Tag: ilish

ilish

  • Hilsa Fish: বর্ষার মরশুমে ভাতের সঙ্গে ইলিশ না হলেই নয়! কিন্তু কাদের জন্য এই মাছ বাড়তি বিপদের? 

    Hilsa Fish: বর্ষার মরশুমে ভাতের সঙ্গে ইলিশ না হলেই নয়! কিন্তু কাদের জন্য এই মাছ বাড়তি বিপদের? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিন দুয়েক লাগাতার বৃষ্টি। উত্তর থেকে দক্ষিণ একঘেয়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী। কিন্তু বর্ষার নানান ভোগান্তি থাকলেও, বর্ষার বাঙালির স্বাদ বাড়ায় ইলিশ (Hilsa Fish)। জলের রূপোলি শস্য, ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন অধিকাংশ বাঙালিই। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা হোক কিংবা ইলিশের পাতুরি, নানান পদের ইলিশ মাছ রান্না হয় বাঙালির হেঁসেলে। কিন্তু বাঙালির এই প্রিয় মাছে পুষ্টিগুণ কতখানি, কাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে এই মাছ (Ilish)! সে দিকে নজর না থাকলে শরীরে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে ইলিশ। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ইলিশ খেলে কী হতে পারে? (Hilsa Fish)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইলিশ নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার দরকার নেই। ইলিশ মাছ নিয়ে নানান ভুল ধারণা রয়েছে। কিন্তু আসলে ইলিশ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। এই তিন উপাদান হার্টের জন্য খুব উপকারী। তাই ইলিশ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 
    এছাড়া ইলিশ আয়রন এবং ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ একটা মাছ। তাই মহিলাদের জন্য বিশেষ করে ইলিশ মাছ খুব উপকারী বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রক্তাল্পতার মতো সমস্যা কমায় ইলিশ। আবার ওমেগা থ্রি থাকায় একাধিক শারীরিক সমস্যা মোকাবিলাতেও ইলিশ সাহায্য করে। 
    ইলিশে (Hilsa Fish) রয়েছে নানান ভিটামিন। তাই ইলিশ ত্বক ও চুল ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তবে সবচেয়ে জরুরি ইলিশের ফ্যাট। ইলিশ মাছে রয়েছে গুড ফ্যাট। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইলিশ মাছে যে ফ্যাট উপাদান রয়েছে, তা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। এই গুড ফ্যাট‌ হার্ট ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। ইলিশ মাছ চোখের জন্য ভালো। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইলিশে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।

    কিন্তু কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ইলিশ? (Hilsa Fish)

    খুব উপকারি মাছ হলেও, সবার শরীরে ইলিশের উপকার একরকম নয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশ সামুদ্রিক মাছ। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ছে। আর এই রোগ বাড়ার অন্যতম কারণ সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। তাই যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের জন‌্য ইলিশ বিপজ্জনক হতে পারে। মুখে বা শরীরের যে কোনও অংশে লাল দাগ হওয়া, পেটে ব্যথা অনুভব করার মতো নানান উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি থাকলে ইলিশ খেলে সমস্যা হতে পারে। কারণ, অনেক সময়েই ইলিশ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে ইলিশ মাছ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশ সামুদ্রিক মাছ। আর এই মাছ থেকে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। ফলে শ্বাসকষ্টের রোগীর সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই ইলিশ মাছ (Ilish) খাওয়ার সময়ে এগুলো খেয়াল রাখা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Hilsa Fish: পুজোর আগেই বাংলায় ঢুকছে পদ্মার রুপোলি ইলিশ! দাম কত হতে পারে?

    Hilsa Fish: পুজোর আগেই বাংলায় ঢুকছে পদ্মার রুপোলি ইলিশ! দাম কত হতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শেষের দিকে। অথচ এবছর তেমন ইলিশের (Hilsa Fish) দেখাই নেই। বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে এ রাজ্যে ঢোকে না। প্রতি বছর পুজোর আগে বাংলাদেশ সরকার উপঢৌকন হিসেবে কিছু ইলিশ পাঠায়। তার আগেই ইলিশের সাধ পূরণে একমাত্র ভরসা থাকে সমুদ্রের ইলিশ। তবে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা পুজোর আগে শুনিয়েছেন সুখবর। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। এরপরেই বাংলায় ঢুকছে পদ্মার রুপোলি ইলিশ। পুজো আর মাত্র দেড় মাস বাকি। তার আগে কলকাতার বাজারে আসছে পদ্মার ইলিশ। মৎস্য ব্যবসায়ীদের আশা, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই কলকাতার বাজারে পাওয়া যাবে রুপোলি ইলিশ।

    কী জানালেন আমদানির (Hilsa Fish) সঙ্গে যুক্ত সংগঠনের কর্মীরা?

    কলকাতার ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা জানিয়েছেন, গত ৪ বছর বাংলাদেশের সরকার পুজোর উপহার হিসাবে কলকাতায় পদ্মার ইলিশ পাঠায়। এ বছরেও পূজোর আগে যাতে সেই ইলিশ ঢোকে, সে ব্যাপারে এপারের ব্যবসায়ীরা সরাসরি যোগাযোগ করেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক এবং কলকাতার বাংলাদেশ দূতাবাসে। ওই মাছ ব্যবসায়ী সংগঠনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশ সরকার এবং ওই দেশের এক্সপোর্টারদের কাছে আগেই আবেদন জানিয়েছেন। আশা করা যায় ১৫ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুমতি পাওয়া যাবে। তার পরের দিন থেকেই এপারে চলে আসবে পদ্মার টাটকা ইলিশ (Hilsa Fish)। তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে চাহিদার জন্য মাছের দাম একটু বেশি হতে পারে। এক কিলো সাইজের ইলিশ পাইকারি বাজারে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। পরে অবশ্য দাম কমতে পারে। তখন এক কিলো সাইজের মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

    কী বলছেন মাছ (Hilsa Fish) বিক্রেতারা?

    মাছ বিক্রেতারা জানান, ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার এদেশে ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ৬ বছর এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল। ২০১৯ সাল থেকে ফের বিশেষ অনুমতির ভিত্তিতে ইলিশ এ দেশে আমদানি শুরু হয়। কিন্তু যে পরিমাণ ইলিশ (Hilsa Fish) আমদানিতে  অনুমতি দেওয়া হয়, তা এক মাসে নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। সেই কারণে এবারে তাঁদের পক্ষ থেকে আমদানির সময়কাল ৩০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকে। এর ফলে কলকাতার বাজারে বেশি পরিমাণ ইলিশ আমদানি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

    আমদানির সময়সীমা (Hilsa Fish) কেন বাড়ানো প্রয়োজন?

    গত বছর ২৯৯০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানিতে অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এতটাই কম সময় দেওয়া হয়েছিল যে সময়ের অভাবে মাত্র ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ কলকাতায় আনা গিয়েছিল। একইভাবে ২০২১ সালে ৪৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেবারও মাত্র এক মাস সময় দেওয়া হয়৷ এর ফলে সেবছর মাত্র ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ (Hilsa Fish) আমদানি করা গিয়েছিল। তাই ব্যবসায়ীরা চাইছেন বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আমদানির সময়সীমা বাড়ানো হোক।

    হাতে মাত্র কটা দিন বাকি। এরপরই কলকাতার বাজারে পাওয়া যাবে পদ্মার রুপোলি শস্য। আর এখন সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন খাদ্যরসিক বাঙালি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share