Tag: India China relation

India China relation

  • India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তাই কি বদলাচ্ছে চিনও (India China Relation)! কারণ সোমবার বেজিংয়ের তরফে একটি মন্তব্য, যাতে তারা স্বীকার করে নিয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ (Border Dispute) জটিল। তবে এই সমস্যার সমাধান জটিল হলেও, ভারত-চিন সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত তারা। এর পাশাপাশি তারা যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতেও আগ্রহী, তাও জানিয়ে দিয়েছে ড্রাগন।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক (India China Relation)

    ২৬ জুন কুইংদাওয়ে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক হয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দং জুনের। সেই বৈঠকে রাজনাথ সীমান্তে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং গ্রাউন্ডে অ্যাকশনের মাধ্যমে আস্থা ফেরানোর বার্তা দেন। এই বৈঠকের প্রেক্ষিতেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “সীমান্ত সংক্রান্ত প্রশ্নটি অত্যন্ত জটিল। এটা এক দিনে মিটবে না। তবে ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে একাধিক স্তরে যোগাযোগের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক দিক।”

    কী বললেন মাও নিং

    মাও নিং জানান, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনার একটি ফোরাম রয়েছে এবং সেখানে রাজনৈতিক মানদণ্ড ও দিশা নির্দেশক নীতি নিয়ে একমত হওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, “চিন আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত নির্ধারণ এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সীমান্ত রক্ষায় যৌথভাবে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।” চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা আশা করি ভারতও চিনের সঙ্গে একই পথে চলবে এবং যোগাযোগ অব্যাহত রেখে সীমান্তে শান্তি রক্ষায় কাজ করবে।”

    ২৩টি বৈঠক

    ভারত ও চিন (India China Relation) দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২৩টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাহলে সীমান্ত বিরোধ সমাধানে এত সময় লাগছে কেন (Border Dispute)? এই প্রশ্নের উত্তরেই মাও নিং বলেন, “সীমান্ত প্রশ্নটি জটিল এবং এটি সমাধান করতে সময় লাগবে।” ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ সমাধানের জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে কিনা, জানতে চাইলে মাও নিং বলেন, “আমরা আশা করি, ভারত-চিনের সঙ্গে একই বিষয়ে কাজ করবে। জটিল বিষয়গুলিতে কথা বলা চালিয়ে যাবে যাতে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।”

    ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ

    গত সেপ্টেম্বরে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের মধ্যে ২৩তম বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে দুই দেশই ২০২৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তি নিশ্চিত করেছিল, যাতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল এবং পশুচারণ ফের শুরু করার অনুমতি মেলে। মাও নিং বলেন (India China Relation), “চিন সীমা নির্ধারণ আলোচনা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা-সহ বিভিন্ন বিষয় (Border Dispute) নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে প্রস্তুত। সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা এক সঙ্গে রক্ষা করতে এবং সীমান্ত পারাপার বিনিময় সহযোগিতা এগিয়ে নিতেও আগ্রহী চিন।”

    আকসাই চিন দখল

    এশিয়া মহাদেশের দুই বৃহত্তম দেশ হল ভারত ও চিন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার। এই সীমান্ত নিয়েই দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলছে বিরোধ। এই সীমান্ত বিরোধ কেবল উভয় দেশকেই প্রভাবিত করে না, সমগ্র এশিয়া মহাদেশের শান্তি এবং নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করে। অনেক আগেই পশ্চিম লাদাখের আকসাই চিন দখল করেছে চিন। লাদাখের এই অংশটি ভারতের। যদিও চিন মনে করে এটি জিনজিয়াং প্রদেশের একটি অংশ। চিন পূর্বাঞ্চলীয় অরুণাচলপ্রদেশকে তাদের অংশ বলে দাবি করে। তাদের মতে, এটি তিব্বতেরই অংশ (India China Relation)।

    ভারত-চিন বিরোধ

    ২০১৭ সালে ডোকলামে চিন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ বাঁধে। চিন ভারত-ভুটান-চিন ট্রাই-জংশনে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করলে বাধা দেয় ভারত। এর পর ৭৩ দিন ধরে চোখে চোখ রেখে ঠায় দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনা (Border Dispute)। এর ঠিক তিন বছর পরে ২০২০ সালের ১৫-১৬ জুন গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিন ও ভারতীয় জওয়ানরা মুখোমুখি হন। সেবার দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছিল। এই সংঘর্ষে একজন কমান্ডার-সহ শহিদ হন ২০জন ভারতীয় সেনা। ২০২২ সালে তাওয়াংয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনে সেনাবাহিনী। উত্তরপ্রদেশের তাওয়াংয়ে ওই সংঘর্ষ হয়। তার পর থেকে দু’দেশেই রয়ে গিয়েছে সীমান্তে (Border Dispute) উত্তেজনা। যে উত্তেজনা প্রশমনে বরাবর সক্রিয় হয়েছে ভারত (India China Relation)।

