Tag: india team

india team

  • India England 2nd Test: শুভমনের দ্বিশতরান, ছাপিয়ে গেলেন সচিন-কোহলিকে! যোগ্য হাতেই ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটন

    India England 2nd Test: শুভমনের দ্বিশতরান, ছাপিয়ে গেলেন সচিন-কোহলিকে! যোগ্য হাতেই ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এজবাস্টনে ইতিহাস লিখলেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে (India England 2nd Test) তাঁর ২৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রান করল ভারত। ১৮ বছর পর আবার ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে এক ইনিংসে ৫০০ রানের বেশি করল ভারত। একের পর এক নজির গড়লেন ভারত অধিনায়ক। ছাপিয়ে গেলেন সুনীল গাভাসকর, শচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিদের। প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা ক্রিজে থেকে এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে একাই প্রায় ৬৫ ওভারের বেশি ব্যাট করে ফেলেছেন শুভমন গিল।

    শুভমনের নজির

    ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে টেস্টে সর্বাধিক রানের ইনিংস খেললেন শুভমন। এর আগে সেই রেকর্ড ছিল কোহলির দখলে। তিনি ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অপরাজিত ২৫৪ রান করেছিলেন। শুভমনই এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম অধিনায়ক যিনি ইংল্যান্ডের মাটিতে দ্বিশতরান করেছেন। এর আগে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৯৩ রান করেছিলেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক রান করলেন শুভমন। এত দিন সেই রেকর্ড ছিল সুনীল গাভাসকরের দখলে। ১৯৭৯ সালে ওভালে ২২১ রান করেছিলেন তিনি। ৪৬ বছর পুরনো রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমন। এশিয়ার বাইরে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক রান করেছেন শুভমন। এত দিন এই রেকর্ড ছিল সচিনের দখলে। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ২৪১ রান করেছিলেন তিনি। ২১ বছর পর এজবাস্টনে ভাঙল সেই রেকর্ড।

    শক্ত হাতে ভারতীয় ক্রিকেট

    ত্রিশতরান হাতছাড়া হলেও কঠিন পরিস্থিতিতে যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ভালবাসেন, তা বুঝিয়ে দিলেন শুভমন গিল। তাঁর হাতে দলের ব্যাটন তুলে দিয়ে বিসিসিআই যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা-ও বুঝিয়ে দিলেন আইপিএলে গুজরাট-টাইটান্সের ক্যাপ্টেন। গত ৫০ বছরে টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটন বদলেছে। সুনীল গাভাসকরের কাছ থেকে পেয়েছিলেন শচিন তেন্ডুলকর। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি সেই দায়িত্ব সামলেছেন। নিজের চার নম্বর জায়গা তিনি ছেড়ে গিয়েছিলেন কোহলিকে। শচিনের মান রেখেছেন কোহলি। শুধু ব্যাটার হিসেবে নয়, অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কোহলির ছেড়ে দেওয়ার চার নম্বর জায়গা মাত্র দুই টেস্টেই নিজের করে নিয়েছেন শুভমন। মাত্র দুই টেস্টেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, শক্ত হাতে রয়েছে ভারতের টেস্ট ক্রিকেট।

    কোন রসায়নে সাফল্য

    শুভমন যখন ১৯৯ রানে খেলছেন তখনও তাঁকে বাউন্সার করেন জশ টং। তাতে শুভমনের কোনও সমস্যা হয়নি। ফাইন লেগে পুল মেরে নিজের প্রথম দ্বিশতরান করেছেন তিনি। তার পরেও থামেননি। শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ২৬৯ রানে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩০টি চার ও তিনটি ছক্কা। ধুম-ধারাকা আইপিএলের পর ক্লাসিকাল ক্রিকেটে ধ্রুপদী ইনিংস। শুভমন বলেন, ‘আমাদের দল ভাল জায়গায় আছে। আমি কয়েকটা দিক নিয়ে পরিশ্রম করেছিলাম। আইপিএল শেষ হওয়ার পর বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম যা টেস্ট ক্রিকেটের আগে খুব জরুরি ছিল। এখনও পর্যন্ত যা দেখছি, সেগুলো আমাকে সাহায্য করেছে।’

