Tag: History

History

  • Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ (Separatism) এখন অতীত।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিনই তিনি হুরিয়তের দুটি শাখা সংগঠনের মূল স্রোতে ফেরার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন ভূস্বর্গে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত।

    জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ (Amit Shah)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে কোমর বেঁধে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে যেমন উপত্যকায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেওয়া হয়, তেমনি অন্যদিকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। এই জোড়া ফলায় মেলে সাফল্য। গত ১০ বছরে উপত্যকায় নিত্য কমছে অশান্তির হার। এবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্সের দুটি শাখা সংগঠন হিংসার রাস্তা ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথাই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কী বলছেন শাহ

    সোশ্যাল মিডিয়া শাহ লিখেছেন, “কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন ইতিহাস। মোদিজির সবকা সাথের নীতি উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। হুরিয়তের দুই শাখা সংগঠন সমস্ত রকম বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল।” তিনি লিখেছেন, “এই দুই সংগঠনকে সমাজের মূল ধারায় স্বাগত। আমি এই ধরনের সব সংগঠনকেই বিচ্ছিন্নতাবাদ ভুলে দেশের ঐক্যের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। উন্নত, শান্ত ও ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টিরই সুফল এটা।”

    গত কয়েক দশক ধরে কাশ্মীরে ভারত বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল বিচ্ছিন্নতাাদীরা। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল হুরিয়ত। তারা কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে প্রকাশ্যেই। ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর অবশ্য বদলে যায় ছবিটা। ভূস্বর্গে প্রকৃত শান্তি ফেরাতে ধরপাকড় শুরু করে কেন্দ্র (Amit Shah)। তার পরেই বেপাত্তা হয়ে যায় হুরিয়ত পন্থী নেতাদের মাথারা। এঁদের অনেকেই আবার পরে ফেরেন সমাজের মূল স্রোতে। কেবল হুরিয়ত নয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী আরও অনেক সংগঠনই ফিরেছে মূল ধারায়। সেই তালিকায় এবার জুড়ল হুরিয়তের দুই সংগঠনের নাম।

    গত ২১ মার্চ রাজ্যসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “মোদি সরকার নিষ্ঠুরভাবে জঙ্গিদের আত্মীয় যারা সরকারি চাকরি করছিলেন, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। সহানুভূতিশীলরা দিল্লি ও শ্রীনগরের জেরে রয়েছে। আরও একটি সময় ছিল যখন জঙ্গিদের (Separatism) গৌরবান্বিত করা হত। আর নয়। আজ তারা যেখানে মারা যায়, সেখানেই সমাহিত করা হয় (Amit Shah)।”

  • Modi Script: “মোদি লিপি শিখলে কাজের সুযোগ রয়েছে”, বললেন গবেষক মাহেশ

    Modi Script: “মোদি লিপি শিখলে কাজের সুযোগ রয়েছে”, বললেন গবেষক মাহেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মোদি লিপি (Modi Script) শিখলে কাজের সুযোগ রয়েছে। মোদি লিপি পড়লে ইতিহাস (Glorious History) সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানা যাবে। ১৯৫০ সালের আগে স্কুলে পড়ানোও হত মোদি লিপি। ১৮৮৮ সালের মোদি লিপিতে লেখা একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠ্যবই এখনও পাওয়া যায়। মহারাষ্ট্রের গৌরবময় ইতিহাসও মোদি লিপিতে লেখা।” কথাগুলি বললেন মোদি লিপির বিশেষজ্ঞ মাহেশ জোশী। মোদি লিপির ওপর কর্মশালার আয়োজন করতে তিনি পুনে থেকে বদর্ভের অমরাবতী যাত্রা করেন।

    মোদি লিপি নিয়ে কী বললেন গবেষক? (Modi Script)

    এই কর্মশালার আয়োজন হয়েছিল ভগবান শিবাজিরাও পাটিল কলেজে। মাহেশ বলেন, “অনেকে মোদিকে একটি ভাষা বলে মনে করেন। তবে এটি ভুল ধারণা। মোদি কখনওই একটি ভাষা ছিল না। এটি ছিল একটি লিপি।” তিনি বলেন, “যদি আপনি মোদি লিপি পড়েন, তবে বুঝতে পারবেন মোদি লিপির প্রতিটি শব্দই মারাঠি ভাষায় বিদ্যমান। মোদি লিপির ইতিহাস ৭০০ বছরের পুরানো। এটি যাদব রাজবংশের সময় থেকে প্রচলিত রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই লিপি পরিবর্তিত হয়ে আরও পরিশুদ্ধ হয়েছে। যাদব যুগের নথিপত্র অবশ্য এখন আর পাওয়া যায় না।”

    মোদি লিপি

    জোশী বলেন, “ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ যুগের চিঠিগুলি এখনও পাওয়া যায়। তবে সেগুলি আসল রূপে নেই। কারণ ব্রিটিশরা রায়গড় দুর্গের একটি জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এই দুর্গটি ছিল ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের রাজধানী।” তিনি বলেন, “মোদি লিপির (Modi Script) বেশিরভাগ নথি পেশওয়া যুগ থেকে পাওয়া যায়। পেশওয়ারা মোদি লিপিকে রাজ্যের ভাষার মর্যাদা দিয়েছিলেন। তাই তাদের যুগের বহু নথি পাওয়া যায়। শুধুমাত্র পুনেতেই প্রায় পাঁচ কোটি মেলে। মুম্বই, নাগপুর এবং ছত্রপতি সম্ভাজিনগরেও মোদি লিপির নথি পাওয়া যায়।”

