Tag: Hindutva

Hindutva

  • Hinduism: “হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা নয় হিন্দুত্ব”, যুগান্তকারী রায় ব্রিটেনের হাইকোর্টের

    Hinduism: “হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা নয় হিন্দুত্ব”, যুগান্তকারী রায় ব্রিটেনের হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী রায় দিল ব্রিটেনের হাইকোর্ট অফ জাস্টিস। এই মামলায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্রিটেনের আদালত বলল যে হিন্দু ধর্ম (Hinduism) এবং হিন্দুত্ব হল অভিন্ন—এই দুটোকে কখনো আলাদা করা যায় না। একইসঙ্গে এক ইসলামিক কর্মী মহম্মদ হিজাবের করা মানহানির মামলাও খারিজ করল ব্রিটেনের উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, মহম্মদ হিজাব মামলা করেছিল স্পেক্টেটর নামে একটি পত্রিকা এবং তার লেখক ডগলাস মুরির বিরুদ্ধে।

    হিন্দু-বিরোধীদের কাছে বড় আঘাত হানল এই রায়

    স্বাভাবিকভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দুদের (Hinduism) এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এই রায় মর্যাদা আনল এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু-বিরোধীদের কাছে বড় আঘাত হানল। কারণ, হিন্দু ধর্মের সমালোচকরা—প্রায় এদের মধ্যে অনেকে ভারতীয়—দাবি করেন যে হিন্দুত্ব নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে, হিন্দুত্বের জিকির তোলা হচ্ছে, ইত্যাদি। হিন্দুত্বকে দেখানো হয় একটা আলাদা ধরনের রাজনৈতিক ও মৌলবাদী মতাদর্শ হিসাবে, এবং হিন্দু-বিরোধীরা এই নেগেটিভ দিকটা তুলে ধরে বলতে চায় যে সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম থেকে হিন্দুত্ব পৃথক। কিন্তু এই রায় স্পষ্ট করল যে হিন্দুত্ব হল সনাতন ধর্মেরই অংশ। তাই স্বাভাবিকভাবে এই রায়ের প্রতিধ্বনি পৌঁছে গেছে ব্রিটেনের বাইরেও—এমনকি আমেরিকাতেও। সেখানে খুব স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন বিতর্ক ছড়ানো হয়েছে যেখানে বলা হয়, হিন্দু ধর্ম সত্যিই একটা গ্রহণযোগ্য ধর্ম এবং তার যে আধ্যাত্মিক অংশ রয়েছে, সেটাই। অন্যদিকে হিন্দুত্বকে দেখানো হয় একটা মৌলবাদী মতাদর্শ (Hinduism) হিসেবে। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুকে নস্যাৎ করল ব্রিটেনের কোর্টের এই রায়।

    জোরালো হল পৃথিবী জুড়ে হিন্দু সংগঠনগুলির আওয়াজ

    এর সঙ্গে সঙ্গে জোরালো হল পৃথিবী জুড়ে হিন্দু সংগঠনগুলির আওয়াজ, যারা জনমানুষে হিন্দুদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরে জানাচ্ছেন—হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্ম কখনো আলাদা নয় এবং একে অপরের থেকে পৃথক করা যায় না। এর সঙ্গেই যেভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে বুদ্ধিজীবীরা এই দুটোকে আলাদা করতে চান, তাদের মুখের উপর জবাব পড়ল। উত্তর আমেরিকায় থাকা হিন্দু সংগঠনগুলি এবং হিন্দু কর্মীদের মধ্যে প্রবল আত্মবিশ্বাসও সঞ্চার করল এই রায়—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    আইনি স্বীকৃতিও পেল হিন্দুত্ব (Hindutva)

