Tag: India-Russia Relation

India-Russia Relation

  • India Russia Relation: ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন পুতিন, পঞ্চস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে দিল্লি

    India Russia Relation: ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন পুতিন, পঞ্চস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বৃহস্পতিবার দু’দিনের ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (India Russia Relation)। রুশ প্রেসিডেন্টের আসার প্রতীক্ষার (Vladimir Putin) প্রহর গুণছেন ভারতবাসী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-পোস্টারে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লির রাস্তা-অলি-গলি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে দিয়ে রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ আর মজবুত হবে।

    ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন (India Russia Relation)

    পুতিন এদিনই ভারতে তাঁর দুদিনের সফর শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর নয়াদিল্লি আগমনের অল্প সময় পরেই ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলন এমন একটি সময়ে হচ্ছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়াদিল্লির ওপর শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা, এবং বাণিজ্য ও জ্বালানি অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হবে। ইউক্রেন আক্রমণের পর এটি হবে পুতিনের প্রথম ভারত সফর। শুক্রবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে। তার পরেই শুরু হবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। উচ্চ পর্যায়ের এই সফরকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের সফর যাতে নিরাপদ ও বিঘ্নহীন হয় সেজন্য কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা ও লজিস্টিক ব্যবস্থা। শীর্ষ সম্মেলনের আগে পাঁচ-স্তরীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।

    আঁটসাঁট নিরাপত্তা

    এই ব্যবস্থায় রয়েছে অভিজাত ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) কমান্ডো, সম্ভাব্য যাতায়াতপথে নিযুক্ত স্নাইপার, ড্রোন নজরদারি, অননুমোদিত সংকেত বন্ধে জ্যামার এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এআই-নিয়ন্ত্রিত মনিটরিং সিস্টেম (Vladimir Putin)। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ প্রযুক্তির মুখ চিনতে পারা ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে (India Russia Relation)।নয়াদিল্লিতে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার ৪০ জনেরও বেশি সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরা এনএসজি এবং দিল্লি পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, যাতে রাষ্ট্রপতির কনভয়ের প্রতিটি মুহূর্ত রিয়েল-টাইমে পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্য যে কোনও হুমকি নিষ্ক্রিয় করা যায়। বহুস্তরীয় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি কৌশলগতভাবে ভাগ করা হয়েছে এভাবে, বাইরের স্তরগুলি এনএসজি দলের এবং দিল্লি পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকবে, আর ভেতরের স্তরগুলি পরিচালনা করবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস।

    রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রীয় গাড়ির

    রুশ প্রেসিডেন্ট যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনও বৈঠক করবেন, এসপিজির কমান্ডোরা মূল নিরাপত্তা বলয়ে যুক্ত হবেন। পুতিন যে হোটেলে থাকবেন এবং যেসব জায়গায় যেতে পারেন, সম্ভাব্য সেই সব জায়গাগুলিও সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা ও সুরক্ষিত করা হচ্ছে। নিরাপত্তায় কোনও ধরনের ত্রুটি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে প্রাণপাত করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রীয় গাড়ির আগমন, শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা সমৃদ্ধ আর্মার্ড অরাস সেনাট লিমুজিন, যেটি বিশেষভাবে এই সফরের জন্য উড়িয়ে আনা হয়েছে ভারতে (India Russia Relation)।

    রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজ

    এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেবেন পুতিন। শুক্রবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। পরে তিনি যাবেন রাজঘাটে, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে। এদিনই হায়দরাবাদ হাউসে হবে মোদি-পুতিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। পরে ভারত মণ্ডপমে একটি অনুষ্ঠান এবং পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আতিথ্যে ডিনারে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের (Vladimir Putin)। এবার রুশ প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে তাঁর অরাস সেনাট লিমুজিন গাড়িটিও। মস্কো থেকে বিশেষ বিমানে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে এই লাক্সারি এই গাড়িটিকে। ২০১৮ সালে বাজারে আসার পর থেকেই এই গাড়িটি হয়েছে পুতিনের সরকারি গাড়ি। গাড়ি নয়, বরং সাঁজোয়া বলা যেতে পারে। অনেকেই বলেন এটি হল ভ্রাম্যমাণ একটি দুর্গ। মাস কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন চিনে গিয়েছিলেন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে, তখন পুতিনের সঙ্গে এই গাড়িতেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে (India Russia Relation)।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চক্ষুশূল হয়েছে ভারত। শুল্ক চাপ বজায় রাখার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তিও করেনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। এই আবহেই ভারতে আসছেন পুতিন। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের পোক্ত সম্পর্ক। মিস্টার পুতিনের এই (Vladimir Putin) সফর তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের অটোনমি কোনও একটা দেশের কাছে বন্ধক রাখতে পারি না। বরং সব দেশের সঙ্গেই আমাদের স্বাধীন সম্পর্ক থাকা উচিত। আশা করি, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও জোরালো হবে (India Russia Relation)।”

  • India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (India Russia Relation) সঙ্গে নয়া চুক্তি চূড়ান্ত করতে চলেছে নয়াদিল্লি। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে ভারত সফরে আসার কথা রুশ প্রেসিডেন্টের। সেই সফরেই নয়াদিল্লি একগুচ্ছ নয়া চুক্তি ও উদ্যোগ চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    পুতিনের সফর (India Russia Relation)

    তিনি পুতিনের সফরকে কেন্দ্র করে ২৩তম বার্ষিক ভারত–রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মস্কোয় রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “এই বিশেষ উপলক্ষটি আমার কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।” তিনি জানান, উভয় পক্ষই বহু ক্ষেত্রে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, উদ্যোগ এবং প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমরা এগুলি আগামী দিনগুলিতে চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছি। এই সব পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে আমাদের বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সমৃদ্ধ ও সুদৃঢ় করবে।” জানা গিয়েছে, ৫ ডিসেম্বরের আশপাশে ভারতে আসার কথা পুতিনের। এই সফরে তিনি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। গত বছর মোদি মস্কো সফর করেছিলেন বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে।

    বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত শান্তি প্রতিষ্ঠার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাগুলিকে সমর্থন করে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই এই লক্ষ্যকে গঠনমূলকভাবে নেবে। সংঘাতের দ্রুত অবসান এবং একটি স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থেই।” তিনি বলেন, “ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার একটি উপাদান হিসেবে কাজ করেছে এবং এই অংশীদারিত্বের বিকাশ দুই দেশ এবং বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ করে (India Russia Relation)।” দুই মন্ত্রী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করব। এই খোলামেলা আলোচনা বরাবরই আমাদের সম্পর্ককে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন সংঘাত, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফগানিস্তানের ঘটনাবলিও।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মস্কোয় জয়শঙ্করের এই সফরটি আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক একটি পদক্ষেপ, যেখানে কৌশলগত সহযোগিতা আরও মজবুত করতে উল্লেখযোগ্য ফলের সম্ভাবনা রয়েছে (S Jaishankar)।প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনার জন্য ফি বছর একটি করে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। এখন পর্যন্ত এই ধরনের ২২টি সম্মেলন হয়েছে। রাশিয়া ভারতের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এটি নয়াদিল্লির বিদেশনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

    ডোভাল-নিকোলাই বৈঠক

    এদিকে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সোমবার পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল সামুদ্রিক নিরাপত্তা। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তও আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন (India Russia Relation)। দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সহকারী ও রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভ ভারতে পৌঁছেছেন। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (S Jaishankar) অজিত ডোভাল এবং ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।” উল্লেখ্য যে, পাত্রুশেভের এই সফরটি এমন একটি দিনে হল, যেদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন করে বৈঠক করতে মস্কো পৌঁছেছেন।

