Tag: Honey Trap

Honey Trap

  • DRDO: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    DRDO: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ডিআরডিও (DRDO) অফিসারের বিরুদ্ধে উঠল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ। পাক রমণীর সঙ্গে সম্পর্কস্থাপনের অভিযোগও উঠেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ডিআরডিও’র সেই সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসারকে। জানা গিয়েছে, গত একবছর ধরে এক পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। মধুচক্রের ফাঁদে পড়ে শত্রুদেশের ওই মহিলাকে নিজের নগ্ন ছবি-ভিডিয়ো থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সব পাঠিয়েছেন তিনি। শনিবার বালাসোর পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। আইজি (ইস্টার্ন রেঞ্জ) হিমাংসু লাল জানিয়েছেন, ওই টেকনিক্যাল অফিসার বালাসোর জেলার চাঁদিপুরে ডিআরডিওর ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে নিযুক্ত ছিলেন। বছর খানেক আগে ওই পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। অল্প দিনেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

     

    কী জানা গেল? 

    পুলিশের তরফে (DRDO) জানানো হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া অফিসার অশ্লীল ছবি ও ভিডিওর বিনিময়ে পাকিস্তানি মহিলা এজেন্টের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোপন তথ্য শেয়ার করেছিলেন। জানা গিয়েছে, মধুচক্রটি অপারেট হত রাওয়ালপিন্ডি থেকে। সেখান থেকেই এ দেশের বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক, বিশেষ করে যারা দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের টার্গেট করা হয়। 

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গোপন তথ্য পাওয়ার জন্য এ দেশের প্রকৌশলী ও সুরক্ষা ব্যবস্থার আধিকারিকদের গুপ্তচর হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য এই ধরনের ফাঁদ পাতা হচ্ছে। এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সুন্দরী তরুণীদের। উল্লেখ্য, এটি ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে তথ্য ফাঁসের প্রথম ঘটনা নয়। অতীতেও একই অভিযোগে বেশ কয়েকজন অফিসার গ্রেফতার হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে, দাবি শুভেন্দুর  

    গ্রেফতার হওয়া আধিকারিকের নাম (DRDO) বাবুরাম। ডিআরডিও আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, আইটিআর-এ প্রায় সমস্ত মিসাইল পরীক্ষার সময়ই উপস্থিত ছিলেন বাবুরাম। তাছাড়া ডিআরডিও কর্মী এবং বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্বও ছিল তাঁর উপর। মিসাইল উৎক্ষেপণে অতি স্পর্শকাতর, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত তথ্যও থাকত বাবুরামের কাছেই। সেই বাবুরামই এবার পুলিশের হেফাজতে। অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই মহিলা পাক চরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বাবুরামের। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর ফোন। ডিআরডিও-র গোপন তথ্য কতখানি পাকিস্তানের কাছে পৌঁছেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

      

  • Security Force Rule: হানি ট্র্যাপের হাতছানি এড়াতে আধা সামরিক বাহিনীতে কড়া নির্দেশিকা

    Security Force Rule: হানি ট্র্যাপের হাতছানি এড়াতে আধা সামরিক বাহিনীতে কড়া নির্দেশিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হানি ট্র্যাপের (Honey Trap) ফাঁদ থেকে কেন্দ্রীয়  আধিকারিকদের বাঁচাতেই এবার কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর তরফে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হল। পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ (Security Force Rule) দেওয়া হল অনলাইনে কোনও রকমের বন্ধুত্ব যেন না পাতান। এছাড়াও ইউনিফর্ম পড়ে সোশ্যাল মাধ্য়মে ছবি আপলোড বা সাজেশনে আসা কোনও প্রোফাইলে যেন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট না পাঠান, তার কথাও বলা হয়েছে।

    কী কী করতে মানা

    অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতিয়ে যৌনতার ফাঁদে ফেলার মতো ঘটনা বার বার প্রকাশ্যে আসায় দেশের গোয়েন্দা সংস্থার তরফে সতর্ক করা হল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বেছে বেছে দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীদেরই বাছা হচ্ছে। ‘যৌনতার ফাঁদ’ পেতে অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতানো, ছবি এবং ভিডিয়ো শেয়ার করার মতো ঘটনা ঘটছে। এমন বেশ কিছু ঘটনা মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে আসছে। আর সেই ফাঁদে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীরা পা না-দেন, তাই তাঁদের সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের থেকে এমন সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই দেশের আধাসামরিক বাহিনী এবং পুলিশকর্মীদের সতর্ক করার কাজ শুরু হয়েছে।

