Tag: Home Minister Amit Shah

Home Minister Amit Shah

  • Amit Shah: দেশ কোনও ধর্মশালা নয়! লোকসভায় পাশ নয়া অভিবাসন বিল, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে শাহি-তোপ

    Amit Shah: দেশ কোনও ধর্মশালা নয়! লোকসভায় পাশ নয়া অভিবাসন বিল, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে শাহি-তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হল অভিবাসন এবং বিদেশি নাগরিক বিল, ২০২৫। নতুন এই বিল নিয়ে বৃহস্পতিবারই লোকসভায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। বিলের ওপর আলোচনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাউকে এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অমিত শাহের বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টার কথাও। এই প্রসঙ্গে তিনি তোপ দাগেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারকেও।

    এদেশ ধর্মশালা নয়, বললেন শাহ (Amit Shah)

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে (Immigration and Foreigners Bill 2025) ভারতে আসা বিদেশিদের যাতায়াত, রেজিস্ট্রেশন ও ভিসা নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র সরকার। এতে দু’পক্ষের কাজই সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিলের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের মোট ছটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল- পর্যটক, পড়ুয়া, দক্ষ শ্রমিক, ব্যবসায়ী, উদ্বাস্ত ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিলটি পেশ করেন লোকসভায়। বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘যদি কেউ এই দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য এখানে আসতে চান, তাঁদের সব সময় স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁদের এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই দেশ কোনও ধর্মশালা নয়।’’

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তোপ তৃণমূলকে

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পর্যটক হিসেবে, ব্যবসার জন্য, শিক্ষা বা চিকিৎসার জন্য কেউ আসতে চাইলে তাঁদেরকে সব সময় এ দেশে স্বাগত জানানো হবে (Immigration and Foreigners Bill 2025)। একইসঙ্গে নয়া অভিবাসন বিলের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা আরও মজুবত হবে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসাতেও গতি আনবে এই বিল, এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন নিজের বক্তব্যে দেশে অনুপ্রবেশ রুখতেও কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গও। তাঁর দাবি, অসমে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সেই রাজ্য দিয়ে ব্যাপক অবৈধ অনুপ্রবেশ হয়েছে। এই সময়ই তিনি তোপ দাগেন তৃণমূল সরকারকে। মমতা জমানায় পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ শাহের। এই প্রসঙ্গে শাহের অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কাছে ভুয়ো নথিও পৌঁছে যাচ্ছে। কোথা থেকে এই আধার কার্ডগুলি দেওয়া হচ্ছে? এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সমস্ত বাংলাদেশিরা ধরা পড়েছেন, তাঁদের সকলের কাছে পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানার আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে।’’ অমিত শাহের আরও দাবি, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে জমি না-পাওয়ার কারণে সীমান্তে ৪৫০ কিলোমিটার কাঁটাতার দেওয়ার কাজ আটকে রয়েছে।’’

    তৃণমূলের গুণ্ডামির কারণেই ৪৫০ কিমি কাঁটাতার আটকে

    এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘২০২৬ সালের সেখানে (বাংলায়) বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং পশ্চিমবঙ্গে এই অনুপ্রবেশ সমস্যার সমাধান হবে।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন ‘‘যখনই সীমানা দেওয়ার কাজ চলছে তখনই সেখানে শাসকদলের কর্মীরা গুণ্ডামি করছে এবং ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছে। ৪৫০ কিলোমিটারের বেশি সীমানা বাঁধার কাজ সম্পন্ন হয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারণে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বর্ডার রয়েছে ২,২১৬ কিলোমিটার। যার মধ্যে ১৬৫৩ কিলোমিটার সীমানা দেওয়া হয়েছে। সীমানার আশেপাশের রাস্তা চেকপোস্ট বানানো হয়েছে। শুধুমাত্র জমি দিচ্ছে না বলে পশ্চিমবঙ্গের ৪৫০ কিলোমিটার সীমানা বাঁধার কাজ বাকি থেকে গিয়েছে।’’

