Tag: India-Pakistan Conflict

India-Pakistan Conflict

  • India Pakistan Relation: ভারতীয়র হৃদযন্ত্রে পাক তরুণীর প্রাণরক্ষা, তা নিয়ে হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য সেদেশের মৌলবীর

    India Pakistan Relation: ভারতীয়র হৃদযন্ত্রে পাক তরুণীর প্রাণরক্ষা, তা নিয়ে হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য সেদেশের মৌলবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত জানুয়ারি মাসে এক পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা সফলভাবে ওই তরুণীর শরীরে হৃদযন্ত্র বসাতে সক্ষম হন। যার ফলে, নতুন জীবন লাভ করেন ওই পাক তরুণী। এমনকী, অস্ত্রোপচার খরচসাপেক্ষ হলেও, তা মকুব করে দেওয়া হয়। আর সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিদ্বেষমূলক ও হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য করে বসলেন প্রতিবেশী দেশের এক মৌলবী (Pakistani Imam)।

    পাকিস্তানি ধর্মগুরুর ধর্মীয় সুড়সুড়ি…

    এমনিতেই ভারত-পাক দুই দেশের সম্পর্ক (India Pakistan Relation) তলানিতে। সেই পরিবেশের মধ্যেও এই ঘটনা যখন চারদিকে প্রশংসিত হচ্ছে, ঠিক তখনই এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে গিয়ে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দেওয়ার কথা বললেন পাকিস্তানি ধর্মগুরু (Pakistani Imam)। ওই পাক ইমামের মতে, দাতা হিন্দু (ইমামের কথায় ‘বিধর্মী’) হওয়ায় কোনও পুণ্যলাভ হবে না ওই ব্যক্তির। তাঁর এই কাজ গৃহীত হবে না। কারণ, পাক ইমামের মতে, পুণ্য অর্জন করতে হলে নাকি মুসলিম হয়ে মরতে হয়। ইমামের ভাবখানা এমন যেন মেয়েটি হৃদযন্ত্র গ্রহণ করে দয়া করেছে। তাঁর মতে, মেয়েটি সাহসী। এর কারণ হিসেবে ইমাম জানান, এতদিন ওই হৃদপিণ্ড হিন্দু দেহে থাকায় ঈশ্বরের কাছে ঝুঁকত। এবার ওই মেয়েটির জন্য হিন্দু হৃদপিণ্ড আল্লার সামনে ঝুঁকবে।

    এগোচ্ছে ভারত, পিছোচ্ছে পাকিস্তান

    পাক ইমামের (Pakistani Imam) এই মন্তব্য সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও, সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে, নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েন ওই পাক ইমাম। ইমামের বক্তব্যের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এক শ্রেণি পাকিস্তানিদের ভারত-বিদ্বেষ (India Pakistan Relation)। ইমাম মোয়াজ্জেম কিংবা পাক জনগণের একটা বড় অংশ ভারত এবং ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্ম সম্পর্কে কী মত পোষণ করেন তা তাঁদের ভাষাতেই বহিঃপ্রকাশ পায়। আজ ভারত একদিকে যেখানে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে, সেখানে অন্ধ ভারত-বিরোধিতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে ক্রমশ পিছিয়ে যেতে যেতে কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। 

    কী হয়েছিল পাক তরুণীর

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথম বার ভারতে এসেছিলেন পাক তরুণী আয়েশা রেশান। সেই সময় একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। পাঁচ বছর ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ১৯ বছর বয়সি আয়েশা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে তাঁর শরীরে ৬৯ বছর বয়সি এক ব্রেন ডেথ রোগীর হার্ট বসানো হয় (India Pakistan Relation)। ওই রোগীর দেহ দিল্লি থেকে উড়িয়ে চেন্নাই নিয়ে আসা হয়েছিল।