    তিনি বলেন, “কিছু পরিবারও আছে, যাদের কাছে এখনও মোদি লিপির নথি সংরক্ষিত রয়েছে। ১৮৮৮ সালের মোদী লিপির দ্বিতীয় স্ট্যান্ডার্ড পাঠ্যপুস্তকটি এখনও পাওয়া যায়।” তিনি বলেন, “মরাঠাদের শাসনকালে মোদী লিপির মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদান করা হত। ওই সময় মোদি লিপি গোপন লিপি হিসেবে ব্যবহৃত হত।” মাহেশ বলেন, “একজন রুশ অধ্যাপক পেচাকাভ, নেদারল্যান্ডসের ম্যাডাম এলিজাবেথ এবং অন্যান্য দেশের মানুষ ভারতে এসে মোদি লিপি শিখেছিলেন। উইলিয়াম কেরি ১৮১৮ সালে মোদি (Glorious History) থেকে ইংরেজি ভাষার একটি অভিধানও তৈরি করেছিলেন (Modi Script)।”

  • Jagdeep Dhankhar: “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    Jagdeep Dhankhar: “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করে মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে জায়গা দিতে ভারতের ইতিহাস (Indian History) বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল। এমনই দাবি করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। রবিবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের ১৩৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ভাষণ দেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানেই তিনি ইতিহাস বই বিকৃত করার অভিযোগ করেন।

    কী বললেন ধনখড়? (Jagdeep Dhankhar)

    তিনি বলেন, “ভারতের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল। এতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে এই দাবি করার জন্য একচেটিয়া জায়গা দেওয়া হয়েছিল যে, তাঁরাই ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে অবদান রেখেছেন।” উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “ভারতের স্বাধীনতার ভিত্তি সম্পর্কে মানুষকে খুব ভিন্নভাবে শেখানো হয়েছে। ইতিহাস বই আমাদের আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করেছে। আমাদের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল, এবং এতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে একচেটিয়া স্থান দেওয়া হয়েছে যারা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের কৃতিত্ব পেয়েছে। এটা আমাদের বিবেকের ওপর একটি অসহনীয় ব্যথা। এটা আমাদের আত্মা ও হৃদয়ের ওপর একটি বোঝা।”

    বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ

    তিনি ভারতের ঐতিহাসিক বিবরণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আহ্বানও জানান। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “আমাদের ইতিহাস বইগুলো রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।” রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংকে তিনি একজন স্বাভাবিক কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, দূরদর্শী ও জাতীয়তাবাদী হিসেবে অভিহিত করেন। এই অবহেলাকে ‘ন্যায়বিচারের প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছেন উপরাষ্ট্রপতি। ইতিহাসের ভুল উপস্থাপনাকে সংশোধন করার গুরুত্বও এদিনের বক্তৃতায় তুলে ধরেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতার ভিত্তি স্থাপনকারী ব্যক্তিদের যাতে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া যায়, তাই এটা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা ন্যায়বিচারের প্রতি অবিচার, কী ট্র্যাজেডি। আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে, আমরা ব্যর্থ হয়েছি—ভয়ানকভাবে ব্যর্থ হয়েছি—রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের মতো মহান মানুষের বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকার করতে। আমাদের ইতিহাস তাঁকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি। আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তিগুলি, যেগুলি তাঁর মতো মানুষদের এবং অন্যান্য অবহেলিত বা কম পরিচিত বীরদের সর্বোচ্চ ত্যাগের (Indian History) ওপর প্রতিষ্ঠিত, তা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে (Jagdeep Dhankhar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Khudiram Bose Death Anniversary: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ!

    Khudiram Bose Death Anniversary: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতা ও বিপ্লবী আন্দোলনের সব থেকে উজ্জ্বল নক্ষত্র ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস (Khudiram Bose Death Anniversary) আজ। ১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট মাত্র ১৮ বছর বয়সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে হাসিমুখে ফাঁসিতে চড়েছিলেন ভারতের এই বীর সন্তান। মুজফফরপুর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি হয় ক্ষুদিরাম বসুর (Khudiram Bose)। 

    ফিরে দেখা ইতিহাস (Khudiram Bose Death Anniversary) 

    ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি (বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হাবিবপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ক্ষুদিরাম বসু। পাঁচ বছর বয়সে তিনি তাঁর মাকে হারান এবং এর এক বছর পর তাঁর বাবা মারা যান। এরপর খুব অল্প বয়সেই তিনি কলকাতার বারিন্দ্রকুমার ঘোষের মতো বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিজেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রতী করেছিলেন ক্ষুদিরাম। স্থানীয়দের মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী পুস্তিকা বিতরণের জন্য ইংরেজ শাসকরা তাঁকে আটক করে। 
    ১৯০৮ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষুদিরামের বয়স যখন ১৬ বছর, সে সময় প্রধান প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট ডগলাস কিংসফোর্ডকে হত্যার উদ্দেশ্যে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি মুজফফরপুরে একটি গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, কিংসফোর্ড সেদিন ক্লাবে আসেননি। দুই ইংরেজ মহিলা মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যা একই লাল গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। ফলে সেই বোমা হামলায় তাঁরা মারা গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ ধরার আগেই প্রফুল্ল চাকি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। আর অন্যদিকে এই ঘটনার পর নিজের প্রাণ বাঁচাতে ক্ষুদিরাম বসু (Khudiram Bose) ২৫ মাইল পথ পায়ে হেঁটে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু, একটি জায়গায় জলের খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশের মুখোমুখি হন তিনি। তাঁকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়৷ কিন্তু, সদ্য কৈশোর পেরনো ক্ষুদিরাম পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে যান৷ তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করে ব্রিটিশ পুলিশ৷ এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারে ক্ষুদিরাম বসুকে ফাঁসির সাজা শোনায় করে ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থা৷   

