Tag: hindus in Bangladesh

  • Bangladesh Crisis: দুর্গা মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি! খালি করে দিতে বলা হল জমি, বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা

    Bangladesh Crisis: দুর্গা মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি! খালি করে দিতে বলা হল জমি, বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হম্মদ ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফের হামলা মন্দিরে। ঢাকায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা। দুর্গা মন্দির ভাঙে ফেলার হুমকি দেওয়া হল। রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরকে কেন্দ্র করে সোমবার (২৩ জুন) রাতে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয় মুসলিমদের একটি দল হঠাৎ মন্দির প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে হিন্দু ভক্তদের (Hindus Attack in Bangladesh) হুমকি দেয়—মন্দির না সরালে তা ভেঙে ফেলা হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মন্দিরের সেবায়েত সুমন সুদা জানান, উগ্রপন্থীরা রাতেই বলে,—পরের দিন মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে মন্দির তুলে নিতে হবে। নইলে মন্দির ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

    এরপরই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা খিলক্ষেত থানায় যোগাযোগ করেন। খিলক্ষেত থানার ইনস্পেক্টর মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, “আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন।” তিনি বলেন, “কিছু মানুষ সেখানে গিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।” পরে তিনি ঘটনাটিকে ‘তর্কাতর্কির’ ফল বলে উল্লেখ করে কিছুটা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। তিনি আরও জানান, “পুরো ঘটনাটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, যেন কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।”

    অন্যান্য সাম্প্রতিক মন্দির দখলের ঘটনা

    ২১ জুন: কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে অবস্থিত ১৪০০ বছরের পুরাতন শিব চণ্ডী মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা চালান এক মুসলিম ব্যক্তি, আবদুল আলী। তিনি মন্দিরের জমিতে টিনের ঘর তৈরি করে দাবি করেন, এটি তার বংশগত সম্পত্তি। তবে মন্দির কমিটির সভাপতি দীপক সাহা বলেন, “এই জমির মালিকানা মন্দিরের নামে রেকর্ডকৃত। সাম্প্রতিক সময়ে ভক্তদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার আবদুল আলী এসে ওই জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করেন।” এ সময় প্রতিবাদ করতে গেলে চন্দনা রাহুত,নামে এক মহিলা ভক্তের ওপর হামলা চালানো হয়।

    ১৭ জুন: নওগাঁ জেলার খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর এলাকায় সন্ন্যাস মন্দির ও রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা এবং হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে এক স্থানীয় চরমপন্থী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা দাবি করেন, মন্দির ও তার আশেপাশের জমি তাদের। প্রতিবাদ করতে গেলে হিন্দুদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তার আগের দিন ১৬ জুন হিন্দু মন্দির কমিটির সভাপতি অতুল চন্দ্র সরকারের উপর হামলা চালানো হয়।

  • Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের (Hindu) নিয়ে কেউ তখনই চিন্তা করবে, যখন হিন্দুরা নিজেরাই যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কারণ হিন্দু সমাজ এবং ভারত একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাই হিন্দু সমাজের গৌরবময় রূপ ভারতকেও গৌরবান্বিত করবে।” সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এমন একটি শক্তিশালী হিন্দু সমাজই কেবল তাদের সঙ্গেও চলার পথ দেখাতে পারে, যারা নিজেদের হিন্দু মনে করে না, যদিও এক সময়ে তারাও হিন্দুই ছিল। যদি ভারতের হিন্দু সমাজ শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এই কাজ চলছে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ধীরে ধীরে হলেও সেই পরিস্থিতির বিকাশ ঘটছে।”

    হিন্দু নিপীড়ন (Mohan Bhagwat)

    প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু নিপীড়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এবার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে রকম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। স্থানীয় হিন্দুরাও এখন বলছেন, ‘আমরা পালিয়ে যাব না। আমরা এখানেই থাকব এবং আমাদের অধিকার নিয়ে লড়ব।’ এখন হিন্দু সমাজের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে। সংগঠন যত বাড়বে, এর প্রভাবও ততটাই স্বাভাবিকভাবে প্রতিফলিত হবে। তার আগে পর্যন্ত, আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” ভাগবত বলেন, “বিশ্বের যেখানেই হিন্দু আছে, আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তাদের জন্য যা কিছু সম্ভব, সব কিছু করব। সংঘ আছে সেই উদ্দেশ্যেই। স্বয়ংসেবকেরা শপথ নেয়—‘ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজ রক্ষা করে হিন্দু রাষ্ট্র বিকাশের জন্য কাজ করব।’”

    কী বললেন ভাগবত

    তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের শক্তিশালী হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিনের প্রার্থনায় আমরা যেভাবে প্রার্থনা করি – ‘অজয়্যম চ বিশ্বস্য দেহীশ শক্তিম’ — ‘আমাদের এমন শক্তি দাও যাতে আমরা গোটা বিশ্বের কাছে অজেয় হই।’ সত্যিকারের শক্তি হল অভ্যন্তরীণ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। আমাদের নিজেদের (Hindu) আত্মরক্ষা করার সামর্থ্য থাকা উচিত। একাধিক শক্তি একসঙ্গে হলেও কেউ যেন আমাদের জয় করতে না পারে (Mohan Bhagwat)।”

LinkedIn
Share