  • Arunachal Pradesh: চিন যতই নিত্যনতুন নামকরণ করুক, অরুণাচল নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি ভারতের

    Arunachal Pradesh: চিন যতই নিত্যনতুন নামকরণ করুক, অরুণাচল নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে এবার বেজিংকে নরমে-গরমে সতর্ক করল নয়াদিল্লি। ভারতের অংশ অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) নিয়ে চিনের দাদাগিরি যে মোটেও বরদাস্ত হবে না, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিল সাউথ ব্লক। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, চিন ক্রমাগত ভারতের অন্তর্ভুক্ত রাজ্য অরুণাচলের নাম পরিবর্তনের অযৌক্তিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা একেবারেই নীতি বিরুদ্ধ।’

    অরুণাচল প্রদেশের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা ‘ব্যর্থ’

    বেজিঙের অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) কিছু অংশের নাম পরিবর্তনের চেষ্টার আর‌ও এক বার তীব্র প্রতিবাদ জানাল ভারত। চিনকে মনে করিয়ে দিল, অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ! ভারতের বিদেশ মন্ত্রক চিনের প্রচেষ্টাকে ‘ব্যর্থ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘‘আমরা লক্ষ্য করছি, চিন ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নামকরণের জন্য নিরর্থক এবং অযৌক্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’’ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমাদের নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা চিনের প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। নামকরণ করলেই তা অনস্বীকার্য বাস্তবতাকে পরিবর্তন করতে পারবে না। চিন যতই নিত্যনতুন নামকরণ করুক, অরুণাচল ভারতেরই অংশ ছিল, আছে এবং সর্বদাই থাকবে।’’ অরুণাচলের ভৌগোলিক অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এবং চিনের সীমান্ত- বিবাদের অন্যতম কারণই অরুণাচলের উপর বেজিঙের দাবি। ভারতের এই রাজ্যটি চিনের তিব্বতের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে। বেজিং বরাবর দাবি করে, অরুণাচল ঐতিহাসিক ভাবে তিব্বতেরই অংশ। যদিও ভারত সেই দাবির বিরোধিতা করে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অরুণাচল নিয়ে আঞ্চলিক বিরোধের পাশাপাশি এই রাজ্যের জলসম্পদ ব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

    নাম পরিবর্তন প্রথম নয়

    অরুণাচল (Arunachal Pradesh) তাদের অংশ বলে বহু দিন ধরেই দাবি করে আসছে চিন। ভারত এবং চিনের মধ্যে সংঘাতের অন্যতম কারণই হল অরুণাচল। চিন প্রায়শই উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্থানের নাম পরিবর্তন করে মানচিত্র প্রকাশ করে থাকে। গ্লোবাল টাইমস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বেজিং অরুণাচল প্রদেশের নাম পরিবর্তন করে জাংনান করে দিয়েছে। এ ছাড়াও ওই রাজ্যের ১২টি পাহাড়, চারটি নদী, একটি হ্রদ, একটি পর্বত গিরিপথ, ১১টি জনবসতিপূর্ণ এলাকার নাম বদলে দিয়েছে চিন। এই প্রথম নয়, ২০১৭ সাল থেকে এই নাম পরিবর্তনের খেলা খেলছে বেজিং। সেই বারই প্রথম নিজেদের দেশের প্রকাশিত মানচিত্রে অরুণাচলপ্রদেশের ছয়টি জায়গার নাম পরিবর্তন করে দেয় চিন। পরে ২০২১ ও ২০২৩ সালেও অরুণাচলপ্রদেশের জায়গার নতুন নতুন নামের তালিকা প্রকাশ করে তারা।

  • Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর হাজার হাজার ভক্তকে আকর্ষণ করে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। গত পাঁচ বছর বন্ধ ছিল এই যাত্রা। এবার ফের চালু হতে চলেছে। শীঘ্রই জারি হবে নাম নথিভুক্তকরণের বিজ্ঞপ্তি (New Route)। এটি ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ইঙ্গিত। কোভিড-১৯ অতিমারি এবং দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে ২০২০ সাল থেকে বন্ধ ছিল এই তীর্থ যাত্রা। এবারই ফের শুরু হচ্ছে যাত্রা। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে সমানভাবে পবিত্র কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা। এই যাত্রাকে ঐতিহ্যগতভাবে আধ্যাত্মিক মুক্তি ও শুদ্ধির পথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা হিমালয়ের দুর্বোধ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীকও।

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)

    ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার ফলশ্রুতিতেই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় সহিংস সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক প্রবল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে পূর্ব লাদাখের ডেমচোক ও ডেপসাংয়ের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার জেরে যাত্রা ফের চালুর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে শীঘ্রই ফের যাত্রা শুরু সংক্রান্ত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রস্তুতির কথা স্বীকার করে বলেন, “আমরা শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করব। যাত্রা অচিরেই শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে (New Route)।”

