Tag: homeless

homeless

  • Nadia: তৃণমূলের হুমকিতে বাড়িছাড়া, এলাকায় গেলেই দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি

    Nadia: তৃণমূলের হুমকিতে বাড়িছাড়া, এলাকায় গেলেই দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল তৃণমূলের ভয়ে বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না, এমন অভিযোগ তুলে বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। এমনই ঘটনা ঘটেছে নদিয়া ধুবুলিয়ায় (Nadia)। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মনোনয়নের পর থেকেই একমাত্র শাসক দলের বিরোধী প্রার্থী হওয়ায় এইরকম অতাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। 

    কী ঘটেছে (Nadia)?

    বেশ কয়েক দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিথ্যা মোকদ্দমায় ফাঁসানো হয় ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত খাজুরি পুকুরপাড় এলাকার কয়েকজন বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের। ভোটের আগে বাড়িতে ফিরতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠিও লিখেছেন এই বিরোধী কর্মীরা। কিন্তু কিছু ফল হয়নি। গত বুধবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটে নাগাদ কৃষ্ণনগর (Nadia) ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে উপস্থিত হন তাঁরা। এলাকার বিরোধী কর্মীদের দাবি, আমরা কংগ্রেস করি। তাই আমাদের উপর অত্যাচার করছে শাসক দলের লোকেরা। এখন আমরা বাড়িতে ফিরতে চাই। তাই প্রশাসন এবং বিডিওর কাছে নিরাপত্তা চেয়ে, একটা মীমাংসা করে বাড়ি ফিরতে চাইছি।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    এলাকায় (Nadia) কংগ্রেস করেন সুনিতা বিবি। তিনি বলেন, আমরা গত এক মাস ধরে ঘরছাড়া। কংগ্রেস দল করার জন্য আমাদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় গেলেই বলে, দেখে নেব, খুন করে দেব এবং বাড়িঘর লুটপাটেরও ভয় দেখানো হচ্ছে। বাড়ির পুরুষদের খুনের হুমকি মিলছে রোজ। শুধু তাই নই, প্রথমে শাসক দল আমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস দেয় এবং এর পর আমদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি বুঝে আমরা জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হই। কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। বাড়িতে গেলেই রোজ মিলছে খুনের হুমকি। পুলিশের কাছে আমাদের কোনও অভিযোগের গুরুত্ব নেই। তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাবো! নিজের বাড়ি থাকতেই আমরা আজ গৃহহীন! এই প্রসঙ্গে সুনীতা বিবি পুলিশের থেকে কোনও রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানান। অবশেষে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে ভয়মুক্ত হয়ে শান্তিতে বসবাস করার জন্য বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মনোনয়নের পর কোলে বাচ্চা নিয়ে ঘরছাড়া মহিলা বিজেপি প্রার্থীরা বাড়ি ফিরলেন

    North 24 Parganas: মনোনয়নের পর কোলে বাচ্চা নিয়ে ঘরছাড়া মহিলা বিজেপি প্রার্থীরা বাড়ি ফিরলেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (North 24 Parganas) দু’নম্বর ব্লকের চারটি পঞ্চায়েতের বিজেপির ঘরছাড়া প্রার্থীদের নিয়ে প্রতীক জমা দিলেন বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সাংগঠনিক সভাপতি অরিজিৎ বক্সি। শাসকের অত্যাচারে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা ঘরে ফিরতে পেরে আপাতত স্বস্তি পেয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু আগামীদিনে ভোট কীভাবে কাটবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

    কীভাবে ঘরে ফিরলেন?

    নমিনেশন জমা দেওয়ার পর থেকেই বিজেপির প্রার্থীদের শাসক দলের হুমকি ও সন্ত্রাসের মধ্যে পড়তে হয়েছে। অভিযোগ, কখনও বাইক বাহিনী, কখনও ফোনে, কখনও হুমকি আবার কখনও বা বাড়ি (North 24 Parganas) ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদের যতরকম ভাবে আতঙ্কিত করা সম্ভব, তা চালিয়ে গেছে রাজ্যের শাসক দল এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আছেন যাঁদের বাড়িতে ছোট ছোট কোলের বাচ্চা রয়েছে। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে বিজেপির সেফ হাউসে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার পর ঘরছাড়াদের নিয়ে বিজেপি নেতারা আসেন বিডিও অফিসে। সেখানে সিম্বল জমা দেওয়ার পর, পুলিশের সাহায্যে বেশ কয়েকজন ঘরছাড়াকে বাড়িতে পৌঁছে দেন কলকাতা উত্তর শহরতলির জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি এবং সহ-সভাপতি কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করবার জন্য রাজ্যপাল ও হাইকোর্টের ভূমিকায় যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে বিরোধীরা এলাকায় অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীদের বক্তব্য

