Tag: Hindu Tribal Youth Kill

  • Gujarat: গরু জবাই করতে অস্বীকার! কুপিয়ে হত্যা আদিবাসী হিন্দু যুবককে

    Gujarat: গরু জবাই করতে অস্বীকার! কুপিয়ে হত্যা আদিবাসী হিন্দু যুবককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু জবাই করতে অস্বীকার! এরপর উত্তেজিত মুসলিম জনতা আদিবাসী হিন্দু যুবককে নির্মম ভাবে খুন করেছে। ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের (Gujarat) নভসারির দাভেলে। মৃতের নাম দীপক কালিদাস রাঠোড়, ইতিমধ্যে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে। তাতেই স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে এলাকার মুসলিম যুবকেরা ব্যাপক ভাবে ওই আদিবাসী যুবককে মারধর করে এবং এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এই ঘটনাই প্রমাণ করে ভারতের বাইরে শুধু নয়, ভারতের অভ্যন্তরেও হিন্দু (Hindu Tribal Youth Kill) নির্যাতন লাগাতার চলছে।

    দীপকের প্রতি চরম অসন্তোষ (Gujarat)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দীপক যখন কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই রাস্তায় এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ শুরু করেছে। তবে এই মৃত্যুর মামলায় খুনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। দীপক প্রায় একবছর আগে দাভেল (Gujarat) গ্রামের বাসিন্দা শওকত উসমান একলওয়ায়ার বাড়িতে কাজ করতেন। কাজের জন্য ঠিকঠাক বেতন দেওয়া হতো না এবং বারবার গরু জবাই করার জন্য চাপ দেওয়া হতো দীপককে। তবে তিনি তা করতে অস্বীকৃতি জানান এবং চাকরিও ছেড়ে দেন। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর, তিনি গরু-মহিষ লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহের কাজ শুরু করেন। তবে পরিবারের দাবি, কাজ না করার বিষয়ে শওকত উসমান ভীষণ ভাবে ক্ষুব্ধ ছিলেন। দীপকের প্রতি চরম অসন্তোষ ছিল এবং শেষে তাঁকে হত্যা (Hindu Tribal Youth Kill) করে।

    কুড়াল বের করে তাঁর উপর আঘাত

    মৃত্যুর আগে, দীপকের একটি ভিডিও বিবৃতি রেকর্ড করা। সেখানে স্পষ্ট ভাবে দীপক বলেন, “গরু জবাই করার কাজ না করায়, আমাকে দীর্ঘ দিন ধরে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এরপর আমার সঙ্গে শত্রুতা শুরু হয়। একাধিকবার আক্রমণও করা হয়।” তবে খুনের দিন ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬:৩০ টার দিকে দীপক কাজ শেষ করে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন, ঠিক সেই সময় রাস্তার ধারে একটি কবরস্থানের কাছে তাঁকে ঘিরে ধরে কিছু মুসলিম যুবক। এরপর তাঁর পথ আটকে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চলে গালিগালাজ। মৃত্যুর হুমকিও বারবার দেওয়া হয়েছিল। নিচু জাতের মানুষ উল্লেখ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও দেওয়া হয়। পুলিশের (Gujarat) এফআইআরে হাসান শওকত একলওয়ায়া এবং হুসেন মোহাম্মদ একলওয়ায়া সহ বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত মুসলিম যুবকের নাম আক্রমণকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমে হুসেন এবং অন্যান্যরা দীপককে চেপে ধরে, এরপর অপর দিকে হাসান সাইকেল থেকে একটি কুড়াল বের করে তাঁর উপর আঘাত করে। কুড়ালের আঘাতে দীপকের বুকে এবং পায়ে গুরুতর ক্ষত হয়ে যায়। ব্যাপক পরিমাণে রক্তক্ষরণও (Hindu Tribal Youth Kill) হয়।

    ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের

    দীপক সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে তাঁর স্ত্রী, বাবা এবং অন্যান্য গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে (Gujarat) ছুটে আসেন । এরপর স্থানীয়দের জড়ো হতে দেখে আক্রমণকারীরা পালিয়ে যায়। শেষে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয় এবং দীপককে গুরুতর অবস্থায় নভসারী সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীপকের (Hindu Tribal Youth Kill) জবানবন্দি রেকর্ড করে। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থার অবনতি ঘটে এবং পরে তিনি হাসপাতালেই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর, পুলিশ এফআইআর-এ ৩০২ (হত্যা) ধারা যুক্ত করে।

    আগেও গরুর মাংস নিয়ে বিতর্ক

    দাভেল (Gujarat) এর আগে ২০২৩ সালে গরুর মাংস নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসে। মারোলি পুলিশ আহমেদ মোহাম্মদ সুজানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন। সেখানে গ্রামে একটি স্ন্যাকস্‌ সেন্টার চালাতেন অভিযুক্ত। অভিযানে জানা গিয়েছে মুরগি ও খাসির মাংসের সিঙ্গারার আড়ালে গরুর মাংস ভর্তি করে বিক্রি করতেন। খোদ পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জানিয়েছে, এই সুজান প্রায় চার বছর ধরে গরুর মাংসের সিঙ্গারা বিক্রি করছিলেন। গ্রামের মুসলিম এবং আশেপাশের এলাকার হিন্দু উভয়ই গরুর মাংসের সিঙ্গারা খেয়েছিল। না জানিয়ে জোর করে গরুর মাংস খাওয়ানো এবং ধর্ম ভ্রষ্টের কুচক্রান্তের দায়ে আহমেদ মোহাম্মদ সুজানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এলাকার হিন্দু জনমানসের মনে প্রবল পরিমাণে অসন্তোষ এবং ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এরপর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

LinkedIn
Share