Tag: hindu

hindu

  • India Hindu Population: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমেছে ৮ শতাংশ, তরতরিয়ে বেড়েছে সংখ্যালঘুরা

    India Hindu Population: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমেছে ৮ শতাংশ, তরতরিয়ে বেড়েছে সংখ্যালঘুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যাগুরু হিন্দুদের সংখ্যা (India Hindu Population) দ্রুত কমছে। আর যারা সংখ্যালঘু তাদের বংশলতিকা বাড়ছে বর্ষার লবঙ্গলতিকার মতো। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে ভারতের জনসংখ্যার এই ছবি। প্রধানমন্ত্রীর ইকনোমিক অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের (EAC-PM Study) প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতে সংখ্যাগুরু হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে ৭.৮ শতাংশ। অথচ এই সময়সীমায় ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে সংখ্যাগুরু (পড়ুন মুসলমান) জনসংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

    বেড়েছে সংখ্যালঘু (India Hindu Population) 

    কেবল প্রতিবেশী দেশগুলিতে নয়, ভারতেও যেখানে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে, সেখানেও সংখ্যালঘু মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং শিখ সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বাড়ছে। আর উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে জৈন ও পার্শিদের সংখ্যা। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ এই পঁয়ষট্টি বছরে (India Hindu Population) ভারতে মুসলমান জনসংখ্যার হার বেড়েছে ৪৩.১৫ শতাংশ। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বেড়েছে ৫.৩৮ শতাংশ। জনসংখ্যা বেড়েছে শিখ এবং বৌদ্ধদেরও। শিখদের জনসংখ্যা বেড়েছে ৬.৫৮ শতাংশ। বৌদ্ধদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সামান্য।

    কমেছে হিন্দুর হার

    সংখ্যালঘুদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তার চেয়ে তুলনায় ঢের কমছে সংখ্যাগুরু হিন্দু জনসংখ্যা (India Hindu Population)। ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ এই পর্বে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার ভাগ ৮৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭৮ শতাংশ। এই সময় মুসলমানদের ভাগ ৯.৮৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪.০৯ শতাংশ। ভারতে হিন্দুদের জনসংখ্যা যে হারে কমছে, সেদিক থেকে ভারতের স্থান হয়েছে পড়শি দেশ মায়ানমারের পরেই। এখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ১০ শতাংশ। ভারতে এই হার ৭.৮ শতাংশ। হিন্দুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ নেপালেও। এখানেও হিন্দুরাই সংখ্যা গরিষ্ঠ। তবে তাদের বৃদ্ধির হার মাত্রই ৩.৬ শতাংশ। যে রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব বলা হচ্ছে, তা সংগ্রহ করা হয়েছে বিশ্বের ১৬৭টি দেশ থেকে। গবেষণাপত্রটির লেখকদের মতে, বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা কেবল নিরাপদেই রয়েছেন তা নয়, তাঁরা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে (India Hindu Population)।

    এগিয়ে বাংলাদেশ

    সংখ্যাগুরু হওয়া সত্ত্বেও ভারতে যেখানে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে, সেখানে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে সংখ্যাগুরু মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে তরতরিয়ে। সব চেয়ে বেশি বেড়েছে বাংলাদেশে। এদেশে মুসলমান বেড়েছে ১৮.৫ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে পাকিস্তান। সেখানে বেড়েছে ৩.৭৫ শতাংশ। এই তালিকার একেবারে শেষে রয়েছে আফগানিস্তান। সেখানে বেড়েছে মাত্রই ০.২৯ শতাংশ। গবেষণাপত্রটির লেখক শমিকা রবি, আব্রাহাম জোশ এবং অপূর্বকুমার মিশ্র। তাঁরা বলছেন, পাকিস্তানে হানিফ মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে ৩.৭৫ শতাংশ। এদেশে সামগ্রিকভাবে মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পরেও পাকিস্তানে অব্যাহত মুসলমান জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার। ভারতের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী মায়ানমার। সেখানে জনসংখ্যার হার কমেছে ব্যাপকভাবে। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ এই সময়সীমায় সে দেশে থেরাভাদা বৌদ্ধদের সংখ্যা কমে গিয়েছে ১০ শতাংশ। এদেশে এরাই সংখ্যাগুরু (India Hindu Population)। গবেষণায় জানা গিয়েছে, ভারত এবং মায়ানমারের পরে নেপালে সংখ্যাগুরু হিন্দুদের জনসংখ্যা কমেছে ৩.৬ শতাংশ।

    পিছিয়ে মলদ্বীপও

    ভারত মহাসাগরের বুকে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ। এখানেও মুসলমানেরাই সংখ্যাগুরু। তবে এঁরা সফি সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলমান। কমেছে এঁদের হারও। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে ১.৪৭ শতাংশ। ভারতের আরও দুই প্রতিবেশী দেশে বৌদ্ধরা সংখ্যাগুরু। এই দুই দেশের একটি হল ভুটান, অন্যটি শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের মে মাসে যে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ভুটানে বৌদ্ধ জনসংখ্যার হার বেড়েছে ১৭.৬ শতাংশ। আর শ্রীলঙ্কায় এই হার ৫.২৫ শতাংশ। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘুদের মোট জনসংখ্যার শেয়ারের পরিবর্তন থেকে ওই দেশের সংখ্যালঘুদের স্টেটাস কী, তা বোঝা যায়।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

