Tag: India Bangladesh Relation

India Bangladesh Relation

  • PM Modi: “এটা সামাজিক মাধ্যম, আপনি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না,” ইউনূসকে সটান জবাব মোদির

    PM Modi: “এটা সামাজিক মাধ্যম, আপনি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না,” ইউনূসকে সটান জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, আপনি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।” বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তনের প্রশ্নে মহম্মদ ইউনূসকে (Md Yunus) নাকি এই ভাষায়ই জবাব দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউনূস চেয়েছিলেন, ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণগুলো যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    কী বললেন ইউনূস? (PM Modi)

    প্রবল আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। পরে লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে ভাষণ দেওয়ার সময় ইউনূস জানান, ভারত তাঁর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় তিনি হতাশ। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন,  “আমি যখন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাই, তখন আমি শুধু তাঁকে এটুকুই বলেছিলাম — আপনি যদি ওঁকে আশ্রয় দেন, আমি আপনাকে সেই নীতিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করতে পারি না। কিন্তু দয়া করে আমাদের সহায়তা করুন যাতে উনি যেভাবে বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা বন্ধ করা যায়।” তিনি জানান, এর জবাবেই নাকি মোদি দৃঢ়ভাবে বলেন, “এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম —আপনি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।”

    পরিস্থিতিকে বিস্ফোরক আখ্যা

    অসন্তুষ্ট ইউনূস এই পরিস্থিতিকে বিস্ফোরক বলে অভিহিত করেন। তাঁর দাবি, হাসিনার বক্তব্যগুলো বাংলাদেশে অস্থিরতা উসকে দিচ্ছে। তবে নয়াদিল্লিকে ডিজিটাল অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণের ডাক দেওয়ায় তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে থাকা কর্মী এবং আঞ্চলিক বিশ্লেষকদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইউনূস। তাঁরা এটিকে এমন একটি সরকারের বিপজ্জনক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হিসেবে দেখছেন, যে সরকার ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করেছে এবং একটি অস্থায়ী সরকারের ছদ্মবেশে বিরোধী কণ্ঠ দমন করতে চাইছে (PM Modi)।

    মোদির সাফ কথা

    ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়লেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রচার বন্ধে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির দৃঢ় অবস্থান ভারতের সাংবিধানিক স্বাধীনতা এবং ডিজিটাল অধিকার রক্ষায় তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরে। যখন বিশ্বের বিভিন্ন কর্তৃত্ববাদী সরকার মতপ্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে প্রতিবাদ দমন করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, তখন ভারতে আশ্রয় নেওয়া এক বিদেশি নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত স্পষ্ট বার্তা দেয় – গণতান্ত্রিক নীতিগুলির সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করা হবে না (Md Yunus)।

    নয়াদিল্লির সন্দেহের তালিকায় ইউনূস

    ভারতের অবস্থান ইউনূসের কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার সম্পূর্ণ বিপরীত। ক্ষমতায় আসার পর থেকে নোবেলজয়ী থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা ইউনূস একটি ক্রমবর্ধমান দমনমূলক প্রশাসন পরিচালনা করছেন। তাঁর অস্থায়ী সরকার রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, বিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনি বিচার শুরু করেছে, এমনকি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে। পুরো ঘটনাপ্রবাহকে সন্দেহের চোখে দেখছে নয়াদিল্লি, বিশেষ করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাজনীতিকরণের পটভূমিতে (PM Modi)।

    ইউনূসের চিন প্রীতি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইউনূসের আবেদন — হাসিনার ডিজিটাল কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য – ভারতের প্রতি বৃহত্তর শত্রুতার একটি অংশমাত্র। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়ে তিনি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে “স্থলবেষ্টিত” আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশকে “সাগরের রক্ষক” ঘোষণা করায় ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। ইউনূস বলেন, “ভারতের পূর্বাঞ্চল, যা সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত, তা স্থলবেষ্টিত। তাদের সাগরে কোনও প্রবেশাধিকার নেই। আমরা এই অঞ্চলের একমাত্র সাগরের রক্ষক।” বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসের এই ধরনের বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে বাংলাদেশ ভূগোলকে কাজে লাগিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত বঙ্গোপসাগরীয় প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ইউনূসের এহেন মন্তব্যকে অনেকেই প্রচ্ছন্ন হুমকি হিসেবে দেখছেন (Md Yunus)।

    ভারতের প্রতি এই প্রচ্ছন্ন হুমকি!

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং অন্যান্য আঞ্চলিক নেতারা ইউনূসের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। তাঁরা একে উসকানিমূলক এবং পড়শি কূটনীতির চেতনার বিরুদ্ধে বলে অভিহিত করেন। বিশ্লেষকদের মতে, ইউনূসের চিনের প্রতি আকর্ষণ এবং ভারতের প্রতি এই প্রচ্ছন্ন হুমকি একটি বিপজ্জনক কৌশলগত মোড় নির্দেশ করে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতাকে বিঘ্নিত করতে পারে (PM Modi)। ইউনূস চাইছেন ভারত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সেন্সরশিপ চালু করুক। যেমনভাবে তাঁর নিজের দেশেই তিনি দমন করেছেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। তাঁর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু এবং বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে। আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, দমন করা হয়েছে সংখ্যালঘুদের কণ্ঠস্বরকে, সর্বক্ষণ চাপের মধ্যে রয়েছে সে দেশের গণমাধ্যম (PM Modi)।

  • Bangladesh: ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিকল্পনা করেছিলেন ইউনূস! ফাঁস হয়ে যায় ছক

