Tag: Immunity Power

Immunity Power

  • Indian Superfoods: নারকেল থেকে কাউনের চাল, পশ্চিমের ‘সুপার ফুড’-কে টেক্কা ভারতীয় খাবারেই!

    Indian Superfoods: নারকেল থেকে কাউনের চাল, পশ্চিমের ‘সুপার ফুড’-কে টেক্কা ভারতীয় খাবারেই!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখতে জীবন যাপনের ধরনেই বাড়তি নজরদারি জরুরি। এমনি পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পুষ্টিকর খাবার, এই দুই অভ্যাস রপ্ত করতে পারলেই শরীর সুস্থ থাকবে। হৃদরোগ থেকে কিডনির সমস্যা, হাড়ের ক্ষয় রোগ সহ একাধিক জটিল অসুখ সহজেই এড়ানো যাবে। ভারতীয়দের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থুলতার মতো জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগের সমস্যাও বাড়ছে‌‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যা জানান দিচ্ছে, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন একাধিক রোগ মোকাবিলার পথ সহজ করে।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকতে, বিশেষত নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকেই ‘সুপার ফুড’-এর (Indian Superfoods) উপরে ভরসা করেন। বিদেশ বিশেষত পশ্চিমের দেশগুলোতে এই সুপার ফুডের ধারণা খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু পশ্চিমের এই সুপার ফুডকে সহজেই টেক্কা দিতে পারে ভারতীয় খাবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতি পরিচিত ভারতীয় খাবার নিয়মিত খেলে শরীরে তার যথেষ্ট ভালো প্রভাব পড়ে। যা সুপার ফুডের তুলনায় বেশি ইতিবাচক ফল দেয়!

    সুপার ফুড (Indian Superfoods) কী?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুপার ফুড হল এমন কিছু খাবার, যার মধ্যে প্রোটিন, ফ্যাট এবং ভিটামিনের ঠিকমতো ব্যালেন্স থাকে। পাশপাশি থাকে ‘গুড’ কার্বোহাইড্রেট। অর্থাৎ, যা শরীরে বাড়তি ওজন তৈরি করে না। বরং, শরীরের প্রয়োজনীয় এনার্জি পৌঁছে দেয়। পাশপাশি এই ধরনের খাবারে থাকে নানান রকমের খনিজ পদার্থ। যেমন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থও এই খাবারে পর্যাপ্ত থাকে‌। কেল, অ্যাভোকাডো, কিনোয়ার মতো খাবার সুপার ফুড বলে পরিচিত‌‌। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের খাবারগুলো যথেষ্ট ব্যয়বহুল এবং সহজলভ্য নয়।

    কোন ভারতীয় খাবার সুপার ফুডকে টেক্কা দিতে পারে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও সুপার ফুডকে (Indian Superfoods) টেক্কা দিতে পারে নারকেল। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেলে (Coconut) থাকে ডায়েটরি ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট। ১০০ গ্রাম নারকেলে কার্বোহাইড্রেট থাকে ১৫ গ্রাম। এর পাশপাশি নারকেলে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ। এই খনিজ পদার্থ হাড়ের জন্য খুবই উপকারি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের পাশপাশি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হাড়ের রোগ বাড়ছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে হাড়ের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই নারকেল স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি উপকারি। নারকেলে থাকে সেলেনিয়াম। যা একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নারকেলে ম্যাঙ্গানিজের পাশপাশি পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান থাকে। এই পদার্থগুলো হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। নারকেল ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি খাবার। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই অ্যাভোকাডোকে সুপার ফুড ফল হিসাবে খান। অ্যাভোকাডো যথেষ্ট উপকারি ফল। ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ একটি খাবার। এই ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও ফ্যাট থাকলেও কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু নারকেলের মতো ফল নিয়মিত খেলে শরীরের প্রয়োজন সহজেই পূরণ করা সম্ভব হয়।

