Tag: Hooghly

Hooghly

  • Hooghly: পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা আরামবাগে, অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া

    Hooghly: পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা আরামবাগে, অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই তৃণমূলের সন্ত্রাস আরামবাগের (Hooghly) মলয়পুরের পূর্বপাড়া এলাকায়। মারধর, গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুরো ঘটনায় এলাকায় (Hooghly) দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আরামবাগ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনার জেরে এখনও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। এলাকার লোকজন বলছেন, সিপিএমের আমলে যে ঘটনা ঘটত, তৃণমূলের জমানায় তার কোনও পরিবর্তন হল না!

    আরামবাগের (Hooghly) ফলাফল কেমন?

    আরামবাগের (Hooghly) মলয়পুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে বিজেপির দখলে ৮টি আসন এবং বাকি ৯টি দখল করেছে তৃণমূল। তবে মলয়পুরের পূর্বপাড়া বুথে এবারে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, ফলাফল ঘোষণার পর অনেক বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করেছে তৃণমূল। শাসক দলের সন্ত্রাসে ভীত এলাকাবাসী।

    বিজেপির বক্তব্য

    আরামবাগের (Hooghly) বিজেপির বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেন, তৃণমূলের লোকজন বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকায় অশান্তি করতে এসেছিল। আর তাই গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে! ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে হিংসার কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির বিধায়ক বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসে আমাদের অনেক বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া হয়ে আছেন। শাসক দল যেখানে যেখানে জয়ী হয়েছে, সেখানে সেখানে তীব্র সন্ত্রাস চলছে। 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপিই হামলা চালিয়েছে। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা, বন্দুক ছিল। এমনকী জেলার সহ সভাপতির গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের পিছনে ছুটে ধাওয়া করে দুষ্কৃতীরা। কোনও রকমে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় সকলে। তৃণমূল প্রার্থী (Hooghly) শ্যামসুন্দর কোয়ালের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূল প্রার্থীর বাবা নিমাই কোয়ালকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মনোনয়ন না তুললে শ্লীলতাহানি করে প্রাণে মারার হুমকি, অভিযুক্ত সেই তৃণমূল!

    Hooghly: মনোনয়ন না তুললে শ্লীলতাহানি করে প্রাণে মারার হুমকি, অভিযুক্ত সেই তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের (Hooghly) তিরোল অঞ্চলে খোদ আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএম নেতা শক্তিমোহন মালিকের গ্রামে চলল শাসক দলের ব্যাপক অত্যাচার। সিপিএম প্রার্থীকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মহিলা প্রার্থীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর চুলের মুঠি ধরে করা হয়েছে ব্যাপক মারধর। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা হলে একঘরে করে রাখা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    কীভাবে দেওয়া হল হুমকি?

    তিরোল গ্রাম (Hooghly) পঞ্চায়েতের চণ্ডীবাটি গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। এই এলাকা থেকে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন সিপিএমের মহিলা প্রার্থী নাসিমা বেগম। তাঁকেই চুলের মুঠি ধরে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় শাসকদল তৃণমূল। এমনকী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে, গ্রামের সমস্ত কিছু থেকে তাঁকে বঞ্চিত করে রাখারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নাসিমা বেগমের দেওরের ডান হাত মেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। হুমকি দেওয়া হয়, মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হবে। প্রয়োজনে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে বাড়ি। এদিকে ঘটনার কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি তাঁদের প্রার্থীর বাড়িতে হাজির হন প্রাক্তন সাংসদ শক্তিমোহন মালিক এবং সিপিএম নেতা সুশান্ত মণ্ডল-সহ একাধিক নেতা-কর্মীরা। ঘটনার কথা জানিয়ে তাঁরা দ্বারস্থ হবেন থানার, এমনটাই জানা যাচ্ছে।