    Bangladesh: ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিকল্পনা করেছিলেন ইউনূস! ফাঁস হয়ে যায় ছক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা ভেস্তে দিলেন সে দেশেরই সেনা প্রধান! ইউনূস (Md Yunus) মনে করেছিলেন ভারতের সঙ্গে সীমান্তে ছোটখাট সংঘর্ষ লাগিয়ে রেখে দেশের ভেতরের গুরুতর সমস্যাগুলি থেকে বাংলাদেশবাসীর দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে। এভাবে জনমতকে তাঁর পক্ষে আনতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী। ইউনূসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে সীমিত পরিসরের একটি সীমান্তসংঘর্ষ কেবল তাঁর সমস্যাগুলো দূর করবে না, বরং তাঁকে আগাম নির্বাচনের দাবিকে উপেক্ষা করে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় টিকে থাকার সুযোগ করে দেবে। তাঁর ধারণা ছিল, এই পরিকল্পিত সংঘর্ষের সময় সব পক্ষ— এমনকি সাধারণ মানুষও— জাতীয়তাবাদের চেতনায় নিজেদের বিভেদ ভুলে তাঁকে সমর্থন করবেন। সূত্রের খবর, ইউনূস এই পরিকল্পনা করেন জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ এবং সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কিছু নেতার সঙ্গে পরামর্শ করে। এনসিপিকে বাংলাদেশে ‘রাজপন্থী দল’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। কারণ এটি ইউনূসের আশীর্বাদপুষ্ট। তাঁর সক্রিয় সমর্থনও পেয়েছে এই দল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত হয় এই দল। ছাত্রবিক্ষোভের অগ্রণী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (এডিএসএম) কয়েকজন নেতা যাঁরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের নিয়েই গঠিত হয়েছে এই দল।

    ইউনূসের শলা (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ভারত যখন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন নাকি ইউনূস (Md Yunus) পরিকল্পনাটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) খালিলুর রহমান এবং সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ ফইজুর রহমানের সঙ্গে শলা করে চূড়ান্ত করেছিলেন। প্রসঙ্গত, কিউএমজি সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে থাকা অল্প কিছু উগ্র ইসলামপন্থীর একজন, যিনি সেনাপ্রধানের বিরোধিতা করেন সব সময়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল রহমান পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। চলতি বছরের (Bangladesh) মার্চে সেনাপ্রধানকে সরাতে তিনি সচেষ্ট হয়েছিলেন। যদিও ব্যর্থ হন। তার পর থেকেই তাঁকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেনাপ্রধানের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও রাখতে পারেন না।

    ঢাকা ব্রিগেড

    এই কারণেই ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত এবং সেনা সদর দফতরের অধীন ৪৬তম স্বাধীন পদাতিক ব্রিগেডের (‘ঢাকা ব্রিগেড’ নামেও পরিচিত) সঙ্গে যুক্ত কর্নেল পদমর্যাদার এক আধিকারিককে সেনাপ্রধানের সামনে গোটা পরিকল্পনাটি তুলে ধরার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই কর্নেল অন্তর্বর্তী সরকারের দুই প্রাক্তন এডিএসএম নেতার ঘনিষ্ঠ বলে সন্দেহ করা হয়। তিনি সেনাবাহিনীর সদর দফতরের প্রবীণ আধিকারিকদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারত যখন পাকিস্তানকে জব্দ করতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই ইউনূস ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা ভেবেছিলেন, ভারত ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে উসকানিমূলক কাজকর্মের প্রতি বিশেষ নজর দিতে পারবে না। ঢাকার এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “পরিকল্পনা ছিল বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)-কে সীমান্তে একটি আক্রমণাত্মক ভঙ্গি নিতে উদ্বুদ্ধ করা, যাতে ভারতের বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স)-এর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এই পরিকল্পনার অংশ ছিল সীমান্তের কিছু পেছনের এলাকায় সেনা ইউনিট মোতায়েন করা, যাতে বিজিবি সদস্যদের ব্যাকআপ দেওয়া যায়।”

    ঢাকায় সরকার পরিবর্তন

    প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh) বছরের অগাস্টের শুরুতে ঢাকায় সরকার পরিবর্তনের পরপরই বিজিবি আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর খুবই আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তারা ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতার বসানো ও অন্যান্য নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করতে শুরু করে। বিজিবি (Md Yunus) এমনটা শুরু করেছিল গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে। তখন বিজিবির জওয়ানরা ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্ধারণকারী একটি নদী পেরিয়ে ভারত ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। তারা অসমের শ্রীভূমি জেলার একটি মন্দিরের সংস্কার কাজও বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল।বিএসএফের এক কর্তা বলেন, “গত বছরের অগাস্ট থেকে এ বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সীমান্তের অনেক ফাঁক-ফোকর দিয়ে বিজিবি বাংলাদেশি অপরাধীদের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে। তবে তারা এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে আগ্রাসী ভূমিকায় ইতি টেনেছে।”

    ইউনূসের পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, এর কারণ বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান নাকি বিজিবির প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকে বিজিবির আক্রমণাত্মক অবস্থান থেকে সরে আসার নির্দেশ দেন। সেনাপ্রধান নাকি বিজিবি প্রধানকে এ নিয়ে ভর্ৎসনাও করেন। বিজিবি প্রধান নাকি জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে বলেছিলেন, তিনি ‘যমুনা’ (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বাসভবন) থেকে মৌখিক নির্দেশ পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলতাফ হুসেন, যিনি বর্তমান সেনা প্রধানের ঘনিষ্ঠ, তিনি বলেন, “ইউনূসের পরিকল্পনা ছিল, এমন ছোটখাটো সংঘর্ষকে বাংলাদেশের অতিরঞ্জিত জাতীয়তাবাদী মিডিয়ার একটি অংশ ব্যবহার করবে জনরোষ ও জাতীয়তাবাদী আবেগ উসকে দিতে। ইউনূস ও তাঁর সহকর্মীরা সেই জাতীয়তাবাদী আবেগকে উসকে দেবে যুদ্ধংদেহি বক্তব্য ও আগ্রাসী অবস্থানের মাধ্যমে। এর ফলে গোটা দেশ ইউনূসের পক্ষে দাঁড়িয়ে যাবে। চাপা পড়ে যাবে তাঁর আমলে সৃষ্টি হওয়া সব অভ্যন্তরীণ সমস্যা (Bangladesh)।”

    সেনাবাহিনীর ব্যাকআপ

    এই পরিকল্পনার সফলতার জন্য সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত, তাহলে সীমান্তের কাছাকাছি মোতায়েন থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিজিবিকে সাহায্য করতে পারত। হুসেন বলেন, “সেনাবাহিনীকে ব্যাকআপ হিসেবে না পেলে বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার সাহস পেত না। বিএসএফ সংযম দেখায়, কিন্তু একটা সীমা পর্যন্ত। ইউনূস যেটা চেয়েছিলেন তা হল, বিজিবি যেন সেই রেড লাইন অতিক্রম করে, যেটা করলে বিএসএফের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হত। সেই জন্যই সেনাবাহিনীকে পেছনে মোতায়েন (Md Yunus) করা হয়েছিল, যাতে বিএসএফ বিজিবি-র বিরুদ্ধে কড়া কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পারে (Bangladesh)।”

    কী বললেন সেনাপ্রধান?