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করছে ভারত। গত অগাস্ট মাসেই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। গিয়েছিলেন ডোভালও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছেন নয়াদিল্লির মোদি এবং মস্কোর পুতিন সরকার (India Russia Relation)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর রুষ্ট ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের হুমকি উপেক্ষা করেই রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে রাজি হয়নি ভারত। ডোভাল, জয়শঙ্করের রাশিয়া সফর এবং (S Jaishankar) নরেন্দ্র মোদি-পুতিনের ফোনে কথা, ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের সমালোচনা, পুতিনের ভারতে আসার সম্ভাবনা, এমন নানা বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সেই সময় যে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, তা ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ইঙ্গিত ছিল। সেই সম্পর্কই আরও মজবুত হবে পুতিনের আসন্ন ভারত সফরে (India Russia Relation)।

  • India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বিঘ্নিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক প্রাচীন, “সময়-পরীক্ষিত” এবং “স্থিরভাবে” এগিয়ে চলেছে। রবিবার মস্কোর তরফে আমেরিকাকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব (India-Russia Relation) নাপসন্দ আমেরিকার। রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কিনছে বলে, শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এবার সর্বসমুখে সম্মান দিল রাশিয়াও।

    ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল

    ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে হলে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করতে হবে। আমেরিকার একার চেষ্টায় তা সম্ভব নয়। তার জন্য ইউরোপের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও এক বার ইউরোপের দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে চাপ দিলেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকার লাগাতার চাপের মুখে ভারতের অনড় অবস্থানের প্রশংসা করল রুশ বিদেশ মন্ত্রক। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের এবং তা ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারাই এই সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তারা বিফল হতে বাধ্য।” মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কঠিন সময়েও স্থিতিশীল ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’

    দিল্লির প্রশংসা রুশ বিদেশ মন্ত্রকের

    আমেরিকা ও নেটো সদস্য দেশগুলির চাপের মুখেও ভারত যেভাবে দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি, তার প্রশংসা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। ভারত-রাশিয়ার সুদীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও ঐতিহ্যের কারণেই ভারত এমন অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা যে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রমাণ আমেরিকার কাছে মাথা নত করেনি ভারত। দিল্লির প্রশংসা করে রুশ বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমেরিকা এবং নেটো-র সদস্য দেশগুলির অনবরত চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করে চলেছে। ভারতের এই অবস্থান আসলে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন। দুই দেশের সম্পর্কে সবসময় জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’’ প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া চলতি মাসেই যৌথ সামরিক অভিযানে সামিল হতে চলেছে। মহাকাশ মিশনেও ভারতকে সাহায্য করছে রাশিয়া, রসকসমসে প্রশিক্ষণ চলেছিল ভারতীয় মহাকাশচারীদের। এছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক তো আছেই।

  • Indias Energy Policy: “সবচেয়ে ভালো প্রস্তাব যারা দেবে, তাদের থেকেই তেল কিনবে ভারত,” সাফ কথা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    Indias Energy Policy: “সবচেয়ে ভালো প্রস্তাব যারা দেবে, তাদের থেকেই তেল কিনবে ভারত,” সাফ কথা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক (Indias Energy Policy) বাড়ানো সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। সাফ জানিয়ে দিলেন মস্কোয় নিযুক্ত নয়াদিল্লির রাষ্ট্রদূত (Indian Envoy)। রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির জ্বালানি বাণিজ্য অব্যাহত থাকার জবাবে ভারতীয় আমদানির ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করার ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তকে লক্ষ্য করে এই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অযথার্থ।” তিনি শুল্ক বৃদ্ধিকে ন্যায্য বাণিজ্যের নীতি ক্ষুণ্ণকারী এক শাস্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আর রাশিয়া-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতা বৈশ্বিক তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করেছে।” প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটন যখন ভারতের আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে মোট শুল্ক হার ৫০ শতাংশে নিয়ে যায়, তার কয়েক সপ্তাহ পরেই এল মস্কোয় নিযুক্ত নয়াদিল্লির রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্য।

    ভারতের প্রতিনিধির সাফ কথা (Indias Energy Policy)

