Tag: hindu

hindu

  • India Afghanistan Relations: হিন্দু, শিখদের সম্পত্তি ফেরাবে তালিবান সরকার! স্বাগত জানাল ভারত

    India Afghanistan Relations: হিন্দু, শিখদের সম্পত্তি ফেরাবে তালিবান সরকার! স্বাগত জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে হিন্দু ও শিখদের সম্পত্তির অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের তালিবান সরকার। আফগানিস্তানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত (India Afghanistan Relations)। শুক্রবার এনিয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ইজরায়েলের হামলায় ভারত যে উদ্বিগ্ন, তাও এদিন জানিয়েছেন তিনি।

    সম্পত্তি ফেরাতে কমিশন গঠন (India Afghanistan Relations)

    আফগান হিন্দু ও আফগান শিখদের সম্পত্তি ফেরাতে কমিশন গঠন করেছে তালিবান সরকার। সরকার ও তালিবানদের সংঘাতের জেরে যখন অশান্ত হয়ে উঠেছিল কাবুল, তখনই বেহাত হয় আফগান হিন্দু ও আফগান শিখদের সম্পত্তি। তালিবান সরকারের এই সিদ্ধান্তকেই স্বাগত জানিয়েছে ভারত (India Afghanistan Relations)। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে রণধীর বলেন, “আমরা এই বিষয়ে রিপোর্ট দেখেছি। যদি তালিবান প্রশাসন তাদের আফগান হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পত্তির অধিকার পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা একে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবেই দেখছি।”

    উদ্যোগকে স্বাগত জানাল ভারত

    আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রকের সিদ্ধান্তের পরে সেখানকার শিখ নেতা নরেন্দ্র সিং খালসা কাবুলে ফিরে আসেন। তখনই তাঁকে এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যদের তাঁদের সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় তালিবান সরকারের তরফে। এজন্য গঠন করা হয়েছে কমিশনও। তালিবান সরকারের এহেন উদ্যোগকেই স্বাগত জানিয়েছে ভারত।

    গত চার দশকে আফগানিস্তানের অস্থির রাজনৈতিক পটভূমিতে কেবল হিন্দু এবং শিখদের সম্পত্তিই দখল করা হয়নি, অনেক আফগান, যাঁদের সেভাবে প্রভাব ছিল না, তাঁরাও এঁটে উঠতে পারেননি প্রভাবশালীদের সঙ্গে। সমর্পণ করতে হয়েছিল সম্পত্তি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে তালিবান কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর ভারত-আফগান সম্পর্ক গিয়ে ঠেকে তলানিতে। এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। সম্প্রতি ভারতে দূতাবাসও বন্ধ করে দিয়েছে আফগানিস্তান। তবে দীর্ঘকাল আফগানিস্তানের নানা উন্নয়ন প্রকল্পে সাহায্য করেছিল ভারত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই ঋণ শোধ করতেই আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের নয়া উদ্যোগ (India Afghanistan Relations)।

    আরও পড়ুুন: ২ ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    এদিকে, ইরান-ইজরায়েলের দ্বন্দ্বের জেরে এশিয়ার আকাশে ক্রমেই ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। এ প্রসঙ্গে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রণধীর বলেন, “১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। পশ্চিম এশিয়ায় এই অশান্তি নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। এর জেরে আরও হিংসার উদ্রেক হতে পারে। নষ্ট হতে পারে স্থিতিশীলতা (India Afghanistan Relations)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Himanta Biswa Sarma: “২০২৬ এর মধ্যে অসম কংগ্রেসে হিন্দু থাকবেন না”, বললেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: “২০২৬ এর মধ্যে অসম কংগ্রেসে হিন্দু থাকবেন না”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালের মধ্যে অসম কংগ্রেসে কোনও হিন্দু থাকবেন না।” লোকসভা নির্বাচনের প্রক্কালে কথাগুলি বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। শনিবার গুয়াহাটিতে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে গিয়েছিলেন হিমন্ত। লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতেই সদর দফতরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। পরে নিশানা করেন কংগ্রেসকে।

    কী বললেন হিমন্ত? (Himanta Biswa Sarma)

    হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালের মধ্যে অসমে কোনও হিন্দু কংগ্রেসে থাকবেন না। আর ২০৩২ সালের মধ্যে প্রায় সব মুসলমানও কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন। রাজীব ভবনে মহানগর বিজেপির শাখা খুলব আমরা। আগামিকাল (আজ, রবিবার) অনেক কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন।” তিনি বলেন, “গুয়াহাটিতে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে ১২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রভারিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এদিনই কংগ্রেসের তিনজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বাকি কয়েকজন যোগ দেবেন রবিবার। আমি মাজুলিতে যাব। পয়লা এপ্রিল সেখানে সাইকেল মিছিল দিয়ে আমি লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করব।”

    ‘মুসলমান সমাজ সংস্কার করার চেষ্টা’

    মুসলমানদের উন্নয়নে যে তাঁর সরকার কাজ করছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। বলেন, “মুসলমানদের সমাজ সংস্কার করার চেষ্টা আমি করছি। অনেক মুসলমান যুবক আমায় সমর্থন করছেন। সেটা আপনারা ফেসবুকেই দেখতে পাবেন। তাঁরা একে স্বাগতও জানাচ্ছেন। কেউই এখনও এর বিরোধিতা করেননি।” লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জোড়হাট কেন্দ্রে জয়ী হবে বলেও আশাবাদী হিমন্ত। বলেন, “একটা অংশ আমার বিরুদ্ধে বিরূপ পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু আসল সত্যটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।”

    কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ

    এদিকে, শনিবারই কংগ্রেস ছেড়ে তিন নেতা যোগ দিলেন অসম বিজেপিতে। এঁরা হলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মানস বোরা, গৌরব গগৈ এবং অসম প্রদেশ কংগ্রেসের আর এক সাধারণ সম্পাদক গৌরব সোমানি। দলীয় নেতৃত্বকে পাঠানো ইস্তফাপত্রে মানস লিখেছেন, “আমি মনে করি নতুন সুযোগ কাজে লাগানোর এটাই আমার কাছে সেরা সুযোগ। এলাকাবাসী এবং রাজ্যের কল্যাণেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ইস্তফাপত্রে সোমানি আবার দুষেছেন (Himanta Biswa Sarma) দলের রাজ্য নেতৃত্বকেই।

    আরও পড়ুুন: “গোপাল ভাঁড়কে খুন করেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র”, দাবি মন্ত্রীর, মামলার হুমকি রানিমার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Gyanvapi Case: সিল খোলা হোক জ্ঞানবাপীর ওজুখানার, উঠল এএসআই সমীক্ষার দাবিও

    Gyanvapi Case: সিল খোলা হোক জ্ঞানবাপীর ওজুখানার, উঠল এএসআই সমীক্ষার দাবিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্মাণ হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দির। প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হয়েছে বিগ্রহের। এবার ফের জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Case) ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার দাবি হিন্দু পক্ষের। সোমবার এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

    ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’

    ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গে’র অস্তিত্ব মেলার পর ২০২২ সালে সেটি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসীর নিম্ন আদালত। সেই সিলই ফের খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে হিন্দু পক্ষের তরফে। ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার পাশাপাশি এএসআইকে সেখানে সমীক্ষা চালানোর অনুমতি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে হিন্দু পক্ষ। হিন্দু পক্ষের দাবি, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Case) কাঠামোর নীচে বড় হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল। বারাণসী জেলা আদালতে জমা দেওয়া এএসআই রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে বলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি।

    এএসআইয়ের রিপোর্ট!

    এএসআইয়ের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে হিন্দু পক্ষের আরও দাবি, আওরঙ্গজেব ১৬১৯ সালের ২ নভেম্বর মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন জানান, এএসআইয়ের রিপোর্টে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব সম্পর্কে এ ধরনের মোট ৩২টি প্রামাণ মিলেছে। তিনি বলেন, “এএসআইয়ের রিপোর্ট বলছে, মসজিদ তৈরির সময় কাঠামোয় কিছু বদল আনা হয়েছিল। সামান্য বদল এনে মন্দিরের স্তম্ভ এবং অন্যান্য অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কাঠামো তৈরি করতে হিন্দু মন্দিরের পিলারের চরিত্রে সামান্য বদল আনা হয়েছিল।” আইনজীবীর এহেন দাবির পরে পরেই ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার দাবি জানাল হিন্দু পক্ষ। জানানো হল এএসআইয়ের সমীক্ষার দাবিও।

    আরও পড়ুুন: “দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান”, বললেন ফতোয়া পাওয়া সেই ইমাম

