Tag: hot weather

hot weather

  • Heatwave: তাপমাত্রা বাড়তেই গা গরম? সন্তানের শরীর জ্বরে পুড়ছে? কীভাবে সুস্থ রাখবেন? 

    Heatwave: তাপমাত্রা বাড়তেই গা গরম? সন্তানের শরীর জ্বরে পুড়ছে? কীভাবে সুস্থ রাখবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে নাজেহাল আট থেকে আশি। তাপমাত্রার পারদ বাড়তেই (Heatwave) নানান শারীরিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। বিশেষত শিশুদের একাধিক সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়তি সতর্ক না হলেই বিপদ বাড়বে। কলকাতায় ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। একই অবস্থা রাজ্যের অন‌্যান্য জেলাগুলোতেও। বিশেষত বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি। তাপপ্রবাহের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগামী কয়েকদিন রাজ্যের সর্বত্র গরম বাড়বে। অস্বস্তি থাকবেই। আর এই পরিস্থিতিতেই শিশুদের এক বিশেষ সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কী ধরনের জ্বর দেখা দিচ্ছে?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে শিশুদের জ্বর হচ্ছে। কিন্তু কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত কারণে এই জ্বর নয়। একে জ্বর বলতেও নারাজ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তাপমাত্রার পারদ মারাত্মক বাড়ছে‌। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গে শরীর মানিয়ে নিতে পারছে না। বিশেষত পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের শরীর আরও বেশি মানিয়ে নিতে পারছে না। পরিবেশের তাপমাত্রার (Heatwave) সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা মানিয়ে নিতে না পারলে অনেক সময়েই এই সমস্যা দেখা যায়। তাই বাইরে গরমের জেরে অনেক শিশুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। থার্মোমিটারে দেখা যাচ্ছে, অনেক সময়েই শরীরের তাপমাত্রা ১০০ থেকে ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একে Heat exhaustion বলা যেতে পারে। শিশুদের এই সমস্যা বেশি হচ্ছে। কারণ, পাঁচ বছরের কম বয়সি অধিকাংশ শিশুর ঘাম কম হয়। আর তার জেরেই শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন? (Heatwave) 

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই গরমে শিশুকে সুস্থ রাখতে জল বেশি পরিমাণে খাওয়ানো জরুরি। গরমে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। মূত্রত্যাগের পরিমাণ কমছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, দেড় থেকে দু’গুণ পরিমাণ জল খাওয়া বাড়াতে হবে। তবেই এই সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাবের জল খাওয়া জরুরি। তিন বছরের উর্ধ্বে শিশুদের গরমে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাবের জলে থাকে একাধিক খনিজ পদার্থ। তাই শরীরে জলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ক্লান্তি দূর করতে ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করে ডাবের জল। 
    তরমুজ জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন এই আবহাওয়ায় (Heatwave) রসালো ফল খাওয়া দরকার। তরমুজ, ড্রাগন ফ্রুটের মতো ফল শিশুরা খেলে একদিকে এনার্জির জোগান হবে আরেকদিকে শরীর ঠান্ডা থাকবে। ফলে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

    প্রাণীজ প্রোটিনে সতর্কতা

    পাশপাশি প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়া কতটা পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন শিশুকে দেওয়া হবে, সেদিকে নজরদারি জরুরি। কারণ, প্রাণীজ প্রোটিন সহজপাচ্য নয়। তাই পরিমাণের দিকে বিশেষ‌ নজরদারি জরুরি। 
    তবে, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুর শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার (Heatwave) পাশাপাশি ঝিমিয়ে থাকলে, হাত ও পায়ের পেশিতে খিঁচুনি কিংবা অত্যন্ত যন্ত্রণা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। যাতে পরিস্থিতি বিপজ্জনক না‌ হয়, সেদিকে সতর্ক থাকা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Summer: ভ্যাপসা গরমে ঘামে নাজেহাল! কোন ঘরোয়া উপাদান সঙ্গে রাখলে সুস্থ থাকবে শরীর? 

