Tag: India Russia

India Russia

  • Vladimir Putin India Visit: সময় পরীক্ষিত সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! অর্থনীতি–প্রতিরক্ষা–পর্যটন–শিক্ষাসহ নানা চুক্তি ভারত-রাশিয়ার

    Vladimir Putin India Visit: সময় পরীক্ষিত সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! অর্থনীতি–প্রতিরক্ষা–পর্যটন–শিক্ষাসহ নানা চুক্তি ভারত-রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফর শেষ করে শুক্রবার রাতেই দেশ ছাড়লেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President, Vladimir Putin)। ২৮ ঘণ্টার ব্যস্ত সূচি শেষে বিদায়বেলায় পুতিনকে এগিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা, ব্যাঙ্কোয়েট হলে মোদি (PM Narendra Modi)–পুতিনের পাশাপাশি বসা, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বক্তব্য—সব মিলিয়ে বৈঠকের গাম্ভীর্য থেকে জোরদার বার্তা পাঠাল দুই দেশ। শুরু হল দিল্লি–মস্কো (Vladimir Putin India Visit) সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়। বাণিজ্য থেকে জ্বালানি, পারমাণবিক শক্তি থেকে প্রতিরক্ষা—প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করে ফেলল দুই দেশ।

    জ্বালানি ও বাণিজ্যে গভীরতর সম্পর্ক

    দিল্লি-মস্কো ঠিক করে ফেলল আগামী ছয় বছরের বাণিজ্যিক পথনকশা। লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যেই ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। বৈঠক শেষে রাশিয়ার স্পষ্ট বার্তা, “ভারতকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে তেল সরবরাহ করতে প্রস্তুত মস্কো।” জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তি—সব খাতেই যৌথ উন্নয়নে এগোবে দুই দেশ। জ্বালানি নিরাপত্তাকে ভারত–রাশিয়া অংশীদারিত্বের মূল স্তম্ভ বলে উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, নাগরিক পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা দুই দেশের পরিচ্ছন্ন জ্বালানি লক্ষ্যের প্রতি অঙ্গীকারকে আরও জোরদার করছে। দুই দেশই রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। পাশাপাশি, জি-২০, ব্রিকস, এসসিওর মতো ফোরামে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। প্রতিরক্ষায় যৌথ উৎপাদন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারত ও রাশিয়ার লেনদেন পৌঁছে গিয়েছে ৬৪ বিলিয়ন ডলারে। শীঘ্রই এই অঙ্কটা পৌঁছে যাবে ১০০ বিলিয়ন ডলারে।” একইসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট জানা এই বাণিজ্যের ৯৬ শতাংশই হয়েছে দেশীয় মুদ্রায় অর্থাৎ ভারতের টাকা ও রাশিয়ার রুবেলে মাধ্যমে। অর্থাৎ ডলারকে পাশ কাটিয়ে দেশীয় মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রে জোয়ার এনেছে দুই দেশ। যা আমেরিকার ডলার অস্ত্রকে কড়া জবাব বলেই মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ায় দু’টি নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন

    সম্মেলনের পর এক্স-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, “২৩তম ভারত–রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানান দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। আমরা ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচিতে সম্মত হয়েছি। সংযোগ বৃদ্ধি, জাহাজ নির্মাণ, দক্ষতা উন্নয়ন, শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ বহু ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো হবে।” রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ভারত আবারও জানিয়েছে—ভারত শান্তির পক্ষেই। মোদি জোর দিয়ে বলেছেন, স্থায়ী শান্তিই ভারতের লক্ষ্য, এবং অচলাবস্থা নিরসনে শান্তিপূর্ণ সমাধান জরুরি। শুক্রবার যৌথ প্রেস বৈঠক থেকে রাশিয়ায় দু’টি নতুন দূতাবাসের উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি বলেন, ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিকটাই হল উভয় দেশের সংস্কৃতি ও জনসাধারণ।’ আর সেই সংস্কৃতি ও জনসাধারণের মেলবন্ধনকে বজায় রাখতে রাশিয়ার কাজান এবং ইয়েকাতেরিনবুর্গে দু’টি ভারতীয় দূতাবাস খুলেছে নয়াদিল্লি। যার উদ্বোধন হল শুক্রবার।

