Tag: hindu

hindu

  • Shri Ram Swabhiman Parishad: এবার শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ

    Shri Ram Swabhiman Parishad: এবার শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli) পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ (Shri Ram Swabhiman Parishad)। পরিষদের সম্পাদক সুরজ কুমার সিং এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “পরিষদ শর্মিষ্ঠার নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” এক সাক্ষাৎকারে সুরজ বলেন, “শর্মিষ্ঠা একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। পরে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তবুও তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হয়েছে।”

    গ্রেফতারের দাবি (Shri Ram Swabhiman Parishad)

    তিনি বলেন, “স্কাই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা – যাদের দফতর পাকিস্তানের করাচিতে – তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। এমনকী তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে, সার তন সে জুদা স্লোগান তোলা হয়েছে।” রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যদি তিনি বিএনএসের ২৯৫এ ধারায় দোষী হন, তাহলে আইনের নিজস্ব গতিতে বিচার হোক। কিন্তু একজন হিন্দু হিসেবে এবং আমাদের সংগঠনের সদস্য হিসেবে আমরা শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। তাঁর কিছু হলে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ দায়ী থাকবে। আজকের পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু ধর্মকে অপমানকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে, আর নিজের লোকেরা হচ্ছে নিশানা।”

    স্কাই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি

    স্কাই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিও জানান সুরজ। তিনি বলেন, “এই সংস্থাটি করাচিতে রেজিস্ট্রার্ড, যদিও এখানে (ভারতে) তাদের কাজকর্ম চালাচ্ছে। তাদের কার্যকলাপের তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা শর্মিষ্ঠার নিরাপত্তা নিশ্চিত করব এবং তাঁর পরিবার ও লিগ্যাল টিমের পাশে থাকব (Sharmistha Panoli)।” প্রসঙ্গত, ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে।

    সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণ

    সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছে। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করেনি। এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিল। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, সে গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছে। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর (Shri Ram Swabhiman Parishad) জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে (Sharmistha Panoli)।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    এই ওয়াজাহাতই অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিল। ট্যুইটবার্তায় সে লিখেছিল, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুশকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও সে রয়েছে বহাল তবিয়তে (Shri Ram Swabhiman Parishad)।

    শাস্তিযোগ্য অপরাধ! 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি (Shri Ram Swabhiman Parishad)। বিজেপির এক নেতা বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে (Sharmistha Panoli)। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

  • Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার (Anti Hindu) পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান (Wazahat Khan) নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি।

    ওয়াজাহাত খানের কীর্তি (Wazahat Khan)

    এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিলেন। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুসকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিজেপির এক নেতা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি (Anti Hindu) দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

    ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

    এদিকে নেটিজেনরা ওয়াজাহাতের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষা করে দেখেন, যে হজরত মহম্মদ ও ইসলামের বিরুদ্ধে তথাকথিত অবমাননা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিল, সে নিয়মিত হিন্দুধর্ম ও হিন্দু দেব-দেবীদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে। তার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিভিন্ন হিন্দু দেবতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যার অনেকগুলি সে পরবর্তীকালে মুছে ফেলেছে। এই অবমাননাকর পোস্টগুলির উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট বিনীত জিন্দাল দিল্লি পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তার বিরুদ্ধে বিএনএসের ধারা ১৯৪, ১৯৫, ৩৫৬ এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৬, ৬৭ ও ৬৯ অনুযায়ী এফআইআর নথিভুক্ত করার অনুরোধ জানান। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে দিল্লিতে। দিল্লির সাকেত পুলিশের সাইবার ক্রাইমে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন (Wazahat Khan) আইনজীবী অমিতা সচদেবা।