    প্রস্তাবিত বিল খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে

    নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত বিলটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এদেশে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতেও সহায়তা করবে।’’ তাঁর আরও দাবি, বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরে ভারতে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সময়ে বিদেশিদের চলাচলের উপর নজরদারি সহজতর হবে। বিলের ওপর আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূল বিষয় হল অভিবাসন কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং এটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। বিলটি ভারতে আসা প্রত্যেকের উপর নিবিড় নজরদারি নিশ্চিত করবে। কেন কেউ ভারতে আসছেন এবং কতক্ষণ থাকছেন তাও বোঝা যাবে। ভারতে আসা প্রতিটি বিদেশি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরআরও দাবি, ‘‘নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে, এই আইন মাদক কারবার, অনুপ্রবেশকারী, অস্ত্র চোরাচালানকারী এবং যারা ভারতের অর্থনীতিকে ভেতর থেকে ধ্বংস করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত।’’

    আগের চার আইন কী কী ছিল?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রস্তাবিত আইনটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার, বিদেশিদের ঘন ঘন আসা-যাওয়ার স্থানগুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিদেশি এবং অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলি বর্তমানে চারটি আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয় – পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন, ১৯২০, বিদেশিদের নিবন্ধন আইন, ১৯৩৯, বিদেশী আইন, ১৯৪৬ এবং অভিবাসন (বাহকদের দায়বদ্ধতা) আইন, ২০০০। তবে এই সমস্ত আইনগুলি বর্তমানে বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নয়া বিলে আগের চার আইনের বেশ কিছু বিধান রয়েছে বলেই জানিয়েছে। নয়া এই বিলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা এবং অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

  • Loksabha Vote: লোকসভা ভোটের আগে ফের ধাক্কা খেল বিরোধীরা, নীতীশের পরে জোট ছাড়লেন জয়ন্ত

    Loksabha Vote: লোকসভা ভোটের আগে ফের ধাক্কা খেল বিরোধীরা, নীতীশের পরে জোট ছাড়লেন জয়ন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ফের একবার বড়সড় ধাক্কা খেল ‘ইন্ডিয়া’ জোট (Loksabha Vote)। জানুয়ারির শেষের দিকে জোট ছেড়েছিলেন নীতীশ কুমার। এ বার অখিলেশের হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে গেলেন রাষ্ট্রীয় লোকদলের (আরএলডি) প্রধান জয়ন্ত চৌধরি। শনিবারই উত্তরপ্রদেশে ৮০টির মধ্যে ৫১টি লোকসভা আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পরে বিজেপির পক্ষে প্রবল হাওয়া বইছে উত্তরপ্রদেশে। সে কথা বুঝেই আরএলডি-এর এই পদক্ষেপ এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন জয়ন্ত?

    শনিবারইএনডিএ শিবিরে যোগদানের কথা জানান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদিজীর নেতৃত্বে ভারত একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। দরিদ্র কল্যাণে অভূতপূর্ব বিকাশ (Loksabha Vote) ঘটেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজির সঙ্গে দেখা করে এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এনডিএ উন্নত ভারতের সংকল্প। লোকসভা ভোটে ৪০০-র বেশি আসন পাবে।’’

    জেপি নাড্ডার ট্যুইট

    এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শনিবার লেখেন, “অমিত শাহজির উপস্থিতিতে (Loksabha Vote) আজ আরএলডির প্রধান জয়ন্ত চৌধরিজির সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে। এনডিএ পরিবারে তাঁর যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমি আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানাই।”

    অমিত শাহের ট্যুইট

    এনডিএ শিবিরে জয়ন্তের যোগদানের পর অমিত শাহও তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জয়ন্তকে স্বাগত জানান। তিনি লেখেন, “আমি রাষ্ট্রীয় লোকদলের প্রধান জয়ন্ত চৌধরিজিকে এনডিএ পরিবারে স্বাগত জানাচ্ছি। এনডিএতে জয়ন্তের যোগদান কৃষক, দরিদ্র ও বঞ্চিত শ্রেণির উন্নয়নের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Telangana News: ‘‘দুর্নীতির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে তেলেঙ্গানা’’, ভোটের প্রচারে বললেন অমিত শাহ

