Tag: ICC Champions Trophy 2025

  • ICC Champions Trophy: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে হিংসা! কেন দুবাইয়ের মঞ্চে নেই আয়োজক পাকিস্তান?

    ICC Champions Trophy: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে হিংসা! কেন দুবাইয়ের মঞ্চে নেই আয়োজক পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ফাইনালে একজনও প্রতিনিধি না পাঠানোর জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে ভারত শিরোপা জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিসিসিআই-এর সভাপতি রজার বিনি এবং সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি) পরিচালক রজার টোয়েস মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও আয়োজক দেশ হিসেবে অনুপস্থিত ছিল পাকিস্তান। বিতর্কের মুখে আইসিসির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি রবিবার দুবাইয়ে আসতে পারেননি। তাঁকে পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী শুধু বোর্ড কর্তারাই পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে থাকতে পারেন। পিসিবির অন্য কোনও কর্তাও ছিলেন না। পাকিস্তানই প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক। পিসিবির পক্ষে কারও উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।’’

    প্রশ্ন প্রাক্তন পাক তারকারই

    এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তন পাক তারকা শোয়েব আখতার। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওবার্তায় শোয়েব বলেন, “ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নিয়েছে। ভারতকে অভিনন্দন। যোগ্য দল হিসেবেই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু আমি একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কেউ ছিল না ফাইনাল ম্যাচে। অথচ পাকিস্তানই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। কেউ কোনও ট্রফি দিতে এল না? কেন কেউ এখানে উপস্থিত নেই? এটা নিয়ে ভাবা উচিত। এটা একটা আন্তর্জাতিক মঞ্চ। এখানে আসা উচিত ছিল পাক বোর্ডের প্রতিনিধিদের।” অন্য আরও একটি ভিডিও বার্তায় তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় দলকে। সেখানে তিনি বলেন, “টুর্নামেন্টের সেরা দল ভারত। বরুণ অসাধারণ বল করেছে। বিরাটের কামব্যাক ঘটেছে। রোহিত আজ দারুণ খেলল। তাঁরা দেখিয়ে দিল কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে হয়। ভারতকে অভিনন্দন। ওরা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে।”

    পিসিবির ক্ষোভ

    যদিও জানা গিয়েছে, ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন পিসিবির সিইও সুমাইর আহমেদ। তিনি প্রতিযোগিতার ডিরেক্টরও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সুমাইরই ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি। তবু তাঁকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আইসিসির পক্ষে সমাপ্তি অনুষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তেরা নাকি সুমাইরের উপস্থিতির কথা জানতেন না। আইসিসির এক কর্তা জানিয়েছেন, ভুল বোঝাবুঝি বা যোগাযোগের অভাবের ফলে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আইসিসির ব্যাখ্যায় অসন্তুষ্ট পিসিবি।

    সমালোচনার মুখে পাকিস্তান

    ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) আয়োজনের দায়িত্ব ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছিল যে নিরাপত্তার কারণে টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তান যাবে না। শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রত্যেকটা ম্যাচ দুবাইয়ে আয়োজন করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে আয়োজক দেশ পাকিস্তান হলেও ফাইনাল ম্যাচ দুবাইয়ে আয়োজন করা হল বলে অনুপস্থিত পাকিস্তান। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে পাকিস্তানের ভূমিকা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেটা পরিকাঠামো হোক বা ম্যাচ আয়োজন। কিন্তু তা বলে ফাইনালে পাকিস্তান বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন না? যতই হোক, তারাই তো আয়োজক। সেটা কি ভারতের সাফল্যে ‘রাগ’ করে?

  • ICC Champions Trophy: শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে অবসর জল্পনায় জল রোহিতের

    ICC Champions Trophy: শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে অবসর জল্পনায় জল রোহিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনই খেলা ছাড়ছেন না, বিশেষ করে একদিনের ক্রিকেট। এটাই তাঁর সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাট। খেলতে পারেন ২০২৭ বিশ্বকাপেও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) জিতে অবসরের জল্পনায় জল ঢাললেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। সেরা ছেলেদের হাতেই রেখে যাবেন ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব, ম্যাচ শেষে শুভমন গিলকে পাশে নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা কিং কোহলির (Virat Kohli)। অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতল ভারত। রোহিত শর্মারা জেতার পরেই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা

    ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “একটা অসাধারণ খেলা। একটা অসাধারণ ফল। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেশে নিয়ে আসায় ক্রিকেট দলকে নিয়ে গর্বিত। গোটা প্রতিযোগিতায় সকলে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে। এই সাফল্যের জন্য দলের প্রত্যেককে অনেক শুভেচ্ছা।” প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্রিকেট প্রেমের কথা আগেও চোখে পড়েছে। এবারও রোহিতদের সাফল্য উচ্ছ্বসিত মোদি।

    ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) জয়ের কৃতিত্ব দলের সকলকে ভাগ করে দিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার জন্য ভারতীয় দলকে হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা। ভারত একমাত্র দল যারা তিন বার এই প্রতিযোগিতা জিতল। এই ইতিহাস তৈরি করার জন্য দলের ক্রিকেটার, ম্যানেজমেন্ট, সাপোর্ট স্টাফদের ধন্যবাদ। ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।” আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ (Jay Shah) টুইটারে দলের এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “একটি অত্যন্ত দৃঢ়সংকল্পিত নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand) দলের বিরুদ্ধে ভারতের অসাধারণ পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। পুরুষদের ক্রিকেটে পরপর দুটি আইসিসি ট্রফি জয়ের জন্য অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও অভিনন্দন, গত বছরের টি২০ বিশ্বকাপের পর।”