    আইনজীবীদের অভিযোগ

    দিল্লির দুই আইনজীবী ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃতীয় অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে অসমের গুয়াহাটিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার কারণেই দায়ের হয়েছে এই অভিযোগও। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন ভয়েস অফ অসম নামের এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকাউন্টের পরিচালনাকারী তথা হিন্দু আইটি সেলের নেতা শান্তনু শইকিয়া। অভিযোগটি দায়ের হয়েছে ১ জুন গুয়াহাটির পানবাজার থানার সাইবার ক্রাইম শাখায় (Anti Hindu)। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওয়াজাহাত খান কাদরী রাশিদি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের দেবী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। ভক্তদের “মানসিকভাবে বিকৃত” বলে অপমানও করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, “তার প্রকাশ্য টুইটার হ্যান্ডেলে রাশিদি ওয়াজাহাতে কামাখ্যা দেবী মন্দিরের পবিত্র ঐতিহ্যকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে, যেখানে শক্তিপীঠকে ‘কাটা যোনি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং উপাসকদের মানসিকভাবে অসুস্থ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সে আরও বেশ কয়েকটি টুইটে হিন্দুদের ব্যঙ্গ করেছেন। এই ধরনের ভাষা শুধু অশ্লীল ও অসম্মানজনক নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে (Wazahat Khan)।”

    শর্মিষ্ঠার পাশে বার কাউন্সিলও

    অভিযোগকারীরা এফআইআর দায়ের এবং হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, যাতে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয় (Anti Hindu)। এর আগে শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ পবণ কল্যাণ, কঙ্গনা রানাউতরা। এবার রীতিমতো বিবৃতি জারি করে ধৃত শর্মিষ্ঠাকে সমর্থন করলেন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। তাঁর মতে, এই গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন। বিবৃতিতে মনন লিখেছেন, “সব রকমভাবে শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওটি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিয়েছিলেন, এমনকী ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তার জন্য গ্রেফতার ও জেল হেফাজত ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ।”

    কী বলছেন চেয়ারম্যান?

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কলকাতা পুলিশের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন তিনি। মননের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। উপেক্ষা করা হচ্ছে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সব অপরাধ। তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে (Wazahat Khan)। নন্দীগ্রামের হিংসা, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও সাম্প্রতিককালে মুর্শিদাবাদের হিংসায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মনন। তাঁর অভিযোগ, প্রায় সব ক্ষেত্রেই হয় রাজ্য জড়িত ছিল, নয়তো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল (Anti Hindu)। তিনি অবিলম্বে শর্মিষ্ঠার মুক্তি দাবি করেছেন।

    কেবল দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তাঁকে সমর্থন করেছেন ডাচ সাংসদ গ্রিট ওয়াইল্ডার্স। তিনি লিখেছেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্তি দিন! তাঁকে গ্রেফতার করা বাক স্বাধীনতার জন্য লজ্জাজনক। পাকিস্তান এবং মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাঁকে শাস্তি দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওঁকে সাহায্য করুন।” শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (Wazahat Khan)।”

  • Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের (Hindu) নিয়ে কেউ তখনই চিন্তা করবে, যখন হিন্দুরা নিজেরাই যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কারণ হিন্দু সমাজ এবং ভারত একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাই হিন্দু সমাজের গৌরবময় রূপ ভারতকেও গৌরবান্বিত করবে।” সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এমন একটি শক্তিশালী হিন্দু সমাজই কেবল তাদের সঙ্গেও চলার পথ দেখাতে পারে, যারা নিজেদের হিন্দু মনে করে না, যদিও এক সময়ে তারাও হিন্দুই ছিল। যদি ভারতের হিন্দু সমাজ শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এই কাজ চলছে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ধীরে ধীরে হলেও সেই পরিস্থিতির বিকাশ ঘটছে।”

    হিন্দু নিপীড়ন (Mohan Bhagwat)

    প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু নিপীড়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এবার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে রকম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। স্থানীয় হিন্দুরাও এখন বলছেন, ‘আমরা পালিয়ে যাব না। আমরা এখানেই থাকব এবং আমাদের অধিকার নিয়ে লড়ব।’ এখন হিন্দু সমাজের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে। সংগঠন যত বাড়বে, এর প্রভাবও ততটাই স্বাভাবিকভাবে প্রতিফলিত হবে। তার আগে পর্যন্ত, আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” ভাগবত বলেন, “বিশ্বের যেখানেই হিন্দু আছে, আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তাদের জন্য যা কিছু সম্ভব, সব কিছু করব। সংঘ আছে সেই উদ্দেশ্যেই। স্বয়ংসেবকেরা শপথ নেয়—‘ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজ রক্ষা করে হিন্দু রাষ্ট্র বিকাশের জন্য কাজ করব।’”

