Tag: INDEPENDENCE DAY

INDEPENDENCE DAY

  • Modi I-Day Speech: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শিখরে মোদি! ইউটিউবে ট্রেন্ডিং লালকেল্লার ভাষণ

    Modi I-Day Speech: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শিখরে মোদি! ইউটিউবে ট্রেন্ডিং লালকেল্লার ভাষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে (76th Independence Day) দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ((Narendra Modi) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে কী বলবেন, সেদিকেই তাকিয়েছিল পুরো দেশবাসী। ফলে দেখা গিয়েছে লাল কেল্লা থেকে নরেন্দ্র মোদির ভিডিও ইউটিউবে (Youtube) ট্রেন্ডিং-এ রয়েছে। তাঁর জনপ্রিয়তা এতই যে তাঁর ভিডিও এবারে ট্রেন্ডিং-এ চলে এসেছে। এবারের স্বাধীনতা দিবস প্রত্যেকবারের তুলনায় একটু আলাদা ভাবেই উদযাপন করা হয়েছে। এবারের স্বাধীনতা দিবসে কী কী হতে চলেছে, তার জন্যও অপেক্ষা করছিল গোটা দেশবাসী।

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লায় (Red Fort) নবমবারের জন্য জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ও তারপরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। প্রায় ৮৩ মিনিট ধরে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর পতাকা উত্তোলনের ভিডিও ও তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়ার সেই ভিডিও মঙ্গলবার পর্যন্ত ইউটিউবে ট্রেন্ডিং লিস্টের প্রথমে ছিল। তাঁকে গার্ড অনার দেওয়ার ভিডিওটিতে মঙ্গলবারের সন্ধ্যে পর্যন্ত ২০ মিলিয়ন ভিউ এসেছে। অন্যদিকে পতাকা উত্তোলনের ভিডিওতে ৪.৪ মিলিয়নের মত ভিউ এসেছে। সাধারণত, কোনও সিনেমা, গান ইউটিউবের ট্রেন্ডিং লিস্টে থাকে। কিন্তু এবারে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও ট্রেন্ডিং-এ আসায় বোঝাই যাচ্ছে যে, শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র আমাদের দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, পুরো বিশ্ব জুড়ে মোদির জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: ৫ কোটিরও বেশি সেলফি ‘হর ঘর তিরঙ্গা’-র ওয়েবসাইটে, দাবি কেন্দ্রের

    এছাড়াও দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর আয়োজন করা হয়েছে। আর এরই ভিত্তিতে অনেক কর্মসূচির আয়োজন করেছে কেন্দ্র সরকার। তার একটি অংশ ছিল ‘হর ঘর তেরঙ্গা’। যেখানে জাতীয় পতাকা নিয়ে সেলফি (Selfie) বা ছবি ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) ওয়েবসাইটে (website) আপলোড (Upload) করার জন্য আহ্বান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেখা গিয়েছে, এই আহ্বানেও বিপুল সাড়া পড়েছে। এই উদযাপনের ঝলক দেখার জন্যও পুরো বিশ্ববাসী অপেক্ষা করে ছিল।

    এছাড়াও মোদির জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার ভিডিও প্রথম ছটি ট্রেন্ডিং ভিডিও-এর মধ্যে ছিল। এদিন তাঁর ভাষণে দেশের নারীশক্তির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। মহিলাদের সম্মানের কথা উল্লেখ করে লিঙ্গ বৈষম্য থেকে দূরে সরে আসার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও আগামী ২৫ বছরে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বৃহত্তর সংকল্প গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

     

  • Aamir Khan: মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে আসাম সফর পিছিয়ে দিলেন আমির খান, জানেন কেন?

    Aamir Khan: মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে আসাম সফর পিছিয়ে দিলেন আমির খান, জানেন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। বহু প্রতীক্ষার পরে শেষপর্যন্ত ১১ অগাস্ট মুক্তি পেল আমির খান (Aamir Khan) অভিনীত ‘লাল সিং চাড্ডা’ (Laal Singh Chaddha)। আর এই সূত্রেই তাঁর আসাম যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই তাঁর আসাম সফর স্থগিত করা হয়। এবং তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে বিনোদন জগৎ থেকে রাজনৈতিক মহলে।

    ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই ছবিটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেট নাগরিকরা। কয়েক বছর আগের এক সাক্ষাৎকারে দেশ নিয়ে এক মন্তব্য করাতেই আজ তাঁর সিনেমাকে বয়কটের ডাক দিয়েছে নেটিজেনরা। ফলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন খোদ অভিনেতা তথা বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। এরই মধ্যে আমিরের আসাম সফর পিছিয়ে দিল নিজেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আসাম মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Assam Chief Minister Himanta Biswa Sarma) অনুরোধে সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের পর পর্যন্ত। কিন্তু কেন তিনি এমনটা করলেন তা নিয়েই কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “আমার ছবি বয়কট করবেন না”, নেটিজেনদের অনুরোধ আমির খানের

    সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন থেকে নজর যাতে সরে না যায় সবার, তাই আমিরকে অসম সফর পিছোতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চান এই বিশেষ সময়ে দেশবাসীর সমস্ত ফোকাস শুধুমাত্র স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ঘিরেই থাকুক।

    মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “আমির খান এখানে আসতে চেয়েছিলেন এবং আমাকে সেই ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের ফোকাস যাতে অন্য দিকে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য আমি তাঁকে ১৫ অগাস্টের পরে আসতে অনুরোধ করেছি। স্বাধীনতা দিবসে তেরঙ্গার ওপর থেকে নজর সরুক, তা আমরা চাই না।” তিনি আরও বলেছেন যে “নিয়মিতভাবে খানের সাথে আমার ফোনে যোগাযোগ রয়েছে এবং আমি যখনই তাঁকে আসার জন্য বলব তখনই তিনি আসবেন। তবে সেই তারিখ পরে নিশ্চিত করব।“

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে বন্যায় বিধ্বস্ত আসামকে রক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন আমির খান। তিনি এই রাজ্যে শেষ এসেছিলেন ১০ বছর আগে। সেই সময়ে উত্তরের তেজপুরে থেকেছিলেন।

  • Sri Aurobindo: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও প্রাসঙ্গিক শ্রী অরবিন্দর জীবনদর্শন!  আজ তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    Sri Aurobindo: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও প্রাসঙ্গিক শ্রী অরবিন্দর জীবনদর্শন! আজ তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তাঁর হয়ে আলিপুর বোমা মামলা লড়ার সময়ে সওয়াল-জবাবের সূত্রে আদালতে দাঁড়িয়ে শ্রী অরবিন্দকে ‘জাতীয়তাবাদের দ্রষ্টা এবং দেশপ্রেমের কবি’ (prophet of nationalism and poet of patriotism) বলে চিহ্নিত করেছিলেন! সত্যই শ্রী অরবিন্দ ভারতীয় সংস্কৃতির এক উজ্জ্বলতম নাম। আজ থেকে ১৫০ বছর আগে ১৮৭২ সালের ১৫ অগাস্ট কলকাতায় তাঁর জন্ম হয়। মা স্বর্ণলতাদেবী রাজনারায়ণ বসুর কন্যা। বাবা কৃষ্ণধন ঘোষ তৎকালীন বাংলার রংপুর জেলার জেলা সার্জন। বাবা সন্তানদের ভারতীয় প্রভাবমুক্ত এক সম্পূর্ণ ইংরেজি ধরনে শিক্ষাদানের পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই মতো ১৮৭৭ সালে দুই অগ্রজ মনমোহন এবং বিনয়ভূষণ-সহ অরবিন্দকে দার্জিলিংয়ের লোরেটো কনভেন্টে পাঠান। পরে ইংল্যান্ড। কিন্তু কৈশোর-উত্তীর্ণ অরবিন্দের মনে তখন ভারতমাতার আহ্বান। ১৮৯৩ সালের ফেব্রুয়ারি, ভারতে ফিরে বারোদায় স্টেস সার্ভিসে যোগ দিলেন অরবিন্দ। এখানেই তিনি ভারত-সংস্কৃতির উপর গভীর অধ্যয়ন শুরু করেন। শেখেন সংস্কৃত, হিন্দি, বাংলা। বরোদাতেই তাঁর সাহিত্য-প্রতিভারও উন্মেষ। বারোদা থেকেই তাঁর প্রথম কাব্য সঙ্কলন প্রকাশিত হয়।

    ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হলে বরোদার চাকরি ছেড়ে তিনি বাংলায় আসেন। তৎকালীন ভারতে সংগ্রামশীল জাতীয়তাবাদী মতবাদের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। ভারতীয় যুব সমাজকে নিজের লেখা, বক্তব্যের মাধ্যমে বিপ্লবী মতাদর্শে দীক্ষিত করার কাজ  শুরু করেন অরবিন্দ। দেশমাতৃকার মুক্তিই তখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। অরবিন্দ জাতীয়তাবাদকে ধর্মের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।  দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি ততদিনে বিপ্লবী গুপ্ত সংগঠনগুলির নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। গীতার নিষ্কাম কর্মের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি তরুণ সমাজকে দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।  ১৯০৮-এ আলিপুর বোমা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। ১৯০৯ সালে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান অরবিন্দ। কিন্তু জেলে থাকার সময়ই তাঁর রাজনৈতিক ভাবাদর্শে আধ্যাত্মিকার সংস্পর্শ ঘটে। নিভৃত কারাবাসেই তিনি নারায়ণের দর্শন পান। তাঁর জীবনে পরিবর্তন শুরু হয়। আধ্যাত্মিকতার টানেই তিনি ১৯১০-এ রাজনীতি ত্যাগ করে পুদুচেরি চলে যান। বিপ্লবী অরবিন্দ পরিণত হন ‘ঋষি অরবিন্দে’।

    আরও পড়ুন: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে

    পুদুচেরিতেই আশ্রম স্থাপন করে যোগসাধনার মাধ্যমে জীবনদর্শন পরিবর্তনের পথ বেছে নেন তিনি। পুদুচেরিতে এক নতুন শিক্ষাপদ্ধতির সূচনা করেন ঋষি অরবিন্দ। সমাজদর্শন নিয়ে তাঁর অভিমত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও খুব প্রাসঙ্গিক। শ্রী অরবিন্দ তাঁর সময়ের প্রচলিত শিক্ষার বিরুদ্ধা-চরণ করেন। তিনি  শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটিয়ে, সমাজের চাহিদা মিটিয়ে  আধ্যাত্মিকতার পথে নিয়ে যাওার কথা বলেন। তাঁর মতে শিক্ষার প্রথম উদ্দেশ্য একটি শিশুর সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটান। শ্রী অরবিন্দ বলেন যে নৈতিক এবং মানসিক বিকাশ ছাড়া মানসিক উন্নয়ন মানব অগ্রগতির জন্য ক্ষতিকারক হবে। তাঁর লেখা থেকে আমরা তাঁর জীবন দর্শন ও শিক্ষা সম্পর্কে জানতে পারি। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল: Essays on the Gita, The Foundations of Indian Culture, The Life Divine (১৯৩৯), Savitri (১৯৫০), Mother India, The Significance of Indian Art, Lights on Yoga, A System of National Education, The Renaissance in India!

    দেশ স্বাধীন হওয়ার তিন বছর পর, তাঁর বয়স তখন প্রায় আটাত্তর। ১৯৫০ এর ৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে হঠাৎ করে চলে গেলেন যোগী অরবিন্দ। পাঁঁচ দিন পর তার দেহ সমাধিস্থ করা হয় পুদুচেরিতে তাঁর আশ্রমের এক গাছতলায়। যে গাছের ফুল আজও ঝরে পড়ে তার সমাধির ওপর। আর এক পুরাতন বটগাছ যেভাবে তার শাখা-প্রশাখা দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যায়, ঠিক সেভাবেই অরবিন্দের লেখনি, তাঁর আদর্শ , তাঁর চিন্তাধারা ভারতের আগামী প্রজন্মের ধারক ও বাহক হয়ে ওঠে। 

  • Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি! জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পার্থক্য জানেন

    Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি! জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পার্থক্য জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি এবং ১৫ অগাস্ট। দু’টি দিনই ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রজাতন্ত্র দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং ২৬ জানুয়ারি পতাকা উন্মোচন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি৷ এই দু’টি দিনই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কিন্তু দু’টি দিন জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখানোর পদ্ধতির পার্থক্য আছে।

    স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা নীচে থেকে উপর পর্যন্ত তোলা হয়। লালকেল্লায় দেশের সম্মানে পতাকা উত্তোলন (Hoist) করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পতাকা খুঁটির নিচের অংশে বেঁধে ওপরে ‘উত্তোলন’ করা হয়। এটি একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে ভারতের উত্থান এবং ব্রিটিশ শাসনের অবসান চিহ্নিত করে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে উঠে দাঁড়িয়েছিল। তাই স্বাধীনতা দিবসে নীচে থেকে পতাকা উত্তোলন করা হয়। যখন দেশ স্বাধীন হয় তখন ভারতে কোনও রাষ্ট্রপতি ছিলেন না ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।  