    ইউনূসের এই ষড়যন্ত্রের কথা দ্রুত পৌঁছে যায় সেনাপ্রধানের কানে। বাংলাদেশ সেনা সদর দফতরের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁর সহকর্মীদের, বিশেষ করে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং অপর দুই বাহিনীর প্রধান — এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নজমুল হাসানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করেন। সকলেই ইউনূসের পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেন।” এর পরেই সেনাপ্রধান ইউনূস এবং এনএসএ-কে জানিয়ে দেন যে এই পরিকল্পনাটি রূপায়ণ করা হলে, তা হবে অবিবেচকের মতো কাজ। তাই এটি কার্যকর করা হবে না। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভারত সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং ভারতকে উসকানি দেওয়া চলবে না। ভারতকে নিয়ে এমন সীমানা উত্তেজনার খেলা বুমেরাং হতে পারে। কারণ সীমান্তে যে কোনও ভুল পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। তিনি এও জানিয়ে দেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামর্থ্য কিংবা মনোভাব কোনওটিই ভারতের সঙ্গে শত্রুতায় জড়ানোর নয় (Bangladesh)।

    বাংলাদেশ সেনাপ্রধান আরও জানিয়ে দেন, সীমান্তে কোনও সেনা তিনি মোতায়েন করবেন না। বিজিবি-র প্রধানকে নির্দেশ দেন, তিনি যেন কারও কাছ থেকে সরাসরি কোনও নির্দেশ না নেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইউনূসের এই ‘ধান্ধা’র খবর জেনে যায় বিএনপি-ও। এর পরেই বিএনপি নেতৃত্বও দ্রুত ইউনূসকে জানিয়ে দেন (Md Yunus), এমন করা হলে তাঁরা তাঁর তীব্র বিরোধিতা করবেন এবং এর বিরুদ্ধে জনমত গঠনের জন্য ব্যাপক প্রচারও করবেন। সূত্রের খবর, তার পরেই ভয়ে ষড়যন্ত্র কার্যকর করা থেকে বিরত থাকেন ইউনূস (Bangladesh)।

  • BSF: সুন্দরবন অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নজরদারিতে জোর! ডিআরডিও-র দ্বারস্থ বিএসএফ

    BSF: সুন্দরবন অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নজরদারিতে জোর! ডিআরডিও-র দ্বারস্থ বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) সাহায্য চাইল বিএসএফ (BSF)। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তপার জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ করেছে বিএসএফ (DRDO)। ভারতের সুন্দরবনের সঙ্গে যুক্ত ১১৩ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থাপনার সাহায্য চেয়েছে বিএসএফ। এর মধ্যে রয়েছে, ড্রোন, রেডার এবং স্যালেটাইটও। অপারেশন সিঁদুরের পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নর্থ ব্লকে উচ্চ পর্যায়ের উপকূল নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠকে এ নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব।

    পহেলগাঁও হামলা (BSF)

    প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসে পহেলগাঁও হামলার পর অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে তাতে আরও গতি এসেছে। সরকারিভাবে না হলেও, বেসরকারিভাবে এই অভিযানের নাম অপারেশন পুশ-ব্যাক। এই অভিযানের অংশ হিসেবে বিএসএফ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে এবং এখন সংবেদনশীল এলাকা, বিশেষ করে সুন্দরবন, যা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য পরিচিত রুট, সেখানে ফাঁক পূরণের জন্য উচ্চমানের নজরদারি প্রযুক্তির ওপর আরও বেশি করে নির্ভর করার চেষ্টা করছে (BSF)।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “বিএসএফ প্রায় ১১৩ কিলোমিটার এলাকা প্রযুক্তিগত নজরদারির আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই ইসরো এবং ডিআরডিওর সঙ্গে পরামর্শ করে একটি সম্ভাব্য সমীক্ষা পরিচালনা করেছে এবং সব চেয়ে কার্যকর সমাধানগুলি শনাক্ত করার জন্য ডিআরডিওকে মাঠ পরিদর্শন করতে বলেছে। তবে গুজরাটের খাঁড়ি এলাকায় একই ধরনের প্রকল্পের বর্তমান কাজ শেষ করার পরেই ডিআরডিও (DRDO) সুন্দরবনের জায়গাটা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিএসএফ

    বর্তমানে বিএসএফ সুন্দরবন সেক্টরের প্রায় ১২৩ কিলোমিটার এলাকায় নজরদারি চালায়। এর সিংহভাগই খাল এবং ঘন ম্যানগ্রোভ বনে ভরা কঠিন ভূখণ্ড। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের পর প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতির চাহিদা বেড়েছে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ভারতের নদী এবং সমুদ্র সীমানা, বিশেষ করে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকে পড়ার পথ খুঁজছে। প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জজুড়ে বিস্তৃত এবং জোয়ারের জলপথ দ্বারা আড়াআড়ি এই অঞ্চলটি প্রচলিত টহলদারির জন্য অনন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

    বিএসএফের শক্তি

    বর্তমানে বিএসএফ আটটি ভাসমান সীমান্ত ফাঁড়ি এবং ৯৬চি অন্যান্য টহলদারি জাহাজের সাহায্যে নজরদারি চালায়। সাতটি নজর মিনার নির্মাণের জন্য জমি এবং আরও বন-পোস্টের সহ-অবস্থানের অনুমতি দেওয়ার জন্য এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। এটি এমন একটি মডেল যেখানে বিএসএফ কর্মীরা বনকর্তাদের সঙ্গে পরিকাঠামো ভাগ করে নেয় (BSF)। ইতিমধ্যেই এই ধরনের তিনটি পোস্ট রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “অগ্রগতি কিছুই হচ্ছে না। বারবার সমীক্ষা করা সত্ত্বেও, বন ও রাজ্য রাজস্ব বিভাগের কর্তারা অংশগ্রহণ করেননি, যার ফলে প্রক্রিয়াটি স্থবির হয়ে পড়েছে।” মে মাসে বৈঠক হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের শীর্ষ কর্তা (DRDO) দলজিৎ সিং চৌধুরীও। ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিরা বলেছিলেন যে তাঁরা সাতটি জায়গা সমীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে দুটি জায়গায় জমি দিতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, “আরও তিনটি বিএসএফ পোস্টের জন্য তাঁরা অপেক্ষায় রয়েছেন বন বিভাগের ছাড়পত্রের। উভয় পক্ষকেই প্রয়োজনে বিকল্প জায়গা অনুসন্ধান ও প্রতিটি জায়গায় যৌথভাবে সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”

