মহাদেবের প্রিয় মাসে কী কী উৎসব রয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী দেবাদিদেব মহাদেবের (Mahadev) প্রিয় মাস হিসেবে গণ্য করা হয় শ্রাবণ মাসকে (Shravan Festival 2024)। শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক সোমবারে ভগবান শিবের উদ্দেশে পূজা অর্পণ করেন ভক্তরা। জ্যোতিষীরা জানাচ্ছেন, শ্রাবণ মাসের যে কোনও দিনেই শিবের পুজো করলে ফল লাভ হয়। অর্থাৎ দেবাদিদেবের আশীর্বাদ পেতে আলাদা করে সোমবারে উপাসনা করার কোনও প্রয়োজন নেই। ২০২৪ সালের শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার ২২ জুলাই। শ্রাবণ মাস চলবে ২০২৪ সালের ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত, সেদিনটিও সোমবার। তাই শিব ভক্তদের জন্য চলতি বছরের শ্রাবণ মাস (Shravan Festival 2024) খুবই পবিত্র হতে চলেছে বলে মনে করছেন ধর্মশাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। শ্রাবণ মাসে ভগবান শিবের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন উৎসবে পালিত হয় দেশজুড়ে। যেমন, শ্রাবণ সোমবার উপবাস, হিন্দি বলয়ের উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসব কানওয়ার যাত্রা, শ্রাবণ মাসের শিবরাত্রি (Mahadev), নাগপঞ্চমী, মঙ্গলা গৌরী উপবাস ইত্যাদি। 

    এক নজর আমরা দেখে নেব শ্রাবণ মাসের উৎসবের (Shravan Festival 2024) দিনগুলি

    ২২ জুলাই, সোমবার – প্রথম শ্রাবণ সোমবার

    ২৩ জুলাই, মঙ্গলবার – প্রথম মঙ্গলা গৌরীর ব্রত

    ২৪ জুলাই, বুধবার – গজানন সংকষ্টী চতুর্থী

    ২৭ জুলাই, শনিবার – কালাষ্টমী এবং মাসিক কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী

    ২৯ জুলাই, সোমবার – দ্বিতীয় শ্রাবণ সোমবার

    ৩০ জুলাই, মঙ্গলবার – দ্বিতীয় মঙ্গলা গৌরীর ব্রত

    ৩১ জুলাই, বুধবার – কামিকা একাদশী

    ০৫ অগাস্ট, সোমবার – তৃতীয় শ্রাবণ সোমবার

    ০৬ অগাস্ট, মঙ্গলবার – তৃতীয় মঙ্গলা গৌরী ব্রত এবং মাসিক দুর্গাষ্টমী

    ০৮ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার – বিনায়ক চতুর্থী

    ০৯ অগাস্ট, শুক্রবার – নাগ পঞ্চমী

    ১২ অগাস্ট সোমবার – চতুর্থ শ্রাবণ সোমবার

    ১৩ অগাস্ট মঙ্গলবার – চতুর্থ মঙ্গলা গৌরী ব্রত এবং মাসিক দুর্গাষ্টমী

    ১৬ অগাস্ট, শুক্রবার – পুত্রদা একাদশী

    ১৯ অগাস্ট, সোমবার – রাখী বন্ধন এবং পঞ্চম শ্রাবণ সোমবার

    দাম্পত্য জীবন সুখের হয় মঙ্গলা গৌরী ব্রত পালনে

    ভক্তদের বিশ্বাস, শ্রাবণ মাসের (Shravan Festival 2024) সোমবারে ভগবান শিবের পূজা করলে জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তি দূর হয়। জীবনে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি নেমে আসে। এর পাশাপাশি মঙ্গলা গৌরী ব্রতের দিন পুজো করা হয় দেবী পার্বতীর। এই দিন দেবী পার্বতীকে সন্তুষ্ট করলে জীবনে চলার পথ মসৃণ হয় বলে মনে করেন ভক্তরা। এর পাশাপাশি এই পুজোতে দাম্পত্য জীবন সুখের হয় বলে বিশ্বাস রয়েছে। শ্রাবণ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালন করা হয় নাগপঞ্চমীর উৎসব। নাগপঞ্চমীর দিন সর্প দেবতার পুজো করেন ভক্তরা, এতে আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জিত হয় বলে মনে করা হয়। এছাড়াও কুণ্ডলীতে যদি সর্পদোষ থাকে তাহলে সেখান থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basanti Puja 2024: চলতি বছরে বাসন্তী পুজো কবে? জেনে নিন পৌরাণিক আখ্যান

