Tag: hindu

hindu

  • Leicester: ব্রিটেনের লেস্টারে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও যোগ নেই, বলছে রিপোর্ট

    Leicester: ব্রিটেনের লেস্টারে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও যোগ নেই, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেস্টার (Leicester) শহরে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও হাত নেই। কেবল আরএসএস (RSS) নয়, ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও সংগঠনেরই যোগ নেই। ঘটনার তদন্ত করে এমনটাই জানাল ব্রিটেনের (UK) একটি বিশেষজ্ঞ দল। এই দলের একজন সদস্য হলেন শার্লোট লিটিলউড। হেনরি জ্যাকসন সোসাইটির রিসার্চ ফেলো তিনি। স্থানীয় হিন্দু (Hindu) এবং মুসলমান বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সোশ্যাল মিডিয়া এভিডেন্স, ভিডিও এভিডেন্স, পুলিশ রিপোর্ট এবং বিবৃতি দেখে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে গিয়ে লিটিলউড বলেন, তদন্ত করে দেখা গিয়েছে লাইসেস্টারের ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও গোষ্ঠীর যোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি, বরং হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সংহতিকেই মিথ্যাভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, খেলার মাঠে দ্বৈরথে নেমেছিল ভারত-পাকিস্তান। খেলাটি ছিল এশিয়া কাপ টি-২০ ম্যাচ। ব্রিটেনের লেস্টারে (Leicester) ওই ম্যাচ হয়েছিল ২৮ অগাস্ট। ম্যাচটি জিতে যায় ভারত। এর দিন কয়েক পরে একদল উত্তেজিত জনতা ব্রিটেনের বার্মিংহামের স্মিথউইকে থাকা একটি দুর্গা ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে এলাকায় সংর্ঘষ বাঁধে। ঘটনায় নাম জড়ায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের। তবে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় আরএসএস কিংবা হিন্দুত্ববাদী কোনও সম্প্রদায়েরই হাত নেই। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘৃণা ছড়ানো, ভাঙচুর এবং হেনস্থার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ

    বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টারে (Leicester) বসবাসকারী হিন্দুরা বেজায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ দূরে কোনও বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ ঘরে স্বেচ্ছাবন্দি হয়েছিলেন। ভয় কাটা না পর্যন্ত তাঁরা এভাবেই ছিলেন। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টার অশান্ত হয়ে ওঠে। ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অশান্তির রেশ ছিল ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়েই হয় সম্পত্তি নষ্ট, শারীরিক নিগ্রহ, ছুরিকাঘাত এবং প্রার্থনা স্থলে আক্রমণ। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর হিন্দু ও মুসলিম মিছিল করে দু-পক্ষই। একদল জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়, অন্য পক্ষ বলে আল্লা হু আকবর। লিটিলউডের মতে, এটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার নিদর্শন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Christian missionaries: ধাপে ধাপে মগজধোলাই সঙ্গে অর্থের টোপ! কীভাবে চলছে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ?

    Christian missionaries: ধাপে ধাপে মগজধোলাই সঙ্গে অর্থের টোপ! কীভাবে চলছে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই চারশো জনের বেশি হিন্দুকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় ৯ খ্রিস্টান মিশনারিজ (Christian missionaries)। উত্তর প্রদেশের মেরঠ জেলার মঙ্গতপুরমের মালিন গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে গরিব মানুষদের সাহায্যের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। পরে ধর্মান্তকরণ করা হয় তাঁদের। অভিযুক্ত ৯ খ্রিস্টান তাঁদের ঘরে রাখা দেবদেবীর মূর্তি নষ্ট করে ফেলতে বলেন। পুজোআচ্চা বন্ধ করে চার্চে যাওয়ার পরামর্শও দেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে দেশজুড়ে। কীভাবে হয় ধর্মান্তকরণ (mass conversion)? সে সম্পর্কে জানালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মেরঠ জোনের সাধারণ সম্পাদক রাজকমল গুপ্তা।