    তরুণীর পরিবার কী বলছে

    আয়েশার মা সনোবর রেশান তাঁর মেয়েকে কার্যত জীবনদান দেওয়ার জন্য ভারতীয় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “নিজের মেয়েকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখতে বড় কষ্ট হচ্ছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিল ও। ওর এই অবস্থা আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমরা ভারতীয় চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হই। আমার মেয়ে এখন সুস্থ। আমাদের বিল মেটাবার খুব বেশি সক্ষমতা ছিল না। তবুও চিকিৎসকরা আমাদের ভারতে আসতে বলেন এবং তারা চিকিৎসা করে আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলেছেন।” জানা গিয়েছে, এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণী। ভালোভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন ওই ছাত্রী। বর্তমানে করাচিতে পড়াশোনা চালাচ্ছেন ওই তরুণী। ভবিষ্যতে আয়েশা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান। 

    উদার মনের পরিচয় ভারতীয় চিকিৎসকদের

    অঙ্গদানের ক্ষেত্রে ভারতে অনেক নিয়ম কানুন আছে। কিন্তু পাকিস্তানি তরুণীর ভারতীয় চিকিৎসকরা অনেক উদার মনের পরিচয় দিয়েছেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অঙ্গদানের প্রক্রিয়া সহ ওই পরিবারের চিকিৎসার খরচ মকুব করে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের (Heart Transplant Cost) ক্ষেত্রে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। চিকিৎসার আয়েশার চিকিৎসার বিপুল খরচ বহন করেছিল ভারতীয় (India Pakistan Relation) একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চেন্নাইয়ের চিকিৎসক এবং রোগীরা মিলে তৈরি করেছেন। 

    ভারত ও পাকিস্তানের তফাত কোথায়

    অথচ, ইমাম (Pakistani Imam) যে বক্তব্য রাখলেন তাতে পরবর্তীতে কোন পাকিস্তানি রোগী ভারতে (India vs Pakistan) সাহায্যপ্রার্থী হলে চিকিৎসকরা সে বিষয়ে নতুন করে ভাববেন। যদিও ভারত “বসুধৈব কুটুম্বকম” তত্ত্বে বিশ্বাসী। যে কারণে, শত বৈরিতা সত্ত্বেও, পাক তরুণীর জন্য হৃদয় উজাড় করে দিয়েছে ভারত। সেখানে, শুধু ঘৃণা আর বিদ্বেষ নিয়েই বেঁচে রয়েছে প্রতিবেশী। আর এখানেই তফাত ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Pakistan Relation: ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্রে বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর প্রাণ

    India Pakistan Relation: ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্রে বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন হল ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র (India Pakistan Relation)। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা সফলভাবে ওই তরুণীর শরীরে হৃদযন্ত্র বসাতে সক্ষম হয়েছেন। এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণী। ভালোভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন ওই ছাত্রী।

    ১৯ বছরের তরুণী আয়েশা  

    জানা গিয়েছে, বিগত পাঁচ বছর ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ১৯ বছর বয়সী আয়েশা রেশান (India Pakistan Relation)। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে তাঁর শরীরে ৬৯ বছর বয়সী এক ব্রেন ডেথ হয়ে যাওয়া রোগীর হার্ট বসানো হয়। ঐ রোগীর দেহ দিল্লি থেকে উড়িয়ে চেন্নাই নিয়ে আসা হয়েছিল।

    কী জানালেন আয়েশা? 

    আয়েশা জানিয়েছেন, এখন ভালোভাবেই দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন তিনি। তাঁর নিঃশ্বাস নিতেও কোনও ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না। বর্তমানে করাচিতে পড়াশোনা চালাচ্ছেন (India Pakistan Relation) তিনি। ভবিষ্যৎ জীবনে আয়েশা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান। ২০১৯ সালে আয়েশা প্রথম বার ভারতে এসেছিলেন। সেই সময় একবার হার্টঅ্যাটাক হয়েছিল তাঁর।

    ভারতীয় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আয়েশার মা

    আয়েশার মা সনোবর রেশান তাঁর মেয়েকে কার্যত জীবনদান দেওয়ার জন্য ভারতীয় চিকিৎসকদের (India Pakistan Relation) ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “নিজের মেয়েকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখতে বড় কষ্ট হচ্ছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিল ও। ওর এই অবস্থা আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমরা ভারতীয় চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হই। আমার মেয়ে এখন সুস্থ। আমাদের বিল মেটাবার সক্ষমতা ছিল না। তবুও চিকিৎসকরা আমাদের ভারতে আসতে বলেন এবং তাঁরা চিকিৎসা করে আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলেছেন।”