    বিশ্বেও হ্রাস পাচ্ছে সংখ্যাগুরুরা

    ওই গবেষণা থেকে আরও জানা গিয়েছে, কেবল ভারতেই (India Hindu Population) নয়, গোটা বিশ্বেই কমছে সংখ্যাগুরুদের বৃদ্ধির হার। চিন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের কথা অবশ্য আলাদা। এই দেশগুলিতে ভারতের চেয়ে বেশি বেড়েছেন সংখ্যালঘুরা। বিশ্বের যে ১৬৭টি দেশে ধর্মীয় জনগণনা করা হয়েছিল, সেখানে গড়ে জনসংখ্যা কমেছে ২২ শতাংশ (১৯৫০-২০১৫ এই সময় সীমায়)। লাইবেরিয়ায় কমেছে ৯৯ শতাংশ। আর নাবিমিয়ায় বেড়েছে ৮০ শতাংশ। ১২৩টি দেশে সংখ্যাগুরুদের সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

    ভারতে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ

    কী কারণে ভারতে বাড়ছে সংখ্যালঘুরা? গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা যে নিরাপদেই রয়েছেন, এটা তার একটা বড় প্রমাণ। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সংখ্যাগুরুদের জনসংখ্যা হ্রাসের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রমাণ করে দেশের নীতি রয়েছে সঠিক পথে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও রয়েছে ঠিকঠাক। তার জেরেই জনসংখ্যা বাড়ছে সংখ্যালঘুদের। ভারতের যে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের বাতাবরণ রয়েছে, তাও যে সত্য, তা প্রমাণিত এ দেশে সংখ্যালঘুদের বাড়বাড়ন্তে (India Hindu Population)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Congress: হিন্দুত্ব-বিরোধী রাজনীতিই কাল হয়েছে কংগ্রেসের! অস্তিত্বের সঙ্কটে গান্ধীদের দল

    Congress: হিন্দুত্ব-বিরোধী রাজনীতিই কাল হয়েছে কংগ্রেসের! অস্তিত্বের সঙ্কটে গান্ধীদের দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের নেতা বদলেছে। তবে ‘চরিত্র’ বদলায়নি। তাই অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে ‘ইন্ডি’ জোটের সব চেয়ে বড় দল কংগ্রেস (Congress)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হিন্দু বিরোধী রাজনীতি করতে গিয়েই সর্বস্ব খুইয়ে অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে সোনিয়া গান্ধী-মল্লিকার্জুন খাড়্গের দল। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, চলতি লোকসভা নির্বাচনে কেবল কংগ্রেস নয়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর কাছে গোহারা হারতে চলেছে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত হওয়ার পর বিধানসভা নির্বাচনে হাতছাড়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের রাশ। তার পরেও দিব্যি তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে চলেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। রাজনৈতিক মহলের সিংহভাগের মতে, তার জেরেই সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে ইন্দিরা গান্ধির দলের।

    চিন্তন শিবিরের দাবি (Congress)

    দলের হাল ফেরাতে ২০২২ সালের মে মাসে রাজস্থানে দু’দিনের চিন্তন শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস (Congress) নেতারা। এই চিন্তন শিবিরের দ্বিতীয় দিনে উত্তরের নেতারা যা বলেছিলেন, তার নির্যাস হিন্দুত্বের লাইনে না ফিরলে দলের সমূহ বিপদ। উত্তরের এই প্রতিনিধিরা বলেছিলেন, কংগ্রেস নেতাদের উচিত ‘দহি হান্ডি’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা, বিভিন্ন রাজ্য এবং জেলা কংগ্রেস কমিটির দফতরে গণেশ মূর্তি স্থাপন করা এবং অবশ্যই নবদুর্গা উৎসবের আয়োজন করা। উত্তরের নেতাদের দমিয়ে দিয়েছিলেন জয়রাম রমেশের মতো কংগ্রেসের দক্ষিণী নেতারা। তাঁরা সাফ বলেছিলেন, ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। বিজেপি লাইন (হিন্দুত্বের লাইন) থেকে সরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলেও চিন্তন শিবিরে জানিয়েছিলেন এক প্রবীণ নেতা। কংগ্রেসের দক্ষিণী নেতারা নন, উত্তরের নেতারাই যে ঠিক বলেছিলেন, কংগ্রেসের ভোট ম্যানেজাররা তা টের পান রাজস্থান-সহ তিন রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর। তবে সরাসরি হিন্দুত্বের লাইনে না গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী দেশের বিভিন্ন মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন, ভারসাম্য বজায় রাখতে যোগ দিয়েছেন মুসলমানদের ইফতার পার্টিতেও।

