Tag: India Bangladesh Relation

India Bangladesh Relation

  • Sheikh Hasina: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    Sheikh Hasina: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা প্রজেক্ট (Teesta Project) করুক ভারত। চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এই প্রকল্পটি করতে চেয়েছিল চিনও। এগিয়েছিল ভারতও। এহেন আবহে দিন কয়েক আগে চিন সফরে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই ভারত সফর সেরে গিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী? (Sheikh Hasina)

    কমিউনিস্ট শাসিত শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ফিরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি চান তিস্তা প্রকল্পটি করুক ভারত। কী জন্য এই প্রকল্প রূপায়ণে তিনি ভারতকে চান, তাও ব্যাখ্যা করেছেন আওয়ামি লিগের সর্বময় কর্ত্রী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে হাসিনা বলেন, “ভারতের পাশাপাশি এই প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চিন-ও। তবে সব দিক বিবেচনা করে আমি চাই তিস্তা প্রকল্পটি রূপায়ণ করুক ভারত।” তিনি বলেন, “তিস্তার জল ভারতের নিয়ন্ত্রণে। তাই তারা এই প্রজেক্ট করুক। তারা যদি এই প্রকল্পটি রূপায়ণ করতে চায়, তাহলে সর্বোতভাবে সাহায্য করা হবে।”

    তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি

    তিস্তার জলবণ্টন চুক্তিকে ঘিরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভারত থেকে নদীটি গিয়ে ঢুকেছে বাংলাদেশে। তাই তিস্তার জলের ন্যায্য দাবিদার বাংলাদেশও। তবে বাংলাদেশকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমাণ জল নেই বলে তিস্তা চুক্তিতে সায় দেননি পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন (Sheikh Hasina) তিনি। বলেছিলেন, “ওরা কীভাবে তিস্তার জল দিতে পারে? সিকিম ১৪টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করেছে। সিকিমের প্রজেক্ট তৈরির সময় খেয়াল রাখা উচিত ছিল কেন্দ্রের। সব জল সিকিম নিয়ে যাচ্ছে…।” মমতার দাবি, বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিলে সমস্যায় পড়বেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তের বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: নিশানায় ছিল অমরনাথ! সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম তিন জঙ্গি

    প্রসঙ্গত, তিস্তার অববাহিকায় বিরাট জলাধার নির্মাণ করে বৃষ্টির জল ধরে রাখার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। এই প্রকল্পই রূপায়ণ করতে চায় শি জিনপিংয়ের দেশ। আগ্রহী নরেন্দ্র মোদির ভারতও। টানটান করা (Teesta Project) স্নায়ুর লড়াইয়ে যে শেষ হাসি হাসল ভারতই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর (Sheikh Hasina) কথায়ই তা স্পষ্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Bangladesh Relation: “সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি”, যৌথ বিবৃতিতে বললেন মোদি-হাসিনা

    India Bangladesh Relation: “সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি”, যৌথ বিবৃতিতে বললেন মোদি-হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি।” শনিবার যৌথ বিবৃতিতে (Modi Hasina Joint Statement) একথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (India Bangladesh Relation)।

    যৌথ বিবৃতি মোদি-হাসিনার

    তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই ইটালি সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জি৭ সম্মেলন শেষে ফিরেছেন দেশে। তাঁরই আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে ভারতে এসেছেন হাসিনা। শুক্রবার বিকেলেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার পড়শি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসেন দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে (India Bangladesh Relation)। তার আগে এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনাকে সংবর্ধনা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুপুর দুটো নাগাদ শেষ হয় সেই বৈঠক। তার পরেই যৌথ বিবৃতি দেন ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে?

    প্রসঙ্গত, তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর এই প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কূটনৈতিক মহলের মতে, চিন ও পাকিস্তানের সাঁড়াশি আক্রমণ প্রতিহত করতেই ভারত, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে ভারত। সেই কারণেই প্রথমে আমন্ত্রণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, এদিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা, নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, উন্নয়ন ও নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর। এই বৈঠকে আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় ও পারস্পরিক বৃদ্ধির ওপরও নজর করা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতাই গুচ্ছ যৌথ উদ্যোগ এবং চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন বৈঠকে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমাদের নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, ভিসান সাগর এবং ইন্দো প্যাসিফিক ভিশনের সঙ্গমস্থলে রয়েছে বাংলাদেশ। গত এক বছরে জনকল্যাণে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ শেষ করেছি। দুই দেশের মধ্যে চালু হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য। গঙ্গায় বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজ সফরও সম্পূর্ণ সফল হয়েছে।”