    কোন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আয়েশা 

    জানা গিয়েছে, সিনিয়র সার্জেন এস বালাকৃষ্ণণ ২০২৩ সাল থেকে ওই তরুণীর চিকিৎসা চালাচ্ছেন। তিনি ওই তরুণীর মাকে জানিয়েছিলেন হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। যদিও বিদেশি রোগীর হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট-এর ক্ষেত্রে ভারতীয় রোগী তালিকাভুক্ত না থাকলে তবেই অঙ্গদানের বিধান রয়েছে। যেহেতু দাতা ৬৯ বছর বয়সী ছিলেন তাই এত বয়স্ক মানুষের হৃদযন্ত্র সেই সময় অপেক্ষারত তালিকাভুক্ত কোনও ভারতীয় রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করার ঝুঁকি কোনও চিকিৎসক নেন নি। ফলে সহজেই ওই পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বয়স বেশি হলেও দাতার হৃদযন্ত্র বেশ ভালো অবস্থায় ছিল। এখন পাকিস্তানি (India Pakistan Relation) তরুণীর দেহে রয়েছে ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র।

    চিকিৎসার খরচ বহন কারা করল?

    জানা গিয়েছে, চিকিৎসার বিপুল খরচ বহন করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চিকিৎসক এবং রোগীরা মিলে তৈরি করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের ক্ষেত্রে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। ট্রান্সপ্লান্টের কয়েকদিন পরেই আয়েশাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং সে নিজের দেশে ফিরে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anurag Thakur: “সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না হলে ভারত-পাক ক্রিকেট নয়”! স্পষ্ট বার্তা অনুরাগ ঠাকুরের

    Anurag Thakur: “সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না হলে ভারত-পাক ক্রিকেট নয়”! স্পষ্ট বার্তা অনুরাগ ঠাকুরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের অনুভূতির কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে খেলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত ভারতের। অনুপ্রবেশ ও আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ না থামলে, ক্রিকেটেও পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থাকবে না। শুক্রবার স্পষ্ট জানালেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী

    এশিয়া কাপে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। বিশ্বকাপে আবার মুখোমুখি হবে তারা। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আবার কবে হবে, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই প্রশ্ন রয়েছে দু’দলের ক্রিকেটার এবং সমর্থকদের মধ্যে। এ বিষয়ে সরকারের মতামত জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, “বোর্ড বহু দিন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও রকম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা হবে না। এই দেশের যে কোনও সাধারণ মানুষ এটাই চায়।” সম্প্রতি অনন্তনাগে পাকিস্তানের জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। সেই সূত্র ধরে এদিন এই বার্তা দেন অনুরাগ।

    পাকিস্তানে খেলা নয়

    প্রসঙ্গত, চলতি এশিয়া কাপের সমস্ত ম্যাচই পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ভারত সরকারের অনুমতি না মেলায় পড়শি দেশে খেলতে যাওয়া সম্ভব নয়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও ভারতে ওডিআই বিশ্বকাপ বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বারংবার। এদিন অনুরাগ (Anurag Thakur) বলেন,  “পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ভারতীয়দের অনুভূতিকে সম্মান দিয়েই পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রীড়া জগতের যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত।” 

    আরও পড়ুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    কেন ফের এই জল্পনা

    এশিয়া কাপ শুরুর পর পাকিস্তানের আমন্ত্রণে সে দেশে গিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি রজার বিনি এবং সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে খেলা হওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু গত বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ভারতীয় সেনার কর্নেল, মেজর পদাধিকারীর আধিকারিকদের। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্টও জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন। এই তিন হত্যার দায় স্বীকার করেছে পাক মদত পুষ্ট রেসিসট্যান্ট ফ্রন্ট নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠী। এরপরই পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Sir Creek: ‘করেছি নিজেদের জমিতে’, স্যর ক্রিকে ছাউনি নির্মাণ নিয়ে পাক-আপত্তি ওড়াল ভারত