    কী বললেন ভাগবত

    তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের শক্তিশালী হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিনের প্রার্থনায় আমরা যেভাবে প্রার্থনা করি – ‘অজয়্যম চ বিশ্বস্য দেহীশ শক্তিম’ — ‘আমাদের এমন শক্তি দাও যাতে আমরা গোটা বিশ্বের কাছে অজেয় হই।’ সত্যিকারের শক্তি হল অভ্যন্তরীণ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। আমাদের নিজেদের (Hindu) আত্মরক্ষা করার সামর্থ্য থাকা উচিত। একাধিক শক্তি একসঙ্গে হলেও কেউ যেন আমাদের জয় করতে না পারে (Mohan Bhagwat)।”

  • Bangladesh: ইউনূসের জমানায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা, যশোর হিংসায় ঘরছাড়া বহু

    Bangladesh: ইউনূসের জমানায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা, যশোর হিংসায় ঘরছাড়া বহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূসের (Muhammad Yunus) বাংলাদেশে ফের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার অভিযোগ সামনে এল। গত বৃহস্পতিবার ২২ মে বাংলাদেশের যশোর জেলার (Bangladesh) অভয়নগর উপজেলার অবস্থিত গ্রাম দাহার মাসিহাটিতে হিন্দুদের ওপর মৌলবাদীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই গ্রামের অসংখ্য হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করারও অভিযোগ উঠেছে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোতে।

    মাছের ভেড়ি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত (Bangladesh)

    এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিরোধের সূত্রপাত হয় একটি মাছের ভেরি নিয়ে। এখানেই ৫০ বছরের তারিকুল ইসলাম নামের একজনকে হত্যা করা হয়। তারপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে (Bangladesh)। এরপরেই মৌলবাদীরা দাহার মাসিহাটি গ্রামে কুড়িটিরও বেশি হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। প্রথম আলো প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তারা চারটি দোকান ভাঙচুর করে এবং আরও দুটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনার দশজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    গ্রামের পুরুষ সদস্যরা ঘরছাড়া (Bangladesh)

    প্রথম আলো প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, তারিকুল ইসলামের সঙ্গে পিন্টু বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ইউনূসের বাংলাদেশে এমন সাম্প্রদায়িক হিংসার (Bangladesh) ঘটনা ফের একবার সামনে এল। সমাজ মাধ্যমে তা ব্যাপক ভাইরালও হয়েছে হিন্দুদের আক্রান্ত হওয়ার ছবি এবং ভিডিও (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িগুলি ভাঙচুরের দৃশ্য স্পষ্ট হয়েছে প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকের প্রতিবেদনে। যিনি নিজে গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়েছিলেন (Bangladesh)। দাহার মাসিহাটি গ্রামে পৌঁছে তিনি দেখতে পান যে হিন্দু বাড়িঘর এবং তাদের জিনিসপত্র একদম ছারখার হয়ে গেছে। ওই সাংবাদিক তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন যে ছয়টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে গ্রামের সমস্ত পুরুষ সদস্য তাঁদের নিরাপত্তার কারণে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। কিছু হিন্দু মহিলা রয়ে গেছেন গ্রামে। আহতদের বেশিরভাগই মতুয়া সম্প্রদায় বলে জানা গিয়েছে।

  • Murshidabad violence: হিংসার নেপথ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, দর্শক ছিল পুলিশ! হাইকোর্টের রিপোর্ট নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    Murshidabad violence: হিংসার নেপথ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, দর্শক ছিল পুলিশ! হাইকোর্টের রিপোর্ট নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফের নামে মুর্শিদাবাদ হিংসা (Murshidabad violence) নিয়ে হাইকোর্ট গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুধুমাত্র বেতবোনাতেই ১১৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অসহায় মানুষ অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নিলে, আক্রান্তদেরই জোর করে আবার ফেরানো হয় হিংসা কবলিত এলাকায়। রিপোর্টে আরও বলা হয়, পুলিশ নিপীড়িত মানুষকে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে। এমনকী হিংসা হচ্ছে দেখেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মেহবুব আলম। হিন্দু নির্যাতনে দায়ী শাসক শিবিরের স্থানীয় নেতৃত্বই। হিংসার নেতৃত্বে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “নিজের দলের স্থানীয় তৃণমূল নেতারদের বাঁচাতে বহিরাগত তত্ত্বের কথা বলেছেন। নত মস্তকে ক্ষমা চাওয়া উচিত তাঁর।”

    তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল কোর্ট (Murshidabad violence)