    আর পড়ুন: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    এদিনের বৈঠক শেষে ভারতকে ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ বলেও সম্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের যাওয়ার আমন্ত্রণও জানান তিনি। হাসিনা বলেন, “গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যখন যুদ্ধের আবহ, তখন নজির গড়েছে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম ক্রস বর্ডাল পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ (Modi Hasina Joint Statement) ফ্রেন্ডশিপ স্যাটেলাইট দুই দেশের সম্পর্ককে নয়া উচ্চতা দেবে।” তিনি জানান, ভারত ও বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে ৫৪টি অভিন্ন নদী (India Bangladesh Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: ইদের আগে পাঠানো হবে বাংলাদেশে, ১৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে কেন্দ্র

    India Bangladesh Relation: ইদের আগে পাঠানো হবে বাংলাদেশে, ১৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনবে সরকার। ‘দ্য ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডে’র মাধ্যমে ওই পরিমাণ পেঁয়াজ কেনার পরিকল্পনা করেছে ভারত (India Bangladesh Relation)। সরকারি রফতানিকারী ওই সংস্থা ব্যবসায়ীদের কাছে ২৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনবে। সেই পেঁয়াজই ইদের আগে পাঠানো হবে বাংলাদেশে। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের ৮ তারিখ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত।

    পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা (India Bangladesh Relation)

    গত মাসেই কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক অধি দফতরের সচিব রোহিতকুমার সিংহ বলেছিলেন, “আমরা বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন, মরিশাসে ১ হাজার ২০০ টন, বাহারাইনে ৩ হাজার টন এবং ভুটানে ৫৬০ টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছি। ব্যবসায়ীদের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং এই লক্ষ্যে কাজও চলছে।” তিনি বলেন, “বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র।”

    কোন কোন দেশে পাঠানো হবে পেঁয়াজ?

    যেসব দেশ (India Bangladesh Relation) পেঁয়াজ কিনতে চেয়ে কূটনৈতিক স্তরে আবেদন করেছিল, সেই সব দেশকেই পেঁয়াজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এই তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, সরকার কেবল বাংলাদেশেই ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বাকি ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: “ফাটা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন রাষ্ট্রসংঘের কিছু প্রতিনিধি”, পাকিস্তানকে নিশানা ভারতের

    রমজান মাসে পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ে ইসলামিক দেশগুলিতে। মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলিতেও এই সময় পেঁয়াজের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। বাংলাদেশ, মধ্য প্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ব্যাপক চাহিদা থাকে পেঁয়াজের। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের নাসিকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭ থেকে ১৬ টাকা দরে। রবি মরশুমে ফসল কাটা হলে দাম আরও কমবে বলেই দাবি বাজার বিশেষজ্ঞদের। বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে। তবে ভারত ঠিক কত দামে সে দেশে পেঁয়াজ বিক্রি করবে, তা জানা যায়নি (India Bangladesh Relation)। সিএএ লাগু হওয়ার পর বাংলাদেশে ক্রমেই চড়া হচ্ছে ভারত-বিরোধী সুর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তা সত্ত্বেও পেঁয়াজ পাঠিয়ে পড়শি এই দেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল মোদির ভারত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India Bangladesh: চিনের সঙ্গে সখ্যতার ফল কী হতে পারে, শ্রীলঙ্কাকে দেখে বুঝতে পারছে বাংলাদেশ

    India Bangladesh: চিনের সঙ্গে সখ্যতার ফল কী হতে পারে, শ্রীলঙ্কাকে দেখে বুঝতে পারছে বাংলাদেশ

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, বাংলাদেশ (Bangladesh) সফরে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar)। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ২ দিনের সফরে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina) ও বিদেশমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাত শেষে জয়শঙ্কর জানান, দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের (India Bangladesh Relation) বন্ধন আরও দৃঢ় হচ্ছে। তিনি বলেন, আলাপচারিতার সময় দুই দেশের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। 