    কুড়ানকুলামের দায়িত্ব নিলেন পুতিন

    ভারতের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কুড়ানকুলামে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে রাশিয়া। তামিলনাড়ুর এই পারমাণবিক কেন্দ্রে ছয়টি চুল্লির মধ্য়ে দু’টি ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকি চারটি এখনও নির্মীয়মান। সেগুলির দায়িত্ব নিতে চায় রাশিয়া, জানিয়েছেন খোদ পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করব আমরা।’ দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি বলেন, “আগামী দিনে আমাদের এই বন্ধুত্ব বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তি দেবে এবং এই বিশ্বাস আমাদের যৌথ ভবিষ্যৎ আরও সমৃদ্ধ করবে।” মোদি এদিন ভারত–রাশিয়া বন্ধুত্বকে “ধ্রুবতারা” বলে অভিহিত করেন—যা বহু ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও অটুট থেকেছে। ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ফোরামের সঙ্গে দ্রুত এফটিএ (FTA) সম্পাদনের আহ্বান জানায় ভারত-রাশিয়া। দুই নেতা দ্রুত ইএইউ (Eurasian Economic Union)-এর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়ে মতৈক্যে আসেন।

    ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যে প্রধান সমঝোতাগুলিতে সই হয়েছে—

    ভারত–রাশিয়া কৌশলগত সহযোগিতা কর্মসূচি (২০২৩–২০৩০)—বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জাহাজ নির্মাণ, শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ইত্যাদিতে সহযোগিতা বিস্তারের লক্ষ্যে একগুচ্ছ চুক্তি।

    দুই দেশের নাগরিকদের অস্থায়ী শ্রম কার্যক্রম সংক্রান্ত চুক্তি

    অবৈধ অভিবাসন দমনে সহযোগিতা

    উভয় দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মধ্যে স্বাস্থ্য, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা

    খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা

    মেরু জলে পরিচালিত জাহাজের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণে সহযোগিতা

    রাসায়নিক সার খাতে সহযোগিতা

    পণ্য ও যানবাহনের প্রি-অ্যারাইভাল তথ্য বিনিময়

    দুই দেশের ডাক ও যোগাযোগ বিভাগে চুক্তি

    মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় ও লোমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতা

    তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে প্রসার ভারতী ও রাশিয়ার বিভিন্ন মিডিয়া সংস্থার মধ্যে একাধিক চুক্তি

    ভারত নেতৃত্বাধীন ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্সে (IBCA) রাশিয়ার যোগদানের জন্য কাঠামোগত চুক্তি

    “ইন্ডিয়া ফেব্রিক অফ টাইম” (India, Fabric of Time) প্রদর্শনীর আয়োজন

    রুশ নাগরিকদের জন্য ৩০ দিনের ই-ট্যুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে প্রদান

    রুশ পর্যটকদের জন্য গ্রুপ ট্যুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে প্রদান

  • Vladimir Putin India Visit: ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত-রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে’’ বন্ধু পুতিনকে পাশে  নিয়ে পাকিস্তানকে বিঁধলেন মোদি

    Vladimir Putin India Visit: ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত-রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে’’ বন্ধু পুতিনকে পাশে নিয়ে পাকিস্তানকে বিঁধলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও রাশিয়া সন্ত্রাসের মোকাবিলায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin India Visit) সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘বন্ধু’ পুতিন। ঠিক এই সম্বোধন দিয়েই শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মোদি বলেন, ‘‘২৫ বছর আগে পুতিন আমাদের সঙ্গে স্ট্র‍্যাটেজিক পার্টনারশিপের সূত্রপাত করেছিল। ⁠ভারতের প্রতি পুতিনের দায়বদ্ধতা এবং বন্ধুত্বের জন‍্য আমি আমার বন্ধু পুতিনকে ধন‍্যবাদ জানাই৷’’ এদিন হায়দ্রাবাদ হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ‘ডিয়ার ফ্রেন্ড’ হিসেবে সম্বোধন করেন পুতিন৷