    আগ্রাসী ক্রিকেটই পছন্দ রোহিতের

    সঞ্চালক ইয়ান বিশপের প্রশ্নের উত্তরে রোহিত বললেন, “দারুণ লাগছে জিততে পেরে। গোটা প্রতিযোগিতা জুড়েই আমরা ভালো খেলেছি। ফাইনালেও জেতার অনুভূতিটা বাকিগুলোর থেকে আলাদা। যে ভাবে খেলেছি সেটা বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে। আগ্রাসী ক্রিকেটই পছন্দ।” এদিন এক সময় টানা উইকেট পড়লেও যে ভাবে কেএল রাহুল শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচ বার করে দিয়েছেন তার প্রশংসা করেছেন রোহিত। একইসঙ্গে বোলার বরুণ চক্রবর্তীর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। রোহিতের কথায়, “কেএলের মানসিকতা নিয়ে কী আর বলব। চাপে পড়লে কখনও সেটা দেখাতে ভালোবাসে না। আজ একাই ম্যাচটা শেষ করে এল। চাপের মুখে ঠিক যে শটটা খেলতে হবে সেটাই খেলে। বাকিদের স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ করে দেয়। আজ যে রকম হার্দিককে খোলা মনে খেলতে দিল। আর, বরুণের মধ্যে আলাদা একটা ব্যাপার রয়েছে। এ ধরনের পিচে খেলতে গেলে ওর মতো বোলারদেরই দরকার।” কৃতজ্ঞতা জানালেন দুবাইয়ের দর্শকদেরও। রোহিত বললেন, “যাঁরা মাঠে এসে আমাদের সমর্থন করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এখানকার দর্শকরা বরাবরই অসাধারণ। দুবাই আমাদের ঘরের মাঠ নয়। কিন্তু সমর্থকদের জন্যই এটা ঘরের মাঠ হয়ে উঠেছিল।”

    চাপের মুখে খেলার জন্য মুখিয়ে তরুণরা

    মিনি বিশ্বকাপ জেতার পর বিরাট কোহলি বলেন, “এই জয়ের অনুভূতি অসাধারণ। আমরা অস্ট্রেলিয়া সফরের পর ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। একগুচ্ছ তরুণদের সঙ্গে খেলতে পেরে দারুণ লাগছে। ওরা ভালো ছন্দে রয়েছে। টিম ইন্ডিয়াকে সঠিক পথে নিয়ে যাচ্ছে। এতদিন ধরে খেলার পরও চাপের মুখে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকি। খেতাব জেতার জন্য পুরো টিম বিভিন্ন ম্যাচে নানাভাবে এগিয়ে এসেছে। এই ধরণের টুর্নামেন্ট এলে দলের সকলে জেতার কথাই ভাবে। আমাদের দলগত প্রচেষ্টার ফলে এই ট্রফি জিতলাম।” দলে একগুচ্ছ তরুণ ক্রিকেটার, এরাই ভারতের ভবিষ্যত। বিরাট বললেন, “দলের তরুণদের সঙ্গে আমি আমার অভিজ্ঞতা বরাবর শেয়ার করি। কীভাবে এতগুলো বছর ধরে আমি খেলেছি, কোন পরিস্থিতিতে কী করি, সবই ওদের সঙ্গে শেয়ার করি।”

    অবসরের ভাবনা জাদেজার!

    রোহিত-কোহলি (Rohit-Kohli) ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) আগে অবসরের জল্পনা চলছিল রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়েও। দুবাইয়ে ১০ ওভার বল করেছেন জাডেজা। মাত্র ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। টম লাথামকে আউট করেন জাডেজা। তার পরেই দেখা যায়, কোহলি গিয়ে জাডেজাকে জড়িয়ে ধরেছেন। দু’জনের মধ্যে কিছু কথা হয়। সেই দৃশ্য নজরে পড়ে দর্শকদের। তার পরেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগে খেলা চলাকালীন অশ্বিন ও স্মিথকেও জড়িয়ে ধরেছিলেন কোহলি। তারপরই তাঁরা অবসরের কথা জানান। তাই এদিন কোহলি-জাদেজা আলিঙ্গনেও বাড়ে জল্পনা। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরের দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছেন জাদেজা। ভারতের টেস্ট দলে নিয়মিত খেলেন তিনি।

  • ICC Champions Trophy: বদলার ফাইনাল, কঠিন প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড! গ্যালারি জুড়ে তেরঙা ওড়ানোর ডাক বিরাটের

    ICC Champions Trophy: বদলার ফাইনাল, কঠিন প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড! গ্যালারি জুড়ে তেরঙা ওড়ানোর ডাক বিরাটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ বেলায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। রবিবার দপবাইয়ে মুখোমুখি ভারত ও নিউজল্যান্ড। অতীত বলছে আইসিসি খেতাব দখলের লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের কাছে মাঝেমাঝেই ধাক্কা খেয়েছে ভারত। রবিবারও লড়াইটা সহজ হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনায়াসে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের পর ফাইনালেও ২৫ বছর আগে এমনই এক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (সেই সময় নাম ছিল আইসিসি নক-আউট) ফাইনালে খেলতে নেমেছিল ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। সেইবার ট্রফি জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। তবে এবার বদলা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে রোহিতদের কাছে। ইতিমধ্যেই গ্যালারি ভর্তি হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তান হয়েও সেখানে মাঠ ভরেনি। কিন্তু রবিবার ফাইনালে ভারত। টিকিট সব শেষ।

