Tag: India vs Australia

India vs Australia

  • India Vs Australia: বিরাট-ব্যাটে ফাইনালে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না রোহিত

    India Vs Australia: বিরাট-ব্যাটে ফাইনালে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না রোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত। আমেদাবাদের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিল এই জয়। ঘরের মাঠে অপরাজিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায়নি ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে পরাজিত হতে হয়েছিল। দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়াকে (India Vs Australia) হারিয়েছে রোহিত-ব্রিগেড। ১১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত। দলটা অস্ট্রেলিয়া, তাই যেন ম্যাচ না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই জয়ের কৃতিত্ব গোটা দলকে দিয়েছেন তিনি।

    দলগত সাফল্যেই জয়

    এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অজিরা। জয়ের জন্য ভারতের কাছে লক্ষ্য ছিল ২৬৫ রান। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, “না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলাম না। ওদের ইনিংস শেষ হওয়ার পর মনে হচ্ছিল, জিততে গেলে আমাদের ভাল ব্যাট করতে হবে। আমরা সেটাই করেছি। সকলে ঠান্ডা মাথায় খেলেছে। জেতা ছাড়া আমাদের মাথায় কিছুই ছিল না। সকলে মিলে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি।”

    রো-‘হিটে’র নজির

    এদিন আইসিসি প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার নজির গড়লেন রোহিত। মঙ্গলবার রোহিত আইসিসির প্রতিযোগিতায় নিজের ৬৫তম ছক্কা মারলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ভেঙে দিলেন ক্রিস গেলের বিশ্বরেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ব্যাটার আইসিসির প্রতিযোগিতায় ৬৪টি ছক্কা মেরেছিলেন। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ছয়ের সংখ্যা ৪৯টি। চতুর্থ স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। আইসিসির প্রতিযোগিতায় তাঁর ছক্কার সংখ্যা ৪৫টি।

    চেজ মাস্টার কোহলি, ছাপিয়ে গেলেন সচিনকে!

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) সেমিফাইনালে ৮৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এল বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের জয় এনে দিল তাঁর ইনিংস। একই সঙ্গে আরও একটি কীর্তি গড়লেন কোহলি। রান তাড়া করতে নেমে এক দিনের ক্রিকেটে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসাবে বিবেচনা করা হয় কোহলিকে। তা যে শুধু কথার কথা নয়, তার প্রমাণ কোহলির পরিসংখ্যান। সচিন তেন্ডুলকরের পর বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে রান তাড়া করতে নেমে ৮০০০ রান পূর্ণ করলেন কোহলি। ১৭০টি ম্যাচে এই সাফল্য অর্জন করলেন তিনি। রান তাড়া করতে নেমে সচিন ২৪২টি ম্যাচে করেছেন ৮৭২০ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ৮৮.৪। কোহলি রান তাড়া করতে নেমে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ৯৩.৩ স্ট্রাইক রেটে। এ ক্ষেত্রে কোহলির গড় ৬৪.৭১। রান তাড়া করতে নেমে এখনও পর্যন্ত ২৪টি শতরান করেছেন কোহলি। সচিন করেছিলেন ১৪টি শতরান।

    কেন হাতছাড়া শতরান

    এদিন তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই এক দিনের আন্তর্জাতিকে ৫২তম শতরান হাতছাড়া করলেন কোহলি। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে বিরাট সে কথা মেনেও নিলেন। কোহলি বলেছেন, “যে সময় আউট হয়েছি, তখন শতরান হতে আর ২০ রান মতো বাকি ছিল। আমি চেয়েছিলাম তাড়াতাড়ি সেই রানটা করে নিয়ে আর দু’ওভারের মধ্যে খেলা শেষ করে দিতে। মাঝেমাঝে সে ভাবেই খেলতে চাই। তবে কখনও-সখনও আপনি যেটা চান সেটা কাজে লাগে না।” আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরিরর নিরিখে সবার উপরে রয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। কেরিয়ারে সব মিলিয়ে একশোটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এদিন সচিনের সঙ্গে বিরাটের ব্যবধান আরও একটু কমবে, এমন সম্ভাবনাই ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৪ রানে ফেরেন চেজমাস্টার।

    মাত্র ৫টি বাউন্ডারি, কোনও ছয় নেই, সিঙ্গল ৫৬!