    পার্টি লাইন নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছে অতীতেও

    এই পার্টি লাইন নিয়ে অতীতে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে মতদ্বৈততা প্রকাশ্যে এসেছিল তাঁরই শিষ্য জওহরলাল নেহরুরও। গান্ধি প্রায়ই বলতেন, “ধর্ম হল ধর্মনিরপেক্ষতার অবিচ্ছদ্য অঙ্গ। ধর্মহীন রাজনীতি আদতে ধুলো।” ওয়াকিবহালের মতে, এই সত্যটাই বুঝতে চাননি নেহরু। তারই মাশুল গুণছে দল। এক সময় যে দল রাজ করত দেশের সিংহভাগ রাজ্যে, এখন সেই দলটি পরিণত হতে চলেছে আঞ্চলিক দলে।

    কংগ্রেসের (Congress) এই দুর্দিন ঘুচবে কি?

    আরও পড়ুুন: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Temple Attacked: আগুন লাগানো হল কালী মন্দিরে! ফের বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা

    Bangladesh Temple Attacked: আগুন লাগানো হল কালী মন্দিরে! ফের বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা। এবারে ঘটনাস্থল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের (Bangladesh) ফরিদপুরের একটি মন্দিরে (Bangladesh Temple) আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর ক্ষিপ্ত জনতা হামলা চালায় মন্দিরের পাশে নির্মাণ কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের উপর। ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বাংলাদেশে হিন্দুমন্দিরে আগুন বা ভাংচুর নতুন ঘটনা নয়। দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য থাকে হিন্দু মন্দিরগুলিতে। ঘটনায় গোটা হিন্দু সমাজের মধ্যে ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

    মধুখালী উপজেলায় মন্দিরে আগুন (Bangladesh Temple)?

    ফরিদপুরের (Faridpur) মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী মূলত হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। সেখানে রয়েছে একটি কালী মন্দির (Kali Temple )। মন্দিরের পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল। সেখানেই শৌচাগার নির্মাণের কাজ করছিলেন কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক। স্থানীয়দের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তাঁরা দেখেন মন্দিরে আগুন (Bangladesh Temple) লেগে গিয়েছে। জানা গেছে, এর পরই কয়েকশ উন্মত্ত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলে থাকা ওই শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। ক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ নির্মাণ কাজে নিযুক্ত ওই দুষ্কৃতীরাই মন্দিরে আগুন লাগিয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    এপ্রসঙ্গে ফরিদপুরের ডিসি কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, “ওই ঘটনায় (Bangladesh Temple) দুজন শ্রমিক মারা গিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। হামলার পরেই আহতদের নিয়ে আসা হয় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই দুজনের। এই ঘটনায় হতাহতরা সবাই মধুখালী এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।”

    ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    এপ্রসঙ্গে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন সাংবাদিকদের বলেন,”খবর (Bangladesh Temple) পেয়েই আমরা সেখানে আসি। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি। পরে পুলিশ এবং প্রশাসনের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।”

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালির ছায়া বীরভূমে, বউ সুন্দরী না হলে মিলবে না প্রকল্পের সুবিধা!

    কিন্তু ওই মন্দিরে (Bangladesh Temple) কীভাবে আগুন লাগলো? কেউ কী সেখানে আগুন লাগিয়েছিল সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি সেখানের পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম। তবে সেখানে যাতে আর নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বিজিবি (Border Guard Bangladesh-BGB)। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindu Rituals: সনাতন ধর্মের যজ্ঞের আগুনেই জন্ম গণিত-বিজ্ঞান-কলাশাস্ত্রের বহু সূত্রের!

    Hindu Rituals: সনাতন ধর্মের যজ্ঞের আগুনেই জন্ম গণিত-বিজ্ঞান-কলাশাস্ত্রের বহু সূত্রের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতির যুগ। হিসেবি মানুষের ভিড়। তাই ইদানিং কোনও ধর্মীয় রীতি পালন করাকে আধুনিক সমাজ সময় নষ্ট এবং অর্থের অপচয় বলে মনে করে। অথচ যুগ যুগ ধরেই বিশ্বের সব দেশেই পালিত হয়ে আসছে ধর্মীয় আচার পালন (Hindu Rituals)। সেটা যেমন পালন করেন সনাতনীরা, তেমনি পালন করেন খ্রিস্টান ধর্মের মানুষও। ইসলাম, শিখ, ইহুদি কিংবা বৌদ্ধ – বিশ্বের এমন কোনও সম্প্রদায় নেই, যারা কোনও না কোনও ধর্মীয় রীতি পালন করে না।

    সনাতনীদের অবদান (Hindu Rituals)