    আরও পড়ুন: ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকশপথে পরিদর্শন করলেন মোদি

    মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ (Khudiram Bose)

    বিখ্যাত অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন ক্ষুদিরাম। তাঁকে ফাঁসি দেওয়া (Khudiram Bose Death Anniversary) হয় মুজফফপুর সংশোধনাগারে। বর্তমানে সেই কারাগারের নাম বদলে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর নামেই নামকরণ করা হয়েছে। এই কারাগারেই মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফাঁসির মঞ্চে হাসতে হাসতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন ভারতের এই বীর সন্তান। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একজন যিনি দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর শরীরের মৃত্যু হলেও আজীবন তিনি অমর হয়ে থেকে গেলেন প্রতিটি ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! নামকরণের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে রোমহর্ষক কাহিনি

    Ranaghat: ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! নামকরণের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে রোমহর্ষক কাহিনি

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর লাইন দিয়ে ট্রেনে যেতে যেতে সকলেরই নজরে পড়ে রানাঘাট (Ranaghat) স্টেশন। এই স্টেশনের বুক চিড়ে প্রথম ট্রেন গেদে হয়ে কুষ্টিয়া (বাংলাদেশ) চলে গিয়েছিল। বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই শহর। নদিয়া জেলার অন্যতম প্রাচীন জনপদ রানাঘাট। বহু মনীষীর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই রানাঘাটে। স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন রানাঘাটেরই বীর সন্তানেরা। রানাঘাট রত্নগর্ভা এক বনেদি শহর। লিককের পথ ধরে তাই অনায়াসেই বলা যায়, “যার আছে পুঁজিপাট, সে থাকে রানাঘাট”। পুঁজি মানে অর্থের পুঁজি শুধু নয়, শিক্ষা সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আভিজাত্য, ইত্যাদি সব কিছুতে পুঁজিপতি মানুষ আছেন নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটে।

    ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! (Ranaghat)

    রানাঘাট শহরের নাম নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে, কোনটা প্রামাণ্য, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। একটি সূত্রে পাওয়া গিয়েছে, এক সময় রানাঘাটের নাম ছিল ব্রহ্মডাঙা। মুঘল সম্রাট আকবরের রাজস্ব সচিব রানা টোডরমল তৎকালীন ব্রহ্মডাঙায় জমি জরিপের কাজে এসেছিলেন বলে ব্রহ্মডাঙার নাম রানাঘাট হয়ে গিয়েছিল। ইতিহাসবিদ প্রিঙ্গিলের দাবি, অষ্টাদশ শতাব্দীতে রণ বা রানা নামে এক দুধর্ষ ডাকাত এই এলাকাকে তাঁর ঘাঁটিতে পরিণত করেন। সেই ডাকাত রানার নামেই রানাঘাট। এই তথ্যটিকে বেশির ভাগ মানুষ সঠিক বলে মনে করেন। আবার নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রর দ্বিতীয় রানির বাড়ি রানাঘাট সংলগ্ন নোকাড়ি গ্রামে ছিল। তাই রানির ঘাট থেকেও রানাঘাট হতে পারে।

    রানাঘাটে রবীন্দ্রনাথ

    জানা গিয়েছে, কবি নবীনচন্দ্র সেন রানাঘাটের (Ranaghat) মহকুমা শাসক থাকাকালীন ১৮৯৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং তাঁর বাংলোয় এসেছিলেন। সেই স্মৃতি আঁকড়ে ফি-বছর ওই তারিখে এখনও কবিমিলন  উৎসব হয় রানাঘাটের মহকুমা শাসকের বাংলোয়। রবীন্দ্রনাথের প্রথম সঙ্গীত-শিক্ষাগুরু বিষ্ণুচরণ চক্রবর্তী রানাঘাটের কায়েতপাড়ায় জন্মেছিলেন। রাজা রামমোহন রায় তাঁকে ব্রাহ্মসমাজের গায়ক হিসেবেও নিয়েছিলেন। বিদ্যাসাগরের পৃষ্ঠপোষকতায় পন্ডিত কালীময় ঘটকের ‘চরিতাষ্টক’ বই এক সময় স্কুলের পাঠ্যপুস্তক হয়েছিল। কালীময়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল এখানকার ‘গুরুমশাই’ পাঠশালায়। নদিয়া বিষয়ক প্রামাণ্য একটি বই ‘নদিয়া কাহিনী’। এই আকর গ্রন্থটির লেখক কুমুদনাথ মল্লিক রানাঘাটের সুসন্তান। এখনকার কবি জয় গোস্বামীর নিজের শহর রানাঘাট। সব মিলিয়ে গুণী মানুষের ভিড় ও বনেদিয়ানায় সমৃদ্ধ এ শহর।