    প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই ওজুখানার ‘শিবলিঙ্গ’ পুজোর অধিকার চেয়েছিল হিন্দু পক্ষ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার বলেন, “এএসআই কর্তৃক সংগ্রহীত প্রমাণ ও অনুসন্ধানগুলি প্রমাণ করে যে, এই উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্রটি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে এটি একটি হিন্দু মন্দিরের আকারে রয়েছে। তাই উপাসনা স্থান আইন অনুসারে কাঠামোটিকে হিন্দু মন্দির ঘোষণা করা (Gyanvapi Case) উচিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই আবহের মধ্যেই তৃণমূলের দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি! (Sheikh Shahjahan) 

    বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বাংলা সংবাদ মাধ্যমের একটি বিতর্কসভায় যোগ দিয়ে বলেন, আমি বসিরহাটের বিজেপির দায়িত্বে আছি। সন্দেশখালিতে কাজ করি। আমি যেটা দেখেছি, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ২০২১ সালের পরে অবিচারে হিন্দুদের সম্পত্তি ১ টাকা দরে জোর করে গান পয়েন্টে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে নিয়েছেন। তিনটি ট্রাস্ট-সুমাইয়া আবেদা ট্রাস্ট, হাবু আবু সিদ্দিকি ট্রাস্ট এবং বাসন্তী এডুকেশন্যাল ট্রাস্ট তৈরি করে রোহিঙ্গা কলোনি গড়েছেন। হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের কাছ থেকে প্রায় ১৩৯ একর জমি কেড়ে নিয়ে রোহিঙ্গা কলোনি ও তিনটি ট্রাস্ট গড়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার উপরে। তিনি আরও বলেন, ওই জমিগুলি কোনও মুল্য না দিয়েই গায়ের জোরে তিনি দখল করেছেন।

    বাম আমল থেকে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট (Sheikh Shahjahan)  

    বাম আমলে মূলত সন্দেশখালি এলাকায় তোলাবাজির মুখ্য ভূমিকা ছিল শাহজাহান শেখের (Sheikh Shahjahan)। তৃণমূলে আসার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হতেই তাঁর বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। মেছোভেড়ি থেকে ইটভাটা, এমনকী মাটি বেচাকেনাতেও তোলা দিতে হত এই শাজাহানকে। এলাকায় কোনও ভেড়ি থেকে বিঘা প্রতি তোলা আদায়ের রেট চার্ট তৈরি হত তাঁরই তত্ত্বাবধানে। সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তিনি আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, কী বলল হাইকোর্ট?

    Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, কী বলল হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় (Gyanvapi Mosque Case) ধাক্কা খেল অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। মঙ্গলবার মসজিদ কমিটির সব আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ছ’মাসের মধ্যে মামলাটি শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণকে পুরো মসজিদে সমীক্ষার কাজ চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটা অংশে মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ গড়া হয়েছিল বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের। ঔরঙ্গজেবের আমলে মন্দিরের একাংশ ভেঙে মসজিদ হয়েছিল বলে দাবি তাদের। এনিয়ে বারাণসী জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। মসজিদের (Gyanvapi Mosque Case) দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে দাবি করে পুজোর অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন পাঁচ হিন্দু মহিলা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির আবেদন খারিজ করার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। এদিন সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, ১৬৬৯ সালে মন্দিরের একাংশ ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করেন ঔরঙ্গজেব। গত বছর মসজিদের ওজুখানায় ভিডিওগ্রাফি হয় আদালতের নির্দেশে। ভিডিওগ্রাফির কাজ শেষ হওয়ার পরে ওই বছরেরই ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পেয়েছিল বারাণসী জেলা আদালত।

    বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি

    হিন্দু পক্ষের আবেদন মেনে চলতি বছরের ২১ জুলাই বারাণসী জেলা আদালত ওই মসজিদের সিল করা এলাকার বাইরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কমিটি। ২৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ আটচল্লিশ ঘণ্টার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে।

    আরও পড়ুুন: বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল! বলছে গবেষণা

    মসজিদ কমিটির (Gyanvapi Mosque Case) আবেদন খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এএসআইয়ের নেতৃত্বে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় ছাড়পত্র দিয়েছিল। এর পর মসজিদ চত্বরের সিল করা এলাকার বাইরে সমীক্ষার কাজ শুরু করে এএসআই। সোমবার সেই সমীক্ষারই রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া হয় আদালতে। এদিন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে মসজিদ কমিটির পাঁচটি পিটিশনই। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বারাণসী আদালতে দায়ের করা মূল মামলার রক্ষণাবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করেছিল অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া কমিটি ও ইউপি সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Javed Akhtar: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মত জাভেদ আখতারের