    এর সঙ্গে সঙ্গে এক আইনি স্বীকৃতিও পেল হিন্দুত্ব, যেটাকে কিনা বিভিন্ন সময়ে অবমাননা করেছে—বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের এক শ্রেণির একাংশ। শুধুমাত্র তাই নয়, বিভিন্ন বামপন্থী স্কলাররাও এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে অনেকেই মনে করছেন, যেভাবে হিন্দুত্বকে (Hindutva) আইনত স্বীকৃতি দেওয়া হল, এর ফলে আগামী দিনে হিন্দু সংগঠনগুলি হিন্দুত্বের দাবিতে যে লড়াই লড়বে, তা অনেক সহজ হয়ে গেল। এবং সেক্ষেত্রে ব্রিটেনের এই কোর্টের রায়কে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যাবে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    এবার আসা যাক এই মামলাটি সম্পর্কে—যে মামলায় এই ঐতিহাসিক রায় দিল ব্রিটেনের আদালত। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্পেক্টেটর পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিল Leicester and the Downside of Diversity. এই প্রতিবেদনটি লেখেন ডগলাস মুরি। এই প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয় যে, লেস্টারের দাঙ্গায় মহম্মদ হিজাব জড়িত ছিল এবং বলা হয়, সে সময় সে লেস্টারে ভ্রমণ করেছিল, এবং অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছিল। তার নিজের বক্তব্যে হিন্দুদেরকে উপহাস করেছিল মহম্মদ হিজাব। শুধু তাই নয়, সে বলেছিল—হিন্দুরা দুর্বল, কাপুরুষ এবং তারা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে। তার বিরুদ্ধে এই লেখা সামনে আসতেই মহম্মদ হিজাব একটি মামলা করে, যেখানে সে দাবি করে, এক্ষেত্রে ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে। এরপরেই, যখন ওই মামলার শুনানি শুরু হয়, তখনই আদালত মহম্মদ হিজাবকে উদ্দেশ্য করে বলে যে, সে পরিকল্পনামাফিক হিন্দুদেরকে টার্গেট করেছে, তাঁদের উপহাস করেছে এবং হিন্দুদের বিশ্বাস ও ধর্মে (Hinduism) আঘাত দিয়েছে। তখন মহম্মদ হিজাব পাল্টা যুক্তি দেয় যে সে হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে এই মন্তব্য করেছে, হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু তার এই কথা একেবারেই গ্রহণ করেনি ব্রিটেনের আদালত। এরপরেই আদালত ঐতিহাসিক রায় দেয় এবং বলে যে হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্ম কখনও পৃথক নয়। দুটোই সমান—একটিকে অপরটি থেকে কোনওভাবেই আলাদা করা যায় না।

  • Kesari Veer and Chhavaa: ‘কেশরী বীর’ থেকে ‘ছভা’, ভুলে যাওয়া হিন্দু যোদ্ধাদের পর্দায় ফেরাচ্ছে বলিউড

    Kesari Veer and Chhavaa: ‘কেশরী বীর’ থেকে ‘ছভা’, ভুলে যাওয়া হিন্দু যোদ্ধাদের পর্দায় ফেরাচ্ছে বলিউড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারাঠি ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাস থেকে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে মারাঠি রাজা শিবাজি মহারাজের ছেলে সম্ভাজি মহারাজের বীরত্ব, তাঁর যুদ্ধের কাহিনি ও আত্মত্যাগ নিয়ে তৈরি “ছভা” বলিউডে পরিবর্তনের ধারা নিয়ে আসছে। এর পথ ধরে শীঘ্রই পর্দায় আসতে চলেছে আর একটি ছবি, “কেশরী বীর: লেজেন্ড অফ সোমনাথ” (Kesari Veer and Chhavaa)। এই দুই ছবিই বলিউডের ঐতিহ্যগত ইসলামিক প্রভাব থেকে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। এই সিনেমাগুলোর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া হিন্দু বীরদের কাহিনি নতুন করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

    বলিউডে নতুন গল্প বলার ধরন

    দীর্ঘদিন ধরে বলিউড, “দাউদউড” হিসেবে সমালোচিত হয়েছে তার হিন্দু-বিরোধী (Hindutva in Bollywood) মনোভাবের জন্য। সেই বলিউডই এখন বীর হিন্দু যোদ্ধাদের গল্প বলতে শুরু করেছে। “ছভা” এবং “কেশরী বীর” সিনেমাগুলোর মাধ্যমে, একেবারে নতুন ধরনের গল্প বলার এক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলি-দুনিয়ায়। যদিও এই সিনেমাগুলি হিন্দুত্বের মূল আদর্শ অনুসরণ করে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে এগুলোর মাধ্যমে হিন্দু ইতিহাসের ভুলে যাওয়া বীরদের কাহিনি নতুন করে উন্মোচিত হওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সিনেমাগুলি হিন্দু বীরত্বের কাহিনি তুলে ধরে, বলিউডের ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের গল্প বলছে। এই সিনেমাগুলোর মাধ্যমে বলিউডের সেই পুরনো ধারা ভাঙছে, যেখানে হিন্দু ইতিহাস প্রায়শই উপেক্ষিত বা বিকৃত করা হয়েছে।

