Tag: India Sri Lanka Relation

India Sri Lanka Relation

  • PM Modi: তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    PM Modi: তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ৩ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন। এই সফরের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ৪ এপ্রিল ব্যাংককে ষষ্ঠ বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন সামিট-এ (বিমস্টেক) শীর্ষ সম্মেলনে (BIMSTEC Summit) অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ঘোষিত মহাসাগর নীতির অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোয় ভারতের লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই সফর করা হচ্ছে। এই সামিট শেষে ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি শ্রীলঙ্কা সফর করবেন।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি (PM Modi)

    অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে একদিনের সংক্ষিপ্ত, অথবা সর্বাধিক দু’দিনের শ্রীলঙ্কা সফর করেছিলেন। এবার তিনি যাবেন তিনদিনের সফরে। কলম্বোর বাইরে সম্ভাব্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিশানায়েকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে শ্রীলঙ্কা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এটি হবে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) তৃতীয় তাইল্যান্ড  সফর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর এবং ৬ষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ ভারতের ‘প্রথমে প্রতিবেশী’ নীতি, ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি, ‘মহাসাগর’ দর্শন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক দর্শনের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করবে।” ‘মহাসাগর’ বা “মিউচুয়াল অ্যান্ড হোলিস্টিক অ্যাডভান্সমেন্ট ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ অ্যাক্রস রিজিয়নস” দর্শন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মরিশাস সফরের সময়ই ঘোষণা করেছিলেন।

    বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন

    বিমস্টেকের (BIMSTEC Summit) সদস্য দেশগুলি হল ভারত, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল ও ভুটান। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের পর এটি হবে প্রথমবারের মতো বিমস্টেক নেতাদের মুখোমুখি বৈঠক। পঞ্চম (PM Modi) বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২২ মার্চ, শ্রীলঙ্কার কলম্বোয়। এই শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা বিমস্টেক সহযোগিতাকে আরও গতিশীল করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নেতারা বিমস্টেক কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সক্ষমতা নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত বিমস্টেকে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব জোরদার করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজীকরণ, স্থল, সামুদ্রিক ও ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন, খাদ্য, শক্তি, জলবায়ু ও মানব নিরাপত্তায় সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নকে উৎসাহিত করা, এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।” বিমস্টেক (BIMSTEC Summit) ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩ এপ্রিল তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটোংটান শিনাওয়াত্রার সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে, দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করবেন এবং ভবিষ্যতের অংশীদারিত্বের জন্য রূপরেখা তৈরি করবেন।

    প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কা সফর করবেন

    তাইল্যান্ড সফর শেষ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ২০২৫ সালের ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুর কুমার দিসানায়ক প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং এই দুই নেতা “একটি সম্মিলিত ভবিষ্যতের জন্য অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা” যৌথ দর্শনের অধীনে সম্মত সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। এটি গৃহীত হয়েছিল শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির ভারত সফরের সময়। শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় হাইকমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত ঐতিহ্যগতভাবে শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে একটি এবং শ্রীলঙ্কা সার্কে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে একটি।

    বাণিজ্য বিভাগের খবর

    বাণিজ্য বিভাগের খবর, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে পণ্য বাণিজ্য ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ভারতের রফতানির পরিমাণ ৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর শ্রীলঙ্কার রফতানির পরিমাণ ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিভিন্ন ঋণ লাইন ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্য একটি ঋণ সুবিধা দ্বারাও সমর্থিত ছিল। এফটিএ-র পরিধি (PM Modi) আরও বিস্তৃত করার জন্য এবং উৎপত্তির নিয়মগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য, পণ্য এবং পরিষেবা উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করে একটি অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি সহযোগিতা চুক্তির (ইটিসিএ) প্রস্তাব করা হয়েছিল।

    শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ভারত

    ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহের সফরের পরে ফের আলোচনা (BIMSTEC Summit) শুরু হয়েছে দুই দেশের। এখানে ইটিসিএ নিয়ে আলোচনাও করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত ১৪ দফা আলোচনা হয়েছে, যার মধ্যে সর্বশেষ আলোচনাটি হয়েছিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, কলম্বোয়। শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি, ভারত শ্রীলঙ্কায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম অবদানকারীদের মধ্যে একটি, যার মোট পরিমাণ ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের প্রধান বিনিয়োগগুলি হল জ্বালানি, আতিথেয়তা, রিয়েল এস্টেট, উৎপাদন, টেলিযোগাযোগ, ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে (PM Modi)।

  • Hambantota Port: ‘ভারতের ক্ষতি হবে এমন কাজ করতে দেব না’, চিনকে বার্তা শ্রীলঙ্কার!

