Tag: Hooghly

Hooghly

  • Gouri Sen: ‘লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন’, কে এই গৌরী সেন, কেনই বা তিনি মিথ হয়ে উঠেছেন, জানেন কি ?

    Gouri Sen: ‘লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন’, কে এই গৌরী সেন, কেনই বা তিনি মিথ হয়ে উঠেছেন, জানেন কি ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন। এই কথাটা আম বাঙালির কাছে বহুদিন আগেই প্রবাদবাক্যে পরিণত হয়েছে। এখন মনে হতেই পারে, আদৌ কি গৌরী সেন (Gouri Sen) বলে কেউ ছিলেন, না নিছক কাল্পনিক একটি নাম। আর যদি সত্যিই গৌরী সেন বলে কেউ থাকেন, তাহলে তাঁর বাড়ি কোথায়? তিনি বিপুল অর্থের অধিকারীই বা কী করে হলেন। আর তিনি কী এমন করেছিলেন যার জন্য তিনি এখনও মিথ হয়ে রয়েছেন। এসব প্রশ্ন সকলের মনেই ঘুরপাক খাওয়াটাই স্বাভাবিক। গৌরী সেনকে নিয়ে অজানা সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি আমরা।

    গৌরী সেনের বাড়ি কোথায়? তাঁর পারিবারিক অবস্থাই বা কেমন ছিল? (Gouri Sen)

    হুগলির সপ্তগ্রাম ছিল সেই সময় খুব সমৃদ্ধ নগর। প্রচুর বিত্তশালী মানুষের বসবাস ছিল। সেই সপ্তগ্রামেই গৌরী সেনের (Gouri Sen) পূর্ব পুরুষ অনিরুদ্ধ সেন বাস করতেন। পরবর্তীকালে কালের নিয়মে সরস্বতী নদী জৌলুস হারাতেই সপ্তগ্রামের গুরুত্ব কমতে শুরু করে। সরস্বতীর পরিবর্তে ভাগীরথী নদীতে রমরমিয়ে ব্যবসা শুরু হয়। হুগলিতে রাজকীয় বন্দর গড়ে ওঠে। ভাগীরথী নদীর মাধ্যমে চলে ব্যবসা বাণিজ্য। ভাগীরথী নদী তখন থেকে এই এলাকায় হুগলি নদী হিসেবে পরিচিত লাভ করে। সেই হুগলির বালিতে অনিরুদ্ধ সেন তাঁর দুই পুত্র নন্দরাম এবং পরাণচন্দ্রকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। নন্দরামের সাত সন্তান ছিল। তারমধ্যে গৌরীশঙ্কর ছিল সব থেকে ছোট। ১৬৪৮ সালে গৌরীশঙ্কর সেন (Gouri Sen) জন্মগ্রহণ করেন। এই গৌরীশঙ্করই পরবর্তীকালে দানবীর গৌরী সেন হিসেবে সুবে বাংলায় নাম করেন।

    গৌরী সেন কী করতেন? (Gouri Sen)

    গৌরী সেনের (Gouri Sen) পূর্ব পুরুষ হলধর সেন ছিলেন খুব প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তবে, তা ছিল সপ্তগ্রামে। হলধর সেনের বংশধর হিসেবে গৌরী সেনের বাবা নন্দরামের আর্থিক অবস্থা খুব ভালো ছিল না। ফলে, সামান্য পুঁজি নিয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে গৌরী সেন ব্যবসা শুরু করেন। সেই সময় কলকাতার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বৈষ্ণবচরণ শেঠের সঙ্গে অংশীদারী ব্যবসা শুরু করেন তিনি। সেই সময় মোটা কাপড়, শস্য, তেল, রাংতার ভালো বাজার ছিল। বড়বাজার ছিল তাঁর ব্যবসার ক্ষেত্র। বিভিন্ন জায়গা থেকে শস্য নিয়ে গৌরী সেন চাহিদা মতো নৌকা করেই জলপথে বিভিন্ন জায়গায় তা রফতানি করতেন। তাঁর সততা ও বুদ্ধির জোরে ব্যবসায় খুব তাড়াতাড়ি তিনি শ্রীবৃদ্ধি করেন।

    গৌরীশঙ্কর থেকে দানবীর গৌরী সেন হয়ে ওঠার কাহিনী কেমন ছিল, জানেন কি?