    নয়া পথের সন্ধান

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করতে ভারত ও চিনের কর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর নয়া পথের সন্ধান মিলেছে। সূত্রের খবর, লিপুলেখ পাসের ঐতিহ্যবাহী পথের পাশাপাশি ডেমচোক দিয়েও যাত্রাপথ বিবেচনা করা হতে পারে। তবে এটি চূড়ান্ত হবে আরও কিছু সমীক্ষার পর। দুই দেশের মধ্যে চলা আলোচনার প্রেক্ষাপটে যাত্রার নিরাপত্তা ও সুগমতা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি  একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Kailash Mansarovar Yatra)।যদিও নতুন রুটগুলির নির্দিষ্ট বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র পুণ্যার্থীদের এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে ২০২৫ সালে এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে আরও তথ্য শেয়ার করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, এবং শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে।”

    যাত্রা বন্ধ ছিল পাঁচ বছর

    সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। লক্ষাধিক ভক্তের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থযাত্রাগুলির মধ্যে একটি এই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। তবে, কোভিড-১৯ অতিমারি ও পরবর্তী কালে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনার কারণে এই যাত্রা ব্যাহত হয়েছে। উভয় দেশই এই উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করেছে। তারই প্রেক্ষিতে যাত্রা ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Kailash Mansarovar Yatra)। ভারত ও চিন দুই দেশের সম্পর্কের এই অগ্রগতি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীর সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে উভয় দেশের শীর্ষ কর্তারা বেইজিংয়ে বৈঠক করে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন, যার মধ্যে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল (New Route)।

    গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাত

    প্রসঙ্গত, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি গত বছর নভেম্বর মাসে রিও ডি জেনিরোতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়ও কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা নিয়ে আলোচনা হয় ভারত ও চিনের মধ্যে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই যাত্রার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন। তার পরেই তীর্থযাত্রা ফের শুরু করতে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা আরও শক্তিশালী হয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রকের কর্তারা কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত বিস্তারিত আলোচনা করেন। জানুয়ারি ২০২৫-এর আলোচনায় যাত্রা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা এই পবিত্র যাত্রায় অংশ নিতে আগ্রহী ভক্তদের জন্য একটি ইতিবাচক ফল নিয়ে আসে (Kailash Mansarovar Yatra)।

    কোন পথে যাত্রা

    এর আগে মূলত সিকিমের নাথু লা এবং উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাসের মাধ্যমে ভারত থেকে তিব্বতে প্রবেশ করতেন ভারতীয়রা। তারপর কড়া নিরাপত্তার বলয়ে তাঁদের কৈলাস-মানস পর্যন্ত নিয়ে যেত চিন প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের পথে এই যাত্রার তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রথম ভাগে যেতে হয় পিথোরাগড় থেকে তাওয়াঘাট। দ্বিতীয় পর্যায়ে যাত্রা শুরু হয় তাওয়াঘাট থেকে। পৌঁছতে হয় ঘটিয়াবগড় (New Route)। এই ঘটিয়াবগড় থেকে চিন সীমান্ত লাগোয়া লিপুলেখ পাস পর্যন্ত রাস্তার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। বর্তমানে এই রাস্তাটা গাড়িতেই পৌঁছে যাওয়া যায় (Kailash Mansarovar Yatra)।

  • Chicken’s Neck Corridor: সদা সতর্ক সেনা, ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন ‘চিকেন’স নেক করিডর’

    Chicken’s Neck Corridor: সদা সতর্ক সেনা, ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন ‘চিকেন’স নেক করিডর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকভাবে ধোঁয়াশা থাকলেও শুক্রবার সকালে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমস্টেক সম্মেলন উপলক্ষে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)৷ বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৃহস্পতিবার প্রথম মুখোমুখি হন দুই রাষ্ট্রনেতা৷ ব্যাংককে চাও ফ্রায়া নদীর পাশে শাংরি-লা হোটেলে আয়োজিত নৈশভোজে পাশাপাশি বসতেও দেখা যায় তাঁদের৷ এর আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, বিমস্টেকের অঞ্চলের মধ্যমণি উত্তরপূর্ব ভারত। স্বল্প কথাতেই মোদি বুঝিয়ে দেন, উত্তরপূর্বের এই ৭ রাজ্য শুধু ভারত নয়, বরং বিমস্টেক-ভুক্ত দেশগুলির শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নতির জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের যোগসূত্র ‘চিকেন’স নেক করিডর’ (Chicken’s Neck Corridor)। প্রশাসনিক এবং কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিন (India China Relation), ভুটান, বাংলাদেশ এবং নেপালের সীমান্তের একশো কিলোমিটারের মধ্যে থাকায় শিলিগুড়ি করিডর অতি গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