    ইকোনমিক কোঅপারেশন প্রোগ্রাম

    মোদির (Modi-Putin Meet) কথায়, ‘‘ভারত-রুশ বন্ধুত্ব সময়ের সব পরীক্ষায় পাশ করেছে৷ ⁠আজ আমরা এই বন্ধুত্বকে আরও পোক্ত করতে আলোচনা করেছি৷’’ এরপরেই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ⁠২০৩০ সাল পর্যন্ত ভারত এবং রাশিয়া একটি ইকোনমিক কোঅপারেশন প্রোগ্রামে সম্মতি হয়েছে ৷ মোদি জানান, ‘‘ভারত-রাশিয়া বিজনেস ফোরামে ⁠এক্সপোর্ট এবং কোঅপারেশনের রাস্তা খুলবে দু’দেশের৷ ⁠কৃষি এবং ফার্টিলাইজারের ক্ষেত্রেও আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক কৃষকদের জন‍্য অনেক লাভদায়ক হবে। ভারত এবং রাশিয়া একসঙ্গে তৈরি করবে ইউরিয়া৷’’ শিপ বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও রাশিয়া ভারতকে নতুন সুযোগ দেবে বলে জানান তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, এই সমন্বয় এবং বন্ধুত্ব, সবটাই নতুন মাত্রা পেয়েছে পুতিনের নেতৃত্বে। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ থেকে ১৫ বছর আগে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক বিশেষ অংশীদারিত্বের তকমা পেয়েছিল। এমনকি, গত ২৫ বছর ধরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন পুতিন। আমি তাঁর এই কৃতিত্বকে সম্মান জানাই।’’

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোরালো সুর

    এদিন হায়দ্রাবাদ হাউসে মোদিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। সেটা পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হোক বা ক্রোকাস সিটি হলে কাপুরুষোচিত হামলা, এই সমস্ত ঘটনার মূলে একই। ভারতের অটল বিশ্বাস যে সন্ত্রাসবাদ মানবতার মূল্যবোধের উপর সরাসরি আক্রমণ। এবং এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। রাষ্ট্রসংঘ, জি২০, ব্রিকস, এসসিও এবং অন্যান্য ফোরামে ভারত ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে। আমরা এই সমস্ত ফোরামে আমাদের আলোচনা এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সাম্প্রতিক অতীতেই বারংবার পাক প্রধানমন্ত্রী ও পাক সেনাপ্রধানকে ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিতে ‘ভারতবিরোধী’ হুঙ্কার তুলতে দেখা গিয়েছে। শুক্রবার যেন সেই সকল হুঙ্কারের জবাব দিয়ে দিলেন মোদি।

    ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ

    এদিকে শুক্রবার বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “ভারত নিরপেক্ষ নয়। ভারত শান্তির পক্ষে। এটা শান্তির যুগ। সাম্প্রতিক অতীতে শান্তি ফেরাতে অনেক চেষ্টা হয়েছে। আমার বিশ্বাস গোটা বিশ্ব আবারও শান্তির পথে ফিরবে।” নেতা হিসেবেও পুতিনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মোদি। তিনি বলেন, “যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রকৃত বন্ধুর মতো ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা করেছেন পুতিন। সমস্ত তথ্য জানিয়েছেন।” মোদির কথায়, আগামী দিনে বিশ্বে শান্তি ফিরবে বলে আশাবাদী তিনি, কারণ শান্তির মাধ্যমেই বিকাশ ঘটবে।

    স্পেশাল কারেন্সি তৈরির পথে

    বর্তমানে ২৭ ঘণ্টার সফরে ভারতে এসেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতের মাটিতে পা রাখেন পুতিন৷ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঝে পুতিনের এই ভারত সফরের দিকে বিশেষ নজর রাখছে ওয়াশিংটনও৷ আজ, শুক্রবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর সঙ্গে দেখা করেন পুতিন৷ তারপরে হয় মোদি-পুতিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক৷ বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রনেতাই যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন৷ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন, মোদিকে ‘ডিয়ার ফ্রেন্ড’ বলে বক্তব্য শুরু করেন। পুতিন বলেন, ‘‘আমরা স্পেশাল কারেন্সি তৈরির দিকে এগোচ্ছি৷ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লেনদেনে জাতীয় মুদ্রার ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে—এখন বাণিজ্য লেনদেনের ৯৬ শতাংশই জাতীয় মুদ্রায় হচ্ছে।” ⁠এনার্জি তৈরির ক্ষেত্রে সফল পার্টনারশিপ রয়েছে রাশিয়ার। ⁠ পুতিন বলেন, ‘‘ভারতে বৃহত্তম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, কুডানকুলাম তৈরিতে আমরা সহযোগিতা করছি৷ ⁠ভারতের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা চলছে—ছয়টির মধ্যে তিনটি রিঅ্যাক্টর ইতোমধ্যেই গ্রিডে সংযুক্ত হয়েছে।’’