    মুগ্ধ ইংল্যান্ডও

    শুভমনের ইনিংস দেখে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড শিবিরও। মুগ্ধতার ছবিটা কেমন? প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ দিনের শেষ বলটা করতেই ব্যাট বগলদাবা করে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা শুরু করলেন হ্যারি ব্রুক। অপর অপরাজিত ব্যাটার জো রুটকে দেখা গেল উল্টো দিকে হাঁটা দিলেন। তিনি এগিয়ে গেলেন শুভমন গিলের দিকে। করমর্দন করলেন ভারতের অধিনায়কের সঙ্গে। ইংল্যান্ড তো বটেই, বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে যাচ্ছেন, এটাই শুভমনের ইনিংসের সার্থকতা।

    অ্যাডভান্টেজ ভারত

    এজবাস্টনে শুভমনের সামনে অসহায় দেখিয়েছে ইংরেজ বোলিংকে। এখানকার পাটা উইকেটে ২১১ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। শুভমন জানতেন, অন্তত ৪০০ রান করার লক্ষ্য ছিল তাঁর। শুভমনকে সাহায্য করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিন বছর আগে এই মাঠেই শতরান করেছিলেন জাদেজা। তিনি ভাল খেললেন। দু’জনের মধ্যে ২০৩ রানের জুটি হল। তাতে চাপ অনেক কমে গেল শুভমনের উপর। জাদেজা আউট হওয়ার পর শুভমনের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায়। বাংলার পেসার আকাশ দীপ পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট খুইয়ে ইংল্যান্ড যখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল, তখন আবার মহম্মদ সিরাজ বাধা হয়ে দাঁড়ান। অপর ওপেনার ক্রলিকে ফেরান তিনি। মাত্র ২৫ রানে তিন উইকেট খুইয়ে বসে ইংরেজ বাহিনী। এরপর জো রুট ও হ্যারি ব্রুক ম্যাচের হাল ধরেন। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটে ৭৭ রানে শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। ম্যাচের যা পরিস্থিতি তাতে বলাই যায়, অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়া।

  • India vs England 2nd Test: সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া ভারত, রেকর্ড বলছে অন্য কথা! এজবাস্টনে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট

    India vs England 2nd Test: সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া ভারত, রেকর্ড বলছে অন্য কথা! এজবাস্টনে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে (India vs England 2nd Test) মুখোমুখি হবে ভারত-ইংল্যান্ড। সিরিজ নিজেদের দখলে রাখতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচেই সমতা ফেরাতে হবে ভারতকে। বিদেশ সফর, তার উপর আবার অনভিজ্ঞ দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে পড়া সমস্যায় ফেলেছে গৌতম গম্ভীরের দলকে। এজবাস্টন টেস্ট হাতছাড়া হলে, বাকি ৩ ম্যাচই জিততে হবে। সেটা বেশ কঠিন কাজ। তাই কাজটা একেবারেই কঠিন করতে নারাজ শুভমন গিলরা। লাল বলের ক্রিকেটে এজবাস্টনে কোনও সুখস্মৃতি সরবরাহ নেই ভারতের। কারণ, এ মাঠে কখনও টেস্ট জেতেনি ভারত।