    কেন এই নিষেধাজ্ঞা

    কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে বহু আধিকারিকরাই নিজেদের ইউনিফর্মে ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড করছেন। স্পর্শকাতর স্থান, যেমন সেনা ছাউনি বা অন্য কোনও ক্যাম্প থেকে এইসব ছবি-ভিডিয়ো আপলোড হওয়ায় অনেক গোপনীয় তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে অচেনা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও চ্যাট করেও বিপদ ডেকে আনছেন। এই সমস্ত কার্যকলাপ থেকেই এবার বিরত থাকতে বলা হল আধিকারিকদের। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীই নয়, প্য়ারামিলিটারি ও পুলিশ বাহিনীকেও এই নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদি এই নির্দেশ না মানা হয়, তবে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। বিএসএফ ও আইটিবিপির তরফেও বাহিনীকে এই নির্দেশ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দেশের গোপন নথি পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাচারের অভিযোগ! কলকাতায় ধৃত বিহারের যুবক

    দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা তাঁর বাহিনীর সমস্ত কর্মীকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। সমাজমাধ্যমে কোনও উস্কানিমূলক, কোনও কুরুচিকর মন্তব্য না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, যত ক্ষণ কাজ করবেন তত ক্ষণ কোনও সমাজমাধ্যম ব্যাবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কোনও সংবেদনশীল ছবি পোস্ট না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISI: লাস্যময়ীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে মিসাইল গবেষণার তথ্য পাচার পাকিস্তানে! গ্রেফতার বিজ্ঞানী

    ISI: লাস্যময়ীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে মিসাইল গবেষণার তথ্য পাচার পাকিস্তানে! গ্রেফতার বিজ্ঞানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বয়স ৬০ বছর। বিবাহিত। পাকিস্তানি এক লাস্যময়ীর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে (ISI) প্রতিরক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নথি চালান করার অভিযোগে মাস তিনেক আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকরকে। এবার চার্জশিট পেশ হল তাঁর বিরুদ্ধে। পেশ করল মহারাষ্ট্র পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা। চার্জশিটে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি ভয়েস ও ভিডিও কলের মাধ্যমে আইএসআই এজেন্টের সঙ্গে প্রদীপের যোগাযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে।

    গ্রেফতার বিজ্ঞানী

    পুণের ডিআরডিও-র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন প্রদীপ। ৩ মে সরকারি গোপনীয় তথ্য ফাঁসের অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এটিএসের দাবি, ১৯৮৮ সাল থেকে সমাজ মাধ্যমে সুন্দরী মহিলাদের ছবি দেখিয়ে ফাঁদে ফেলেছিল আইএসআইয়ের (ISI) এজেন্ট। চার্জশিটে বলা হয়েছে, আইএসআইয়ের ওই এজেন্ট বিভিন্ন নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলে। এভাবেই প্রদীপের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সে।

    জারা দাশগুপ্ত কে?

    ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির দুজন ব্যবহারকারীর নাম হল জারা দাশগুপ্ত ও জুহি অরোরা। সুন্দরী জারা নিজেকে ব্রিটেনবাসী সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়র বলে পরিচয় দিয়েছিল। অশালীন টেক্সট মেসেজ ও ভিডিও করে প্রদীপের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিল সে। পরে জারা প্রদীপের কাছে জানতে চায়, অগ্নি ৬ মিসাইল লঞ্চারের পরীক্ষা সফল হয়েছিল কিনা। মেজেজ পাঠিয়ে প্রদীপ নাকি তাকে বলেছিলেন, বেব, ওটা আমার ডিজাইন। সফল না হয়ে যায় না। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইএসআইয়ের ওই এজেন্টের সঙ্গে কথোপকথন হয় প্রদীপের। সেই সময় মিটিওর মিসাইল, ব্রহ্মোস, রাফাল, আকাশ ও অস্ত্র মিশাইল নিয়ে তার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতেন প্রদীপ।

    আরও পড়ুুন: ভোট শুরু ৭টায়, পড়ে গিয়েছে লাশ, কমিশনার দফতরে এলেন ১০টায়!

    ডিআরডিও-র ড্রোন প্রোগ্রাম নিয়েও জারার কাছে তথ্য ফাঁস করেছিলেন প্রদীপ। প্রদীপের গতিবিধিতে (ISI) সন্দেহ হওয়ায় মহারাষ্ট্র এটিএসের দ্বারস্থ হয় ডিআরডিও কর্তৃপক্ষ। মে মাসে গ্রেফতার করা হয় প্রেমের ফাঁদে পড়া ওই বিজ্ঞানীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

LinkedIn
Share