    রানাঘাটে রামকৃষ্ণ!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব একবার রানাঘাটের (Ranaghat) চূর্ণী তীরবর্তী কলাইঘাটায় এসেছিলেন। রানি রাসমণির জামাতা মথুরচন্দ্র বিশ্বাসকে নিয়ে তিনি আদিবাসী অধ্যূষিত কলাইঘাটা বটতলায় যান। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামবাসীরা ঠাকুরকে দেখতে সেখানে সমবেত হন। তিনি শিশুদের হতদরিদ্র রূপ দেখে ব্যথিত হন। ঠাকুর মথুরচন্দ্রকে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এদের অন্ন এবং পোশাকের ব্যবস্থা না হচ্ছে, বটগাছের নীচে তিনি বসে থাকবেন। মথুরবাবু ঠাকুরের কথামতো অসহায় শিশুদের জন্য অন্নবস্ত্রের ব্যবস্থা করেন। ঠাকুর তাতে খুশি হয়ে মথুরবাবুর সঙ্গে কলকাতায় ফিরে আসেন। রামকৃষ্ণ ভক্তরা এই তীর্থস্থানে একটি রামকৃষ্ণ স্মৃতিভবন নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছু মানুষের বিরোধিতায় সেটা সফল হয়নি। বর্তমানে কলাইঘাটার প্রায় বিপরীত দিকে অবকাশ পার্কের কাছে রামকৃষ্ণ ভক্তবৃন্দের অনুরোধে রানাঘাট পুরসভার উদ্যোগে ভবন তৈরি করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে, রামকৃষষ্ণালয়।

     রানাঘাট পুরসভার অতীত-বর্তমান

    ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২১ সেপ্টেম্বর রানাঘাট (Ranaghat) পুরসভার প্রতিষ্ঠা হয়। শুরুতে ১৪ জন কমিশনার ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই মনোনীত। পদাধিকার বলে ৫ জন পুরসভার কার্যনির্বাহক সমিতির সদস্য হন। পুরসভার গৃহীত উপবিধি অনুমোদন করতেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এখন পুরসভার কাউন্সিলররা সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হন। রানাঘাট মহকুমার মধ্যে শান্তিপুর পুরসভা রানাঘাটের থেকেও পুরানো। জেলার প্রথম পুরসভা শান্তিপুর ১৮৫৩ সালে তৈরি হয়। এর ১১ বছর পর রানাঘাট পুরসভার প্রতিষ্ঠা।

    রানাঘাটের রসগোল্লা

    রসগোল্লার উদ্ভাবক কে? বিরোধ শুধু বাংলা-ওড়িশায় নয়, বিরোধ বাংলার মধ্যেও। বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাসকেই রসগোল্লার উদ্ভাবক বলে ধরা হয়। ১৮৬৮ সালে নবীনচন্দ্র রসগোল্লা তৈরি করেন। কিন্তু অনেকের মতে, রসগোল্লার আসল উদ্ভাবকের নাম হারাধন মণ্ডল। হারাধন মণ্ডল শান্তিপুরের ফুলিয়ার মানুষ। রানাঘাটের পালচৌধুরীদের হালুইকর ছিলেন। তিনিই রসের মধ্যে ছানার ডেলা ফেলে একটি অভিনব মিষ্টান্ন প্রস্তুত করেন। পালচৌধুরীরা তার নাম দেয় রসগোল্লা। রসগোল্লা ছাড়া, রানাঘাটে অনেক কাল ধরে চলে আসা মিষ্টান্ন দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে পান্তুয়া, গজা, অমৃতি প্রভৃতি।

     রানাঘাটের সংস্কৃতি

    রানাঘাট শহরে এক সময় প্রতিটি বাড়িতে সন্ধ্যাপ্রদীপ প্রজ্বলনের মতো সঙ্গীতের রেওয়াজ হত। মার্গ সঙ্গীতের পীঠস্থান ছিল রানাঘাট। মূলত, পালচৌধুরী পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং পালচৌধুরীদের সভাগায়ক নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে দেশ-বিদেশের উচ্চাঙ্গ শিল্পীদের মিলনমেলায় পরিণত হত। শ্রীজান বাঈ, দিলজান, ইমন বাঈ, লালাকুন্দ, আহম্মদ খাঁ সাহেবের মতো উত্তর ভারতের সেরা গায়কেরা এই আসরে নিয়মিত আসতেন। এই ভাবেই নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য তাঁর দুই প্রখ্যাত শিষ্য নগেন্দ্রনাথ দত্ত ও নির্মলকুমার চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রানাঘাট ঘরানার জন্ম দেন। নিধুবাবু প্রবর্তিত বাংলা টপ্পা ধারার সঙ্গে লখনউ ঘরানার মিলনে এক বিশেষ টপ্পা ধারার সৃষ্টি হয়। এই ঘরানার পরবর্তী বিখ্যাত শিল্পী ছিলেন শিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং ডাঃ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়। নগেন্দ্রনাথ দত্তের শিষ্য ছিলেন ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়।

     রানা ডাকাতের কালীমন্দির

    রানাঘাটের দ্রষ্টব্য স্থানগুলি হল-পালচৌধুরীদের পূর্বতন ভদ্রাসনের প্রাচীরের মধ্যে একই ভিতের উপর প্রতিষ্টিত জোড়া শিবমন্দির। মন্দিরে টেরাকোটার কাজ আছে। চূর্ণী নদীর তীরে বড়বাজারে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামের মন্দির। জমিদার রতন পালচৌধুরীর বিধবা পত্নী উজ্জ্বলমণি দাসীর প্রচেষ্টায় ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত নিস্তারিণী মন্দির, রানা ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির রয়েছে। সেখানে পুরানো ঐতিহ্য মেনেই পুজো হয়। এছাড়া রানাঘাট শহরের স্কুলমোড়ে প্রতিষ্ঠিত চিন্ময়ী ও মৃন্ময়ী মন্দির, ব্রজবল্লভ মন্দির জহুরা কালীবাড়ি এবং রাধাবল্লভ মন্দির রয়েছে।

    এশিয়ার প্রথম রবীন্দ্র ভবন রানাঘাটে!