    বিরাট আবেদন-লহেড়া দো

    ইতিমধ্যে টিম ইন্ডিয়ার তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওয় বিরাট ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যেন মাঠে আসেন এবং টিম ইন্ডিয়াকে সাপোর্ট করেন। কিং কোহলি বললেন, ‘‘আমি ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের শুধুমাত্র একটাই কথা বলতে চাই। মাঠে আসুন। আমাদের সাপোর্ট করুন। প্রত্যেকবার যেভাবে বিশাল সংখ্য়ক সমর্থক মাঠে এসে আমাদের সাপোর্ট করেন, এবারও আপনাদের থেকে তেমনই সাপোর্ট আমাদের দরকার।’’ সঙ্গে বিরাট আরও যোগ করেছেন, ‘‘ভারত থেকে দুবাই তো আর খুব বেশি দুরে নয়। সেকারণে আমি বিশ্বাস করি, ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা এখানেও স্টেডিয়াম খুব দ্রুত ভরিয়ে দেবেন। আপনাদের এই সমর্থনকে আমরা সবসময় সম্মান করি। বিশেষ করে বড় ম্যাচে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে আপনারা সবসময় আমাদের পাশে থাকেন। সেকারণে আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’’ সবশেষে বিরাট বললেন, ‘‘আমরা সবসময় জেতার চেষ্টা করি। মাঠের মধ্যে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিই। ভারতের পতাকা আরও উঁচুতে ওড়াতে চাই। সেকারণে দয়া করে মাঠে আসুন। আমাদের সাপোর্ট করুন। আপনার মুখের হাসি আমরা মুছতে দেব না।’’

    কত টাকায় বিকোল টিকিট

    দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রায় ২৫,০০০ দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন। ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যে আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচের জন্য গোটা স্টেডিয়াম ভর্তি হয়ে গিয়েছে। স্টেডিয়ামে ২৫ হাজার আসনের টিকিট চোখের নিমেষেই ফুরিয়ে গিয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের টিকিট মোটামুটি ৬,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়েছিল। আর এই টিকিট সর্বাধিক দাম গিয়ে ঠেকেছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭১ টাকায়। এই টিকিট কাটলে আপনাকে হসপিটালিটি বক্সে বসে ম্যাচ দেখার যাবতীয় সুযোগ সুবিধে দেওয়া হবে। মজার ব্যাপার, এই টিকিটও ইতিমধ্যে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে।

    ভারত-নিউজিল্যান্ড অতীত রেকর্ড

    আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপের ইতিহাসে, দুটি দল ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে। নিউজিল্যান্ড এবং ভারত প্রত্যেকেই ৫টি করে ম্যাচ জিতেছে এবং একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। তাছাড়া, এই একই কিউই দল ২০১৯ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের যাত্রা শেষ করেছিল। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত কখনও নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। দুটি দল তিনবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে, যার তিনটি ম্যাচই কিউই দল জিতেছে। দুটি দল এর আগে ২০২১ সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে নিউজিল্যান্ড ভারতকে হারিয়ে তাদের প্রথম আইসিসি ইভেন্ট শিরোপা জিতেছিল। তবে একদিনের ক্রিকেটে অতীতে ভারত এবং নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে ১১৯টি ম্যাচে। তার মধ্যে ৬১টি ম্যাচ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের জয় ৫০টি ম্যাচে।

    নিউজিল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) আট দলের মধ্যে ভারতীয় দলের স্পিন আক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা শুধু নিউজিল্যান্ডের রয়েছে। সেই দলের অধিনায়ক বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। সেই সঙ্গে রয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল, গ্লেন ফিলিপ্স এবং রাচিন রবীন্দ্র। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিল্ডিংয়ে সবচেয়ে বেশি দক্ষতা দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপ্স যেমন কিছু অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিয়েছেন, তেমনই রান বাঁচিয়েছেন বাকি ফিল্ডারেরা। বিপক্ষের জন্য যা কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে দেয়। গত ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০-৪০ রান ফিল্ডিংয়ে বাঁচিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩০-৪০ রান বাঁচিয়ে দিলে চাপ তৈরি হয়ে যাবে যে কোনও দলের। স্যান্টনার বলেছেন, “দুবাইয়ে গিয়ে ভারতকে চাপে ফেলে দেওয়া আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। কোন কৌশল কাজে লাগবে এবং কোনটা লাগবে না সেটা বুঝতে পেরেছি। বোলারেরা যে ভাবে ভারতের টপ অর্ডারকে বিপদে ফেলেছিল সেটা ভাল লেগেছিল। আরও এক বার টস জিততে পারলে ভাল লাগবে।”

    অপরাজিত ভারত

    আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছে রোহিত শর্মার ভারত। সামনে এ বার নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। গ্রুপ পর্বে কিউয়িরা শুধুমাত্র হেরেছিল ভারতের (India) কাছে। গ্রুপের ম্যাচে জিততে না পারলেও নিউজিল্যান্ড দল যথেষ্ট চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারতকে। টপ অর্ডারকে কম রানে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছিলেন কিউয়ি বোলারেরা। সেই একই কাজ ফাইনালেও করে দেখাতে চায় তারা। অন্যদিকে ভারত চায়, ফের জ্বলে উঠুক বিরাট ব্যাট, শতরান পান রোহিত। বরুণ চক্রবর্তীয় মিস্ট্রি স্পিনে ঘায়েল হকো কিউইরা। শামির স্বপ্নের স্পেলে খরের মতো উড়ে যাক নিউজিল্যান্ড। ফের একবার আইসিসি খেতাব হাতে তেরঙা নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করুন রোহিত-কোহলি জুটি।

    আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল ম্যাচটি ভারতীয় সময় অনুযায়ী শুরু হবে দুপুর ২.৩০ মিনিটে। ম্যাচের আগে ২টো নাগাদ টস হবে। ফাইনাল ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্টার স্পোর্টস ২ ও স্পোর্টস ১৮-১ এবং স্পোর্টস ১৯-খেল। এ ছাড়া মোবাইলে দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপ্লিকেশনে।

  • India Vs New Zealand: ছিটকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের দৌড়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড

    India Vs New Zealand: ছিটকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের দৌড়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড (India Vs New Zealand)। বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন মিচেল স্যান্টনাররা। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টানা তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছে ভারত। এবার লড়াই ট্রফি জয়ের।

    লাল বলে হারের বদলা সাদা বলে

    গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) ফাইনালে হারের বদলা গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে নিয়েছেন রোহিতরা। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গত এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালের বদলাও নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এ বার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ রোহিতদের সামনে। তা ছাড়া প্রথম টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। তাই আগামী রবিবার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে একসঙ্গে জোড়া হারের বদলা নিতে পারবে ভারতীয় দল।

    নিউজিল্যান্ডের নজির

    বুধবার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও (ICC Champions Trophy 2025) ‘চোকার্স’ তকমা ঘুচল না দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৬২ রান করে নিউ জিল্যান্ড। সেমিফাইনালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে দলগত সর্বোচ্চ রানের নজির গড়ল কিউইরা। জবাবে টেম্বা বাভুমাদের ইনিংস শেষ হয় ৩১২ রানে। নিউজিল্যান্ডের জয়ের কারিগর কেন উইলিয়ামসন এবং রাচিন রবীন্দ্র। দু’জনেই শতরান করেন লাহোরের ২২ গজে। তাঁদের দাপটের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। কাজে এল না ডেভিড মিলারের শতরান।

    আগ্রাসী ভারত-লড়াকু নিউজিল্যান্ড

    ২৫ বছর পর ফের ভারত-নিউজিল্যান্ড (India Vs New Zealand) কোনও ওডিআই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি। ২০০০ সালের ফল ভারতের পক্ষে ছিল না। সেই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নাম ছিল আইসিসি নক-আউট প্রতিযোগিতা। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে হেরেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম ইন্ডিয়া। তবে ২৫ বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। ভারত এখন অনেক বেশি আগ্রাসী। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ লিগ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে (India Vs New Zealand) হারিয়েছিল ভারত। ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও রোহিত শর্মাদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। তবে, নিউ জিল্যান্ড লড়াকু দল। তাই ৯ মার্চ দুবাইয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড মধ্যে ফাইনাল হবে আকর্ষণীয়।

  • India Vs Australia: বিরাট-ব্যাটে ফাইনালে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না রোহিত

    India Vs Australia: বিরাট-ব্যাটে ফাইনালে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না রোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত। আমেদাবাদের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিল এই জয়। ঘরের মাঠে অপরাজিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায়নি ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে পরাজিত হতে হয়েছিল। দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়াকে (India Vs Australia) হারিয়েছে রোহিত-ব্রিগেড। ১১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত। দলটা অস্ট্রেলিয়া, তাই যেন ম্যাচ না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই জয়ের কৃতিত্ব গোটা দলকে দিয়েছেন তিনি।

    দলগত সাফল্যেই জয়

    এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অজিরা। জয়ের জন্য ভারতের কাছে লক্ষ্য ছিল ২৬৫ রান। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, “না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলাম না। ওদের ইনিংস শেষ হওয়ার পর মনে হচ্ছিল, জিততে গেলে আমাদের ভাল ব্যাট করতে হবে। আমরা সেটাই করেছি। সকলে ঠান্ডা মাথায় খেলেছে। জেতা ছাড়া আমাদের মাথায় কিছুই ছিল না। সকলে মিলে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি।”

    রো-‘হিটে’র নজির

    এদিন আইসিসি প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার নজির গড়লেন রোহিত। মঙ্গলবার রোহিত আইসিসির প্রতিযোগিতায় নিজের ৬৫তম ছক্কা মারলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ভেঙে দিলেন ক্রিস গেলের বিশ্বরেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ব্যাটার আইসিসির প্রতিযোগিতায় ৬৪টি ছক্কা মেরেছিলেন। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ছয়ের সংখ্যা ৪৯টি। চতুর্থ স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। আইসিসির প্রতিযোগিতায় তাঁর ছক্কার সংখ্যা ৪৫টি।

    চেজ মাস্টার কোহলি, ছাপিয়ে গেলেন সচিনকে!