    Summer: ভ্যাপসা গরমে ঘামে নাজেহাল! কোন ঘরোয়া উপাদান সঙ্গে রাখলে সুস্থ থাকবে শরীর? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে বেড়েছে অস্বস্তি। ঘামের জেরে নাজেহাল হচ্ছেন অনেকেই। ছোট থেকে বড়, সব বয়সিরাই হঠাৎ গরম আর ঘামের জেরে অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ঘামের জেরে অনেকেই দুর্বল হয়ে পড়ছেন। কাজ ঠিকমতো করতে পারছেন না। স্কুল যাতায়াত করেই পড়ুয়ারা ক্লান্ত। তার জেরে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান নিত্যসঙ্গী করলেই ঘামে নাজেহাল হওয়া (Summer) কমানো যায়। এবার দেখা যাক, ঘাম আর গরমকে হারাতে কোন ঘরোয়া উপাদানকে নিত্যসঙ্গী করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

    মৌরি ভেজানো জল

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে মৌরি ভেজানো জল অন্তত এক গ্লাস খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, মৌরি শরীর ঠান্ডা রাখে। মৌরি ভেজানো জল এই শুষ্ক আবহাওয়ায় শরীরকে ঠান্ডা রাখবে। পাশপাশি জলের চাহিদা মেটাবে। ডিহাইড্রেশনের (Summer) ঝুঁকি কমবে। এই আবহাওয়ায় শরীরে জলের জোগান দেওয়া জরুরি। তাই মৌরি ভেজানো জল বিশেষ উপকারী।

    নিয়মিত এক গ্লাস তরমুজের রস! (Summer)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত এক গ্লাস তরমুজের রস খেলে ঘামের সঙ্গে মোকাবিলা করা সহজ হবে। তাঁদের পরামর্শ, শিশুরা স্কুল থেকে ফেরার পরে অন্তত এক গ্লাস তরমুজের রস দেওয়া দরকার। তরমুজের মতো রসালো ফল শরীরে জলের চাহিদা মেটানোর পাশপাশি ঘামের ক্লান্তি দূর করতেও সক্ষম। কারণ, তরমুজে রয়েছে প্রচুর শর্করা। তাই তরমুজ খেলে সহজেই শরীর এনার্জি ফিরে পায়। ঘামের জেরে শরীরের যে দুর্বলতা তৈরি হয়, তরমুজ তা দূর করতে সক্ষম।

    অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন আপাতত বাদ, পাতে থাকুক সবুজ সব্জি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ ভ্যাপসা গরমে শরীরে অস্বস্তি বাড়ছে। এর জেরে হজমের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন আপাতত বন্ধ রাখা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, মটন কারি, কাতলা কালিয়ার মতো অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার এই আবহাওয়ায় বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। বরং পটল, পেঁপে, কাঁচকলা, লাউয়ের মতো সবুজ সব্জির তরকারি নিয়মিত খেলে বাড়তি উপকার (Summer)। এগুলো শরীর ঠান্ডা রাখে। হজম সহজে হয়। ফলে, শরীরে অস্বস্তি কমে। ঘাম কম হয়।

    ইচ্ছেমতো আইসক্রিম আর প্যাকেটজাত নরম পানীয় থাকুক নিয়ন্ত্রণে!

    হঠাৎ অস্বস্তিকর গরমে অনেকেই আরাম পাচ্ছেন আইসক্রিম আর নরম পানীয়তে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর জেরে বিপদ বাড়ছে‌। শ্বাসনালীর উপরের অংশে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। এর জেরে কাশি, গলাব্যথা এমনকি শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে (Summer)। তাই এই আবহাওয়ায় এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Environment Day: গরমে পুড়ছে বঙ্গবাসী, কলকাতায় সবুজ কমেছে ৩০ শতাংশ!

