Tag: India-China Meet

India-China Meet

  • India-China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী চিন

    India-China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন (India-China Relation) সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দু’দেশকেই মেনে চলতে হবে।  চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই কে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিদশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানের রাজধানী অস্তানায় আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর এক সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi)। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর এই আলোচনায় সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।

    সীমান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান (India-China Relation)

    বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘‘তিনটি নীতি ভারত এবং চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই তিন নীতি হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা এবং স্বার্থ বজায় রাখা।’’ চিনা (India-China Relation) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের বিদেশমন্ত্রী তথা একদলীয় চিনের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ওয়াংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে সীমান্তের বকেয়া সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। গালওয়ান পরবর্তী পর্বে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় এসসিও বৈঠকের সময়েই এলএসি-তে উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসেছিলেন দুই বিদেশমন্ত্রী। সেই সময়ে পাঁচ দফা পরিকল্পনা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সেই পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে পর্যালোচনাও করেন জয়শঙ্কর-ওয়াং।

    জয়শঙ্কর যা বললেন (India-China Relation)

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এক্সে লিখেছেন, “আস্তানায় সিপিসি পলিটব্যুরো সদস্য এবং বিদেশমন্ত্রী ওয়াংয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতেও দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে৷” ভারত বরাবরই বলে আসছে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি না-থাকলে চিনের (India-China Relation) সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কোনওভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “দুই মন্ত্রী উভয় পক্ষের কূটনৈতিক এবং সামরিক আধিকারিকদের বৈঠক চালিয়ে যেতে এবং দ্রুত সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য তাদের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজমের (ডব্লিউএমসিসি) একটি প্রাথমিক বৈঠক করা উচিত বলেও তারা সম্মত হয়েছে ৷”বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন যে, সীমান্ত এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত করা দুই দেশের জন্যই ভালো নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China: সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই স্বাভাবিক হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক! চিনকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের

    India China: সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই স্বাভাবিক হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক! চিনকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের আবহেই বেজিংয়ে বৈঠকে বসলেন ভারত এবং চিনের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শেষ এ ধরনের বৈঠক হয়েছিল। মাঝে কোভিড এর কারণে এই বৈঠক ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল। এই বৈঠকে দু’পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৈন্যসংখ্যা কমিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উপর জোর দেয়। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত-চিন সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে ভারত। বেজিং থেকেই চিনকে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

    সেনা সরানোর দাবি

    বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যদিও পূর্বাঞ্চলে সেনা সরিয়ে নেওয়া নিয়ে কার্যকরী কোনও আলোচনা এই বৈঠকে হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে দুই দেশের আলোচনার পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, “কোনও বিবাদ কিংবা সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশের সেনাবাহিনী আলোচনার ভিত্তিতে কিংবা কূটনীতির মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজবে।”  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘাত নিয়ে বুধবার বেজিংয়ে ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (পূর্ব এশিয়া)। চিনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত এবং সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের সচিব।

    আরও পড়ুন: এবার পাইলট নিয়োগে জোর এয়ার ইন্ডিয়ার, বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    ২০২০ সালের মে’তে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাত শুরুর পর ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন’ সক্রিয় করা হয়। একাধিকবার দু’দেশের মধ্যে সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। তাতে কিছুটা বরফ গললেও স্থায়ী সমাধানসূত্র এখনও মেলেনি। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, সীমান্তে সংঘাতের সমাধান না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্বাভাবিকত্ব ফিরবে না। যদিও চিনের বরাবরের দাবি, সীমান্ত সংঘাতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনও যোগ নেই। অবশেষে বহুবার আলোচনার পর লাদাখের প্যাংগঙ হ্রদ, গোগরা এবং হট স্প্রিং অ়ঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দু’পক্ষ। তবে দেপসাং এবং ডেমচক এলাকা নিয়ে এখনও ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। বিতর্কিত দুই অঞ্চলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share