    বিরাট কোহলির ৮৪ রানের ইনিংসে মাত্র ৫টি বাউন্ডারি। কোনও ছয় নেই। সিঙ্গল নিয়েছেন ৫৬টি! পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির ইনিংসেও ৭টি মাত্র বাউন্ডারি মেরেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ম্যাচের সেরা বিরাট কোহলি বলেন, “আমার মতে আজকের ইনিংসটাও পাকিস্তান ম্যাচের মতোই। সেখানে সেঞ্চুরি করলেও মাত্র ৭টি বাউন্ডারি মেরেছিলাম। আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা। স্ট্রাইক রোটেট করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, এই ধরনের পিচে পার্টনারশিপ খুবই জরুরি। আজও সেটাই চেষ্টা করেছি। মরিয়া হয়ে রান তাড়া করার চেষ্টা করিনি। মাঠের এ দিক-ও দিক খুচরো রান নিতে পেরে ভাল লাগছিল। যখন আপনি ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে খুচরো রান নিতে পারবেন, তখন বুঝবেন ভাল খেলছেন। পাকিস্তান এবং আজকের ম্যাচে আমার কাছে সবচেয়ে তৃপ্তির জায়গা এই বিষয়টাই। আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা। স্ট্রাইক রোটেট করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, এই ধরনের পিচে পার্টনারশিপ খুবই জরুরি। আজও সেটাই চেষ্টা করেছি।”

    পরবর্তী বিশ্বকাপেও থাকবেন কোহলি!

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy 2025) আগে তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতেই একের পর এক বড় ইনিংস খেলে সমস্ত সমালোচনা থামিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি আবার কি এক দিনের ক্রিকেটে সেরা ফর্মে? সহাস্য কোহলির উত্তর, “এটা তো আপনারা ঠিক করবেন। আমি ও সব নিয়ে কখনও মাথা ঘামাই না। মাইলফলকের দিকে না তাকিয়ে দলের জয়ের কথা ভাবলে এ ধরনের জিনিস আপনা থেকেই হতে থাকবে। দল যা চায় সেটা করতে পারলে আমি গর্বিত হই। মাইলফলক আর আকৃষ্ট করে না।” তাহলে কী দলের জন্যই ফের একবার একদিনের বিশ্বকাপে খেলতে চান কোহলি? আপাতত লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। আরও একটি আইসিসি খেতাব।

  • India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের বদলা নিতে মরিয়া ভারত (India Vs Australia)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু করেছিল ভারত। সব মিলিয়ে টানা দশ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছিলেন রোহিত-বিরাটরা। কিন্তু ফাইনালে আশাভঙ্গ হয় ১৪০ কোটি ভারতবাসীর। সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ পড়তে পারে মঙ্গলবার। বদলার ম্যাচে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারত। এ বারও নকআউট ম্যাচ। যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল, সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ট্রফি জয়ের থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে রোহিত ব্রিগেডের।

    মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া

    দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (India Vs Australia)। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে গ্রুপ পর্বে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে ভারত। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপের ম্যাচগুলি খেলেছে পাকিস্তানের ব্যাটিং সহায়ক পিচে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তাড়াও করেছে। কিন্তু বাকি দু-ম্যাচের মধ্যে একটিতে বল গড়ায়নি, আর একটি মাঝপথেই ভেস্তে যায়। এ বার খেলতে হবে দুবাইয়ের মন্থর পিচে। ভারতের কাছে ভয়ের কারণ ট্র্যাভিস হেড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল, ভারতে জোড়া স্বপ্ন একার হাতে ধূলিসাৎ করেছেন। দ্বিতীয়জন স্টিভ স্মিথ। ভারতের বিরুদ্ধে রানের খিদে কোনও দিন তাঁর কমবে বলে মনে হয় না। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্নাস লাবুশেনের মতো পুরনো ‘শত্রু’রা তো রয়েছেনই।