    এশিয়ার প্রথম রবীন্দ্র ভবন তৈরি হয়েছিল এই শহরে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম-সহ বিশিষ্ট মনীষীদের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে এই শহর। সঙ্গীত, নাটকের পাশাপাশি খেলাধুলাও সুনাম কুড়িয়েছে রানাঘাট। এই শহরের প্রথিতযশা মানুষদের মধ্যে রয়েছেন রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পণ্ডিত কালীময় ঘটক, নদিয়া (Nadia) কাহিনীর রচিয়তা রায়বাহাদুর কুমুদনাথ মল্লিক,কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সন্তোষকুমার বোস, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ উপাচার্য ভবতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। 

    রানাঘাটে সংবাদপত্র

    ব্রিটিশদের সময় রানাঘাটে সংবাদপত্র প্রকাশিত হতে শুরু করে। কবি গিরিজানাথ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে ১৮৯৯ সালে প্রকাশিত হয় ‘বার্তাবহ’। রানাঘাট রেল স্টেশন কাছে গিরিজানাথের পত্রিকা অফিসে বসত সাহিত্য-আড্ডা। নানা সময়ে এই শহর থেকে পল্লিচিত্র, অশনি, ছাত্রবাণী, ফ্ল্যাশ, খেলাধূলা, শ্রমিক ও সমাজ, টর্চ, সীমান্তবাণী, বাংলা বাজার, ঝড়, ফ্লিক, চ্যালেঞ্জ, সবুজসোনা, চুর্ণী, নদিয়া গৌরব, রাতু-সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা প্রকাশ পেয়েছিল।

    স্বাধীনতা সংগ্রামে রানাঘাট

    বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসেও জড়িয়ে রয়েছে রানাঘাটের নাম। নীলবিদ্রোহ, স্বদেশি আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন রানাঘাটের মানুষ। অসহযোগ আন্দোলনে শিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কেশবচন্দ্র মিত্র, নেপালচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, রেণুমাধব দাস, শিশিরকুমার বসু, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনে সহায়রাম দাস, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অসীমকুমার মজুমদার, বিমলকুমার চট্টোপাধ্যায়, নৃসিংহ চৌধুরী, কুমারেশ বিশ্বাস, মহ হবিবুল্লহ, মহম্মদ কালু শেখ, শ্রীধর মুখোপাধ্যায়,পটল মুস্তাফি-সহ অনেকেই রয়েছেন সেই তালিকায়।” সব মিলিয়ে এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে রানাঘাটের। আর সেই ঐতিহ্যকে সমানে আগলে চলেন রানাঘাটবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shivrajyabhishek Sohala: ৩৫০ বছর আগে এই দিনেই ছত্রপতি হন শিবাজি! ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

    Shivrajyabhishek Sohala: ৩৫০ বছর আগে এই দিনেই ছত্রপতি হন শিবাজি! ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬৩০ খ্রীস্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারী, বর্তমান মহারাষ্ট্রে ভোঁসলে মারাঠা বংশে শাহাজি এবং জিজাবাইয়ের কাছে জন্মগ্রহণ করেন ছত্রপতি শিবাজি (Chhatrapati Shivaji)। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সেনাপতি এবং বীর যোদ্ধা। গোপন যুদ্ধের শিল্পের জন্য তাকে প্রায়শই ‘পাহাড়ের ইঁদুর’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ১৬৭৪ সালে রায়গড়ে শিবাজিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর রাজ্যের ছত্রপতি বা সম্রাট হিসাবে মুকুট দেওয়া হয়েছিল। ছত্রপতির এই রাজ্যাভিষেক মারাঠা ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসাবে রয়ে গেছে। ছত্রপতির রাজ্যাভিষেকের (Shivrajyabhishek Sohala) ৩৫০ বছর পূর্তিতে জেনে নেওয়া যাক কিছু অজানা তথ্য।  

    কথিত আছে, শিবাজি মহারাজের মা স্থানীয় দেবী শিবাইয়ের কাছে প্রার্থনার পর পুত্র সন্তান শিবাজির জন্ম হয়। তাই শিবাজি মহারাজের নামকরণ করা হয়েছিল দেবী শিবাইয়ের নামানুসারে। পরবর্তীকালে এই শিবাজিই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মারাঠা রাজ্য। দক্ষ নেতৃত্ব, বীরত্ব এবং সামরিক কৌশলের জন্য পরিচিত তিনি। ভারতীয় ইতিহাসে ছত্রপতি শিবাজি (Chhatrapati Shivaji) মহারাজের ভূমিকা ও অবদান তাঁকে একজন জাতীয় বীর করে তোলে। তিনি ছিলেন মধ্যযুগীয় ভারতের প্রথম ভারতীয় শাসক যিনি তার নিজস্ব নৌবাহিনী গড়ে তোলেন এবং ১৬৬৫ সালে তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৌ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। 