    অনিশ্চিত বুমরা

    এজবাস্টনে সচরাচর ফাস্ট বোলাররা (Jasprit Bumrah) মদত পেয়ে থাকেন। প্রায়শই আকাশে মেঘ দেখা যায় ফলে টেস্টের শুরুর দিকে বিশেষত বল স্যুইং করানোর জন্য একেবারে ঠিকঠাক পরিবেশ থাকে। এই ম্যাচের পিচ দেখেও কিন্তু তেমনটারই পূর্বাভাস মিলছে। টেস্টের প্রথম দুই দিনে ডিউক বলে ফাস্ট বোলাররা মদত পেতে পারেন। তাই এই ম্যাচে বুমরাকে প্রয়োজন ভারতের। কিন্তু ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে জসপ্রীত বুমরাকে। আগেই জানা গিয়েছিল তিনি সিরিজের সব ম্যাচ খেলবেন না। ফলে বার্মিংহ্যামে তাঁর বদলে খেলতে পারেন আকাশ দীপ ও অর্শদীপ সিং-এর মধ্যে এক জন। তবে বুমরা ছাড়া দল নামাতে ব্যাকফুটে ভারত। দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের সম্ভাব্য বোলিং আক্রমণ সম্পর্কে অধিনায়ক শুভমন বলেছেন, ‘‘জসপ্রীত বুমরাকে পাওয়া যাবে। আমরা সঠিক বোলিং আক্রমণ বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে বিপক্ষের ২০টি উইকেট নেওয়া যায় এবং কিছু রানও হয়। অনুশীলনের পর পিচ দেখে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’ আসলে, ব্যাটাররা পাঁচটি সেঞ্চুরি করলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট হারতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। জসপ্রীত বুমরা ছাড়া বাকি বোলারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণেই হারতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে।

    দলে বাংলার আকাশ দীপ

    বুমরা এজবাস্টনে না খেলা মানে, ভারতের উপর চাপ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়া। সমর্থক থেকে প্রাক্তনী, সকলেই প্রবলভাবে চাইছেন বুধবার বুমরাকে নামিয়ে দেওয়া হোক। ঘুরে দঁড়াতে মরিয়া ভারতীয় দল আসলে বড় বেশি বুমরা নির্ভর হয়ে পড়েছে। ম্যাচ জেতালে তিনিই জেতাবেন। বাকিরা তালপাতার সেপাই। হেডিংলে টেস্টে ৩৭১ রানের টার্গেট দিয়েও ইংল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হার, সেই ধারণাকে আরও দৃঢ় করেছে। তাই বুধবার এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে বুমরাকে নিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বার বার হোঁচট খেতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। এই ম্যাচে বুমরাকে না পাওয়া গেলে তাঁর জায়গায় খেলার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা বাংলার পেসার আকাশ দীপের। এজবাস্টনের নেটে চেনা ছন্দে দেখা গেল আকাশ দীপকে। আরেকটা সুবিধা হচ্ছে, দুদিকেই বল ঘোরাতে পারেন তিনি।

    কেমন হবে দল

    প্রথম টেস্টে হারের পর একাধিক প্লেয়ারের পারফরম্যান্স নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে (India vs England 2nd Test) ভারতের একাদশ কী হবে তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলে যার সুযোগ পাওয় নিয়ে সবথেকে বেশি প্রশ্ন উঠেছে তিনি শার্দুল ঠাকুর। না বোলিংয়ে, না ব্যাটিংয়ে কোনও কিছুতেই নিজের সেরাচা দিতে পারেনি তিনি। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে তার বাদ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। শার্দুলের জায়গায় সুযোগ পেতে পারেন কুলদীপ যাদব। এছাড়া মিডল অর্ডারে প্রথম ডাউন অভিষেক টেস্টে হতাশ করেছেন সাই সুদর্শনও। প্রথম ইনিংসে ০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রান করেন তিনি। ফলে দ্বিতীয় টেস্টে তারও বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার বাদলে দলে আসতে পারেন ওয়াশিংটন সুন্দর, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, নীতিশ কুমার রেড্ডি। সমস্যা হচ্ছে, প্রথম টেস্টে ভারতকে ভুগিয়েছে ফিল্ডিংও। একাই চারটি ক্যাচ মিস করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় টেস্টের স্লিপ কর্ডনে থাকবেন না যশস্বী।