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) সেমিফাইনালে ৮৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এল বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের জয় এনে দিল তাঁর ইনিংস। একই সঙ্গে আরও একটি কীর্তি গড়লেন কোহলি। রান তাড়া করতে নেমে এক দিনের ক্রিকেটে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসাবে বিবেচনা করা হয় কোহলিকে। তা যে শুধু কথার কথা নয়, তার প্রমাণ কোহলির পরিসংখ্যান। সচিন তেন্ডুলকরের পর বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে রান তাড়া করতে নেমে ৮০০০ রান পূর্ণ করলেন কোহলি। ১৭০টি ম্যাচে এই সাফল্য অর্জন করলেন তিনি। রান তাড়া করতে নেমে সচিন ২৪২টি ম্যাচে করেছেন ৮৭২০ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ৮৮.৪। কোহলি রান তাড়া করতে নেমে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ৯৩.৩ স্ট্রাইক রেটে। এ ক্ষেত্রে কোহলির গড় ৬৪.৭১। রান তাড়া করতে নেমে এখনও পর্যন্ত ২৪টি শতরান করেছেন কোহলি। সচিন করেছিলেন ১৪টি শতরান।

    কেন হাতছাড়া শতরান

    এদিন তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই এক দিনের আন্তর্জাতিকে ৫২তম শতরান হাতছাড়া করলেন কোহলি। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে বিরাট সে কথা মেনেও নিলেন। কোহলি বলেছেন, “যে সময় আউট হয়েছি, তখন শতরান হতে আর ২০ রান মতো বাকি ছিল। আমি চেয়েছিলাম তাড়াতাড়ি সেই রানটা করে নিয়ে আর দু’ওভারের মধ্যে খেলা শেষ করে দিতে। মাঝেমাঝে সে ভাবেই খেলতে চাই। তবে কখনও-সখনও আপনি যেটা চান সেটা কাজে লাগে না।” আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরিরর নিরিখে সবার উপরে রয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। কেরিয়ারে সব মিলিয়ে একশোটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এদিন সচিনের সঙ্গে বিরাটের ব্যবধান আরও একটু কমবে, এমন সম্ভাবনাই ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৪ রানে ফেরেন চেজমাস্টার।

    মাত্র ৫টি বাউন্ডারি, কোনও ছয় নেই, সিঙ্গল ৫৬!

    বিরাট কোহলির ৮৪ রানের ইনিংসে মাত্র ৫টি বাউন্ডারি। কোনও ছয় নেই। সিঙ্গল নিয়েছেন ৫৬টি! পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির ইনিংসেও ৭টি মাত্র বাউন্ডারি মেরেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ম্যাচের সেরা বিরাট কোহলি বলেন, “আমার মতে আজকের ইনিংসটাও পাকিস্তান ম্যাচের মতোই। সেখানে সেঞ্চুরি করলেও মাত্র ৭টি বাউন্ডারি মেরেছিলাম। আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা। স্ট্রাইক রোটেট করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, এই ধরনের পিচে পার্টনারশিপ খুবই জরুরি। আজও সেটাই চেষ্টা করেছি। মরিয়া হয়ে রান তাড়া করার চেষ্টা করিনি। মাঠের এ দিক-ও দিক খুচরো রান নিতে পেরে ভাল লাগছিল। যখন আপনি ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে খুচরো রান নিতে পারবেন, তখন বুঝবেন ভাল খেলছেন। পাকিস্তান এবং আজকের ম্যাচে আমার কাছে সবচেয়ে তৃপ্তির জায়গা এই বিষয়টাই। আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা। স্ট্রাইক রোটেট করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, এই ধরনের পিচে পার্টনারশিপ খুবই জরুরি। আজও সেটাই চেষ্টা করেছি।”

    পরবর্তী বিশ্বকাপেও থাকবেন কোহলি!

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy 2025) আগে তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতেই একের পর এক বড় ইনিংস খেলে সমস্ত সমালোচনা থামিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি আবার কি এক দিনের ক্রিকেটে সেরা ফর্মে? সহাস্য কোহলির উত্তর, “এটা তো আপনারা ঠিক করবেন। আমি ও সব নিয়ে কখনও মাথা ঘামাই না। মাইলফলকের দিকে না তাকিয়ে দলের জয়ের কথা ভাবলে এ ধরনের জিনিস আপনা থেকেই হতে থাকবে। দল যা চায় সেটা করতে পারলে আমি গর্বিত হই। মাইলফলক আর আকৃষ্ট করে না।” তাহলে কী দলের জন্যই ফের একবার একদিনের বিশ্বকাপে খেলতে চান কোহলি? আপাতত লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। আরও একটি আইসিসি খেতাব।

  • India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের বদলা নিতে মরিয়া ভারত (India Vs Australia)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু করেছিল ভারত। সব মিলিয়ে টানা দশ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছিলেন রোহিত-বিরাটরা। কিন্তু ফাইনালে আশাভঙ্গ হয় ১৪০ কোটি ভারতবাসীর। সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ পড়তে পারে মঙ্গলবার। বদলার ম্যাচে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারত। এ বারও নকআউট ম্যাচ। যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল, সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ট্রফি জয়ের থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে রোহিত ব্রিগেডের।

    মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া

    দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (India Vs Australia)। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে গ্রুপ পর্বে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে ভারত। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপের ম্যাচগুলি খেলেছে পাকিস্তানের ব্যাটিং সহায়ক পিচে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তাড়াও করেছে। কিন্তু বাকি দু-ম্যাচের মধ্যে একটিতে বল গড়ায়নি, আর একটি মাঝপথেই ভেস্তে যায়। এ বার খেলতে হবে দুবাইয়ের মন্থর পিচে। ভারতের কাছে ভয়ের কারণ ট্র্যাভিস হেড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল, ভারতে জোড়া স্বপ্ন একার হাতে ধূলিসাৎ করেছেন। দ্বিতীয়জন স্টিভ স্মিথ। ভারতের বিরুদ্ধে রানের খিদে কোনও দিন তাঁর কমবে বলে মনে হয় না। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্নাস লাবুশেনের মতো পুরনো ‘শত্রু’রা তো রয়েছেনই।