    চিকেন’স নেক-এর নিরাপত্তায় সেনা

    চিকেন’স নেক-এর (Chicken’s Neck Corridor) নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শিলিগুড়ি করিডর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন। উন্নত সামরিক প্রস্তুতির মাধ্যমে যেকোনও সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত। করিডরের কাছে সুকনায় সদর দফতর অবস্থিত ত্রিশক্তি কোরের। যারা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কোর রাফাল যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য করিডরের নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের অবস্থানকে আরও জোরদার করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘চিকেন’স নেক ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক অঞ্চল। সেখানে যে কোনও হুমকির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিনীকে দ্রুত মোতায়েন করা সম্ভব।’’

    বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এই অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে—

    উন্নত সামরিক সম্পদ মোতায়েন: ভারতীয় বায়ুসেনা হাশিমারা এয়ারবেসে রাফাল ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি মিগ-২১ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানও রয়েছে।

    ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্ট: করিডরে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি রেজিমেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে, যা যে কোনও সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

    সার্ফেস-টু-এয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা: ভারতীয় সেনা শিলিগুরি করিডোরে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে, যা আকাশসীমায় শত্রুর অনুপ্রবেশ রোধ করতে সক্ষম।

    এমআরএসএএম এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা: এই ব্যবস্থাগুলি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে এবং আকাশপথের ওপর অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে।

    নিয়মিত সামরিক মহড়া: ত্রিশক্তি কোর নিয়মিত যুদ্ধের অনুশীলন করে। যার মধ্যে টি-৯০ ট্যাঙ্কের সঙ্গে লাইভ-ফায়ার মহড়াও অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে অপারেশনাল প্রস্তুতি বৃদ্ধি পায়।

    কৌশলগত সতর্কতা

    ভারত এই অঞ্চলের (Chicken’s Neck Corridor) নিরাপত্তা নিয়ে সদা সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং চিনের বাংলাদেশে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ভারতের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, বেজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার বাড়তে থাকা সম্পর্ক ভারতীয় নিরাপত্তার জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হতে পারে, বিশেষত শিলিগুরি করিডরের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। এর জন্য ভারত তার প্রতিরক্ষা অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে যান। যেখানে তিনি সামরিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে উচ্চস্তরের আলোচনাও হয়েছে।

    ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি

    ‘চিকেনস নেক’ (Chicken’s Neck Corridor) এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্ব ২০১৭ সালের ডোকলাম সঙ্কটের সময় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যখন ভারতীয় বাহিনী সফলভাবে চিনের ভুটানি ভূখণ্ডে রাস্তা নির্মাণের প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করেছিল। যা শিলিগুরি করিডরের জন্য হুমকি হতে পারত। অতীতের ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে, ভারত তার প্রতিরক্ষা অবকাঠামো এবং প্রস্তুতি বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। উন্নত অস্ত্রশস্ত্র, কৌশলগত মোতায়েন এবং ধারাবাহিক নজরদারি সহ, ভারত ‘চিকেনস নেক’ এর নিরাপত্তা শক্তিশালী করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ করিডরের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে, বলে সেনা সূত্রে খবর। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর মোদি সরকার।

  • Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন এবং ভারতের সম্পর্ক (India China Relation) একটি “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) এর মতো হওয়া উচিত, যা তাদের প্রতীকী প্রাণীদের শান্তিপূর্ণ নৃত্যের প্রতিফলন। মঙ্গলবার, দুই দেশের ৭৫ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন উপলক্ষে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করার সময় এই মন্তব্য করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর কথায়, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন। শি জিনপিং এবং রাষ্ট্রপতি মুর্মু ছাড়াও, চিনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই বিশেষ উপলক্ষে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির সূচক।

    বিশ্বাসযোগ্যতা প্রয়োজন

    মার্কন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সময় ট্যারিফ নিয়ে ভারতকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিচ্ছেন, সেই সময়ে জিনপিংয়ের মুখে ভারতের উদ্দেশে ‘ট্যাঙ্গো’র বার্তা অর্থবহ। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা বাড়াতে, প্রত্যক্ষ সহযোগিতা তৈরি করতে এবং মতপার্থক্য কমাতে আমি ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত।’’ কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন চিনের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক শি জিনপিং। তিনি আরও বলেছেন, ভারত এবং চিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। এই অঞ্চলের এবং গোটা বিশ্বের শান্তি, উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রশ্নে দুই দেশের ভূমিকা অপরিসীম। এই দুই দেশের বিকাশের সঙ্গে তাদের মৌলিক স্বার্থ জড়িত। দরকার একে অপরের প্রতি বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক তৈরি করা।

    ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো

    “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) একটি রূপক যা ভারত এবং চিনের মধ্যে জটিল এবং মাঝে মাঝে সংবেদনশীল সম্পর্কের বর্ণনা দেয়। “ড্রাগন” চিনের প্রতীক, যা এর উন্নত অর্থনৈতিক, সামরিক এবং ভূরাজনৈতিক শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে, আর “এলিফ্যান্ট” ভারতের প্রতীক, যা এর উত্থানশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বকে প্রতিনিধিত্ব করে। “ট্যাঙ্গো” এই সম্পর্কের মধ্যে জটিল, কিন্তু সতর্ক নৃত্যকে বোঝায়, যা কখনও কখনও সহযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বিরোধী শক্তির প্রতিফলন। ভারত-চিন সম্পর্কও খানিকটা এরকম। বহু ওঠানামার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এখন ভুল বুঝতে পেরে দুই দেশের জনগণের জন্য একযোগে কাজ করা কথা বলছে চিন।

  • Illegal Chinese Occupation: সীমান্তে কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা, চিনকে কড়া জবাব ভারতের

    Illegal Chinese Occupation: সীমান্তে কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা, চিনকে কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সীমান্ত অঞ্চলে দুটি নতুন কাউন্টি (এক অর্থে জেলা) প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছে চিন। এর একটা অংশ আবার ভারতের লাদাখে পড়েছে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। শুক্রবার সংসদে সরকার জানিয়েছে, এই বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে গুরুতর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে (Illegal Chinese Occupation)।

    কী বললেন কীর্তি বর্ধন (Illegal Chinese Occupation)

    লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ‘‘এই অঞ্চলে ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর চিনের অবৈধ দখলদারি ভারত সরকার কখনওই মেনে নেয়নি। নতুন কাউন্টি তৈরি করা ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থানকে প্রভাবিত করবে না। কারণ এই অঞ্চলের ওপর ভারতের সার্বভৌমত্ব রয়েছে। এটি চিনের অবৈধ ও জবরদস্তিমূলক দখলদারিকে বৈধতা দেবে না।’’ চিনের এই ঘোষণার জেরে চিন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এটি ইতিমধ্যেই একটি সংবেদনশীল বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ স্পষ্ট করে দেয় যে, সীমান্ত ইস্যুতে ভারতের অবস্থান অনড় এবং কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয়।

    দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠা

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে চলা কূটনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার আর একটি অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বিদেশমন্ত্রককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে তারা কি চিন কর্তৃক হোতান প্রিফেকচারে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অবগত, যেখানে লাদাখের ভারতীয় অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কৌশলগত ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। চিনের শি জিনপিং সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত কোনও প্রতিক্রিয়া সহ এই কাউন্টিগুলি তৈরির বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিবাদ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছিল (Illegal Chinese Occupation)।

    বিদেশমন্ত্রকের উত্তর

    এসব প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই কাউন্টিগুলি নির্মাণের বিরুদ্ধে ভারতের দায়ের করা প্রতিবাদ এবং চিনা সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়ার বিশদ বিবরণও চাওয়া হয়েছিল। আকসাই চিন অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রশাসনিক ও পরিকাঠামোগত কাজকর্মের মোকাবিলায় সরকার দীর্ঘমেয়াদি কোনও কৌশল প্রণয়ন করেছে কিনা, তাও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।” বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চিনের হোতান প্রিফেকচারে দুটি তথাকথিত নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চিনা পক্ষের ঘোষণা সম্পর্কে ভারত সরকার অবগত। এই তথাকথিত কাউন্টিগুলির এক্তিয়ারের কিছু অংশ ভারতের লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। সরকার এও জানে যে চিন সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে।” বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতি যত্নশীল ও বিশেষ মনোযোগ দেয়, যাতে এই অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সহজতর হয় এবং ভারতের কৌশলগত ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা যায়।”

    সীমান্ত পরিকাঠামোর জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি

    জানা গিয়েছে, গত দশকে সীমান্ত পরিকাঠামোর জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) একাই আগের দশকের (India) তুলনায় তিন গুণ বেশি ব্যয় করেছে। মন্ত্রী বলেন, সীমান্ত সড়ক সংস্থা একাই গত দশকের তুলনায় তিনগুণ বেশি খরচ করেছে। কীর্তি বর্ধন বলেন, সড়ক যোগাযোগের দৈর্ঘ, সেতু ও টানেলের সংখ্যা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য উন্নত সরবরাহ দিতে সাহায্য করেছে।” তিনি বলেন, “সরকার সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো উন্নতির দিকে নজর দিচ্ছে। এই অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও সহজ করা হচ্ছে। এর ফলে কৌশলগত ও সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনগুলিও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে (Illegal Chinese Occupation)।”

    কী বললেন মন্ত্রী

    মন্ত্রী বলেন, “সরকার ভারতের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন সব উন্নয়নের ওপর ক্রমাগত নজর রাখছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নেবে।” এদিকে, সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এ বছর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করতে রাজি হয়েছে চিন। তবে তার পদ্ধতি এখনও স্থির করা হয়নি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল তীর্থযাত্রা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান। গত বছর অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে যে গঠনমূলক বিনিময় হয়েছে, তারও উল্লেখ করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, আমেরিকা সফরে গিয়ে এক মার্কিন পডকাস্টারকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে (India)। তাঁর সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসে দিন কয়েক আগে। তার পরেই ফের প্রকাশ্যে এল চিনের ‘দখলদারি’র খবর (Illegal Chinese Occupation)।

