Tag: Hindus

Hindus

  • Operation Kalanemi: সাধুবেশে লুকিয়ে বাংলাদেশি! ভেকধারীদের ধরতে ‘অপারেশন কালনেমি’ শুরু উত্তরাখণ্ডে

    Operation Kalanemi: সাধুবেশে লুকিয়ে বাংলাদেশি! ভেকধারীদের ধরতে ‘অপারেশন কালনেমি’ শুরু উত্তরাখণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধু সেজে ভারতে আত্মগোপন করেছিল বেশ কিছু বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে কয়েকজন আবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী। হিন্দু সাধুর ভেক ধরে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছিল ইসলামে দীক্ষিতকরণের কাজ। এবার তাদের মুখোশও খুলে দিল উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সরকার। ভণ্ড এই সাধুদের ধরতে শুরু হয় অভিযান। নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন কালনেমি’ (Operation Kalanemi)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ধামির এই পদক্ষেপ ভারতের ধর্মীয় ছদ্মবেশ, সীমান্ত পারাপারের অনুপ্রবেশ এবং আদর্শিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই উত্তরাখণ্ড পুলিশ ৩০০ জনের বেশি ছদ্মবেশীকে গ্রেফতার করেছে।

    চলছে অভিযান (Operation Kalanemi)

    দেরাদুন ও হরিদ্বারেই মূলত এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এটি শুধু একটি আইনি পদক্ষেপ নয়, একে দেখা হচ্ছে সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার যুদ্ধ হিসেবে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন শাহ আলম ওরফে রুকন রকম। সে বাংলাদেশের নাগরিক। উত্তরাখণ্ডে ঢুকে পড়ে সাধুর ভেক ধরেছিল। তার কাছে মিলেছে বাংলাদেশি পরিচয়পত্র। সে দেরাদুনে কাঁওয়ার যাত্রীদের কাছ থেকে ভিক্ষা নিচ্ছিল ও প্রতারণা করছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভণ্ড সাধু একটি বড় নেটওয়ার্কের সদস্য, যারা কাঁওয়ার যাত্রার ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে শুধু অর্থ লুঠ নয়, বরং গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়ানোর কাজও করে যাচ্ছিল। দেরাদুনের এসএসপি অজয় সিং বলনে, “উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির নির্দেশে বৃহস্পতিবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। সাধু সেজে জনগণের বিশ্বাসভঙ্গ করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে (Operation Kalanemi)।”

    অপারেশন কালনেমি

    কেন এই অভিযানের নাম দেওয়া হল অপারেশন কালনেমি? এর উত্তর দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি স্বয়ং। তিনি বলেন, “যেভাবে অসুর কালনেমি সাধু সেজে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল, তেমনই আজকের সমাজে এমন অনেক কালনেমি আছে যারা ধর্মের নামে অপরাধ করছে।” প্রসঙ্গত, কালনেমি একজন পৌরাণিক অসুর। ত্রেতা যুগে হনুমান যখন সঞ্জীবনী আনতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় অসুর কালনেমি সাধু সেজে তাঁকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছিলেন (Uttarakhand)। স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী, সমুদ্রমন্থনের সময় ভগবান বিষ্ণু নিধন করেছিলেন কালনেমিকে। দ্বাপর যুগে তিনিই জন্ম নিয়েছিলেন মথুরার রাজা কংস হয়ে। বস্তুত, কালনেমি হল অন্ধকার সময়ের প্রতিনিধি (Operation Kalanemi)।

    ভণ্ড সাধুর রমরমা

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিগত কয়েক দিনে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮২জন ভণ্ড সাধুকে। তার মধ্যে রবিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৪জনকে। দেরাদুনের এসএসপি জানান, অপারেশন কালনেমি এখন জারি থাকবে। বিশেষ করে চারধাম যাত্রা এবং কাঁওয়ার যাত্রার কথা মাথায় রেখে এই অভিযান চালু রাখা হবে। কারণ এগুলি মূলত সাধু এবং আধ্যাত্মিক গুরুদের সমাগমের জায়গা। এসএসপি বলেন, “যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কোনও ধর্মীয় পটভূমি ছিল না। ছিল না কোনও আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যও। তারা স্থানীয়ও নয়। তাদের যা ছিল, তা হল বিশ্বাসকে কাজে লাগানোর পরিকল্পিত কৌশল, সহজ-সরল মানুষকে প্রতারিত করা এবং হিন্দু প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করার চক্রান্ত।” প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা আবেগ ও আর্থিকভাবে দুর্বল ভক্তদের,  বিশেষ করে মহিলা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের টার্গেট করেছিল। তারা অলৌকিক ঘটনা, রোগমুক্তি ও ঈশ্বরীয় হস্তক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করত (Uttarakhand)। এর আড়ালে মানসিক প্রভাব বিস্তার, অর্থ আদায় এমনকি কিছু ক্ষেত্রে যৌন হয়রানিতেও লিপ্ত ছিল (Operation Kalanemi)।

    বিজেপির বক্তব্য

    উত্তরাখণ্ড বিজেপির সভাপতি মহেন্দ্র ভাট বলেন, “গেরুয়া বসনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অপরাধী ও অনুপ্রবেশকারীরা বিশ্বাসের শত্রু। আইন তাদের সেভাবেই বিবেচনা করবে। ভারতবাসী তাদের মন্দির ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোনও মতাদর্শিক যুদ্ধ সহ্য করবে না।” তিনি জানান, অপারেশন কালনেমি হবে হরিদ্বার, হৃষিকেশ, কেদারনাথ ও বদ্রীনাথেও। এবং ভবিষ্যতে এটি অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির জন্যও একটি আদর্শ মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।

