Tag: hindu

hindu

  • Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও গাড্ডায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দল কানাডার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। পিটিশনে ব্রাম্পটনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Hindu Sabha Temple) সঙ্গে জড়িত সকলের, বিশেষ করে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    কানাডায় পিটিশন দায়ের (Hindu Sabha Temple)

    জিন্দল কানাডার প্রধান বিচারপতি রিচার্ড ওয়াগনারের কাছে ডিজিটালি এই পিটিশন জমা দেন। পিটিশনে হিন্দু ভক্ত ও হিন্দু সভা মন্দিরে আক্রমণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পিটিশনে জিন্দল কানাডিয়ান সুপ্রিম কোর্টকে এই ঘটনার তদন্তের তত্ত্বাবধান করার আহ্বান জানান। বিশেষ করে পিল পুলিশের কর্মকর্তাদের আচরণ এবং ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র মতো খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীর কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করতে, যারা হিংসায় ইন্ধন জোগানোয় দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। পিটিশনে এমন পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয় যাতে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়। কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে পিটিশনে। জিন্দল এও উল্লেখ করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলির (Hindu Sabha Temple) ওপর ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনায় ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।

    কী বলছেন আইনজীবী

    সংবাদ মাধ্যমে (Justin Trudeau) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী বলেন, “বর্তমান জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধের কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে, তাও এখন সুপরিচিত। ৩ নভেম্বর, খালিস্তানপন্থীরা হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায়। ভক্তদের মারধরও করা হয়। এই ঘটনার সময় পিল পুলিশের (এই অঞ্চলেই ঘটনাটি ঘটেছিল) কর্মকর্তারাও হিন্দু ভক্তদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল (এ সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। এরপর থেকে কানাডায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র-সহ সব দিক থেকেই হিন্দুরা হামলার শিকার হচ্ছে। এই মুহূর্তে কানাডায় আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে।’’

    ট্রুডো সরকারের মদত!

    তিনি বলেন, “খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের মতো খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি ট্রুডো সরকারের মদত পাচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরে হিন্দু যুবকদের মিথ্যে হিংসা ও ঘৃণার মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে খালিস্তানপন্থী ওই সংগঠনের সদস্যরা।” জিন্দল বলেন, “আমি এই পদক্ষেপটি নিচ্ছি যাতে কানাডার সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় এবং সেখানে বসবাসকারী প্রতিটি হিন্দুর জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানানো যায়।” জিন্দলের আশা, কানাডার বিচার ব্যবস্থা সঠিক বিচার করবে। তাঁর পিটিশনটিও গৃহীত হবে। কানাডায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

    হামলার ভিডিও ফুটেজ

    গত ৩ নভেম্বর কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরের (Hindu Sabha Temple) বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন বেশ কয়েকজন খালিস্তানপন্থী। প্রত্যক্ষদর্শী ও হিন্দু-কানাডিয়ান ফাউন্ডেশনের শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা খালিস্তানের ঝান্ডার ডান্ডা নিয়ে মন্দির উপস্থিত হিন্দু ভক্তদের মারধর করে। খালিস্তানপন্থীদের এই ভিড়ে কানাডা পুলিশের এক কর্মীকেও দেখা গিয়েছে খালিস্তানপন্থী ঝান্ডা হাতে (যদিও কানাডা পুলিশের দাবি, ওই কর্মী তখন ডিউটিতে ছিলেন না)। জানা গিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভক্তরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। আচমকাই তাঁদের ওপর হামলা করে খালিস্তানপন্থীরা। তাদের মারের হাত থেকে রেহাই পাননি মহিলা, শিশু এবং প্রবীণরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কীভাবে উগ্রপন্থীরা অনুষ্ঠানটি বিঘ্নিত করছে। কীভাবেই তারা উপস্থিত ভক্তদের মারধর করছে।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    কানাডার ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারত। কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে সে দেশে ভারতীয় নাগরিক ও ধর্মীয় কাঠামোগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছিল ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের করা উস্কানিমূলক হিংসার নিন্দা করছি। আমরা কানাডা সরকারকে অনুরোধ করছি এমন আক্রমণ থেকে যেন (Justin Trudeau) সে দেশের সব উপাসনালয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয় (Hindu Sabha Temple)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

       

  • Bangladeshi Hindus: ত্রাসের রাজত্ব বাংলাদেশে! চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা সেনার, জখম ১৫০, গ্রেফতার ৮০