    ইতিহাসে উপেক্ষিত চরিত্র

    সপ্তদশ শতকে বাবা শিবাজির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তরুণ সম্ভাজি মোঘলদের দাসত্ব স্বীকার না করে, মারাঠা স্বরাজের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। দিল্লিতে তখন ঔরঙ্গজেবের রাজত্ব। সম্ভাজি সিংহাসনে বসেই বুরহানপুরে মোঘলদের সেনা ছাউনিতে আক্রমণ করে ধ্বংস করলে তৎকালীন মোঘল সম্রাট প্রতিশোধ নিতে শুরু করেন পালটা আক্রমণ করে। ওদের প্রতিটি আক্রমণ রুখে দেন সম্ভাজি তাঁর অনুগত সৈনিক এবং সেনাপতি হাম্বিররাওয়ের লড়াই কৌশলে। একেবারে যাকে বলে গেরিলা যুদ্ধ, প্রায় সেইরকম। জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে সম্ভাজির সেনারা (লক্ষ্মণ উতরেকরের নির্দেশে অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার) আরও কতই না ভেলকি দেখিয়েছেন। তাঁরা মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে। আখের ক্ষেতে ছদ্মবেশে আখ গাছ হয়েছে। চিত্রনাট্যে মহারাষ্ট্র ও সমগ্র মারাঠি জাতির প্রাণপুরুষ শিবাজি মহারাজ, উপস্থিত না থেকেও যেভাবে রয়েছেন, তা এক কথায় অনবদ্য। সংলাপে অনর্গলভাবে ওঁর নাম উচ্চারিত হয়েছে।

    মারাঠি মহানুভবতার পরিচয়

    সম্ভাজি ও ঔরঙ্গজেবের মধ্যে ফাইনাল যুদ্ধটি হয় পুণের কাছে ভীম নদীর পাড়ে তুলাপুর নামের একটি জায়গায়। যেখানে ঔরঙ্গজেব সম্ভাজি ও তাঁর অন্যতম অমাত্য কবি কালাশকে বন্দি করে নিয়ে যান। বন্দিদশায় কবির জিভ কেটে দেওয়া হয়। আর চোখ উপড়ে নেওয়া হয় সম্ভাজির। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত মারাঠিরাজ একা লড়ে যান শতাধিক মোঘল সৈন্যের সঙ্গে। সে লড়াই সত্যি অসম্ভব এবং অমানসিক। হিন্দুত্বের জয়গান, মারাঠি মহানুভবতার পরিচয়, এই ছবি। এক সংলাপে সম্ভাজি বলেই ফেলেন “তুমি আমার সঙ্গে যোগ দিয়ে মারাঠি হয়ে যাও, তোমাকে সেজন্য ধর্ম ত্যাগ করতে হবে না। সুখে থাকবে!” বলিউড অতীতে সাধারণত ইসলামি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামী হিন্দু বীরদের গল্প বলতে পিছপা থেকেছে, বরং ওই সময়ের আক্রমণকারীদের মঙ্গলময় রূপে উপস্থাপন করত। সম্ভাজি মহারাজের এই কাহিনী বহুদিন ধরেই ইতিহাস থেকে উপেক্ষিত ছিল, যদিও তিনি ছিলেন এক মহান যোদ্ধা।

    সোমনাথ মন্দির রক্ষার লড়াই

    সুনীল শেঠি, সুরজ পাঞ্চোলি এবং বিবেক ওবেরয় অভিনীত ঐতিহাসিক বায়োপিক, কেশরী বীর: লেজেন্ড অফ সোমনাথের বহুল প্রতীক্ষিত টিজারও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এই ছবিটি হামিরজি গোহিলের বীরত্বপূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করে, যিনি একজন নির্ভীক যোদ্ধা ছিলেন। পবিত্র সোমনাথ মন্দিরে পাহারা দিতেন তিনি। শক্তিশালী তুঘলক সাম্রাজ্যের হাত থেকে হিন্দু মন্দিরকে রক্ষা করেছিলেন হামিরজি। ছবিটি গোহিলের সাহস, ত্যাগ এবং দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করে। ১৪০০ শতাব্দীতে আক্রমণকারীদের হাত থেকে সোমনাথ মন্দিরকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করা এবং জীবন উৎসর্গ করা অজ্ঞাত পরিচয় যোদ্ধাদের এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবি। হামিরজি গোহিলের মতো হিন্দু বীরের গল্পও এখন আলোচনায় আসছে। গোহিল রাজপুত বংশের এক বীর যোদ্ধা। তিনি সোমনাথ মন্দির রক্ষার জন্য আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়েছিলেন, তাঁর কাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই উপেক্ষিত ছিল।

