Tag: I day

I day

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে।” বাংলাদেশের (1971 Liberation War) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউনূসকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সব সময় আমাদের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক আলো। আমরা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    উপেক্ষিত মুজিব (PM Modi)

    বুধবার, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে বাংলাদেশ। এদিন ইউনূস সরকার স্বাধীনতা ঘোষণার কথা উল্লেখ করে। যদিও কার অবদানে দেশ স্বাধীনতা পেল, কীভাবেই বা স্বাধীন হল দেশ, প্রেক্ষিতই বা কী – এসবের কোনও উল্লেখই ছিল না রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে। অথচ, পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আলোকবর্তিকা করে স্বাধীনতার লড়াই শুরু করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ন’মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে আসে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধে যে ভারতের বিরাট অবদান ছিল, তা ইতিহাস স্বীকৃত। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশবাসীকে সেই ইতিহাসও ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। একইভাবে, অত্যন্ত সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টাও চলছে বলে অভিযোগ।

    মোদির শুভেচ্ছা-বার্তায় মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখ

    দেশের স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নামোল্লেখ না থাকায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসীর একাংশ। এদিনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে চিঠি লিখে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই চিঠিটিই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে ভারতের হাই-কমিশন। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে সেদিন ইউনূসকে লেখা চিঠিতে ঠিক কী লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন একাত্তরের ওই লড়াইয়ে ভারতের অবদানের কথা। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

    সরানো হল মুজিবের ছবি

    এদিকে, দেশে তো বটেই, বিদেশি কূটনৈতিক ভবনগুলি থেকেও সরিয়ে ফেলা হয় মুজিবের ছবি। কলকাতা উপ-দূতাবাস ও নানা দেশের যে সব কূটনৈতিক ভবনে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য রয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই সেগুলি কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এদিন প্রায় সব দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদেশ উপদেষ্টার লিখিত ভাষণ পাঠ করা হয়। পরে হয় আলোচনা সভা। সেখানেও ব্রাত্যই ছিলেন মুজিব। অবশ্য পাকিস্তানের নামোল্লেখ করা হয়নি। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ‘দখলদার’ শব্দটি (PM Modi)।

    স্বাধীনতা দিবসে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’র ছবি!

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর। আধ ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রটি সব কূটনৈতিক ভবনে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউরোপের একটি দেশের বাংলাদেশি কূটনীতিক জানান, ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শীর্ষক এই তথ্যচিত্রটিতে একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথাই নেই। পুরোটাই শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের কাহিনি। তিনি বলেন, এই তথ্যচিত্র দেখিয়ে দিয়েছে, ইউনূস সরকার এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছে একাত্তর নয়, জুলাই আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলন। তিনি জানান, সরকারি তথ্যচিত্রটিতে সেন্সরের সাধারণ নিয়মটুকুও মেনে চলা হয়নি। অবাধে দেখানো হয়েছে হিংসা, রক্ত, রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহের ক্লোজ আপ এবং ছিন্নভিন্ন দেহাংশও। এর সবগুলিই দর্শককে আতঙ্কিত করে তোলে। কলকাতার উপ-দূতাবাস ও আগরতলার সহকারি দূতাবাসেও মুজিব এবং ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই দুই জায়গায়ই দেখানো হয়েছে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’।

    মোদির চিঠি

    বাংলাদেশে অবস্থিত (1971 Liberation War) ভারতীয় হাইকমিশনের শেয়ার করা এক বার্তায় বাংলাদেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্ককে পরিচালিত করে চলেছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ হয়েছে এবং আমাদের জনগণের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা দিয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের অভিন্ন আকাঙ্খা এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে আরও বিকশিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণকে সামরিক, কূটনৈতিক ও মানবিক সাহায্য দিয়েছিল। পাক সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ভারতীয় সেনা। যার ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পরাজয় ঘটে পাকিস্তানের (1971 Liberation War)। ‘দখলদার’ মুক্ত হয় বাংলাদেশ (PM Modi)।

  • Sadguru: “মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন উভয় ক্ষেত্রেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত”, বললেন সদগুরু

    Sadguru: “মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন উভয় ক্ষেত্রেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত”, বললেন সদগুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ স্বাধীন হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। তার আটশো থেকে নশো বছর আগে ধ্বংস হতে বসেছিল ভারতের সংস্কৃতি। কিন্তু সেই সংস্কৃতি বেঁচে রয়েছে। মানবিক উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নতি দুই ক্ষেত্রেই ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের দিন এমনই অভিমত পোষণ করলেন আধ্যাত্মিক নেতা সদগুরু (Sadguru)।