    Bangladeshi Hindus: ত্রাসের রাজত্ব বাংলাদেশে! চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা সেনার, জখম ১৫০, গ্রেফতার ৮০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসকনের নামে এক কুৎসামূলক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের (Bangladesh) চট্টগ্রাম নগরীর হাজারি গলিতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা- অ্যাসিড নিক্ষেপ এবং গভীর ও রাত পর্যন্ত হাজারি গলিতে অভিযানের নামে যৌথ বাহিনী তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, চট্টগ্রাম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে দিনকয়েক আগে ইসকন নিয়ে ফেসবুকে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন মহম্মদ ওসমান গনি এক ব্যক্তি। দাবি, ইসকন সম্পর্কে লেখা হয়, এটি হিন্দু জঙ্গি সংগঠন এবং ভারতের এজেন্সি ‘র’-এর হয়ে কাজ করে। এই পোস্টকে ঘিরে হিন্দুধর্মের (Hindu) মানুষের মধ্যে তুমুল ক্ষোভের সঞ্চার হয়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চট্টগ্রাম পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার ওই ব্যক্তির দোকানে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় যৌথ বাহিনী। ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তাতে ক্ষোভের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। ওই ব্যক্তিকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় উন্মত্ত জনতা।

    ভীত-সন্ত্রস্ত হিন্দুরা এলাকাছাড়া…

    সেনা-পুলিশের হামলায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনী হামলাকারীদের তালিকা তৈরির জন্য বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করেছে। ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারি এড়াতে এলাকা ছাড়া বহু হিন্দু পুরুষ।স্থানীয় সূত্রের খবর, হাজারি গলি ছাড়াও চট্টগ্রাম শহরের অন্যত্রও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভীত সন্ত্রস্ত। বিশেষ করে আওয়ামী লিগের সমর্থকেরা অনেকেই নিরাপত্তা বাহিনী এবং জামাতের হুমকির মুখে এলাকা ছেড়েছেন। 

    আরও পড়ুন: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    উচ্ছেদ করতে পূর্ব-পরকল্পিত হামলা !

    এই হাজারি গলিতে (Bangladesh) স্বর্ণকার ও চট্টগ্রামে পাইকারি ওষুধের বাজার রয়েছে, যার কমপক্ষে ৭০ ভাগ ব্যবসায়ী হিন্দু। রয়েছে কয়েকটি মন্দিরও। মূলত মহামূল্যবান এই ব্যবসা কেন্দ্র থেকে হিন্দুদের উচ্ছেদ করে তা দখল করতেই চট্টগ্রামে সনাতনীদের ওপর সুপরিকল্পিত হামলা বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। সংখ্যালঘু হিন্দুদের অভিযোগ, সরাসরি মুসলিম ও জামাত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়েছে সেনা, পুলিশ-সহ যৌথ বাহিনী এবং ইউনূস প্রশাসনের লোকজন। তাদের আরও দাবি, মঙ্গলবারের ঘটনাকে হাতিয়ার করে তারা পুলিশ ও সেনাকে কাজে লাগায়।

    কী বলছেন হিন্দু ব্যবসায়ীরা?

    স্থানীয় হিন্দুদের দাবি, চট্টগ্রামের হাজারি গলি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হিন্দু দোকানিদের বাড়িতে ঢুকে লাঠিপেটা করে। আহতদের নব্বই ভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। সংঘর্ষ চলাকালে সেনা-পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। অনেক দোকান মালিক ও কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। রাতের দিকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও সকাল নাগাদ তা শিথিল করা হয়। সিল করা হয়েছে বহু দোকান। অন্যদিকে, যৌথ বাহিনীর অভিযোগ, পুলিশ ও সেনাকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে। যৌথ বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

    সেনাবাহিনী কি গণহত্যা শুরু করেছে?

    ব্যারিস্টার এবং সলিসিটর নিঝুম মজুমদার অভিযোগ করেছেন, ‘‘চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে ঘরে-ঘরে ঢুকে সেনাবাহিনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হেনস্থা করছে, গ্রেফতার করছে। সেনাবাহিনী কি গণহত্যা শুরু করেছে? ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সনাতনীরা জেগে উঠুন।’’ এসবের মাঝেই ইসকনের নাম জড়িয়ে তাদেক বিপাকে ফেলা এবং সংগঠনের সামাজিক ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসকন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যে সাধু, সেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতেও হিন্দুরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Relation: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের, প্রতিবাদে শামিল শিখরাও

    India Canada Relation: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের, প্রতিবাদে শামিল শিখরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের! রবিবার কানাডার ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায় (India Canada Relation) খালিস্তানপন্থীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাজার হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ পথে নামেন। এদিনের (Justin Trudeau) প্রতিবাদ মিছিলে বেশ কিছু শিখকেও হাঁটতে দেখা গিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার যে খালিস্তানিদের তোল্লাই দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধেই একজোট হয়েছেন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু ও শিখরা।