    Basanti Puja 2024: চলতি বছরে বাসন্তী পুজো কবে? জেনে নিন পৌরাণিক আখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র মাসের দুর্গা পুজো নামে পরিচিত বাসন্তী পুজো (Basanti Puja 2024)। শ্রী শ্রী চণ্ডীতে দুর্গার প্রথম পুজারী হিসেবে রাজা সুরথের নাম পাওয়া যায়। চলতি বছরে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি পড়ছে ৮ এপ্রিল বেলা ২টো ১১ মিনিট থেকে। কিন্তু উদয়া তিথি মেনে নবরাত্রির ঘট স্থাপন হবে ৯ এপ্রিল। সেই হিসেবে ২০২৪ সালে ৯ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে চৈত্র নবরাত্রি। নবরাত্রির অবসান হবে ১৭ এপ্রিল। পুরো ৯ দিন ধরে চলবে চৈত্র নবরাত্রি পালন।

    দেবীর আগমন ঘোটকে

    শাস্ত্র মতে, দেবীর আসা ও যাওয়ার বাহনের উপর নির্ভর করে গোটা বছর কেমন কাটতে চলেছে মর্ত্যবাসীর। দেবী দুর্গা কোনও বছর ঘোড়া, কোনও বছর হাতি, আবার কোনও বছর নৌকায় আসেন। চলতি বছরে চৈত্র নবরাত্রিতে দেবীর আগমন (Basanti Puja 2024) হবে ঘোটক বা ঘোড়ায়। ঘোড়ায় চড়ে দেবীর মর্ত্যে আগমন জ্যোতিষ অনুসারে শুভ লক্ষণ হিসাবে মানা হয় না। এর ফলে ক্ষমতার পরিবর্তন ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

    রামনবমীর তিথি 

    ২০২৪ সালে ১৬ এপ্রিল পড়ছে রামনবমীর তিথি। ওই দিন দুপুর ১টা ২৩ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে রামনবমীর তিথি। আর তিথি চলবে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৭ এপ্রিল দুপুর ৩টে ১৪ মিনিটে শেষ হচ্ছে রামনবমীর তিথি। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে উদয়া তিথিতে এই উৎসব (Basanti Puja 2024) পালিত হয়। সেই নিয়মেই ১৭ এপ্রিল রামনবমীর তিথি পালিত হবে।

    দুর্গা পুজোর পৌরাণিক আখ্যান

    একবার রাজা সুরথ প্রতিবেশী রাজ্যের আক্রমণে পরাজিত হন, এই সুযোগে তাঁর সভাসদরা লুঠপাঠ চালায়। নিজের লোকেদের এমন আচরণে তিনি হতাশ হয়ে যান। এই সময় তিনি নিরাশ হয়ে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে ঋষি মেধসের আশ্রমে পৌঁছান। ঋষি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন। কিন্তু রাজার মনে কোনও শান্তি ছিল না। এর মধ্যে একদিন তাঁর সঙ্গে সমাধি বলে একজন বৈশ্যর দেখা হয়। সুরথ জানতে পারেন সমাধিকেও তাঁর স্ত্রী ও ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, তবুও তিনি বউ ছেলের ভালো-মন্দ এখনও ভেবে চলেছেন। এমন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে কী করণীয়? ঋষির কাছে তা জানতে চান দুজনেই। ঋষি মহামায়ার আরাধনা করতে বলেন। সেই মতো রাজা বসন্তকালের শুক্লপক্ষে দেবী দুর্গার পুজো শুরু করেন। সেই সময় থেকে শুরু হয়েছিল বাসন্তী পুজো (Basanti Puja 2024)। এরপরেই রাজা সুরথ নিজের রাজ্য ফিরে পান। বৈশ্য সমাধি ফিরে পান নিজের পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maha Shivratri 2024: অল্পতেই সন্তুষ্ট হন মহাদেব, শিবরাত্রির চার প্রহরের পুজোয় মেলে বিশেষ ফল

    Maha Shivratri 2024: অল্পতেই সন্তুষ্ট হন মহাদেব, শিবরাত্রির চার প্রহরের পুজোয় মেলে বিশেষ ফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সন্ধ্যা থেকেই শিবরাত্রি উপলক্ষে মেতে উঠবেন ভক্তরা। দুধ, গঙ্গাজল, ধুতুরা ফুল, বেল পাতা এসব কিছুই অর্পণ করা হবে দেবাদিদেব মহাদেবের (Maha Shivratri 2024) উদ্দেশে। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, শঙ্কর ভগবান স্বল্পতেই সন্তুষ্ট হন। চতুর্দশী তিথি শুরু হচ্ছে শুক্রবার রাত আটটার দিকে। থাকবে শনিবার বিকেল পর্যন্ত। অর্থাৎ শিবরাত্রি তিথির রাত্রিকালীন সময় পড়ছে শুক্রবারে। যে কারণে ভক্তরা শুক্রবার রাতেই শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে পারেন। পুজো দিতে পারেন। যাঁরা বৈষ্ণব বা গোস্বামী মতে পুজো করেন, তাঁদের জন্য শিবরাত্রি পালনের সময় শনিবার। কারণ এই মতে তিথি শুরু হয় সূর্যোদয়ের পর থেকে। ফলে তাঁরা শনিবার শিবলিঙ্গের অভিষেক করবেন।