    World Environment Day: গরমে পুড়ছে বঙ্গবাসী, কলকাতায় সবুজ কমেছে ৩০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রা পেরিয়ে যাচ্ছে ৪০ ডিগ্রির চৌকাঠ। গরমে অস্বস্তি প্রত্যেক দিন বাড়ছে! শুধুই অস্বস্তি নয়, আট থেকে আশি প্রবল গরমে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন! প্রত্যেক বছর তাপমাত্রার পারদ যেমন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, তেমনই কমছে কলকাতার সবুজায়ন! বিশ্ব পরিবেশ দিবসে (World Environment Day) এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করল একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা!

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস (World Environment Day)! আর সেই উপলক্ষে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদের তুলনায় অনেকটাই সবুজ কম কলকাতায়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় ২০১১ সালে সবুজে ঢাকা অংশ ছিল ২.৫ বর্গ কিলোমিটার। ২০২২ সালে তা কমে হয়েছে ১.৮ বর্গ কিলোমিটার। দিল্লি কিংবা মুম্বইয়ের মতো শহরের থেকে যা কয়েক গুণ কম। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে ২০১১ সালে ১৭৪.৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় গাছ ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে বর্গ কিলোমিটার। একই ভাবে সবুজায়ন বেড়েছে মুম্বইয়েও। ২০১১ সালে মুম্বাইয়ে ১০১.৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা সবুজে ঢাকা ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ১১০.৮ বর্গ কিলোমিটার। হায়দরাবাদে ২০১১ সালে ৩৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বড় গাছ ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮১.৮ বর্গ কিলোমিটার। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যেখানে দিল্লিতে ১১ শতাংশ, মুম্বইয়ে ৯ শতাংশ এবং হায়দরাবাদে ১৪৭ শতাংশ সবুজায়ন বেড়েছে, সেখানে কলকাতায় গত এক দশকে ৩০ শতাংশ গাছ কমেছে।

    কী বলছেন পরিবেশবিদরা (World Environment Day)? 

    কলকাতার এই পরিসংখ্যান দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন পরিবেশ কর্মীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে কলকাতায় গাছ কমেছে, তাতে কলকাতার আবহাওয়া আরও অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা। পাশপাশি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টির মতো সমস্যাও বাড়বে। পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতার তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে, তেমনি কলকাতার বৃষ্টির ধরন বদলে যাচ্ছে। অসময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু কালবৈশাখীর দেখা মিলছে না। তাছাড়া ঝড়-বৃষ্টি হলেই বাজ পড়ছে। বজ্রপাত বেড়েছে। আর এই সব কিছুর জন্য গাছ কাটাই (World Environment Day) সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। 
    মুম্বই, দিল্লি বা হায়দরাবাদের মতো বড় শহরে গত এক দশক ধরেই পরিকল্পনা করে গাছ লাগানো হয়েছে। বছর দশেক আগেও মুম্বই কিংবা দিল্লিতে মে-জুন মাসের আবহাওয়া অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল। তখন থেকেই সতর্ক হয়েছিল সরকার। একাধিক রাস্তার ধারে গাছ লাগানো শুরু হয়। এর ফল দশ বছর পরে পাওয়া যাচ্ছে। গাছ লাগানো ও তার নিয়মিত যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে গত এক দশকে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মতো শহরে প্রশাসন যথেষ্ট নজর দিয়েছে। 
    এবছর কলকাতার তাপমাত্রার পারদ দিল্লি কিংবা মুম্বইকে এপ্রিলেই ছাপিয়ে গিয়েছে। কলকাতার গল্ফ গ্রিন থেকে যাদবপুর, গিরিশ পার্ক থেকে লেকটাউন, যেসব এলাকায় তুলনায় বেশি বড় গাছ ছিল, গত এক দশকে সেগুলো দেদার কাটা হয়েছে। রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর কোনও পরিকল্পনা গত এক দশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করেনি। কলকাতা পুরসভার তরফেও বড় গাছ লাগানো ও তার যত্ন নিয়ে বিশেষ কোনও সক্রিয়তা দেখা যায়নি। বরং গাছ কাটার ছবি যত্রতত্র দেখা গিয়েছে। ফলে, এক দশকে বদলে গিয়েছে কলকাতার আবহাওয়া!