    সনাতনীদের এই ধর্মীয় রীতিই বিশ্বকে দিয়েছে অনেক কিছুই। জ্যামিতির ধারণা কিংবা মহাশূন্যে দ্বাদশ রাশির অবস্থান, শূন্যের ধারণা এসবই সনাতনীদের গভীর তপস্যার ফসল। তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ বলে যাঁরা দাবি করেন, তাঁরাও কোনও কোনও ধর্মীয় রীতি পালন করেন – কখনও জেনে, কখনও আবার অজান্তেই। বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যেহেতু সনাতন ধর্মই সব চেয়ে বেশি প্রাচীন, তাই সনাতন ধর্মের অবদান কম নয়।

    চলুন, বেদের যুগে

    চলুন, টাইম মেশিনে চড়ে আমরা ফিরে যাই বেদের যুগে (Hindu Rituals)। সেই যুগে তখনও ঈশ্বরের কল্পনা আসেনি মানুষের মাথায়। যদিও এক অনির্বচনীয় নিয়মই (বেদের ভাষায় ‘ঋক’) যে জগতের নিয়ন্ত্রক, পালনকর্তা, মানবজীবনের মূল লক্ষ্যই হল, মহাবিশ্বের এই মহাশক্তিকে খুঁজে বের করা, তাঁর সান্নিধ্য লাভ করা, তা জানতেন বৈদিক ঋষি। এই মহাশক্তির উদ্দেশে সেই সময় যজ্ঞে আহুতি দিতেন উপনিষদের ঋষিও। যজ্ঞাগ্নির মধ্যে দিয়েই যে হবি (আহুতি) দেবতার কাছে পৌঁছে যায়, তা বিশ্বাস করতেন তাঁরা। সেই কারণেই যজ্ঞে আহুতি হিসেবে বৈদিক ঋষি দিতেন কখনও পশু, কখনওবা গাছের ডাল-পালা। এই যজ্ঞের আগুনেই কার্যত জন্ম হয়েছে বিজ্ঞান, গণিত কিংবা অন্যান্য কলাবিদ্যার।

    গণিতের সূত্র রহস্য

    বিশ্বে যে সময় মানুষ জানতেন না জ্যামিতি খায় না মাথায় দেয়, তখনই যজ্ঞবেদীর (Hindu Rituals) জন্য জ্যামিতিক চিত্র আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন বৈদিক যুগের ঋষিরা (Hindu Rituals)। সে যুগে ঋষিরা যে বিভিন্ন মনস্কামনা পূরণের উদ্দেশ্যে নানা যজ্ঞ করতেন, তা আমরা জানি। যুদ্ধ জয়ের আগে-পরে তাঁরা করতেন কখনও অশ্বমেধ যজ্ঞ, কখনও আবার বাজপেয় যজ্ঞ। সন্তান কামনায় করতেন পুত্র্যেষ্টি যজ্ঞ। এমন নানা কামনায় করতেন হাজারো যজ্ঞ। প্রতিটি যজ্ঞের বেদি হত আলাদা। এই বেদির নকশাই পরবর্তীকালে জন্ম দিয়েছে বহু জ্যামিতিক নীতিসূত্রের। আজ যে পিথাগোরাসের সূত্র মুখস্ত করতে হচ্ছে বিশ্বের সব দেশের ছেলেমেয়েদের, সেই সূত্র তাঁর জন্মের দুশো বছরেরও বেশি আগে তৈরি করে ফেলেছিলেন সনাতন ধর্মের ঋষি।

    যখন দূরবীক্ষণের জন্মই হয়নি, তখনই বৈদিক ঋষি পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের মধ্যে। এই দুই শাস্ত্রের চর্চার ফলেই তাঁরা জানতে পারতেন, কবে এবং কখন কোন মহাজাগতিক ঘটনা ঘটবে। সূর্যগ্রহণ কবে, চন্দ্রগ্রহণই বা কবে, পূর্ণগ্রাস না খণ্ডগ্রাস, উল্কাপতনই বা কখন হবে, এসবেরই নির্ভুল ক্ষণ জানিয়ে দিতেন বেদের যুগের ঋষিরা। আর্য ঋষিদের সেই সব সূত্রের ওপরই ভিত্তি করে আজও পাওয়া যায় মহাজাগতিক বিভিন্ন ঘটনার পূর্বাভাস। অঙ্কের বহু সূত্রেরও জন্ম দিয়েছে আর্য ঋষির সেই যজ্ঞকুণ্ড। বর্গক্ষেত্র, আয়তক্ষেত্র, রম্বস মায় ফ্যালকন-শেপড নকশাও তৈরি করা হত যজ্ঞকুণ্ডে। মণ্ডল, যন্ত্র এবং কলামের জ্ঞান আজও প্রয়োজন হয় জ্যামিতির জটিল রহস্য বুঝতে। ‘সুলভ সূত্রজ’ নামক গ্রন্থে এসবের বিস্তৃত উল্লেখ রয়েছে।