    প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি টার্নিং পয়েন্ট থাকে। গৌরী সেনের (Gouri Sen) কর্মজীবনে এটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। তবে, কাহিনীটা অলৌকিক মনে হতে পারে। জনশ্রুতি থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। ১৬ বছর বয়সে ব্যবসা শুরু করার কয়েক বছরের মধ্যেই রফতানি কারবার তাঁর বেশ জমে ওঠে। ব্যবসার সূত্র ধরেই মেদিনীপুরে ভৈরবচন্দ্র নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেই সময় রাংতার ব্যবসা রমরমিয়ে চলত। বন্ধুর চাহিদা মতো সাত নৌকা শুদ্ধ রাংতা মেদিনীপুরে ভৈরবের কাছে তিনি পাঠিয়ে দেন। পথে একজন সাধু তাঁর একটি নৌকায় তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। সাধু একটি নৌকায় চেপে বসেন। মেদিনীপুর ঘাটে নৌকা লাগে। ভৈরবের কর্মচারী রাংতা নিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকায় ওঠেন। কিন্তু, অলৌকিভাবে সেই রাংতা সবই রুপোয় পরিণত হয়। ভৈরবচন্দ্র ওই রুপো আত্মসাত্ না করেই ফের হুগলি ঘাটে তা পাঠিয়ে দেন। চন্দননগরে জলপথ প্রহরী সব নৌকা বাজেয়াপ্ত করেন। হাকিমের কাছে গৌরী সেনকে তলব করা হয়। তবে, হাকিম তাঁকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে বেকসুর খালাস করে দেন।

    জনশ্রুতি রয়েছে, দেবাদিদেব মহাদেব সাধু বেশেই তাঁর নৌকায় চেপেছিলেন। রাংতা থেকে রুপোয় রুপান্তরিত হওয়া, হাকিমের বেকসুর খালাস করে দেওয়ার পিছনেও মহাদেব রয়েছেন। পরে, তাঁকে স্বপ্নাদেশ দিয়ে রুপো ভর্তি নৌকা নেওয়ার কথা বলা হয়। একইসঙ্গে স্বপ্নাদেশে শিবের মন্দির প্রতিষ্ঠার তিনি নির্দেশ পান। সেই রুপো বিক্রি করে রাতারাতি প্রচুর টাকার মালিক হলেন তিনি। স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর তিনি বাড়িতে শিবের মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করেন। বিপুল পরিমাণ অর্থের অধিকারী হয়ে তিনি সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। কারও অর্থের অভাবে বিয়ে হচ্ছে না, কেউ চিকিত্সা করাতে পারছেন না, তিনি ত্রাতা হয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াতেন। অনেকে আবার মিথ্যা গরিবের কথা বলে তাঁর কাছ থেকে টাকা আদায় করে সেই টাকায় ফূর্তি করতেন। অনেকে তাঁকে বুঝে-শুনে অর্থ খরচ করার পরামর্শ দিতেন, তিনি তাঁদের বলেছিলেন, মহাদেবের কৃপায় আমি এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছি, এই অর্থের মালিক আমি নই, আমি ভান্ডারি মাত্র। তাই, যখন যার প্রয়োজন হবে তাঁকে আমি অর্থ দিয়ে সাহায্য করব। টাকার অভাবে কারও কোনও কাজ পড়ে থাকবে না। লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন। আমৃত্য সেই কথা তিনি রেখেছিলেন। তাঁর কাছে এসে কেউ খালি হাতে ফিরে যেতেন না।

    গৌরী সেনের মৃত্যু ও তাঁর উত্তরসূরীরা কোথায় বসবাস শুরু করেন?

    গৌরী সেনের (Gouri Sen) মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের লোকজন রাস্তায় মোহর ছড়িয়ে তাঁকে গঙ্গায় নিয়ে যান। হুগলির বালির বাড়িতেই তাঁর শ্রাদ্ধ হয়। তাঁর দুই সন্তান হরেকৃষ্ণ ও মুরলীধর। গৌরী সেনের মৃত্যুর পর মুরলীধর হুগলির বালির বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করেন। আর হরেকৃষ্ণ বালির বাড়িতে রয়ে যান। হরেকৃষ্ণের দুই সন্তান ছিলেন বিশ্বেশ্বর ও ভীমচাঁদ। বিশ্বেশ্বরের পরিবারের লোকজন সকলেই কলকাতায় চলে যান। ভীমচাঁদ ও তাঁর উত্তরসূরীরা হুগলির বালির বাড়িতেই বসবাস করেন। কালের নিয়মে তাঁর বংশধরেরা আজ কোথায় তা জানা নেই। তবে, মানুষের জন্য কাজ করা গৌরী সেনের সেই কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি এখনও আম বাঙালির কাছে অমর হয়ে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: আর্ন্তজাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় সোনার পদক ছিনিয়ে আনল বাংলার দুই ক্ষুদে

    Howrah: আর্ন্তজাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় সোনার পদক ছিনিয়ে আনল বাংলার দুই ক্ষুদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্ণাটকের শ্রীমাগো শহরে আয়োজিত ৪র্থ আর্ন্তজাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় হাওড়ার (Howrah) উদয়নারায়ণপুরের কানপুরের বাসিন্দা সুমেধা পাল সোনার পদক নিয়ে এল। পাশাপাশি হুগলীর খানাকুলের বাসিন্দা সংগ্রাম হাজরাও সোনার পদক পেয়েছে। পরিবারে তীব্র উচ্ছ্বাস।

    কীভাবে সোনা জয় (Howrah)?