    এজবাস্টনে জেতেনি ভারত

    ইংল্যান্ড সফরের শুরুটা ভালো হয়নি ভারতীয় দলের। লিডস টেস্টে জয়ের কাছে পৌঁছেও হার মানতে হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে ০-১ পিছিয়ে। এই অবস্থায় এজবাস্টনের (India vs England 2nd Test) রেকর্ডও ভারতের অনুকূলে নয়। ১৯৬৭ সালে ভারতীয় দল এজবাস্টনে প্রথমবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামে। তারপর থেকে ৫৮ বছর কেটে গিয়েছে। এই মাঠে আরে সাতবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ভারত। দুর্ভাগ্যবশত আটবারের মধ্যে টিম ইন্ডিয়া এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটিও টেস্ট ম্য়াচ জিততে পারেনি। তিন ম্যাচে তো ইনিংসে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। কেবল ১৯৮৬ সালে টেস্ট ম্য়াচ ড্র করতে সক্ষম হয়েছিল ভারতীয় দল। বাকি সাত ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে ভারত। শেষবার তিন বছর আগেও সাত উইকেটে হেরেছিল ভারত। তবে কাজটা কঠিন হলেও শুভমন-গম্ভীরের তরুণ ভারত অবশ্য ইতিহাস পাল্টানোর অপেক্ষাতেই রয়েছে।

  • Hardik Pandya: হার্দিকের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা নাতাশার! ৩ বছরের ছেলের কাস্টডি পেলেন কে?

    Hardik Pandya: হার্দিকের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা নাতাশার! ৩ বছরের ছেলের কাস্টডি পেলেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সত্যি হল জল্পনা। হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করলেন নাতাশা স্তানকোভিচ। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে বিবাহবিচ্ছেদ (Hardik-Natasa Divorce) ঘোষণা করলেন তিনি। একই পোস্ট করেছেন হার্দিকও। বেশ কিছু দিন ধরেই হার্দিক এবং নাতাশার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে জল্পনা চলছিল। বৃহস্পতিবার নাতাশা সেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানিয়ে দিলেন যে, তাঁদের চার বছরের সম্পর্কে ইতি টানছেন।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by @natasastankovic__

    পুত্র অগস্ত্যকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত? (Hardik-Natasa Divorce) 

    বৃহস্পতিবার নাতাশা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লেখেন, “চার বছর একসঙ্গে থাকার পর হার্দিক (Hardik Pandya) এবং আমি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একসঙ্গে থাকার সব রকম চেষ্টা আমরা করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা একসঙ্গেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আলাদা হওয়ার। এটাই আমাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন ছিল। আমরা একটা পরিবার তৈরি করেছিলাম। একে অপরের সঙ্গে আনন্দের সময় কাটিয়েছিলাম। আমাদের পুত্র অগস্ত্য রয়েছে। আমাদের দুজনের জীবনের অংশ হিসাবে থাকবে ও। আমরা একসঙ্গে বড় করব অগস্ত্যকে। ওকে আনন্দে রাখার জন্য আমরা সব কিছু করব। এই কঠিন সময়ে আমাদের একটু নিজেদের মতো থাকা প্রয়োজন। আশা করব আপনারা আমাদের সেই সহযোগিতাটুকু করবেন।”

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Hardik Himanshu Pandya (@hardikpandya93)

    চার বছরের ব্যাবধানে বদলে গেল সবকিছু

    চার বছর আগে নাতাশা স্ট্যানকোভিচের সঙ্গে রূপকথার বাগদান সেরেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। একেবারে ফিল্মি স্টাইলে দুবাইয়ের মাঝ সমুদ্রে হাঁটু গেড়ে বসে নাতাশাকে প্রোপোজ করেন ভারতীয় দলের এই তারকা অল-রাউন্ডার। এরপর ২০২০ সালের ৩১ মে বিয়ে করেছিলেন হার্দিক (Hardik Pandya) ও নাতাশা। বড় কোনও উত্‍সব নয়, আইনি মতেই চার হাত এক হয়েছিল। সেবছরই ৩০ জুন মা হন নাতাশা। ছেলের নাম অগস্ত্য। এরপর গতবছর অর্থাত্‍ ২০২৩ সালে ১৪ ফ্রেরুয়ারি হার্দিক-নাতাশার বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দুজনের পরিবার, বন্ধু ও ছেলে অগস্ত্যও। ১২ দিন পর অগস্ত্যের জন্মদিন। চার বছর পূর্ণ হবে তার। কিন্তু চার বছরের ব্যাবধানে বদলে গেল সবকিছু।