    নতুন আন্তর্জাতিক ট্রেড করিডোর

    পুতিন জানান, এই বৈঠকের পরে ভবিষ্যতে ⁠নিরাপত্তা, বাণিজ্য, সংস্কৃতি সহ একাধিক ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্ক আগের তুলনায় আরও মজবুত হবে৷ তাঁর কথায়, ‘‘নতুন আন্তর্জাতিক ট্রেড করিডোর তৈরির পরিকল্পনা করছি আমরা। যার মধ্যে অন্যতম হল উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডর প্রকল্প। রাশিয়ার টিভি চ‍্যানেল আরটি আজ থেকে ভারতে নিজেদের ব্রডকাস্ট শুরু করছে৷ ⁠আগামিবছর ভারত ব্রিকসে চেয়ার গ্রহণ করবে। আমাদের তরফে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে ভারতকে৷ গত বছর ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১২ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৬৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আমরা এই পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হব বলে মনে করি। মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠনের প্রক্রিয়া আমাদের বাণিজ্য আরও বাড়াতে সাহায্য করবে। গত অর্ধশতাব্দী ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণে রাশিয়া সহযোগিতা করে আসছে। আমাদের আলোচনার ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। এই সফর দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’’

  • Vladimir Putin India Visit: একান্ত নৈশভোজে বিশেষ আলাপ! বন্ধু পুতিনকে ভগবদ গীতা উপহার মোদির

    Vladimir Putin India Visit: একান্ত নৈশভোজে বিশেষ আলাপ! বন্ধু পুতিনকে ভগবদ গীতা উপহার মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin India Visit) ভগবদ গীতা উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Putin Meet)। এক্স হ্যান্ডলে বিশেষ এই উপহারের কথা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘গীতার শিক্ষা পৃথিবী জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়।’’ তাই প্রেসিডেন্ট পুতিনকে দেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো উপহার আর কিছুই হতে পারে না, বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পুতিনের হাতে মোদি যে গীতা তুলে দেন, তা রুশ ভাষায় অনূদিত। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির ৭, লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের একান্ত নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বন্ধু পুতিনকে এই বিশেষ উপহার দেন মোদি।

    মোদি-পুতিন বিশেষ সম্পর্ক

    ভারতের মাটিতে পুতিনকে স্বাগত জানাতে প্রোটোকল ভেঙে নিজেই বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করমর্দন ও আলিঙ্গন করে দুই রাষ্ট্রপ্রধান রওনা দিয়েছিলেন একই গাড়িতে। পুতিনকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমানবন্দরে রুশ শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় নৃত্য পরিবেশন করেন। তার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি গাড়ি ‘ফরচুনার’-এ চেপেই দুই নেতা ৭, লোককল্যাণ মার্গে পৌঁছন। পুতিন ‘ফরচুনার’-এ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হয় হুবহু সেই মুহূর্ত যা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চিনের তিয়ানজিন দেখেছিল। সেখানে এসসিও সামিটের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট পুতিন তাঁর ‘অরাস সেনাত’-এ মোদিকে ডেকে নিয়েছিলেন! এ বার ডিসেম্বরের শীতে গোটা দুনিয়া দেখল ঠিক তার উল্টো ছবি। ‘ফরচুনার’ পিছু পিছু চলল ‘সর্ববিপদহরেষু’ অরাস সেনাত।

    মোদির আমন্ত্রণে নৈশভোজে পুতিন

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে একটি নৈশভোজে যোগ দেন পুতিন। সেখানেই তাঁর হাতে গীতা তুলে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতার বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি বাসভবনে, যেখানে ভারত–রাশিয়া বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বিশেষ আলোকসজ্জা ও দুই দেশের পতাকা সাজানো ছিল। বৈঠকের আগে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লিখেছিলেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে যাবতীয় আলোচনা নিয়ে আশাবাদী। ভারত–রাশিয়া বন্ধুত্ব বহু দশকের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। এই সম্পর্কে দুই দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। ভারতে আসের আগেই অবশ্য রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্ব বহু পুরোনো। ইউক্রেন যুদ্ধের অনেক অনেক আগে থেকেই তা রয়েছে। তাতে কোনও ফাটল ধরেনি।’