    সদগুরুর বক্তব্য

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এদিন কোয়েম্বাতুরের ঈশা যোগ সেন্টারে ভাষণ দিচ্ছিলেন সদগুরু। সেখানেই তিনি বলেন, “আটশো থেকে নশো বছর আগে আমরা বিপন্ন হতে বসেছিলাম। যা এই গ্রহের আর কোনও দেশকে হতে হয়নি। আমরা যখন গণহত্যার কথা বলি, তখন আমরা চেঙ্গিশ খানের কথা বলি, আমেরিকার উপজাতি অথবা আফ্রিকার মানুষদের ক্রীতদাসে পরিণত করার কথা বলি কিংবা অ্যাডফ হিটলার যেভাবে মানুষ নিধন যজ্ঞ করেছিলেন, তার কথা বলি। কিন্তু আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই এই বলে যে, ভারতের মতো আর কোনও দেশকেই এভাবে বিধ্বস্ত হতে হয়নি।”

    ‘জীবন্ত স্পিরিট’

    ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়েও কীভাবে ভারত তার সংস্কৃতিকে ধরে রাখল, সে ব্যাখ্যাও এদিন দিয়েছেন সদগুরু (Sadguru)। তিনি বলেন, “এ দেশে অনেক কিছুই ঘটেছে। তা সত্ত্বেও দেশবাসী তাঁদের স্পিরিটটাকে ধরে রেখেছিলেন। তবে এই স্পিরিট দেশবাসীর ফাইটিং স্পিরিট নয়। এটা ভারতের একটা সুন্দর প্রকৃতি। এটা একটা জীবন্ত স্পিরিট। সচরাচর দেশবাসী তাঁদের মধ্যে ফাইটিং স্পিরিট পুষে রাখেন। তবে আমরা যাঁরা ভারতবাসী, আমাদের মধ্যে কোনও ফাইটিং স্পিরিট নেই। আমরা কারও সঙ্গে লড়াই করতে চাই না। আমরা শুধু চাই বাঁচতে, প্রত্যেককে বাঁচতে দিতে।”

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ‘কালো দিন’ পালন সিন্ধ-বালোচ ফোরামের

    সদগুরু বলেন, “এটা এমন একটা জাতি, যা সর্বদা সভ্যতাকেই আঁকড়ে ধরে, বিশ্বকে আঁকড়ে ধরে। ভারত এটা করে তার সংস্কৃতি দিয়ে, তার সঙ্গীত দিয়ে, তার বিজ্ঞান দিয়ে, তার বাণিজ্য দিয়ে এবং সর্বোপরি তার আধ্যাত্মিক পদ্ধতি দিয়ে। এই পথেই আমরা বিশ্বকে প্রভাবিত করি।” তিনি (Sadguru) বলেন, “তাই স্বাধীনতার এই পুণ্য দিনে আসুন আমরা শপথ নিই আমরা যেন অন্তর্ভুক্তিকরণ করতে পারি। এবং এভাবেই বিশ্বনেতা হতে পারি। এমন একটা জাতি গঠন করতে পারি, যারা কেবল মানব কল্যাণের কথাই ভাববে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “হারতে শেখেনি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর নয়া ভারত”, স্বাধীনতা দিবসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “হারতে শেখেনি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর নয়া ভারত”, স্বাধীনতা দিবসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা যখন কোনও কাজে মনস্থির করি, তখন সেই কাজটা আমরা করেই ছাড়ি।” মঙ্গলবার ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবার ১০তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিলেন মোদি।

    ডেস্টিনেশন ২০৪৭

    এই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, “আমরা যখন কোনও কাজে মনস্থির করি, তখন সেই কাজটা আমরা করেই ছাড়ি। এ ব্যাপারে আমাদের ধারাবাহিক রেকর্ড রয়েছে। এই হচ্ছে নতুন ভারত। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। ইয়ে ভারত না রুখতা হ্যায়, না ঠকতা হ্যায়, না হাঁফতা হ্যায়, আউর না হি হারতা হ্যায় (আজকের ভারত থামে না, ক্লান্ত হয় না, হাঁপিয়ে ওঠে না অথবা হেরে যায় না)।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের লক্ষ্য হল ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। স্বাধীনতার শতবর্ষেই এটা হবে। আগামী পঁচিশ বছরের মধ্যে আমরা অবশ্যই ঐক্যের মন্ত্রের দিকে এগোব।”

    ‘এই সরকার স্বলক্ষ্যে অটল’

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আমরা যখন নতুন পার্লামেন্ট ভবন গড়ার সিদ্ধান্ত নিই, তখন অনেকে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমাদের সরকার সেই ভবন তৈরি করেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে নয়া পার্লামেন্ট ভবনই ছিল গোটা দেশের আলোচনার বিষয়বস্তু। কিন্তু এই মোদি, আমরা নয়া পার্লামেন্ট ভবন গড়ে তোলার কাজ শেষ করেছি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। এই সরকার স্বলক্ষ্যে অটল। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে।” প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে নয়া পার্লামেন্ট ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে সংসদের দুই সভা লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করে সরকার। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: আগামী বছরও লালকেল্লায় ভাষণ দেবেন মোদি, প্রত্যয় ঝরে পড়ল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে

    আমেদাবাদের সবরমতি আশ্রমে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালনের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২১ সালের ১২ মার্চ তিনি ওই ঘোষণা করেছিলেন। চলতি বছরকে ‘অমৃত কাল’ হিসেবে পালনের কথাও বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে দিল্লির ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। তার পর থেকে দেশে বইছে উন্নয়নের জোয়ার। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত দখল করছে পঞ্চম স্থান। যে জায়গাটা এতদিন দখল করেছিল ইংল্যান্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • 75th Independence Day: আজ ১৫ অগাস্ট, ফিরে দেখা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস

    75th Independence Day: আজ ১৫ অগাস্ট, ফিরে দেখা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার (Independence) পঁচাত্তর বছর পূর্তি। দেশজুড়ে সাজ সাজ রব। ভারত সরকার (India Govt.) হাতে নিয়েছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। দেশের স্বাধীনতা আনতে গিয়ে যাঁরা প্রাণ বলিদান দিয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতিতর্পণ চলছে বছরভর ধরে। পালিত হয়েছে হর ঘর তিরঙ্গা (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচিও। আসুন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ফের একবার মনে করে নিই বিশেষ বিশেষ ঘটনাগুলি।

    ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ: স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধটি হয়েছিল ১৮৫৭ সালে। দেশবাসী একে জানেন সিপাই বিদ্রোহ হিসেবে। মঙ্গল পাণ্ডে, বাহাদুর শাহ জাফর, রানি লক্ষ্মীবাই এবং নানা সাহিব রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ব্রিটিশ সৈনদের বিরুদ্ধে। পরে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে।

    স্বদেশি আন্দোলন: উনবিংশ শতাব্দীতে শুরু হয় স্বদেশি আন্দোলন। বিদেশি দ্রব্য বর্জন করে দেশীয় জিনিস ব্যবহার করার ডাক দেওয়া হয়। বাল গঙ্গাধর তিলকের মতো নেতারা দেশবাসীকে স্বদেশি দ্রব্য ব্যবহার করার আহ্বান জানান। পরবর্তীকালে তিলক এবং জেআরডি টাটা মিলে চালু করেন বিখ্যাত বম্বে স্বদেশি কো-অপারেটিভ স্টোর্স কোম্পানি।

    ভারত ছাড়ো আন্দোলন: ১৯৪২ সালের ৮ অগাস্ট শুরু হয় ভারত ছাড়ো আন্দোলন। এদিনই মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির বম্বে অধিবেশন বসে। এই আন্দোলন ছিল অহিংস আন্দোলন।

    প্রথম জাতীয় পতাকা: ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকায় ছিল সবুজ, হলুদ এবং লাল রং। ১৯০৬ সালের ৭ অগাস্ট কলকাতার পার্সি বাগান স্কোয়ারে তোলা হয় ওই পতাকা। বর্তমানে যে জাতীয় পতাকা দেখি, তা প্রথম দেখা যায় ১৯২১ সালে। তিরঙ্গা ওই পতাকায় রয়েছে গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ। ২৪ স্পোকের অশোক চক্রও রয়েছে। জাতীয় এই পতাকার ডিজাইন করেছিলেন পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়া। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই এটি গ্রহণ করা হয়। সরকারিভাবে এই জাতীয় পতাকা তোলা হয় ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন।

    ভারতের জাতীয় সঙ্গীত: ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় কোনও জাতীয় সঙ্গীত ছিল না। ১৯১১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন ভারত ভাগ্য বিধাতা। পরে এর নাম হয় জনগণমন। ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে একে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

    র‌্যাডক্লিফ লাইন: ভারত পাকিস্তানের মধ্যে র‌্যাডক্লিফ লাইন টানা হয় ১৯৪৭ সালের ৩ অগাস্ট। পাঞ্জাব ও পাকিস্তানের সীমান্ত ও বাংলা রিজিয়ন প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৭ অগাস্ট।

    ভারতের জাতীয় গীত:  ১৮৮০ সালে জাতীয় গীত বন্দে মাতরম লিখেছিলেন আনন্দমঠের রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধান পরিষদ একে জাতীয় গীত হিসেবে গ্রহণ করে।

    ভারতের স্বাধীনতা: ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায় কঙ্গো, বাহরিন, কোরিয়া এবং লিচেস্টাইনের সঙ্গে ভারতও। ভাগ হয়ে যায় ভারত ও পাকিস্তান।

    কেন ১৫ অগাস্ট? ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ১৯৪৮ সালের ৩০ জুন ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছিলেন। ভারতীয় নেতারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন। পরে ব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হন ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট। তিনি জানান, দেশে আরও কোনও প্রতিবাদ দেখতে চান না তিনি।

    প্রথম তিরঙ্গা উত্তোলন: স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় প্রথমবার উত্তোলন করেন তিরঙ্গা পতাকা। দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, গোটা পৃথিবী যখন ঘুমোচ্ছে, তখন ভারত জাগবে নতুন জীবন ও স্বাধীনতা নিয়ে।

     

LinkedIn
Share