Tag: Illegal Immigrants

  • Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম (Assam) চুক্তির বিধানের অধীনে রাজ্যের ১.৬৬ লাখ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Intruders) অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১০০ এরও বেশি বাংলাদেশিকে। বুধবার অসম বিধানসভায় এ কথা জানান অসম চুক্তি বাস্তবায়ন মন্ত্রী অতুল বরা।

    কী বললেন মন্ত্রী?(Assam)

    কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রহিম আহমেদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অসমে মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৩১ জন অভিবাসীকে অবৈধভাবে বসবাসকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৮৭০ জন অসমে প্রবেশ করেছে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে। আর ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের পর অসমে ঢুকেছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৬১ জন। এটি হচ্ছে নাগরিকত্ব নির্ধারণের জন্য অসম চুক্তির নির্ধারিত সময়সীমা। এর পরেই মন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত অসম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১১৫ জনকে অনুপ্রবেশকারীকে।

    অবৈধ অভিবাসন

    ঐতিহাসিকভাবে, অসম প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসনের সম্মুখীন হয়েছে। এটি দশকের পর দশক ধরে রাজ্যের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অবৈধ অভিবাসন রাজ্যের একাধিক জেলার জনসংখ্যার গঠনও পরিবর্তন করেছে। প্রসঙ্গত, অসম (Assam) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৮৫ সালে, ছ’বছরের অভিবাসনবিরোধী অসম আন্দোলনের পর। অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারের মূল ভিত্তি হিসেবে রয়ে গিয়েছে এই চুক্তি।

    চুক্তি অনুযায়ী, ২৪ মার্চ ১৯৭১-এর পরে যারা অসমে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বিদেশি নাগরিক ঘোষণা করে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে আগতদের ভোটাধিকার দশ বছরের জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯৭১-এর পরে আসা অভিবাসীদের সরাসরি বহিষ্কারের বিধান রয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, “চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১.৬৫ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করা হলেও, বহিষ্কারের সংখ্যা মোট চিহ্নিত অভিবাসীর তুলনায় নগণ্য।” অসমের বিভিন্ন আদি সংগঠন, বিশেষ করে অসম ছাত্র সংস্থা (AASU) মনে করে যে রাজ্যে কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। এদিকে, রাজ্যের শাসক দল বিজেপি (BJP) অসম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে (Bangladeshi Intruders)। একে তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত করেছে (Assam)।

  • US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০৪ জন অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরের (Amritsar) শ্রী গুরু রামদাসজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করল একটি মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)।

    অবতরণ করল মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)

    বুধবার ১.৫৫ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করেছে। এদিন যাদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার ও গুজরাটের। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে তিনজন করেও রয়েছেন। রয়েছেন চণ্ডীগড়ের দুজনও। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রশাসন তাদের পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে। এদিন যাঁদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের পরিবারের কেউই তাঁদের নিতে বিমানবন্দরে আসেননি।

    ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগ

    প্রসঙ্গত, মার্কিন সামরিক বিমান সি-১৭-তে করে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতে ফেরত পাঠাল প্রথম দফার অবৈধ অভিবাসীদের। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ট্রাম্প। তার পরেই দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা শুরু করে। অনেক পাঞ্জাবি, যারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে “ডাঙ্কি রুট” বা অন্যান্য অবৈধ উপায়ে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিলেন, মূলত তাঁদেরই তাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    অপরাধের রেকর্ড থাকলে পাঠানো হচ্ছে ডিটেনশন সেন্টারে

    জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো যৌথভাবে পরীক্ষা চালাচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক অতীত বা রেকর্ড নেই, তাঁদেরকে সঙ্গে সঙ্গেই চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে (US Military Aircraft)। তবে, যাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে ডিটেনশন সেন্টারে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। আমেরিকা থেকে যাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের অফিসিয়াল নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন সামরিক বিমানে করে ভারতে পাঠানো হচ্ছে ২০৫ জন অবৈধ অভিবাসী। আমেরিকা থেকে ভারতে এই প্রথম পাঠানো হল অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ব্যাচ।

    প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছেন ট্রাম্প। এই অভিবাসীদের চিহ্নিত করে ধরপাকড়ও শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় (Amritsar) বসবাসকারী বেশ কয়েকটি দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে আমেরিকা। তার মধ্যে রয়েছে ভারতও (US Military Aircraft)।

  • Illegal Immigrants: অবৈধ অভিবাসীরা ভারতীয় নাগরিক কিনা যাচাই করেই দেশে ফেরানো হবে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    Illegal Immigrants: অবৈধ অভিবাসীরা ভারতীয় নাগরিক কিনা যাচাই করেই দেশে ফেরানো হবে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় ১৮ হাজার ভারতীয়কে অবৈধ অভিবাসীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন সূত্রে খবর, এই অবৈধ অভিবাসীদের (Illegal Immigrants) ভারতে ফেরানো হবে। বুধবার বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ভারত সরকার বরাবরই অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরানোর পক্ষে।