    কুমায়ুনে গ্রেফতার ৩০০

    এদিকে, উত্তরাখণ্ড পুলিশ অপারেশন কালনেমির অধীনে কুমায়ন বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিনে ৩০০-এরও বেশি ভুয়ো সাধুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হল, ধর্মের নামে মানুষকে বিভ্রান্তকারী ভণ্ড ধর্মগুরুদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া (Uttarakhand)। কুমায়ুনের পুলিশের আইজি ঋদ্ধিম আগরওয়াল বলেন, “কুমায়ুন বিভাগের ছ’টি জেলায়ই এই অভিযান চালানো হয়েছে। এতে ৩০০-এরও বেশি ব্যক্তি, যারা সাধুবাবা বা আধ্যাত্মিক গুরু সেজে প্রতারণা করছিল (Operation Kalanemi), তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে এফআইআর, চালান ও সতর্কতামূলকভাবে আটক করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই ব্যক্তিরা অন্ধবিশ্বাস, প্রতারণা এবং ভুয়ো অলৌকিক ক্ষমতার দাবি করে মানুষের বিশ্বাসের অপব্যবহার করছিল। তাদের কারও কাছেই বৈধ পরিচয়পত্র বা প্রমাণপত্র ছিল না।”

  • Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত হিন্দু (Hindus) ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার (Roundup Week)। ভারত তো বটেই, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বারবার হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ওপর। কোথাও কোথাও হিন্দুদের ওপর এই নির্যাতন রূপ নিচ্ছে গণহত্যার। বহু দশক ধরে এই নির্যাতন চললেও, ঘটনাগুলিকে গুরুত্বই দেয়নি তামাম বিশ্ব। তাই ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষের বিষবাষ্প। হত্যা, জোর করে ধর্মান্তর, জমিজমা দখল, হিন্দুদের উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, ঘৃণাসূচক মন্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আঘাত চলছেই। ২০২৫ সালের ৬ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত এই ছ’দিনে আমরা এমন কিছু অপরাধের একটি ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যাতে করে বিশ্বজুড়ে আরও বেশি করে মানুষ এই মানবাধিকার সংকট সম্পর্কে সচেতন হন।

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নির্যাতন (Hindus)

    প্রথমে ধরা যাক ভারতের কথাই। কাশ্মীরের মাগামে মহরমের শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ইসলামপন্থী একদল জনতা এক ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টকে আক্রমণ করে। শিবমোগার রাগিগুড়ার বাঙ্গারাপ্পা লেআউট এলাকায় কয়েকজন মুসলমান ভাঙচুর করে গণেশ ও নাগ দেবতার মূর্তি। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় একটি রথযাত্রার শোভাযাত্রায় হামলা চালায় মুসলমানরা। শোভাযাত্রা চলাকালীনই হঠাৎ করে একদল মুসলিম যুবক ওই রথযাত্রায় হামলা চালায়। বিহারের পূর্ব চম্পারণের মেহসি ব্লকের কানক্তি গ্রামে মহরমের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনায় অজয় যাদবকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় জখম হন আরও কয়েকজন। গত বছরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গে (Hindus) মহরম উপলক্ষে হিংসার ঘটনা ঘটে। রাজ্যের একাধিক জেলায় মুসলমানরা হিন্দুদের আক্রমণ করে। দেশের বিভিন্ন শহর ও জেলায় মহরমের মতো শোকাবহ অনুষ্ঠানকে উসকানিমূলক আচরণ এবং মন্দিরের প্রতি প্রকাশ্য অবমাননার রূপ দেওয়া হয়েছে। বিলাসপুর থেকে হাজারিবাগ পর্যন্ত একাধিক অশান্তির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।

    নির্যাতন বিহারেও

    বিহারের দ্বারভাঙা জেলায় ইসলামপন্থীদের (Roundup Week) অসহিষ্ণুতার বর্বর রূপ প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে গৌরব কুমার সিংকে এক মুসলিম মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মেয়েটির পরিবার ‘তালিবানি’ কায়দায় তার চুল কেটে, মুখে কালি মাখিয়ে নৃশংস কাণ্ড ঘটায়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেয়। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (TTD) এর অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এ রাজশেখর বাবুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তিনি নিয়মিতভাবে পুট্টুরে তাঁর নিজের শহরে ফি রবিবার গির্জার প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছিলেন। এটি তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের কর্মীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার শামিল। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরে মহরমের আগেই চাঁদা না দেওয়ায় মুসলিম জনতা বেধড়ক মারধর করে টোটো চালক বেদন ঘোষকে। উত্তরপ্রদেশে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে প্রতারণা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের একটি বড় চক্র ধরা পড়েছে। এর মূলহোতা জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুরবাবা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

    বাদ নেই উত্তরপ্রদেশও

    উত্তরপ্রদেশের লখনউতে লুলু মলের এক হিন্দু মহিলা কর্মচারীকে তাঁর ম্যানেজার ফারহাজ ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল করে বলে অভিযোগ। ফারহাজ তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্যও করেছিল (Hindus)। তিনি (Roundup Week) জানান, ফারহাজ তাঁকে মাদকমিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে ধর্ষণ করে। উত্তরপ্রদেশেরই মুজফফরনগরে কাওর যাত্রা চলাকালীন একটি ঘটনায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, মহম্মদ শেহজাদ নামে একজন এক মহিলা ভক্তের কাঁধে থাকা ‘কাঁওর’-এর ওপর থুতু ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। অসমের গোয়ালপাড়া শহরে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতকারীরা দুর্গা মন্দির কমপ্লেক্সে একাধিক মূর্তি ভাঙচুর করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিব, মনসা ও দেবী দুর্গার মূর্তি। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে শান খান নামে এক মুসলিম যুবক নিজের নাম শান শর্মা বলে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলে। প্রায় দুবছর ধরে সে নিজের পরিচয় গোপন রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    পাকিস্তানের ছবি