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে গুপ্তা বলেন, খ্রিস্টান মিশনারিজ (Christian missionaries) ও মুসলিমরা বিভিন্নভাবে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ করছে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষদেরই তাঁরা মূলত টার্গেট করেন। যে অঞ্চলের সিংহভাগ বাসিন্দা পিছিয়ে পড়া, সুযোগ সুবিধা পাননি, অজ্ঞ, তাঁদের প্রথমে চিহ্নিত করা হয়। কখনও খাবার, কখনওবা পোশাক, কখনও আবার ওষুধ এবং অর্থ দেওয়ার অছিলায় তাঁরা ভাব জমান ওই মানুষদের সঙ্গে। তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করতে মিসনারিজরা (Christian missionaries) পিছিয়ে পড়া হিন্দুদের শিক্ষা এবং বিয়ের ব্যবস্থাও করেন। শিকারদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারলেই কেল্লাফতে। তাঁরা শিকারকে বোঝান, সব ভগবানই আসলে এক। এর পরেই তাঁরা ঝুলি থেকে বই, পুস্তিকা বের করেন। করেন যিশুর মহিমা কীর্তন। যিশুর অলৌকিক গল্পকথা ছড়ান। পরামর্শ দেন চার্চে যাওয়ার।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে শিখ মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ দাবি

    গুপ্তা বলেন, সরল বিশ্বাসী হিন্দুরা তাঁদের পাতা ফাঁদে পা দেন। এরপর মিশনারিজরা (Christian missionaries) শুরু করেন মগজ ধোলাইয়ের কাজ। এক জায়গায় অনেককে খিস্ট-পথে নিয়ে আসতে পারলে হিন্দুর জমিতে গড়ে তোলেন চার্চ। তার পরেই হয় ধর্মান্তকরণ। গুপ্তা বলেন, একইভাবে হিন্দুদের দীক্ষিত করা হয় ইসলাম (Islam) ধর্মেও। যেমন কিছুদিন আগে ঘটেছিল মোরদাবাদে। তিনি বলেন, সেখানকার এক গ্রামে একটি পরিবারই মুসলিম ছিল। বাকিরা হিন্দু (Hindu)। তাঁদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে, টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে দীক্ষিত করা হয় ইসলাম ধর্মে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • RSS: ঋষি সুনকের নিয়োগ নিয়ে মুফতির মন্তব্য হতাশার জের, বলছে আরএসএস

    RSS: ঋষি সুনকের নিয়োগ নিয়ে মুফতির মন্তব্য হতাশার জের, বলছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। আদ্যন্ত হিন্দু (Hindu) এক ব্যক্তিকে ব্রিটেনের শীর্ষ পদে দেখে যারপরনাই খুশি তামাম ভারত (India)। ঋষির প্রসঙ্গ টেনে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, ব্রিটেন একজন জাতিগতভাবে সংখ্যালঘুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিলেও, আমরা এখনও এনআরসি (NRC) এবং সিএএ (CAA) -র মতো বিভাজনকারী ও বৈষম্যমূলক আইনে শেকলবন্দি হয়ে রয়েছি। মুফতির ওই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আরএসএস (RSS)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ মেম্বার তথা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের প্যাট্রন ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, হতাশা থেকেই মুফতি এমন মন্তব্য করেছেন।

    ঋষি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত হওয়ার পরেই ট্যুইট করেন পিডিপি নেত্রী মুফতি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, এটা গর্ব করার মতো মুহূর্ত যে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটেন। গোটা ভারত তা উদযাপন করছে। তবে ব্রিটেন একজন জাতিগতভাবে সংখ্যালঘুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিলেও, আমরা এখনও এনআরসি এবং সিএএ-র মতো বিভাজনকারী ও বৈষম্যমূলক আইনে শেকলবন্দি হয়ে রয়েছি।

    আরও পড়ুন: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    এর পরেই মুফতিকে একহাত নেন প্রবীণ আরএসএস (RSS) নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। তাঁর মতে, মুফতি এবং কংগ্রেস নেতারা এ কথা বলছেন হতাশা থেকে। দেশ তাঁদের প্রত্যাখান করেছে। ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, আসল সত্য হল, ভারতে অনেক রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি বলেন, ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে দেশের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন একজন উপজাতি সমজের মহিলা। এদেশেই রাষ্ট্রপতি ছিলেন আবদুল কালাম, যিনি একটি জেলে পরিবারে জন্মেছিলেন। খবরের কাগজ বিক্রি করতেন। প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। যিনি এক সময় চা বিক্রি করতেন। আরএসএসের এই নেতা বলেন, এ দেশেই রাষ্ট্রপতি ছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। তিনি তপশিলি জাতির প্রতিনিধি। তাই তাঁদের এহেন মন্তব্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মানবতার প্রতি অপমান। এজন্য তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।