  • China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূতের মুখে রাম নাম নয়, বরং পড়ুন, চিনের (China) মুখে ভারতের নাম! এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের শি জিনপিং সরকার। আমেরিকা সফরে গিয়ে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সাক্ষাৎকারে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রশংসা করল চিন।

    হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক (China)

    এনিয়ে ফের একবার ‘হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক নৃত্যে’র প্রসঙ্গ তুলে আনল বেজিং। রাখঢাক না করেই চিনের স্পষ্ট বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদির বয়ান বাস্তববাদী। ভারত চিন সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “আমার দেশ মোদির এই বিবৃতি শুনেছে এবং তারা এর প্রশংসা করছে।”

    ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক

    এর আগে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্বে পরিণত হওয়া উচিত নয় এবং মতপার্থক্যকেও বিরোধে পরিণত করা উচিত নয়।” এই আবহে মাও বলেন, “অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যের সফল বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য কৌশলগত দিক নির্দেশনা দিয়েছে।”

    চিনের প্রশস্তি

    ফ্রিডম্যানকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরই পাশাপাশি ভারতের অপর প্রতিবেশী চিনকে (China) নিয়ে তাঁর সুর ছিল নরম। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘পরিবারে’র উদাহরণ টেনেছিলেন। সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের যে বিবাদ রয়েছে এবং গত কয়েক বছর ধরে যে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে, তা মেনে নিয়েছেন মোদি। তবে তিনি এও জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে চিন ও বেজিংয়ের সম্পর্ক ভালো হচ্ছে।

    ভারত-চিন সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে তা যাতে বিবাদে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।” মোদি জানান, গালওয়ান পূর্ববর্তী সমীকরণেই চিনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস দুই দেশের মধ্যে ফের আস্থা ফিরবে।” ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার বৈঠকের পরে সীমান্তে (China) স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে দেখছি (PM Modi)।”

  • PM Modi: “ভারত শান্তি চাইলেও, পাকিস্তান চিরকাল ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    PM Modi: “ভারত শান্তি চাইলেও, পাকিস্তান চিরকাল ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত সব সময় শান্তি চেয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান (Pakistan) তার বদলে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে।” এক মার্কিন পডকাস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালানোর অভিযোগেও পাকিস্তানকে দুষেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিটি প্রচেষ্টা সম্মুখীন হয়েছে তার প্রতিবেশীর শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার। যার জন্য দেশটি পুরো বিশ্বের জন্য অশান্তির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।”

    প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার (PM Modi)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের সময়ই। সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন লেক্স ফ্রিডম্যান। ঘণ্টা তিনেকের ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় রবিবার। সেখানে তিনি জানান, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময় পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। ইসলামাবাদের সঙ্গে যাতে নতুনভাবে সম্পর্ক শুরু করা যায়, তাই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু শান্তি ফেরানোর প্রতিটি চেষ্টার বদলে অপর প্রান্ত থেকে মিলেছে বিরোধিতা ও বিশ্বাসঘাতকতা।

    শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতা

    লাহোর সফরের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তাঁর প্রচেষ্টা কাঙ্ক্ষিত ফল দেয়নি। তিনি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিটি মহৎ প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে প্রতিহত হয়েছে।” ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ না বেছে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্তও করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশভাগ একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক পর্ব ছিল। তবে ভারত দেশভাগকে মেনে নিয়ে এগোতে শুরু করে।” কিন্তু পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ বেছে নেয়নি বলেও অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, তারা (পাকিস্তান) নিজেদের মতো করে থাকবে, আমাদেরও আমাদের মতো করে থাকতে দেবে। কিন্তু তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথে এগোয়নি। বার বার তারা ভারতের বিরুদ্ধে গিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে (Pakistan)।”

    প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস

    প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে মোদির (PM Modi) এই মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে যখন কোয়েটা-পেশোয়ার ট্রেনে বালোচ বিদ্রোহীরা প্রাণঘাতী হামলা ও পণবন্দি প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে তাদের বক্তব্য আরও জোরদার করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ শান্তির পক্ষে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আশা করি তাদের (পাকিস্তানের) শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা শান্তির পথ বেছে নেবে। আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও শান্তি চান। কারণ তাঁরাও এই বিবাদ ও অস্থিরতার মধ্যে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা নিশ্চয়ই অবিরাম চলতে থাকা সন্ত্রাসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, যেখানে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, এমন কী নিরীহ শিশুরাও মারা যাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মসৃণ করতে বার বার চেষ্টা করেছেন তিনি।