    সময় নির্ধারণ

    বিজ্ঞানের যখন এত অগ্রগতি হয়নি, তখনও আর্য ঋষি সময় নির্ধারণ করতে পারতেন। পারতেন ক্যালেন্ডার তৈরি করতে। যেহেতু শুভক্ষণে শুভ কাজটি সম্পন্ন করতে হয়, মাহেন্দ্রক্ষণে করতে হয় বিভিন্ন যজ্ঞ, সন্ধিক্ষণে করতে হয় আদ্যাশক্তির আরাধনা, তাই সময়ের সূক্ষ্ম হিসেব কষতে পারতেন বৈদিক যুগের ঋষিরা। পরবর্তীকালে যা জন্ম দেয় ক্যালেন্ডারের। চাঁদের ক্ষয় দেখেই এই ক্যালেন্ডারে উল্লেখ করা হত, কবে শুক্লপক্ষ, কৃষ্ণপক্ষই বা কবে। অষ্টমী কবে, নবমীই বা কখন থেকে, এর মাঝের কোন সময়টুকু সন্ধিক্ষণ, তা নির্ণয় করে ফেলেছিলেন সনাতনীদের পূর্বপুরুষরা। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার সময় এ দেশে কমবেশি তিরিশটি ক্যালেন্ডার চালু ছিল।

    আরও পড়ুুন: রাম নবমীতে অশান্তি, এনআইএ তদন্ত দাবি শুভেন্দু-দিলীপের

    জন্ম ছন্দ ও সুরের

    সনাতনীরা যেহেতু যজ্ঞের সময় মন্ত্রোচ্চারণ করতেন, সেখান থেকেই জন্ম হয় বিভিন্ন সুরের। পয়ার, ত্রিপদী-সহ নানা ছন্দের জন্মও হয়েছিল সেই যুগে। সুরের আঁতুড়ঘরও বৈদিক ঋষির মন্ত্রোচ্চারণ। হিন্দুরা নানা প্রাকৃতিক শক্তির পুজো করতেন। জল, বায়ু, অগ্নি মায় প্রস্তরখণ্ডের মধ্যেও মহাশক্তিকে খুঁজে বেড়াতেন তাঁরা। তাঁদের এই খোঁজের কাছেই অনেক ক্ষেত্রে ঋণী হয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও রসায়ন শাস্ত্র।

    গাছগাছড়ার পাতা-রস-শেকড় খেয়ে যে মানুষের রোগ নিরাময় হয়, তা জানতেন আর্য ঋষি। দেবযুগে অশ্বিনী কুমারদ্বয় কিংবা বেদের যুগে চরক, সুশ্রুতের চিকিৎসা পদ্ধতির কাছে আজও অনেক সময় হার মানে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান। ব্যাকরণের জন্মও তো হয়েছিল সেই আর্য ঋষির যুগে। পাণিনীর ‘অষ্টাধ্যায়ী’কে তো ‘ভাষাতত্ত্বের জনক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কে বলল সনাতন ধর্ম রক্ষা করা প্রয়োজন শুধুই রাজনীতির স্বার্থে? গণিত-বিজ্ঞান-কলাশাস্ত্রকে সমৃদ্ধ করতে নয় (Hindu Rituals)!

    কথায় বলে না, অর্বাচীনের অশেষ দোষ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Navami 2024: “পঞ্চাশ হাজারের মিছিল হবে রাম নবমীতে”, হুঙ্কার দিলেন দিলীপ ঘোষ

    Ram Navami 2024: “পঞ্চাশ হাজারের মিছিল হবে রাম নবমীতে”, হুঙ্কার দিলেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাজো সাজো রব গোটা ভারত জুড়ে। কারণ আগামী কাল অর্থাৎ বুধবারই দেশ জুড়ে পালন করা হবে রাম নবমী (Ram Navami 2024)। দীর্ঘ  ৫০০ বছরের প্রচেষ্টার পর অযোধ্যায় (Ayodhya) তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। তাই এবছরের রাম নবমী (Ram Navami 2024) বিশাল সমারোহের সাথে পালন করবেন হিন্দুরা। কিন্তু তার আগেই বর্ধমান দুর্গাপুরের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) রাম নবমী নিয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন। রাজ্যের রাম ভক্তদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    রাম নবমীর মিছিল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য

    মঙ্গলবার রাম নবমী (Ram Navami 2024) প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পঞ্চাশ হাজারের মিছিল হবে রাম নবমীতে। কেউ আটকাতে পারবে না। এই দেশ রামের দেশ। ৫০০ বছরের চেষ্টায় রাম মন্দির হয়েছে। হিন্দুরা (Hindu) বিজয় উৎসব পালন করবে। আমি আবেদন রাখছি হিন্দু সমাজের কাছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামুন। দিলীপ ঘোষ সঙ্গে আছে। ত্রিশূল ধরেছি। প্রয়োজনে সব ধরবো হিন্দু সমাজের জন্য। কোনও বাপের ব্যাটার হিম্মত নেই হিন্দুস্থানে হিন্দুদের আটকায়। আদালত এবং সংবিধান আমরা তৈরি করেছি দেশ রক্ষার জন্য। তৃণমূল (TMC) এলে তাঁদের এই নির্বাচনে সমূলে বিনাশ করুন।”