    Javed Akhtar: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মত জাভেদ আখতারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মুম্বইয়ে ‘মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা’ আয়োজিত দীপাবলির একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলতে শোনা গেল জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar)। এদিন হিন্দুদের ‘উদার এবং বড় মনের মানুষ’ বলেও অভিহিত করেন প্রবীণ এই গীতিকার। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘হিন্দুদের সহনশীলতা বরাবরই রয়েছে। মানবিকতার গুণও তাদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।’’  তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দুদের যে বিষয়টা সব থেকে ভালো, সেটা হল এঁদের মন ভীষণ বড় হয়। আপনি যদি নিজের ভিতর থেকে সেটা নষ্ট করে দেন আপনিও তাহলে বাকিদের মতো হয়ে যাবেন।’’

    রামায়ণ নিয়ে কী বললেন প্রবীণ গীতিকার

    প্রসঙ্গত, দুমাস পরেই উদ্বোধন হবে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের। মুম্বইয়ে দীপাবলির অনুষ্ঠানে জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) বক্তব্যে উঠে আসে রাম সীতার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘ভগবান রাম ও দেবী সীতার দেশে জন্ম নিয়ে আমি গর্বিত। নাস্তিক হলেও আমি রাম ও সীতাকে দেশের সম্পদ মনে করি। রামায়ণ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।’’ দীপাবলীর ঐ অনুষ্ঠানের ‘জয় সিয়ারাম’ বলে ধ্বনিও তোলেন প্রবীণ এই গীতিকার। ভগবান রাম সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘‘মর্যাদা পুরুষোত্তম কথাটি উচ্চারিত হলে সবার আগে রামের কথাই আমার মনে আসে।’’ নিজের বাল্যকালের কথাও এদিন স্মরণ করেন জাভেদ আখতার।

    আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম! সভাপতি পদে এবিভিপির প্রার্থী মুসলিম ছাত্রী 

    বাল্যকালের স্মৃতি

    এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে লক্ষ্ণৌতেই তিনি ছোট থেকে বড় হয়েছেন এবং সেখানকার ধনী ব্যক্তিরা একমাত্র সকালে গুড মর্নিং বলতেন। বাকিরা সবাই জয় শ্রীরাম বলে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতেন। গীতিকারের আরও সংযোজন, ‘‘রাম এবং সীতাকে আলাদাভাবা একদমই ভুল। অনুষ্ঠানে হাজির সকলকে তিনি জয় শ্রীরাম সম্বোধন করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দু সংস্কৃতি হল এ দেশের সভ্যতা। এটাই আমাদের গনতান্ত্রিক মনোভাব শিখিয়েছে তাই এ দেশে গণতন্ত্র রয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hindu: ভারতে জন্মগ্রহনকারী প্রত্যেকেই হিন্দু: কেরলের রাজ্যপাল

    Hindu: ভারতে জন্মগ্রহনকারী প্রত্যেকেই হিন্দু: কেরলের রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান শনিবার বলেন যে ভারতে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছে তাঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু (Hindu)। এবং তিনি নিজেও তাই। এদিন উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী কেরলের হিন্দুরা একটি হিন্দু (Hindu) সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন, তিরুবনন্তপুরমে এই সম্মেলনের  উদ্বোধনী ভাষণে একথা বলতে শোনা যায় রাজ্যপালকে।

    স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের প্রসঙ্গও টেনে আনেন রাজ্যপাল

    আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের নামও এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন কেরলের রাজ্যপাল। তিনি বলেন, সৈয়দ আহমেদ খানও নিজেকে হিন্দু (Hindu) বলতেন। শুধু তাই নয় আর্যসমাজের সদস্যদের তিনি (স্যার সৈয়দ আহমেদ খান) বলতেন, “আপনারা আমাকে হিন্দু (Hindu) বলেন না কেন? এদেশের জল এবং খাবারে যারা পুষ্ট তারা সবাই হিন্দু। হিন্দু (Hindu) হল ভৌগোলিক শব্দ। তাই আপনারা আমাকে অবশ্যই হিন্দু বলবেন”।

    প্রসঙ্গত, কেরালা হিন্দুস (Hindu) অফ নর্থ আমেরিকা (KHNA) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সম্মেলনের সমাপ্ত ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরালীধরন। তিনি বলেন, সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী সমস্ত মানুষদের এক ছাদের তলায় একত্রিত হওয়ার সময় এসেছে এবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • CAA: চালু সিএএ, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে হলে কী করবেন জানেন?