    সিপিএম প্রার্থীর বক্তব্য

    এই ঘটনায় নাসিমা বেগম বলেন, “আমরা ভাত খাচ্ছিলাম। তখনই একদল লোক এল। এসেই খুব খারাপ ভাষায় কথা বলতে থাকে। তারপর গোটা বাড়ি (Hooghly) তছনছ করতে থাকে। ব্যাপক মারধর করে আমাদের পরিবারের সকলকে। এমনকী মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে যায়। গত পরশু দিন শাসিয়ে গিয়েছিল। এরপর আবার গতকাল এসে একই কাজ করে গিয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    আরামবাগ (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আসলে মিডিয়াতে প্রচার চাইছে ওরা। ইচ্ছা করে তৃণমূলের নামের অপপ্রচার করছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে, মনোনয়ন তোলা নিয়ে যদি এত হুমকি হয়, তাহলে ভোটের দিন কী হবে! সেই আশঙ্কা করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মৃত্যুর মুখ থেকে বাড়ি ফিরলেন পাহাড় জয়ী কন্যা পিয়ালি বসাক

    Hooghly: মৃত্যুর মুখ থেকে বাড়ি ফিরলেন পাহাড় জয়ী কন্যা পিয়ালি বসাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপায়ের চার আঙুলে ফ্রস্ট বাইটের চুমু। গিয়েছিলেন মাকালু পর্বত জয় করতে। জয় করেও ছিলেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে মাকালু থেকে নামার সময়। পথে প্রচন্ড তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে যান পিয়ালি। কঠিন পরিস্থিকে জয় করে অবশেষে বাড়িতে (Hooghly) ফিরলেন পিয়ালি বসাক ।

    বাড়িতে (Hooghly) কীভাবে ফিরলেন?

    এবারে গত ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা এবং মাকালু শৃঙ্গ জয় করার লক্ষ্যে চন্দননগরের (Hooghly) বাড়ি থেকে রওনা হন পিয়ালি। ১৭ এপ্রিল বিশ্বের দশম উচ্চতম শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা জয় করেছিলেন। তাঁর কথায় প্রায় মাইনাস পঞ্চাশ ডিগ্রি ঠান্ডা ওইখানে। তারমধ্যে প্রচন্ড তুষার ঝড়ে, তাঁর চোখে বরফ কুচির ঝাপটা লাগায় স্নো ব্লাইন্ড নেস হয়ে যায়। কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। আটকে পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গী সাথীরা নেমে গেলেও খাড়াই বরফ পাহাড়ে দুটি পা খাঁজে আটকে, প্রায় ২২ ঘন্টা না ঘুমিয়ে টানা দাঁড়িয়ে থাকেন পিয়ালি। অবশেষে এক রাশিয়ান পর্বতারোহিনী মাকালু থেকে নামার পথে, তাঁকে ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্যাটেলাইট ফোনে নেপালে পাইওনিয়ার সংস্থায় খবর দেন। পরদিন সকালে শেরপারা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে চপারে করে পিয়ালি নামিয়ে কাটমান্ডু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ততক্ষণে তাঁর দুপায়ের আঙুলেই ফ্রস্ট বাইট ধরে নিয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করিয়ে অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় পিয়ালি চন্দননগরের (Hooghly) বাড়িতে পৌঁছন।

    কতটা কঠিন ছিল যাত্রা!

    নেপালের সংস্থা পাইওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার সূত্রে জানা যায়, এই মাকালু শৃঙ্গ জয় মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। এই পর্বতের চার পাশে ধারালো জায়গা উলম্বভাবে প্রায় ২৭৭৬৫ ফুট শিখরের দিকে আরোহণ করে, যা অভিজ্ঞ পর্বতারোহী ছাড়া আরোহণ করা অসম্ভব।পিয়ালির বাড়িতে (Hooghly) ফেরা খুব কঠিন ছিল এই যাত্রায়।