    কী বললেন রণধীর জয়সওয়াল (Illegal Immigrants)

    শুক্রবার একই কথা বললেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি জানান, যাঁদের অবৈধ অভিবাসী বলা হচ্ছে, তাঁরা প্রকৃতই ভারতীয় নাগরিক কিনা, তা যাচাই করে তবেই দেশে ফেরানো হবে। জয়সওয়াল (Randhir Jaiswal) বলেন, “আমরা অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে নানা সংগঠিত অপরাধ যুক্ত থাকে। শুধু আমেরিকা কেন, বিশ্বের যে কোনও দেশে যদি ভারতীয় নাগরিকরা ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও থেকে যান, অথবা তাঁদের কাছে সেই দেশে থাকার যথাযথ নথিপত্র না থাকে, তাহলে তাদের ফিরিয়ে নিতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। তবে তার আগে সেই দেশকে প্রমাণ দিতে হবে, তাঁরা প্রকৃতই ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা সত্যিই ভারতীয় নাগরিক কিনা, আমরা তা যাচাই করব। যদি তাঁরা ভারতীয় নাগরিক হন, আমরা তাঁদের ফিরিয়ে আনব।”

    ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

    ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপরও জোর দিয়েছেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী ও বহুমুখী। দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কও অত্যন্ত ভালো। যে কোনও বিষয় অথবা বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে আলোচনার পথ খোলা আছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি (Randhir Jaiswal) হল, দুই দেশের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গঠনমূলক ভাবে সমস্ত বিষয়ের সমাধান করা। আমরা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।”

    ডোনাল্ড ট্রাম্প

    ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দেশের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তার পরেই তিনি আমেরিকায় বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের (Illegal Immigrants) স্বদেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ধরপাকড়ও শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে। হোয়াইট হাউসের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “কেবল আমেরিকা বলে নয়, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যদি কোনও ভারতীয় অবৈধভাবে বসবাস করেন, আমরা তাঁদের ফিরিয়ে নেব। তবে আমাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টের নথিপত্র ভাগ করে নিতে হবে, যাতে আমরা যাচাই করতে পারি তিনি সত্যিই ভারতীয় কিনা। যদি তা হয়, আমরা তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।”

    ভারতীয় অভিবাসী

    প্রসঙ্গত, আমেরিকায় কোনও অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী থাকলে, তাঁদের দেশে ফেরাতে কোনও আপত্তি নেই। দিল্লির অবস্থান এদিন ফের (Randhir Jaiswal) স্পষ্ট করে দিল বিদেশমন্ত্রক। শুধু আমেরিকা নয়, বিশ্বের যে কোনও দেশের ক্ষেত্রেই অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের নিয়ে একই অবস্থান নরেন্দ্র মোদি সরকারের। এ ক্ষেত্রে অবশ্য শর্তও বুঝিয়ে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে যাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাঁদের বিষয়ে তথ্য এবং প্রয়োজনীয় নথি ভারতকে দিতে হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসী ভারতীয় কিনা, তা যাচাই করতে পারে দিল্লি। ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বস্তুত তিনি ছিলেন একেবারে সামনের সারিতে। পরে ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস থেকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে নয়াদিল্লির নীতিগত অবস্থানও বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনিও জানিয়েছিলেন, দিল্লি কখনওই অবৈধ অভিবাসন সমর্থন করে না।

    অবৈধ অভিবাসী 

    দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্পের নজর রয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের ওপর। চুরি-ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় করতে ‘লেকেন রিলে অ্যাক্ট’ নামে নয়া একটি নতুন আইন আনার পথে এগোচ্ছে আমেরিকা। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকার সেনেটে এ সংক্রান্ত বিল পাশ হয়েছে ৬৪-৩৫ ভোটে। বিলটি আইনে পরিণত হলে অভিযুক্ত অভিবাসীদের আটক করতে পারবে আমেরিকার প্রশাসন। সূত্রের খবর, সেনেটে বিলটিকে সমর্থন জানিয়েছেন ১২ জন ডেমোক্র্যাটও। বিলটি এবার যাবে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে। সেখানে বিলটি পাশ হয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্টের সবুজ সঙ্কেত মিললেই তা পরিণত হবে আইনে। উল্লেখ্য, এই বিল অনুযায়ী, চুরি, ছিনতাই, লুটপাট বা দোকান থেকে জিনিসপত্র (Randhir Jaiswal) হাতানোর মতো ঘটনায় অভিযুক্ত অভিবাসীদের আটক করতে পারবে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (Illegal Immigrants)।

LinkedIn
Share