    আরএসএসের (RSS) এই নেতা বলেন, আসল সত্য হল তামাম ভারতে কাশ্মীরিরা নিরাপদ। কিন্তু একজন হিন্দু, পণ্ডিত, বিহারি, ওড়িয়া অথবা অন্য কোনও ব্যক্তি যিনি কাশ্মীরে বসবাস করছেন, তিনি নিরাপদ নন। কাশ্মীরে বহিরাগতদের বাঁচার অধিকার হুমকির মুখে বলেও দাবি ইন্দ্রেশের।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Hindu Head of States: বিশ্বের পাঁচ দেশের রাশ হিন্দুদের হাতে, কোন কোন দেশের মাথায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা জানেন?

    Hindu Head of States: বিশ্বের পাঁচ দেশের রাশ হিন্দুদের হাতে, কোন কোন দেশের মাথায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের চারটি দেশ শাসন করছে হিন্দু (Hindu Head of States)। হিন্দু প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে ব্রিটেনও। চারটি দেশের মাথায় বসে রয়েছেন ভারতীয় (Indian) বংশোদ্ভূত ব্যক্তিত্বরা। আর তিনটি দেশের ডেপুটির পদ দখল করে রয়েছেন সেই ভারতীয় বংশোদ্ভূতরাই।

    কেবল ভারত নয়, তামাম বিশ্বেও হিন্দুদের (Hindu Head of States) জয়জয়কার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) হিন্দু। ২০১৪ সাল থেকে দেশের রশি তাঁর হাতেই। আদতে গুজরাটের বাসিন্দা মোদি নিয়মিত হিন্দু পরম্পরা মেনে যোগাসন করেন। ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালও শাসন করেন এক হিন্দু। তিনি শের বাহাদুর দেউবা। ২০২১ সালের ১৩ জুলাই থেকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন তিনি। মরিশাসের রাষ্ট্রপ্রধানও হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তাঁর নাম প্রবীণ জাগনাউথ। বিশ্বের ছোট্ট একটি দেশ সুরিনাম। এই দেশটিও শাসন করেন আরেক হিন্দু, নাম চান শান্তখি।

    সব শেষে রয়েছেন ঋষি সুনক। আদ্যন্ত হিন্দু সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। শপথ নেবেন চলতি মাসের ২৮ তারিখে। এর আগে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় তিনি গীতা ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার সময়ও তাঁর হাতে থাকবে গীতা। গীতা যে তাঁকে শক্তি জোগায়, সেকথা বিভিন্ন সময় জানিয়ে দিয়েছেন বছর বিয়াল্লিশের এই রাজনীতিবিদ। নিয়মিত মন্দিরে যান। বাড়িতে পালন করে সমস্ত হিন্দু উৎসব। তাঁর স্ত্রীর অক্ষত মূর্তিও আদ্যন্ত হিন্দু।

    আরও পড়ুন: হিন্দু যুবককে গোমাংস খাইয়ে, সুন্নত করিয়ে ইসলামে দীক্ষা, কাঠগড়ায় কং নেতা সহ ১১

    এ তো গেল হিন্দু রাষ্ট্রপ্রধানদের (Hindu Head of States) কথা। এবার শোনা যাক ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কীর্তি। ঋষি সুনক, প্রবীণ জাগনাউথ এবং চান শান্তখি হিন্দু তো বটেই, এঁরা ভারতীয় বংশোদ্ভূতও। আরও কিছু দেশের রাশ রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের হাতে। এঁরা হলেন, সেইচেলসের প্রধান ওয়াভেল রামকালওয়ান, পর্তুগালের প্রধান আ্যান্টনিও কোস্টা, সিঙ্গাপুরের হালিম ইয়াকব এবং গুয়ানার ইরফান আলি।

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরও কয়েকজন রয়েছেন সরকারের দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে। এঁরা হলেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, গুয়ানার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারত জাগেদো এবং আয়ারল্যান্ড সরকারের ডেপুটি হেড লিও ভারাদকর।