  • India-Russia Relationship: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা, রাশিয়া থেকে তেল কিনে ভারতের মুনাফা ১২৬০ কোটি ডলার

    India-Russia Relationship: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা, রাশিয়া থেকে তেল কিনে ভারতের মুনাফা ১২৬০ কোটি ডলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে যখন তেলের দাম চড়া, তখন ভারত এক কৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়ে রুশ তেলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে রাশিয়া (India-Russia Relationship) থেকেই তেল আমদানি করে ভারত। অন্যদিকে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মস্কোও ভারতকে বড়সড় ছাড়ে তেল (Russian Oil) দিতে শুরু করে। এই সিদ্ধান্তে ভারতের জ্বালানি আমদানির খরচ ৩৯ মাসে কমেছে কমপক্ষে ১৭ বিলিয়ন ডলার। তথ্য-পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট গত সাড়ে তিন বছরে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করায় বিপুল আর্থিক সাশ্রয় হয়েছে ভারতের। সরকারি সূত্রে খবর, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ৩৯ মাসে রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল আমদানি করে অন্তত ১২৬০ কোটি ডলার (প্রায় ১ লক্ষ ১১ হাজার কোটি টাকা) মুনাফা করেছে ভারত।

    বিশ্ব-বাজারে ভারতের বড় ভূমিকা

    রাশিয়ার তেল (Russian Oil) কেনায় ভারতের উপর গোঁসা করেছে আমেরিকা। রাশিয়া থেকে তেল কেনার অভিযোগে ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পিটার নাভারোর দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধ আসলে ‘মোদির যুদ্ধ’। তাঁর অভিযোগ, ‘রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কিনে আসলে মস্কোকে সহায়তা করছে ভারত।’ পিটার নাভারোর অভিযোগ ভিত্তিহীন, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, ভারতের তেল কেনার কারণেই বিশ্ববাজারে বড়সড় সঙ্কট এড়ানো গিয়েছে। যদি ভারত রাশিয়ার তেল না কিনত, তাহলে আজ অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ২০০ ডলার ছুঁয়ে যেত। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ভারত শুধু সরাসরি সাশ্রয়ই করেনি, বরং বিশ্ববাজারে দাম নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রেখেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি রুশ তেল না কিনত, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১০-২০ ডলার বেড়ে যেতে পারত, যা ৩৯ মাসে আমদানির খরচ বাড়িয়ে দিত ৫৮ থেকে ১১৬ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।

    রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বেড়েছে

    ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন পুতিন। তার পরেই আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করেছিল। যদিও তাতে গুরুত্ব না দিয়ে গত সাড়ে তিন বছর ধরে নয়াদিল্লি-মস্কো বাণিজ্যিক লেনদেন চলেছে সমানতালে। গত অর্থবর্ষের (২০২৪-২৫) ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সার্বিক বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়ে পৌঁছেছে ৬৮০০ কোটি ডলার (প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা)। তার মধ্যে ভারত থেকে রাশিয়ায় (India-Russia Relationship) রফতানি করা হয়েছে ৪৯০ কোটি ডলারের (৪২ হাজার কোটি টাকা) পণ্য। আর রাশিয়া থেকে ভারত আমদানি করেছে ৬৩০০ কোটি ডলারের (প্রায় ৫ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা) পণ্য। যার বড় অংশই সামরিক সরঞ্জাম এবং অশোধিত তেল। বস্তুত ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর অনেক আগে থেকেই রুশ অশোধিত তেলের ক্রেতা ভারত। তবে আগে রাশিয়া থেকে তারা কম তেল আমদানি করত। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পরে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। তেল আমদানিকারী দেশ হিসাবে সারা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এই মোট আমদানির ৩৫ শতাংশই এখন আসে রাশিয়া থেকে।

    কতটা সাশ্রয় করল ভারত

    প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারত ১৬২২ কোটি ডলারের তেল আমদানি করেছিল। রাশিয়ার তেল না কিনে অন্য দেশ থেকে কিনলে এই খরচ আরও ৪৮৭ কোটি ডলার বেশি পড়ত। ২০২৩-২৪ অর্থবর্যে রাশিয়ার তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও আমদানি বাড়ায় সাশ্রয় দাঁড়ায় ৫৪১ কোটি ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ছাড় নেমে আসে মাত্র ২.৮ শতাংশে। এতে সাশ্রয় হয় মাত্র ১৪৫ কোটি ডলার। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষএ ছাড় কিছুটা বাড়ার ফলে প্রায় ৮৪ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষপর্বে রুশ তেল আমদানি কিছুটা কমলেও অগস্ট থেকে তা বাড়তে শুরু করেছে আবার।