    CAA: চালু সিএএ, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে হলে কী করবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন (CAA) পাশ হয়েছিল বছর চারেক আগে। কার্যকর হল ১১ মার্চ, ২০২৪, সোমবার। এদিন থেকেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল সিএএ আইন। এই আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই দেশগুলি থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই ছয় ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্য কোনও দেশ থেকে আসা অন্য কোনও ধর্মের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    প্রশ্ন হল, সিএএর (CAA) জন্য কীভাবে আবেদন করবেন? indiancitizenshiponline.nic.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা আবেদন করতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে পৃথক ফর্ম। বিভিন্ন ফর্মের জন্য নানা নথির প্রয়োজন হবে। এগুলি হল, বৈধ বিদেশি পাসপোর্ট, বাসস্থানের অনুমতিপত্র, বাবা-মায়ের জন্ম শংসাপত্র অথবা তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় জমা করা ৫০০ টাকার একটি ব্যাঙ্ক চালান, আবেদনকারীর স্বামী বা স্ত্রীর ভারতীয় পাসপোর্ট বা জন্মের শংসাপত্র, বিয়ের শংসাপত্র, ভারতে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে (যাঁরা অন্য দেশ থেকে আসবেন), ভারতে ব্যবহৃত যে কোনও একটি ভাষা সম্পর্কে কতটা জ্ঞান রয়েছে, তার প্রমাণ হিসেবে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শংসাপত্র থাকতে হবে অথবা আবেদনকারীর জেলায় বসবাসকারী দুজনকে মান্যতা দিতে হবে। আবেদনকারীর চরিত্র সম্পর্কেও দুজনকে দিতে হবে শংসাপত্র। অনলাইন ছাড়াও ফর্ম ফিল-আপ করে জমা দেওয়া যাবে ডিএম বা ডিসি অফিসে গিয়ে।

    ভারতীয় নাগরিক কারা?

    মনে রাখতে হবে, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৭ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত যাঁদের জন্ম হয়েছে, তাঁরা জন্মসূত্রেই ভারতীয়। এর পর থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের জন্মের সময় বাবা-মায়ের ভারতীয় নাগরিকত্ব থাকলে তবেই তাঁরা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। এর পর যাঁরা জন্ম গ্রহণ করেছেন, হয় তাঁর বাবা-মাকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে কিংবা দুজনের মধ্যে যে কোনও একজন ভারতীয় ও অন্যজন অনুপ্রবেশকারী নন (CAA)।

    আরও পড়ুুন: সিএএ কার্যকর হতেই ঠাকুরনগরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উচ্ছ্বাস হিন্দু শরণার্থীদের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) অন্দরে সিল করা বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বুধবার এই অনুমতি দিয়েছে আদালত। সিল করা বেসমন্টকে বলা হচ্ছে ব্যস কা তয়খানা।

    পুজোর অনুমতি

    হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, “আগামী সাত দিনের মধ্যে জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো শুরু হবে। সব হিন্দুরাই সেখানে পুজোর অনুমতি পাবেন।” হিন্দুরা যাতে নির্বিঘ্নে এই চত্বরে পুজো করতে পারেন, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টকে জ্ঞানবাপী মসজিদের ওই অংশে পুজোর জন্য একজন পূজারির নামও সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। ব্যারিকেড সরানো থেকে পুজোর স্থান পরিষ্কার সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে প্রশাসনকে।

    হিন্দু পক্ষের দাবি

    ৩১ জানুয়ারি কর্মজীবনের শেষ দিন ছিল বিচারপতি কৃষ্ণমোহন পাণ্ডের। তিনিই মসজিদের সিল করা ওই বেসমেন্ট পুজোর অনুমতি দেন হিন্দুদের। প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের তালা খোলা ও সেখানে পুজোর অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি পাণ্ডেই। এএসআইয়ের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে (Gyanvapi Mosque) ধরে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী জৈন। তাঁর দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব মিলেছে। মন্দিরের কাঠামো পরিবর্তন করে ও তার ওপর প্লাস্টার করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু মন্দিরের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে ৩৪টি শিলালিপিও।

    আরও পড়ুুন: ‘নিখোঁজ’, ‘বেপাত্তা’ শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন এবার বারাসত আদালতে!