    মিলেট বা কাউনের চালের খিচুড়ি…

    ভারতীয় খাবার হিসাবে মিলেট বা কাউনের চাল (Foxtail Millet), যে কোনও ধরনের সুপার ফুডকে (Indian Superfoods) টেক্কা দিতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। পুষ্টিবিদদের মতে, কিনোয়া বা অন্য যে কোনো দানাশস্যের তুলনায় পুষ্টির দিক থেকে এই ভারতীয় খাবারকে এগিয়ে রাখা যেতেই পারে। উপোস করলে অনেকেই কাউনের চালের খিচুড়ি রান্না করে খান। তবে সপ্তাহে অন্তত একদিন কাউনের চালের (Millet Rice) খিচুড়ি খেলে শরীরের একাধিক উপকার পাওয়া যাবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাউনের চালে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কের মতো একাধিক উপাদান। তাছাড়া এটি গ্লুটেন-মুক্ত কার্বোহাইড্রেট এবং এই খাবারে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই কাউনের চালের তৈরি খাবার খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। ক্যান্সারের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরে উপাদান গড়ে তোলে।

    সজনে ডাঁটা, সজনে শাকের মতো খাবার যেকোনও সুপার ফুডের (Indian Superfoods) মতো উপকারি বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সজনে ফুল, সজনে ডাঁটা কিংবা সজনে শাক, এই সব খাবারেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই খাবারে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যেকোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। আবার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা সহজেই পূরণ করে। তাই যেকোনও বিদেশী সুপার ফুডকে সহজেই টেক্কা দেবে এই ভারতীয় খাবার।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Water Borne Diseases: টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    Water Borne Diseases: টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সপ্তাহের শুরু থেকেই বৃষ্টি। একনাগাড়ে বর্ষার (Monsooon Season) জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় জল জমছে। বৃষ্টির ভিজে আবহাওয়ায় বাড়ছে নানান রোগের দাপট। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একটানা বৃষ্টির জেরে শিশুদের মধ্যে নানান রোগের দাপট (Water Borne Diseases) বাড়ছে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। জোর দিতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) বাড়ানোর ওপর। না হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।

    বর্ষার জেরে কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    নিউমোনিয়া বিপদ বাড়াচ্ছে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের অনেকেই দ্রুত ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখের কবলে পড়ে‌। যার ফলে ফুসফুসের উপরে বাড়তি প্রভাব পড়ে‌। ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাধা পায়। তার জেরেই ফুসফুসে জল জমার মতো বিপদ তৈরি হতে পারে। তার ফলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও (Water Borne Diseases) বাড়ে। শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। বর্ষায় শিশুদের নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই এই সময়ে সর্দি-কাশি নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর, সর্দি-কাশি থেকেও বড় বিপদ হতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তাই বারবার সর্দি-কাশি হলে এই আবহাওয়ায় একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। বাড়তি সতর্কতা বড় বিপদের ঝুঁকি কমাতে পারে।

    ডায়ারিয়া নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি!

    একটানা বৃষ্টির জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় জল জমছে। পানীয় জলের সরবরাহের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি কতখানি মানা হচ্ছে, সে নিয়ে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জায়াগায় পেটের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের পেটের অসুখে ভোগান্তি বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়ারিয়ার আশঙ্কাও দেখা দিচ্ছে। তাই এই আবহাওয়ায় পেটের অসুখ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, ডায়ারিয়া প্রাণঘাতী হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    টাইফয়েডের ঝুঁকি বাড়ছে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই সময়ে টাইফয়েডের ঝুঁকিও বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় শিশুরা টাইফয়েডে আক্রান্ত হচ্ছে। জল থেকেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।

    জন্ডিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা!

    বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) দাপট বাড়ছে। তাই জন্ডিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ঝুঁকি বেশি। কারণ, তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) তুলনামূলক কম থাকে। তাই যেকোনও জীবাণু সহজেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই বর্ষায় শিশুদের লিভারের নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় শিশুকে সুস্থ রাখতে কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান সাহায্য করবে। সচেতনতা ও সতর্কতা বাড়তি বিপদের ঝুঁকি কমাবে বলেই তাঁরা মনে করছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তির (Immunity Power) দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি থাকলে ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট সহজে এড়ানো যাবে। এর ফলে একাধিক অসুখের ঝুঁকি কমবে। সর্দি-কাশি জাতীয় অসুখের দাপট কমলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট কমানো সহজ হবে।

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, এই সময়ে শিশুকে নিয়মিত এক ধরনের লেবু জাতীয় ফল খাওয়ানো জরুরি। কারণ এই ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি থাকে। ফলে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে‌‌। সকালে তুলসী পাতা ভেজানো জল খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতা যেকোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখের মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কমে‌।

    পেটের অসুখ মোকাবিলা করতে ডায়ারিয়া, জন্ডিসের মতো জটিল রোগের বিপদ কমাতে জলের উপরে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, শিশু পরিশ্রুত জল খাচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এই আবহাওয়ায় জলঘটিত রোগের (Water Borne Diseases) দাপট বাড়ে। তাই পরিশ্রুত জল খেলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমানো‌ সহজ হয়। তাঁদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় বাইরের সরবৎ বা খোলা জায়গায় থাকা কাটা ফল একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে নানান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত ঘরের তৈরি হালকা সহজ পাচ্য খাবার খেলে লিভার সুস্থ থাকবে। এতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) বাড়বে। রোগের প্রকোপ কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    করোনা প্রকোপ বাড়ছে।‌ দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কয়েক বছর আগের করোনা অতিমারির স্মৃতি এখনও তাজা। এই রোগের জেরে গত কয়েক বছরে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আক্রান্তের অনেকেই ভয়ঙ্কর ভাবে ভুগেছেন। তাই করোনার দাপট বাড়লেই বাড়তি সতর্কতা তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সবরকমের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা জরুরি। তবেই করোনার মতো রোগ সহজেই মোকাবিলা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা রুখতে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বেড়ে তোলা জরুরি। তাই সেদিকে নজর জরুরি। আর রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়তে ঘরোয়া উপাদানেই (Coronavirus Home Remedies) ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন কোন ঘরোয়া উপাদানে ভরসা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ঘরোয়া উপাদান অর্থাৎ, ভারতীয় একাধিক মশলা, সব্জি এবং নানান গাছের অংশে ঔষধি উপকার অতুলনীয়। বহু যুগ ধরেই আমাদের আশপাশের একাধিক জিনিসের মধ্যে স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি উপাদান রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে এবং করোনার মতো জটিল ও কঠিন রোগকে প্রতিরোধ (Immunity Power) করতেও সেগুলো সাহায্য করে। করোনা রুখতে এবং নিজের শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সেই উপাদানের ভরসা করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্বল শরীরে সংক্রামক রোগ বেশি দ্রুত বাসা বাঁধে। তাই নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ঠিকমতো থাকলে, আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    চায়ের মতোই রোজ থাকুক ত্রিফলা!

    আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ত্রিফলা খুবই উপকারি। একাধিক রোগের মোকাবিলায় ত্রিফলা সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে করোনা‌ মোকাবিলাতেও (Coronavirus Home Remedies) ত্রিফলা সাহায্য করবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হরতকি, আমলকি এবং বয়েরা এই তিন ফলকে একসঙ্গে ত্রিফলা বলা হয়। নিয়মিত এই তিন ফল একসঙ্গে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সারা রাত এই তিন ফল ভিজিয়ে রেখে, এর জল সকালে খালি পেটে গেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার এই তিন ফল চায়ের মতোই গরম জলে ফুটিয়ে খেলেও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই এই তিন ফলের উপকার অনেক। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর পাশপাশি এই তিন ফলে অন্ত্র ঠিক রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    হলুদ বাড়তি উপকার দেবে!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হলুদ শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষত রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে হলুদ বাড়তি সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদের মধ্যে কারকিউমিন উপাদান থাকে। এই উপাদানের জেরে শরীরে ইনফ্লেমেশনের প্রবণতা কমে। যেকোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুধে হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া কিংবা রান্নায় নিয়মিত হলুদের ব্যবহার জরুরি। যাতে শরীরে পর্যাপ্ত হলুদ পৌঁছয়। তাহলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়বে।

