Tag: India Russia Ties

India Russia Ties

  • Putin visit India: দিল্লি-মস্কো সামরিক চুক্তিতে সবুজসঙ্কেত রাশিয়ার, ৩০ ঘণ্টার ভারত সফরে আসছেন পুতিন

    Putin visit India: দিল্লি-মস্কো সামরিক চুক্তিতে সবুজসঙ্কেত রাশিয়ার, ৩০ ঘণ্টার ভারত সফরে আসছেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin visit India)। বৃহস্পতিবার দু’দিনের সফরে দিল্লি আসবেন পুতিন। র আগে মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক চুক্তিতে অনুমোদন দিয়ে রাখল রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমা। দু’দেশের মধ্যে লজিস্টিক সাহায্যের আদানপ্রদানের জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তির নাম ‘রেসিপ্রোকাল এক্সচেঞ্জ অফ লজিস্টিক সাপোর্ট’, সংক্ষেপে আরইএলওএস। দু’দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার দিক থেকে এই চুক্তিটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পুতিন এমন এক সময়ে দিল্লিতে আসছেন, যখন আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। ফলে এই সফরে দিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে বন্ধুত্ব আরও বৃদ্ধি করতে চাইছেন পুতিন। এ ক্ষেত্রে রুশ তেলের পাশাপাশি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে সামরিক সরঞ্জাম সংক্রান্ত বিষয়ও।

    পুতিনের সফরসূচি

    প্রেসিডেন্ট পুতিন ৪ ডিসেম্বর সন্ধেয় নয়াদিল্লিতে পৌঁছবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ধে ৭টায় ৭ লোক কল্যাণ মার্গে তাঁর সম্মানে ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। পরের দিন, ৫ ডিসেম্বর, সকাল ৯ টায়, রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে পুতিনকে (Putin visit India) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে। তিন বাহিনীর একটি গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে। তারপর, সকাল ১০ টার মধ্যে, পুতিন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাটে পৌঁছবেন। সকাল ১১ টায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং পুতিন হায়দ্রাবাদ হাউসে ২৩তম ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি, মহাকাশ এবং কৌশলগত সহযোগিতা সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আলোচনার পর উভয় নেতা একটি যৌথ বিবৃতিও জারি করবেন। বিকেল ৪টায়, দুই নেতা ভারত-রাশিয়া ব্যবসায়িক ফোরামেও ভাষণ দেবেন। এখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে আলোচনা হবে। এই পর্যায়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৫ ডিসেম্বর সন্ধে ৭টায় রাষ্ট্রপতি পুতিনের সম্মানে একটি রাষ্ট্রীয় ভোজসভার আয়োজন করবেন। রাষ্ট্রপতি পুতিন প্রায় ৩০ ঘণ্টার ভারত সফর শেষে সন্ধেয় ভারত থেকে রাশিয়া ফিরবেন।

    আরইএলওএস চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফর ঘিরে সাজ সাজ রব। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে বাণিজ্য চুক্তি, একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে। তার আগে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ‘রেসিপ্রোকাল এক্সচেঞ্জ অফ লজিস্টিক সাপোর্ট’, সংক্ষেপে আরইএলওএস চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত সপ্তাহেই এই চুক্তিটিতে অনুমোদনের জন্য রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাঠান সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন। মঙ্গলবার তাতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে নিম্নকক্ষ। স্টেট ডুমার স্পিরাক ভ্যাচেস্লভ ভলোদিন বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত এবং সার্বিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এই সম্পর্কের কদর করি। এই চুক্তির অনুমোদন পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

    আরইএলওএস চুক্তি কী

    আরইএলওএস চুক্তিতে রুশ সামরিক সরঞ্জাম, যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান রাশিয়া থেকে ভারতে সরবরাহের পদ্ধতিগত বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। একই রকম ভাবে ভারতের থেকেও সামরিক সহযোগিতার পদ্ধতিগত দিকও উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে। এটি দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি। দু’দেশের বাহিনীর যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সামরিক আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে। পুতিনের ভারত সফরকালে দু’দেশের মধ্যে অসামরিক পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হতে পারে। অসামরিক পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সাহায্যের পথ আরও দৃঢ় করতে একটি সমঝোতা স্মারক (মউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে। পুতিনের সফরের আগে এমন একটি সমঝোতা স্মারকে অনুমোদন দিয়েছে রুশ মন্ত্রিসভা। রাশিয়ার তরফে এই সমঝোতায় সই করবে রুশ পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটম। তারা আগে থেকেই তামিলনাড়ুতে বেশ কিছু পরমাণু রিঅ্যাক্টর তৈরি করছে।