    জানা গেছে, কর্নাটক স্টেট ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যেগে কর্নাটকের শ্রীমাগো শহরের নেহেরু ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ৫ ও ৬ অগাষ্ট ৪র্থ আর্ন্তজাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল। প্রতিযোগিতায় ভারত ছাড়াও আমেরিকা, মালয়েশিয়া, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকে ২০ হাজার ২০০ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিল। প্রতিযোগিতায় হাওড়ার (Howrah) কাঁকরাই ক্যারাটে সোসাইটির ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় উদয়নারায়ণপুরের কানপুরের বাসিন্দা সুমেধা পাল ৭ বছর গ্রুপে কাতাতে সোনার পদক পায়। অন্যদিকে হুগলীর খানাকুলের চব্বিশপুরের বাসিন্দা সংগ্রাম হাজরা ১২ বছর গ্রুপে কাতাতে সোনার পদক এবং কুমিতিতে রুপোর পদক পায়।

    কোচের বক্তব্য

    দুই ছাত্র-ছাত্রীর (Howrah) এই সাফল্যে খুশী কোচ রণজিৎ ধাড়া। তিনি জানান, গত ৪ বছর ধরে ওরা ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। একজন কাকরাই ডোজো এবং অপর একজন কানপুর ডোজোতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়ার পর এরা আর্ন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেল।

    বাংলায় আগেও পদক এসেছে

    এর আগেও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলায় একাধিক পুরস্কার এসেছে। গত মে মাসেই আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় সোনা জয় করে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচ প্রতিযোগী। এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে হারিয়ে পদক জিতে আনেন তাঁরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁচজন প্রতিযোগী ছিলেন ভগবানপুরের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র অমিত মাইতি, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মৌসুমী গিরি, দশম শ্রেণির পড়ুয়া সুপ্রকাশ আচার্য্য, অর্পিতা দাস ও পল্লবী ভুঁইয়া। তাঁদের এমন সাফল্যে খুশি হয় পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি, খুদেদের কৃতিত্বে প্রশিক্ষণ সংস্থার কর্মকর্তারা আপ্লুত হন। ফের হাওড়া (Howrah) এবং হুগলি জেলা থেকে দুই প্রতিযোগী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক ছিনিয়ে আনল। তাঁদের সাফল্যে খুশি দুই জেলার বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্ত্রী। মৃত বিজেপি নেতার নাম সুদীপ ঘোষ। তাঁর বাড়ি হুগলির গুড়াপে। ধনেখালি-২ মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন তিনি। ৫ অগাস্ট নদিয়ার কল্যাণীর একটি হোটেল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    গত ৪ অগাস্ট চুঁচুড়ায় বিজেপির (BJP) হুগলি জেলা কার্যালয়ে নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সুদীপ। ৩ অগাস্ট বিকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজনকে ফোনে ওই বিজেপি নেতা জানিয়েছিলেন মগরায় রয়েছি। ৫ অগাস্ট বাড়ি ফিরব। সেদিনই পরিবারের লোকজনের কাছে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। সুদীপের দুই সন্তান আছে। সুদীপের স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষ বলেন, ‘যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে, তারা শাস্তি পাক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত করুক। শ্বশুর-শাশুড়ি সহ আমি অনেকবার বলেছিলাম পার্টি ছেড়ে দিতে। শুধু দলকে ভালবাসত বলে বিজেপি করত। দলকে ভালবাসতে গিয়ে নিজের প্রাণটাই চলে গেল। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তারা যেই হোক না কেন, যেন শাস্তি পায়। সুদীপের বাবা সুফল ঘোষ বলেন, ‘ছেলে বিজেপি দলের সক্রিয় কর্মী। এলাকায় ভাল সংগঠন তৈরি করেছিল। আর তার এই উত্থানে শাসকদল বিপদে পড়ে যাচ্ছিল। তাদের সংগঠনের লোক কমে যাচ্ছিল। তাই ছেলেকে সরিয়ে দিতে পারলে শাসকদলের সংগঠন চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আমার ধারণা। ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুগলি জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘পুলিশকে না জানিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ নামিয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেও তার মাথায় একটি দাগ ছিল, পায়েতেও কালশিটে দাগ। তাই আমরা কোনওভাবে মনে করছি না এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে দলের রাজ্য নেতৃত্বেকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনতে হবে।’

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের এত দুর্দিন আসেনি যে বিজেপির (BJP) কোনও মণ্ডল সভাপতিকে মারতে যাবে। এসব ফালতু কথা। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: বিজেপির রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ায় তদন্তে এল এনআইএ-র টিম

    NIA: বিজেপির রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ায় তদন্তে এল এনআইএ-র টিম

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: এনআইএ-র টিম রিষড়ায়। গত ২ এপ্রিল রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে প্রবল গন্ডগোল হয় রিষড়ার সন্ধ্যাবাজার এলাকায়। অবশেষে সোমবার রাতে এনআইএ-র চার সদস্যের একটি টিম রিষড়া থানায় এসে ওই মামলার সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ওই ব্যাপারে চন্দননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, চারজন কেন্দ্রীয় এজেন্সির (NIA) অফিসার রিষড়া থানায় আসেন গতকাল রাতে। তাঁরা নিজেদের এনআইএ-র অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। মূলত রিষড়ার গন্ডগোলের তদন্তে এসেছিলেন। তাঁদেরকে যথাযথ সাহায্য করা হয়েছে।

    কী ঘটেছিল সেদিন?