    সকালে উঠেই প্রথমে কয়েকটি তুলসী পাতা খাওয়া!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসীর গুণ অপরিসীম। নিয়মিত কয়েকটি তুলসী পাতা খেলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও তুলসী খুবই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এর ফলে যেকোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখ রুখতে তুলসী পাতা খুবই উপকারি। করোনার মতো জটিল অসুখের পাশপাশি সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরের ভোগান্তিও সহজেই কমাতে পারে তুলসী পাতা। তাছাড়া, তুলসী পাতা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভরপুর। তাই নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, সকালে মধুর সঙ্গে তুলসী পাতা মিশিয়ে খেলে সহজেই উপকার পাওয়া যায়। আবার খাওয়ার জলে তুলসী পাতা ফেলে রাখারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত তুলসী পাতা ভেজানো জল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

    আদাতে কাবু হবে একাধিক ভাইরাস!

    ভারতীয়দের রান্নাঘরে অত্যন্ত পরিচিত রান্নার উপকরণ হলো আদা। একাধিক রান্নার স্বাদ বাড়াতে প্রায় সব বাড়িতেই আদা ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নার এই উপকরণ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব উপকারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। এই দুই উপাদান শরীরে যেকোনও ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আদা নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার করোনার মতো সংক্রামক রোগের (Coronavirus Home Remedies) ঝুঁকিও কমাবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Immunity: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    Immunity: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীর বাঁচাতে চাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারের জোগান। একমাত্র স্বাস্থ্যসম্মত একটি ডায়েট চার্টই পারে শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পুষ্টির (Nutrients) জোগান দিতে। পুষ্টিকর খাবার খেলে বাড়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power)। তখন আর ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে হয় না নানান সংক্রমক রোগ ব্যাধিতে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে আমরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটা বাড়িয়ে নিতে পারি। প্রশ্ন হল, কী খাব? আসুন জেনে নেওয়া যাক, নিয়মিত কোন কোন খাবার পেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

    ইমিউনিটি চা: গ্রিন টি, লেবু, আদা, হলুদ ইত্যাদি দিয়ে বানিয়ে নিন ইমিউনিটি চা। ব্ল্যাক টি কিংবা কফির পরিবর্তে গ্রিন খেলে উপকার হবে।

    ওয়েলনেস মিল্ক: গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলেও বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। গরম দুধে দারুচিনি মেশিয়ে খেলেও বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার হবে বেশি।

    ইমিউনিটি স্মুদি: শরীর ভালো রখাতে ইমিউনিটি স্মুদির জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন প্রকার বেরি, স্পিনাচ, হলুদ ইত্যাদি দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে ইমিউনিটি স্মুদি। এটি নিয়মিত খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

    আরও পড়ুন : পেয়ারা পাতার চা কমাবে ওজন! এর গুণাগুণ জানলে চমকে যাবেন আপনিও

    হেলদি ডেজার্ট হেলদি ডেজার্টও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আমাদের শরীরে। ডার্ক চকোলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে পরিমিত ডার্ক চকোলেট খাওয়াই যেতে পারে।

    হেলদি গার্নিস: ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, বাদাম এবং বিভিন্ন প্রকার বীজ দিয়ে বানিয়ে নিন হেলদি গার্নিস। বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই। এই ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ হেলদি গার্নিস খেলে আদতে শরীর থাকবে সুস্থ।

    সাইট্রাস ওয়েক-আপ জুস: যাঁদের একটুতে ঠান্ডা লেগে যায় তাঁরা নিয়মিত সাইট্রাস ওয়েক-আপ জুস খেতে পারেন। সাইট্রাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যে কোনও লেবু জাতীয় ফলেই মেলে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই যে কোনও লেবুর রস নিয়মিত খেলে উপকার হবে।

    ইয়োগার্ট স্ন্যাক কাপ: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে ইয়োগার্ট। মধু এবং ফলের টুকরো দিয়ে ইয়োগার্ট খেলে শরীর হবে চাঙা। বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share