    দিল্লি-মস্কো সম্পর্ক অটুট

    ২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি পুতিনের প্রথম ভারত সফর। এই সফরের দিকে নজর রাখছে ওয়াশিংটনও। রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতীয় পণ্যে দুই দফায় ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বললেন, ‘ভারতের উপরে যে চাপ রয়েছে আমরা জানি।’ ট্রাম্পের হুমকি এবং পশ্চিমের বেশ কিছু দেশের আপত্তির পরেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত। রুশ তেল আমদানি সামান্য কিছুটা কমলেও, তা উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। এখনও ভারতে জ্বালানি তেলের সিংহ ভাগই আসে রাশিয়া থেকেই। ট্রাম্পের হুমকির যাতে কোনও প্রভাব দিল্লি-মস্কো বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপরে না পড়ে, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর দুই দিনের ভারত সফরে তা নিশ্চিত করতে চাইবেন পুতিন।

  • Rajnath Singh: ছয় দশকের সাহস, ত্যাগ আর গৌরবের কাহিনি! ভারতীয় বায়ুসেনা থেকে অবসর নিল মিগ-২১

    Rajnath Singh: ছয় দশকের সাহস, ত্যাগ আর গৌরবের কাহিনি! ভারতীয় বায়ুসেনা থেকে অবসর নিল মিগ-২১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্রেফ দেশের শক্তি নয়, মিগ ছিল ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে গভীরতার প্রমাণ। ভারতীয় বায়ুসেনার কিংবদন্তি যুদ্ধবিমান মিগ-২১-এর অবসরে ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। শুক্রবার চণ্ডীগড় বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে এক আবেগঘন অনুষ্ঠানে অবসর নিল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মিগ-২১। আর মিগ-২১-এর বিদায়ের মুহূর্তে আবেগঘন ও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি বলেন, “মিগ-২১ শুধু একটি বিমান নয়, এটি এক শক্তিশালী যন্ত্র, জাতীয় গর্ব এবং প্রতিরক্ষা ঢাল, যা দেশের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলেছে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।”

    ইতিহাসের সাক্ষী মিগ-২১

    রাজনাথ সিং স্মরণ করিয়ে দেন, মিগ-২১ (Mig 21) দীর্ঘ সময় ধরে বহু বীরত্বগাথার সাক্ষী হয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, কার্গিল সংঘাত, বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক কিংবা অপারেশন সিন্ধুর মতো ঐতিহাসিক অভিযানে এই বিমান ভারতের তিরঙ্গার মান বাড়িয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভাষায়, “প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে মিগ-২১ ভারতের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। তাই এই বিদায় কেবল একটি বিমানের নয়, বরং আমাদের জাতীয় গৌরব, স্মৃতি ও সাহসের যাত্রার বিদায়।” ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ৯০০টি মিগ-২১ ছিল। যার মধ্যে ৬৬০টি ভারতে নির্মিত। দশকের পর দশক ধরে এই যুদ্ধবিমানগুলিই দেশরক্ষার কাজ করেছে। বিভিন্ন সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে মোট ৮৭৪টি মিগ-২১ কিনেছে ভারত। জমজমাট এয়ার শো’র আয়োজন করা হয় যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানাতে। বায়ুসেনা আধিকারিক ছাড়াও মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা হাজির ছিলেন বিদায় সংবর্ধনায়।

    গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    মিগকে বিদায় জানানোর দিনে পুরনো স্মৃতি ফিরে দেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “যখনই আমরা কোনও ঐতিহাসিক মিশনে গিয়েছি, তখনই তেরঙ্গার গৌরব আরও বাড়িয়ে তুলেছে মিগ। দীর্ঘ ৬ দশকেরও বেশি সময় ধরে মিগের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল সাহস, ত্যাগ এবং দেশের গর্ব। একটা যুদ্ধ বা একটা অপারেশন নয়, দীর্ঘদিন ধরে মিগ ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে। কেবল একটা মেশিন বা একটা যুদ্ধবিমান নয়, আসলে ভারত এবং রাশিয়ার গভীর বন্ধুত্বের প্রমাণ ছিল এই মিগ।” সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকার চোখরাঙানি উপেক্ষা করে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অনেকটাই বাড়িয়েছে ভারত। সেই প্রেক্ষিতে রাজনাথের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    জীবনের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে মিগ

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়া প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা স্মৃতিচারণায় বলেন, তাঁর জীবনের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে মিগ। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে এই যুদ্ধবিমান চালিয়েছেন তিনি। শুভাংশু বলেন, “আমার জীবনের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে মিগ-২১। মিগ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। প্রথমে, আমি মিগ-২১-এর ক্যালিবার চালিয়েছি। তারপরে চালিয়েছি মিগ-২১ বাইসন। আমি বিভিন্ন স্কোয়াড্রনে কাজ করেছি। মিগ চালানোর অভিজ্ঞতা অসাধারণ।” শুক্লা আরও বলেন, “আমার জীবনের একটা বড় অংশ আমি এই বিমানের সঙ্গে কাটিয়েছি। মিগ অবসর নেওয়ার আগে শেষবার আমি এই বিমান চালাতে চেয়েছিলাম। যদিও সময়ের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমি এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুশি।”

    ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম সুপারসনিক যুদ্ধবিমান

    মিগ-২১ ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম সুপারসনিক যুদ্ধবিমান। ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে এর আগমন ভারতীয় বায়ুসেনাকে একেবারে নতুন যুগে প্রবেশ করায়। শুক্রবারের অনুষ্ঠানে রাশিয়ান উৎসের এই যুদ্ধ বিমানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। শেষবারের মতো আকাশে ওড়ে ২৩ নম্বর স্কোয়াড্রন “প্যান্থারস” এর অন্তর্গত মিগ-২১। অনুষ্ঠানকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছিল ভারতীয় বায়ুসেনার নানা প্রদর্শনী। আকাশগঙ্গা প্যারাশুট টিম ৮,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে লাফিয়ে পড়ে শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য উপহার দেয়। তিন বিমানের বাদল ও চার বিমানের প্যান্থার ফরমেশন ফ্লাইপাস্ট দর্শকদের মুগ্ধ করে। সুর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম তাদের শ্বাসরুদ্ধকর কসরত দিয়ে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলে, আর এয়ার ওয়ারিয়র ড্রিল টিম নিখুঁত শৃঙ্খলায় প্রদর্শনী করে। শেষে আকাশে দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত যোদ্ধাকে সম্মানসূচক স্যালুট।

  • India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বিঘ্নিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক প্রাচীন, “সময়-পরীক্ষিত” এবং “স্থিরভাবে” এগিয়ে চলেছে। রবিবার মস্কোর তরফে আমেরিকাকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব (India-Russia Relation) নাপসন্দ আমেরিকার। রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কিনছে বলে, শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এবার সর্বসমুখে সম্মান দিল রাশিয়াও।

    ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল

    ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে হলে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করতে হবে। আমেরিকার একার চেষ্টায় তা সম্ভব নয়। তার জন্য ইউরোপের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও এক বার ইউরোপের দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে চাপ দিলেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকার লাগাতার চাপের মুখে ভারতের অনড় অবস্থানের প্রশংসা করল রুশ বিদেশ মন্ত্রক। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের এবং তা ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারাই এই সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তারা বিফল হতে বাধ্য।” মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কঠিন সময়েও স্থিতিশীল ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’

    দিল্লির প্রশংসা রুশ বিদেশ মন্ত্রকের

    আমেরিকা ও নেটো সদস্য দেশগুলির চাপের মুখেও ভারত যেভাবে দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি, তার প্রশংসা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। ভারত-রাশিয়ার সুদীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও ঐতিহ্যের কারণেই ভারত এমন অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা যে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রমাণ আমেরিকার কাছে মাথা নত করেনি ভারত। দিল্লির প্রশংসা করে রুশ বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমেরিকা এবং নেটো-র সদস্য দেশগুলির অনবরত চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করে চলেছে। ভারতের এই অবস্থান আসলে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন। দুই দেশের সম্পর্কে সবসময় জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’’ প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া চলতি মাসেই যৌথ সামরিক অভিযানে সামিল হতে চলেছে। মহাকাশ মিশনেও ভারতকে সাহায্য করছে রাশিয়া, রসকসমসে প্রশিক্ষণ চলেছিল ভারতীয় মহাকাশচারীদের। এছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক তো আছেই।

  • S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়রা কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সুবিধা পাবে, তা দেখা সরকারের সাংবিধানিক কর্তব্য, অভিমত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। রাশিয়া থেকে তেল কেনা প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনবে। নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে চায় যে কোনও দেশই। ভারতীয়দের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে কম খরচে তেল কিনছে ভারত। দেশের মানুষের স্বার্থ নিশ্চিত করতে এটা সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যতা।” ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনের পর রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল সংগ্রহ করে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে তার পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি।

    মস্কো সফরে গিয়ে মঙ্গলবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিশন অন ট্রেড,ইকনমিক,সায়েন্টিফিক, টেকনিকাল ও কালচারাল কো অপারেশন সংক্রান্ত মিটিংয়েও অংশ নেন জয়শঙ্কর। দুদেশই বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি সারাবিশ্বে খাদ্য ও শক্তিসম্পদের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করার জন্য ভারত  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানার কথাও বলেছে।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

     মঙ্গলবারের ওই বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন,‘‘আজকের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে মূল্যায়ন ও মত বিনিময় হয়েছে।’’রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভারভ জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ১৩০ শতাংশ ছুঁয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অঙ্ক প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে অন্তত ৩০ বিলিয়নে স্পর্শ করাতে হবে। ডলারের পরিবর্তে রুপি-রুবেল বিনিময়ে বাণিজ্য প্রসারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    অতিমারি পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ধাক্কা এসেছে তাতে বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এ কথা জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা শুধু জাতীয় স্বার্থটা দেখছি তেমনটা নয়, জি ২০ অর্থনীতির অঙ্গ হিসাবে আমরা বিশ্ব অর্থনীতিকেও স্থিতিশীল করতে চাইছি। যুদ্ধ নয়, ভারত সব সময়ই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী।” বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সঙ্কটের আবহে কত সস্তায় অশোধিত তেল রাশিয়া থেকে ভারত আমদানি করতে পারে, তা নির্ধারিত করতেই জয়শঙ্করের এই সফর। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পরে বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় জয়শঙ্কর এবং লাভরভ এই নিয়ে পাঁচ বার বৈঠক করলেন।

LinkedIn
Share