    Hambantota Port: ‘ভারতের ক্ষতি হবে এমন কাজ করতে দেব না’, চিনকে বার্তা শ্রীলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার ভূখণ্ড কোনওভাবেই ভারতের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হবে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে দেব না। সোমবার এমনই আশ্বাস দিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুর কুমার ডিসানায়েকা। এদিন ভারত-শ্রীলঙ্কা (Hambantota Port) যৌথ বিবৃতিতে ফের একবার শ্রীলঙ্কার অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। কলম্বোর এই আশ্বাস এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন চিন তার ‘মিশন ইন্ডিয়ান ওশান’ শুরু করেছে। ভারতকে টার্গেট করতেই বেজিংয়ের শ্যেনদৃষ্টি ভারত মহাসাগরে (Sri Lanka)।

    হাম্বানটোটা বন্দর (Hambantota Port)

    এই মহাসাগরেই রয়েছে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর। চিনের ঋণ শোধ করতে না পারায় শ্রীলঙ্কার ওই বন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে চিন। সেখানে তাদের নৌবাহিনীর নজরদারি ও গোয়েন্দা জাহাজ নোঙর করছে। গত দুবছরে, বেইজিং একাধিকবার তাদের ২৫ হাজার টনের স্যাটেলাইট এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাকিং জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫ হাম্বানটোটায় মোতায়েন করেছে। এটি ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী। কারণ শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থান ভারতের কাছাকাছি। এবং শ্রীলঙ্কার এই বন্দর কৌশলগতভাবে ভারত ও চিন দুপক্ষের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের উদ্বেগ

    ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে, যখন নয়াদিল্লি কলম্বোকে তাদের উদ্বেগের কথা জানায়, তখন শ্রীলঙ্কা প্রাথমিকভাবে বেজিংকে তাদের জাহাজের আসা পিছিয়ে দেওয়ার এবং এমনতর কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছিল। তার পরেও চিনের চর জাহাজ ভেড়ে হাম্বানটোটা বন্দরে। তারপর থেকে চিনের নজরদারি ও গোয়েন্দা জাহাজ নিয়মিতভাবে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে টহল দিচ্ছে এবং হাম্বানটোটায় নোঙর (Hambantota Port) করছে।

    আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    ২০১০ সালে চালু হয় হাম্বানটোটা বন্দর। শ্রীলঙ্কার তৎকালীন রিনল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার দেশের অর্থনৈতিক ভান্ডারে বৈদেশিক মুদ্রা বাড়ানোর তাগিদে এই বন্দর বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। চিনের এক সংস্থাকে ১১২ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বন্দরটিকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তার পর থেকে চিনা চর জাহাজ নিয়মিতভাবে ভিড়ছে ওই বন্দরে। যা আদতে ভারতের মাথাব্যথার কারণ। ভারতের এই উদ্বেগ কাটাতেই শ্রীলঙ্কার অবস্থান (Hambantota Port) স্পষ্ট করে দিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট (Sri Lanka)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • India Sri Lanka Relation: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    India Sri Lanka Relation: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও শ্রীলঙ্কা শীঘ্রই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার (PM Modi) সিদ্ধান্ত নিয়েছে (India Sri Lanka Relation)। জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, দুই দেশই সমুদ্র ও নদীর মানচিত্র করণের বিষয়ে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুর কুমার ডিসানায়েকের সাথে যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশই বিশ্বাস করে যে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (India Sri Lanka Relation)

    তিনি বলেন, “আমরা পুরোপুরি একমত যে আমাদের নিরাপত্তা স্বার্থ পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। আমরা শীঘ্রই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হাইড্রোগ্রাফি (সমুদ্র ও নদীর মানচিত্র করণ) বিষয়ে সহযোগিতায়ও একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি যে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। এর আওতায় সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম, সাইবার নিরাপত্তা, চোরাচালান এবং সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে।”

    ভারতে স্বাগত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার জনগণের মধ্যের সম্পর্ককে পোক্ত করার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও শ্রীলঙ্কার জনগণের সম্পর্ক আমাদের সভ্যতার সঙ্গে যুক্ত। যখন ভারতে পালি ভাষাকে ‘শাস্ত্রীয় ভাষা’-এর মর্যাদা দেওয়া হয়, তখন এটি শ্রীলঙ্কায়ও উদযাপন করা হয়।” শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়ে (India Sri Lanka Relation) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমারা ডিজানায়েকে ভারতে স্বাগত জানাই। আমরা আনন্দিত যে আপনি প্রথম বিদেশ সফরের জন্য ভারতকে বেছে নিয়েছেন। এই সফর আমাদের সম্পর্ককে নতুন গতি এবং শক্তি দেবে। আমাদের অংশীদারিত্বের জন্য, আমরা একটি ভবিষ্যতগামী দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করেছি।”