    রামমহোৎসব বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Ram Navami 2024)

    উল্লেখ্য রাজ্যে এখন ভোটের হাওয়া। রাম নবমীর (Ram Navami 2024) একদিন বাদেই অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত প্রতিটি দলের প্রার্থীরাই। কিন্তু অন্যদিকে ভোটের আবহের মধ্যেই রাজ্যে রামমহোৎসব শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ১৫ দিন ধরে চলবে এই অনুষ্ঠান। তার মধ্যে আছে রাম নবমী এবং হনুমান জয়ন্তীও।

    আরও পড়ুন:রাজ্যের আপত্তি ধোপে টিকল না, হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়ায় দুদিন হবে রাম নবমীর শোভাযাত্রা

    গত বছর অশান্তি হয়েছিল রাম নবমীতে

    প্রসঙ্গত, গত বছর রাম নবমীকে (Ram Navami 2024) কেন্দ্র করে হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় অশান্তি হয়েছিল। তাই এবার একাধিক জনসভায় রাম নবমী নিয়ে দাঙ্গার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাম নবমীর অনুষ্ঠান ও মিছিলের অনুমতি পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই মামলার শুনানিতে সোমবারই আদালত রাম নবমীর মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, “রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) পক্ষে রাম নবমীর মিছিল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে মিছিলের ২৪ ঘণ্টা আগে বাহিনী (Central Force) চাইতে হবে রাজ্য পুলিশকে। সেই মতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Afghanistan Relations: হিন্দু, শিখদের সম্পত্তি ফেরাবে তালিবান সরকার! স্বাগত জানাল ভারত

    India Afghanistan Relations: হিন্দু, শিখদের সম্পত্তি ফেরাবে তালিবান সরকার! স্বাগত জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে হিন্দু ও শিখদের সম্পত্তির অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের তালিবান সরকার। আফগানিস্তানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত (India Afghanistan Relations)। শুক্রবার এনিয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ইজরায়েলের হামলায় ভারত যে উদ্বিগ্ন, তাও এদিন জানিয়েছেন তিনি।

    সম্পত্তি ফেরাতে কমিশন গঠন (India Afghanistan Relations)

    আফগান হিন্দু ও আফগান শিখদের সম্পত্তি ফেরাতে কমিশন গঠন করেছে তালিবান সরকার। সরকার ও তালিবানদের সংঘাতের জেরে যখন অশান্ত হয়ে উঠেছিল কাবুল, তখনই বেহাত হয় আফগান হিন্দু ও আফগান শিখদের সম্পত্তি। তালিবান সরকারের এই সিদ্ধান্তকেই স্বাগত জানিয়েছে ভারত (India Afghanistan Relations)। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে রণধীর বলেন, “আমরা এই বিষয়ে রিপোর্ট দেখেছি। যদি তালিবান প্রশাসন তাদের আফগান হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পত্তির অধিকার পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা একে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবেই দেখছি।”

    উদ্যোগকে স্বাগত জানাল ভারত

    আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রকের সিদ্ধান্তের পরে সেখানকার শিখ নেতা নরেন্দ্র সিং খালসা কাবুলে ফিরে আসেন। তখনই তাঁকে এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যদের তাঁদের সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় তালিবান সরকারের তরফে। এজন্য গঠন করা হয়েছে কমিশনও। তালিবান সরকারের এহেন উদ্যোগকেই স্বাগত জানিয়েছে ভারত।

    গত চার দশকে আফগানিস্তানের অস্থির রাজনৈতিক পটভূমিতে কেবল হিন্দু এবং শিখদের সম্পত্তিই দখল করা হয়নি, অনেক আফগান, যাঁদের সেভাবে প্রভাব ছিল না, তাঁরাও এঁটে উঠতে পারেননি প্রভাবশালীদের সঙ্গে। সমর্পণ করতে হয়েছিল সম্পত্তি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে তালিবান কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর ভারত-আফগান সম্পর্ক গিয়ে ঠেকে তলানিতে। এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। সম্প্রতি ভারতে দূতাবাসও বন্ধ করে দিয়েছে আফগানিস্তান। তবে দীর্ঘকাল আফগানিস্তানের নানা উন্নয়ন প্রকল্পে সাহায্য করেছিল ভারত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই ঋণ শোধ করতেই আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের নয়া উদ্যোগ (India Afghanistan Relations)।