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন। যতই ভাঙাচোরা দল হোক, অস্ট্রেলীয় (India Vs Australia) আইসিসি প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরা উজাড় করে দেয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩৫০ রান তাড়া করে জেতার পরেই তা বোঝা গিয়েছে। অন্যদিক, ভালো খেললেও রোহিতদেরও হলুদ জার্সি নিয়ে একটা চাপা আতঙ্ক রয়েছে। এবার সেই আতঙ্ক বদলের পালা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ব্যাটিং ভরসা দিয়েছে। তিনটি ম্যাচেই ব্যাটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও মিডল অর্ডার সামলে দিয়েছে। শ্রেয়স আয়ারের দায়িত্বশীল ব্যাটিং, অক্ষর পটেলের বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস এবং হার্দিক পাণ্ডিয়ার পরিমিত আগ্রাসন ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে। রোহিত-কোহলি যে কোনও দিন জ্বলে উঠতে পারেন। রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব— এই স্পিন ত্রয়ী এখন গোটা বিশ্বের ত্রাস। তার সঙ্গে যোগ হয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী, যাঁর বল এখনও অস্ট্রেলিয়া খেলেনি। ফলে বোলিং বিভাগে ভারত বেশ শক্তিশালী হয়েই নামবে।

    দুবাই-এর পিচ নিয়ে রোহিত

    ভারত একই ভেনুতে তিনটি ম্যাচ খেলায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন, অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে ভারত (India Vs Australia)। সেমিফাইনালের আগে সেই প্রশ্নের সমালোচনা করে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচেই পিচে আলাদা চ্য়ালেঞ্জ থাকছে। তিন ম্যাচেই পিচ আলাদা আচরণ করেছে। এটা আমাদের হোমগ্রাউন্ড নয়। এটা দুবাই। সারা বছর এখানে খেলি না। এখানকার পরিবেশ আমাদের কাছেও নতুন।’ রোহিত আরও যোগ করেন, ‘এখানেও চার-পাঁচটি পিচ রয়েছে। প্রত্যেকটা পিচেরই চরিত্র ভিন্ন। সেমিফাইনালে কোন পিচে খেলা হবে, সেটার আচরণ আমিও জানি না। যাই হোক না কেন, দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে, সেখানেই খেলতে হবে।’

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি।

    কখন, কোথায় দেখবেন ম্যাচ: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, প্রথম সেমিফাইনাল দুপুর ২.৩০, স্পোর্টস ১৮, স্টার স্পোর্টস, জিওহটস্টারে সম্প্রচার

  • ICC Champions Trophy: বরুণের পাঁচ উইকেট, অপরাজিত ভারত! সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রোহিতরা

    ICC Champions Trophy: বরুণের পাঁচ উইকেট, অপরাজিত ভারত! সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও জয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও পর্যন্ত অপরাজিত ভারত। সেমিফাইনালে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। দুবাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটে বরুণ চক্রবর্তীর (Varun Chakravarty) দুর্দান্ত স্পেলে ভারত জয় পেয়েছে ৪৪ রানে। আর তাতে নিশ্চিত হয়েছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের লাইনআপ। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড। আর ‘বি’ গ্রুপে সবার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। নিয়ম অনুযায়ী, ভারতের সেমিফাইনাল ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৪ তারিখ দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।

    বরুণে মুগ্ধ রোহিত

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও অবধি ফেভারিটের মতোই পারফর্ম করেছে ভারতীয় দল। বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলে। তৃতীয় ম্যাচেও অপরাজিত। জয়ের হ্যাটট্রিকেও চিন্তিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দুবাইয়ের পিচে ২৪৯ রানের পুঁজি! নিউজিল্যান্ড ভালো স্পিন খেলে। সে কারণে শেষ ম্যাচে একাদশে সারপ্রাইজ দিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চার স্পিনার নিয়ে নেমেছিল। একাদশে হর্ষিত রানার বদলে আনা হয় বরুণ চক্রবর্তীকে (Varun Chakravarty)। প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের মধ্যে ৯টিই ভারতের স্পিনারদের দখলে। এর মধ্যে বরুণের ঝুলিতে পাঁচ উইকেট। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওডিআই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচ! আর তাতেই পাঁচ উইকেট। এটাই ‘মাথাব্যথা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘বরুণের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য রয়েছে। ফলে আমরা এই ম্যাচে একটা সুযোগ দিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম পারফর্ম করতে পারে কি না। ও যা পারফর্ম করল, সেমিফাইনালে একাদশ গড়তে ভাবতে হবে। তবে এটাকে সুস্থ মাথাব্যথাই বলব। ও যদি ঠিকঠাক থাকে, ওর বোলিং বোঝা কঠিন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।’