    বলিউডে পরিবর্তন

    বহুদিন ধরে বলিউডকে তার হিন্দু-বিরোধী এবং প্রো-ইসলামিস্ট অবস্থানের জন্য সমালোচিত করা হয়েছে। তবে “ছভা” এবং “কেশরী বীর” (Kesari Veer and Chhavaa) সিনেমাগুলি সম্ভবত এই পরিবর্তনের শুরু, যা ভবিষ্যতে আরও নতুন গল্প নিয়ে আসবে। সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার এক বিশেষ প্রবণতা শুরু হয়েছে, যা কেবল আড়ালে রাখা বীরদের কাহিনী সামনে আনছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, কি বলিউড একটি বাস্তবিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধন করছে, নাকি এটি কেবল হিন্দু অনুভূতির প্রতি বাজারের প্রতিক্রিয়া? যাই হোক, যে কথাগুলো এতদিন চাপা ছিল, সেগুলো এখন সিনেমার পর্দায় উঠে আসছে—এটা নিজেই একটি বড় পরিবর্তন।

  • Ram Mandir: রামমন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বাংলায় ব্যাপক জনসংযোগ করবে আরএসএস

    Ram Mandir: রামমন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বাংলায় ব্যাপক জনসংযোগ করবে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি রাম মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন নরেন্দ্র মোদি। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। বাংলাতেও রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে সফল করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে সঙ্ঘ পরিবার। বাংলাতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে সঙ্ঘ। এছাড়াও উদ্বোধনের পর কয়েক হাজার ভক্তকে ট্রেনে চাপিয়ে রামমন্দির (Ram Mandir) দর্শন করাতে অযোধ্যাও নিয়ে যাওয়া হবে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কার্যকারিণী বৈঠক গত মাসে গুজরাটের ভুজে বসেছিল। সেখানেই স্থির হয়েছে ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি রামমন্দিরের ছবি হাতে ৫ লাখ গ্রামে জনসংযোগ করবে সঙ্ঘ।

    রামমন্দির দর্শন

    এ রাজ্যে সমাজের প্রতিটি বর্গের মানুষকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার আবেদন জানাবে সঙ্ঘ। উদ্বোধনের দিন প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ছোট-বড় নানা উৎসবের আয়োজনও করবে সঙ্ঘ পরিবার। এমনটাই ঘোষণা করেছেন মোহন ভাগবত। চলতি বছরের বিজয়া দশমীর ভাষণেই একথা বলতে শোনা যায় সঙ্ঘ প্রধানকে। সূত্রের খবর, উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর ২৬ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রামমন্দির (Ram Mandir) দর্শনের কর্মসূচি নেবে সঙ্ঘ পরিবার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই কর্মসূচিতে প্রায় ৬ হাজার ভক্তকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। আপাতত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলার ভক্তরা রওনা দেবেন রামনগরীতে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সারা দেশের প্রতিটা প্রান্ত থেকে সমস্ত রাম ভক্তদের কাছে নিমন্ত্রণ নিয়ে যাব। প্রতিটা গ্রাম, শহর অলিতে-গলিতে যাব। সবাইকে বলব রাম মন্দির দেখতে আসুন।’’

    কী বলছেন বাংলার আরএসএস নেতা?

    এ বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রান্ত প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায় বলেন, ‘‘বাংলায় আমরা ৪০ লক্ষ পরিবারে যাব। অযোধ্যার রামমন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রসাদ নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাব। ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি এই কর্মসূচি চলবে। ১ জানুয়ারি কল্পতরু দিবসের দিন শুরু হবে। ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত চলবে। একইসঙ্গে রাম মন্দিরে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যাব। মার্চ পর্যন্ত উদ্বোধনপর্ব চলবে। সেখানে এক একটা প্রান্তকে এক একটা সময় দেওয়া হবে। প্রতিদিন এক থেকে দেড় লক্ষ মানুষের ব্যবস্থা থাকবে যাতে সুষ্ঠুভাবে কর্মসূচি হয়। তার জন্য আবেদন করব, আপনারাও আসুন সময় করে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share