    এ তো গেল ভারতের কথা। এবার দেখে নেওয়া যাক পাকিস্তানের ছবিটা। পাকিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে হিন্দু সংখ্যালঘু মেয়েদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর এবং বিয়ে খুব সাধারণ ঘটনা। শুধুমাত্র সিন্ধ প্রদেশেই প্রতিবছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই যৌন দাসত্বের শিকার হন (Roundup Week)। পাকিস্তানি হিন্দুরা প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য ও অবহেলার শিকারও হন সে দেশে। হিন্দু মন্দিরে বারংবার আক্রমণ, পাঠ্যসূচিতে হিন্দুদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন, পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থায় পক্ষপাতিত্ব, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, এমনকি ছোঁয়াছুঁয়ির মতো জাতিগত বৈষম্যও বজায় রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানে একজন ভিল নারীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড এই পরিস্থিতিরই আর একটি প্রমাণ। গত ২০ জুন, ২০২৫ তারিখে সিন্ধ প্রদেশের শাহদাদপুরের একটি আদালত দুটি হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স্ক দশিনা বাই (১৫) ও হরজিত কুমার (Hindus) ওরফে হানি (১৩)-এর হেফাজতের বিষয়ে একটি বিতর্কিত রায় দেয়। আদালত তাদের পরিবারের কাছ থেকে প্রত্যেকের জন্য ৩৫,০০০ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের ব্যক্তিগত জামিন বন্ড জমা দেওয়ার শর্তে শিশুদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ হিন্দুবিদ্বেষ দ্বারা চালিত হয়, যা কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় শিক্ষার ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যেই নিহিত। যদিও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোতে প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ দেখা যায়, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন, ভারত) সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে এক প্রকার সূক্ষ্ম হিন্দুবিদ্বেষ কাজ করে। এসবই হিন্দুবিদ্বেষ এবং ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Roundup Week)। এই সূক্ষ্ম ও দৈনন্দিন বৈষম্য চোখে পড়ে না, যদি না কেউ প্রচলিত আইন ও সামাজিক ধারা পর্যবেক্ষণ করে। দীপাবলিতে আতশবাজির ওপর ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা তার একটি উদাহরণ। দূষণজনিত কারণে আতশবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হলেও, সেটা প্রযোজ্য শুধু হিন্দু উৎসবগুলির ওপর। সবেবরাতের মতো মুসলমানদের অনুষ্ঠানের সময় দেদার শব্দবাজি এবং আতশবাজি পোড়ানো হয় বলেও অভিযোগ (Hindus)।

    বাদ নেই বাংলাদেশও

    পাকিস্তানের পাশাপাশি নির্বিচারে হিন্দু নির্যাতন চলছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন হিন্দুদের ওপর নির্যাতন তুলনামূলকভাবে কম হলেও, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পরেই সে দেশে হিন্দু নির্যাতন চরমে ওঠে। হাসিনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেশের ভার তুলে দেন বাংলাদেশিরা। সেই সরকারের প্রধান নির্বাচিত হন মহম্মদ ইউনূস। তাঁর জমানায় হিন্দুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন হয় বলে অভিযোগ। মন্দির-মূর্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি হিন্দু মহিলাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। হিন্দুদের জমিজমা দখল, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ এবং জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগও উঠেছে। মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু ধর্মগুরুদের। নানা অছিলায়, কখনও আবার মিথ্যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে হিন্দু পদাধিকারীদের। বাদ যাননি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কিংবা অধ্যাপকও (Hindus)।

    তার পরেও অদ্ভুতভাবে নীরব বিশ্বনেতাদের একটা বড় অংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই নির্বিচারে চলছে হিন্দু নির্যাতন (Roundup Week)।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    চতুর্থ পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ২০২৫ সালের মে মাসে সংখ্যালঘু (Bangladeshi Hindus) ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর ৪৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে হত্যাকাণ্ড ৪টি, ধর্ষণ ৪টি, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ৬টি, ভূমি দখল ৬টি, এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ঢাকার প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতে প্রায়ই প্রকাশিত হয়েছে এই ঘটনাগুলো।

    সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবিরোধী হামলা

    কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি পাবনায়। পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০ মে ২০২৫ তারিখে ‘সুচিত্রা সেন গার্লস হোস্টেল’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-৩৬ হোস্টেল’ রাখে। সুচিত্রা সেনের ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে তার নাম ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাবেক সভাপতি ও আমেরিকা প্রবাসী সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল সান্যাল তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের “সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস”–এর নাম পাল্টে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাবনার সংস্কৃতিপ্রেমী জনতা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

    ভূমি দখল ও আদিবাসী নিপীড়ন

    রাজশাহীর পুঠিয়ায় কয়েকজন হিন্দু (Bangladeshi Hindus) কৃষকের জমি ‘জোরপূর্বক’ দখল করে পুকুর খননের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০ বিঘা জমি দখল করে পুকুর খনন করতে গেলে স্থানীয় কৃষকরা বাধা দেয়। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি হিন্দুপাড়ায় (Hindus Under Attack) এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন। পরে গ্রামের লোকজন জোট বাঁধলে পুকুর খননকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় একটি মাটি কাটার যন্ত্র (এস্কাভেটর বা ভেকু) ভাঙচুর করা হয়। সেখান থেকে বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন অবৈধ খনন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণের সময় রাখাইন সম্প্রদায়ের ছয়টি পরিবারকে তাদের ২৫০ বছরের পুরনো জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্যোগে তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। ‘উচ্ছেদের শিকার’ রাখাইন পরিবারের সদস্য চিং ধামো রাখাইন বলেন, “পায়রা বন্দর নির্মাণের জন্য আমাদের ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বসতভিটা কোনো আলোচনা ছাড়াই অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের পর গাছপালা ও বসতবাড়ির ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমরা কিছু টাকা পেয়েছি। কিন্তু ভোগদখলকৃত জমির ক্ষতিপূরণ এখনও পায়নি।”

    বাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

    যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে খুন করা হয়। মাছের পুকুর লিজ দেওয়া নিয়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার জেরে ওই গ্রামের অন্তত ২০টি নিরীহ হিন্দু পরিবারের (Bangladeshi Hindus) বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া সাগর বিশ্বাস নামের এক হিন্দু কিশোরকে অপহরন করা হয়। স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীপুরের মাগুরাতে একটি হিন্দু পরিবারের সদস্যদের রাতের খাবারের পর অজ্ঞান করে বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও সোনা লুট করা হয়। পুলিশ তদন্ত করছে, তবে এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

    মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ

    গত ২৮ মে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি কালী মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া এলাকার যুগল চন্দ্র দাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মন্দিরের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এলাকার লোকজন এসে আগুন নেভালেও অনেক কিছু পুড়ে গিয়েছে। মন্দিরটি স্থাপনের ৫০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে।

    ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে থিয়েটার শিল্পী প্রশান্ত হালদারের বাড়িতে গত ২৪ মে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রশান্ত ঢাকার নাট্যদল অনুস্বর এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। প্রায় চার দশক ধরে তিনি নাট্যচর্চায় যুক্ত আছেন। নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। তার বাড়িতে আগুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে নাট্যদল অনুস্বর এবং থিয়েটার বিষয়ক পত্রিকা ‘ক্ষ্যাপা’। ৬২ জন সাংস্কৃতিক কর্মী প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

    অপহরণ ও ধর্ষণ

    ঢাকার ধামরাইতে  ১৬ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা রাজবংশীকে ১৯ মার্চ অপহরণ করা হয়। ২৬ এপ্রিল মামলা হলেও এখনও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪টি আদিবাসী পরিবারের বাড়ি ৪ মে উচ্ছেদ করা হয়। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন এর প্রতিবাদ জানিয়ে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে। হাইমচর, চাঁদপুরে একটি হিন্দু পরিবারের ২৫০ বছরের পুরনো জমি দখল করে ভূমিদস্যুরা। পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও ভূমি রক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর চলমান নিপীড়ন ও বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে।

     

    (শেষ)

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-৩

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে বার বার সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা প্রতিদিন হিন্দুদের মারছে, ঘর পোড়াচ্ছে, মন্দির ভাঙছে। সমগ্র বাংলাদেশের হাজার হাজার সংখ্য়ালঘুদের নামে মিথ্য়া ও হয়রানিমূলক মামলা প্রদান করা হয়েছে। শতাধিকের ওপর ঘরবাড়ি লুঠপাট করা হয়েছে। বেছে বেছে হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে। তছনচ করে দেওয়া হচ্ছে মন্দির। গত মে মাসেও সেই ধারা অব্যহত।

    জমি দখল ও হিন্দুদের উপর আক্রমণ

    গত ১৬ মে বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindus) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কুমিল্লার খবরে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পশ্চিম আশ্বথলা গ্রামে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি হিন্দু পরিবারের চা দোকান ও পৈতৃক জমি দখলের চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নজরুল ও তার স্ত্রী রাজিয়া আখতার ওই পরিবারের জমি দখলের জন্য হুমকি দেয়। বাধা দিলে মহিলাদের উপর আক্রমণ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    ধর্মীয় অবমাননা ও গ্রেফতার

    গত ১৭ মে মৌলবী বাজারের বাসিন্দা বিকাশ ধর দীপ্ত নামে ২৩ বছর বয়সি এক যুবকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ফেসবুকে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জ, বরিশালের বাসিন্দা সৌরভ দত্ত নামে ২৪ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ ওঠে। যদিও ওই যুবকের দাবি, তাঁর নাম ব্যবহার করে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ওই দিনই ফিরোজপুরে কৌশিক সাহা নামে ১৭ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    মন্দিরে আক্রমণ ও ক্ষতি

    প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১৭ মে মুন্সিগঞ্জে শ্রী শ্রী মা কালী দুর্গা মন্দিরের জানালার পর্দা পুড়িয়ে দেয় একদল অজ্ঞাত পরিচয়ে দুষ্কৃতী। দানবাক্সে থাকা ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা চুরি করা হয়। পুলিশ এই ঘটনার  তদন্ত শুরু করছে। খুলনায় প্রাক্তন মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রানি দাসের বাড়িতে গত ১৭ মে ৩০০-৪০০ জনের একটি দল হামলা চালায়। পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয়। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। ডেইলি অবজারভারে প্রকাশিত খবরে, জানা যায়, বিরামপুরে ১৮ মে মোস্তফিজুর রহমান নামে এক স্থানীয় নেতা একটি হিন্দু পরিবারের বাড়ির প্রধান গেটের সামনে দেওয়াল নির্মাণ করে তাদের বাইরে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন। পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছে। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলেও কার্যকর পদক্ষেপ করেনি। সোনার দেশের খবর অনুযায়ী, নাটোরে ১৮ মে কাপুরিয়াপাড়ি এলাকায় শতবর্ষী শিব মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ওই মন্দিরের পুরোহিত পরিবারের বাসভবনও দখলের চেষ্টা করা হয়। সেনাবাহিনী দ্রুত হস্তক্ষেপ করে মন্দির ও পরিবারের সম্পত্তি রক্ষা করে।