    আরও পড়ুন: ‘‘বিশ্বকে সুখ-শান্তির দিশা দেখিয়েছে ভারত’’, বললেন মোহন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, আগেই হার্দিক এবং নাতাশা ইনস্টাগ্রাম থেকে বিয়ের ছবি সরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে অগস্ত্যের সঙ্গে ছবি ছিল তাঁদের। তখনই জল্পনা তৈরি হয়েছিল হার্দিকদের বিবাহবিচ্ছেদ (Hardik-Natasa Divorce) নিয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরও নাতাশাকে কোনও রকম পোস্ট করতে দেখা যায়নি। এক সময় হার্দিকের (Hardik Pandya) খেলা দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত থাকতেন নাতাশা। কিন্তু এ বছর আইপিএল এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যায়নি তাঁকে। বিশ্বকাপের পর দেশে ফিরেও নাতাশার সঙ্গে দেখা করেননি হার্দিক। আর এর পরেই নাতাশা ও হার্দিকের এই পোষ্ট। স্বাভাবিকভাবেই এমন খবর পেয়ে মন খারাপ ফ্যানেদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Cup 2023: বিশ্বকাপ ফাইনালে বিরাট আউট হতেই হৃদরোগে মৃত্যু হল বৃদ্ধের

    World Cup 2023: বিশ্বকাপ ফাইনালে বিরাট আউট হতেই হৃদরোগে মৃত্যু হল বৃদ্ধের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ (World Cup 2023) ফাইনাল নিয়ে রবিবার দেশের সর্বত্র উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই ফাইনাল খেলা দেখতে দেখতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দেশের হার মেনে নিতে না পেরে আচমকাই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় প্রবীণ এক ক্রিকেটপ্রেমীর। এভাবে মৃত্যুর ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। প্রতিবেশীরাও সুস্থ মানুষের এভাবে চলে যাওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না। রবিবার মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স ৬২ বছর।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (World Cup 2023)  

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকুমারবাবুও মুর্শিদাবাদ জেলায় ক্রিকেট খেলার সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। ফলে, খেলার প্রতি তাঁর বরাবরই আগ্রহ ছিল। আর এবার বিশ্বকাপে (World Cup 2023)  ভারতের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ছিলেন তিনি। তাই, ফাইনাল নিয়ে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন। রবিবার দুপুরে খেলা শুরুর আগে সব কাজ শেষ করে টিভির সামনে বসেছিলেন। পরিবারের সকলকে নিয়ে খেলা দেখছিলেন তিনি। লাগাতার ভারতের উইকেট পড়তে থাকায় উৎকণ্ঠা বাড়ছিল সকলের মধ্যে। সুকুমারবাবু ঘামতে শুরু করেন। একমাত্র ভরসা ছিলেন বিরাট কোহলি। অর্ধশতরান করার পর তিনিও আউট হতেই তিনি উঠে ছাদে চলে যান। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যায় তাঁর। তাঁকে প্রথমে বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, ক্রিকেট খেলা অনেকেই ভালোবাসে। তবে, এরকম ক্রিকেটপ্রেমী খুব কম দেখা যায়।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    সুকুমারবাবুর স্ত্রী গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিশ্বকাপ (World Cup 2023) নিয়ে প্রথম থেকে ওর উৎসাহ ছিল। কোনও ম্যাচ বাদ দেয়নি। আর কয়েক দিন ধরেই শুধু ফাইনাল ম্যাচের কথা বলছিল। বিশ্বকাপ নিয়ে তাঁর বাড়তি উন্মাদনা ছিল। ভারতের উইকেট পড়তে থাকায় ভীষণ ভাবে ঘামতে শুরু করে আমার স্বামী। ছটফট করছিল। বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর ওর বুকে ব্যথা শুরু হয়। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share