    হাওড়ার শিবপুরেও এধরনের গন্ডগোল হয়েছিল। তারপর রিষড়া। রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হুগলির রিষড়া এলাকা। সেদিন ওই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছিলেন বিধায়ক বিমান ঘোষ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন বিজেপির নেতা। মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই গোলমাল বেধে যায়। ওয়েলিংটন জুটমিলের সামনে চারবাতির মোড়ে জিটি রোডের মিছিল যেতেই মিছিলের ওপর ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। এলাকা ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জিটি রোডের ওপর জায়গায় জায়গায় আগুন ধরানো হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে চন্দননগর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে চলে আসেন চন্দননগরের কমিশনার অমিত পি জাভালগি। কোন্নগর থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত জিটি রোড ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। রাত সাড়ে ন’টার পর অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসে।

    কীভাবে এল এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ? 

    সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরের দিন রাতে রিষড়া রেল গেটের কাছে পুলিশের সঙ্গে আবার সংঘর্ষ বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। লেভেল ক্রসিং আটকে পুলিশের গাড়ি জ্বালানো হয়। রিষড়া স্টেশনে আটকে যায় একাধিক ট্রেন। স্তব্ধ হয়ে যায় হাওড়া-ব্যান্ডেল মেন লাইন। আক্রান্ত হন ট্রেনের প্যাসেঞ্জাররাও। সেই পরিস্থিতি গভীর রাতে স্বাভাবিক হয় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নেতৃত্বে। পরের দিন রাজ্যপাল নিজে ঘটনাস্থলে এসে অবস্থা সরজমিনে ঘুরে দেখেন। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়। বিষয়টি আদালত অবধি গড়ায়। আদালত রিষড়া, শিবপুর, ডালখোলার ঘটনা নিয়ে এনআইএ-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। এরপর হাইকোর্টের ওই অর্ডারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু, মামলা, প্রতি মামলার ভিতরে অনেক মাস কেটে গেলেও এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ খারিজ হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় লাগাতার হুমকি, বিধায়কই ফাঁস করে দিলেন দলের সন্ত্রাস!

    Hooghly: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় লাগাতার হুমকি, বিধায়কই ফাঁস করে দিলেন দলের সন্ত্রাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসে উত্তপ্ত রাজ্য। এখনও বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চলছে। মিছিলে হামলা, বাড়িতে ঢুকে হামলা, কোনও কিছুই বাদ নেই। বিজেপির পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছে, স্রেফ বিরোধী দল করার অপরাধেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। যদিও তৃণমূল এইসব অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এবার হুগলি (Hooghly) জেলায় এমন একটি ঘটনা সামনে এল, যাতে তৃণমূলের গোপন সন্ত্রাস আর গোপন রইল না। তা প্রকাশ্যে এনে দিলেন খোদ দলের বিধায়ক। এতে একদিকে যেমন বিরোধীদের তোলা অভিযোগ মান্যতা পেল, তেমনি সামনে এল তৃণমূলের নোংরা রাজনীতও।

    বিধায়ক কীভাবে সামনে আনলেন দলেরই সন্ত্রাস (Hooghly)!

    হুগলি জেলার চুঁচুড়ার কোদালিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রবীন্দ্রনগর কালীতলা এলাকার ঘটনা। এখানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলেরই (TMC) প্রার্থী কৃষ্ণা মণ্ডল। কিন্তু জিতেও মেটেনি সাধ। এলাকার সাতটি পরিবার নাকি তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। এটাই তাঁদের অপরাধ। আর যায় কোথায়! শুরু হয়ে যায় ধমক-চমক। অভিযোগ ওঠে, ওই প্রার্থীর স্বামী আধার মণ্ডল ওই পরিবারগুলিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ফলে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাতে থাকে ওইসব পরিবার। কোনও ভাবেই সুরাহা না মেলায় অবশেষে তারা এলাকার বিধায়ক তৃণমূলের অসিত মজুমদারের দ্বারস্থ হয়।