    প্রশ্ন যখন সন্ত্রাসবাদ

    সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নেও পাকিস্তানকে বেঁধেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, এর জন্য শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, “বিশ্বের যেখানেই জঙ্গি হামলা হোক না কেন, কোনও না কোনওভাবে তার যোগসূত্র মেলে পাকিস্তানে। ৯/১১ হামলার ঘটনাই দেখুন না, ওই হামলার মূলচক্রী ওসামা বিন লাদেন। তিনি কোথা থেকে এলেন? তিনি পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা পাকিস্তানের গভীরে গেঁথে রয়েছে এবং গোটা বিশ্ব আজ বুঝতে পারছে (Pakistan)।” ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে (PM Modi) ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের সামান্য যোগসূত্রটুকুও ছিঁড়ে যায়। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ হয় ওই মাসে। তার পরেই পাক সরকার ভারতের হাই কমিশনারকে পাকিস্তান থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। পাকিস্তানও তার নবনিযুক্ত হাই কমিশনারকে নয়াদিল্লিতে পাঠায়নি।

    ভারত-চিন সম্পর্ক

    পডকাস্টে, ভারত-চিন সম্পর্ক সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে চলা সীমান্ত বিরোধের কথা স্বীকার করে নেন। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে দুই দেশের মধ্যে যথেষ্ট উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তবে, প্রেসিডেন্ট শি-জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার সাম্প্রতিক বৈঠকের পর সীমান্তে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে দেখা যাচ্ছে। আমরা এখন ২০২০ সালের আগের পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করতে কাজ করছি।” তাঁর বিশ্বাস, আস্থা গঠনের প্রচেষ্টা অবশ্যই ফলপ্রসূ হবে।

    প্রসঙ্গত, মোদির (PM Modi) এই সাক্ষাৎকার যখন সম্প্রচারিত হচ্ছে, তখন ভারতের বার্ষিক বহুপাক্ষিক সম্মেলন রাইসিনা ডায়লগে অংশ নিতে নয়াদিল্লিতে হাজির শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীও। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে শান্তি প্রচেষ্টার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং উভয় পক্ষ আলোচনার (Pakistan) টেবিলে এলে সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে (PM Modi)।”

  • India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relation) বরফ। সীমান্ত সংঘাত-পর্ব এখন অতীত। উন্নতি হয়েছে ভারত-চিনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ায়। তাই পাঁচ বছর পর ফের কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra) নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। হিন্দুদের কাছে কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা অতি পবিত্র একটি তীর্থযাত্রা। এই তীর্থযাত্রা নিয়ে আগে থেকে যে চুক্তি রয়েছে দুই দেশের মধ্যে, সেই অনুযায়ীই সব কিছু হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। কেবল এই তীর্থযাত্রা নয়, ভারত ও চিনের মধ্যে ফের সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়েও একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

     

    বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক (India China Relation)

     

    সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। দুদিনের ওই বৈঠকে যোগ দিতে বেজিং গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। ওই বৈঠকেই দুই দেশ একাধিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে খবর। গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক হয়। তারই রেশ ধরে আলোচনা হয় বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। সেই বৈঠকেই কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে পড়শি দুই দেশ।

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান (India China Relation)। হিন্দুদের বিশ্বাস, কৈলাশ পর্বত ভগবান শিবের বাসস্থান। আর মানস সরোবর সৃষ্টি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। বৌদ্ধদের কাছেও মানস সরোবর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান। ২০২০ সালে অতিমারির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা। সেই যাত্রাই ফের চালু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

    তীর্থযাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা ফের চালুর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। করোনা অতিমারি পর্বে এবং পরবর্তী কালে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে গত পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল (Kailash Mansarovar Yatra)। নতুন করে তা চালু করতে ফের উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশই (India China Relation)।

  • India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ তৃতীয় তথা শেষ কিস্তি…

     

                                                                                      অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউটিএ (UTA) যে হুমকি দিচ্ছে, তাকে উপেক্ষা করা (India China Relation) উচিত নয়। বলছেন দ্য অরুণাচল টাইমসের প্রবীণ সাংবাদিক তথা বিশ্লেষক বেঙ্গিয়া আজুম। তিনি বলেন, “ইউটিএ জনগণের মধ্যে সিএপিএফ এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুব্ধ যুবকদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করবে।” আজুম বলেন, “ইউটিএ গঠনের (Arunachal Pradesh) ঘোষণা হয়েছিল এমন একটা সময়ে যখন এনএইচপিসি (NHPC)-র কর্তাদের জন্য নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এনএইচপিসি সিউম্প (SUMP)-এর জন্য প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করছে। ওপরের সিয়াং, সিয়াং এবং পূর্ব সিয়াং জেলাগুলির জনগণ, যারা এই প্রকল্প দ্বারা প্রভাবিত হবে, তারা অসন্তুষ্ট। ইউটিএ তাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে দলে টানতে পারে। লাভ করতে পারে স্থানীয় সমর্থনও।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (India China Relation)