    ম্যাচের সেরা বরুণ

    ম্যাচের আগের রাতেই বরুণকে (Varun Chakravarty) জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি খেলছেন। তাতে অবশ্য স্নায়ুর চাপ কমেনি। রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ সামির পর ভারতের তৃতীয় বোলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাঁচ উইকেট। ম্যাচের সেরা বরুণ বলছেন, ‘শুরুর দিকে নার্ভাস লাগছিল। দেশের জার্সিতে ওডিআইতে সেই অর্থে খেলিইনি। তবে ম্যাচ যত এগিয়েছে, ধাতস্ত হচ্ছিলাম। বিরাট, রোহিত, শ্রেয়স, হার্দিকরা আমার সঙ্গে লাগাতার কথা বলছিল। মাথা ঠান্ডা রেখে বোলিংয়ে ফোকাস করার কথা বলছিল।’ নিজে পাঁচ উইকেট নিলেও জয়ের কৃতিত্ব নিতে নারাজ ম্যাচের সেরা বরুণ। বললেন, ‘পুরোটাই যে টিম এফোর্ট’।

  • India vs Australia: ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই ভারতের, সিডনিতে কি আর বল করতে পারবেন বুমরা?

    India vs Australia: ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই ভারতের, সিডনিতে কি আর বল করতে পারবেন বুমরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিডনিতে (India vs Australia) অপ্রত্যাশিত পিচ। যেখানে মূলত স্পিন সহায়ক পিচ দেখা যায়। এ বার পেস বাউন্সি গ্রিন টপ। ভারত অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ১৮৫ রানেই অলআউট। তখনও মনে হয়েছিল, এক তরফা ম্যাচ হতে চলেছে। যদিও দ্বিতীয় দিন খেলা ঘুরে গেল পুরোপুরি। এখান থেকে যে কেউ জিততে পারে। তবে বুমরার চোটে কিছুটা হলেও পাল্লা ভারি অজিদের।

    দুরন্ত বোলিং সিরাজদের

    প্রথম দিনের শেষ ডেলিভারিতে উসমান খোয়াজার উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন ভারতের দাপট। বোলাররা যেমন দুর্দান্ত তেমনই ক্যাচিং। স্লিপ কর্ডনে লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি এবং গালিতে যশস্বী জয়সওয়াল দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। স্টিভ স্মিথ অনবদ্য ব্যাটিং করছিলেন। ৫ রানের জন্য টেস্টে দশ হাজার ক্লাবে ঢোকা হয়নি স্মিথের। হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসে সেই কীর্তি গড়বেন। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা বিউ ওয়েবস্টারের হাফসেঞ্চুরি। তাতেও অবশ্য লিড নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৮১ রানেই শেষ তাদের ইনিংস।

    বুমরার চোট নিয়ে চিন্তা

    সিডনির টেস্টের দ্বিতীয় দিন ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে অসহায় দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংকে। তবে এই ইনিংস চিন্তায় রেখেছে ভারতকেও। মধ্যাহ্নভোজের পর এক ওভার বল করেই চোটের জন্য মাঠ ছাড়তে হয় বুমরাকে। স্ক্যান করাতে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। আর বল করতে পারেননি। মাঠ ছাড়ার আগে ৩৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। তাঁর পরিবর্তে দলের কঠিন সময়ে এদিন ফের ক্যাপ্টেন ব্যান্ড হাতে নেন কোহলি। বুমরার অভাব এদিন অবশ্য বুঝতে দিলেন না সিরাজেরা। হায়দ্রাবাদের জোরে বোলার ৫১ রানে ৩ উইকেট নিলেন। কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়লেন প্রসিদ্ধ (৪২ রানে ৩ উইকেট) এবং নীতীশও (৩২ রানে ২ উইকেট)। অস্ট্রেলিয়াকে বাড়তে দিলেন না বোলারেরা। 

    মান বাঁচানোর লড়াই

    সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৮০ ওভার খেলা হল। উঠল ৩১৩ রান। আর উইকেট পড়ল ১৫টি। সিডনিতে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ ভারতের টপ অর্ডার। পন্থের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৪১ রান তুলে নিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে লিড ১৪৫। ক্রিজে রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। এখন প্রশ্ন একটাই বুমরা কি পারবেন বল করতে? বোলারদের হাতেই যে এখন ভারতের মান বাঁচানোর লড়াই।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rohit Sharma: ‘‘ব্যর্থ হলে তো মানতেই হবে, দলের স্বার্থে না খেলার সিদ্ধান্ত’’, অবসর নিয়ে কী বললেন রোহিত?