    ভারতের প্রতিনিধি সাফ জানিয়ে দেন, ভারতের জ্বালানি নীতি মূলত তার জনগণের জন্য নির্ভরযোগ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রয়োজনে গঠিত, বাইরের কোনও রাজনৈতিক চাপে নয়। তিনি বলেন, “সরকার দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে থাকবে।” কুমার বলেন, “বাণিজ্য সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভিত্তিতেই হয়। তাই যদি বাণিজ্যিক লেনদেনের ভিত্তি ঠিক থাকে।  সবচেয়ে ভালো প্রস্তাব যারা দেবে, তাদের থেকেই তেল কিনবে ভারত। বর্তমান পরিস্থিতি এটিই।” ভারত বারবার (Indias Energy Policy) রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করে চলেছে। নয়াদিল্লির যুক্তি, সাশ্রয়ী জ্বালানির প্রাপ্যতা তার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীর্ষকর্তারা আরও জানান, অন্যান্য দেশ, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলিও এখনও কিছু মাত্রায় মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কুমার বলেন, “আমাদের বাণিজ্য বাজারের উপাদানের ওপর ভিত্তি করে এবং ১৪০ কোটি ভারতীয় মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মূল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে করা হয়। অন্য দেশগুলিও, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে।”

    জয়শঙ্করের আগের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আগের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে। শনিবার জয়শঙ্কর ওয়াশিংটনের পদক্ষেপকে অন্যায্য ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “নয়াদিল্লি ভারতের কৃষক ও ক্ষুদ্র উৎপাদকদের স্বার্থে কখনও আপস করবে না।” প্রসঙ্গত, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ হিসেবে ভারত ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া থেকে (Indian Envoy) অপরিশোধিত তেল কেনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। কুমার বলেন, “ভারত ও রাশিয়া জাতীয় মুদ্রায় নিষ্পত্তির জন্য একটি স্থিতিশীল ব্যবস্থা চালু করেছে (Indias Energy Policy)।”

  • India Russia Relation: মস্কোর বাজারে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আহ্বান, তেলের ওপর ভারতকে আরও ৫ শতাংশ ছাড় রাশিয়ার

    India Russia Relation: মস্কোর বাজারে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আহ্বান, তেলের ওপর ভারতকে আরও ৫ শতাংশ ছাড় রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ভারতের সঙ্গে তেল বাণিজ্য (Oil Business) থামবে না রাশিয়া। বরং আলোচনার ভিত্তিতে ভারতীয় ক্রেতারা ৫ শতাংশ ছাড়ে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল পাবেন। এমন মন্তব্য করলেন ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার ডেপুটি ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ইয়েভগেনি গ্রিভা (Yevgeny Griva)। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার ডেপুটি চিফ অব মিশন রোমান বাবুশকিন (Roman Babushkin)। তিনি বললেন, ‘‘ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে আমাদের আস্থা আছে। আমরা নিশ্চিত, বাইরের চাপ সত্ত্বেও ভারত-রাশিয়া (India-Russia Relations) তেল বাণিজ্য চলতে থাকবে।’’

    কী বললেন গ্রিভা

    রাশিয়ার ডেপুটি ট্রেড রিপ্রেজেন্টিটিভ এভজেনি গ্রিভা বলেছেন, ‘‘ভারতে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনার ক্ষেত্রে আলোচনা সাপেক্ষে ৫ শতাংশ ছাড় পাচ্ছে ভারত।’’ গ্রিভা আরও বলেছেন, ‘‘বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও ভারত প্রায় একই পরিমাণ তেল আমদানি করবে।’’ দুই দেশের ছাড়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘এটি একটি বাণিজ্যিক গোপনীয়তার বিষয়। আমার মনে হয়, এই বিষয়ে সাধারণত ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা হয়। এই চুক্তির পরিমাণ ওঠানামা করে, তবে সাধারণত এটি প্লাস-মাইনাস ৫ শতাংশ।’’

    বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চলবেই

    রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের (India-Russia Relations) উপর অসন্তুষ্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারতকে তেল বিক্রির লভ্যাংশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ব্যবহার করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সাম্প্রতিক সময়ে বার বার এই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণেই যে ভারতের উপর চড়া হারে শুল্ক চাপাচ্ছে আমেরিকা, সে কথাও গোপন রাখেননি ট্রাম্প। এই আবহে গত ১ অগস্ট এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড রাশিয়া থেকে তেল কেনা স্থগিত রেখেছে। যদিও তার পরের দিনই নয়াদিল্লির সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স’ জানায়, রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করছে না ভারত। রাশিয়ার থেকে খনিজ তেল কেনা বন্ধ রাখার দাবি উড়িয়ে দেয় ভারতের ওই সরকারি সূত্র।

    রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ বাড়াল ভারত

    বুধবার জানা যায়, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের জন্য ভারত রাশিয়ায় বিপুল পরিমাণ তেলের বরাত দিয়েছে। তার কারণ সম্প্রতি ব্যারেল প্রতি তিন ডলার ছাড় দেওয়া হয়েছে। হিসেব অনুযায়ী, এই ছাড়ের অঙ্কটা ৫ শতাংশ হতে চলেছে। ভারত প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করে। ফলে প্রতি ব্যারেলে তিন ডলার ছাড়টাই শেষ পর্যন্ত ভারতের জন্য বিরাট অঙ্কের সাশ্রয় হবে। তারপর তো আরও কিছু ছাড় পাওয়ার কথা রয়েছে। দেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে ব্যয় কমবে। মুনাফার এই অঙ্কগুলি মাথায় রেখে রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিল ভারত। তবে এনিয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

    মস্কোর মত

    সিনিয়র রাশিয়ান কর্মকর্তারা বলেছেন যে জ্বালানি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এড়াতে মস্কোর একটি ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ রয়েছে। এই নিয়ে রাশিয়ার ডেপুটি ট্রেড কমিশনার ইভজেনি গ্রিভা বলেছেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও, আমরা আশা করতে পারি যে ভারতে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানির মাত্রা প্রায় একই থাকবে।’ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ান এনার্জি জায়ান্ট রসনেফ্ট এবং একটি বিনিয়োগ কনসোর্টিয়ামের যৌথ মালিকানাধীন গুজরাটের ভাদিনার শোধনাগারে তেল সরবরাহে কোনও প্রভাব পড়েনি। ভাদিনার শোধনাগারে রসনেফ্টের ৪৯.১৩% শেয়ার রয়েছে, এটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শোধনাগার। এর বার্ষিক ক্ষমতা ২০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এই আবহে গ্রিভা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে জাহাজ ও বিমা সম্পর্কিত সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য রাশিয়ার ‘একটি ব্যবস্থা’ রয়েছে এবং অপরিশোধিত তেল সরাসরি শোধনাগারে সরবরাহ করা হয় কারণ এটি রসনেফ্টের একটি সহায়ক সংস্থা।

    ভারতের জন্য রাশিয়ার বাজার খোলা

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বুধবার রাশিয়ার সংস্থাগুলিকে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। মস্কোয় ভারত-রাশিয়া বিজনেস ফোরামে ভাষণ দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, মেক ইন ইন্ডিয়া এবং এই ধরনের অন্যান্য উদ্যোগ বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। উভয় দেশকে আরও বিনিয়োগ, যৌথ উদ্যোগ এবং অন্যান্য ধরনের সহযোগিতার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে ‘শুল্ক শাস্তি’ দিয়েছে আমেরিকা। দুই দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে ভারতীয় পণ্যের উপর। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ব্য়বসায়ীদের জন্য দেশের বাজার খুলে দিয়েছে রাশিয়া। মস্কো জানিয়েছে, আমেরিকার বাজারে যদি সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে রাশিয়ার বাজারে পণ্য পাঠাতে পারে ভারত। রাশিয়ার ডেপুটি চিফ অফ মিশন রোমান বাবুশকিন এই ঘোষণা করেছেন। ভারতের উপর যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘একতরফা’ বলে উল্লেখ করেন বাবুশকিন। তিনি বলেন, “আমেরিকার বাজারে ঢুকতে সমস্যা হলে, রাশিয়া ভারতকে রফতানিতে স্বাগত জানাচ্ছে। যারা নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে, তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে।”