    কী বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা (World Environment Day)? 

    কলকাতার এই গরম কলকাতাবাসীর জন্য আরও বিপজ্জনক হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, গরম তো শুধুই অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে না, গরমের জেরে নানান শারীরিক অসুবিধার আশঙ্কাও দেখা যায়। যেমন ডিহাইড্রেশন, ত্বকের সমস্যা, ঘুম কম হওয়া। এছাড়াও গরমের জেরে নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখ হতে পারে। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগের সমস্যা থাকলে, এই গরমে তাদের শারীরিক অসুস্থতার বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই সব মহলেরই সচেতনতা (World Environment Day) জরুরি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Tradition: প্রবীণ প্রভাসবাবুর এখনও জীবিকা বাংলার ঐতিহ্যের সেই তালপাতার হাতপাখা!

    Bengal Tradition: প্রবীণ প্রভাসবাবুর এখনও জীবিকা বাংলার ঐতিহ্যের সেই তালপাতার হাতপাখা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় তালপাতার হাতপাখার সঙ্গে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য (Bengal Tradition) নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ছিল। তারপর বিদ্যুৎ সংযোগের প্রসার ঘটল। ক্রমশ কমতে থাকল হাতপাখার ব্যবহার। যদিও কিছুদিন আগেও বিদ্যুৎ হঠাৎ চলে গেলে বাড়ির সকলের হাতে উঠে আসত এই তালপাতার হাতপাখাই। এখন সেটাও কমে এসেছে। তবু বিভিন্ন মেলায় এই হাতপাখার পসরা সাজিয়ে বসেন গুটিকয়েক মানুষ। তেমনই একজন চকভৃগুর প্রবীণ নাগরিক প্রভাসবাবু। আধুনিক যুগের আড়ালে তিনি একান্তে তৈরি করে চলেছেন একের পর এক তালপাতার হাতপাখা।

    রাজ-রাজাদের আমলে বিপুল প্রসার

    আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাতে তৈরি এই পাখার প্রচলন তেমন না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে কারিগররাও। রাজ-রাজাদের আমলে বিপুল প্রসার ঘটে এই তালপাতার হাতপাখার। তারপর ব্রিটিশরাজ থেকে শুরু করে জমিদারি ব্যবস্থাতেও বড় বড় তালপাতার পাখার ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে ছিল। কারিগরি শিল্পের দৌরাত্ম্যে প্লাস্টিকের হাতপাখার জনপ্রিয়তা বিস্তার লাভ করে। তাই শহুরে মানসিকতার দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন এই শিল্প (Bengal Tradition)। তবে তা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন প্রবীণ কারিগর প্রভাস মোহন্ত। গত ৪০ বছর ধরে তিনি এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। কয়েক দশক আগের মতোই এখনও তাঁকে হাতপাখা তৈরির কাজে সাহায্য করে চলেন তাঁর স্ত্রী।

    নতুন প্রজন্মের কারিগর আর নেই

    বালুরঘাটের শিক্ষক তথা সাহিত্যিক গগণ ঘোষ বলেন, ‘এক সময় তালপাতার হাতপাখা ছিল গ্রামীণ ঐতিহ্যের (Bengal Tradition) প্রতীক। বৈদ্যুতিক পাখা, এয়ারকন্ডিশন সহ নানা ধরনের অত্যাধুনিক জিনিস বাজারে ছেয়ে যাওয়ায় চাহিদা কমেছে তালপাতার হাতপাখার। ফলে বিক্রি না হওয়ায় কারিগররা হাতপাখা বানানো বন্ধ করে অন্য কাজে মন দিয়েছেন। গ্রাম থেকেও উঠে গিয়েছে সারি সারি সব তালগাছ। বিশ্বায়নের প্রভাবে এই শিল্পের অবক্ষয় দুঃখের। চকভৃগুর বাসিন্দা তরুণ মাহাত বলেন, ‘বর্তমানে হাতপাখার ব্যবহার না থাকায় পেশাদার কারিগররা তা বানানো বন্ধ করেছেন। জীবন বাঁচানোর তাগিদে অন্য কাজে মনঃসংযোগ করেছেন তাঁরা। ফলে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে এই শিল্পীসত্তা। এই হাতপাখা তৈরির জন্য নতুন প্রজন্মের কারিগর আর নেই।

    কী বললেন শিল্পী?