    পিয়ালীর সাফল্য

    স্বাভাবিক ভাবেই ভীষণ ক্লান্ত বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। যদিও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেও এখন তিনি চাঙ্গা। পিয়ালি (Hooghly) জানিয়েছেন, পা সারলে আবার যাবেন সামিটে। এভারেস্ট জয়ী পিয়ালি গত ১৭ মে তারিখে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম পর্বত শৃঙ্গ মাকালু জয় করেন। মাকালুকে বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পর্বত আরোহণ বলে মনে করা হয়। এই নিয়ে ৬ টি আটহাজারী শৃঙ্গ জয় করেছেন পিয়ালি। কয়েক বছরের মধ্যে এভারেস্ট, লোৎসে, মানাসুলু, ধৌলাগিরি এবং অন্নপূর্ণা জয় করেছেন তিনি। এর আগেও একবার মাকালু অভিযানে যেতে গিয়ে অসুস্থ বাবার জন্য মাকালু অভিযান স্থগিত রেখে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন পিয়ালি। এদিনপিয়ালির বাড়িতে গেলে দেখা যায় আত্মীয়স্বজনরা তাঁকে পেয়ে খুব খুশি। বাড়ির মেয়ে ফিরে এসেছেন দীর্ঘদিন বাদে। আপাতত ৬ মাস বিশ্রামের নিদান দিয়েছেন চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই মা স্বপ্না বসাক মেয়ের শুশ্রূষাতে তৎপর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarpara: সাত সকালেই উত্তরপাড়ায় ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি, এলাকায় আতঙ্ক

    Uttarpara: সাত সকালেই উত্তরপাড়ায় ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে বারাকপুর শহরে সোনার দোকানে ঢুকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় এখনও সব অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। এর জের মিটতে না মিটতেই ফের গুলিবিদ্ধ হলেন এক ব্যবসায়ী। শুক্রবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপাড়া (Uttarpara) থানা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর নাম রাজীব সরকার। বাড়ি হিন্দমোটরের রবীন্দ্রনগর এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীববাবু ডিমের পাইকারি কারবারি। উত্তরপাড়ার (Uttarpara) ঘোষপাড়া এলাকায় গঙ্গার ধারে প্রতিদিন ভোরে ট্রাকে করে আনা পেটি পেটি ডিম নামানো হয়। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সেখান থেকে ডিমের পেটি নিয়ে যান। এদিন ভোরে রাজীববাবু স্কুটি করে সেখানে যান। সূত্রের খবর, সেই সময় পাঁচ-ছজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। তাদের প্রত্যেকের মুখ ঢাকা ছিল। তাঁকে সামনে পেয়েই প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। রাজীববাবু মাটিতে পড়ে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এরপরই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। তবে, সাত সকালে এমন দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী?

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে রাজীববাবু বলেন, বহু আগে একজনের সঙ্গে ব্যবসায়িক কারণে শত্রুতা তৈরি হয়েছিল। তবে, এখন আর সে সব নেই। আমি নিজের মতো করে ব্যবসা করি। তবে, আমি কোনওদিন ভোরে ব্যবসার কাজে বের হই না। গত দুদিন ধরে আমি ভোরে ডিম নিতে আসছিলাম। এতে কেউ নজরদারি চালাচ্ছিল। আমি ঘটনাস্থলে আসতেই পাঁচ-ছজন আমাকে ঘিরে ধরে। প্রত্যেকের মুখ গামছা দিয়ে ঢাকা ছিল। কোনও টাকাপয়সা না চেয়ে ওরা আমার শরীরে ধারালো অস্ত্র চালাতে শুরু করে। আমি মাটিতে পড়ে যাই। এরপরই ওদের মুখে সার্চ লাইট মারতে ওরা আমাকে গুলি চালায়। আমার স্কুটি নিয়ে ওরা চম্পট দেয়।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার?

    চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, কয়েকজন দুষ্কৃতী উত্তরপাড়ায় (Uttarpara) ওই ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালায়। তারা ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করে পালিয়েছে। তাদের খুব তাড়াতাড়ি ধরে ফেলা হবে। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে পড়েছে পুলিশ। ব্যবসায়িক কারণ না পুরোনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মুণ্ডেশ্বরী নদীতে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে মৃত তিন

    Hooghly: মুণ্ডেশ্বরী নদীতে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে মৃত তিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে হুগলির (Hooghly) মুণ্ডেশ্বরী নদীতে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে গেল পাঁচ কিশোর-কিশোরী। দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।  ঘটনা আরামবাগের হরিণখোলা এলাকার। মৃত্যুর কারণে আরামবাগে শোকের ছায়া। আরামবাগে সরকারি ডুবুরির ব্যবস্থা নেই কেন? এই নিয়ে এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষুব্ধ। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দশহারার মনসা পুজো উপলক্ষে ওই এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল পাঁচ কিশোর-কিশোরী। বুধবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মুণ্ডেশ্বরী (Hooghly) নদীতে স্নান করতে নেমেছিল তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছে, পাড় থেকে অনেকটা দূরে চলে যায় ওই পাঁচজনই। এরপরেই বিপত্তি নেমে আসে। কিছুক্ষণ পরেই পাঁচজনের মধ্যে একজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। সে কোনও রকমে পাড়ে উঠে আসে। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ ছুটে আসে নদীর পাড়ে। সেই সঙ্গে আরামবাগ থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি জলে নেমে তলিয়ে যাওয়া বাকি ৪ জনের মধ্যে ২ জনকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য আরামবাগ (Hooghly) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে, চিকিৎসক দেখার পর সঞ্জিৎ মালিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার বাড়ি আরামবাগের হরিণখোলার আম গ্রামে। অপর একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং বর্তমানে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আর বাকি দুজনের খোঁজে ডুবুরি নামিয়ে গতকাল বিকেল থেকে সারারাত ধরে তল্লাশি চালানো হয়। এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। একজনের নাম বর্ষা পণ্ডিত, অপর জনের নাম মানসী ধারা। একজনের বাড়ি আরামবাগের বিরাটি গ্রামে এবং অপরজনের বাড়ি গোঘাটের কুলকি এলাকায়। আপাতত দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

    এলাকার মানুষের ক্ষোভ

    তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের বক্তব্য, ঘটনা ঘটার প্রায় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পরে ডুবুরিরা এসে উপস্থিত হয়েছিল। তবে আরামবাগ (Hooghly) মহকুমায় সেভাবে কোনও ডুবুরির ব্যবস্থা ছিল না। এলাকার মানুষের দাবি, আরামবাগ মহকুমায় প্রশাসনের সরকারি ডুবুরির ব্যবস্থা রাখা উচিত। এলাকার মানুষ আরও বলে, সামনেই বর্ষা। নদীর জলে স্নান করতে গিয়ে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় আপদকালীন ব্যবস্থা রাখা প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অভিষেকের গ্রেফতার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: অভিষেকের গ্রেফতার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে পঞ্চায়েত ভোট, পরের বছর লোকসভা নির্বাচন। সামনের এই দুটি নির্বাচনে দলকে সুসংহত করতে কোমর বেঁধে নামলো বিজেপি। বিশেষ করে আগামী লোকসভা নির্বাচনে যাতে ভালো ফল করা যায় তারজন্য কর্মীদের কী কী করণীয় তা জানাতে প্রতিটি লোকসভা ধরে ধরে বিজেপির রাজ্যনেতারা যাবেন, থাকবেন। এই কর্মসূচির নাম প্রবাস। হুগলি লোকসভার দায়িত্ব নিয়েছেন খোদ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) নিজে। বিধায়ক তথা রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষকে নিয়ে তিন দিন ধরে চষে বেড়াবেন রাজ্য সভাপতি। রবিবার সিঙ্গুর বিধানসভা থেকে শুরু হয়েছে সেই প্রবাস কর্মসূচি। আর এই কর্মসূচিকে ঘিরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়িয়েছে।  সোমবার সকাল থেকে সপ্তগ্রাম এবং পরে বলাগড় গিয়ে এলাকা চষে বেড়ান তিনি।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, অভিষেকের গ্রেফতার হওয়া  শুধু সময়ের অপেক্ষা।  আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে যা জানতে পারছি আর সাধারণ বোধবুদ্ধিতে যা বলে তা হচ্ছে অভিষেকের গ্রেফতার শুধু সময়ের অপেক্ষা। যেভাবে তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে, মিডিয়া বলছে থাইল্যান্ডে টাকা গেছে, মালয়েশিয়াতে  টাকা গেছে। যদি গিয়ে থাকে যাঁর অ্যাকাউন্টে গেছে তিনি তো গ্রেফতার হবেন। তিনি কারসঙ্গে মিটিং করছেন তা আমাদের কাছে সব খবর রয়েছে। তিনি গ্রেফতার হলে যদি মনে করেন মানুষ আন্দোলন করবেন, পথে নামবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। আর তিনমাস আগেই বুথ থেকে প্রার্থী ঠিক করার বিষয়টি আমরা বলে দিয়েছিলাম। এখন সেটাই তৃণমূল নকল করছে। আর নবজোয়ার কর্মসূচি উত্তরবঙ্গের যেখানে যেখানে তিনি করেছেন, সেখানে দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি, কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