  • Trump’s Tariff on India: বিকল্প পথের সন্ধানে দিল্লি, ট্রাম্পের শুল্ক-বাণ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত

    Trump’s Tariff on India: বিকল্প পথের সন্ধানে দিল্লি, ট্রাম্পের শুল্ক-বাণ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২৫% শুল্ক (Trump’s Tariff on India) এবং অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ট্যারিফ ভারতীয় রফতানির উপর অগাস্টের প্রথম দিন থেকে কার্যকর হলেও, ভারত সরকার বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছে এবং জানিয়েছে যে তারা কোনও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পরিবর্তে, সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে হাঁটবে বলেই স্থির করেছে। সরকারি সূত্রে খবর, ২৫ শতাংশ শুল্ক যে খুব একটা চিন্তার বিষয় এমনটা নয়। কারণ, চারপাশে তাকিয়ে দেখলে লক্ষ্য করা যাবে চিনের উপর শুল্ক চাপানো ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশের উপর ৩৫ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ায় চাপানো ১৯ শতাংশ। বাকি সব দেশেও গড়ে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। যে গোষ্ঠীতে এখন ভারতও ‘এন্ট্রি’ নিয়েছে।

    ট্রাম্পের ঘোষণা

    ট্রাম্প বুধবার জানিয়েছেন, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক (Trump’s Tariff on India) আরোপ করা হবে, এর পাশাপাশি আরও কিছু আর্থিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে। ট্রাম্প ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পিছনে ব্রিকসকে (BRICS) অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখনও আলোচনায় আছি। এর মধ্যে ব্রিকসের বিষয়টিও রয়েছে। এটি আমেরিকা বিরোধী দেশগুলির একটি দল এবং ভারত এর সদস্য। এটি ডলারের উপর আক্রমণ করতে চায় এবং আমরা কাউকে ডলারের উপর আঘাত হানতে দেব না।”

    উদ্বিগ্ন নয় ভারত

    সরকারি সূত্রে খবর, ট্রাম্প শুল্ক (Trump’s Tariff on India) চাপালেও ভারত এই বিষয়ে কোনও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ করছে না। বৃহস্পতিবার এক উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, “নীরবতাই সবচেয়ে বড় উত্তর। আমরা যা করব, আলোচনার টেবিলেই করব। দেশের জন্য যা ভালো তাই করবে মোদি সরকার। অন্য দেশের কথা শুনে ভারতের বিদেশনীতি ঠিক হবে না। আর দেশের কৃষক ও ছোট ব্যবসাদারদের কোনও ক্ষতি হতে দেবে না সরকার।” বুধবার সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ভারত এবং রাশিয়া, দুই দেশের অর্থনীতিই মৃত। চাইলে এই দুই দেশ আরও অর্থনৈতিক অধোগতির পথে হাঁটতে পারে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক মাস ধরে একটি বানিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। ট্রাম্প বহুবারই মার্কিন পণ্যের জন্য ভারতের বাজারে আরও প্রবেশাধিকার চেয়েছেন।

    কী বলছেন দেশের অর্থনীতিকরা

    এই শুল্ক (Trump’s Tariff on India) পদক্ষেপ নিয়ে যখন কিছু অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, তখন ভারত সরকার একে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “যখন আমরা পরমাণু পরীক্ষা করেছিলাম, অনেক নিষেধাজ্ঞা এসেছিল। তখন আমরা ছোট অর্থনীতি ছিলাম। আজ আমরা আত্মনির্ভরশীল শক্তিশালী অর্থনীতি। এখন ভয়ের কিছু নেই।” ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পারমাণবিক পরীক্ষার সময় বিল ক্লিনটন প্রশাসন ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিলেও তৎকালীন বাজপেয়ী সরকার পিছিয়ে যায়নি।