    ওয়াকফের নামে রাজ্যে গত ৮ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad violence) ধুলিয়ান, সাজুরমোড়, জাফরাবাদ, জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জে হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, দোকান ভাঙচুর, লুটপাট, খুন-হত্যা, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে না পারায় বিএসএফ নামানো হয়েছিল। অসহায় হিন্দুরা গঙ্গা পার হয়ে মালদার বৈষ্ণবনগরে পারলালপুর হাইস্কুলের শিবিরে আশ্রয় নেয়। পরে মামলার তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। মুর্শিদাবাদ হিংসার তদন্তে ৩ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কমিটিতে রয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার যোগিন্দর সিং। রাজ্য জুডিশিয়ার সার্ভিসেসের সচিব অর্ণব ঘোষাল ও রাজ্য জুডিশিয়াল সার্ভিসেসের রেজিস্ট্রার সৌগত চক্রবর্তী। এরপর কমিটির সদস্যরা মুর্শিদাবাদে গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেন। রিপোর্টে মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক হিংসাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কাউন্সিলের নাম, স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং আশেপাশের মুসলমান দুষ্কৃতীদের কথা বলা হয়। এরপর থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি।

    গামছা-কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে এসেছিল!

    মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মুর্শিদাবাদের স্পর্শকাতর এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প করার পক্ষে সওয়াল তুলেছিলেন। সে সময়েই তিনি দাবি করেছিলেন, কারা আদতে হিংসা চালিয়েছে, সে তথ্য দ্রুত সামনে আসবে। এবার হাইকোর্টের রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন তিনি। এদিন সুকান্ত বলেন, “এই রিপোর্ট পরিষ্কার বলছে, মাসেরগড় (Murshidabad violence), হিজলতলা, শিউলিতলা, ডিগড়ি- সেখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা এসেছিল, তারাই বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। দুষ্কৃতীরা গামছা-কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে এসেছিল। যারা হামলায় অভিযুক্ত ছিল তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন মমতা।” আবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “যা নির্দেশ ছিল তা করে দেখিয়েছে মেহেবুবের মতো দুষ্কৃতীরা। এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। ঘটনার আগে পরের অবস্থা বিচার করে রিপোর্ট দেওয়া উচিত।”

  • Anti India Parade: কানাডায় ফের ভারত-বিরোধী প্যারেড খালিস্তানপন্থীদের, কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি

    Anti India Parade: কানাডায় ফের ভারত-বিরোধী প্যারেড খালিস্তানপন্থীদের, কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে ভারত-বিরোধী প্যারেড (Anti India Parade)। তায় আবার যোগ দিলেন খোদ কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী। প্যারেডে দেশ থেকে হিন্দুদের ভারতে নির্বাসনের দাবি ওঠে। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোর পথেই হাঁটছে কানাডা? ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে ভারত। সোমবার ভারত নয়াদিল্লিতে কানাডার হাইকমিশনের কাছে টরন্টোর ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই প্যারেডে একটি ট্রাকর ওপর জেলের আদলে কারা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের খাঁচাবদ্ধ কুশপুতুল রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ৮ লাখ হিন্দুকে ভারতে ফেরত পাঠানোর দাবিও জানানো হয় ওই প্যারেডে। দিন কয়েক আগে কানাডার টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারে আয়োজিত হয়েছিল হিন্দু বিরোধী একটি কুচকাওয়াজ। সেখানেই ওঠে কানাডা থেকে হিন্দু বিতাড়নের দাবি। জানা গিয়েছে, কানাডায় বসবাসকারী খালিস্তানপন্থীরা এই প্যারেডের আয়োজন করেছিল।

    কানাডাক কড়া বার্তা ভারতের (Anti India Parade)

    সূত্রের খবর, এদিন ভারতের তরফে কানাডার হাইকমিশনকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, “আমরা আবারও কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে ভারত-বিরোধী উপাদানগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যারা ঘৃণা ছড়ায় এবং চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করে।” কানাডার সাংবাদিক ড্যানিয়েল বোর্ডম্যান বলেন, “জিহাদিরা আমাদের রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছে, ইহুদিদের হুমকি দিচ্ছে, সামাজিক কাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করছে।” তিনি (Canada) বলেন, “খালিস্তানিরা সমাজের জন্য সব চেয়ে ঘৃণ্য বিদেশি অর্থায়নের হুমকির বিরুদ্ধে তাদের অর্থের জন্য ভালো সুযোগ করে দিচ্ছে।” এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, “মার্ক কার্নির কানাডা কি জাস্টিন ট্রুডোর থেকে আলাদা হবে?” কানাডার ওই সাংবাদিক শন বিন্দা নামে এক ইউজারের একটি এক্স পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, খালিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী হিন্দু বিরোধী ঘৃণা থেকে এই প্রতিবাদ করেছে।

    টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বার

    এক্স হ্যান্ডেলে বিন্দা লিখেছেন, “টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারার কে-গ্যাং নির্লজ্জভাবে ৮ লাখ হিন্দুকে – যারা ত্রিনিদাদ, গায়ানা, সুরিনাম, জামাইকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, কেনিয়া ও তার বাইরেও বিস্তৃত – তাদের হিন্দুস্তানে নির্বাসিত করার দাবি করছে। এটি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদ নয়, এটি কানাডার সব চেয়ে মারাত্মক হামলার জন্য কুখ্যাত একটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর স্পষ্ট হিন্দু বিরোধী ঘৃণা, তবুও অহংকার করে থাকার অধিকার দাবি করছে।” এর পরেই তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, “খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদ (Anti India Parade)।”

    হুমকিমূলক ভাষা প্রয়োগ

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, “টরন্টোতে আয়োজিত এক প্যারেডে আমাদের নেতৃত্ব এবং কানাডায় বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে অগ্রহণযোগ্য চিত্র ও হুমকিমূলক ভাষা ব্যবহারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত কানাডীয় হাই কমিশনের কাছে আমরা জোরালো ভাষায় আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।”  বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, “আমরা কানাডীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ভারতবিরোধী সেইসব শক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবারও আহ্বান জানাই, যারা বিদ্বেষ, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মসূচি প্রচার করে চলেছে।” টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারে একটি হিন্দুবিরোধী প্যারেড হয়। প্যারেডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনাটি কানাডায় শিখ গুরুদ্বার ও একটি হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানপন্থী গ্রাফিতি এঁকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে (Canada)।

    বার বার বিতর্কিত প্যারেড

    কানাডার এক হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ভিডিওটি অনলাইনে পোস্ট করে এটিকে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর দ্বারা প্রচারিত প্রকট হিন্দুবিরোধী বিদ্বেষ বলে নিন্দা করেন (Anti India Parade)। প্রসঙ্গত, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করার কয়েকদিন পরেই টরন্টোতে হিন্দু বিরোধী প্যারেড হয়। কানাডার জাতীয় নির্বাচনটি নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কারণ কার্নি নয়া ম্যান্ডেট পেতে সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি জাস্টিন ট্রুডোর কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যিনি তাঁর দলের মধ্যে সমর্থন হারানোর পরে তাঁর মেয়াদের শেষের দিকে পদত্যাগ করেছিলেন (Canada)।

    বিতর্কিত এই প্যারেডটি হয়েছে ঠিক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টির জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের কয়েক দিন পরেই। অনেকেই আশা করেছিলেন যে তাঁর নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে উন্নত হবে কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (Anti India Parade)। এপ্রিল মাসে সারে শহরে বার্ষিক খালসা দিবস বৈশাখী মিছিলেও খালিস্তানপন্থী পতাকা ও ভারতবিরোধী ছবি দেখা গিয়েছিল (Canada)। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহের ছবিসহ ‘ওয়ান্টেড’ পোস্টার প্রদর্শনের ঘটনায় সেই মিছিলটি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয় (Anti India Parade)।

  • Bangladesh Crisis: ছ’মাস পরে বাংলাদেশের হাইকোর্টে জামিন পেলেন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস

    Bangladesh Crisis: ছ’মাস পরে বাংলাদেশের হাইকোর্টে জামিন পেলেন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত বন্দিদশা ঘুঁচল বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দু সন্ন্যাসী তথা ইসকনের প্রাক্তন কর্তা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Krishna Das)। বুধবার বাংলাদেশের আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময়কৃষ্ণকে। এদিন জামিনে ছাড়া পেলেন এই হিন্দু সন্ন্যাসী।