    রাজ্যাভিষেকের তাৎপর্য (Shivrajyabhishek Sohala) 

    ছত্রপতি হিসাবে শিবাজির রাজ্যাভিষেক নিছক একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান ছিল না বরং মারাঠাদের স্বাধীনতা এবং তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলির উপর সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিত করার একটি রাজনৈতিক ঘটনা ছিল। এটি মুঘল ও আদিল শাহীদের অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে শিবাজির আজীবন সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতি নিশ্চিত করে।

    শিবাজির অবদান (Chhatrapati Shivaji) 

    সেই অর্থে কোনও আনুষ্ঠানিক বা প্রথাগত শিক্ষা ছিল না শিবাজির। তবুও রামায়ণ এবং মহাভারত সহ বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থগুলির গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন তিনি। হিন্দু রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্যও তিনি পরিচিত। বহুল ব্যবহৃত ভাষা ফার্সির পরিবর্তে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় মারাঠি ও সংস্কৃত ভাষার ব্যবহার প্রচারেও তাঁর অবদান অনেক। তাঁর রাজত্বকালে তিনি (Chhatrapati Shivaji) আটজন মন্ত্রীকে নিয়ে অষ্ট প্রধান মন্ডল গঠন করেন, যা উপদেষ্টা পরিষদ হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে শিবাজিকে পরামর্শ দিত। তিনি তাঁর রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে হাইন্দব ধর্মোধারক (হিন্দু ধর্মের রক্ষক) উপাধিও নিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: এই নিয়ে তৃতীয় বার! ফের মহাকাশ অভিযানে রওনা সুনীতা উইলিয়ামসের

    রাজ্যাভিষেকের বছর পূর্তির উদযাপন    

    প্রতি বছর এই দিনটি মহা সমারহে মহারাষ্ট্রে পালিত হয়। বিশেষ করে রায়গড়ের লোকেরা এদিন রায়গড় দুর্গে শিবাজির জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এরপর তারা একে অপরকে শুভ রাজ্যাভিষেক (Shivrajyabhishek Sohala) দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিবাজির মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vasco da Gama: কীভাবে ভাস্কো দা গামা জলপথে প্রথম ভারতের সন্ধান পেয়েছিলেন? ফিরে দেখা ইতিহাস

    Vasco da Gama: কীভাবে ভাস্কো দা গামা জলপথে প্রথম ভারতের সন্ধান পেয়েছিলেন? ফিরে দেখা ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইতিহাস বলতে প্রথমেই মাথায় আসে ভাস্কো দা গামার (Vasco da Gama) নাম। ভাস্কো দা গামা-এই নামটির সঙ্গে পরিচিত নন এমন মানুষ ভারতীয় উপমহাদেশে খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভাস্কো দা গামা ছিলেন একজন পর্তুগিজ নাবিক। যিনি পঞ্চদশ শতাব্দীতে সমুদ্রপথে ভারতে আসেন। পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আফ্রিকা মহাদেশে এসে পৌঁছান এবং পুরো আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে দক্ষিণ দিক থেকে তিনি ১৪৯৮ সালের আজকেরই দিনে অর্থাৎ ২০ মে তাঁর জাহাজ নিয়ে দক্ষিণ ভারতে (India) কালিকটের কাছে কাপ্পাডুতে পা রাখেন। 

    ইতিহাস

    কলম্বাস যখন ভারতের খোঁজে বেরিয়ে আমেরিকায় পৌঁছে গেলেন, তখন পর্তুগালের রাজা জন ভারতে পৌঁছানোর জন্য নতুন সমুদ্রপথ খুঁজতে শুরু করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি তিনটি বড় জাহাজ তৈরিরও নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজা জন। ভারতে পৌঁছানোর সে ইচ্ছা পূরণ হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। তবে তার উত্তরাধিকারী এমানুয়েলের মনেও ভারতে পৌঁছানোর দৃঢ় সংকল্প ছিল। সেই যাত্রার কমান্ডার হিসাবে তিনি ভাস্কো দা গামাকে (Vasco da Gama) বেছে নিয়েছিলেন।

    কীভাবে পৌঁছলেন ভারতে? (Vasco da Gama) 

    ২৫ মার্চ ১৪৯৭ সাল, রবিবার সকালবেলায় লিসবনের রাস্তা লোকে লোকারণ্য হয়ে গিয়েছিল। সবাই বুঝতে পারছিলেন সেদিন একটা বড় ঘটনা হতে চলেছে। এরপর শুরু হল যাত্রা। ভাস্কো দা গামা রওনা হলেন তার ৩টি জাহাজ ও সহযাত্রীদের নিয়ে। কিন্তু মাঝপথে জাহাজ যখন কনারি দ্বীপ ছাড়ালো, তখনই তাঁরা মুখমুখি হল এক ভয়াবহ ঝড়ের। সেই ঝড় কাটিয়ে এরপর বেশ কয়েক মাস ধরে চলার পরে ভাস্কো দা গামা আর তার সহযাত্রীরা সেন্ট হেলেনায় পৌঁছলেন। প্রবল ঝড়ে জাহাজের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। দিন দশেক পরে ভাস্কো দা গামার দল জাহাজগুলি নিয়ে একটা বড় নদীর মোহনায় পৌঁছান। সেখানেই তিনি নোঙর করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর মার্চ মাসের শেষ নাগাদ ভাস্কো দা গামা আফ্রিকার মোজাম্বিক বন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সমুদ্র তীর ধরে চলতে চলতে পৌঁছান মালিন্ডির উপকূলে। এরপর ৬ অগাস্ট ভাস্কো দা গামা মালিন্ডি থেকে রওনা হয়েছিলেন। এর প্রায় ১৯ দিন পরে অবশেষে ভারতের তটরেখা দেখতে পান তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: কীভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছিলেন মোদি? মনে করালেন জয়শঙ্কর