    Rohit Sharma: ‘‘ব্যর্থ হলে তো মানতেই হবে, দলের স্বার্থে না খেলার সিদ্ধান্ত’’, অবসর নিয়ে কী বললেন রোহিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে অধিনায়ক হিসাবে নিজেই সিডনিতে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জানালেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। সিডনি টেস্টের দ্বীতিয় দিনে খেলার মাঝে সব বিতর্কে জল ঢেলে জানিয়ে দিলেন, অবসর নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। কারও কথায় অবসর নেবেনও না। 

    কোথায় আছেন রোহিত

    সিডনিতে না খেলা নিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘রান করতে পারছিলাম না। ব্যর্থ হলে তো মানতেই হবে। তাই দলের স্বার্থে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘অবসর নিইনি। শুধু এই ম্যাচটা না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রান করতে পারছিলাম না। আমাদের অনেক ব্যাটারই ভাল ফর্মে নেই। ম্যাচে প্রভাব পড়ছিল। অধিনায়ক হিসাবে দলের কথাই আগে ভাবি। কী করলে দলের লাভ ভাবি। সেই ভাবনা থেকেই সরে দাঁড়িয়েছি। অধিনায়ক হিসাবে ভাবি না, তিন মাস বা ছ’মাস পর কী হবে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিই। এটা দলগত খেলা। ব্যক্তিগত খেলা নয়। আমি নিজেই কোচ, নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোথাও যাচ্ছি না। দলের সঙ্গেই আছি।’’

    কবে অবসর

    বিশ্রাম নিয়ে রোহিতের (Rohit Sharma) বক্তব্য, ‘‘দেশ থেকে এত দূরে তো খেলার জন্যই এসেছি। বসে থাকার জন্য এত দূরে আসিনি। কিন্তু দলের স্বার্থ আগে রাখতেই হয়। এটা দলগত খেলা। ১১ জন নিলে খেলতে হয়। একা কেউ খেলতে পারে না। দেখুন কে কী লিখল বা বলল, তাতে আমাদের জীবন বদলায় না। এত দিন ধরে খেলছি। আমি অভিজ্ঞ। দুই সন্তানের বাবা। জানি কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়। চেষ্টা করেছি রান করার। পারিনি। তাই এই ম্যাচটা না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যথেষ্ট সংবেদনশীল আমি। কারও কথায় অবসর নেব না। কখন থামতে হয়, এটুকু বুঝি।’’  

    নিজেকেই ‘বসানোর’ সিদ্ধান্ত কি মেলবোর্নেই নিয়েছেন? রোহিত বলেন, ‘সিডনিতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিউ ইয়ারে কোচ-সিলেক্টরকে এই কথাগুলো বলার মতো পরিস্থিতিতে ছিলাম না। এখানে আসার পর থেকেই চেষ্টা করছিলাম ফর্মে ফেরার। কিন্তু হচ্ছিল না। আমি যখনই নেতৃত্ব দিয়েছি, একটা জিনিস মাথায় রাখি, এখন কী চাই। টিমের স্বার্থ দেখা প্রয়োজন। সেরকম প্লেয়ারই হতে চেয়েছি কেরিয়ারের শুরু থেকে। এর জন্যই টিম বলা হয়। আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি যেটা সেটাই, এতে আমাকে পছন্দ করলেও ভালো, না করলে আমার কিছু করার নেই।’

    আগামী দিনে নেতা কে

    আগামী দিনে ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক কে হতে পারেন? এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি রোহিত। তিনি বলেছেন, ‘‘এ ভাবে কারও নাম বলা যায় না। আমাদের দলে এখন বেশ কয়েক জন তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে। সকলেই ভাল খেলোয়াড়। তবে ওদের আরও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। ভারতের হয়ে খেলার গুরুত্ব আরও উপলব্ধি করতে হবে। নেতৃত্বের গুরুত্ব বুঝতে হবে। এটা অনেক বড় দায়িত্ব। সেটা সামলানোর মতো করে তুলতে হবে নিজেদের।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rohit Sharma: সিডনি টেস্টের শেষেই কি বিদায়! দলে নেই, রোহিতের অবসর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