    কী বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী

    বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, আমেরিকার এই ট্যারিফ (Trump’s Tariff on India) সিদ্ধান্ত ভারতের রফতানিকারকদের এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলতে পারে, তা বিশ্লেষণ করছে সরকার। তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রক বর্তমানে বিভিন্ন রফতানিকারক, শিল্পপতি, এমএসএমই এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, উদ্যোগপতি, ছোট-মাঝারি শিল্প এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই সরকার গ্রহণ করবে।

    বিকল্প পথের সন্ধান

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য ভারতের কাছে একাধিক পথ খোলা আছে। সম্ভাব্য একটা পথ হল ট্রাম্পের সঙ্গে আবার দর-কষাকষিতে গিয়ে ওই শুল্ক (Trump’s Tariff on India) কমানো। আলাপ-আলোচনা অবশ্যই হবে, কিন্তু কতটা কমবে সেটা দেখার। দ্বিতীয় পথ হলো অন্য বিকল্প খোঁজা। জাপান ও ফ্রান্সের সঙ্গে তো বাণিজ্যিক দিক থেকে সম্পর্ক ভালো ছিল, এখন যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো। সেটাও কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে ভারত। বাণিজ্যক্ষেত্রে যে ডেফিসিটটা (ঘাটতি) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হবে সেটাকে অন্য দেশে পরিচালিত করাই এখন ভারতের মূল উদ্দেশ্য। অনেকে বলছেন, বিদেশ নীতির দিক থেকে ভারতের বাণিজ্যের জন্য অন্য দেশের প্রতি এতটা নির্ভরশীল হওয়ার দরকার নেই, অভ্যন্তরীণ দিক থেকে একটা ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। ম্যানুফ্যাকচারিং এবং প্রোডাকশন সেক্টরের ওপর জোর দিয়ে ভারত যদি নিজেদের উৎপাদন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তাহলে যে কোনও দেশ ভারত থেকে পণ্য কিনতে বাধ্য হবে। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারতের মূল লক্ষ্য।

  • S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের পাল্টা হানা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশ কয়েকটি এস-৪০০ (S-400 Missiles) কিনতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভারত। রাশিয়ার (India-Russia Relation) কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ সূত্রের খবর, মস্কো ইতিমধ্যে এই অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

    এস-৪০০ সিস্টেম-এর সাফল্য

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে থাকা রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ (S-400 Missiles) সিস্টেমগুলি সাম্প্রতিক ভারত-পাক সংঘাতের সময় পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অভিযানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের মতে, পশ্চিম সীমান্তের ওপার থেকে আকাশপথে হুমকি মোকাবিলায় এই সিস্টেমগুলি নির্ভুল এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। সুদর্শন চক্রের কর্মক্ষমতায় অভিভূত হয়ে ভারত নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও এস-৪০০ সিস্টেম জুড়তে চায়। সেই জন্য মস্কোর কাছে আবেদন করা হয়েছে।

    এস-৪০০ এর বিশেষত্ব

    মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ (S-400 Missiles)। আকাশে বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। যার মধ্যে রয়েছে স্টেলথ ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে দু’টি ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে। যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়্যাডার সিস্টেম রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এটিতে। ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি চিন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।

    এস-৪০০ চুক্তির খুঁটিনাটি

    ২০১৮-এর অক্টোবরে পাঁচটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রনের জন্য রাশিয়ার (India-Russia Relation) সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন এস-৪০০ (S-400 Missiles) ভারতে এসে পৌঁছেছে। বাকি দু’টি ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার কারণে শেষ দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহে দেরি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে উপেক্ষা করেই ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তি সই করেছিল, যার মূল্য ছিল প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা। এই চুক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে নয়াদিল্লিতে সম্পন্ন হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের ক্যাটসা (CAATSA/ Countering America’s Adversaries Through Sanctions Act) আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ভারত সেসব চাপকে পাত্তা না দিয়ে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের ওপর জোর দেয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়া প্রথম এস-৪০০ ইউনিট সরবরাহ করে এবং বর্তমানে তিনটি স্কোয়াড্রন পাকিস্তান ও চিনের সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে।