    ঘরছাড়া (North 24 Parganas) বিজেপি প্রার্থী সোনিয়া হালদার বলেন, বুথে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে হুমকি দেয়। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এলাকায় কিছু বলা যাচ্ছে না। শাসক দলের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই নানা ভাবে আক্রমণ, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কে আমরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলাম। আরেক প্রার্থী মৌমিতা সমাদ্দার বলেন, যেদিন থেকে মনোনয়ন করেছি, সেই দিন থেকেই তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়ির চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে। পাশের এক বাড়িতে এমনকী ভাঙচুর পর্যন্ত করেছে। কোলের বাচ্চাকে নিয়ে রীতিমতো বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছেন মৌমিতা দেবী, এমনই অভিযোগ করেন তিনি।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সাংগঠনিক সভাপতি অরিজিৎ বক্সি বলেন, আমাদের মহিলা প্রার্থীদের মনোনয়নের পর থেকে কোলে করে বাচ্চা নিয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বাড়িতে (North 24 Parganas) ঢুকে রোজ হুমকি দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, এলাকার প্রত্যেক থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। শাসক দল চাইলেই রাজ্যের গণতন্ত্রকে হরণ করতে পারবে না বলে জানান তিনি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের বক্ল (North 24 Parganas) সভাপতি শুকুর আলি পুরকাইত বলেন, বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক শোভনদেব চ্যাটার্জি বলেছেন, বিরোধীদের কোনও রকম ভাবে কিছু করা চলবে না। বরঞ্চ বিরোধীদের অসুবিধা হলে আমাদের জানাতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: রেল লাইনের সম্প্রসারণে গায়েব হচ্ছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া

    Balurghat: রেল লাইনের সম্প্রসারণে গায়েব হচ্ছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি (Balurghat) রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য গায়েব হতে যেতে চলেছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া। এর ফলে ওই গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবার গৃহহীন হয়ে যেতে বসেছে। জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায়, তাঁরা কেউ ক্ষতিপূরণও পাবেন না বলে জানা গেছে। ফলে আচমকা এই পরিবারগুলির ওপরে নেমে এসেছে আশঙ্কার কালো ছায়া। স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি তুলেছে। সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। এই পাড়াকে ঘিরে আন্দোলন তৈরী হচ্ছে বালুরঘাটে।

    কোথায় চলছে রেলের জন্য জমি (Balurghat) অধিগ্রহণ

    বালুরঘাটের (Balurghat) চকভৃগু থেকে ভাটপাড়া, অমৃতখণ্ড হয়ে হিলির দিকে চলে গিয়েছে রেললাইন। দীর্ঘ টালবাহানার পর সম্প্রতি রেলের কাজের জন্য রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে। জমি চিহ্নিতকরণ করে খুঁটি বসানো হয়েছে। ঠিক সেই সময় অমৃতখণ্ড পঞ্চায়েতের ডুমইর গ্রামের চক আমোদ পাড়াটি পুরোটাই পড়েছে রেলের চিহ্নিত করা জমির মধ্যে। দীর্ঘ সময় ধরে এই জমিতে বসবাস করছিল ওই কয়েকটি পরিবার। ওই পরিবারগুলিকে কেন্দ্র করেই এলাকায় গড়ে উঠেছিল পাড়াটি। এবার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হতেই প্রায় ২৫টি বাড়ি ও দৌল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তাবিত রেললাইনের মধ্যে পড়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের জমির কোনও দলিল বা পাট্টা না থাকায়, তাঁরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না বলে জানা গেছে। ফলে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গরিব মানুষের বাড়িঘর চলে গেলে তাঁরা কোথায় থাকবেন?

    গ্রামের (Balurghat) মানুষের প্রতিক্রিয়া

    গ্রামের (Balurghat) বাসিন্দা বৃদ্ধা মুক্তিরানি সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছি। আমাদের বাড়ি, স্কুল সবই রেলের জমির মধ্যে পড়ে গিয়েছে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, আমাদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দিন। আবার স্থানীয় গৃহবধূ গৌরী বর্মন বলেন, আমাদের পাড়ার প্রায় সবাই গরিব। সকলেরই প্রায় দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার। রেল তার জমি চিহ্নিত করে গিয়েছে। সরে যেতে বলেছে আমাদের। কিন্তু আমাদের অন্যত্র জমি কেনার ক্ষমতা নেই! কী করব বুঝতে পারছি না !

    রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া

    একইভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি গ্রামবাসীদের (Balurghat) পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। বিজেপির তরফে জেলা শাসকের কাছে ওই এলাকার মানুষদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দলের জেলা সম্পাদক বাপি সরকার। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বসবাস করেও জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায় এতদিন সরকারি কোনও সুযোগসুবিধা পাননি ওই পাড়ার বাসিন্দারা। রেলের তরফেও কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না তাঁরা। তাই তাঁদের পুনর্বাসনের দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের আন্দোলন চলবে। দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে বসবাস করা মানুষের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ নিয়ে, সরকার কিছু ভাবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share