    সেই অভিযোগ পেয়ে অসিতবাবু ওই এলাকায় গিয়ে যা করলেন, তাতে কিছুই আর আড়ালে থাকল না। নিজের দলের সন্ত্রাসই বেআব্রু হয়ে পড়ল। তিনি এলাকায় (Hooghly) গিয়ে দলের যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে ডেকে প্রকাশ্যে এমন ধমক দিলেন, যাতে সবার মনে হতেই পারে, তৃণমূল দলটা সত্যিই কতখানি শৃঙ্খলপরায়ণ। জনতার সামনে বিধায়ক ওই নেতাকে পাল্টা হুমকি দিয়ে বললেন, “এই তোর লাস্ট চান্স। তুই যদি একটা লোককে চমকাস, তোর হাড়গোড় আমি এক করে দেব।… তুই কেন চমকাবি?…তুই বাইরে থাকবি, না ভিতরে থাকবি?” তিনি পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বীকারও করে নেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। ভবিষ্যতে আর করবে না বলেও কথা দিয়েছে। অর্থাৎ বিধায়কের ওই আপাত ধমক থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেল, স্রেফ তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ার জন্য ৭টি পরিবারকে ব্যাপক সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হয়েছে।

    বিধায়ক নাটক করছেন, তোপ বিজেপির

    এলাকার (Hooghly) মানুষ অবশ্য এসবকে আমল দিতে নারাজ। কারণ, তাঁদের বক্তব্য, বিধায়কের প্রচ্ছন্ন মদত না থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। আর ওই নেতাকে লাস্ট চান্স দিয়ে বিধায়ক এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের কাজ ওই নেতা এই প্রথম করছেন না। বিজেপিও এই জায়গাতেই আক্রমণ হেনেছে। দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, চুঁচুড়ায় সবথেকে বড় চমকাইবাজ নেতা যদি কেউ হয়ে থাকে, তবে সেটা তো হচ্ছে আমাদের চুঁচুড়ার বিধায়ক (TMC)। যে দলের গোড়ায় এরকম গলদ হয়ে রয়েছে, সেই দলের শাখাপ্রশাখা তো এই রকমই হবে। এ একে চমকাবে, ও তাকে চমকাবে। এটাই তো দলের কালচার। আজ উনি শুধুমাত্র একটা নাটক করার জন্য আইওয়াশ করতে শুরু করেছেন। লোককে ধমকানো চমকানোটাই এই দলের আইডিওলজি। কখনও কর্মীরা চমকাবে, কখনও বিধায়ক চমকাবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Hooghly: থ্রিডি ছবি এঁকে দেশ-বিদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেন এক জুটমিলের শ্রমিক

    Hooghly: থ্রিডি ছবি এঁকে দেশ-বিদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেন এক জুটমিলের শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুধারে জল, মাঝখান দিয়ে একফালি রাস্তা গেছে এঁকেবেঁকে…. এই ভাবনা কি শুধুমাত্র কাঠকয়লা আর চক দিয়েই রাস্তায় এঁকে ফুটিয়ে তোলা যায়! অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলছেন ভদ্রেশ্বর (Hooghly) হিন্দুস্থান পার্কের অবাঙালি যুবক চন্দন চৌধুরি এবং তাঁর স্ত্রী পুনম চৌধুরি। শিল্পীর গুণে চাঞ্চল্য জেলা।

    কেমন এই আঁকা চিত্র (Hooghly)?

    একেই বলা হয় থ্রিডি পিকচার। অর্থাৎ বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন রকম মনে হয়। আর এই চিত্র এঁকেই সমাজমাধ্যমে ছেড়ে অর্থ উপার্জন করছেন শিল্পী চন্দন। দেশ-বিদেশে তাঁদের তৈরি এই থ্রিডি, বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সামান্য জুটমিলের শ্রমিক থেকে এই চমৎকার আর্ট তৈরি করতে তিনি কোনও প্রথাগত শিক্ষা নেননি। শুধু মাত্র মোবাইল ঘেঁটে বিভিন্ন অ্যাপ দেখে নিজে নিজেই শিখে নেন এই থ্রিডি ছবি আঁকার কৌশল। আসলে কথায় আছে, কেউ দেখে শেখে আর কেউ ঠেকে শেখে। ভদ্রেশ্বর (Hooghly) হিন্দুস্থান পার্কের বাসিন্দা অবাঙালি যুবক চন্দন চোধুরী ঠিক তাঁর জলজ্যান্ত প্রমাণ।

    কীভাবের শিখলেন

    মাধ্যমিক ফেল এই যুবক ছিলেন চন্দননগর (Hooghly) গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিক। কয়েক বছর ধরে এই মিলটি বন্ধ ছিল। বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু রোজগার না করলে হয়? বিভিন্ন চীনা ও কোরিয়ান ভিডিও দেখে থ্রিডি ছবি আঁকা শিখে নেন চন্দন। সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী পুনম। কিন্তু ছবিটা ফোটাবেন কোথায়? বাড়ির সামনেই ১০ ফুট চওড়ার লম্বা গলি। সেখানেই কিছুটা জায়গা নিয়ে কাজ শুরু করে দেন তাঁরা। দেখতে দেখতে একবছর পার হয়ে গেছে। গতবছর জানুয়ারি মাসে শুরু করেছিলেন। ক্রমশ তাঁরা পোক্ত হয়ে উঠেছেন।

    উপকরণ কী ব্যবহার করেন?