    Telangana News: ‘‘দুর্নীতির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে তেলেঙ্গানা’’, ভোটের প্রচারে বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩০ নভেম্বর ভোট রয়েছে দক্ষিণী রাজ্য তেলেঙ্গানাতে (Telangana News)। ইতিমধ্যে বিজেপি সেখানে প্রচারে ঝড় তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে জনসভা করেছেন। গেরুয়া শিবিরের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারে দাবি করা হয়েছে যে ক্ষমতায় এলে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে যা বর্তমান ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতির সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করবে। শনিবারই নির্বাচনী প্রচারে তেলেঙ্গানাতে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এদিন দুর্নীতি ইস্যুতে তোপ দাগেন ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে তেলেঙ্গানা (Telangana News) এবং সরকারের নীতিহীনতার কারণে বেড়েই চলেছে ঋণের পরিমাণ।’’

    ভারত রাষ্ট্র সমিতির নতুন নামকরণ অমিত শাহের 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এদিন আরও বলেন, ‘‘আপনাদের একটি ভোট নির্ণয় করবে তেলেঙ্গানার আগামীর দিনের ভবিষ্যৎকে।’’ তেলেঙ্গানার বর্তমান সরকার যে তিন লাখ কোটি টাকার উপর ঋণ করে ফেলেছে সে বিষয়েও ভাষণে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। ভারত রাষ্ট্র সমিতির নতুন নামকরণও করেন এদিনের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিআরএস-এর পূর্ণ নাম তিনি বলেন, ‘ভ্রষ্টাচারী রিসবতখোরি সমিতি’ অর্থাৎ কিনা দুর্নীতিগ্রস্ত ঘুষ নেওয়া সমিতি। নির্বাচনী ইশতেহারে বিজেপি সেখানে দাবি করেছে ক্ষমতায় এলে একটি কমিটি গঠন করা হবে যা ইউনিফর্ম সিভিল কোড-এর খসড়া তৈরি করবে। অন্যদিকে যা কিছু অসাংবিধানিক সংরক্ষণ প্রথা চালু রয়েছে সেগুলিকেও তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ওবিসি সম্প্রদায়, তপশিলি সম্প্রদায় এবং তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে ওই নির্বাচনী ইশতেহারে।

    ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চালু রয়েছে তেলেঙ্গানাতে

    এদিনের জনসভায় সংরক্ষণ ইস্যুতেও বর্তমান ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতিকে তোপ থাকেন অমিত শাহ তিনি বলেন, ‘‘ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের নিয়ম সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালেই অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তৈরি হয় তেলেঙ্গানা (Telangana News) রাজ্য। বর্তমানে সে রাজ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২.৭ শতাংশ। তবে সে রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিমদের শিক্ষা এবং সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছে সেখানকার সরকার। এনিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং বিআরএস, দুই দলই পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর মানুষের জন্য কোনও ভাবনাচিন্তা করে না। একমাত্র বিজেপি-ই তাঁদের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mirabai Chanu: ‘মণিপুরকে বাঁচান’! উদ্বিগ্ন অলিম্পিয়ান মীরাবাঈ চানুর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    Mirabai Chanu: ‘মণিপুরকে বাঁচান’! উদ্বিগ্ন অলিম্পিয়ান মীরাবাঈ চানুর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে শান্তি (Manipur Violence) ফেরানোর আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)-কে চিঠি লিখলেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন মীরাবাই চানু (Mirabai Chanu)। অলিম্পিয়াড মীরাবাঈ চানু বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তবে বিদেশে থাকলেও নিজের রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন তিনি। 

