Tag: Hyderabad

Hyderabad

  • Modi: ফের পরিবারতন্ত্রের প্রতি কটাক্ষ মোদির

    Modi: ফের পরিবারতন্ত্রের প্রতি কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন মঞ্চ থেকে বারবার পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি জয়পুরে অনুষ্ঠিত বিজেপির জাতীয় বৈঠকেও কংগ্রেসের ‘পরিবারবাদী’ রাজনীতির সমালোচনা করেন মোদি। এবার হায়দরাবাদে (Hyderabad) এক জনসভায় তেলঙ্গানায় ক্ষমতাসীন দল টিআরএসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুললেন তিনি। এদিন পরোক্ষে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে (KCR) কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী।  বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে (Hyderabad) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে দেখা না করে এদিনই বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার কাছে  গিয়েছেন কেসিআর। 

    এদিন মোদি বলেন, তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের জন্য শুধু একটি পরিবারই লড়াই করেনি। এই রাজ্য থেকে কেবল একটি পরিবারের লোকই সবরকম সুবিধা নেবে, এমনটাও ঠিক নয়। পরে তিনি বলেন, আমাদের দেশের বহু দলে পরিবারতন্ত্র কায়েম হয়ে বসেছে। সেজন্যই যুবকরা সুযোগ পাচ্ছে না। মোদির কথায়, “পরিবারবাদী দলের নেতারা কেবল নিজেদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেন। তাঁরা গরিব লোকজনের কথা ভাবেন না। তাঁরা চেষ্টা করেন যাতে একটি দলই ক্ষমতায় থাকতে পারে এবং যত বেশি সম্ভব সম্পদ লুঠ করতে পারে।”

    দলীয় কর্মীদের সভায় মোদি বলেন, “পরিবারভিত্তিক রাজনীতি কেবল একটি সমস্যা নয়, তা গণতন্ত্রের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ। যে দলগুলি একটি পরিবারের কথায় চলে, তারা কতদূর দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পারে, দেশের মানুষ তা দেখেছে।” কেসিআরের সরকারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সারা দেশ দেখছে, কীভাবে তেলঙ্গানার মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।” পরে মোদি বলেন, তেলঙ্গানায় বিজেপি কর্মীরা আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে উঠছেন।
    মোদির কথায়, “পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি তোষণের রাজনীতি করে। তাদের মূল লক্ষ্য থাকে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভর্তি করা।” 

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি তেলঙ্গানায় টেকনোলজিক্যাল হাব গড়ে তুলতে চায়। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর ‘কুসংস্কার’ নিয়েও কটাক্ষ করেন মোদি। তিনি বলেন, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তিরা রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারেন না। তাঁর কথায়, “আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বাস করি। আমি যোগী আদিত্যনাথকে অভিনন্দন জানাই। তিনি সাধু। কিন্তু কুসংস্কারে বিশ্বাসী নন। কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তিদের হাত থেকে তেলঙ্গানাকে রক্ষা করতে হবে।”

  • Hyderabad Killing: স্ত্রী সুলতানাকে ইদের উপহার কিনে দিতে সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন নাগারাজু

    Hyderabad Killing: স্ত্রী সুলতানাকে ইদের উপহার কিনে দিতে সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন নাগারাজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীকে ইদের উপহার কিনে দিতে নিজের গলার সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন তেলাঙ্গানার খুন হওয়া হিন্দু যুবক। উপহার কেনার আগেই অবশ্য স্ত্রীর ভাইয়ের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন ওই যুবক। কৃষ্ণবেশে স্বামীর একটা ছবিই আপাতত বুকে জড়িয়ে ধরে লাগাতার কেঁদে চলেছেন আসরিন সুলতানা ওরফে পল্লবী। এতদিন পতিগৃহে যাত্রা করতে না পারলেও, এখন পেরেছেন। যতদিন বাঁচবেন স্বামীর ভিটে ছেড়ে কোথাও নড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বছর পঁচিশের ওই তরুণী।

    ভালবেসে মুসলিম সহপাঠীকে বিয়ে করেছিলেন তেলাঙ্গানার সারুরনগর এলাকার হিন্দু যুবক বছর ছাব্বিশের বিল্লাপুরাম নাগরাজু। বিয়ের পরে পরেই গা ঢাকা দেন নবদম্পতি। পাছে হিন্দু স্বামীর কোনও ক্ষতি তাঁর আত্মীয়রা যাতে না করতে পারেন, তাই নাম বদলে সুলতানা হয়ে যান পল্লবী। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে কাজে যোগ দেন নাগরাজু। এর পরেই রাতের অন্ধকারে বাইকে চড়ে এসে তাঁকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে খুন করে সুলতানার এক ভাই ও তার বন্ধু। সেদিনের সেই নৃশংসতার ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুলতানার। তিনি বলেন, কয়েকটা মুহূর্তের মধ্যেই অন্তত ৩০-৩৫ বার লোহার রড দিয়ে আমার ভাই ও তার এক বন্ধু নাগরাজুর মাথায় আঘাত করছিল। সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমে গিয়েছিল। সাহায্যের জন্য অনুনয়-বিনয় করলাম। সবাই খুনের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করতেই ব্যস্ত। কেউ সাহায্য করল না আমাকে। চোখের সামনেই ছটফট করতে করতে মারা গেল আমার স্বামী।

    আরও পড়ুন : ভিনধর্মের যুবতীকে বিয়ে, প্রাণ গেল দলিত যুবকের, ধৃত স্ত্রীর ভাই সহ ২

    নাগরাজুর মৃত্যুর পরে স্বামীর ভিটেয় ফিরে এসেছেন সুলতানা। স্বামীর পরিবার তাঁদের বিয়ে মেনে না নেওয়াতেই তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এদিক-সেদিক। নাগরাজুর মৃত্যুর পরে তাঁর শোকে কাতর পরিবারকে সান্ত্বনা দিতেই ভিটেয় ফিরেছেন সুলতানা। স্বামীর একটি ছবি বুকে নিয়ে কেঁদে চলেছেন অনর্গল। স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করলেও, তিনি যে স্বামীর ভিটে ছেড়ে কোত্থাও যাবেন না, কান্নাভেজা গলায় তা জানিয়ে দিয়েছেন ভিন ধর্মের ওই তরুণী।

    নাগরাজু যে তাঁকে কত ভালবাসতেন, কাঁদতে কাঁদতে বারবার সেকথাই বলছিলেন সুলতানা। তিনি জানান, তাঁকে ইদের উপহার কিনে দিতে চারমিনারে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন নাগরাজু। সেজন্য গলার দামি সোনার চেনটা মাত্র ২৫ হাজার টাকা বিক্রিও করে দিয়েছিলেন। সেই টাকা এনে তাঁর হাতে দিয়েওছিলেন স্বামী। তারপর…। হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন সদ্য বিধবা তরুণী। ওড়নার আঁচল দিয়ে কান্না রোধের নিষ্ফল চেষ্টাও করতে দেখা যায় তাঁকে।    

LinkedIn
Share