    সুন্দরবনে নজরদারি

    সুন্দরবনে নজরদারির ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপটি এমন একটা সময়ে এসেছে যখন নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে যে জরুরি ভিত্তিতে পূর্ব সীমান্ত বন্ধ করা না হলে অবৈধ অভিবাসন এবং জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রোধের চেষ্টা ব্যাহত হতে পারে (BSF)। বৃহত্তর সীমান্ত কৌশলের অংশ হিসেবে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে, নির্বাসন প্রচেষ্টা জোরদার করেছে এবং বিভিন্ন সংস্থায় গোয়েন্দা সমন্বয় বৃদ্ধি করেছে। বছরভর টুকটাক অনুপ্রবেশ চলতে থাকলেও, গত অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। এই ডামাডোলের বাজারে প্রত্যাশিতভাবেই বাড়তে শুরু করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের প্রবণতা। এই পরিস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। একই সঙ্গে চলছে অপারেশন পুশ-ব্যাকও। এমন আবহেই ডিআরডিওর (DRDO) কাছে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য চেয়ে বিএসএফ যে সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও পোক্ত করতে চাইছে, তা বলাই বাহুল্য (BSF)।

  • India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের অস্থির অবস্থার জন্য ভারত দায়ী নয়! স্পষ্ট বার্তা দিল্লির

    India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের অস্থির অবস্থার জন্য ভারত দায়ী নয়! স্পষ্ট বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অস্থির অবস্থার জন্য কোনওভাবেই ভারত দায়ী নয়। এটা আসল সমস্যা থেকে ঢাকার নজর ঘোরানোর চেষ্টা, বলে স্পষ্ট জানাল ভারত। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সাম্প্রতিক অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ইউনুসের দাবি ছিল, ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী। কিন্তু সাউথ ব্লক স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এ ধরনের মন্তব্য দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়।

    প্রকৃত সমস্যা থেকে দূরে

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, “আইনশৃঙ্খলা এবং শাসনব্যবস্থার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের। যদি কেউ বলে বাইরের শক্তি এই সমস্যার জন্য দায়ী, তাহলে সেটা আসলে প্রকৃত সমস্যার দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। এই ধরনের বিবৃতি দায়িত্ব এড়ানোর জন্য, সমস্যার সমাধান নয়।” সম্প্রতি ইউনুস নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে এক বৈঠকে ভারতকে “বাংলাদেশ ধ্বংসে সচেষ্ট” বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমরা গভীর সঙ্কটে রয়েছি। ভারত এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারছে না। যদি সুযোগ পায়, একদিনেই আমাদের ধ্বংস করে দেবে।”

    বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের মতে, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণার পর “একটি নতুন যুদ্ধ পরিস্থিতি” তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের অগ্রগতি থামানো, দেশকে পতনের মুখে ঠেলে দেওয়া, এবং আবারও পরাধীনতার দিকে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।” এর তীব্র প্রতিবাদ করে রনধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব আয়োজন করা দরকার, যাতে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয়। তা না করে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তর্বর্তী সরকার পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ চরমে পৌঁছাচ্ছে।” ইউনুস জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তবে বিএনপি, দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিরোধী দল, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Operation Push Back: ‘অপারেশন পুশ-ব্যাকে’ ব্যাপক সাফল্য, ফেরানো হল ৭৪২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে

    Operation Push Back: ‘অপারেশন পুশ-ব্যাকে’ ব্যাপক সাফল্য, ফেরানো হল ৭৪২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন পুশ-ব্যাকে (Operation Push Back) ব্যাপক সাফল্য মিলল শনিবার। এদিন রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১৭২ জন অবৈধ বাংলাদেশি (Bangladesh) অনুপ্রবেশকারীকে নিজের দেশে ফেরত পাঠাল ভারত। এটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ভারতের করা অপারেশন পুশ-ব্যাকের অংশ। এই পুশ-ব্যাক অপারেশন করা হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত সিলেট, মেহেরপুর এবং মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে। রবিবার সকালে ভারতের পক্ষ থেকে মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে মোট ১৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাদের বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে পড়া এই অনুপ্রবেশকারীরা হরিয়ানায় বসবাস করছিল।

    অপারেশন পুশ-ব্যাক (Operation Push Back)

    আটক করার পর এই ১৯ জন অনুপ্রবেশকারীকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। জানা গিয়েছে, মোট ১৫৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে বিএসএফ শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ৩২ জন এবং মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ১২১ জনকে। এরা সবাই বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। গত কয়েক বছর ধরে ভারতে কাজ করছিল তারা। বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান বলেন, “শনিবার কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের পর আমরা সীমান্তে নজরদারি বাড়াই। তবে বিএসএফ রাত ২টো থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সীমান্তের পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে মোট ১৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে।”

    বিজিবির বক্তব্য

    তিনি বলেন, “বিএসএফ তাদের সীমান্তের অংশে থাকা আলো বন্ধ করে দেয় এবং এই মানুষগুলিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দেয়। আমরা তাদের আটক করার পর তাদের জাতীয়তা নিশ্চিত করি। জানতে পারি, বাংলাদেশি। মানবিক বিবেচনায় আমরা তাদের আটক করে পরে পুলিশের হাতে তুলে দিই।” বিজিবির তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এই অবৈধ অভিবাসীরা ভারতের বিভিন্ন পাথর খনি এবং ইটভাটায় কাজ করছিল। এর আগেও বিএসএফ ২০২৫ সালের ১৪ মে ১৬ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছিল। বিজিবি জানিয়েছে, ভারত এখন পর্যন্ত একইভাবে বাংলাদেশের ১১টি জেলার সীমান্ত দিয়ে মোট ৬৬৪ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠিয়েছে। এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে, খাগড়াছড়ি, কুড়িগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুমিল্লা, ফেনি এবং ঝিনাইদহ। অপারেশন পুশ-ব্যাকের আওতায় এখনও পর্যন্ত ফেরত পাঠানো হয়েছে মোট ৭৪২ জন অভিবাসীকে।