    এএসআইয়ের সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই মসজিদের এই অংশ হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এর পরেই পুজোর অনুমতি চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দু পক্ষ। মসজিদের ওজুখানা খোলা ও ফের এএসআই সার্ভের দাবিও জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। মসজিদের সিল করা বেসমেন্টে পুজোর অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেদব্যাস পীঠের আচার্য শৈলেন্দ্র কুমার পাঠক। তিনি চেয়েছিলেন হিন্দুরা যাতে মসজিদের সিল করা বেসমেন্ট চত্বরে শৃঙ্গার গৌরীর সুযোগ পায়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই পুজোর (Gyanvapi Mosque) অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Pro Khalistan Movement: আবারও ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্দিরের গায়ে লেখা হল খালিস্তানপন্থী স্লোগান

    Pro Khalistan Movement: আবারও ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্দিরের গায়ে লেখা হল খালিস্তানপন্থী স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের (Pro Khalistan Movement)। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হল খালিস্তানপন্থী স্লোগান। এই ক্যালিফোর্নিয়ায়ই গত সপ্তাহে স্বামী নারায়ণ মন্দিরের গায়ে লেখা হয়েছিল ভারত-বিরোধী স্লোগান। দেওয়ালে লিখে দেওয়া হয়েছিল খালিস্তানপন্থী স্লোগান। সেই ঘটনায় সোচ্চার হয়েছিলেন আমেরিকায় বসবাসকারী হিন্দুরা। তার তদন্তও শুরু করেছে সে দেশের প্রশাসন। তার ঠিক এক সপ্তাহ পরেই আবারও হিন্দু মন্দিরে তাণ্ডব খালিস্তানপন্থীদের। খালিস্তানপন্থীদের এহেন তাণ্ডবে শঙ্কিত সে বসবাসকারী হিন্দুরা।

    মা শেরওয়ালির মন্দির

    শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের তরফে যে পোস্ট করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে এবার খালিস্তানপন্থীদের (Pro Khalistan Movement) নজর ছিল মা শেরওয়ালির মন্দিরের ওপর। এই মন্দিরের দেওয়ালেই লেখা হয়েছে ভারত-বিরোধী স্লোগান। স্লোগান লেখা হয়েছে খালিস্তানের পক্ষেও। ফাউন্ডেশনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে পুলিশেরও যোগ রয়েছে। ফাউন্ডেশনের তরফে হিন্দু মন্দিরগুলিতে সিকিউরিটি ক্যামেরা লাগাতে বলা হয়েছে। ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে অ্যালার্মেরও। দেশে যাতে হিন্দু বিরোধী কার্যকলাপ প্রশ্রয় না পায় এবং খালিস্তানপন্থীদের হুমকিতে যাতে হিন্দুরা দমে না যায়, তাই এসব ব্যবস্থা করতে হবে।

    ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দির

    ক্যালিফোর্নিয়ার নিউইয়র্কে ২৩ ডিসেম্বর খালিস্তানপন্থী স্লোগান লিখে দেওয়া হয়েছিল হিন্দু মন্দিরে। সেবারও হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের তরফে মন্দিরের ছবি শেয়ার করা হয়েছিল এক্স হ্যান্ডেলে। সেদিন বিকৃত করা হয়েছিল স্বামী নারায়ণ মন্দিরের দেওয়াল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে দেখা গিয়েছিল, মন্দির গাত্রে লেখা হয়েছে ভারত-বিরোধী স্লোগান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও স্লোগান লেখা হয়েছিল মন্দিরের দেওয়ালে।

    আরও পড়ুুন: বাম মুখে ‘রাম’ নাম! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের সরকারি দৈনিক

    ওই ঘটনার পরে পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং জঙ্গিদের পা রাখার জায়গা দেওয়া উচিত নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “আমি এটি (মন্দির বিকৃতির ছবি) দেখেছি। জঙ্গি, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং এই জাতীয় কোনও শক্তিকে কখনওই পা রাখার জায়গা দেওয়া উচিত নয়। আমাদের দূতাবাসের তরফে সরকারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকেও জানানো (Pro Khalistan Movement) হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জেনেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share