    ইউটিএ রাজ্যে মেগা ড্যাম নির্মাণের বিরোধিতা করার পাশাপাশি আর একটা আবেগজনিত ইস্যু সমর্থন করেছে, যা রাজ্যের অনেক মানুষকে উত্তেজিত করেছে। যেসব আদিবাসী মহিলা অ-আদিবাসী পুরুষদের বিয়ে করেছেন, তাঁদের সন্তানদের তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেইন বলেন, “যদিও এনএলসিটি (NLCT) কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, তবুও এদের হুমকি উপেক্ষা করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে মানুষ সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইউটিএ গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে সচেতন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে (Arunachal Pradesh)।”

     এই সিরিজের প্রথম দুই কিস্তি…

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম কিস্তি)

    ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (দ্বিতীয় কিস্তি)

    টিক টিক টাইম বোমা

    এদিকে, নামচা বারওয়ায় চিনের প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ভারতের জন্য একটি টিক টিক টাইম বোমার মতো। মানোহর পার্রিকর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চিন যে ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করছে, সেগুলি এত বড় যে স্টোরেজ ড্যাম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চিন এই বাঁধগুলি সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করতে পারে। এতে বিপাকে পড়বে ভারত। গরমের সময় জলের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হবে। আর বর্ষায় বানের জলে ভেসে যাবে অরুণাচল প্রদেশ এবং অসম।

    বড় স্টোরেজ ড্যাম

    সিউম্প-এর পরিকল্পনায় সিয়াং নদীর ওপর একটি বড় স্টোরেজ ড্যাম নির্মাণের কথা রয়েছে। এটি চিনের (India China Relation) পক্ষ থেকে ইয়ারলুং সাংপো নদীর জল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে ভারতের বীমা হিসেবে কাজ করবে। যদি চীন ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহ কমিয়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার থেকে জল ছেড়ে সিয়াং এবং ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ বজায় রাখা সম্ভব হবে। একইভাবে, চিন যদি অতিরিক্ত জল ছেড়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে পারবে এবং অরুণাচল প্রদেশ ও নামনি অসমে বন্যা প্রতিরোধ করতে পারবে (Arunachal Pradesh)। নামচা বারওয়ার প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ছাড়াও, চিন ইতিমধ্যে ইয়ারলুং সাংপোর উঁচু জায়গায় ২০১০ সালে ঝাংমু ড্যাম নির্মাণ করেছে। জিয়েক্সু, জিয়াচা এবং দাগু নামে আরও তিনটি বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। যদিও চিনের দাবি, এগুলি সবই ‘রান অফ দ্য রিভার’ প্রকল্প এবং এগুলি ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহে কোনও প্রভাব ফেলবে না, তবে বেজিংয়ের দাবিকে অবিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

    জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে সতর্কতা নিতে হবে

    প্রবীণ রাজনীতিবিদ নিনং এরিং, যিনি ইউপিএ -২ সরকারের সময় সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন এবং বর্তমানে পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক, বলেন, চিনকে কখনওই বিশ্বাস করা যায় না। আপনি কখনওই জানবেন না তারা (চিন) ভারতের ক্ষতি করার জন্য কী করবে। আমাদের অবশ্যই চিনের সম্ভাব্য জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সতর্কতা নিতে হবে। এটা ঠিক যে এই সুরক্ষাগুলোকেই, যেমন সিউম্প, চিন বিপথে চালিত করতে চায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশ্বাস, চিন ইউটিএ সৃষ্টি করেছে যাতে সিউম্প এবং অন্যান্য বড় বাঁধের বিরুদ্ধে বিরোধিতা উসকে দেওয়া যায়। এই বাঁধগুলি সেই রাজ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে, যে রাজ্য চিন অধিকৃত তিব্বত এবং মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে (Arunachal Pradesh)।

    বিরোধিতার জিগির 

    চিন গোপনে অরুণাচলপ্রদেশ ও অসমের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে অরুণাচলপ্রদেশে বড় বাঁধগুলির বিরুদ্ধে বিরোধিতার জিগির জাগিয়ে রেখেছে। যেসব পরিবেশবিদ ও নাগরিক গোষ্ঠী যারা অরুণাচলপ্রদেশে (India China Relation) এই বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করছে, তাঁরা চিনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে সমর্থন মায় আর্থিক সহায়তা পেয়েছে বলেও অনুমান।

    ড্রাগনের লক্ষ্য

    চিনের উদ্দেশ্য হল, তিব্বতি মালভূমি থেকে ভারতের দিকে প্রবাহিত হওয়া ইয়ারলুং ত্সাংপো নদীকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। কিন্তু অরুণাচলপ্রদেশে প্রস্তাবিত বৃহৎ বাঁধগুলো সেই অস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে বেজিংয়ের কুটিল উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। তাই চিন নাগরিক গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশে বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে (Arunachal Pradesh) বিরোধিতা উসকে দিচ্ছে (India China Relation)।

    শেষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share