    প্রোটোকলে সমস্যা

    প্রসঙ্গত, দশকের (Operation Push Back) পর দশক ধরে ভারত প্রোটোকল অনুসরণ করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করে আসছে। এতে ব্যয় হচ্ছিল প্রচুর সময়। ফলে পুশ-ব্যাক করতে সময় লাগছিল। কারণ বাংলাদেশ সরকার ও বিজিবি প্রায়ই তাদের দেশের নাগরিকদের স্বীকৃতি দিত না। ফলে ক্রমশই পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ফোকর দিয়ে এজেন্ট ও দালালদের সাহায্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে। যদিও তাদের ফেরত পাঠাতে গেলেই দেখা দিত যত সমস্যা।

    ভারতে ২ কোটিরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি

    ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ২ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছে। শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিকভাবে অপসারণ এবং ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবের ফলে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে (Bangladesh) ফেরানো কঠিন হয়ে পড়ে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এখন এক অঘোষিত পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার (Operation Push Back)। লোকমুখে এটাই হল অপারেশন পুশব্যাক। এই অপারেশনের মাধ্যমে দেশের পূর্ব সীমান্তে হাতেনাতে ধরা পড়া বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদেরও দেশছাড়া করা হচ্ছে। অপারেশন পুশ-ব্যাকের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে সীমান্তের ওপারে ঠেলে দিচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিলে চালু হয়েছে অপারেশন পুশ-ব্যাক।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাব না। আগে আমাদের সিদ্ধান্ত (Operation Push Back) ছিল, কাউকে গ্রেফতার করে তাকে ভারতীয় আইনি ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। আগেও আমরা প্রতি বছর ১,০০০ থেকে ১,৫০০ বিদেশিকে গ্রেফতার করতাম। তাদের জেলে পাঠানো হত এবং পরে আদালতে পেশ করা হত। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের দেশের ভেতরে আনা হবে না, বরং ঠেলে (push back) দেওয়া হবে। এই ‘পুশব্যাক’ একটি নতুন ধারা। প্রতি বছর প্রায় ৫,০০০ মানুষ ভারতে ঢোকে। এই পুশব্যাক পদ্ধতির কারণে এখন সেই সংখ্যা অনেকটাই কমবে।” জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladesh) বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ফলে এতটাই সাফল্য এসেছে যে এখন অনেক বাংলাদেশিই স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছে (Operation Push Back)।

  • Shamik Bhattacharya: “বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান,” ফ্রান্সে বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান,” ফ্রান্সে বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান (Pakistan) মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে তাদের লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে। সন্ত্রাসের জন্য, সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য।” ফ্রান্সে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)।

    বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান (Shamik Bhattacharya)

    বিশ্ব সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সাফল্যের কথা আন্তর্জাতিক মহলকে জানাতে সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদলকে বিদেশে পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। পদ্ম সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধি দলটি ইউরোপে গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক সেই দলের সদস্য। ফ্রান্সে সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মঙ্গলবার প্যারিসের ভারতীয় দূতাবাসে প্রবাসী ভারতীয়দের জমায়েতেও পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে প্রতিনিধি দলটি। সেখানেই ভাষণ দেওয়ার সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টানেন শমীক। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন যে, আমাদের (ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে)২ হাজার ২০০ কিলোমিটারের বেশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের অনেক জায়গায় কাঁটাতার না থাকার সুযোগ নিয়ে ভারতে নাশকতা চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে তাদের লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে। সন্ত্রাসের জন্য, সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য।”

    এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়

    প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শমীককে। সে সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বিজেপির এই নেতা বলেন, “মতভেদ থাকা সত্ত্বেও আমরা ভারতের সব রাজনৈতিক শক্তি একত্রিত হয়ে এখানে এসেছি একটাই বার্তা দিতে। তা হল, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে আমরা এখানে আসিনি। তাই আমি কিছু প্রসঙ্গে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছি।”

    শমীক বলেন, “পাকিস্তান এমন একটা দেশ, যারা কোনওদিনই শুধরাবে না। আমরা দাবি করছি, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে এক ঘরে করতে হবে।” তিনি বলেন, “কোন পরিস্থিতিতে ভারত অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল, তা বিশ্বকে জানানো আমাদের কর্তব্য। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদকে লালনপালন করেছে (Pakistan)। ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের লেলিয়ে দিয়েছে (Shamik Bhattacharya)।”

  • India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস, চাইছে চিন-পাকিস্তান! নেপথ্যে কি শুধু ভারত-বিরোধিতা?

    India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস, চাইছে চিন-পাকিস্তান! নেপথ্যে কি শুধু ভারত-বিরোধিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে গিয়েছে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus)। আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তারপর ক্ষমতার রাশ যায় ইউনূসের হাতে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, ইউনূসের মূল দায়িত্ব হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা, যাতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে। কিন্তু নির্বাচন করাতে ইউনূসের কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। তাই স্বয়ং সেনাপ্রধান ইউনূসকে আল্টিমেটাম দিয়ে দিয়েছেন।

    তুরুপের তাস ইউনূসই! (India Bangladesh Relation)

    তবে ইউনূসের বক্তব্য থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, সেটা হল ২০২৬ সালের কোনও এক সময় সাধারণ নির্বাচন হতে পারে বাংলাদেশে। এই যে লম্বা সময়, সেটাকে তিনি পাকিস্তান ও চিনের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার কাজে লাগাতে চাইছেন। ভারতকে চাপে রাখতে চিন এবং পাকিস্তানও বাংলাদেশের সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। হাসিনা জমানায় বিশেষ পাত্তা পায়নি চিন ও পাকিস্তান। তারাই এখন ইউনূসের কট্টর সমর্থক। এর প্রধান কারণ এই দুই দেশই গণতান্ত্রিক পরিচয়ের জন্য বিশ্বে পরিচিত নয়। ইউনূসকে সমর্থনের নেপথ্যে রয়েছে তাদের কৌশলগত ও আদর্শগত দুই প্রকার কারণই। এই দুই দেশই চায়, বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস। কারণ বিশ্বমঞ্চে নরেন্দ্র মোদির ভারতের উত্থান ঠেকাতে, স্বৈরচারীশাসনকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশে ইসালামপন্থী শক্তিগুলিকে শক্তিশালী করতে ইউনূসই হতে পারেন তাঁদের তুরুপের তাস।