    সংগঠনকে আরও মজবুত করতে কী কী নির্দেশ দেওয়া হল?

    দলীয় সূত্রের খবর, সমস্ত জায়গায় কর্মিসভা করে  নিচুতলায় বেশ কিছু বার্তা দেওয়া হয়েছে। শীর্ষনেতাদের কাছ থেকে এসেছে বেশ কিছু দিক নির্দেশ। দলীয় কর্মসূচিতে নিজেদের নিয়োজিত করতে বলা হয়েছে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় করতে বলা হয়েছে। সেখানে বুথভিত্তিক সংগঠনকে মজবুত করার বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।  দলের প্রত্যেক কর্মীকে সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে রাজ্য বিজেপি এবং সুকান্ত মজুমদার এর গ্রুপকে ফলো করতে বলা হয়েছে।  বুথ ধরে ধরে  শ্রেণীবিন্যাস করে রিপোর্ট কার্ড তৈরি করতে হবে। সিপিএমকে বিশ্বাস করা যাবে না। সিপিএমের বিরুদ্ধেও প্রচারে নামতে হবে। কোথাও কিছু হলে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। এক কথায় সুকান্ত (Sukanta Majumdar) দলের কর্মীদের বলেন,  লাগাতার দলের হয়ে কাজ করে যেতে হবে। এর পাশাপাশি আগামী জুন মাস পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচিও  দিয়ে দেওয়া হয়। বিগত ৯ বছর বিজেপি শাসনকালে যা যা উন্নয়ন হয়েছে তা তুলে ধরতে বলা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    এবিষয়ে রাজ্য সম্পাদক তথা বিজেপি বিমান ঘোষ বলেন পঞ্চায়েত নয় আগামী লোকসভার জন্যই তৈরি হচ্ছি আমরা। প্রতিটা বিধানসভা ধরে ধরে এভাবেই আমাদের কর্মিসভা চলবে। গতবারের মতো এবারও আমরা হুগলি লোকসভাতে বিপুল ভোটে জিতব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! ধৃত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যুবকসহ পাঁচজন

    Fraud: চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! ধৃত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যুবকসহ পাঁচজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম সঞ্জয় দাস। বাড়ি রানাঘাট। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়েছিল সে। তারপর আর পড়াশুনা করতে পারেনি। তাতে কী হয়েছে? রীতিমতো গ্যাং তৈরি করে অনলাইনে প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পেতে বসে সে। আর সেই ফাঁদে পা দিলেই চাকরির টোপ দিয়ে মগজধোলাই করে চলত প্রতারণা (Fraud)। এইভাবে তার রোজগার হত লক্ষ লক্ষ টাকা। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু, এই প্রতারকদের হাতে প্রতারিত (Fraud) হয়ে এক যুবক মগড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে নদিয়ার রানাঘাট থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম চন্দন রায়, সৌগত বৈরাগী, অর্ণব বিশ্বাস, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় দাস।

    কী ভাবে চলত প্রতারণা (Fraud)?