    সেই কবেই তো কবি বলেছিলেন, ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Religious Conversion: হিন্দু যুবককে গোমাংস খাইয়ে, সুন্নত করিয়ে ইসলামে দীক্ষা, কাঠগড়ায় কং নেতা সহ ১১

    Religious Conversion: হিন্দু যুবককে গোমাংস খাইয়ে, সুন্নত করিয়ে ইসলামে দীক্ষা, কাঠগড়ায় কং নেতা সহ ১১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জোর করে ধর্মান্তকরণের (Religious Conversion) অভিযোগ। এক হিন্দু (Hindu) যুবককে জোর করে ইসলাম (Islam) ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কর্নাটকের ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেঙ্গালুরুর  কংগ্রেসের প্রাক্তন কর্পোরেটর আনসার পাশা, তাঁর ভাই নয়জ পাশা, জনৈক হাজি সাব, আতাউর রহমান এবং সোয়েব। এঁদের মধ্যে দুজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় বাকি তিনজনকে। নয়জ পাশাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তামিলনাড়ু থেকে।

    পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, কর্নাটকের মান্ড্য এলাকার বাসিন্দা দলিত যুবক জনৈক শ্রীধর গঙ্গাধর প্রথমে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত (Religious Conversion) হতে চেয়েছিলেন। কারণ তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখানো হয়েছিল। পরে মুসলমান করতে শ্রীধরের সুন্নতও করানো হয়। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় নগদ ৫০ হাজার টাকাও। পুলিশের দাবি, এর পর আর ইসলামের দিকে ঝুঁকতে চাননি শ্রীধর। যদিও অভিযুক্তরা তাঁকে বাধ্য করেছিল বলে অভিযোগ। এর পরেই বছর পঁচিশের শ্রীধর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, অভিযুক্তরা তাঁর সম্মতি ছাড়াই তাঁর নাম বদলে করে দেন মহঃ সালমান। শ্রীধরের অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জনের নামে দায়ের হয় মামলা। যার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। এর মধ্যেই রয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন কর্পোরেটর আনসার পাশা। তিনি স্থানীয় বিধায়কের ঘনিষ্ঠও।

    আরও পড়ুন: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?

    শ্রীধরের দাবি, অভিযুক্তরা নব মুসলিম নামে একটি গোষ্ঠী তৈরি করেছিলেন। এই গ্রুপের সদস্যদের দেখিয়ে ইরাক-ইরান থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন। ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টাও চালাচ্ছিল এই গোষ্ঠী। শ্রীধর বলেন, অভিযুক্তরা আমাকে অচৈতন্য করতে কালো রংয়ের কোনও তরল খাইয়ে দেন। পরে করা হয় সুন্নত। জোর করে গো-মাংসও খাওয়ানো হয় আমাকে। শ্রীধরের আরও অভিযোগ, অভিযুক্তরা তাঁকে একটি রিভলভার দেখিয়ে ভয় দেখান। তাঁর হাতে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়। সেই ছবি মোবাইল বন্দি করে অভিযুক্তরা ভয় দেখান, ঘটনার কথা কাউকে বললে তাঁর ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে। দেগে দেওয়া হবে সন্ত্রাসবাদী বলে। ভয়ে প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের না করলেও, পরে অবশ্য করেন। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের কয়েকজনকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: পিএফআইয়ের মাথা কারা? চিনে নিন চাঁইদের

    PFI: পিএফআইয়ের মাথা কারা? চিনে নিন চাঁইদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India) ও তাদের সহযোগী একাধিক সংস্থাকে। একাধিক হিন্দু (Hindu) নেতাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে সদ্য নিষিদ্ধ এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। হাওয়ালার কারবারও করত এই সংগঠন। দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বুনত হিংসার বীজ। আন্তর্জাতিক কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও পিএফআইয়ের (PFI) যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আসুন, এই সংগঠনের কয়েকজন মাথার পরিচয় জেনে নিই।

    ওএমএ সালমান: পিএফআইয়ের চেয়ারম্যান ওএমএ সালমান কেরল স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের কর্মী। বতর্মানে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সঙ্গেও যুক্ত তিনি।