    চিনের উদ্দেশ্য

    চিনের কাছে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। ইতিমধ্যেই শি জিনপিংয়ের দেশ বাংলাদেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে কোনও নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে এই সব প্রকল্প নিয়ে ফের আলোচনার পথে যেতে পারে। ইউনূস ক্ষমতায় থাকলে সে প্রশ্নই নেই। তাছাড়া চিনের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত প্রকল্পে ইউনূস কোনও প্রতিরোধও গড়ে তুলবেন না। তাই চিনা বিনিয়োগ যে আপাতত জলে যাবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিন্তে ড্রাগনের দেশের কমিউনিস্ট সরকার। চিন বরাবরই তার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গণতান্ত্রিক সক্রিয়তা বিস্তারের বিরোধিতা করে এসেছে। সেদিক থেকেও ইউনূস তাঁদের কাছে ঢের বেশি নিরাপদ বাংলাদেশের অন্যান্য নেতা-নেত্রীর চেয়ে।

    পাকিস্তানের লক্ষ্য

    চিন যেমন লগ্নি বাঁচাতে সমর্থন করছে ইউনূসকে (Md Yunus), পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। তাদের মূল উদ্দেশ্য ভারতের বিরুদ্ধে মৌলবাদী শক্তিকে লালন-পালনের কৌশলগত গভীরতা অর্জন। হাসিনা জমানায় বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিতে পারেনি ইসলামপন্থীরা। জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিয়েছিল তাঁর সরকার। নিয়ন্ত্রণ করেছিল পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যকলাপও। ইউনূসের আমলে এসব কিছুই নেই। তাই তারা চাইছে, ভারতের সঙ্গে দূরত্ব রচনা করুক বাংলাদেশ, ঘনিষ্ঠ হোক শাহবাজ শরিফের দেশের সঙ্গে। পাকিস্তান চায় বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুক ইউনূসের মতো এমন একজন নেতা, যিনি একই সঙ্গে নমনীয় এবং ভারত-বান্ধব নন। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার পর পাকিস্তানে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই গুঁতোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ইসলামাবাদ। ভারত ঘোষণা করে দিয়েছে পাকিস্তান কিংবা তার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত যে কোনও জঙ্গি হামলাকে যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এবং সেক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। মোদি সরকারের এহেন ঘোষণায় অশনি সঙ্কেত দেখছে শাহবাজ শরিফের দেশ (India Bangladesh Relation)। তাই তারাও চাইছে, এই ঘোর বিপদের দিনে ইউনূসের মতো কাউকে একজনকে পাশে পেতে। সেই কারণেই বাংলাদেশে নির্বাচন হোক, চাইছে না পাকিস্তানও।

    কী বলছেন পর্যবেক্ষকরা?

    পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ নীতির মূল কথাই হল, হাজারো ক্ষতের মাধ্যমে রক্তাক্ত করো ভারতকে। বাংলাদেশে মৌলবাদ মাথাচাড়া দেওয়ায় সেই কাজটিই আরও অনায়াস হয়েছে পাক জঙ্গিদের কাছে। বাংলাদেশের পর্যবেক্ষকদের মতে, ইউনূস সরকারের আমলে সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলি বিশেষ করে জামাত-ই-ইসলামির (জেইআই) রাজনীতিতে ফিরে আসা। হাসিনার আমলে জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তারপরেই (Md Yunus) রমরমা জামাতের। এটি একটি বিপজ্জনক আদর্শগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত। হাসিনার অনুপস্থিতির সুযোগে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন যেমন হিজবুত তাহরির ফের প্রকাশ্যে কাজকর্ম শুরু করেছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আল-কায়দা দ্বারা প্রাণিত একটি সংগঠন)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত চরমপন্থী আলেম মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে ইউনূস জমানায়। এসব ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয় যে, ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার হয় এই উগ্র শক্তিগুলিকে দমন করতে অনিচ্ছুক, নয়তো সম্পূর্ণভাবে অক্ষম (India Bangladesh Relation)।

    জামাতের প্রভাব

    জামাতের প্রভাব কেবল রাস্তার উগ্রপন্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, ইউনূস প্রশাসনের অধীনে এটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরেও ঢুকে পড়েছে। ফার্স্টপোস্টের এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে, জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির (আইসিএস) হাসিনার অপসারণের নেপথ্যে ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায়ও তারা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। জেইআইয়ের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক প্রভাবকে অনেকেই বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ভেঙে একটি ইসলামি ধর্মতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে একটি ধাপ হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউনূসের অধীনে প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন এই লক্ষ্যেই পরিচালিত হতে পারে। নির্বাচিত জনমতের কোনও ভিত্তি ছাড়াই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের আইন ও শাসন কাঠামো পুনর্লিখনের জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করেছে। সমালোচকদের মতে, এটি ধর্মীয় রক্ষণশীলতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ (India Bangladesh Relation)।

    সিঁদুরে মেঘ

    ইউনূস সরকার ক্রমশ জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতের পুতুলে পরিণত হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। বিএনপির প্রবীণ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, “একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সমন্বিত চক্রান্ত জাতীয় নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে নাগরিকদের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য অসংখ্য ছাত্র ও সাধারণ মানুষ যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ অশনি সংকেতপূর্ণ ও অনিশ্চিত (Md Yunus)।”

    গণতান্ত্রিক গতি-প্রবাহকে দমন করা!