    রুশ তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ভারত

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে রাশিয়া ভারতের মোট তেল আমদানির ২%-এরও কম সরবরাহ করত। এখন সেই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬%, যেখানে প্রতিদিন আমদানি হয় প্রায় ১.৭৮ মিলিয়ন ব্যারেল। এশিয়ায় চিনের পর ভারত এখন রুশ তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা। মূলত মার্কিন ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া ভারতকে ছাড়ে তেল দেয়, আর ভারত কৌশলগতভাবে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিপুল সাশ্রয় করে।

    লাভ সাধারণ জনগণের

    ভারতের সরকারি (India-Russia Relationship) হিসাব ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, দেশের এই সাশ্রয় শুধুমাত্র বড় ব্যবসায়ীদের নয়, সাধারণ ভারতীয়দেরও উপকৃত করেছে— মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থেকেছে, রুপি স্থিতিশীল থেকেছে, এবং রিফাইনিং শিল্পে কর্মসংস্থান বজায় রয়েছে। একইসঙ্গে, ভারত এই রফতানিকৃত রিফাইন্ড তেল (বিশেষত রিলায়েন্স ও নয়ারা এনার্জির মাধ্যমে) বিক্রি করে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯৭.৪৭ বিলিয়ন, এবং ২০২৪-২৫-এ ৬৩.৩৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তেলের এই কৌশলগত চুক্তি ভারতের অর্থনীতিকে এক বড় ধাক্কা থেকে রক্ষা করেছে।

    দেশের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত

    ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার থেকে তেল (Russian Oil) কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবে ভারতীয় পণ্যের উপর জরিমানা-সহ মোট ৫০ শতাংশ শুল্কের বোঝা চাপিয়েছে আমেরিকা। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপের পরেও ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি নরেন্দ্র মোদির সরকার। অদূর ভবিষ্যতে তার কোনও সম্ভাবনাও নেই বলে মনে করছেন কূটনীতি এবং বণিকমহলের অনেকেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, এই তেল আমদানির মাধ্যমে ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয়ের জন্য “সাশ্রয়ী জ্বালানি” নিশ্চিত হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, মার্কিন সমালোচনা দ্বিচারিতায় ভরপুর। ইউরোপ এখনও রাশিয়া থেকে পণ্য কিনছে। তাই ভারতকে বাধা দেওয়ার মানেই হয় না। ভারত জানিয়ে দিয়েছে — ‘যেখানে ভালো দাম, সেখানেই আমরা যাব’ — কৌশলগতভাবে নয়, অর্থনৈতিকভাবে।

  • Vladimir Putin: ‘বন্ধু’ মোদির আমন্ত্রণে সাড়া! ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার ভারতে আসছেন পুতিন

    Vladimir Putin: ‘বন্ধু’ মোদির আমন্ত্রণে সাড়া! ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার ভারতে আসছেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিলের আলোচনাসভায় পুতিনের ভারত সফরের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন লাভরভ। গত বছর মস্কো গিয়ে পুতিনকে দেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই ‘ডাকেই’ সাড়া দিয়ে দেশে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট (Russia)। ২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবার ভারতে আসছেন তিনি। তবে পুতিনের ভারত সফর প্রসঙ্গে এখনও দিনক্ষণের কথা জানায়নি সেদেশের বিদেশমন্ত্রক।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির ডাকে সাড়া

    গত অক্টোবরে ‘ব্রিকস’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। দু’জনের পার্শ্ববৈঠকও হয়েছিল সে সময়। তার আগে গত বছরেরই জুলাইয়ে রাশিয়া গিয়েছিলেন মোদি। সে সময়ই তিনি ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পুতিনকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে লাভারভ বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারত সরকারের প্রধানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তাঁর সফরের প্রস্তুতি চলছে।’’ রাশিয়ান আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিল আয়োজিত ‘রাশিয়া এবং ভারত: একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক অধ্যায়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় লাভারভ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন পর্বের সূচনা হবে পুতিনের সফরে (Putin Visit India)।