    আরও পড়ুুন: ২ ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    এদিকে, ইরান-ইজরায়েলের দ্বন্দ্বের জেরে এশিয়ার আকাশে ক্রমেই ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। এ প্রসঙ্গে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রণধীর বলেন, “১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। পশ্চিম এশিয়ায় এই অশান্তি নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। এর জেরে আরও হিংসার উদ্রেক হতে পারে। নষ্ট হতে পারে স্থিতিশীলতা (India Afghanistan Relations)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Himanta Biswa Sarma: “২০২৬ এর মধ্যে অসম কংগ্রেসে হিন্দু থাকবেন না”, বললেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: “২০২৬ এর মধ্যে অসম কংগ্রেসে হিন্দু থাকবেন না”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালের মধ্যে অসম কংগ্রেসে কোনও হিন্দু থাকবেন না।” লোকসভা নির্বাচনের প্রক্কালে কথাগুলি বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। শনিবার গুয়াহাটিতে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে গিয়েছিলেন হিমন্ত। লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতেই সদর দফতরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। পরে নিশানা করেন কংগ্রেসকে।

    কী বললেন হিমন্ত? (Himanta Biswa Sarma)

    হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালের মধ্যে অসমে কোনও হিন্দু কংগ্রেসে থাকবেন না। আর ২০৩২ সালের মধ্যে প্রায় সব মুসলমানও কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন। রাজীব ভবনে মহানগর বিজেপির শাখা খুলব আমরা। আগামিকাল (আজ, রবিবার) অনেক কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন।” তিনি বলেন, “গুয়াহাটিতে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে ১২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রভারিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এদিনই কংগ্রেসের তিনজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বাকি কয়েকজন যোগ দেবেন রবিবার। আমি মাজুলিতে যাব। পয়লা এপ্রিল সেখানে সাইকেল মিছিল দিয়ে আমি লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করব।”

    ‘মুসলমান সমাজ সংস্কার করার চেষ্টা’

    মুসলমানদের উন্নয়নে যে তাঁর সরকার কাজ করছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। বলেন, “মুসলমানদের সমাজ সংস্কার করার চেষ্টা আমি করছি। অনেক মুসলমান যুবক আমায় সমর্থন করছেন। সেটা আপনারা ফেসবুকেই দেখতে পাবেন। তাঁরা একে স্বাগতও জানাচ্ছেন। কেউই এখনও এর বিরোধিতা করেননি।” লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জোড়হাট কেন্দ্রে জয়ী হবে বলেও আশাবাদী হিমন্ত। বলেন, “একটা অংশ আমার বিরুদ্ধে বিরূপ পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু আসল সত্যটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।”

    কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ

    এদিকে, শনিবারই কংগ্রেস ছেড়ে তিন নেতা যোগ দিলেন অসম বিজেপিতে। এঁরা হলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মানস বোরা, গৌরব গগৈ এবং অসম প্রদেশ কংগ্রেসের আর এক সাধারণ সম্পাদক গৌরব সোমানি। দলীয় নেতৃত্বকে পাঠানো ইস্তফাপত্রে মানস লিখেছেন, “আমি মনে করি নতুন সুযোগ কাজে লাগানোর এটাই আমার কাছে সেরা সুযোগ। এলাকাবাসী এবং রাজ্যের কল্যাণেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ইস্তফাপত্রে সোমানি আবার দুষেছেন (Himanta Biswa Sarma) দলের রাজ্য নেতৃত্বকেই।

    আরও পড়ুুন: “গোপাল ভাঁড়কে খুন করেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র”, দাবি মন্ত্রীর, মামলার হুমকি রানিমার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Gyanvapi Case: সিল খোলা হোক জ্ঞানবাপীর ওজুখানার, উঠল এএসআই সমীক্ষার দাবিও

    Gyanvapi Case: সিল খোলা হোক জ্ঞানবাপীর ওজুখানার, উঠল এএসআই সমীক্ষার দাবিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্মাণ হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দির। প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হয়েছে বিগ্রহের। এবার ফের জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Case) ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার দাবি হিন্দু পক্ষের। সোমবার এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

    ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’

    ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গে’র অস্তিত্ব মেলার পর ২০২২ সালে সেটি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসীর নিম্ন আদালত। সেই সিলই ফের খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে হিন্দু পক্ষের তরফে। ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার পাশাপাশি এএসআইকে সেখানে সমীক্ষা চালানোর অনুমতি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে হিন্দু পক্ষ। হিন্দু পক্ষের দাবি, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Case) কাঠামোর নীচে বড় হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল। বারাণসী জেলা আদালতে জমা দেওয়া এএসআই রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে বলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি।

    এএসআইয়ের রিপোর্ট!

    এএসআইয়ের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে হিন্দু পক্ষের আরও দাবি, আওরঙ্গজেব ১৬১৯ সালের ২ নভেম্বর মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন জানান, এএসআইয়ের রিপোর্টে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব সম্পর্কে এ ধরনের মোট ৩২টি প্রামাণ মিলেছে। তিনি বলেন, “এএসআইয়ের রিপোর্ট বলছে, মসজিদ তৈরির সময় কাঠামোয় কিছু বদল আনা হয়েছিল। সামান্য বদল এনে মন্দিরের স্তম্ভ এবং অন্যান্য অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কাঠামো তৈরি করতে হিন্দু মন্দিরের পিলারের চরিত্রে সামান্য বদল আনা হয়েছিল।” আইনজীবীর এহেন দাবির পরে পরেই ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার দাবি জানাল হিন্দু পক্ষ। জানানো হল এএসআইয়ের সমীক্ষার দাবিও।