    প্রতারণার জন্য সঞ্জয় দামি মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করত। বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিত সে। সেই জালে পা দিলেই প্রতারণার (Fraud) শিকার হতে হত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ফর্ম ফিলআপের জন্য অল্প টাকা নেওয়া হত। তারপর ‘রেজিস্ট্রেশন’ করতে হবে বলে আরও কয়েক হাজার টাকা নেওয়া হত। সে সব মিটলে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ লক্ষ  টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। তাদের কাছ থেকে মোট ৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। ১৪ এপ্রিল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে, চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    কী বললেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার?

    হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, এর আগেও একবার কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এই চক্র। ত্রিবেণীর মনোজিৎ সাউ নামে এক যুবক এবং তাঁর স্ত্রী আর্থিক প্রতারণার (Fraud) শিকার হয়েছেন বলে গত ১ ফেব্রুয়ারি মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের ঠকিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। এরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: সমবায় সমিতিতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! কারা জড়িত জানেন?

    Scam: সমবায় সমিতিতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! কারা জড়িত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে লোন দেওয়ার নামে কোটি,কোটি টাকার দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ উঠল হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেতা তথা চিংড়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। জেলাশাসকের নির্দেশের পর প্রায় পাঁচ মাস কেটে গেলেও তদন্তে এলেন না সমবায় আধিকারিকরা। কতদিনে মিলবে সুরাহা? ক্ষুব্ধ খানাকুল -২ ব্লকের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকরা।

    সমবায়ের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০১৭ – ১৮ আর্থিক বর্ষে খানাকুলের চিংড়া সমবায় সমিতি থেকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ঋণ হিসাবে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা তোলা হয়। যা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওই এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি সমবায়ের এলাকার বাইরেও বিভিন্ন তৃণমূল নেতাকে কার্যত ঋণ পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এসব করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সমবায় সমিতির ম্যানেজার প্রভুনাথ পোড়েল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর্থিক তছরুপের (Scam)  সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইশরের নেতৃত্বে এলাকার কৃষকরা গণ স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেন। গত ডিসেম্বর মাসে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন হুগলি জেলাশাসক। কিন্তু, এরপরেও সেই অর্থে কোনও তদন্তই শুরুই হয়নি বলে অভিযোগ। গত ৬ এপ্রিল রাজ্য সমবায় দফতরের অধিকারিকদের খানাকুলের চিংড়া এলাকায় দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আসার কথা ছিল। সেইমতো স্থানীয় কৃষকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, অবশেষে কোনো সমবায় আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি। ফলে, ক্ষুব্ধ এলাকার কৃষকরা।

    কী বললেন স্থানীয় কৃষকরা?

    ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছিল সমবায় দুর্নীতিতে (Scam)  খানাকুল সহ জেলা ও রাজ্যের বেশকিছু প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যাঙ্কের একাংশের কর্মীরা যুক্ত আছে। তদন্তকারীরা না আসায় সেই অভিযোগ ফের তুলতে শুরু করেন কৃষকরা। শঙ্কর সাঁতরা, দেবপ্রসাদ মাইতি নামে কৃষকরা বলেন, আমাদের টাকা নিয়ে অন্যদের লক্ষ লক্ষ টাকা লোন দেওয়া হচ্ছে। সমবায়ের ম্যানেজার দুর্নীতির (Scam)  সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনের একটি অংশ জড়িত থাকায় কেউ তদন্ত পর্যন্ত করতে আসছে না।

    কী বললেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইশর বলেন, এই দুর্নীতিতে (Scam)  সমবায়ের ম্যানেজার শুধু নয় আরও অনেক প্রভাবশালী যুক্ত আছেন। তবে, প্রধানের বিরুদ্ধেও লোনের নামে টাকা আত্মসাত্ করার অভিযোগ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি লোন নিয়েছিলাম। তা পরিশোধও করছি। পাশাপাশি খানাকুল বিধানসভার পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী মুন্সী নজিবুল করিম সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও সমবায় সমিতি থেকে লোনের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

     কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, চাকরি নিয়ে তৃণমূল শুধু দুর্নীতি (Scam)  করেনি, সমবায় সমিতিতে ওরা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি (Scam)  করেছে। সমবায়ের বাইরে লোককে টাকা পাইয়ে দিয়েছে। এই দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা।

    সমবায় সমিতির কর্মীরা কী বললেন?