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    ফরিদগঞ্জের চাঁদপুর গত ১৮ মে শ্রী গুরু জুয়েলার্সের মালিক বিশ্বজিৎ দাসের দোকানে চুরি হয়। চোরেরা সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। সোনা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে যায়। পুলিশ দোষীদের খুঁজছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ মে বাওম সম্প্রদায়ের সদস্য লাল ত্লেং কিম বাওমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন। তারা বাওম সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুদের মুক্তি ও বিচারের দাবি জানান। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) প্রতিদিন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর এরকম আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও, বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে না। হবিগঞ্জে ২১ মে বুল্লা ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা এই চেষ্টা রুখে দেয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। পুলিশ তদন্ত করছে। ২১ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জে ইজি ফ্যাশনের তিন মালিক হিন্দু পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল করে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।

     

    (চলবে)

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ২

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ২

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ মে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঢাকা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মাসুম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের হুমকি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ঢাকার কামরনগিরছা এলাকায়।
    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৩৬ বছর বয়সি মাসুম হোসেন খুনের হুমকি দিয়ে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে লুটপাট চালায়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম রাজবংশী। যাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয়।
    জানা গেছে, মাসুম হোসেনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক খুন ও ডাকাতির মামলা রয়েছে (Bangladeshi Hindus)। পুলিশ তাকে চান্দ মসজিদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

    ঘরে ঢুকে কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা (Bangladeshi Hindus)

    ১২ মে প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রামে যুবদলের নেতা আবুল কাশেম কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
    কাশেম ‘জল খাওয়ার’ অজুহাতে ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে যৌন নির্যাতন করে। স্থানীয়রা ঘটনা জানতে পেরে গেলে কাশেম মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় একটি গোষ্ঠী নির্যাতিতার পরিবারকে পুলিশে অভিযোগ না করতে চাপ দেয় এবং কাশেমের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে। তবে নির্যাতিতার মা অভিযোগ দায়ের করেন এবং জানান, তাঁর মেয়েকে নিজের বাড়িতে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
    আবুল কাশেম বর্তমানে যুবদলের একজন সক্রিয় নেতা এবং কমিটিতে রয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় যুবদল নেতৃত্ব কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।

    আদিবাসী পরিবারের ওপর হামলা (Bangladeshi Hindus)

    ৯ মে ইবি নিউজ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮ মে রংপুরের রামনাথপুর ইউনিয়নের বদরগঞ্জ এলাকায় যুবদল নেতা জোবায়দুল ও তার সহযোগীরা একটি আদিবাসী পরিবারের ওপর হামলা চালায় ও লুটপাট করে।
    ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন একটি শিশু লিচু গাছ থেকে পড়ে যায় এবং জোবায়দুল অপর একটি শিশু অর্জুন রাউতকে একারণে দায়ী করে। এরপর জোবায়দুল ও তার সঙ্গীরা অর্জুনের বাড়িতে ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলঙ্কার লুট করে। পরবর্তীতে অর্জুনের পরিবারের পক্ষ থেকে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

    রংপুরে সোনার দোকানে চুরি (Bangladeshi Hindus)

    ১৪ মে সমকাল-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রংপুর শহরের লক্ষ্মী জুয়েলারি থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচজন মহিলা একটি সোনার বাক্স চুরি করে।
    বাক্সটিতে ১০০ ভরি সোনা ছিল, যার বাজারমূল্য দেড় কোটি টাকা। তারা দোকানে ঢুকে কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করে এবং একজন মহিলা ক্যাশ কাউন্টার থেকে বাক্সটি নিয়ে পালিয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে দোকানের মালিক সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি শনাক্ত করেন এবং রংপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

    শিব মন্দিরে মাইক বাজানো নিয়ে সংঘর্ষ

    ১৪ মে আজকের পত্রিকা-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নাটোরের লালপুর উপজেলার হালদারপাড়ায় একটি শিব মন্দিরে গান বাজানো নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ ঘটে।
    ধুপাইল এলাকার এই ঘটনায় দুইজন আহত হন। পুলিশ জানায়, স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু আলি এই ঝামেলার সূত্রপাত করে। ২১ বছর বয়সি অলিউল ইসলামকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

    খুলনায় প্রধান শিক্ষক গুলিবিদ্ধ

    ১৫ মে প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, খুলনার আড়ংঘাটা এলাকার টেলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার সরকারের ওপর দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়।
    সকাল ১০টার দিকে সরদারপাড়া জামে মসজিদের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গুলি তাঁর বাঁ পায়ে লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
    পুলিশ জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও তোলাবাজির টাকা না দেওয়ায় এই হামলা হয়েছে। দিলীপ কুমার সরকার (Hindus Under Attack) সম্প্রতি দুষ্কৃতীদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

    তানোরে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা (Bangladeshi Hindus)

    ১৫ মে জনকণ্ঠ-এ প্রকাশিত খবরে জানা যায়, রাজশাহীর তানোরে খায়রুল ইসলাম (বয়স ৪৫), একজন আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
    খায়রুলের দাদা স্থানীয় বিএনপি নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই সে ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
    ১৪ মে রাতে, মহিলার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে জোর করে ঢুকে পড়ে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। প্রতিবেশীদের (Hindus Under Attack) হস্তক্ষেপে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তানোর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ খায়রুলকে গ্রেফতার করে।

     