    যুদ্ধের আবহে পুতিনের ভারত সফর

    এখনও কাটেনি রাশিয়া-ইউক্রেন জট। আর এমন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেই ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধের আবহে প্রেসিডেন্টে ভারত সফর কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ। বরাবরই, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের মাঝে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে যখন একের পর এক দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছে, সেই আবহেও বিবাদ থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে ভারত। এই যুদ্ধের মাঝে একাধারে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আবার একই ভাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায় তাঁকে।

    পাশাপাশি ভারত-রাশিয়া

    নরেন্দ্র মোদি ও ভ্লাদিমির পুতিনের (Modi-Putin Meet) বন্ধুত্বের সম্পর্ক কারও অজানা নয়। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই আমেরিকা-সহ নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি রাশিয়াকে কূটনৈতিক দুনিয়ায় একঘরে করার চেষ্টা করেছে। মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে তাদের উপর একাধিক অর্থনৈতিক অবরোধও জারি করেছে আমেরিকা। যদিও আমেরিকার আপত্তি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে নয়াদিল্লি। আমেরিকার সঙ্গে নিবিড় কৌশলগত সম্পর্ক রাখলেও পুরনো মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে যায়, সরাসরি এমন কোনও সিদ্ধান্তে সায় দেয়নি ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারতের আরও কাছে এসেছে রাশিয়া। রাষ্ট্রসংঘে মস্কো বিরোধী প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ভারত। তবে যুদ্ধ থামাতে বার বার আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি।

    পুতিনের সফরের প্রস্তুতি শুরু

    যুদ্ধের আবহে মোদি দু’বার গিয়েছেন রাশিয়া সফরে। আর সে দিকে ইঙ্গিত করেই লাভারভ বলেছেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর রাশিয়ায় তাঁর প্রথম বিদেশ সফর করেছিলেন। এ বার তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার পালা আমাদের।’’ পুতিন যে এদেশে আসতে পারেন সেকথা শোনা গিয়েছিল নভেম্বরেই। রাশিয়ার প্রশাসনিক দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমাত্রি পেসকভ জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই ভারত সফরে যাবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর ভারত সফরের দিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। এবার রাশিয়া জানিয়ে দিল পুতিনের সফরের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

    নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন সূচনা

    ক্রেমলিনের তরফে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন পর্বের সূচনা হতে চলেছে পুতিনের ভারত সফরে (Putin Visit India)। যুদ্ধ আবহে হোক কিংবা নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হওয়ার পর, মোদি রাশিয়া সফর করেছেন। তাই এবার তাঁদের উচিত পাল্টা সৌজন্য দেখানো। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতেই ভারতে আসছেন পুতিন। পাশাপাশি, ইউক্রেনের সঙ্গে চলতে থাকা যুদ্ধ নিয়েও ভারতের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। পুতিন এবং মোদি নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখেন, প্রতি দুই মাসে একবার টেলিফোনে কথোপকথন করেন। দুই নেতা ব্যক্তিগতভাবেও বৈঠক করেন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে। ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই ভারতের সাথে রাশিয়ার দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পুতিনের ভারত সফরের খবরে খুশির হাওয়া দু’দেশেই।

  • India Russia: এবার জাহাজ নির্মাণে ভারতকে সহায়তা করতে চাইল রাশিয়া, কেন জানেন ?

    India Russia: এবার জাহাজ নির্মাণে ভারতকে সহায়তা করতে চাইল রাশিয়া, কেন জানেন ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বরাবরই ভালো। যুদ্ধ সরঞ্জাম থেকে অনেককিছুই আমদানি করা হয় রাশিয়া থেকে।

    আরও পড়ুন: ‘২০০০ টাকার নোট কালো টাকার সমান’, বাতিল করার পরামর্শ সুশীল মোদির

    রাষ্ট্র সঙ্ঘে বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়ার পাশে থাকতে দেখা গেছে ভারতকে। এবার ভারতকে জাহাজ তৈরিতে সহায়তা করতে চাইল রাশিয়া। প্রসঙ্গত, G-7 দেশগুলি রাশিয়ার তেলের উপর প্রাইস ক্যাপ আরোপ করে। ভারত এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেনি।

    আরও পড়ুন: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    ভারতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী 