    এদিকে দুর্নীতির (Scam)  বিষয়টি জানাজানি হতেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই সমবায় সমিতির ম্যানেজার। সমবায় সমিতির কর্মীদের দাবি,তিনি কাজের জন্য অন্যত্র রয়েছেন।তবে, সূত্রের খবর,তিনি এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছেন। গত কয়েকদিন আগে পর্যন্ত বহাল তবিয়তে দিদির দূত হিসাবে কাজ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যা আবার কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

    Scam: দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যা আবার কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষক দুর্নীতিকাণ্ডে (Scam) জেরবার তৃণমূল। আদালতের নির্দেশে গ্রুপ সি-র যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে একাধিক তৃণমূলের নেতা কর্মী পরিবারের লোকজন বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নাম সামনে এসেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝিও আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন। একইসঙ্গে হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্যা টুম্পা মেটে (বাকুলি) চাকরিও বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাঁর বাড়ি রিষড়ার বামুনারি এলাকায়। ২০১৮ সালে শ্রীরামপুর নেতাজি বয়েজ স্কুলে তিনি চাকরি পান। পাঁচ বছর সেখানে ক্লার্ক হিসাবে তিনি চাকরি করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ৮৪২ জন গ্রুপ সির চাকরি বাতিল হয়।সেই তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে আমি পরীক্ষা দিই।তারপর কয়েকটি পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে যোগ দিই। মিডিয়ার মাধ্যমে দেখছি, এই চাকরিতে অনেক টাকা পয়সার লেনদেন হয়েছে।আমি টাকা লেনদেনে যুক্ত নই। এটা সিবিআই, ইডি জিজ্ঞাসা করলেও বলব। চাকরির জন্য কাউকে এক টাকা ঘুষ (Scam)   দিইনি। এমনকি মিষ্টির প্যাকেট পর্যন্ত কাউকে দিতে হয়নি। তাহলে কী করে আমার চাকরি গেল তা আমি বুঝতে পারছি না। বিরোধীরা এটা নিয়ে হয়ত আমাকে, আমার দলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইবে। আমি এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব। কারণ, এটা আমি মেনে নিতে পারছি না।

    স্ত্রীর চাকরি চলে যাওয়া নিয়ে কী বললেন টুম্পা মেটের স্বামী? Scam

    টুম্পার স্বামীর নাম মৃত্যুঞ্জয় মেটে। তিনিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা। বর্তমানে রিষড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। স্ত্রীর চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন,চাকরির প্রয়োজন আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের সকলের আছে।কিন্তু স্ত্রীর চাকরির জন্য কাউকে কোনও টাকা দিইনি।এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল আমার স্ত্রী। ও এম আর শিটে কিছু হয়ে থাকলে সেটা মধ্য শিক্ষা পর্ষদ বলতে পারবে।আমাদের জানা নেই।আমরা দুজনেই তৃণমূল করি। তাই, স্ত্রীর এভাবে চাকরি চলে যাওয়ায়  সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে। পাঁচ বছর ওই স্কুলে চাকরি করল, তারপর কি করে কি হল আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না। টুম্পা পরাশোনায় খুব ভালো ছিল আমি নিজে ওকে পড়াতাম। এখন এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার করবে।

    বিজেপি  শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মোহন আদক বলেন, যে ভাবে গোটা রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি (Scam)  হয়েছে তা তৃণমূল অস্বীকার করতে পারবে না।হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, সেটা যুক্তি সংগত এবং গুরুত্বপূর্ণ।টুম্পা মেটে যতই অস্বীকার করুন আদালত বিবেচনা করেই এই রায় দিয়েছে। এটা প্রমাণিত হয়ে গেল,তৃণমূল আর দুর্নীতি (Scam) সমার্থক।।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loot: স্কুটি নিয়ে বান্টি অর বাবলির দৌরাত্ম্য! অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের

    Loot: স্কুটি নিয়ে বান্টি অর বাবলির দৌরাত্ম্য! অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বলিউড সুপারহিট সিনেমা বান্টি অর বাবলির কথা মনে আছে। সেলুলয়েডের পর্দায় তাদের চুরি বা কেপমারির কৌশল দেখে হতবাক হয়েছিলেন আমজনতা। এবার বাস্তবের বান্টি অর বাবলি হদিশ পাওয়া গিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। তবে, তারা সম্পর্কে বন্ধু নয়, তারা স্বামী-স্ত্রী। ইতিমধ্যেই নিউ বারাকপুর থানার পুলিশ এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্ষু চড়কগাছ কমিশনারেটের কর্তাদের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত চার-পাঁচ বছরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলার ১৫ টি থানা এলাকায় স্কুটি নিয়ে অভিনব কায়দায় কেপমারি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার অধিকাংশ থানা এলাকায় বহু মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে পগার পার হয়ে যেত তারা। যদিও কমিশনারেটের কর্তাদের পাতা ফাঁদে পড়ে আপাতত তারা এখন শ্রীঘরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আকবর আলি এবং রাবিয়া বিবি। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বিভিন্ন থানা এলাকা মিলে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বেশি তারা হাতিয়েছে। আরও কত টাকা তারা হাতিয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্কুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই স্কুটি করেই তারা অপারেশন চালাত।

    কী ভাবে তারা অপারেশন চালাত? Loot

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আকবর আর রাবিয়া বিবির বাড়়ি খড়দহ থানা এলাকায়। স্বামী, স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে টাকা লুঠ (Loot) করে চলেছে। কমিশনারেট এলাকার মধ্যে জেটিয়া, নৈহাটি, খড়দহ, নিউ ব্যারাকপুর থানা এলাকা এবং জেলা পুলিশ এলাকার মধ্যে মধ্যমগ্রাম, বারাসতসহ একাধিক থানা রয়েছে। এছাড়া হুগলি জেলায় চন্দননগর, চুঁচুড়াসহ পাঁচটি থানা এলাকায় হানা দিয়েছে। প্রথমে স্কুটি করে তারা একসঙ্গে বাড়ি থেকে বের হত। পাড়ার লোকজন জানতেন কাজের বের হচ্ছেন। কারণ, তাদের বাড়ি রহড়া থানায়। সেখানে তারা কোনও অপরাধ করেনি। ফলে, এলাকার মানুষ তাদের সন্দেহ পর্যন্ত করত না। তাদের পোশাক, পরিচ্ছদ ছিল দেখার মতো। কোনও থানা এলাকায় গিয়ে একটি ব্যাঙ্ককে তারা বেছে নিত। সেই ব্যাঙ্কের সামনে তারা অপেক্ষা করত। রাবিয়া বিবি স্কুটি থেকে নেমে কিছুটা দূরে থাকত। ব্যাঙ্ক থেকে বয়স্ক কোনও লোকজন বের হলেই তাকে তারা টার্গেট করত। তার পিছনে ধাওয়া করত। টোটো বা অটোতে করে সেই বয়স্ক লোকজন উঠলেই সেই গাড়িতেই যাত্রী সেজে রাবিয়া বিবি উঠে পড়ত। আর পিছনে পিছনে তার স্বামী স্কুটি নিয়ে তার গাড়ি লক্ষ্য করত। রাবিয়াবিবি সুযোগ বুঝে গাড়ির মধ্যে বয়স্ক মানুষের সঙ্গে আলাপ জমাত। এরপর সুযোগ বুঝে ব্যাগে ব্লেড চালিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত ( Loot)।  বুঝে ওঠার আগেই স্বামীর স্কুটি করে সে পগার পরা হয়ে যেত। ধৃতরা এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share