    এই দিনটির গুরুত্ব

    উল্লেখ্য তিনিই (Vasco da Gama) প্ৰথম ইউরোপীয় যিনি সাগর পথ পাড়ি দিয়ে আজকের এই দিনে ভারতে (India) এসে উপস্থিত হন। তাঁর এ ভ্ৰমণ এশিয়া ও ইউরোপকে সংযোগ করার পাশাপাশি আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরের মাঝে সেতুবন্ধনের কাজ করেছিল। এ দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে পাশ্চাত্য দুনিয়ার সংযোগ স্থাপনের অন্যতম কারিগর হিসেবে তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • International Labour Day: জানেন কি কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটিতে!

    International Labour Day: জানেন কি কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটিতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ১ মে পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (International Labour Day)। এই দিন মে দিবস নামেও পরিচিত। কিন্তু কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটির পিছনে তা জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।

    সহজ ভাষায় বলতে গেলে কাজের ফাঁকে শ্রমিকদের একটু বিশ্রামের দিন এই শ্রমিক দিবস। কাজ তো করতেই হবে। কিন্তু সারাদিন ধরে কাজ করা তো সম্ভব নয়। তাই কাজ যেমন জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময় পাওয়া। এই সহজ কথাটাই নতুন করে মনে করার দিন ১ মে। আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবস (Labour Day)। আর এরই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের ঐতিহাসিক সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দিতেই দিনটি পালিত হয়ে থাকে।

    আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস

    ১৯ শতকের শ্রমিক আন্দোলন থেকে শ্রমিক দিবসের উৎপত্তি। শ্রমিকরা আরও ভাল কাজের পরিবেশ, সংক্ষিপ্ত কাজের সময় এবং সংগঠিত হওয়ার অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন। ১৮৮২ সালে সেন্ট্রাল লেবার ইউনিয়নের (Central Labour union) আয়োজনে নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথম শ্রমিক দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৮৮৬ সাল থেকে আমেরিকায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। যদিও ভারতে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে ১৯২৩ সাল থেকে।

    ১৮৮৬ সালে আমেরিকার (America) শিকাগো শহরের হে মার্কেটে আন্দোলনের বলিদান হওয়া শ্রমিকদের আত্মত্যাগকে মনে রেখে এই দিনটি পালন করা হয়। সেদিন দৈনিক ৮ ঘণ্টার কাজের দাবিতে শ্রমিকরা (workers) হে মার্কেটে জমায়েত করেছিলেন। তাঁদের ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি কেউ একজন বোমা ছোঁড়ে। তার পরে পুলিশ শ্রমিকদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে। ফলে প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হন।

    এই দিনটির তাৎপর্য

    বিশ্বব্যাপী ৮০টিরও বেশি দেশে শ্রমিক দিবস পালিত হয়, প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব অনন্য উপায়ে দিবসটি পালন করে।  অনেক দেশে, শ্রমিক দিবস একটি জাতীয় সরকারী ছুটির দিন (National Holiday) হিসাবে পালন করা হয়, যার ফলে শ্রমিকরা তাদের কাজের থেকে প্রাপ্য বিরতি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে।

    আরও পড়ুন:কোভিশিল্ড পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! করোনাকালে টিকা নিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের কতটা বিপদ?

    সচেতনতা বৃদ্ধি

     শ্রমিক দিবসের দিন অনেক জায়গাতেই প্যারেড বা সমাবেশ হয়, যেখানে শ্রমিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলি তাঁদের দাবিতে সোচ্চার হতে এবং তাদের সাফল্য উদযাপন করতে একত্রিত হয়। এই অনুষ্ঠানগুলি আসলে শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা (awareness) বৃদ্ধি করতে এবং ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ ও উন্নত কাজের পরিবেশের পক্ষে প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Taj Mahal: তাজমহল কি শাহজাহান নির্মাণ করেননি? এএসআইকে তথ্য সন্ধানের নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    Taj Mahal: তাজমহল কি শাহজাহান নির্মাণ করেননি? এএসআইকে তথ্য সন্ধানের নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাজমহল (Taj Mahal) নির্মাণ করেননি। সেই সঙ্গে ইতিহাস বইতে থাকা এই ভুলকে সংশোধনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। আর তাই শুক্রবারের শুনানিতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) বা ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে পর্যবেক্ষণ করতে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এই ঘটনায় রীতিমতো তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

    মামলায় আবেদনকারীর বক্তব্য

    স্ত্রী মমতাজের স্মৃতির উদ্দেশে সম্রাট শাহজাহান যে তাজমহল (Taj Mahal) নির্মাণ করেছেন তা সত্য ইতিহাস নয়! এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন হিন্দু সেনা সংগঠনের সভাপতি সুরজিৎ সিং যাদব। তাঁর মূলত দাবি, রাজা মান সিংয়ের প্রাসাদকে সংস্করণ করেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। তাজমহল শাহজাহানের সৃষ্টি নয়। আর এই দাবিতে ইতিহাসের বইকে ঠিক করে ইতিহাসের প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরার দাবি করেন তিনি।