    হিন্দু জাগরণ! (India Canada Relation)

    এদিন প্রতিবাদীদের একদল যখন রাস্তা অবরোধ করছিলেন, তখন অন্যদল খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছিলেন। এদিনের এই প্রতিবাদ-যাত্রার আয়োজক ছিল উত্তর আমেরিকার হিন্দুদের সংগঠন কোয়ালিশন অফ হিন্দুজ ইন নর্থ আমেরিকা। এই প্রতিবাদ মিছিলের লক্ষ্যই ছিল, খালিস্তানিদের অযৌক্তিক সহিংসতার মোকাবিলায় ঐক্য ও সাহসিকতার বার্তা দেওয়া। কানাডার সাংবাদিক ড্যানিয়েল বোর্ডম্যান বলেন, “এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এক ধরনের (India Canada Relation) জাগরণ। আগে কখনও হাজারে হাজারে হিন্দু এমনভাবে পথে নেমে প্রতিবাদ করেনি। খালিস্তানপন্থীরা সীমা অতিক্রম করেছে। আর হিন্দুরা সংগঠিত হয়ে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেছে।” তিনি জানান, এদিন সব সম্প্রদায়ের মানুষই খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমি হিন্দু সভা মন্দিরে ছিলাম। যেখানে হাজার হাজার হিন্দুদের পাশাপাশি শিখ, ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইরানি সম্প্রদায়ের মানুষ মন্দিরে খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ ও পিল পুলিশের ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন জানাতে এসেছিলেন।” সাংবাদিক মোচা বেজিরগান জানান, খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ বৃদ্ধি পায়। সড়ক অবরোধ ও যানবাহন ভাঙচুরের মাধ্যমে অশান্ত হয়ে ওঠে ব্রাম্পটন। এদিনের প্রতিবাদে হিন্দু এবং শিখ উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই অংশগ্রহণ করেন। পিল পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তাঁরা। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তোলেন প্রতিবাদীরা।

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক প্রতিবাদী বলেন, “শিখরা আমাদের ভাই। খালিস্তানপন্থীরা শিখ নয়। আমার শিখ বন্ধু ও ভাইয়েরা আছেন এবং তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এই ঘৃণার সঙ্গে যুক্ত নয়। আমি চাই (Justin Trudeau) কানাডাবাসী এটি জানুক।” তিনি বলেন, “একটি মন্দিরে আক্রমণ করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়। আমরা একত্র এবং ঐক্যবদ্ধ (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার ব্রাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে হামলার (Attack On Hindu Temple) ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন (S Jaishankar) ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “সোমবারের ঘটনাটি দেখিয়ে দিচ্ছে যে, কানাডায় চরমপন্থী শক্তির জন্য রাজনৈতিক সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।”

    ভারতের উদ্বেগ (S Jaishankar)

    অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।” তিনি বলেন, “আপনারা আমাদের সরকারি মুখপাত্রের বিবৃতি এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর গতকালের উদ্বেগের প্রকাশ নিশ্চয়ই দেখেছেন। এতে বোঝা উচিত যে আমরা এই বিষয়ে কতটা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    জয়শঙ্করের বক্তৃতায় উঠে এসেছে ভারত এবং কানাডার মধ্যে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা মামলার নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধের প্রসঙ্গও। জয়শঙ্কর বলেন, “কানাডা নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেছে। তাই ভারতের কাছে এই অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “আমায় আপনারা তিনটি মন্তব্য করার সুযোগ দিন। এক, কানাডা প্রায়ই কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করে থাকে। দ্বিতীয়ত, যখন আমরা কানাডার দিকে তাকাই, তখন আমাদের কাছে এটা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য যে তারা আমাদের কূটনীতিকদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। তৃতীয়ত, মন্দিরে আক্রমণের ঘটনাগুলি এবং তাদের ভিডিওগুলি দেখুন। আজকের দিনে, কানাডায় রাজনৈতিক পরিসরে যে পরিমাণ জায়গা চরমপন্থী শক্তিরা পাচ্ছে, তা ভিডিওগুলি থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “ভারত স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে স্বাধীনতার অপব্যবহার করা উচিত নয়। ভারত এই বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনাও করেছে।”

    আরও পড়ুন: “কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডকে গরিব করে রেখেছে”, তোপ মোদির