    চন্দনের ছবি আঁকতে গিয়ে কোনও স্কেলের প্রয়োজন হয়না চতুর্দিক বর্ডার টানতে। আগে ছবি আঁকা হয় কাঠকয়লা দিয়ে। এরপর তার উপরে সাদা চক বোলান হয়। চক কাঠ কয়লার সংমিশ্রণ ব্রাশ দিয়ে হালকা করে মিশিয়ে দিলে ধূসর রঙে পরিচিতি পায় চিত্র। এইভাবেই ফুটে ওঠে নানান ধরণের ছবি। কখনো দাবার ছক, কখনও ইংরেজি বর্ণমালা, আবার কখনও বা গ্রাম বাংলার পথ।

    চন্দনের এই সৃজনশীলতাকে পছন্দ করে প্রতিবেশীরাও। তাই তো পড়শি জুটমিল শ্রমিক কমল দাস বলে ওঠেন, চন্দন আমাদের পাড়ার (Hooghly) গর্ব। অসাধারণ তাঁর সৃষ্টি। আর তাঁর কাজ সারা পৃথিবীতে, আমাদের কলোনিকেও পরিচিত করেছে চন্দন। ওঁর জন্য আমরা আপ্লুত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেকের মধ্যেই নতুন ভবন পেল বলাগড়ের (Hooghly) চক খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বলাগড় ব্লকের জিরাট পঞ্চায়েতের অধীনে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গঙ্গা ভাঙনের ফলে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এমন অবস্থা হয়েছিল যে বিদ্যালয়ের জানালা খুললেই গঙ্গা। জনা পঞ্চাশেক ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে ভীষণ চিন্তায় থাকতেন। ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও ছিলেন আশঙ্কায়। আর তাই এবার চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং উদ্বোধন করে ক্লাস শুরু হল। নতুন ভবনে ক্লাস শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা উচ্ছ্বসিত।

    কীভাবে এলো নতুন ভবন (Hooghly)?

    যে কোনও দিন গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে স্কুলবাড়িটি (Hooghly)। এরকম খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই অনেকের মতো নজর পড়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি খবরটি জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই বিষয়ে সুয়োমোটো কেস করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান সুচন্দ্রা রায়কে সঠিক তথ্য কোর্টকে প্রদান না করার জন্য আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আসলে গত কয়েক বছর ধরেই স্কুল বাড়িটির এক একটি অংশ গঙ্গার গ্রাসে চলে যাচ্ছিল। এরপর তাঁরই নির্দেশে হাইকোর্ট থেকে স্পেশাল অফিসার স্কুলবাড়িটির পুরো অবস্থা সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আদালতে রিপোর্ট দেন। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ওই বাড়ি থেকে স্কুল সরিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে অস্থায়ী ভাবে নিরাপদ জায়গায় আনা হয়। আদালতের নির্দেশে গঙ্গা থেকে নিরাপদ দূরত্বে টিন দিয়ে ঘিরে একটি জায়গায় ক্লাস করানো শুরু হয়। অন্যদিকে প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল থেকেও কোর্টকে জানানো হয় যে বছর দেড়েকের মধ্যেই নতুন স্কুল বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।

    কীভাবে ক্লাস শুরু হল?

    এরপর ওই গ্রামের এক সহৃদয় ব্যক্তি চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং করার জন্য ১০ কাঠা জমি দান করেছেন। সেই জমির মধ্যেই দেড় কাঠা জমির মধ্যে সর্বশিক্ষা মিশনের ১১ লক্ষ টাকায় তৈরি হয়েছে নতুন দোতলা বিল্ডিং। একতলাতে মিড ডে মিলের রান্না ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে আর দোতলায় একটি রুম। সেখানেই ক্লাস করানো হবে। বলাগড় আর্সেনিক যুক্ত এলাকা। তাই আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা হয়েছে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর উদ্যোগে। সোমবারই নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হল নতুন ভাবে। বলাগড়ের বিদ্যালয় পরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) গৌরব চক্রবর্তী এই নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে নিজে ক্লাস নেন। জানা গেছে, ওই একটি ঘরেই পার্টিশন করে বিভিন্ন কক্ষ করা হবে। সোমবার ৫২ জনের মধ্যে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রীই আসে স্কুলে। সকল ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলে মাংস-ভাত খাওয়ানো হল এদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dog: পঞ্চায়েত অফিসে ঘরবন্দি সারমেয়, ফোন করে ডাকল উপপ্রধানকে, তারপর কী ঘটল?