    ‘তাজ মিউজিয়াম’ সম্পর্কে একটি বইয়ের কথা উল্লেখ বলে সুরজিৎ আরও বলেন, “মমতাজের মৃত্যুর সময় একটি ভালো প্রাসাদকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এই প্রাসাদটি হল সম্রাট মান সিংয়ের প্রাসাদ। রাজার এই প্রাসাদকে ভেঙে, সেই জায়গায় তাজমহল নির্মাণ করা হয়েছে। আর তাই মান সিং এবং তাজমহলের সময়কে বিশ্লেষণ করে তথ্য জ্ঞাপন করুক এএসআই।”

    কী বলল দিল্লি হাইকোর্ট?

    গত শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চে তাজমহল (Taj Mahal) নিয়ে এই আবেদনের শুনানি করেন। আদালত নির্দেশ দেন, “এই মামলার আগেও একপ্রকার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টা এএসআইয়ের পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।”

    আর কী দাবি?

    মামলার আবেদনকারী সুরজিৎ সিং যাদবের দাবি, তাজমহলের (Taj Mahal) নির্মাণ বিষয়ে এএসআই, জাতীয় তথ্য ভাণ্ডার থেকে অসত্য তথ্যকে যাতে সরিয়ে ফেলা হয়, তার জন্য কেন্দ্র এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিক আদালত। তাজমহলের সত্যকে তুলে ধরে আরও বলেন, “এএসআই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে ১৬৪৮ সালে তাজমহল নির্মাণ হয়েছিল। তৈরি করতে সময় লেগেছিল ১৭ বছর। কিন্তু এই তথ্য পুরোপুরি ভুল। ১৬৩২ থকে ১৬৩৮ সালের মধ্যে সময়ে শাহজাহান, মানসিংয়ের প্রাসাদের সংস্করণ করেন। তাতে সময় লেগেছিল ১৭ বছর।” পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল সম্পর্কে আসল সত্য প্রকাশিত হোক এই কথাই বলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Patna: জলের নীচে কুষান-ইতিহাস! পুকুর থেকে উঠল ২০০০ বছরের দেওয়াল

    Patna: জলের নীচে কুষান-ইতিহাস! পুকুর থেকে উঠল ২০০০ বছরের দেওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুর সংস্কার করতে গিয়ে ইতিহাসের সন্ধান মিলল পাটনায়। একটি পুকুরের সংস্কার করার সময় ইটের দেওয়ালের অবশিষ্টাংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পাটনা (ASI Patna) শাখা। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দাবি দেওয়ালটি ২০০০ বছরের পুরোনো। সময়ের হিসেব করলে দেওয়ালটি কুষান যুগের (Kushan Age) নিদর্শন হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা। 

    পাটনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৬ কিলোমিটার পূর্বে, এর আগে যেখানে মৌর্য সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে কুমরাহারে খনন কাজ চালানোর সময় দেওয়ালের অবশিষ্টাংশটি আবিষ্কার করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এএসআই পাটনা সার্কেলের গৌতমী ভট্টাচার্য জানান, “দেওয়ালের ইটগুলি ২০০০ বছরের পুরোনো। সেই হিসেবে এই স্থাপত্য কুষান যুগের হওয়া উচিৎ।  

    আরও পড়ুন: জামুইয়ে মিলল দেশের সর্ববৃহৎ সোনার খনির হদিশ, খোঁজ দিয়েছে পিঁপড়ের দল?

    কেন্দ্রের ‘মিশন অমৃত সরোবর’ উদ্যোগের অংশ হিসাবে এএসআই সুরক্ষিত পুকুরটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেউ পাটনা প্রশাসন। তখনই খুনন কার্য চালানোর সময় দেওয়ালটি উদ্ধার হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, পুকুরের গভীরে ইটের দেওয়াল একটি বিরল আবিষ্কার। এএসআই বিশেষজ্ঞদের একটি দল দেওয়ালের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ করার কাজে লেগে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু মন্দিরের ওপরই গড়ে তোলা হয়েছিল কুতুব মিনার! প্রমাণ এএসআই রিপোর্টে

    প্রত্নতাত্ত্বিকদের প্রাথমিক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই ইটগুলি কুষান যুগের নিদর্শন। কুষানরা উত্তর ভারত, বর্তমান আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার কিছু অংশে আনুমানিক ৩০ সাল থেকে ৩৭৫ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছিল। তবে এখনই নিশ্চিত হতে পারছেন না প্রত্নতত্ত্ববিদরা।  

    দিল্লিতে এএসআই সদর দফতরে এই আবিষ্কার সম্পর্কে জানানো হয়েছে বলে জানান গৌতমী ভট্টাচার্য। গৌতমী এএসআই-পাটনা কেন্দ্রের ‘মিশন অমৃত সরোবর’ উদ্যোগের অন্তর্গত বিহারের ১১ টি সুরক্ষিত জলাশয় সংস্কারের কাজের অংশ ছিলেন। গৌতমী ভট্টাচার্য (Goutami Bhattacharya) জানান, “আমরা দিল্লিতে আমাদের সিনিয়রদের পুরো বিষয়টা জানিয়েছি। আরও পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা শেষ হলে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে।” 

     

LinkedIn
Share