    মনে রাখতে হবে, বেজিং এবং ইসলামাবাদ উভয়েই গণতান্ত্রিক কার্যকলাপ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। সংস্কার এবং জাতীয় ঐকমত্যের অজুহাতে ইউনূসের নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশলটি ক্ষমতা সংহত করার লক্ষ্যে অন্যান্য স্বৈরাচারী শাসকদের ব্যবহৃত পদ্ধতির অনুরূপ। চিন ও পাকিস্তানের ইউনূসকে ক্ষমতায় দেখতে চাওয়ার কারণ হয়তো এক নয়। কিন্তু একটি বিষয়ে দুই দেশই একমত, সেটি হল এই অঞ্চলে গণতান্ত্রিক গতি-প্রবাহকে দমন করা যেখানে ভারতের গণতান্ত্রিক মডেলের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে বিশ্বের দরবারে (India Bangladesh Relation)।

    ভারত হল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী, দীর্ঘদিনের মিত্রও। তবে নির্বাচিত সরকার উৎখাত হওয়ার পর ভারত অপেক্ষায় রয়েছে সে দেশে একটি নির্বাচিত সরকার আসার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে বাংলাদেশ, তাহলে এটি দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। বাংলাদেশ পরিণত হতে পারে ভারতের বিরুদ্ধে কার্যকলাপ (Md Yunus) চালানোর একটি ঘাঁটিতে। বঙ্গোপসাগরে চিনের প্রভাব বিস্তার করার একটি করিডর হিসেবেও কাজ করতে পারে ইউনূসের দেশ (India Bangladesh Relation)।

  • Himanta Biswa Sarma: “ভারতে হামলার কথা ভাবার আগে বাংলাদেশকে বহুবার পুনর্জন্ম নিতে হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “ভারতে হামলার কথা ভাবার আগে বাংলাদেশকে বহুবার পুনর্জন্ম নিতে হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের একটি ‘চিকেন নেকে’র উপর আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলে বাংলাদেশের দুটি ‘চিকেন নেক’ দখল করে নেওয়া হবে। দেশের অখণ্ডতা নিয়ে কখনওই আপস করা হবে না বলে স্পষ্ট জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর কথায়, “অপারেশন সিঁদুর বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতের শক্তি। বিশ্বের কোনও দেশের এই ভুল ধারনায় থাকা উচিত নয় যে তারা ভারতের চিকেন নেক দখল করতে পারবে।”

    বাংলাদেশকে বার্তা হিমন্তর

    ভারতে শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেক নিয়ে বিগত দিনে বারংবার বিতর্ক উসকে দিয়েছে ইউনূস প্রশাসন। বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরে লালমনিরহাটে চিনা সাহায্যে বায়ুসেনা ঘাঁটি নির্মাণের খবরে সেই বিতর্ক আরও বেড়েছে। এই নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে (Himanta Biswa Sarma)। তারই জবাবে বাংলাদেশকে পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন হিমন্ত। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এই করিডর নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করছে, কিন্তু একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলা দরকার। তাদের দুটি চিকেন নেক রয়েছে, আর আমাদের একটি। তাদের মেঘালয়তে একটা চিকেন নেক। আর একটা চিকেন নেক চট্টগ্রাম বন্দরের ওখানে। যদি তারা আমাদের করিডর নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করে, তাহলে আমরা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখি।” ভৌগোলিক তুলনা টেনে তিনি বলেন, “মেঘালয় থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে যে করিডরটি রয়েছে, তা আমাদের শিলিগুড়ি করিডরের থেকেও সংকীর্ণ। আমাদের পক্ষে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে না।”

    কেন এই হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    সম্প্রতি শিলং থেকে অসমের শিলচর পর্যন্ত ১৬৬.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি হাইওয়ে নির্মাণে সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারত সরকার। যা অসম সহ উত্তরপূর্বের পরিবহণ ক্ষেত্রে বড় রকমের পরিবর্তন আনবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের পর মানুষ বুঝেছে যে ভারত কতটা শক্তিশালী রাষ্ট্র। আমি পরমাণু শক্তির বিষয়টা না হয় বাদই দিলাম। বাংলাদেশ যদি ভারতে হামলা করার কথাও ভাবে তাহলে তার আগে তাদের একাধিকবার পুনর্জন্ম নিতে হবে। আর বাংলাদেশকে এত গুরুত্ব দিয়ে কথা বলার কিছু নেই। ওরা খুবই ছোট একটা দেশ। ভারতের সঙ্গে তাদের তুলনা নেই।” সাম্প্রতিক সময়ে চিনে গিয়ে উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে। ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিকে ‘ল্যান্ডলকড’ আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে বাংলাদেশকে সাগরের ‘গার্ডিয়ান’ বলে অভিহিত করেছিলেন ইউনূস। তাঁর এহেন মন্তব্য ভালো চোখে নেয়নি ভারত।

  • PM Modi: ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার! ইউনূসের চিন-প্রীতির জন্য ব্যাপক ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ

    PM Modi: ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার! ইউনূসের চিন-প্রীতির জন্য ব্যাপক ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে কলকাতা দখলের হুমকি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) এক মৌলবী। তার আগে চিনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ভারতকে চমকাতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। ইউনূসের বাংলাদেশকে সবক শেখাতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে রেডিমেড পোশাক-সহ বেশ কিছু পণ্য স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে আমদানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা জারিও। এই বিষয়ে (PM Modi) দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রক শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কেবলমাত্র মুম্বইয়ের নভাশেভা ও কলকাতা সমুদ্র বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক আমদানি করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় পেট্রাপোল সীমান্তে বাণিজ্যে প্রভাব পড়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ১৫টি পণ্য বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    রেডিমেড পোশাক আমদানি বন্ধের নির্দেশিকা (PM Modi)

    রেডিমেড পোশাক আমদানি বন্ধের নির্দেশিকা জারি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে পেট্রাপোল স্থল বন্দরে। সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে পোশাক আমদানিতে যেমন খরচ বাড়বে, তেমনি সময়ও বেশি লাগবে। পেট্রাপোল এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন, “পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে রেডিমেড পোশাক আমদানি বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়বেন বাংলাদেশের রফতানিকারীরা।” বাংলাদেশের রফতানিকারীদেরও দাবি, ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার জেরে দেশের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেনাপোল বন্দর সূত্রে খবর, সেখানে রেডিমেড পোশাক বোঝাই ৩৬টি ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। এগুলি ভারতে রফতানি করতে না পারলে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়বেন বাংলাদেশের রফতানিকারীরা।