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন। যতই ভাঙাচোরা দল হোক, অস্ট্রেলীয় (India Vs Australia) আইসিসি প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরা উজাড় করে দেয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩৫০ রান তাড়া করে জেতার পরেই তা বোঝা গিয়েছে। অন্যদিক, ভালো খেললেও রোহিতদেরও হলুদ জার্সি নিয়ে একটা চাপা আতঙ্ক রয়েছে। এবার সেই আতঙ্ক বদলের পালা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ব্যাটিং ভরসা দিয়েছে। তিনটি ম্যাচেই ব্যাটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও মিডল অর্ডার সামলে দিয়েছে। শ্রেয়স আয়ারের দায়িত্বশীল ব্যাটিং, অক্ষর পটেলের বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস এবং হার্দিক পাণ্ডিয়ার পরিমিত আগ্রাসন ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে। রোহিত-কোহলি যে কোনও দিন জ্বলে উঠতে পারেন। রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব— এই স্পিন ত্রয়ী এখন গোটা বিশ্বের ত্রাস। তার সঙ্গে যোগ হয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী, যাঁর বল এখনও অস্ট্রেলিয়া খেলেনি। ফলে বোলিং বিভাগে ভারত বেশ শক্তিশালী হয়েই নামবে।

    দুবাই-এর পিচ নিয়ে রোহিত

    ভারত একই ভেনুতে তিনটি ম্যাচ খেলায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন, অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে ভারত (India Vs Australia)। সেমিফাইনালের আগে সেই প্রশ্নের সমালোচনা করে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচেই পিচে আলাদা চ্য়ালেঞ্জ থাকছে। তিন ম্যাচেই পিচ আলাদা আচরণ করেছে। এটা আমাদের হোমগ্রাউন্ড নয়। এটা দুবাই। সারা বছর এখানে খেলি না। এখানকার পরিবেশ আমাদের কাছেও নতুন।’ রোহিত আরও যোগ করেন, ‘এখানেও চার-পাঁচটি পিচ রয়েছে। প্রত্যেকটা পিচেরই চরিত্র ভিন্ন। সেমিফাইনালে কোন পিচে খেলা হবে, সেটার আচরণ আমিও জানি না। যাই হোক না কেন, দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে, সেখানেই খেলতে হবে।’

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি।

    কখন, কোথায় দেখবেন ম্যাচ: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, প্রথম সেমিফাইনাল দুপুর ২.৩০, স্পোর্টস ১৮, স্টার স্পোর্টস, জিওহটস্টারে সম্প্রচার

  • ICC Champions Trophy: বরুণের পাঁচ উইকেট, অপরাজিত ভারত! সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রোহিতরা

    ICC Champions Trophy: বরুণের পাঁচ উইকেট, অপরাজিত ভারত! সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও জয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও পর্যন্ত অপরাজিত ভারত। সেমিফাইনালে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। দুবাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটে বরুণ চক্রবর্তীর (Varun Chakravarty) দুর্দান্ত স্পেলে ভারত জয় পেয়েছে ৪৪ রানে। আর তাতে নিশ্চিত হয়েছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের লাইনআপ। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড। আর ‘বি’ গ্রুপে সবার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। নিয়ম অনুযায়ী, ভারতের সেমিফাইনাল ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৪ তারিখ দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।

    বরুণে মুগ্ধ রোহিত

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও অবধি ফেভারিটের মতোই পারফর্ম করেছে ভারতীয় দল। বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলে। তৃতীয় ম্যাচেও অপরাজিত। জয়ের হ্যাটট্রিকেও চিন্তিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দুবাইয়ের পিচে ২৪৯ রানের পুঁজি! নিউজিল্যান্ড ভালো স্পিন খেলে। সে কারণে শেষ ম্যাচে একাদশে সারপ্রাইজ দিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চার স্পিনার নিয়ে নেমেছিল। একাদশে হর্ষিত রানার বদলে আনা হয় বরুণ চক্রবর্তীকে (Varun Chakravarty)। প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের মধ্যে ৯টিই ভারতের স্পিনারদের দখলে। এর মধ্যে বরুণের ঝুলিতে পাঁচ উইকেট। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওডিআই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচ! আর তাতেই পাঁচ উইকেট। এটাই ‘মাথাব্যথা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘বরুণের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য রয়েছে। ফলে আমরা এই ম্যাচে একটা সুযোগ দিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম পারফর্ম করতে পারে কি না। ও যা পারফর্ম করল, সেমিফাইনালে একাদশ গড়তে ভাবতে হবে। তবে এটাকে সুস্থ মাথাব্যথাই বলব। ও যদি ঠিকঠাক থাকে, ওর বোলিং বোঝা কঠিন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।’