    প্রসঙ্গত, হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ইচ্ছাকৃত এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের কূটনীতিকদেরও কাপুরুষের মতো ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। এই ধরনের হিংসা ভারতের সঙ্কল্পকে দুর্বল করতে পারবে না।” এই ঘটনার বিরুদ্ধে কানাডা সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    বিবৃতি জারি করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফেও। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “গতকাল (রবিবার) অন্টারিওর ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে (Attack On Hindu Temple) চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার নিন্দা করছি (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indresh Kumar: “কানাডা সরকারের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া”, মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে বললেন ইন্দ্রেশ

    Indresh Kumar: “কানাডা সরকারের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া”, মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে বললেন ইন্দ্রেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কানাডা সরকারের উচিত সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলির সুরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের প্রবীণ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার (Indresh Kumar)।  কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Attack On Hindu Temple) নিন্দা করেন ইন্দ্রেশ। ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ও ‘অমানবিক’ আখ্যা দেন তিনি।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ? (Indresh Kumar)

    এর পরেই ইন্দ্রেশ বলেন, “কানাডার সরকারের উচিত সমস্ত ধর্মীয় স্থানের সুরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আরএসএসের এই নেতা বলেন, “বিশ্বের যে কোনও জায়গায় বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায় এই ঘটনার নিন্দা করবে।” ইন্দ্রেশ বলেন, “কানাডার মন্দিরে আক্রমণটি দুর্ভাগ্যজনক এবং অমানবিক। আমি নিশ্চিত যে কেবলমাত্র ভারতের শিখ সম্প্রদায়ই নয়, বরং গোটা বিশ্ব এই ঘটনার নিন্দা করবে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করবে। তিনি বলেন, ধর্মের সুরক্ষার জন্যই খালসার সৃষ্টি হয়েছিল, ধর্মের ক্ষতি করার জন্য নয়।”

    আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে মার পুণ্যার্থীদের

    রবিবার কানাডার একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় খালিস্তানপন্থীরা। মন্দিরে যাওয়া পুণ্যার্থীদেরও রেয়াত করেনি তারা। ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার ভিডিও-ও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, খালিস্তানপন্থীদের ঝান্ডা হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একদল মানুষ। এদের (Indresh Kumar) মধ্যে কানাডার এক পুলিশকর্মীও ছিলেন। পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। কানাডা পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড জানান, ভিডিওটি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিক্ষোভের সময় ওই পুলিশ কর্মী কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না। কানাডার সম্প্রদায় সুরক্ষা ও পুলিশ আইন অনুসারে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই দিন ওই মন্দিরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পর থেকে বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে।

    প্রসঙ্গত, কানাডার ওই মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও ঘটনার (Attack On Hindu Temple) কড়া সমালোচনা করা হয়েছে (Indresh Kumar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Relation: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    India Canada Relation: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় (Canada) হিন্দু মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন খালিস্তানপন্থীরা। বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মীও। খালিস্তানপন্থীদের হলুদ পতাকা হাতে বিক্ষোভ-আন্দোলনে দেখা গিয়েছে তাঁকে (India Canada Relation)। হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় কানাডা প্রশাসনের তীব্র নিন্দা করেছে ভারত।

    পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড (India Canada Relation)

    প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির অন্দরেও বিষয়টি নিয়ে জোরদার চর্চা হয়েছে। ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে ওই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে কানাডা প্রশাসন। সাসপেন্ডেড পুলিশ কর্মীর নাম হরিন্দর সোহি। কানাডার পিল অঞ্চলে সার্জেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। সোহিকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছেন পিল অঞ্চলের পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড চিন।

    মন্দিরে হামলায় ছিলেন ওই পুলিশ কর্মীও!

    রবিবার ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন কয়েকজন পুণ্যার্থী। ওই সময় মন্দিরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েকজন খালিস্তানপন্থী। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল খালিস্তানপন্থী সংগঠনের ঝান্ডা, লাঠি। অভিযোগ, ভক্তরা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁদের ওপর হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। মারধর করা হয় পুণ্যার্থীদের। এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা গিয়েছে সোহিকে। খালিস্তানপন্থী পতাকা হাতে (India Canada Relation) তিনিও ছিলেন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ‘ইচ্ছাকৃত’ হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

    ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় নয়াদিল্লি। এর পরেই চাপে পড়ে যায় ট্রুডো সরকার। কানাডা পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড জানান, ভিডিওটি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিক্ষোভের সময় তিনি কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না। কানাডার সম্প্রদায় সুরক্ষা ও পুলিশ আইন অনুসারে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই দিন ওই মন্দিরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পর থেকে বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে পিল রিজিওনাল পুলিশ।