    জামিনের আবেদনের শুনানি (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশের হাইকোর্টে এদিন চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি আয়োতার রহমান ও আলি রেজার ডিভিশন বেঞ্চ। ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখে চিন্ময়কৃষ্ণের মামলায় রুল জারি করেছিল আদালত। কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত শুনানি হওয়ার কথা ছিল ২৩ এপ্রিল। সেদিন আদালত জানায়, শুনানি হবে ৩০ এপ্রিল। সেই মতো এদিন হয় শুনানি। এবং জামিনে ছাড়া পান হিন্দু এই সন্ন্যাসী।

    চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার

    গত বছরের মাঝামাঝি সময় গণঅভ্যুত্থান ঘটে বাংলাদেশে। পতন হয় হাসিনা সরকারের। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের রাশ যায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। তার পরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর শুরু হয় চরম অত্যাচার। হিন্দুদের বাড়িঘর-মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নির্বিচারে চলতে থাকে খুন-জখম-রাহাজানি। হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। এসবের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। এর পরেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ছিল। এর পরেই (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করা হয় হিন্দু এই সন্ন্যাসীকে।

    চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারিকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয় ওপার বাংলায়। এই হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে ভারতেরও নানা জায়গায় মিছিল হয়। ২৭ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম আদালতে পেশ করার সময় আদালত চত্বরে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকে একাধিকবার চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চিন্ময়কৃষ্ণের (Chinmoy Krishna Das) হয়ে সওয়াল করতে চাননি কোনও আইনজীবীই। কারণ তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রায় ছ’মাস পরে এদিন মিলল বহুকাঙ্খিত জামিন (Bangladesh Crisis)।

  • Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু।” রবিবার ঠিক এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হয় বলে অভিযোগ। তার জেরে জেলা ছেড়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন বহু হিন্দু।

    মমতা ভণ্ড হিন্দু (Suvendu Adhikari)

    এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। দিঘায় নয়া জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। সে প্রসঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হিন্দু বিরোধী বলেও অভিহিত করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু। হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করবেন না। হিন্দুরাই হিন্দু মন্দির তৈরি করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু বিরোধী। তাঁর জন্যই মুর্শিদাবাদের হিন্দু পরিবারগুলি এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।” এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, রাজ্যে হিন্দুরা হুমকির মুখে রয়েছেন। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তও দাবি করেছিলেন তিনি। এই ঘটনার জন্য রাজ্য পুলিশকে দায়ীও করেন শুভেন্দু। একে তিনি ‘নৃশংস হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মকে সজীব রাখতে নিরন্তর কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা হুমকির মুখে। আমরা এনআইএ তদন্ত চাই। এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য রাজ্য পুলিশ সম্পূর্ণ দায়ী। এখানে সবাই চায় এনআইএ এখানে এসে মামলার দায়িত্ব নিক।” হিংসার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। অখিলেশের এহেন মন্তব্যকে শুভেন্দু বলেন, “অখিলেশ যাদবের বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে প্রেরিত।”

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনের জেরে খুন করা হয় দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পীকে। তাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর (Mamata Banerjee) করা হয়। প্রাণভয়ে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে মালদায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। এখনও ভিটেয় ফেরেননি মুর্শিদাবাদ ছেড়ে যাওয়া সব হিন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Hindu Leader Killed)! ইসলামি মৌলবাদীদের অত্যাচার ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসা নিয়ে ভারতকে ‘জ্ঞান’ও দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব। সঙ্গে সঙ্গেই ভারত তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে যে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নন, তা ফের প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তর দিনাজপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বিশিষ্ট নেতাকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুষ্কৃতীরা।

    অপহরণ করে খুন (Bangladesh Crisis)

    মৃতের নাম ভবেশচন্দ্র রায়। বছর আঠান্নর ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দিনাজপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। পুলিশ ও মৃতের পরিবারকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টার’ জানিয়েছে, ১৭ এপ্রিল বিকেলে ভবেশকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্ত্রী সান্ত্বনা জানান, ১৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ একটি ফোন আসে। দুষ্কৃতীরা নিশ্চিত হয় তিনি বাড়িতে আছেন কিনা। ফোন আসার আধঘণ্টা পরে দুটি বাইকে করে চারজন লোক এসে ভবেশকে তাঁর বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ভবেশকে নিয়ে যাওয়া হয় নরবাড়ি গ্রামে। সেখানে উন্মত্ত মৌলবাদী জনতা তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। পরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ভ্যানে করে নিয়ে এসে বাড়ির উঠোনে ফেলে যায়। পরিবারের লোকজন ভবেশকে নিয়ে যান দিনাজপুর হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা

    ভবেশ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুজো উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতাও। বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবদুস সবুর সংবাদ (Hindu Leader Killed) মাধ্যমে বলেন, “শীঘ্রই এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।” ওই থানারই এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অভিযুক্তদের শনাক্ত করা ও গ্রেফতার করার প্রস্তুতি চলছে।

    চরমে হিন্দু নির্যাতন

    গত বছরের ৫ অগাস্ট পতন ঘটে আওয়ামি লিগের সরকারের। প্রবল আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। বস্তুত, তার পর থেকেই ভারতের পড়শি এই দেশটিতে সংখ্যালঘু নির্যাতন চরমে ওঠে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় মন্দির, বিগ্রহ। লুট করা হয় হিন্দুদের দোকানদানি (Bangladesh Crisis), নৃশংসভাবে করা হয় খুন। গত মাসেই ঢাকার একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বাংলাদেশজুড়ে হিন্দুদের বাড়ি, দোকানপাট ও মন্দির ভাঙচুরের ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩৬টি বাড়িতে।

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার নিয়ে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২ হাজার ৪০০টিরও বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Hindu Leader Killed)। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৭২টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Bangladesh Crisis)। হিন্দু নেতাকে অপহরণ ও হত্যার প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর পদ্ধতিগত নির্যাতনের একটি নমুনা অনুসরণ করে। এই ধরনের আগের ঘটনাগুলির অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি এবং আবারও সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা যেন অজুহাত না দেখিয়ে বা ভেদাভেদ না করে হিন্দু সহ সকল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করে।’’

    মুর্শিদাবাদে তাণ্ডব   

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কার্যত তাণ্ডব চালায় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। অন্তত এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। তাণ্ডবের জেরে মৃত্যু হয় তিনজনের। জখম হন শতাধিক মানুষ। রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে হিন্দুরা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন পড়শি জেলা মালদায়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, “মুর্শিদাবাদে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার যে কোনও প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা মুসলমানদের ওপরে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যে ঘটনার জেরে প্রাণহানি ও সম্পত্তিহানি হচ্ছে। আমরা ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলমানদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আর্জি জানাচ্ছি (Bangladesh Crisis)।”

    বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব ভারতের

    ভারত ইতিমধ্যেই শফিকুলের এহেন বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্যকে (Hindu Leader Killed) প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতা সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার একটি প্রচ্ছন্ন ও ভুল প্রচেষ্টা। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীরা বাংলাদেশে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের উচিত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য ও নৈতিকতা প্রদর্শনের (Hindu Leader Killed) পরিবর্তে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগী হওয়া (Bangladesh Crisis)। ভারতের আশঙ্কা যে ঠিক, তার প্রমাণ মিলল একদিন পরই। ওপার বাংলা থেকে এল হিন্দু-নিধনের খবর।

  • Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন ছুতো মাত্র। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) হিন্দুদের বাড়িতে যে হামলা হবে, তা পূর্বপরিকল্পিত (Hindu) বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, হিংসার আবহে যাতে হিন্দু-মুসলমানের বাড়ি গুলিয়ে না যায়, তাই বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে কালো কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই তথ্য ফাঁস করেছে এনএমএফ নিউজ নামে এক সংবাদমাধ্যম।

    হিন্দুদের বাড়িতে কালির দাগ (Murshidabad Incident)

    গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সংস্থার সাংবাদিককে বলতে শোনা যায়, ওরা (মুসলমানরা) এই চিহ্নগুলো দিয়ে রেখেছে, যাতে দাঙ্গাবাজরা জানতে পারে কোন বাড়িতে বোমা নিয়ে হামলা করতে হবে, কোন বাড়িতেই বা লাগিয়ে দিতে হবে আগুন। তিনি বলেন, ‘‘দাঙ্গা শুরুর আগে হিন্দুদের বাড়িগুলি এভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই এলাকার প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে কালো কালি দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল। দাঙ্গার সময় শুধুমাত্র সেই সব বাড়িকেই আক্রমণ করা হয়েছিল। বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলে ওই সাংবাদিক জানতে পারেন, উন্মত্ত মুসলমান জনতা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে আগে থেকে চিহ্ন দিয়ে রাখা বাড়িগুলিতে হামলা চালায়।