    Sir Creek: ‘করেছি নিজেদের জমিতে’, স্যর ক্রিকে ছাউনি নির্মাণ নিয়ে পাক-আপত্তি ওড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদের কথা উঠলেই সবার প্রথমে সামনে আসে সীমান্ত নিয়ে সংঘাতের কথা। এমনই ভারতের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত গুজরাটের স্যর ক্রিক নিয়েও ভারত-পাকিস্তানের বিবাদ জারি। এবারে সেই জায়গায় ভারতের বিওপি তৈরি করা নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান। তাদের দাবি, ভারত পাকিস্তানের জায়গাতে বিওপি বা বর্ডার আউট পোস্ট বানানোর কাজ শুরু করেছে। তবে ভারতও তাদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, বিএসএফ ভারতের আয়ত্তে থাকা জায়গাতেই তিনটি বর্ডার অফ পোস্ট বানাচ্ছে।

    কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, গত মাসে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সঙ্গে স্থানীয় কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই বিওপি নির্মাণ নিয়ে আপত্তি জানায় পাকিস্তান। ভারতীয় এক সেনা আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “যেখানে বিওপি তৈরি করা হচ্ছে সেই এলাকায় ভারতীয় বাহিনী নজরদারি চালায়। কিন্তু পাকিস্তান দাবি করছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ১ কিমি দূরে এসে ভারত নির্মাণ কাজ করছে। তার জন্য তাদের কাছে প্রমাণও রয়েছে।” যদিও তা অসত্য বলে জানিয়েছেন ওই সেনা আধিকারিক। তাঁর মতে ভারত নিজেদের ভূখন্ডেই বিওপি নির্মাণ করছে।

    আরও পড়ুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    স্যর ক্রিকের জন্য টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের

    ২০২২ সালের শেষের দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্যর ক্রিকে আটটি বহুতল বাঙ্কার তথা অবজার্ভেশন পোস্ট তৈরির জন্য ৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। লাখপত ওয়ারি বেট, ডাফা বেট এবং সমুদ্র বেট— এই তিনটি বিওপি তৈরির জন্যই এই টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় পাকিস্তানি জেলে ও মাছ ধরার নৌকার ক্রমাগত অনুপ্রবেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিওপি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিএসএফদের যাতে ওই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাতে আরও কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্যই এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

    ভারত এই বিওপিগুলি নির্মাণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কারণ এই বিওপি বিএসএফকে স্যর ক্রিক এবং ‘হারামি নালা’  জলাভূমিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থান করার কৌশলগত সুবিধা দেবে। সরকারী তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে গুজরাটের এই অঞ্চল থেকে বিএসএফ ২২ জন পাকিস্তানি জেলে, ৭৯ টি মাছ ধরার নৌকা এবং ২৫০ কোটি টাকার হেরোইন জব্দ করেছিল। ফলে পাকিস্তানিদের অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।

    বিওপি নির্মাণ

    এক একটি বাঙ্কারের উচ্চতা হবে প্রায় ৪২ ফুট। ওই বাঙ্কারগুলিতে র‌্যাডার থেকে শুরু করে নজরদারির সমস্ত অত্যাধুনিক সরঞ্জাম থাকবে। একসঙ্গে ১৫ জন সেনাকর্মী থাকতে পারবেন এক একটি তলায়। তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসও রাখা যাবে সেখানে।

    পাকিস্তানরা যেই বিওপি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে, সেটি হল সমুদ্র বেট। পাকিস্তান ‘সমুদ্র বেট’-এর নির্মাণকাজকে তারা ‘মৌর্য বেট’ বলে অভিহিত করছে ও দাবি করছে, ওই এলাকা নিজেদের আয়ত্তে রয়েছে।

    এক সেনা আধিকারিক জানান, পুরোদমে নির্মাণকাজ চলছে। কেন্দ্রীয় পূর্ত মন্ত্রক ওই বিওপিগুলি তৈরির কাজ করছে। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও) বিওপিগুলিতে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাস্তা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। বিএসফকে সবটাই জানানো হয়েছে। কারণ, পাকিস্তানের বিওপি নিয়ে আপত্তি-প্রতিবাদ, এই বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে গোটা ঘটনার কথা বিএসফকে জানিয়ে রাখা হয়েছে।

LinkedIn
Share