    Dog: পঞ্চায়েত অফিসে ঘরবন্দি সারমেয়, ফোন করে ডাকল উপপ্রধানকে, তারপর কী ঘটল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গল্পের গরু গাছে ওঠে। কিন্তু, কখনও কোনও সারমেয়কে মোবাইলে ফোন করতে শুনেছেন। এটা গল্প মনে হলেও সত্যি। বাস্তবে এমনটাও ঘটে! ঘরের ভিতরে আটকে পড়ে শেষ পর্যন্ত ফোন করে কান্নাকাটি করে নিজেকে মুক্তির আর্জি জানাল ঘরবন্দি এক সারমেয় (Dog)। শনিবার সন্ধ্যায় এমনই এক অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকল হুগলির গুপ্তিপাড়া- ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। বিষয়টি জানাজানি হতেই পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে তালা খুলে সারমেয়কে উদ্ধার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    এমনিতেই এই পঞ্চায়েত অফিস জুড়ে কয়েকটি সারমেয় (Dog) রাজ করে। পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ হয়ে গেলে তারা আবার রাস্তায় নেমে পড়ে। তাদের রোজকার রুটিন এটাই। শনিবার সমস্ত কাজকর্ম শেষে এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিত নাগ অফিস বন্ধ করে সাটার নামিয়ে বাড়ি ফিরে যান। পঞ্চায়েত অফিস থেকে কিছুটা দূরেই তাঁর বাড়ি।  সন্ধ্যা ৬ টার কিছুটা পরেই পঞ্চায়েত অফিসের তাঁর অফিস রুমে থাকা ল্যান্ড লাইন থেকে উপপ্রধানের মোবাইলে ফোন আসে। মোবাইলে অফিসের ল্যান্ড লাইনের নম্বর দেখে তিনি চমকে ওঠেন। কারণ, ঘণ্টাখানেক আগেই নিজের ওই অফিস রুমে তালা মেরে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তাহলে অফিস রুমে আবার কে ঢুকল, কে মোবাইল নম্বরে তাঁকে ফোন করছে, এসব কথা ভেবে তিনি খানিকক্ষণ হ্যালো হ্যালো করেন। এরপর কিছুক্ষণ চুপ থাকেন। কয়েক সেকেন্ড পর অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে সারমেয়র করুণ আর্তি। বিশ্বজিতবাবু পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পেরে পঞ্চায়ত অফিসে চলে আসেন। এলাকার উৎসুকরাও আসেন। খোলা হয় তালা। দেখা যায় সত্যি সত্যি একটি সারমেয় অফিসে ঢুকে বসে কাঁদছে। মুক্তি পেয়ে এক ছুটে বাইরে। আসলে বাইরে তার পরিবারের সদস্যরা তার জন্য অপেক্ষা করছে।

    সারমেয়কে উদ্ধার করার পর কী বললেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান?

    পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাথ বলেন, অফিসের ল্যান্ড ফোন থেকে মোবাইলে ফোন আসায় প্রথমে চমকে উঠেছিলাম। তারপর সারমেয়র (Dog) করুণ ডাক শুনে মনে হচ্ছে, ‘আমি আটকে পড়েছি, আমায় রক্ষা করো।’ আমি ব্যাপারটা খানিকটা আন্দাজ করেই পঞ্চায়েত অফিসে যাই। আমি অফিসে গিয়ে দেখি, ফোনের রিসিভার যথাস্থানেই আছে। কিন্তু, কিভাবে এটা সম্ভব? আসল কারণটা ততক্ষণে আমি বুঝতে পারি। আমি অফিস থেকে চলে যাওয়ার সময় ল্যান্ড লাইনটা নিজের মোবাইলে ডাইভার্ট করে দিয়েছিলাম। যাতে কারও প্রয়োজনে আমাকে পাওয়া যায়। আমার ফোনে এমন একটি ব্যবস্থা করা রয়েছে, যে কেউ ল্যান্ড ফোনের রিসিভারটা তুলে কিছুক্ষণ কথা না বললে ল্যান্ড ফোনের নম্বর থেকে সরাসরি আমার মোবাইলে কল চলে আসে। আমার মনে হয়, কোনওভাবে সারমেয়র পা তারে লেগেই হোক রিসিভারটা সরে যায়। আর ওই ল্যান্ড ফোন থেকে আমার মোবাইলে কল চলে আসে। ফোন আসার পর অপরপ্রান্ত থেকে সারমেয়র কান্নার আওয়াজ পাই। এরপরই আমি এসে দেখি ফোনের রিসিভাররা ল্যান্ড লাইনে রাখা রয়েছে। সম্ভবত ওই সারমেয়টি ফোন তোলার পর আবার রিসিভারে সেটি রেখে  দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রাস্তা তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, আরামবাগে কাজ বন্ধ করে দিলেন বাসিন্দারা

    Hooghly: রাস্তা তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, আরামবাগে কাজ বন্ধ করে দিলেন বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ ব্লকের মায়াপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্যাণ কেন্দ্র এলাকার ঘটনা। সূত্রধরপাড়া থেকে অহল্যাবাই রোড পর্যন্ত হুগলি (Hooghly) জেলা পরিষদের অধীনে টেন্ডারের মাধ্যমে পিসি সেন রোড ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের মূল অভিযোগ, কাজ চলাকালীন রাস্তায় যে সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে, তা খুবই নিম্নমানের। প্রতিবাদে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা।

    এলাকার সমস্যা কী (Hooghly)?