    আরও পড়ুন: ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘সোর্ড অফ অনার’-এ ভূষিত অযোধ্যার রাম মন্দির

    অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতায় আমরা বিনিয়োগকেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধি এবং সংযোগের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে শারীরিক, ডিজিটাল এবং জ্বালানি সংযোগ আমাদের অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হবে। বিদ্যুৎ গ্রিড সংযোগ এবং বহু-পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন স্থাপনে কাজ করা হবে। শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য এলএনজি সরবরাহ করা হবে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য, উভয় পক্ষ ‘একতা’ চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন (PM Modi) করার চেষ্টা করবে (India Sri Lanka Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Sri Lanka Relation: “পক প্রণালী দিয়ে স্থলপথে ভারত-শ্রীলঙ্কাকে জোড়ার চেষ্টা চলছে”, জানালেন বিক্রমসিংহে

    India Sri Lanka Relation: “পক প্রণালী দিয়ে স্থলপথে ভারত-শ্রীলঙ্কাকে জোড়ার চেষ্টা চলছে”, জানালেন বিক্রমসিংহে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-শ্রীলঙ্কা (India Sri Lanka Relation) স্থলপথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায় কিনা, সে সংক্রান্ত সমীক্ষা শেষের পথে। এ কথা জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে। উত্তর-পূর্বের জেলা মন্নারে উন্নয়নমূলক প্রকল্প খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। তখনই তিনি বলেন, “সমীক্ষার প্রাথমিক পর্ব শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত পর্বের সমীক্ষা চলছে। পক প্রণালী দিয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কাকে স্থলপথে জোড়ার চেষ্টা চলছে।”

    মূল লক্ষ্য

    এই (India Sri Lanka Relation) প্রণালী কোনও কোনও জায়গায় ১৫ মাইলের মতো সঙ্কীর্ণ। স্থলপথে জোড়া গেলে শ্রীলঙ্কার দুই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ত্রিঙ্কোমালি ও কলম্বোর সঙ্গে (India Sri Lanka Relation) ভারতের যোগাযোগ হবে অনায়াস। এই যোগাযোগ স্থাপনের মূল লক্ষ্যই হল, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সুপ্রাচীন সম্পর্ক মজবুত করা। ভারতের তামিলনাড়ু ও দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার মধ্যে রয়েছে পক প্রণালী। উত্তরপূর্বে বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণে অবস্থিত মন্নার উপসাগরকে যুক্ত করেছে এই প্রণালী। প্রণালীটি ৪০ থেকে ৮৫ মাইল প্রশস্ত।

    প্রধান আলোচ্য বিষয়

    এই অঞ্চলে প্রচুর মাছ মেলে। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন দুই দেশের মৎস্যজীবীরাই। জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে প্রায়ই হেনস্থা হতে হয় দুই দেশেরই মৎস্যজীবীদের। চলতি সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সময় ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অন্যতম আলোচ্য বিষয় হতে পারে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে পাওয়ার গ্রিড সংযোগ। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট জানান, দুই দেশের আলোচনায় দ্বীপরাষ্ট্রের বাড়তি পুনর্নবীকরণ শক্তি ভারতকে বিক্রি করা যায় কিনা, তাও উঠে আসতে পারে।

    আর পড়ুন: আস্তিন গুটিয়ে তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি, ঘোষণা ইনচার্জদের নাম

    শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০ জুন কলম্বোয় আসবেন জয়শঙ্কর। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জয়শঙ্করের এই সফরের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। যদি তিনি শ্রীলঙ্কা সফরে যান, তাহলে সেটাই হবে তাঁর এই দফায় প্রথম বিদেশ সফর। প্রসঙ্গত, তৃতীয় মোদি সরকারেও বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব বর্তেছে জয়শঙ্করের ওপর। জয়শঙ্করের শ্রীলঙ্কা সফরের সময় শ্রীলঙ্কায় ভারতের সমস্ত প্রকল্প (যার মধ্যে রয়েছে মন্নরে আদানি গ্রুপের বায়ুশক্তি প্রজেক্টও) এবং ত্রিকোনমিলির ইস্টার্ন পোর্ট জেলায় শিল্প তালুক স্থাপন নিয়েও আলোচনা হতে পারে (India Sri Lanka Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India-Sri Lanka: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি! অর্থনৈতিক লেনদেনে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা

    India-Sri Lanka: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি! অর্থনৈতিক লেনদেনে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার করবে শ্রীলঙ্কা (India-Sri Lanka)। বিষয়টি এখন চূড়ান্ত হওয়ার পথে। শ্রীলঙ্কায় থাকা ভারতীয় হাইকমিশন থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের মুদ্রা দিয়ে কীভাবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হবে তা নিয়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কার ব্যাংকগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী শেহান সেমাসিংহে। 