    আনিশ আহমেদ: পিএফআইয়ের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা। গ্লোবাল টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিতে কাজ করতেন। সম্প্রতি সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিউজ চ্যানেলে তিনি অতিসক্রিয় ছিলেন। সরকারি নানা নীতির কট্টর সমালোচক ছিলেন আনিশ।

    পি কোয়া: জাতীয় কার্যকরী কাউন্সিলের সদস্য। নিষিদ্ধ সিমির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। কেরলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ছিলেন। ইসলামিক ইয়ুথ সেন্টারের ডায়েরেক্টর হিসেবে কাজ করেছিলেন। ইসলামিক আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতেন তিনি।

    আরও পড়ুন : নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    ইএম আবদুর রহমান: জাতীয় ভাইস চেয়ারম্যান। কোচিন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অবসরপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান। সিমির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।

    আফসার পাশা: জাতীয় সম্পাদক। পেশায় ব্যবসায়ী। পিএফআইয়ের সক্রিয় সদস্য।

    আবদুল ওয়াহিত সেইট: জাতীয় কার্যকরী কাউন্সিলের সদস্য। র‌্যাডিক্যাল ইসলামিক অর্গানাইজেশনের ফাউন্ডিং সদস্য।

    মহম্মদ শাকিব এলিয়াস শাকিফ: জাতীয় সম্পাদক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশানস)। পিএফআইয়ের ফাউন্ডিং মেম্বার। রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করেন।

    মিনারুল শেখ: প্রসিডেন্ট, পিএফআই, ওয়েস্টবেঙ্গল। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি। কোচিং ক্লাস চালান। করেন গবেষণামূলক কাজকর্ম।

    মহম্মদ আশিফ: প্রেসিডেন্ট, রাজস্তান পিএফআই। তিনি প্রথমে সিএফআইয়ে যোগ দিয়েছিলেন। পরে হয়েছিলেন পিএফআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সংগঠন বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি খুব সক্রিয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Bangladesh Boat Accident: মাঝ নদীতে ডুবল নৌকা, ৪০ হিন্দু সহ বাংলাদেশে মৃত ৫১

    Bangladesh Boat Accident: মাঝ নদীতে ডুবল নৌকা, ৪০ হিন্দু সহ বাংলাদেশে মৃত ৫১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার (Mahalaya) ভোরেই নৌকাডুবি। মন্দিরে যেতে গিয়ে ডুবল যাত্রী বোঝাই নৌকা। ঘটনায় মৃত অন্তত ৫১ জন। বাংলাদেশের (Bangladesh) উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড় জেলার ঘটনা। নিখোঁজ যাত্রীর সংখ্যা ৩০। তাঁদের খোঁজে জারি তল্লাশি। 

    পঞ্চগড় (Panchagarh) জেলার পুলিশ সুপার (Superintendent) এস এম সিরাজুল হুদা জানান, সোমবার রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪৬৮ কিলোমিটার দূরে করতোয়া নদী থেকে ৫১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে ৪০ জনই হিন্দু (Hindu)। মৃতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই পুলিশকর্তার মতে, প্রায় ১০০ জন যাত্রী বোঝাই নৌকাটি আচমকাই তলিয়ে যায় নদীগর্ভে। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। তবে এখনও অনেকের খোঁজ না মেলায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। 

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার 

    জেলাশাসক জহরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (Authority) তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহালয়া উপলক্ষে শতাধিক মানুষ নৌকায় করে বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর দুলতে শুরু করে। মাঝি নৌকাটি ঘাটে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। তখনই নৌকাটি ডুবে যায়।

    আরও পড়ুন: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    নৌকার যাত্রীদের অনেকেই সাঁতরে তীরে ওঠেন। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজে নামেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলকেও। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা এসে হাত লাগান উদ্ধারকাজে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি সূত্রে খবর, এখনও ৩০ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকার এই মর্মান্তিক ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। মৃতদের পরিবারকে (Victim Family) ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Suicide over Beef: খুনের হুমকি দিয়ে গোমাংস খাইয়েছিলেন স্ত্রী, আত্মঘাতী হিন্দু যুবক