    ব্রাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন বলেন, “প্রার্থনাস্থলের সামনে যাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ হয়, তা নিয়ে সিটি কাউন্সিলে শীঘ্রই প্রস্তাব পেশ করা হবে। শহরের সলিসিটরদের বিষয়টি পর্যালোচনা করতেও বলা হয়েছে।” আগামী সিটি কাউন্সিলের বৈঠকে (Canada) এ সংক্রান্ত আইনি ধারার বৈধতা নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ‘ইচ্ছাকৃত’ হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

    PM Modi: কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ‘ইচ্ছাকৃত’ হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) ব্রাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানপন্থীদের হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ওই ঘটনার নিন্দা করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও। এই ধরনের হামলা থেকে মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষা করার জন্য জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    ঘটনার নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ইচ্ছাকৃত এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের কূটনীতিকদেরও কাপুরুষের মতো ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। এই ধরনের হিংসা ভারতের সঙ্কল্পকে দুর্বল করতে পারবে না।” এই ঘটনার বিরুদ্ধে কানাডা সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    সমালোচনা বিদেশ মন্ত্রকেরও

    বিবৃতি জারি করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “গতকাল (রবিবার) অন্টারিওর ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার নিন্দা করছি (PM Modi)।” তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, যারা হিংসায় জড়িত ছিল, তাদের বিচার করা হবে। আমরা কানাডায় ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” কানাডার মাটিতে এই ধরনের হামলা থেকে মন্দির ও অন্য ধর্মীয় স্থানগুলিকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট”, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় তোপ মোদির

    বিদেশ মন্ত্রকের আগে ওট্টোয়ায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের তরফেও ব্রাম্পটনের ওই হিন্দু মন্দিরে এই হামলার নিন্দা করা হয়েছে। হাই কমিশন বলেছে, স্থানীয় সহ-সংগঠকদের পূর্ণ সহযোগিতায় আমাদের কনস্যুলেটগুলির নিয়মিত কাজে এই ধরনের ব্যাঘাত ঘটানো অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা ভারতীয় নাগরিক-সহ সকল আবেদনকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তাঁদের দাবিতেই এই ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়। ভারত বিরোধী উপাদানগুলির এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমাদের কনস্যুলেট ভারতীয় ও কানাডিয়ান আবেদনকারীদের হাজারটিরও বেশি লাইফ সার্টিফিকেট দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি মাসেই ভ্যাঙ্কুভার ও সারেতে একই ধরনের শিবিরেরে আয়োজন করা হয়েছিল। সেই (PM Modi) শিবিরগুলিতেও ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেছিল (Canada) খালিস্তানপন্থীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, চাপে পড়ে নিন্দামন্দ করলেন ট্রুডো!

    Justin Trudeau: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, চাপে পড়ে নিন্দামন্দ করলেন ট্রুডো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের অন্দরে ক্রমেই বাড়ছে ট্রুডো (Justin Trudeau) বিরোধী ক্ষোভ। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরাতে গোপন ভোটের দাবি তুলেছেন তাঁরই দল লিবারেল পার্টির বেশ কয়েকজন সাংসদ। দলের অন্দরে বিদ্রোহের জেরে ট্রুডো যখন প্রায় কোণঠাসা, তখনই ফের হামলা হল কানাডার হিন্দু মন্দিরে (Attack On Hindus)। এই দফায় মন্দিরে উপস্থিত ভক্তদের ওপর হামলাও চালায় খালিস্তানপন্থীরা। এর পরেই (পড়ুন চাপে পড়ে) ঘটনার নিন্দা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ব্রাম্পটনে হিন্দু মন্দিরের এই ঘটনা ‘মেনে নেওয়া যায় না’ বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।

    ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা (Justin Trudeau) 

    ব্রাম্পটনে একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়। তার পরেই হিন্দু ফোরাম কানাডা এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনাটির পুরো ভিডিও শেয়ার করে। ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন খালিস্তানপন্থী হাতে হলুদ ঝান্ডা নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গনে গন্ডগোল করছে। কয়েকজনকে আবার লাঠি হাতে ভক্তদের মারধর করতেও দেখা গিয়েছে। ফোরাম লিখেছে, খুবই বিরক্তিকর ছবি। ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে ভক্তদের ওপর হামলা চালিয়েছে খালিস্তানপন্থীরা। এটা মেনে (Justin Trudeau) নেওয়া যায় না।”

    কী বললেন কানাডিয়ান সাংসদ 

    এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য লিখেছেন, “কানাডায় খালিস্তানি চরমপন্থীরা সীমা অতিক্রম করেছে। ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দির প্রাঙ্গণে হিন্দু কানাডিয়ান ভক্তদের ওপর খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ দেখিয়ে দিল কানাডায় খালিস্তান সহিংস চরমপন্থা কতটা গভীর ও নির্লজ্জ হয়ে উঠেছে। আমি ভাবতে শুরু করেছি যে এই রিপোর্টের কিছু সত্যতা রয়েছে যে কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়াও খালিস্তানপন্থীরা কার্যকরভাবে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিতে অনুপ্রবেশ করেছে। কানাডায় মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে খালিস্তানি চরমপন্থীরা অবাধে মুক্ত হচ্ছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, আমাদের সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য হিন্দু-কানাডিয়ানদের এগিয়ে আসতে হবে এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে এবং রাজনীতিবিদেরও জবাবদিহি করতে হবে।”

    ট্রুডোর ভোলবদল! 