    আরও পড়ুন: দেশ বিভাজনের বিভীষিকা, এক যন্ত্রণার ইতিহাস

    অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে, জাতীয় পতাকা খুঁটির একদম শীর্ষেই বাঁধা হয় এবং স্বাধীনতা দিবসের মতো খুঁটির নীচের অংশে বাঁধা হয় না। সেটি শুধু ভাঁজ করা অবস্থায় থাকে। সেখান থেকে পতাকাকে মুক্ত করা হয়।  প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয় ১৯৫০ সাল থেকে। ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি ছিল প্রজাতন্ত্র দিবস। তত দিন ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গিয়েছে। তাই জাতীয় পতাকা সেদিন উপরেই বাঁধা থাকে। সেটির উন্মোচন (Unfurl) করা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের ডানা মেলার প্রতীক ধরে। এটি একটি মুক্ত সময়কে ইঙ্গিত করে। ২৬ জানুয়ারী, ১৯৫০,  ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন এবং আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান হন। ওই দিন তিনিই পতাকা উন্মোচন করেন।  এরপর থেকেই প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করেন আর প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি পতাকা উন্মোচন করেন।

  • Har Ghar Tiranga: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’, কী ভাবে পোস্ট অফিস থেকে অনলাইনে অর্ডার করবেন দেশের পতাকা? 

    Har Ghar Tiranga: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’, কী ভাবে পোস্ট অফিস থেকে অনলাইনে অর্ডার করবেন দেশের পতাকা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) পালন করবে গোটা দেশ। দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবস পালনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার আগেই এক নতুন চমক দিল ভারতীয় ভারতীয় ডাক বিভাগ (India Post)। ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) প্রচারের অংশ হিসাবে দেশজুড়ে পোস্ট অফিসগুলি ভারতের জাতীয় পতাকা (National Flag) বিক্রি শুরু করছে। জাতীয় পতাকা পাওয়া যাবে অনলাইনেও। পোস্ট অফিসের ইপোর্টালে। সম্প্রতি ভারতীয় পোস্ট বিভাগ http://www.epostoffice.gov.in – এই ইপোর্টালটির মাধ্যমে জাতীয় পতাকার অনলাইন বিক্রির ঘোষণা করেছে। গত ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে ভারতীয় পতাকা বিক্রি।  

    আরও পড়ুন: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে শামিল হবেন কীভাবে? সার্টিফিকেট কী করে ডাউনলোড করবেন? জেনে নিন      

    এ বছর দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের দিন সোশ্যাল মিডিয়া ডিপি বদলে ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি লাগানোর অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া বদল এসেছে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়মেও। আগে সুর্যদয়ের পর উত্তোলন এবং সূর্যাস্তের আগে পতাকা নামিয়ে নিতে হত। কিন্তু এবছর ২৪ ঘণ্টাই রাখা যাবে পতাকা। মানুষ তাঁদের বাড়িতে আগামী ১৩-১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন। 

    যে পতাকাগুলি পোস্ট অফিসে বিক্রি করা হচ্ছে, তার মাপ ২০ ইঞ্চি x ৩০ ইঞ্চি। প্রতিটি পতাকা ২৫ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। জাতীয় পতাকায় কোনও জিএসটি ধার্য করা হয়নি। 

    আরও পড়ুন: মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভূস্বর্গে তিরঙ্গা মিছিল, জাতীয় সঙ্গীতও গাইল পড়ুয়ারা

    কিভাবে পোস্ট অফিস থেকে ভারতীয় পতাকা কিনবেন? 

    • www.epostoffice.gov.in -এ যান।
    • ePostoffice পোর্টালের হোম পেজে ভারতীয় জাতীয় পতাকার ছবিতে ক্লিক করুন।
    • ছবির নীচে “পতাকা কেনার জন্য ছবিতে ক্লিক করুন” লেখা আছে, সেখানে ক্লিক করুন। 
    • ডেলিভারির ঠিকানা, পতাকার পরিমাণ (গ্রাহক প্রতি প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ ৫টি পতাকা) এবং আপনার মোবাইল নম্বর দিন। 
    • অর্ডারটি সম্পূর্ণ করতে পেমেন্ট সারুন ৷
    • একবার অর্ডার দেওয়া হলে অর্ডার বাতিল করা যাবে না। 
    • পতাকাটি নিকটতম পোস্ট অফিস থেকে নিতে পারবেন। 
LinkedIn
Share