    জয়ঙ্কর জানান, মূলত দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির ব্যাপারেও কথাবার্তা হয়েছে। আর সেই সূত্র ধরেই ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি যাতে চট্টগ্রাম বন্দর (Chittagong port) ব্যবহার করতে পারে তারও প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সূত্রের খবর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারে। মূলত অসম ও ত্রিপুরার মতো উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রসঙ্গই উত্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ভারত ও বাংলাদেশ একটি মউ স্বাক্ষর করেছিল, যাতে ভারতে পণ্য পরিবহণের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মন্ত্রিসভা পণ্য পরিবহনের জন্য দুটি বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য নতুন দিল্লির সঙ্গে প্রস্তাবিত চুক্তি অনুমোদন করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র-বন্দর। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি এই বন্দর ব্যবহার করে তাদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। সেই সম্ভাবনাও রয়েছে।

    এদিকে, শেখ হাসিনাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর তরফে পাঠানো সেই আমন্ত্রণ হাসিনার কাছে পেশ করেন জয়শঙ্কর। পরে বিদেশমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর সময় সুবিধা অনুযায়ী ভারত সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘আমার এখনও জানা নেই কখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন। সফরটি সম্পূর্ণ তাঁর সুবিধাজনক সময়ের উপর নির্ভর করে। আমাদের সফর চূড়ান্ত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’’ বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও দেখা করেন এস জয়শঙ্কর এবং তাঁকে জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের পরবর্তী বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে ভারতে আমন্ত্রণ জানান।

    সাম্প্রতিককালে, পাকিস্তান বাদ দিয়ে ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বাড়ছিল। ভারতকে চাপে ফেলতে এক-এক করে নেপাল থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে চিন। বিশাল অঙ্কের আর্থিক অনুদান হোক বা সহজলভ্য় ঋণ– এক এক করে টোপ দিয়ে ভারতের প্রতিবেশীদের কব্জা করার কৌশল নেয় ‘ড্রাগনের দেশ’। এতে ভারতের সমস্যা বাড়ছিল। কিন্তু, হালে চিনের মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিশেষ করে, শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে সকলকে দেখিয়ে দিয়েছে, চিনের সঙ্গে হাত মেলালে, আখেরে কী ক্ষতিটাই না হবে! বন্দর গঠন থেকে শুরু করে সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের টোপ — চিনের সহজ ঋণের লোভে পা দিয়ে কার্যত দেউলিয়া অবস্থা হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্টটির। 

    পাকিস্তানে এখন অন্য চিনা-সমস্যায় জর্জরিত। এমনিতে, চিনকে বলা হয় পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু। কিন্তু, করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মানববোমা বিস্ফোরণে ৪ চিনা নাগরিকের মৃত্যুও দেখিয়ে দিচ্ছে, বালোচিস্তানের মানুষ চিনাদের ওপর কতটা ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। এটাও দিনের আলোর মতো স্বচ্ছ যে, ওই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই চিনারা নিপীড়ন চালাচ্ছিল। ফলে, ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি এখন টের পাচ্ছে, চিনের সঙ্গে হাত মেলালে হাত পুড়বেই। ফলে, চিন নিয়ে এখন তারা সতর্ক। পাকিস্তানের মতো অবস্থা নয় যাদের, অর্থাৎ, যারা চিনের ওপর নির্ভরশীল নয়, সেই সব দেশ এখন নিজেদের তফাতে রাখতে চাইছে চিনের থেকে। 

    যেমন বাংলাদেশ। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে ভারতের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। গত কয়েক দশক ধরে, ধীরে ধীরে নিজেদের মেলে ধরছে এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। নিজেদের ক্ষমতার ওপর আস্থা রেখে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে তারা। কিন্তু, একটা সময়ে বাংলাদেশও চিনের দিকে অনেকটা ঝুঁকে পড়ছিল। যা ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল। যদিও, শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিকালের ঘটনাবলি থেকে প্রাপ্ত বাস্তব পরিস্থিতি দেখে হয়ত তারাও ভাবতে শুরু করেছে, যে চিনের দিকে ঘেঁষলে, লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি। 

    অন্যদিকে, ভারত এখন দক্ষিণ এশিয়া তথা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি শক্তি হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছে। বিশেষ করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব ভারত স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে। কোনও বড় শক্তি তা সে পশ্চিমের হোক বা পূর্বের– এখন ভারতকে ঘাঁটাতে চায় না। ভারত কারও সার্বভৌমত্ব খণ্ডন করে না। সবচেয়ে বড় কথা, কোভিডকালে, কঠিন সময়ে ভ্যাকসিন পাঠিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। সব মিলিয়ে সু-প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত যে চিনের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে, তা বলা বাহুল্য। 

     

LinkedIn
Share