    প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে ট্রুডো লিখেছেন, “ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে আজকের হিংসার ঘটনাগুলো মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিটি কানাডিয়ানের নিজস্ব ধর্ম (Attack On Hindus) পালন করার অধিকার স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে রয়েছে (Justin Trudeau)।”

     

  • Hindus: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    Hindus: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলপ্রদেশের (Himachal Pradesh) হিন্দুরা (Hindus)! দ্রুত ঝাড়েবংশে বাড়ছে সে রাজ্যের মুসলমানরা। বদলে যাচ্ছে হিমাচলপ্রদেশের জনবিন্যাস। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে সে রাজ্যের হিন্দুরা। অগত্যা এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা গড়ে তুলেছেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। সম্প্রতি হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রাও করেছিলেন হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা। তাঁরা সরব হয়েছিলেন রাজ্যে গজিয়ে ওঠা অবৈধ মসজিদ-মাজারের সংখ্যা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে। এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী মুসলমানের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ায় উদ্বিগ্ন সে রাজ্যের হিন্দুরা। তাঁরা শুরু করেছেন ‘সেভ হিমাচল’ আন্দোলন। স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের এই প্রতিবাদ শুধু অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা মসজিদ-মাজারের বিরুদ্ধে নয়, এটা তাঁদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার লড়াই, যা তাঁদের পূর্বপুরুষরা সহস্রাব্দ ধরে সুরক্ষিত করেছেন।

    ইসলামিকরণের চেষ্টার প্রতিবাদ (Hindus)

    হিমাচলপ্রদেশে, বিশেষত সিমলায়, হিমাচলি হিন্দু সম্প্রদায় রাজ্যটিকে ইসলামিকরণের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। এই অশান্তি শুরু হয় তখন, যখন দেখা যায় ৮৮ জন মুসলিম বিক্রেতার মধ্যে ৪৬ জনেরই আধার কার্ডে একই জন্মতারিখ রয়েছে। এর পরেই পরিচয় জালিয়াতির সন্দেহ জোরালো হয়। পরে জানা যায়, সমস্ত বিক্রেতাই বহিরাগত। ব্যবসা শুরু করার উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে এসেছিলেন। এ খবর চাউর হতেই ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ শুরু করেন হিমাচলিরা (Hindus)। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে তাঁদের নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের ভয়ে বিক্রেতাদের পরিচয়ের তদন্ত দাবি করেন তাঁরা। কীভাবে তারা এ রাজ্যে প্রবেশ করল, তাও জানতে চান তাঁরা।

    মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি

    বছরের পর বছর ধরে হিমাচলিরা অবৈধ নির্মাণ, বিশেষত মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, এটা সাংস্কৃতিক অবক্ষয় এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। উত্তেজনা চরমে ওঠে ৩০ অগাস্ট, মালিয়ানা অঞ্চলে একটি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটার পর। এখানে  মুসলিম যুবকদের একটি দল হিন্দু ব্যবসায়ীদের আক্রমণ করে। মুসলমানদের হামলায় গুরুতর জখম হন বিক্রম সিং নামে এক ব্যবসায়ী। এই ঘটনার পরেই এলাকায় গজিয়ে ওঠা একটি অবৈধ মসজিদের বিরুদ্ধে চড়া হয় প্রতিবাদের সুর।

    ওয়াকফ বোর্ডের দাবি

    মসজিদটির মালিকানা দাবি করে ওয়াকফ বোর্ড। তাদের দাবি, বিরোধের সূত্রপাত মূলত মসজিদ ভবন সম্প্রসারণ নিয়ে। তবে স্থানীয় হিন্দুদের অভিযোগ, মসজিদের তিনতলা বর্ধিত অংশ-সহ কিছু অবৈধ নির্মাণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। মান্ডি এবং কুল্লু-সহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও এই ধরনের অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছে (Hindus)। কুল্লুতে, খাদি ও গ্রাম শিল্প বোর্ডের জমিতে নির্মিত একটি অবৈধ জামা মসজিদ ২০১৭ সালে সম্প্রসারিত হওয়ার পর থেকেই রয়েছে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে। 

    হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি

    রাজ্যের হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, এই ধরনের অবৈধ নির্মাণগুলি বহিরাগতদের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, যাদের মধ্যে অনেকেই সামাজিক নানা অস্থিরতার সঙ্গে জড়িত। এরা রাজ্যের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। প্রতিবাদকারীদের মতে, সমস্যার মূল হল এই অবৈধ নির্মাণ এবং রাজ্যের জনসংখ্যাগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট অস্তিত্বের হুমকি। কেবল শিমলা নয়, রাজ্যের অন্যান্য জায়গার হিমাচলি (Himachal Pradesh) হিন্দুরাও অবৈধ মসজিদের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। সেপ্টেম্বর মাসের শেষেও কুল্লুতে অবৈধ মসজিদ ভেঙে ফেলার দাবিতে গর্জে উঠেছিল হিন্দু সংগঠনগুলি।

    হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রা

    জানা গিয়েছে, কুল্লুতে হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রার সময় হিন্দু প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের সামান্য সংঘর্ষও হয়েছিল। বহু মহিলা গেরুয়া পতাকা ও ট্র্যাডিশনাল বাদ্যযন্ত্র সহযোগে হনুমান মন্দির থেকে আখড়া মসজিদ পর্যন্ত মিছিল করেন (Hindus)। আন্দোলনকারীরা কুল্লুর অবৈধ মসজিদ ভাঙার দাবি জানিয়েছেন। যদিও রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের দাবি, রাজ্যের কোনও মসজিদই অবৈধ নয়। ২৯ সেপ্টেম্বর কুল্লু জেলা কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, আখাড়া বাজার মসজিদটি অবৈধ নয়, তবে মসজিদের রেকর্ডকৃত এলাকা ও প্রকৃত এলাকার মধ্যে প্রায় ১৫০ বর্গমিটারের পার্থক্য রয়েছে। ১৯৯০-১৯৯১ সালে একতলা মসজিদটি নির্মাণের পর ২০১৭ সালে তা চারতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়, যা অনুমোদিত ম্যাপের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেও দাবি হিন্দু সংগঠনগুলির।

    হিন্দুদের প্রতিবাদ

    সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে সিমলার একটি মসজিদের অংশ সরানোর দাবিতেও হয় আন্দোলন। একই ধরনের প্রতিবাদ হয় মান্ডিতেও। আন্দোলনকারীদের হঠাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা তাঁদের জমি অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন। জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে চাপ দিতে তারা রাস্তা অবরোধের মতো আন্দোলনের পথও অবলম্বন করেছেন। প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন বিভিন্ন বয়সের হিন্দুরা।

    আরও পড়ুন: ইজরায়েলে রকেট হামলা লেবাননের, নিহত ৭, ‘হিজবুল্লা যেন প্রস্তুত থাকে’, হুঁশিয়ারি ইহুদি দেশের

    এই মিছিলেই ছিলেন এক বয়স্ক ব্যক্তিও। তিনি বলেন, “ওয়াক্‌ফ বোর্ড দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুদের জমি অধিগ্রহণ করছে।” তাঁর প্রশ্ন, “কেন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে হিন্দু স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে না?” হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুদের প্রতি তাঁর আহ্বান, তাঁরা যেন হিন্দু স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখেন। বাংলাদেশে কীভাবে মুসলমানরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের লক্ষ্যবস্তু করছে, তারও উল্লেখ করেন তিনি। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন এবং সুরক্ষাও যে তারা পাচ্ছে, তাও জানান তিনি।

    ‘দেবভূমি সংগ্রাম কমিটি’