    চার প্রহরে শিবের পুজো বিশেষ ফলদায়ী

    শাস্ত্র অনুযায়ী, শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2024) তিথিতে চার প্রহরে শিব পুজোয় বিশেষ মাহাত্ম্য থাকে। এই সময়ের মধ্যে দেবাদিদেবের আরাধনায় সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পায় ভক্তরা। 

    প্রথম প্রহর: চার প্রহরে মধ্যে শিবরাত্রির (Maha Shivratri 2024) প্রথম প্রহরে শিবের ঈশান সরূপের পুজো করা হয়। এই সময়ের মধ্যে দুধ দিয়ে শিবের অভিষেক করা হয়। সাধারণভাবে সন্ধ্যাবেলায় হয় প্রথম প্রহরের পুজো। এই সময়ে দুধ এবং জল দিয়ে শিবের অভিষেক করা হয়।

    দ্বিতীয় প্রহর: দ্বিতীয় প্রহরের পুজোতে শিবের অঘোর রূপের আরাধনার প্রচলন রয়েছে। এ সময়ে দই দিয়ে অভিষেক করার পরে জলাভিষেক করা হয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সময় শিব পুজো করলে ব্যক্তি ধন সমৃদ্ধি লাভ করে।

    তৃতীয় প্রহর: অন্যদিকে তৃতীয় প্রহরে ঘি দিয়ে শিবের পুজো করা হয়। এই প্রহরে শিব স্তুতি বিশেষ ফলদায়ী বলেই মনে করেন শাস্ত্রকাররা। নিশীথকালে এই প্রহরের পুজো হয়।

    চতুর্থ প্রহর: এই প্রহরে মধু দিয়ে শিবের সদ্যোজাত স্বরূপের পূজা করা হয়। চতুর্থ প্রহরে মধু নিবেদনের পরে জলাভিষেক করতে হয়। মনে করা হয় চতুর্থ প্রহরের পুজো মোক্ষলাভকেই সম্প্রসারিত করে। ভোররাত তিনটে থেকে সকাল ছটার মধ্যে চতুর্থ প্রহরের পুজো অনুষ্ঠিত হয়।

    কোন প্রহরের পুজো কখন হবে?

    প্রথম প্রহর- সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট থেকে রাত ৯টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত

    দ্বিতীয় প্রহর- রাত ৯টা ২৮ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত

    তৃতীয় প্রহর- মাঝরাত ১২টা ৩১ মিনিট থেকে ভোররাত ৩টে ৩৪ মিনিট পর্যন্ত

    চতুর্থ প্রহর- ভোররাত ৩টে ৩৪ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Makar Sankranti 2024: আজ ‘মকর সংক্রান্তি’, জানুন এই পুণ্য তিথির মাহাত্ম্য

    Makar Sankranti 2024: আজ ‘মকর সংক্রান্তি’, জানুন এই পুণ্য তিথির মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার মকর সংক্রান্তি বা পৌষ সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2024)। সারা দেশজুড়েই পালন করা হয় এই উৎসব। মকর সংক্রান্তির দিন থেকে নতুন চাষ শুরুও হয় সারা দেশে। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আলাদা আলাদা নামে উৎসবটির উদযাপন চলে।  তামিলনাডুতে উৎসবটির নাম ‘পোঙ্গল’। পাঞ্জাবে উৎসবটির নাম ‘লোহরি’। চলতি বছরে অবশ্য লোহরির একদিন পরে পালন করা হচ্ছে মকর সংক্রান্তি। উত্তরপ্রদেশে এই উৎসব ‘খিচড়ি উৎসব’ নামে পরিচিত। এদিন ভক্তরা গঙ্গাস্নান করেন। মাঘ মেলার শুরু হয় সেখানে। গুজরাটে এদিন ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি দেখা যায়, বড়রা ছোটদের উপহার দেয়। গুজরাটে এই উৎসব ‘উত্তরায়ণ’ নামে প্রসিদ্ধ। অসমে, মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2024) উৎসব ‘মাঘ বিহু’ এবং ‘ভোগালী বিহু’ নামে পরিচিত। মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti 2024) সূর্য দক্ষিণায়ন থেকে উত্তরায়ণে যায়। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে দক্ষিণায়ণ হল দেবতাদের রাত এবং উত্তরায়ণ হল দেবতাদের দিন। এই দিনে পুজো ও দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, এই দিনে দান করলে এর ফল বহুগুণ হয়।