    গ্রামের (Hooghly) মানুষের অভিযোগ, আগে যে পঞ্চায়েতের তৈরি ঢালাই রাস্তা ছিল, তা ১০ ফুট চওড়া ছিল। কিন্তু সূত্রধরপাড়ার রাস্তা এবং পিসি সেন রোড কোথাও ৭ ফুট, আবার কোথাও ৮ ফুট চওড়া করা হচ্ছে। রাস্তার মাপ সমান নেই! এমনকি মোড়ে মোড়ে রাস্তার ঢালাই কম করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের একমাত্র প্রধান রাস্তা হল এটি! এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রত্যেক দিন যাতায়াত করে শত শত গাড়ি ও মানুষ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যেভাবে রাস্তা তৈরি হওয়ার কথা হয়েছে, সেই অনুযায়ী নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে না। তাই গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। গ্রামের মানুষ দাবি করেন, যতক্ষণ না সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে কাজ হবে, ততক্ষণ কাজ করতে দেওয়া হবে না।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এক গ্রামাবাসী (Hooghly) গৌরহরি সূত্রধর বলেন, গ্রামের ভিতরে যে রাস্তা হয়েছে, ঢোকার মুখে তা চওড়ায় অনেকটাই কম হয়েছে। গ্রামে ঢোকার মুখে রাস্তা বড় না হলে কীভাবে মানুষ চলাচল করবে? জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে এমন ভাব করেন, যেন দয়া করে রাস্তা করে দিচ্ছেন! কিন্তু আদতে তা নয়, সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় হচ্ছে রাস্তা। নির্মাণসামগ্রীও অত্যন্ত নিম্নমানের বলেই আমরা রাস্তা বন্ধ করেছি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা দয়া ভিক্ষা চাই না, চাই রাস্তা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) জেলার এক নেতা বলেন, আমি ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়েছি। রাস্তার মাপ কোথাও ১০ ফুট আবার কোথাও ১২ ফুট করা হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর কথা প্রসঙ্গে বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা। তিনি আরও বলেন, কিছু লোক থাকেন যারা কেবল বিরোধিতা করতে হয় বলে কাজের বিরোধিতা করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: জয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েও বিজেপির প্রার্থী ফিরলেন দলেই

    Hooghly: জয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েও বিজেপির প্রার্থী ফিরলেন দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ইটের জবাব বিজেপি দিল পাটকেলে। ঘটনা হুগলির (Hooghly) আরামবাগের গোঘাটের। নাটকীয় ভাবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে জয়ী বিজেপি প্রার্থী আবার নিজের ঘরেই ফিরে এসেছেন। এই নিয়ে জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য।

    কীভাবে ঘটল

    দুদিন আগে বিজেপির টিকিটে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী হয়েছিলেন গোঘাটের (Hooghly) ভাদুর গ্রামে ২০৬ নম্বর বুথের সঞ্জয় সাঁতরা। তিনি প্রথমে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে শামিল হয়েছিলেন। জয়লাভের দুদিন পরেই তাঁকে দেখা যায় ব্লক সভাপতির হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিতে। তৃণমূলে যোগদান করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলে কর্মকাণ্ডের ঢালাও প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু তার ঠিক ৪৮ ঘণ্টা না কাটতে না কাটতেই ভোলবদল হল। সোমবার ফের বিজেপিতে ফিরলেন সঞ্জয়। বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের হাত ধরে আরামবাগে (Hooghly) যোগ দেন সঞ্জয় সাঁতরা। আর এই যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বোর্ড গঠনের আগেই চলছে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে টানাটানি। একজন প্রার্থী কখনও যোগ দিচ্ছে তৃণমূলে, আবার কখনও বিজেপিতে। আর তাঁকে ঘিরেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। 

    বিজয়ী প্রার্থীর বক্তব্য

    জয়ী সঞ্জয় সাঁতরা পুনরায় বিজেপিতে যোগদান করে বলেন, তৃণমূল তাঁকে ভয় দেখিয়েছিল। সেই জন্য তিনি বিজেপিকে ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী আমি, বিগত লোকসভা (Hooghly) নির্বাচন থেকে আমি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আগামী দিনেও আমি বিজেপিতেই থাকব।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূল কোথাও ভয় দেখিয়ে আবার কোথাও টাকার লোভ দেখিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের (Hooghly) তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তৃণমূল একটা বিজেপি প্রার্থীকে কেনার চেষ্টা করে, তাহলে বিজেপিও দশটা কেনার ক্ষমতা রাখে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে তৃণমূলের এই এলাকার ব্লক (Hooghly) সভাপতি ভয় দেখানোর অভিযোগকে অস্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, এটা ব্যক্তি স্বাধীনতা, যার যা ইচ্ছে সে করতে পারে। গোঘাটের ভাদুর পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৮ টি। তার মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় একাই ১৫ টি আসন তৃণমূল দখল নেওয়ার পরেও এই সঞ্জয় সাঁতরাকে ঘিরে চলছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share