    ম্যাচের সেরা বরুণ

    ম্যাচের আগের রাতেই বরুণকে (Varun Chakravarty) জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি খেলছেন। তাতে অবশ্য স্নায়ুর চাপ কমেনি। রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ সামির পর ভারতের তৃতীয় বোলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাঁচ উইকেট। ম্যাচের সেরা বরুণ বলছেন, ‘শুরুর দিকে নার্ভাস লাগছিল। দেশের জার্সিতে ওডিআইতে সেই অর্থে খেলিইনি। তবে ম্যাচ যত এগিয়েছে, ধাতস্ত হচ্ছিলাম। বিরাট, রোহিত, শ্রেয়স, হার্দিকরা আমার সঙ্গে লাগাতার কথা বলছিল। মাথা ঠান্ডা রেখে বোলিংয়ে ফোকাস করার কথা বলছিল।’ নিজে পাঁচ উইকেট নিলেও জয়ের কৃতিত্ব নিতে নারাজ ম্যাচের সেরা বরুণ। বললেন, ‘পুরোটাই যে টিম এফোর্ট’।

  • ICC Champions Trophy: যত জারিজুরি সোশ্যাল মিডিয়াতেই! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড় শেষ পাকিস্তান, বাংলাদেশের

    ICC Champions Trophy: যত জারিজুরি সোশ্যাল মিডিয়াতেই! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড় শেষ পাকিস্তান, বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) থেকে ছুটি হয়ে গেল বাংলাদেশ এবং আয়োজক দেশ পাকিস্তানের। গ্রুপ এ থেকে ভারতের সঙ্গে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল নিউজিল্যান্ড। এরপর পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ স্রেফ নিয়মরক্ষার। আর গ্রুপের শেষ ম্যাচে রবিবার গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড।

    ৬ দিনেই বিদায় আয়োজকদের

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছিল পাকিস্তান। আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল তারা। ২০১৭ সালে শেষ বার এই টুর্নামেন্ট হয়েছিল। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান উদ্বোধনী ম্যাচেই হেরেছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। সেখানেই খাদের কিনারায় ছিল। এরপর দুবাইয়ে ভারতের কাছে হার। পাকিস্তানের বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এদিন রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ড জিততেই সরকারিভাবে টুর্নামেন্টে ছুটি হয়ে গেল পাকিস্তান ও বাংলাদেশের। টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র ৬ দিনের মধ্যে আয়োজক দেশ পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় শোকের ছায়া পাক ক্রিকেট মহলে।

    রাচীনের যাদু

    রাওয়ালপিন্ডিতে সোমবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিউয়িরা। বাংলাদেশ ৫০ ওভার ব্যাট করলেও পুঁজি ছিল মাত্র ২৩৬ রান। ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত মন্থর ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন। লোয়ার অর্ডারে অবদান রাখেন জাকের আলি ও রিশাদ হোসেন। ব্যাটিং সহায়ক পিচে ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট মাইকেল ব্রেসওয়েলের। রাওয়ালপিন্ডির পিচে ২৩৭ রানের টার্গেট নিউজিল্যান্ডের জন্য অন্তত বড় ছিল না। কিন্তু শুরুতেই ওপেনার উইল ইয়ং ও কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে বন্য আনন্দে মেতেছিল বাংলাদেশ শিবির। ওপেনার ডেভন কনওয়ের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন রাচিন রবীন্দ্র। বাবা-মা দু’জনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। সেই শহরে এখনও থাকেন তাঁর দাদু-দিদা। সেই রাচিন রবীন্দ্রের ব্যাটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে গেল নিউজিল্যান্ড। এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলেন। এদিন ১১২ রান করে আউট হন রাচীন। ততক্ষণে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। বাইশ গজে নয়, পাকিস্তান, বাংলাদশের যাবতীয় জারিজুরি যে সোশ্যাল মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ তা-ও এদিন ফের স্পষ্ট হয়ে গেল।

  • Virat Kohli: পাক-বধে কিং কোহলি! বিরাটের শতরানে কার্যত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে ভারত

    Virat Kohli: পাক-বধে কিং কোহলি! বিরাটের শতরানে কার্যত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের জন্য ভারতের দরকার ২ রান, আর চার রান পেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) প্রথম শতরান হবে কোহলির (Virat Kohli)। গ্যালারি তখন পিন ড্রপ সাইলেন্ট, ডাগ আউটে অধিনায়ক রোহিতের গালে হাত! কিসের চিন্তা? ভারত তো জিতেই গিয়েছে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। না অপেক্ষা শতরানের, বিরাট ইনিংসের রাজকীয় সমাপন। গ্যালারির তখন একটাই প্রার্থনা বাউন্ডারি। এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। খুশদিল শাহকে কভারের উপর দিয়ে চার মেরে দেশকে জেতানোর পর বুকে বার বার হাত ঠেকিয়ে বিশেষ একটি ভঙ্গি করতে দেখা গেল তাঁকে। যেন গ্যালারির দিকে তাকিয়ে বলতে চাইছেন, “ম‍্যায় হুঁ না!”

    পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট ইনিংস

    পাকিস্তানকে দেখলেই যেন বাড়তি এনার্জি পান বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ২০১২ এশিয়া কাপে ১৮৩। ২০১৫ এক দিনের বিশ্বকাপে ১০৭। ২০২৩ এশিয়া কাপে ১২২। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত ১০০। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত খেলতে নামবে আর তাঁর ব্যাটে রান দেখা যাবে না, এমন খুব কমই হয়েছে। ফর্ম, অবসর, শেষ আইসিসি প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আলোচনায় জল ঢেলে কোহলি আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। তিনি আছেন। আর বিপক্ষে পাকিস্তান হলে, তাঁর ব্যাট কথা বলবেই।এদিন শুরু থেকে সতর্ক ব্যাটিং করেন। লেগ স্পিনার আবরার আহমেদের বোলিংয়ে অতিরিক্ত ঝুঁকি নেননি। বরং নিজের ইনিংসটাকে হিসেব করে সাজিয়েছিলেন। অবশেষে ১১১ ডেলিভারিতে সেঞ্চুরি। ওয়ান ডে কেরিয়ারে সেঞ্চুরির নিরিখে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরকে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই ছাপিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এদিন ওডিআইতে ৫১তম সেঞ্চুরি করলেন কিং কোহলি।

    কার্যত বিদায় পাকিস্তানের

    তারকারা বড় মঞ্চেই জ্বলে ওঠেন। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) তা আবার প্রমাণ করলেন। দুবাইয়ে রবিবাসরীয় ভারত-পাক মহারণে ভিকে সত্যিই ভেরি ভেরি স্পেশাল। তাঁর দুরন্ত শতরানে ভর করেই পাকিস্তান বধ রোহিত ব্রিগেডের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে শুধু হারানো নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই কার্যত ছিটকে দিলেন মহাতারকা। ভারতের সেমি-ফাইনালে জায়গাও প্রায় নিশ্চিত করলেন বিরাট। কিন্তু ম্যাচের নায়ককে আবেগে ভাসতে দেখা গেল না। বললেন, “সত্যি বলতে, যে ভাবে খেলেছি সেটা এই ধরনের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রোহিতকে শুরুতেই হারানোর পর ম্যাচ জেতানোর পিছনে নিজে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আগের ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি নিজের খেলার ধরন জানি। তাই বাইরের কোনও আওয়াজ শুনি না। নিজের মতো থাকি, নিজের শক্তি এবং ভাবনাচিন্তার খেয়াল রাখি। প্রত্যাশার চাপে মাথা ঘুরে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই আমি বর্তমানে বাঁচতে ভালবাসি এবং প্রতিটা সুযোগে দলের জন্য কিছু করতে চাই। প্রতিটা বলে ১০০ শতাংশ দেওয়াই আমার লক্ষ্য।”

  • ICC Champions Trophy: ফেবারিট ভারত, মরণ-বাঁচন ম্যাচ পাকিস্তানের! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এগিয়ে কোন দল?

    ICC Champions Trophy: ফেবারিট ভারত, মরণ-বাঁচন ম্যাচ পাকিস্তানের! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এগিয়ে কোন দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) আাগমী কাল ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত খেলতে নামবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতে এগিয়ে রয়েছে ভারত। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারায় রবিবার মরণ-বাঁচন‌ ম্যাচ পাকিস্তানের। তবে, বাংলাদেশ ম্যাচে জয় পেলেও ভারতীয় দল কিন্তু পয়েন্ট তালিকায় ২ নম্বরে। তাই পাকিস্তানকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ স্থানে ওঠাই লক্ষ্য ভারতের।

    কে কোন ম্যাচে এগিয়ে

    সাম্প্রতিক সময় আইসিসি (ICC Champions Trophy) ইভেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাপট দেখিয়েছে ভারত। ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে যখনই খেলতে নেমেছে তখনই হারের মুখ দেখেছে পাকিস্তান। কিন্তু আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবার এগিয়ে পাকিস্তানই। মিনি বিশ্বকাপে এই দুই দল ৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে তিনবার জয় পেয়েছে পাকিস্তান, দুবার জিতেছে ভারত। ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। সেই ম্যাচে পাকিস্তান সহজেই জিতে যায়। ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়ানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয় ভারত পাক। শোয়েব মালিকের শতরানে ভর করে সেই ম্যাচেও জয় পায় পাকিস্তান। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখে ভারত। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে হেলায় হারায় ভারত। কিন্তু ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেই ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের।

    চালকের আসনে ভারতই

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ফলাফল যাই-হোক না কেন গত দেড় দু’দশক ধরে ভারতই পাকিস্তানের উপর কর্তৃত্ব করছে ৷ এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের দল পাকিস্তানের থেকেও শক্তিশালী ৷ রবিবার দুবাইয়ে রোহতরাই ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবেন। এই ম্যাচকে ঘিরে গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করে রয়েছে। ২২ গজে আরও একবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। মেগা ম্যাচ ঘিরে চড়তে শুরু করেছে পারদ। দুই দলের সমর্থকরা ভিড় জমাচ্ছেন। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘‘ব্যাটিং অর্ডারে আমাদের প্রথম চার জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। সেখানে কোনও বদল হবে না। তার মধ্যে অন্তত একজনকে সেঞ্চুরি করতে হবে। বিশ্বকাপে আমরা খুব বেশি সেঞ্চুরি না করেও বড় স্কোর করেছি। প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত সাফল্যের দিকে না তাকিয়ে দলগত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। এখানেও যদি আমাদের ৭-৮ জন সেই ভাবে চেষ্টাটা চালাতে পারে, তবে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’’

    ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, ঋষভ পন্ত, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মহম্মদ শামি, আর্শদীপ সিং, রবীন্দ্র জাদেজা, বরুণ চক্রবর্তী।

    পাকিস্তান দল: মহম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), বাবর আজম, ইমাম-উল-হক, কামরান গুলাম, সউদ শাকিল, তায়েব তাহির, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, সলমন আলি আঘা, উসমান খান, আবরার আহমেদ, হ্যারিস রউফ, মহম্মদ হাসনাইন, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।

LinkedIn
Share