    এদিন, রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক ভারতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকও আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে ভারতের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। 

    আরও পড়ুন: ‘ভারতকে নিয়ে কৌতুহলী বিশ্ব’, জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদল বৈঠকে বললেন মোদি

    শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া একসময় দেশের বৃহত্তম জাহাজ নির্মান সংস্থা ছিল। আজ অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন এই সংস্থা।

    আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারির মোকাবিলা করতে হবে একযোগে, বললেন মোদি  

    প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়ার (India Russia) মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের বানিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীদিনে তেল,পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্য, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, সার ইত্যাদি দ্রব্যের ব্যবসা দুই দেশের (India Russia) মধ্যে বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাশিয়াতে ভারতের রপ্তানি দাঁড়িয়েছে  প্রায় ১০,৬৫১ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন: ‘সারের কমতি মানে আগামী দিনে খাদ্যের ভাঁড়ারে টান’, জি ২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India Russia: পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ যোগান, ভারত থেকে পণ্য কিনতে চেয়ে আবেদন রাশিয়ার

    India Russia: পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ যোগান, ভারত থেকে পণ্য কিনতে চেয়ে আবেদন রাশিয়ার

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধের ফলে রাশিয়া (Russia) থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে পাশ্চাত্য দেশগুলি। রাশিয়ার ওপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা (sanctions)। ইউরোপীয় (EU) ও মার্কিন (US) বহুজাতিক পণ্য সংস্থাগুলি রাশিয়ায় খাদ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। 

    ফলে, বড় সমস্যায় পড়েছে পুতিনের দেশ। রাশিয়ার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও সুপারমার্কেটে থাকা পণ্যের স্টক প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। পশ্চিম থেকে আসছে না যোগান। তরতরিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। এই পরিস্থিতিতে বন্ধু ভারতের (India) মুখাপেক্ষি হয়েছে রাশিয়া। এদেশের বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে পণ্য-বাণিজ্য চুক্তি করতে চেয়ে নয়াদিল্লিকে (New delhi) অনুরোধ করেছে মস্কো (Moscow)।

    এই তালিকায় রয়েছে রাশিয়ার প্রথম সারির ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ওজোন (Ozon) এবং ইয়ান্ডেক্স (Yandex) মার্কেট । এছাড়া, রয়েছে ফুড সাপ্লিমেন্ট সংস্থা ফার্মাস্ট্যান্ডার্ড, ডেন্টাল প্রোডাক্টের বিক্রেতা সিমকোডেন্ট, রাশিয়ার সর্ববৃহৎ ফুড রিটেল চেন এক্স৫ রিটেল (X5 Retail) গ্রুপ এবং কনফেকশনারি সংস্থা ইউনিকন্ফ (UNICONF)। 

    যেমন ভারত থেকে জামাকাপড় থেকে শুরু করে বাচ্চাদের খেলনা, চাদর, লিনেন, ঘর সাজানোর সামগ্রী, টেক্সটাইল-ফ্যাব্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, রান্নার সামগ্রী, চা ও চামড়ার জিনিস পেতে আগ্রহী ইয়ান্ডেক্স। আবার, আরেক রিটেল সংস্থা এক্স৫ এদেশ থেকে ড্রিঙ্ক, সামুদ্রিক খাবার, চা, কফি, বাসমতি চাল, টিনজাত খাবার, রান্নার সামগ্রী, আঙুরের দাবি করেছে। এছাড়া, তালিকায় রয়েছে মারমালেড, জ্যাম, পাস্তা, ওট্স, প্যানকেক, স্প্যাগেটি, কর্নফ্লেক্স, কেচাপ।

    শুধু তাই নয়। ভারত থেকে মেডিক্যাল সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়ার অন্তত ৫টি সংস্থা। সেই তালিকায় রয়েছে গ্লাভ্স থেকে এমআরআই মেশিন। যদিও, পেমেন্ট ঘিরে দু’তরফেই রয়েছে একটি অস্বস্তি। বর্তমানে, সুইফ্ট পেমেন্ট সিস্টেম থেকে রুশ ব্যাঙ্কগুলিকে নিষিদ্ধ করেছে পাশ্চাত্য দেশগুলি। ফলে, এখন বাধ্য হয়ে রুবলে অর্থের আদান-প্রদান করছে রাশিয়া। 

     

LinkedIn
Share