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ১

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ১

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১ মে, ‘সকালের খবর’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার তানোরে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়। ডাকাতরা সাংবাদিকের মা এবং তার ১০ বছর বয়সী ভাগ্নিকে নির্মমভাবে আঘাত করে। এই ঘটনা ঘটে ৩০ এপ্রিল গভীর রাতে, গ্রাম আখচায় অবস্থিত বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বাড়িতে (Bangladeshi Hindus)। তিনি বর্তমানে তানোর রিপোর্টার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। বাড়িতে হামলার সময় বিশ্বজিৎ চৌধুরী নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। হামলাকারীরা ঘরের ভেতরে ঢুকে প্রথমে তাঁর মাকে প্রথমেই আক্রমণ করে। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকের দশ বছর বয়সি ভাগ্নেকেও চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এর ফলে শিশুটির মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। এরপরেই স্থানীয় গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন, এবং তাদের উপস্থিতিতে হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে গ্রামবাসীদের সহায়তায় আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর মা ও ভাগ্নিকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

    ২ মে, বাংলাদেশের দৈনিক ‘পার্বত্য কণ্ঠ’-এ প্রকাশিত খবর ধর্ষিতা হিন্দু মহিলা

    গত ২ মে, বাংলাদেশের দৈনিক ‘পার্বত্য কণ্ঠ’-এ প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, ধর্ষণের একটি মামলায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১৮ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলার (Hindus Under Attack) ওপর হামলা চালানো হয়। পরে তাঁকে  গণধর্ষণ করা হয়। তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে একটি গাছের নিচে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে এই অপরাধ সংঘটিত করা হয়। অভিযুক্তরা পালা করে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। একজন ধর্ষণ করে এবং অপরজন মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করে। গ্রেফতার হওয়া দুজনের নাম মফিজুল ইসলাম (৩১) এবং আবু তালেব গাজী (২৮)।

    ৪ মে, ‘ডেইলি অবজারভার’ পত্রিকার খবর, দেবোত্তর সম্পত্তি দখল

    গত ৪ মে, ‘ডেইলি অবজারভার’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিয়ামতপুর-মান্দা এলাকার ঐতিহাসিক দেবোত্তর সম্পত্তির প্রায় ১৪০০ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই দেবোত্তর জমি একসময় জমিদার কালিপদ এবং দেবীপদ রায়ের মালিকানাধীন ছিল। ১৯৪৯ সালের পরে এই সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করে (Bangladeshi Hindus)।

    ৫ মে, ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর হিন্দু মহিলার নগ্ন দেহ উদ্ধার

    গত ৫ মে, ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, বাংলাদেশের বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু এলাকায় একটি খাল থেকে ২৯ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলার মৃতদেহ (Bangladeshi Hindus) উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, তিনি নিজের জমিতে একা চাষ করতে গিয়েছিলেন। দুপুরে খেতে না আসায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা খোঁজ শুরু করে। পরে তাঁর নগ্নদেহ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। যৌন নির্যাতনের পরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ (Hindus Under Attack)।

    ৫ মে, ‘কালবেলা’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর হিন্দু ধর্মকে অপমান করে ফোসবুক পোস্ট, গ্রেফতার ১

    ৫ মে, ‘কালবেলা’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আবদুল ওহাব ফকির (৪০) নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে পোস্ট দেন। ঘটনাটি গাবতলী উপজেলার। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন উস্কানিমূলক পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। গত অগাস্ট মাসে জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে গণভবন দখল করা হয়। পদচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই সে দেশে হিন্দুবিরোধী (Hindus Under Attack) কার্যকলাপ আরও বেড়ে যায়। সামাজিক মাধ্যমে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অসংখ্য উস্কানিমূলক পোস্ট ছড়িয়ে পড়ছে। আব্দুল ওহাব ফকিরের এমন পোস্টকে তাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা মানতে নারাজ ওয়াকিবহাল মহল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পলাশ কুমার মহন্ত নামের এক ব্যক্তি। ওহাবের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্ম (Bangladeshi Hindus) অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। গাবতলীর শতমথ মুক্ত মঞ্চ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    ৭ মে, ‘এই দিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর কালী মূর্তি ভাঙচুর

    গত ৭ মে, ‘এই দিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের একটি চা বাগানে অবস্থিত কালীমন্দিরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় এবং দেবী কালী ও ভগবান শিবের মূর্তি ভেঙে ফেলে। এই ঘটনাটি গভীর রাতে ঘটে। পরদিন সকালে স্থানীয়রা ভাঙা মূর্তিগুলো দেখতে পান। এরপর গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এছাড়া, ‘জয়জায়দিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পেশায় কাঠমিস্ত্রি এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম মঙ্গল সূত্রধর। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হন, কিন্তু আর ফিরে আসেননি (Bangladeshi Hindus)।

     

    (চলবে)

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ইউনূস সরকার, অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ইউনূস সরকার, অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচারে কোনও রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেদেশের ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার মধ্যপ্রদেশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এমনই অভিযোগ তুলল। এই সংগঠনের মতে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার এবং সেখানকার সেনাবাহিনী কোনওরকম পদক্ষেপ করছে না হিন্দুদের (VHP) ওপর নির্যাতনরোধে।’’

    কী বললেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা (Bangladesh)

    সংগঠনের তরফ থেকে অভিযোগ আনা হয়, ‘‘প্রত্যহ বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য ঘটনা আসছে। যেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে। বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর। গত অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ আনে ভিএইচি। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারান্দে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার এবং সেনাবাহিনী কোনও রকমের পদক্ষেপ করছে না হিন্দুদের ওপর চলা অত্যাচারকে প্রতিরোধ করার জন্য। গত বছর থেকেই সে দেশে হিংসা এবং নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে বর্তমানে। সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার পক্ষেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) নৈরাজ্য। বিশেষত ভারতের পক্ষে নিরাপত্তার জন্য তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