    প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই সরাসরি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মীরাবাঈ চানু (Mirabai Chanu)। চিঠিতে তিনি মণিপুরের অশান্তি (Manipur Violence) থামানোর জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। এব্যাপারে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো-বার্তাও দিয়েছেন তিনি। ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন মীরাবাঈ। তিনি বলছেন, “মণিপুরে সংঘাতের তিন মাস পূর্ণ হতে চলেছে, কিন্তু এখনও শান্তি ফিরে আসেনি। এই সংঘাতের কারণে অনেক খেলোয়াড় প্রশিক্ষণ নিতে পারেননি, শিশুদের পড়াশোনাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন এবং অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। পুড়ে গিয়েছে।” এরপরই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমি আবেদন করতে চাই যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সংঘাতের অবসান ঘটান এবং মণিপুরের সমস্ত মানুষকে বাঁচাতে এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ করুন।”

    আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে ঘোষণা

    ভাইরাল চানুর ভিডিয়ো

    ভিডিওবার্তায় চানু (Mirabai Chanu) বলেন, “আসন্ন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এশিয়ান গেমসের প্রশিক্ষণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও আমার বাড়ি মণিপুরে। আমি মণিপুরে না থাকলেও সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আমি সবসময় চিন্তিত, কবে এই সংঘাতের অবসান ঘটবে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে মীরাবাই চানুর এই ভিডিয়ো। মণিপুরে (Manipur Violence) গত কয়েক মাস ধরেই কুকি ও মেইতেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এখনও তা পুরোপুরি থামেনি। তবে আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক বলে জাবি করছে মণিপুর সরকার। ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে বদ্ধ পরিকর কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup 2022: হার্দিকের ব্যাট-বল হৃদয়-হরণ করল মোদি থেকে শাহের! এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    Asia Cup 2022: হার্দিকের ব্যাট-বল হৃদয়-হরণ করল মোদি থেকে শাহের! এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যালারিতে থমথম পরিবেশ। জয়ের জন্য ভারতের দরকার তিন বলে ছয় রান। ব্যাট হাতে হার্দিক। শট মারার আগে চোখ বুজে সাবাইকে আশ্বস্ত করলেন। তারপর, বল গিয়ে পড়ল বাউন্ডারি লাইনের বাইরে। বাকিটা ইতিহাস। পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) যাত্রা শুরু করল ভারত। দশ মাস আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে উড়ে গিয়েছিল ভারত। এ বার এশিয়া কাপে বাবর আজমদের হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলেন রোহিত শর্মারা। দু’বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিলেন রো-হিটাররা। ব্যাটে-বলে ম্যাচের সেরা হার্দিক। যিনি চার ওভারে ২৫ রানে তিন উইকেট নেন। পরে চাপের মুখে জয়সূচক শট-সহ ১৭ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করেন।

    দেশজুড়ে ভারতের জয়ের সেলিব্রেশন চলছে । টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লেখেন, এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে চমকপ্রদ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছে টিম ইন্ডিয়া। দল তাঁদের দক্ষতা এবং দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছে। জয়ের জন্য তাঁদের অভিনন্দন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও।

    রবিবার,  ম্যাচের শুরু থেকেই অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়া। গুরুত্বপূর্ণ ছিল টস জেতা। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও বলেছিলেন, তিনি টস জিতলে ফিল্ডিং নিতেন। রোহিতও তাই করেন।  প্রথম দিকে রান তুললেও ১৫ ওভারের মাথায় হার্দিক ফিরিয়ে দেন ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া মহম্মদ রিজওয়ানকে। এরপর একই ওভারে খুশদিল শাহকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের রানের গতি আটকে দেন হার্দিক। দুরন্ত বোলিং করেন ভুবনেশ্বর কুমার। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান বাবর আজমকে। পরে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারকে ভাঙেন। তুলে নেন শাদাব খান, আসিফ আলির উইকেট। মোট চার উইকেট নেন ভুবি। ভুবনেশ্বর, হার্দিক এবং রবীন্দ্র জাডেজার ওভারে রানই করতে পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। তিন জনের ১০ ওভারে ওঠে মাত্র ৬২ রান। এখানেই কয়েক কদম পিছিয়ে যায় পাকবাহিনী।

    আরও পড়ুন: বাইশ গজের বাইরে বন্ধুত্বের ছোঁয়া! জানেন বিরাটকে কী বললেন শাহিন?

    ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শুরুটা একটু নড়বড়ে ছিল। প্রথমেই ফিরে যান লোকেশ রাহুল। শততম ম্যাচে রানের খরা অব্যাহতই থাকে কোহলির। বিরাটের ব্যাট এদিনও করিশমা দেখাতে ব্যর্থ। রোহিতও খুব একটা এগোতে পারেননি। তবে শান্ত মাথায় রান তাড়া করেন হার্দিক-জাদেজা জুটি। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৫২ রানের জুটি জয়ের দোড়গোড়ায় নিয়ে যায়। জাদেজা আউট হতেই আশা জাগে পাক-শিবিরে। কিন্তু ক্রিজে তখন গুজরাট-নায়ক হার্দিক। ম্যাচ শেষ করেন ছক্কা হাঁকিয়ে। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে আপামর ভারতবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah on CAA: “মমতা দিদি, আপনি কিছুই করতে পারবেন না…”, কোন প্রসঙ্গে একথা বললেন অমিত শাহ?

    Amit Shah on CAA: “মমতা দিদি, আপনি কিছুই করতে পারবেন না…”, কোন প্রসঙ্গে একথা বললেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ঢেউ কমলেই সিএএ (CAA) চালু করা হবে। বঙ্গ (West Bengal) সফরে এসে এমনটা ফের একবার জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)।

    রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly elections) পর প্রায় বছরখানেক কেটে গিয়েছে। দু দিনের সফরে বাংলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Union Home minister) অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফের (BSF) হরিদাসপুর ১৫৮ ব্যাটালিয়নে আসেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ‘মৈত্রী মিউজিয়ামের’ শিলান্যাস করেন। সেখানেই বিজেপি (BJP) নেতা সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur) সহ বিজেপি নেতা কর্মীরা দেখা করেন শাহের সঙ্গে। 

    বৈঠক শেষে শান্তনু ঠাকুর জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই বাংলায় ‘সিএএ’ চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ ও মতুয়া মহাসংঘের প্রধান জানান, যদিও এবিষয়ে তাঁর সঙ্গে কোন কথাও হয়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

    কিন্তু শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে আলোচনায় যে সিএএ প্রসঙ্গ উঠেছে তা বোঝা গেল শিলিগুড়িতে অমিত শাহের জনসভায়। সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টই জানান, করোনা প্রকোপ কমলেই চালু হবে সিএএ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে অমিত বলেন, “তৃণমূল (TMC) সিএএ-র বিরোধিতা করছে। সেকারণেই মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। তৃণমূল বলছে, সিএএ নাকি কোনও দিনই বাস্তবের আলো দেখবে না। কিন্তু আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই করোনা প্রকোপ কমলেই নাগরিকত্ব পাবেন আমাদের ভাইরা।” 

    অমিত শাহ জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চান অনুপ্রবেশ চলুক। আর বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীরা কোনওদিন যেন নাগরিকত্ব না পায়। তিনি বলেন, “কান খুলে শুনে নিন, সিএএ ছিল, আছে, থাকবে। মমতা (Mamata) দিদি, আপনি কিছুই করতে পারবেন না।”

    গত লোকসভা নির্বাচনে সিএএ চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সংসদে পাশ হয় সিএএ আইন (Citizenship Act)। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় সিএএ কার্যকর করার কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্র। সিএএ-র দাবিতে আন্দোলনও করেন জয়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঠাকুরনগরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি ছিল — করোনার প্রকোপ কমলেই চালু হবে সিএএ। আজও শিলিগুড়িতে সেই কথাই বললেন অমিত শাহ।

    যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, করোনার কারণেই এখনও CAA নীতি প্রণয়ন করা যায়নি। সেই কারণেই দেরি সিএএ প্রয়োগে।

LinkedIn
Share