    Suicide over Beef: খুনের হুমকি দিয়ে গোমাংস খাইয়েছিলেন স্ত্রী, আত্মঘাতী হিন্দু যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু (Hindu) যুবককে জোর করে গোমাংস (Beef) খেতে বাধ্য করেছিলেন তাঁর মুসলিম (Muslim) স্ত্রী ও তার ভাই। অভিযোগ, তার পরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই যুবক। জুন মাসে মৃত্যুর আগে ফেসবুকে লিখে গিয়েছিলেন সুইসাইড নোট (Suicide Note)। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সেই নোট। তার পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে গুজরাটের (Gujrat) সুরাট (Surat) পুলিশ।

    সুরাটের রোহিত প্রতাপ সিং। তিনি বিয়ে করেছিলেন এক মুসলিম মহিলাকে। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী ও তার ভাই জোর করে রোহিতকে গোমাংস খাওয়ায়। এর পরেই রোহিত ফেসবুকে সুইসাইড নোট আপলোড করেন। পরে গলায় দড়ি দিয়ে হন আত্মঘাতী। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ফেসবুকের ওই পোস্ট। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত ওই যুবকের দাবি, গোমাংস খেতে অস্বীকার করায় তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ফেসবুকে দেওয়া সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, আমি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর কারণ আমার স্ত্রী সোনম আলি ও তার ভাই আখতার আলি। আমার সমস্ত বন্ধুদের অনুরোধ আমি যেন বিচার পাই। আমাকে খুন করার হুমকি দিয়ে গোমাংস খাওয়ানো হয়েছিল। আমি আর এ পৃথিবীতে বাঁচতে চাই না। সেই কারণে আমি আত্মহত্যা করছি। ঘটনার দু মাস পরে সুইসাইড নোটের কথা জানতে পারেন রোহিতের আত্মীয়রা। তার পরেই তাঁরা যোগাযোগ করেন সুরাট পুলিশের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    জানা গিয়েছে, সুরাটের একটি কারখানায় এক সঙ্গে কাজ করতেন রোহিত ও সোনম। পরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিয়েও করতে চেয়েছিলেন দুজনে। সোনম ভিন ধর্মের হওয়ায় রোহিতের পরিবার এতে বাধ সাধে। সোনমকে বিয়ে করলে তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবে বলেও ভয় দেখায় রোহিতের পরিবার। তার পরেও রোহিত সোনমকে বিয়ে করে এবং তার সঙ্গেই থাকতে শুরু করে। যদিও পরিবারের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্কই ছিল না রোহিতের। সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে আসার পর সোনম ও আখতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন রোহিতের মা বীণা দেবী। তাঁর ছেলের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তিও দাবি করেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Bangladesh Hindu Teachers: বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন হিন্দু শিক্ষককে, জুতোর মালা অন্যকে

    Bangladesh Hindu Teachers: বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন হিন্দু শিক্ষককে, জুতোর মালা অন্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু শিক্ষক (Hindu Teacher) নিগ্রহের ঘটনা বাংলাদেশে (Bangladesh)। বাংলাদেশের নড়াইল জেলায় কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের (Swapan Kumar Biswas) গলায় জুতোর মালা পরানোর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রশাসন। ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাশকতা ও শিক্ষককে হেনস্থা করার অভিযোগে দায়ের হয়েছে মামলা। এদিকে, এই ঘটনারই দিন কয়েক আগে সাভার এলাকায় উৎপল কুমার সরকার নামে এক হিন্দু শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এক ছাত্র।

    আরও পড়ুন : পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলল বাংলাদেশ, কী বলল প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা।পরে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। এই নূপুরের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া বাংলাদেশের হিন্দু ছাত্র রাহুল দেব রায়কে বাঁচানোর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জুতোর মালা পরানো হয় মির্জাপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন বিশ্বাসকে। ওই ঘটনার ছবি ভাইরালও করা হয় ফেসবুকে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় সৈয়দ রিমন আলি, শাওন খান এবং মনিরুল ইসলাম নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    শিক্ষককে হেনস্থার প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় বাংলাদেশজুড়ে। পুলিশের সামনে কীভাবে একজন শিক্ষককে এভাবে অপমান করা হল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। নাট্যকর্মী থেকে নেট নাগরিক, সবারই বক্তব্য কেবল হিন্দু হওয়ার অপরাধেই এমন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে মির্জাপুর কলেজের ওই শিক্ষককে।