    প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ভারত

    প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাহায্যে ভারত চিরকাল এগিয়ে এসেছে। গত বছর যখন শ্রীলঙ্কা চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ছিল তখন ভারত খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানীর জরুরি ক্রয়ের জন্য মুদ্রার অদলবদল এবং ক্রেডিট লাইন সহ প্রায় 4 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক সহায়তা করে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে কলম্বোকে 2.9 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেলআউট প্যাকেজ পেতেও সাহয্য করে নয়া দিল্লি। এই প্যাকেজের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-কে গ্যারান্টি প্রদান করে ভারত। এবার নতুন করে শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্ব গড়ে তোলার কথা ভাবছে দুদেশ।

    হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়, ভারত ও শ্রীলঙ্কার (India-Sri Lanka) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারতীয় রুপির ব্যবহার নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে দুই দেশ। বাণিজ্য ও বিনিয়োগনির্ভর এই পদক্ষেপ দুদেশের মাঝে শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন উভয় দেশের কর্মকর্তারা। 

    আরও পড়ুুন: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    শ্রীলঙ্কার ভারতীয় হাইকমিশন (India-Sri Lanka) এক বিবৃতিতে জানায়, ব্যাংক অব সিলন, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান ব্যাংকের প্রতিনিধিরা এক বৈঠকে নিজেদের মধ্যে ভারতীয় রুপি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে ভারতীয় রুপি ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত সময়ে লেনদেন, তুলনামূলক কম বিনিময় ব্যয় ও বাণিজ্যিক ঋণ প্রাপ্তির মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে দুদেশের কর্মকর্তারা আরও জানান, উভয় দেশের (India-Sri Lanka) মধ্যে ভারতীয় রুপির ব্যবহার শুরু হলে তা পর্যটন শিল্পের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক ভূমিকা নেবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Sri Lanka Relation: নয়াদিল্লি-কলম্বো সম্পর্ক নিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতীয় হাইকমিশনের  

    India Sri Lanka Relation: নয়াদিল্লি-কলম্বো সম্পর্ক নিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতীয় হাইকমিশনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India)-শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) সম্পর্ক নিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূতের (Chinese Ambassador) করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। সম্প্রতি ওই মন্তব্য করেছিলেন  কলম্বোয় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত কুই ঝেনহোং (Qi Zhenhong)। শনিবার কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন তার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানায়, চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে। এটা তাঁর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য কিংবা তাঁদের দেশের দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন হতে পারে।

    সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে এসে ভিড়েছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ। চিনের দাবি, জাহাজটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যদিও ভারতের আশঙ্কা ছিল, গুপ্তচরের কাজ করতেই জাহাজটিকে নোঙর করানো হয়েছে শ্রীলঙ্কার বন্দরে। ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে করা ট্যুইট সিরিজে এ প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বাধ্য হয়ে মাস কয়েক আগে নিজেদের দেউলিয়াও ঘোষণা করে কলম্বো। সেই প্রসঙ্গ টেনে ভারতীয় হাই কমিশন জানায়, অস্বচ্ছতা ও ঋণ সংক্রান্ত এজেন্ডা বিভিন্ন দেশের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ, বিশেষত ছোট দেশগুলির কাছে। হাই কমিশনের মতে, শ্রীলঙ্কা, যে দেশ এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত, তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন। অন্য কোনও দেশের এজেন্ডা পূরণের জন্য কোনও অনাকাঙ্খিত চাপ কিংবা অপ্রয়োজনীয় বিতর্কেরও প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও

    ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, আমরা চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য লক্ষ্য করেছি। তাঁর মন্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে। এটা তাঁর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য কিংবা তাঁর দেশের দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন। শ্রীলঙ্কার উত্তরের প্রতিবেশী দেশটি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য তাঁর দেশ যেভাবে ভারতের সঙ্গে ব্যবহার করে এই মন্তব্য তার প্রতিফলন হতে পারে। আমরা তাঁকে আশ্বস্ত করি এই বলে যে, ভারত একেবারেই আলাদা। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে চিনা গুপ্তচর জাহাজ নোঙর করার প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত। তার পরেই চিন জানিয়েছিল, হাম্বানটোটা বন্দরেই নোঙর করবে চিনা জাহাজটি। তারা এও জানিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার বন্দরে যাতে জাহাজটি ভিড়তে না পারে তাই ভারত অত্যধিক চাপ দিচ্ছে কলম্বোর ওপর। ভারত শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে বলেও ইঙ্গিত করেছিলেন চিনা রাষ্ট্রদূত। এরও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাফ জানিয়ে দেন, শ্রীলঙ্কা একটি স্বাধীন দেশ। তাই স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাদের। ভারত সম্পর্কে চিনের করা এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করছি আমরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share