    এদিকে, সম্প্রতি ‘দেবভূমি সংগ্রাম কমিটি’ একটি অবৈধভাবে নির্মিত ও সম্প্রসারিত সোলান মাজার চিহ্নিত করেছে। এই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার দাবিতে গভর্নরকে পিটিশনও জমা দিয়েছে তারা।হিমাচলপ্রদেশের সমাজকর্মী কামাল গৌতম অবৈধ দখল থেকে পাহাড়ি রাজ্যকে মুক্ত করার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই কারণে মুসলমান জঙ্গিরা তাঁকে টার্গেটও করেছিল। তা সত্ত্বেও হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা তাঁদের অবস্থানে অটল। অন্যদিকে, হিমাচলি প্রতিবেশীদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে উত্তরাখণ্ডের হিন্দুরা একটি মিছিল বের করেন। তাঁরাও অবৈধ মসজিদ ধ্বংসের দাবি জানান। মিছিলের আয়োজন করেছিল উত্তরাখণ্ডের হিন্দু সংগঠনগুলো। এই মিছিলেও যোগ দিয়েছিলেন কয়েক হাজার হিন্দু।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে এবং গদি আঁকড়ে থাকতে গিয়ে বছরের পর বছর ধরে মুসলমানদের তোল্লাই দিয়ে গিয়েছে বিজেপি বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তারই বিষময় ফল ফলতে শুরু করেছে। ভারতে যে হারে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে হয়তো অচিরেও এ দেশে বাংলাদেশের মতোই হিন্দুরা হয়ে পড়বেন সংখ্যালঘু। সেদিন যে এ দেশেও (Himachal Pradesh) বাংলাদেশের মতো ঘটবে না, হলফ করে তা বলতে পারে (Hindus) কে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    RSS: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত। সমাজে হিন্দু ঐক্য অপরিহার্য, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়।” কথাগুলি বললেন আরএসএস-এর (RSS) সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। তিনি বলেন, “জাতি ও মতবাদের ভিত্তিতে হিন্দুদের বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে। আমাদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।” অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠক শেষ হওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন এই আরএসএস কর্তা। সেখানেই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

    পঞ্চ পরিবর্তন (RSS)

    দত্তাত্রেয় বলেন, “অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকে আমরা সংঘ ও সংঘ প্রাণিত সংগঠনগুলি তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে যে কাজ করেছে, তার পর্যালোচনা করেছি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছি। সংঘের শতবর্ষ পূর্তি সম্প্রসারণ পরিকল্পনারও পর্যালোচনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “বৈঠকে সমাজের মঙ্গলের জন্য ‘পঞ্চ পরিবর্তন’ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সামাজিক রূপান্তরের জন্য পাঁচটি মূল বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এগুলি হল, সামাজিক সমরসতা (সামাজিক সম্প্রীতি), কুটুম্ব প্রবোধন (পরিবারের শিক্ষাদান), পরিবেশ, ‘স্বর’ (আত্মনির্ভরতা)এর ওপর গুরুত্ব এবং নাগরিকদের কর্তব্য। এই অনুশীলনগুলি শুধুমাত্র স্বয়ংসেবকদেরই নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও অনুসরণ করা উচিত। তবেই আমরা অন্যদের এগুলি অনুসরণ করতে উৎসাহিত করতে পারব।”

    কলেবর বাড়ছে আরএসএস-এর

    দেশে যে ক্রমেই আরএসএস-এর (RSS) কলেবর বাড়ছে, তাও জানা গিয়েছে দত্তাত্রেয়র বক্তব্য থেকে। তিনি বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার গোটা দেশে আমাদের শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৬২৬টি। বর্তমানে ৪৫ হাজার ৪১১টি জায়গায় পরিচালিত হচ্ছে ৭২ হাজার ৩৫৪টি শাখা। চলতি বছর নয়া শাখা যুক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬৪৫টি। ‘সাপ্তাহিক মিলন’-এর সংখ্যা ২৯,০৮৪-এ পৌঁছেছে। গত বছরের তুলনায় ৩,১৪৭টি বেশি। মাসে একবার অনুষ্ঠিত ‘মাসিক সংঘ মণ্ডলী’ এখন ১১,৩৮২-এ পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৭৫০টি বেশি। এখন আমাদের মোট ১,০১,৪৩৮টি ইউনিট রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    তিনি বলেন, “এটি আরএসএস-এর শতবর্ষ উদযাপনের প্রেক্ষাপটে আমাদের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।” দত্তাত্রেয় বলেন, “প্রতিনিধি সভা পর্যন্ত আগামী চার মাসে আমরা এই সংখ্যাগুলি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করব। আমরা আলোচনা করেছি, উন্নয়ন শুধু পরিমাণগত নয়, গুণগতও হওয়া উচিত।” তিনি বলেন, “সমাজের সঙ্কট বা দুর্দশার সময় সংঘের স্বয়ংসেবকরা সব সময় এগিয়ে আসেন, যা প্রশংসনীয়। আজকাল, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অনেক ব্যক্তি ও সংস্থাও সহযোগিতা করে। আমরা তাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করি। স্বয়ংসেবকরা এ বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকেন।”

    উদাহরণ দিয়ে দত্তাত্রেয় (Dattatreya Hosabale) বলেন, “জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের তারকেশ্বর নদীতে বন্যা হয়েছিল। সেখানে স্বয়ংসেবকরা ২৫ হাজার মানুষকে সাহায্য করেছিলেন। জীবন বাঁচিয়েছিলেন। খাদ্যও সরবরাহ করেছেন। পুরীতে বন্যার সময় তাঁরা ৪০ হাজার মানুষকে সাহায্য করেছেন (RSS)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share