    হিন্দুদেরও মানবাধিকার আছে বলে স্মরণ করান বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    তিনি আরও বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার এবং এদেশের কূটনীতিকরা এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য অনেক পদক্ষেপ করেছেন।’’ এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা স্মরণ করিয়েছেন যে প্রত্যেককে মনে রাখা উচিত যে হিন্দুদেরও মানবাধিকার রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি নিন্দা করেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীরও। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সরব হওয়া দরকার ছিল, সেটা দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, গত বছরের অগাস্ট মাসেই পতন হয় হাসিনা সরকারের। জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। এরপরেই বাংলাদেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের খবর সামনে আসতে থাকে। সেদেশে রাজনৈতিক হিংসা অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয় সাম্প্রদায়িক হিংসাতে।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান’’! বাংলাদেশে হিন্দু-নিপীড়ন প্রসঙ্গে মত বিশেষজ্ঞদের

    Bangladesh Crisis: ‘‘সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান’’! বাংলাদেশে হিন্দু-নিপীড়ন প্রসঙ্গে মত বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন (VIF) “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Hindus) ওপর অন্তহীন নিপীড়ন” শীর্ষক (Bangladesh Crisis) একটি প্রদর্শনী ও প্যানেল আলোচনা আয়োজন করেছিল। এখানে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নিষ্ঠুর ও সুসংগঠিত আক্রমণ হয়েছিল, সে কথা তুলে ধরা হয়। নয়াদিল্লির ভিআইএফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অমুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলা ব্যাপক জাতি হিংসা, ভূমি দখল এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরণের ঘটনাগুলি উন্মোচিত হয়।

    গণহত্যার ভয়াবহ দৃশ্য (Bangladesh Crisis)

    ফাউন্ডেশন এগেইনস্ট কন্টিনিউয়িং টেররিজম (FACT)-এর দ্বারা আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশে চলতে থাকা গণহত্যার ভয়াবহ দৃশ্যমান ও তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরা হয়। এদিনের প্রদর্শনীতে দেখা গিয়েছে হিন্দু গ্রামগুলির পোড়া অবশেষ এবং পবিত্র মন্দিরগুলি ছন্নছাড়া দশা, যেগুলি উগ্র ইসলামপন্থীদের টার্গেট হয়েছে। বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত সাক্ষ্যও রয়েছে প্রতিবেদনে। এখানে যৌন হিংসা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের বিবরণও রয়েছে। সংগঠিত জমি দখলের অভিযানের ছবিও রয়েছে। এটাই হিন্দুদের নির্বাসনে যেতে বাধ্য করছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

    কমছে হিন্দু জনসংখ্যা

    পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৯৪৭ সালে (এখন যেটা বাংলাদেশ) হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২৯.৭ শতাংশ। বর্তমানে সেটাই নেমে এসেছে ৭.৯ শতাংশেরও নীচে। প্রবীণ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ফ্রাঁসোয়া গোতিয়ে বলেন, “এটি বিচ্ছিন্ন কোনও হিংসা নয়, এটি একটি সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান। বিশ্ব একে উপেক্ষা করছে। কারণ এটি তাদের পছন্দসই বর্ণনার সঙ্গে মেলে না।”

    প্যানেল আলোচনা

    এদিনের প্যানেল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা তীব্র সংকটের (Bangladesh Crisis) আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এই প্যানেলে অংশ নিয়েছিলেন কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের এই ক্রমবর্ধমান সংকট নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং ভিআইএফের সহ সভাপতি সতীশ চন্দ্র, বাংলাদেশের প্রাক্তন হাই কমিশনার বীণা সিক্রি, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি ড. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। ছিলেন সাংবাদিক ফ্রাঁসোয়া গোতিয়ে। প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ভিআইএফের পরিচালক অরবিন্দ গুপ্ত। আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী (Bangladesh Crisis) ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে শক্তিশালী করে তুলেছে। এটি দেশের অমুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য ক্রমশ শত্রুভাবাপন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করছে (Hindus)।

    অজিত ডোভাল

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এর থেকে স্পষ্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে নয়াদিল্লি যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টির উল্লেখ করেন ডোভাল। তিনি জানান, বাংলাদেশে অবাধে কর্মরত চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    গত জুলাই মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) মাথা তোলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলন এতই তীব্র আকার ধারণ করে যে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অভিযোগ, ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা নির্বাচন বিলম্বিত করছে। এর পাশাপাশি চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। হাসিনার অনুপস্থিতিতে, বিদেশি প্রভাব দ্বারা সমর্থিত চরমপন্থী দলগুলি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নতুন করে সন্ত্রাসের স্টিম রোলার চালিয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গণহত্যা, হিন্দু মহিলাদের অপহরণ এবং হিন্দু মন্দির ধ্বংসের মতো ঘটনাগুলি ১৯৭১ সালের আগের পরিস্থিতির ভয়াবহ প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

    ঢাকা সফরে জয়শঙ্কর

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতি করতে ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারত-বিরোধী উপাদান সম্পর্কে সতর্কবার্তার জবাবে ঢাকার (Bangladesh Crisis) বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, “আমাদের একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত আছে যে আমরা পারস্পরিক সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে ভালো কর্ম-সম্পর্ক চাই। এ বিষয়ে আমাদের কোনও দ্বিধা নেই (Hindus)।” তবে, ইসলামি উপাদানকে আশ্রয় দেওয়ার ঐতিহাসিক ভূমিকার কারণে, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। ভারতের অন্যতম প্রধান কৌশলগত থিংক ট্যাঙ্ক ভিআইএফের সুপারিশগুলি হল, বাংলাদেশের সরকারে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। যতক্ষণ না সংখ্যালঘুদের অধিকার পুনরুদ্ধার হয়, ততক্ষণ। রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ, যাতে জাতিগত নিধনযজ্ঞের তদন্ত করা হয় এবং বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনকে মানবাধিকার সংকট হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া।

    গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যদি বিশ্ব ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামী দুদশকের মধ্যে বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবে।” বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন কেবল একটি স্থানীয় বিষয় নয় – এটি একটি মানবিক সংকট, যা অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ দাবি করে। এই ক্রমবর্ধমান গণহত্যার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া গঠনে আঞ্চলিক (Hindus) শক্তি হিসেবে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Bangladesh Crisis)।

  • Hindus in Bangladesh: ‘‘আরও দৃঢ় পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার’’, বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন রোধে বার্তা আরএসএসের

    Hindus in Bangladesh: ‘‘আরও দৃঢ় পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার’’, বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন রোধে বার্তা আরএসএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের (Hindus in Bangladesh) উপর নির্যাতন রোধ করার জন্য ভারত সরকারের ‘‘আরও দৃঢ় পদক্ষেপ’’ গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) নেতা সুনীল অম্বেকর। পদ্মাপাড়ে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। এই নির্যাতন বন্ধ করতে ভারত সরকারের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত বলেও মত সঙ্ঘের সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখের।

    আরও সক্রিয় পদক্ষেপের আশা

    মঙ্গলবার নাগপুরে ‘সকল হিন্দু সমাজ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত একটি সভায় সুনীল বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ প্রতিরোধে ভারত সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে। বাংলাদেশে যা ঘটছে তা প্রতিটি হিন্দুর মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশ (Hindus in Bangladesh) সরকারকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। ভারত সরকারকে এই ধরনের নির্যাতন বন্ধ করতে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। যে কোনও মূল্যে বাংলাদেশে হিন্দুদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া, বিশেষ বিমানে দেশে ফেরানো হচ্ছে ৭৫ ভারতীয়কে

    বাংলাদেশের হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ

    অম্বেকর আশা প্রকাশ করেন যে, বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির বাংলাদেশ সফর নিশ্চয় কোনও সমাধান সূত্র বার করবে। তবে, যদি এর মাধ্যমে কোনও ইতিবাচক ফল পাওয়া না যায়, তাহলে ভারতকে অন্য কোনও পথ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘বিশ্বের কিছু শক্তি বাংলাদেশে (Hindus in Bangladesh) অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমাদের এসব শক্তিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে হিন্দুদের প্রতি এ ধরনের অত্যাচার বন্ধ হয়, শুধু আমাদের দেশে নয়, অন্যান্য দেশেও।’’ বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার এবং তাঁর আইনজীবীর ওপর হামলার প্রসঙ্গে অম্বেকর বলেন, ‘‘এই ঘটনা নির্যাতনের সীমা অতিক্রম করেছে।’’ এই আবহে বাংলাদেশি হিন্দুদের মনোভাবের প্রশংসা করেছেন সুনীল। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দুরা একটি অনুপ্রেরণাদায়ক বার্তা দিয়েছেন যে, তাঁরা পালিয়ে যাচ্ছেন না, বরং ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madras HC: ‘‘মন্দির নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র হিন্দু কর্মী নিয়োগ হতে পারে’’, বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    Madras HC: ‘‘মন্দির নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র হিন্দু কর্মী নিয়োগ হতে পারে’’, বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট রায় দিয়েছে যে মন্দির নিয়ন্ত্রিত কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী হিসেবে হিন্দুই নিয়োগ করা যেতে পারে। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই রায়। মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras HC) বিচারপতি বিবেক কুমার সিং এমন রায় দিয়েছেন। সংবিধানের মৌলিক অধিকারের কথাও এদিন উল্লেখ করেন বিচারপতি।

    রিট পিটিশন জমা পড়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে (Madras HC) 

    প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত একটি রিট পিটিশন জমা পড়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে (Madras HC)। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়, কেন মন্দির নিয়ন্ত্রিত স্কুলে শুধুমাত্র হিন্দুদেরই শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে! এই রিট পিটিশন বাতিল করেন বিচারপতি বিবেক কুমার সিং। তিনি জানান যে, মন্দির নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিন্দু ধর্মে (Hindus) যাঁরা বিশ্বাস রাখেন, তাঁদেরই নিয়োগ করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন সুহেল নামের একজন মুসলিম। চেন্নাইয়ের কোলাথুরের মন্দির (Madras HC) নিয়ন্ত্রিত একটি কলেজে পড়ানোর জন্য আবেদন করেন সুহেল। কিন্তু সুহেলের আবেদন বাতিল করা হয় এবং জানানো হয় যে শুধুমাত্র হিন্দুরাই সেখানে পড়ানোর সুযোগ পাবেন।

    সংবিধানের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ করেন বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, সুহেলের রিট পিটিশনে (Madras HC) ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ১৬(১) এবং ১৬(২) ধারাকে উল্লেখ করা হয় এবং সেখানে জানানো হয় যে নিয়োগের ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার রয়েছে। কিন্তু আদালত এক্ষেত্রে সংবিধানের ১৬(৫) ধারাকে উল্লেখ করে জানায়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অধিকার রয়েছে তাদের নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কর্মী নিয়োগের। প্রসঙ্গত ওই কলেজ হচ্ছে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরিচালনা করে মন্দির কমিটি। কোনও রকমের সাহায্য রাজ্যের কাছ থেকে তারা নেয় না। পড়ুয়াদের কাছ থেকে আসা ফি থেকেই শিক্ষকদের বেতন হয়। এক্ষেত্রে আদালত উল্লেখ করে যে সংবিধানের ১৬(১) এবং ১৬(২) ধারা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, কারণ ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার শুধুমাত্র সরকারে কোনও পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই অধিকার দেয়, কোনও বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share