    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে জল্পনা

    বুধবার একটি অনুষ্ঠানে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস অ্যালিপভ। বিশেষ করে অপারেশন সিঁদুরে ব্রহ্মোস মিসাইল ও এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (S-400 Missiles) সফল ব্যবহারের তিনি প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এই অস্ত্রগুলি আরও কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ডেনিস অ্যালিপভের কথায়, ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মোস মিসাইল এবং অন্যান্য অস্ত্রগুলির কার্যকারিতা অত্যন্ত সন্তোষজনক। তাঁর মতে, “এই সমস্ত অস্ত্র ডিজাইন ও তৈরি হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে মিলেই। ভবিষ্যতে আরও যৌথ প্রকল্প শুরু হবে এবং কিছু ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।”

    মোদির নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারত

    রাশিয়ার (India-Russia Relation) রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ভারতের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষতা নিয়ে কারোর সন্দেহ নেই। তাঁর শক্তিশালী নেতৃত্বে ভারত বৈশ্বিক মঞ্চে আরও এগিয়ে যাচ্ছে।” পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ টেনে ডেনিস অ্যালিপভ বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ যথার্থ। প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিষয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বার্তা পাঠিয়েছেন এবং সহানুভূতি জানিয়েছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই একমাত্র পথ।” রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে পরিষ্কার, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর ভারত আরও অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনার পথে হাঁটছে। এতে রাশিয়া ভারতের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও আরও ‘সুদর্শন চক্র’ বা এস-৪০০-এর (S-400 Missiles) মতো আধুনিক অস্ত্র মস্কো থেকে দিল্লি আসতে পারে।

  • Putin to Modi: ‘মোদিকে ভয় দেখানোর কথা ভাবতেও পারি না’, বললেন মুগ্ধ পুতিন

    Putin to Modi: ‘মোদিকে ভয় দেখানোর কথা ভাবতেও পারি না’, বললেন মুগ্ধ পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতির জন্য ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক ক্রমশ উন্নত হয়েছে। সম্প্রতি এই মত প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশের স্বার্থে মোদির ‘কঠোর’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি।  সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে নিয়ে পুতিন বলেন, ‘ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক সবদিক দিয়েই আরও দৃঢ় হচ্ছে। এই নীতির সবথেকে বড় গ্যারান্টি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে।’

    কী বললেন পুতিন

    সম্প্রতি পুতিনের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রুশ নেতা হিন্দিতে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছেন। পুতিন নিজে অবশ্য হিন্দি বলেননি। রুশ ভাষায় তাঁর বলা কথাগুলি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়েছে। ওই ভিডিও-তেই মোদির নীতির প্রশংসা করেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, “সত্যি বলতে গেলে, ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তাঁর কঠোর অবস্থান দেখে মাঝে মাঝে আমি বিস্মিত হই।” তিনি জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তার ভিত্তিতেই তাঁর মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কেউ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে বা ভয় দেখাতে পারে না। পুতিন বলেন, “আমি কল্পনাও করতে পারি না যে মোদিকে ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে ভারত ও ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে বা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা যেতে পারে। আমি জানি তাদের উপর এমন চাপ রয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই ভারত-রুশ সম্পর্কে ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশ। তবে পশ্চিমী দেশগুলির চাপের মুখে মাথা নত করেনি মোদি সরকার। জ্বালানি তেল কেনা প্রসঙ্গে ভারত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, দেশের জনগণের স্বার্থে সস্তায় তেল পেলে, তা কেনা হবেই। এমনকী যুদ্ধের সমালোচনা করলেও রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটাভুটি থেকে ধারাবাহিক ভাবে বিরত থেকেছে ভারত। দিন কয়েক আগেই, ভারত-রুশ সম্পর্ক নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, এই সম্পর্ক ভারতকে অতীতে বহুবার বহু সমস্যা থেকে রক্ষা করেছে। এই আবহে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখে ফের ভারত বন্দনা শোনা গেল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে মোদি-নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন পুতিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share