    শিল্পী প্রভাস মোহন্ত বলেন, ‘গাছে উঠে তালপাতা, গাছের পাতলা বাকল সহ বিভিন্নরকম সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপদের মুখে পড়তে হয়। এমনকী বাজারদরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাতপাখার সরঞ্জামের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০০টা হাতপাখা তৈরি করি। গ্রামের কিছু মানুষ এখনও তা কেনেন। কিন্তু সেই জায়গাও সংকীর্ণ হয়ে আসছে। সরকারি তরফে কোনও সাহায্য বা ভাতা পেলে এই শিল্পের ঐতিহ্যকে (Bengal Tradition) বাঁচিয়ে রাখতে পারব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কলকাতা-সহ সাত জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা! বৃষ্টি নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    Weather Update: কলকাতা-সহ সাত জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা! বৃষ্টি নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা বছর পড়েনি। খাতায় কলমে গরম কাল শুরুও হয়নি। বৈশাখের আগমন বার্তা (Weather Update) দিচ্ছে চৈত্র। শেষ চৈত্রেই ভাজাভাজা হচ্ছে বাংলা। সকাল থেকে অস্বস্তির আবহাওয়া রাজ্য জুড়ে। আবহাওয়া দফতরের তরফে এদিন কলকাতা-সহ সাত জেলায় তাপপ্রবাহের (Heatwave) সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শুকনো গরম হাওয়া বইবে। রাজ্যের কোথাও কোনও রকমের বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। 

    তাপপ্রবাহের সর্তকতা

    বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ থেকে কলকাতায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হল। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় তাপপ্রবাহের এলার্ট জারি করা হয়েছে। কাল অর্থাৎ শুক্রবার এবং পরশু অর্থাৎ শনিবার (পয়লা বৈশাখ) এই জেলা গুলি সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় তাপ প্রবাহের সর্তকতা জারি হয়েছে। মালদা ও উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে কাল ও পরশু তাপ প্রবাহের সর্তকতা। আগামী পাঁচদিন বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা ক্রমশ আরও বাড়বে। আগামী তিন দিন হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের সমতল এলাকার তাপমাত্রা আরও ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে পারদ চড়বে ৪ ডিগ্রির বেশি। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে লু বইবার আশঙ্কা। 

    আরও পড়ুন: আজ নীল ষষ্ঠী, কেন এই ব্রত পালন করা হয়? জানুন এর মাহাত্ম্য

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৮ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রির আশপাশে থাকবে।

    এগিয়ে আসছে গরমের ছুটি

    গ্রীষ্ম কাটতে এখনও প্রায় দুমাস সময় রয়েছে। তার মধ্যে গরম এমনই নখদাঁত বের করেছে যে বেলা সামান্য বাড়তেই রাস্তা থেকে ঘরে ঢুকে পড়ছেন মানুষজন। পরিস্থিতি দেখে তড়িঘড়ি বাচ্চাদের স্কুল সকালে করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি গরমের ছুটিও এগিয়ে আনা হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ২ মে থেকেই গরমের ছুটি পড়তে চলেছে স্কুলগুলিতে। সেক্ষেত্রে কার্যত মে মাসের শুরু থেকেই গরমের ছুটির সুযোগ মিলছে পড়ুয়াদের। উল্লেখ্য, গত বছরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২ মে তারিখে এগিয়ে আনা হয়েছিল ছুটি। বৃহস্পতিবার এই মর্মে সরকারি নির্দেশিকা জারি হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share