    আরও পড়ুুন: “দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান”, বললেন ফতোয়া পাওয়া সেই ইমাম

    প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই ওজুখানার ‘শিবলিঙ্গ’ পুজোর অধিকার চেয়েছিল হিন্দু পক্ষ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার বলেন, “এএসআই কর্তৃক সংগ্রহীত প্রমাণ ও অনুসন্ধানগুলি প্রমাণ করে যে, এই উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্রটি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে এটি একটি হিন্দু মন্দিরের আকারে রয়েছে। তাই উপাসনা স্থান আইন অনুসারে কাঠামোটিকে হিন্দু মন্দির ঘোষণা করা (Gyanvapi Case) উচিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই আবহের মধ্যেই তৃণমূলের দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি! (Sheikh Shahjahan) 

    বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বাংলা সংবাদ মাধ্যমের একটি বিতর্কসভায় যোগ দিয়ে বলেন, আমি বসিরহাটের বিজেপির দায়িত্বে আছি। সন্দেশখালিতে কাজ করি। আমি যেটা দেখেছি, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ২০২১ সালের পরে অবিচারে হিন্দুদের সম্পত্তি ১ টাকা দরে জোর করে গান পয়েন্টে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে নিয়েছেন। তিনটি ট্রাস্ট-সুমাইয়া আবেদা ট্রাস্ট, হাবু আবু সিদ্দিকি ট্রাস্ট এবং বাসন্তী এডুকেশন্যাল ট্রাস্ট তৈরি করে রোহিঙ্গা কলোনি গড়েছেন। হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের কাছ থেকে প্রায় ১৩৯ একর জমি কেড়ে নিয়ে রোহিঙ্গা কলোনি ও তিনটি ট্রাস্ট গড়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার উপরে। তিনি আরও বলেন, ওই জমিগুলি কোনও মুল্য না দিয়েই গায়ের জোরে তিনি দখল করেছেন।

    বাম আমল থেকে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট (Sheikh Shahjahan)  

    বাম আমলে মূলত সন্দেশখালি এলাকায় তোলাবাজির মুখ্য ভূমিকা ছিল শাহজাহান শেখের (Sheikh Shahjahan)। তৃণমূলে আসার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হতেই তাঁর বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। মেছোভেড়ি থেকে ইটভাটা, এমনকী মাটি বেচাকেনাতেও তোলা দিতে হত এই শাজাহানকে। এলাকায় কোনও ভেড়ি থেকে বিঘা প্রতি তোলা আদায়ের রেট চার্ট তৈরি হত তাঁরই তত্ত্বাবধানে। সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তিনি আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, কী বলল হাইকোর্ট?

    Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, কী বলল হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় (Gyanvapi Mosque Case) ধাক্কা খেল অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। মঙ্গলবার মসজিদ কমিটির সব আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ছ’মাসের মধ্যে মামলাটি শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণকে পুরো মসজিদে সমীক্ষার কাজ চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটা অংশে মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ গড়া হয়েছিল বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের। ঔরঙ্গজেবের আমলে মন্দিরের একাংশ ভেঙে মসজিদ হয়েছিল বলে দাবি তাদের। এনিয়ে বারাণসী জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। মসজিদের (Gyanvapi Mosque Case) দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে দাবি করে পুজোর অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন পাঁচ হিন্দু মহিলা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির আবেদন খারিজ করার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। এদিন সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, ১৬৬৯ সালে মন্দিরের একাংশ ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করেন ঔরঙ্গজেব। গত বছর মসজিদের ওজুখানায় ভিডিওগ্রাফি হয় আদালতের নির্দেশে। ভিডিওগ্রাফির কাজ শেষ হওয়ার পরে ওই বছরেরই ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পেয়েছিল বারাণসী জেলা আদালত।

    বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি

    হিন্দু পক্ষের আবেদন মেনে চলতি বছরের ২১ জুলাই বারাণসী জেলা আদালত ওই মসজিদের সিল করা এলাকার বাইরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কমিটি। ২৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ আটচল্লিশ ঘণ্টার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে।

    আরও পড়ুুন: বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল! বলছে গবেষণা

    মসজিদ কমিটির (Gyanvapi Mosque Case) আবেদন খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এএসআইয়ের নেতৃত্বে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় ছাড়পত্র দিয়েছিল। এর পর মসজিদ চত্বরের সিল করা এলাকার বাইরে সমীক্ষার কাজ শুরু করে এএসআই। সোমবার সেই সমীক্ষারই রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া হয় আদালতে। এদিন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে মসজিদ কমিটির পাঁচটি পিটিশনই। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বারাণসী আদালতে দায়ের করা মূল মামলার রক্ষণাবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করেছিল অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া কমিটি ও ইউপি সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share