    তাণ্ডব, ভাঙচুর, লুটপাট

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার জুম্মার নমাজ আদায় শেষে শুরু হয় মুসলমানদের তাণ্ডব। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অংশে বেছে বেছে নিশানা করা হয় হিন্দুদের বসত ভিটে, দোকানদানি। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি চালানো হয় অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটও। প্রথমে অত্যাচার শুরু হয় সূতি ও সামশেরগঞ্জে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিস্তীর্ণ অংশে। জানা গিয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ছদ্মবেশে উন্মত্ত মুসলমান জনতা এক হিন্দু দম্পতির মিষ্টির দোকান ধ্বংস করে তাদের সমস্ত জিনিসপত্র লুট করে নেয়। দোকানের মালিক কাঁদতে কাঁদতে শুধু বললেন, “এখানে আমার একটি মিষ্টির দোকান ছিল।” আর কথা বলতে পারলেন না ওই নির্যাতিত। কেবল ইঙ্গিত করলেন ধ্বংসপ্রাপ্ত তাঁর সাধের ‘শুভ স্মৃতি হোটেল’-এর দিকে। দোকান মালিকের স্ত্রী বলেন, “ওরা দোকানের ভিতরে রাখা নগদ টাকা-সহ আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে (Hindu)। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এখন আমরা কী খাব?” মুসলিমরা ‘শ্রী হরি হিন্দু হোটেল অ্যান্ড লজ’ নামের আরও একটি প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই ক্ষয়ক্ষতির ছবি শেয়ার করেছে (Murshidabad Incident)।

    ভাঙা হয়েছে মূর্তি

    মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু মন্দিরেও হামলা হয়েছে। হয়েছে মূর্তি ভাঙাও। সংবাদ মাধ্যমের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে স্থানীয় সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের খলিলুর রহমান প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, জঙ্গিপুরে একটি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত জেলায় হিন্দু পরিবারগুলির একাধিক বাড়িকে টার্গেট করা হয় এবং দোকানে হামলা চালানো হয়। বিক্ষোভকারীরা হিংসার মধ্যে পড়ে যাওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্সকেও রেহাই দেয়নি। তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন লাগানোর আগে চালককে নিষ্ঠুরভাবে মারধর করা হয়। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মুসলিমরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চালককে আক্রমণ করে।”

    আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম!

    ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘আমরা ভয়ে ঘরের ভিতরে বসেছিলাম। আমি আমার বাবা-মা, স্ত্রী ও শিশুদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলাম।’’ তিনি বলেন, “আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম, বাইরের কেউ নয়।” সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশিত একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক আক্রমণকারী একটি হিন্দু (Hindu) পরিবারের গাড়ি ভাঙচুর করছে। মুসলমানদের এই হিংসার শিকার হয়েছিলেন আরও এক হিন্দু। তিনি বলেন, “ওরা আমার বাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই রাতে আমি ঘুমোতে পারিনি। ভয়ে সবাই জেগে ছিলাম। হিংসা চলাকালীন এখানে কোনও পুলিশ আসেনি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মীকেও দৌড়তে দেখেছি (Murshidabad Incident)।”

    ‘‘মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে কী করতাম?’’

    হিন্দু ব্যবসায়ী অমর ভগতের স্ত্রী মঞ্জু ভগত সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘ওরা (মুসলিম জনতা) সামনের গেট দিয়ে আমাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হয়ে পিছনের গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। ওরা আমাদের বাইক ভেভেছে, বাড়ি ভাঙচুর করেছে, চেয়ার, গদি, টিভি থেকে শুরু করে দামি দামি গৃহস্থালির জিনিসপত্র সব লুটে নিয়ে গিয়েছে (Hindu)।’’ তিনি আরও বলেন, “আমরা ছাদে লুকিয়ে ছিলাম। মনে মনে শুধুই ভগবানকে ডেকে গিয়েছি। লোকগুলো যাতে দ্রুত আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, তাই। ওই সময় আমার মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে আমি কী করতাম?” শুক্রবার শুরু হওয়া হিংসার এই ঘটনা ঘটতে থাকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত। ওই রাতেই ভিটে ছেড়ে মালদায় গিয়ে আশ্রয় নেন হাজার হাজার হিন্দু (Murshidabad Incident)।

LinkedIn
Share