    গড়ে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি

    বাংলাদেশ প্রতি বছর গড়ে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে ভারতে। বাংলাদেশ রেডিমেড ও রফতানিকারী সমিতির প্রাক্তন পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “এখন বাংলাদেশের পোশাক ভারতে পৌঁছতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগবে। এতে খরচও বাড়বে। ভারতে পোশাক রফতানিও কমে যাবে।” তিনি বলেন, “বিশ্ব বাণিজ্য যখন নানা সমস্যায় জর্জরিত, তখন এমন সিদ্ধান্তে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।” রুবেল বলেন, “ভারত বাংলাদেশের বড় ক্রেতা দেশ। সেখানে ক্রমেই বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাকের বাজার বিস্তার লাভ করছিল। এখন ভারতের এই সিদ্ধান্ত নতুন করে আমাদের জন্য উদ্বেগের (Bangladesh) কারণ হয়ে দাঁড়াল। ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে ভুটান বা নেপালের ট্রানজিট পণ্য প্রভাবিত না হলেও, সামগ্রিকভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্কের ওপর এটি একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে (PM Modi)।” রফতানিকারীরা জানান, শুধু রেডিমেড পোশাকই নয়, ফলমূল, কার্বনেটেড বেভারেজ, প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য, কাঠের আসবাবপত্র-সহ বেশ কিছু পণ্যের ওপরও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় স্থলবন্দরগুলিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সার্বিকভাবে ব্যবসা ও আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকছেই।

    বাংলাদেশকে পাল্টা চাল ভারতের

    যেসব পোশাকের বার্ষিক মূল্য ৬১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৫২,৭৭,৩৩,৩৭,৫০০ টাকা), সেগুলি এখন কেবলমাত্র কলকাতা ও নভাশেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে পরিবহণ করা যাবে, যার ফলে বাংলাদেশ প্রবেশাধিকার হারাল গুরুত্বপূর্ণ স্থল বাণিজ্য পথগুলিতে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার ভারতীয় পণ্যের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ পাঁচটি গুরুত্বপূ্র্ণ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই সঙ্গে চাল রফতানির ওপরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। তামাক, মাছ, গুঁড়ো দুধ-সহ আরও অনেক ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়।

    বাংলাদেশের ক্ষতির পরিমাণ 

    গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের মতে, বাংলাদেশের বেশ কিছু আমদানির ওপর ভারতের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ফলে দেশটি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬,৫৮১ কোটি টাকা, বা ৯,৩৬৭ কোটি বাংলাদেশি টাকা)। এটি দ্বিপাক্ষিক (Bangladesh) আমদানির প্রায় ৪২ শতাংশ। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ জানিয়েছে (PM Modi), ভারতের সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাগুলি মোটেই ইচ্ছে মতো বা অকারণে নয়। তাদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞাগুলি মনে হচ্ছে ভারতের তরফে বাংলাদেশের প্রতি প্রতিক্রিয়া। কারণ ঢাকা ভারতের বহু পণ্যের আমদানি সীমিত করেছে এবং কূটনৈতিকভাবে চিনের দিকে ঝুঁকেছে। প্রসঙ্গত, ভারতের অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন/ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য ইত্যাদি রফতানি করা যাবে না।

    চিনের মতো ভারতে আগ্রাসন শুরু বাংলাদেশেরও!

    এদিকে, চিনের মতো ভারতে আগ্রাসন শুরু করেছে বাংলাদেশও! ‘গ্রেটার বাংলা’, ‘সুলতানেট বাংলা’ নাম দিয়ে এখন বাংলাদেশের কিছু চক্র মানচিত্রে ভারতের একাধিক রাজ্যকে নিজেদের বলে দাবি করছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য, এমনকি বিহার-ঝাড়খণ্ডকেও এই কাল্পনিক মানচিত্রে ঢুকিয়ে দিচ্ছে তারা। ভারতের বিদেশনীতি বিশ্লেষক রবিন্দর সচদেব বলেন, “বাংলাদেশ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে ভারতের তরফে এখনই (Bangladesh) কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে (PM Modi)।”

  • India: ইউনূসের দাদাগিরি! বাংলাদেশকে এড়িয়ে কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্বের নয়া পথ তৈরি করছে ভারত

    India: ইউনূসের দাদাগিরি! বাংলাদেশকে এড়িয়ে কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্বের নয়া পথ তৈরি করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা জমানায় ট্রানজিট রুট নিয়ে সমঝোতার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় (India) অগ্রগতি হয়েছিল। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে (Myanmar) বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পরেই বদলে যায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের রসায়ন। এই আবহে সমুদ্র ও মায়ানমারের সড়কপথ ব্যবহার করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগরক্ষাকারী বিকল্প পথের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের দাবি। জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের এক কর্তা ওই প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে অসমের বরাক উপত্যকার প্রাণকেন্দ্র শিলচর পর্যন্ত প্রায় ১৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চার লেনের জাতীয় সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করেছে ভারত সরকার। ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রকল্পের এই রাস্তা যাবে মায়ানমার সীমান্তের অদূরের পাঁচগ্রাম পর্যন্ত। নির্মাণের দায়িত্বে থাকবে এনএইচআইডিসিএল।

    বিকল্প পথ (India)

    এই বিকল্প পথের সমুদ্র যোগাযোগ হবে কলকাতা থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সিট্টে বন্দর পর্যন্ত। সিট্টে থেকে বঙ্গোপসাগর ছেড়ে মায়ানমারের কালাদান নদীপথে সে দেশের পালেটয়া যাবে ওই জলপথ। এর পরে সড়কপথে মিজোরামের জোরিনপুই পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। নতুন শিলং-শিলচর জাতীয় সড়ক এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করবে। পরবর্তী পর্যায়ে জোরিনপুই থেকে লুংলেই হয়ে আইজল পর্যন্ত সংযুক্ত হবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস গত মার্চ মাসে চিন সফরে গিয়ে বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে স্থলবেষ্টিত এবং ঢাকা এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। তার পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নয়া প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    রাখাইন প্রদেশের জল ও স্থলপথ ব্যবহার

    তবে মায়ানমারের সঙ্গে কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্য স্থির হলেও, তা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে (India)। কারণ, গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত মায়ানমারের বড় অংশই সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের হাতছাড়া। যে রাখাইন প্রদেশের জল ও স্থলপথ ব্যবহার করে নয়াদিল্লি বিকল্প পথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাইছে, তার ৮০ শতাংশেরও বেশি বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে। সেখানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীও সক্রিয়। গত ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয় কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পে। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও চূড়ান্ত হয়েছে। প্রকল্পটি চালু হলে শিলং থেকে শিলচরের যাত্রাপথ কমে হবে পাঁচ ঘণ্টা। পণ্য পরিবহণের পাশাপাশি (Myanmar) উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চিনের মোকাবিলায় আরও দৃঢ় হবে ভারতীয় সেনার অবস্থান (India)।

LinkedIn
Share