    আরও পড়ুন : পদ্মা সেতু বাংলাদেশ-চিনের যৌথ প্রকল্প? বেজিংয়ের দাবি ওড়াল ঢাকা

    এদিকে, এই ঘটনারই দিন কয়েক আগে সাভার এলাকায় উৎপল কুমার সরকার নামে এক হিন্দু শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এক ছাত্র। হাজি ইউনুস আলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রের এই কাজেও ঘৃণা উগরে দিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজ। এই ঘটনার উদ্দেশ্য নিয়ে পুলিশ ধন্দে রইলেও, অনুমান ওই ছাত্র স্কুলের ছাত্রীদের উত্যক্ত করত। ঘটনার প্রতিবাদ করায় উইকেট দিয়ে পিটিয়ে ফেলা হয়। ওই শিক্ষক হিন্দু হওয়ায়ই এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজের একাংশের।

    টিপ পরায় বাংলাদেশের রাজধানীয় ঢাকায় পুলিশ কর্মীর হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে। তার কয়েক দিনের মধ্যেই মিথ্যা ধর্ম অবমাননার দায়ে বিনা অপরাধে জেল খাটতে হয়েছিল মুন্সিগঞ্জের একটি স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে। ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ স্কুলের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তাকেও  জনসমক্ষে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছিল। সেই ঘটনায়ও নিন্দার ঝড় উঠেছিল বাংলাদেশ জুড়ে।

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের সেই ধারা আজও অব্যাহত!

     

  • Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মালদার (Malda) কালিয়াচকের (Kaliachak) ধর্মান্তরনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high court)। এই মামলায় সিবিআই (CBI) এবং এনআইএ-কে (NIA) যৌথভাবে তদন্ত করবে এবং আদালতকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেবে।

    সম্প্রতি, কালিয়াচকে কয়েকটি গরিব হিন্দু পরিবারকে ধর্ম পরিবর্তনের (forceful conversion) জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বলপূর্বক ধর্মান্তরণের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন ওই হিন্দু পরিবারগুলির মহিলা ও শিশুরা। পরিবারগুলির অভিযোগ, তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেফতার করে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় আগেও দুই হিন্দু পরিবারকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, কালিয়াচক থানার আইসি-ই তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ দিচ্ছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, কালিয়াচক থানার পুলিশ জোর করে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগের নিশানায় ছিলেন কালিয়াচক থানার আইসি। অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন না করলে পুরুষদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, এর আগেও ২ জনকে চাপ দিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে।

    একজন সরকারি আধিকারিকের এহেন আচরণে যারপরনাই বিস্মিত বিজেপি নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত লেখেন, গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ সংবিধান অনুসারে চলে। সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে তাঁর ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারের। সেখানে একজন সরকারি পুলিশ অফিসার যিনি থানার ইন্সপেক্টর তিনি কীভাবে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য কোনও মানুষকে চাপ দিতে পারেন? এটা পুরোপুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    পশ্চিম বাংলায় ধর্মীয় স্বাধীনতাও বিপন্ন হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি লেখেন,  পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চাকরি নেই, শিল্প নেই, সুশাসন নেই, বাক্ স্বাধীনতাও নেই। এছাড়াও নানা সমস্যা রয়েছে। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, তাই বলে সাধারণ মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতাটুকুও থাকবে না? তাঁর আশঙ্কা, তৃতীয়বার ক্ষমতালাভের পর কিছু নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতার অলিন্দে থেকে মুখোশের আড়ালে তাদের স্বার্থ কায়েম করতে চাইছে না তো?

    হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষাও দাবি করেন সুকান্ত। তিনি লেখেন, সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবারগুলোর অভিযোগ প্রশাসনকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তার পরেও সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে পথে নেমে এর প্রতিবাদ করবে বিজেপি।

    থানার আইসি-র নেতৃত্বে জোর করে ধর্মান্তরণের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, সিবিআই ও এনআইএ যৌথ তদন্ত করবে অভিযোগের ভিত্তিতে। আগামী ২১ জুনের মধ্যে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

     

LinkedIn
Share