    মকর সংক্রান্তি পৌরাণিক কথা

    মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2024) দিনটি নিয়ে নানারকম পৌরাণিক ব্যাখ্যা রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, শনি মহারাজ সূর্যদেবের সন্তান। কিন্তু কৃষ্ণবর্ণ হওয়ায় শনি মহারাজ ও স্ত্রী ছায়াকে ত্যাগ করেন সূর্যদেব। এর পর এক সময় তিনি (সূর্য) কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হন। সেই সময় তাঁর আরেক স্ত্রী সঞ্জনার সন্তান যমরাজ উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন পিতার অসুখে। যমরাজের চেষ্টায় সূর্যদেবের কুষ্ঠ সেরে যায়। সূর্যদেব সুস্থ হতেই তাঁর সমস্ত জ্যোতি গিয়ে পড়ে মকরের উপর। সেখানেই থাকতেন তাঁর ত্যাজ্য স্ত্রী ছায়া ও সন্তান শনিদেব। তাঁদের বাড়িঘর পুড়ে যায় সেই তেজে। সৎমা ও সৎভাইয়ের এই অবস্থা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যমরাজ। তিনি সূর্যদেবের কাছে গিয়ে অনুরোধ করেন তাঁদের ক্ষমা করতে। এই সময় সূর্যদেব এগিয়ে যান সেই উদ্দেশ্যেই (ক্ষমা করতে)। সেই সময় সব পুড়ে গেলেও শনিদেবের ঘরে কিছু তিল অবশ্য বাকি ছিল। ঘরে রাখা সেই তিল দিয়েই তিনি সূর্যদেবকে বরণ করে নেন। শনিদেবের এই শ্রদ্ধা নিবেদন দেখে তুষ্ট হন পিতা সূর্যদেব। সেই সময় তিনি একটি নতুন ঘর দেন শনিদেবকে। যার নাম ‘মকর’। এর পর সন্তানের সেই ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। সেই ক্ষণকেই মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti 2024) সূচক বলে মনে করা হয় হয়। মনে করা হয়, এই দিনই রাজা সগরের ষাট হাজার মৃত পুত্রের প্রাণ দানের কারণে গঙ্গাদেবীর মর্ত্যে তথা কপিল মুনির আশ্রমে আগমনের তিথি এই মকর সংক্রান্তি।   

    জ্যোতিষশাস্ত্র ও ভূগোলে মকর সংক্রান্তি

    জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, সূর্য প্রত্যেক রাশিতে এক মাস অর্থাৎ ৩০ দিন করে অবস্থান করে। রাশিচক্রে মোট ১২টি রাশির অবস্থান রয়েছে। প্রত্যেক রাশি ৩০ ডিগ্রি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রত্যেক ৩০ ডিগ্রি অন্তর রাশির পরিবর্তনকাল বিভিন্ন সংক্রান্তি হিসাবে চিহ্নিত।  বাংলার প্রথম মাস বৈশাখে সূর্য অবস্থান করে মেষ রাশিতে, জ্যৈষ্ঠ মাসে বৃষ রাশিতে। এইরূপে ধনু রাশিতে ৩০ দিনের অবস্থানের পর মকর রাশিতে গমনকাল ‘মকর সংক্রান্তি’ নামে পরিচিত। এই তিথি ‘উত্তরায়ণ সংক্রান্তি’ (Makar Sankranti 2024) নামেও পরিচিত। মকর সংক্রান্তি থেকে দিনের দৈর্ঘ্য বড় হতে থাকে। তাই দিনটির ভৌগোলিক গুরুত্বও রয়েছে।

    মকর সংক্রান্তির উদযাপন

    মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti 2024) দিন সাধারণত সূর্যদেবতার উপাসনা করা হয়। এই দিন ভক্তরা নদী, সমুদ্রে স্নান করে শুদ্ধ হন। এরপর ভক্তরা সূর্য দেবতার কাছে মন্ত্রপাঠ করে প্রার্থনা করেন। সংক্রান্তির বিশেষ ক্ষণে দানধ্যানের মতো পুণ্যকর্ম করার প্রচলনও রয়েছে। তিল, গুড়, দিয়ে পিঠে পুলি, সন্দেশ তৈরির রীতি তো রয়েছেই। এই দিন তিলের সন্দেশ তৈরি করার পিছনে বিশেষ কারণ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share