    Rohit Sharma: সিডনি টেস্টের শেষেই কি বিদায়! দলে নেই, রোহিতের অবসর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুঞ্জনই সত্যি হল। শুক্রবার বর্ডার গাভাসকর ট্রফির শেষ ম্যাচে প্রথম একাদশে দেখা গেল না অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। টস জিতে দল নিয়ে বলতে গিয়ে এই ম্যাচে ভারতের ব্যাটন হাতে নেওয়া বুমরা বললেন, “আমাদের দলের একতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু আমাদের ক্যাপ্টেন নিজেই দলের স্বার্থে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এটাই প্রমাণ করে আমাদের দলে কতটা একতা রয়েছে। আমাদের দলের কেউ নিজের জন্য খেলে না। দলের জন্য যেটা ভাল হবে, সেই সিদ্ধান্তটাই নেওয়া হয়।” 

    দলে নেই রোহিত

    রোহিত বাদ পড়লেও তাঁকে সিডনিতে অধিনায়ক বলেই সম্বোধন করলেন বুমরা। কিন্তু সাজঘর বলছে অন্য কথা। বেশ কয়েক দিন ধরেই ভারতীয় দলের সাজঘরের বিভিন্ন খবর প্রকাশ্যে আসছিল। শোনা যায়, কোচ গৌতম গম্ভীর দুষছেন ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারেরা দুষছেন অধিনায়ক রোহিতকে। মেলবোর্নে হারের পরে নাকি সাজঘরেই দেখা গিয়েছে ক্ষুব্ধ কোচকে। আবার ক্রিকেটারেরা খুশি নন রোহিতের নেতৃত্ব নিয়ে। রোহিতের ফর্মও তলানিতে। অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্ট খেলেননি। পরের দু’টি টেস্টে মিডল অর্ডারে খেলে রান পাননি। মেলবোর্নে ওপেন করতে নেমেও ব্যর্থ। তিনটি টেস্ট মিলিয়ে মাত্র ৩১ রান করেছেন রোহিত। 

    রোহিতের অবসর!

    রোহিতের বাদ পড়া উস্কে দিয়েছে অন্য একটি জল্পনা, এ বার কি অবসরে রোহিত? চলতি সিরিজে অবসর নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল এই সিরিজ শেষে আরও এক জন ভারতীয় ক্রিকেটার অবসর নিতে পারেন। সিডনি টেস্টের পর ভারতের পরবর্তী লাল বলের ম্যাচ জুন মাসে। তত দিনে রোহিতের বয়স ৩৮ বছর হয়ে যাবে। লাল বলের ক্রিকেটে তাঁকে আর দেখা যাবে কি না তা নিয়েই এখন জল্পনা চলছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চার সুপারস্টারের শেষ সিরিজ হতে পারে, এমনটা আগেই ঠিক ছিল। অশ্বিন নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন। রোহিত শর্মাও সিডনি টেস্ট শেষেই হয়তো ঘোষণা করে দেবেন।

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই চোখ

    ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ হোক বা অস্ট্রেলিয়ায় গত তিন টেস্ট। ব্যাট হাতে ভরসা দিতে পারেননি রোহিত শর্মা। টেস্টে ভারতের সামনে কোনও হোম সিরিজ নেই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনিশ্চিত। তাতে ভারত উঠলেও রোহিত থাকবেন না, এটুকু নিশ্চিত। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ক্ষেত্রে বলা যায়, টেস্ট ক্রিকেটে পরবর্তী সিরিজ ইংল্যান্ড সফর। সেখানে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। দল থেকে বাদ, কথাটা বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের ক্ষেত্রে শুনতে খারাপ লাগে তাই হয়তো সাজঘরের কথা চেপে রাখলেন বুমরা। তবে লাল বলের ক্রিকেটে যে রোহিত শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। সামনে রইল শুধুই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর হয়তো পুরোপুরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রাক্তন হয়ে যাবেন রোহিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yashasvi Jaiswal: বাংলাদেশি আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত! নট আউট যশস্বীকে আউট, ক্ষুব্ধ গাভাসকর  

    Yashasvi Jaiswal: বাংলাদেশি আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত! নট আউট যশস্বীকে আউট, ক্ষুব্ধ গাভাসকর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ফের ভুল আম্পারিংয়ের শিকার টিম ইন্ডিয়া। যশস্বী জয়সওয়ালের আউট নিয়ে তৈরি হলো বিতর্ক। আউট না হলেও সেটাকে আউট দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃতীয় আম্পায়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে মেলবোর্ন টেস্টে তৃতীয় আম্পায়ার হলেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা সৈকত। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নট আউট যশস্বীকে আউট দেন শরফুদ্দৌলা। তাঁর এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন সকলে, সুনীল গাভাসকর তো বাংলাদেশের আম্পায়ারের সামনে একাধিক প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। অনেকে এর পিছনে বাংলাদেশের ভারত-বিরোধিতার গন্ধও পাচ্ছেন।

    কেন আউট যশস্বী?

    বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারত ১৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হারলেও যশস্বীর আউট নিয়ে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক। ফিল্ড আম্পায়ার নট আউট দিলেও, বাংলাদেশি থার্ড আম্পায়ার রিভিউ দেখে আউট দেন। যদিও স্নিকোতে পরিষ্কার দেখা যায় ব্যাটে বল লাগেনি। এরপরই রেগে আগুন হয়ে যান কমেন্ট্রি বক্সে থাকা সুনীল গাভাসকর। বাংলাদেশি আম্পায়ারকে একহাত নেন তিনি। গাভাসকর বলেন, ”এভাবে কখনওই আউট দেওয়া যায় না। প্রযুক্তি থাকলে, তার সদ্ব্যবহার করা উচিত। প্রযুক্তিকে অগ্রাহ্য করে, তুমি কী দেখছ, তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া একদমই উচিত নয়। দৃষ্টিবিভ্রম হতে পারে। বহুবার এমন হতে দেখেছি আমরা।” স্নিকো প্রযুক্তি কট বিহাইন্ড ধরতে না পারলেও যশস্বী জয়সওয়ালকে আউটের সিদ্ধান্ত দেন শরফুদ্দৌলা। গাভাসকর বলছেন, ”বলের যে ছবিটা দেখানো হচ্ছে, ব্যাটারকে অতিক্রম করার পরে সেটা সুইং করেছে। লেট সুইংও হতে পারে।” কিন্তু বাংলাদেশের তৃতীয় আম্পায়ার প্রযুক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে জয়সওয়ালকে আউট দিয়ে দেন। 

    ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট

    অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৪০ রান তাড়া করতে নেমে এদিনও ধস নামে ভারতের ব্যাটিংয়ে। একা লড়াই করছিলেন যশস্বী। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৪ রানে বিতর্কিত আউটের কারণে সাজঘরে ফেরত যেতে হয় তাঁকে। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ৭১ তম ওভারে প্যাট কামিন্সের বাউন্সারে পুল মারতে গিয়ে মিস করেন যশস্বী। ব্যাটের খুব কাছ থেকে বল যায়। বলটি চলে যায় অ্যালেক্স কেরির হাতে। অস্ট্রেলিয়ানরা আউটের আপিল করতে থাকেন। মাঠের আম্পায়ার নট আউট জানায়। অস্ট্রেলিয়ার সন্দেহ থাকায় রিভিউ নেয়। রিভিউতে সেই সময় পরিষ্কার দেখা যায় ব্যাট আর বলের কোনও সংযোগ হয়নি।  কিন্তু থার্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত এটিকে আউট বলে নিশ্চিত করেন।

    ভুল সিদ্ধান্তের শিকার

    একটা ভুল সিদ্ধান্ত ভারতকে হারের দিকে ঠেলে দিল, বলে মনে করছে ক্রিকেট বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পরে ভারতের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে গেল। জয়সওয়াল টিকে থাকলে অজিদের কাজটা কঠিনই হত, বলে মনে করে ক্রিকেট মহল। এই ম্যাচে যশস্বী দুই ইনিংসেই নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছেন। প্রথম ইনিংসে ১১৮ বলে ৮২ রান করলেও, বিরাট কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাঁকে রান আউট হতে হয়েছে। চাপের সময় যশস্বী একদিক ধরে খেলছিলেন। তিনি ক্রিজে থাকলে ভারত ম্যাচটা বাঁচিয়েও দিতে পারত।

    ভারতীয় সমর্থকদের ক্ষোভ

    এই ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেকে তো আবার এও অভিযোগ করেন যে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে হারানোর জন্যই শরফুদ্দৌলা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ বাংলাদেশের সামনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই ভারতকেও সরানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, শরফুদ্দৌলা বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার যিনি আইসিসি-র এলিট প্যানেলে নাম তুলেছেন। বাংলাদেশের এই প্রাক্তন লেফট আর্ম স্পিনার ১৯৯৪ আইসিসি ট্রফি খেলেছেন। ২০০৭ সাল থেকে আম্পায়ারিংয়ে কেরিয়ার শুরু করে তিনি। ২০১০ সালে প্রথমবার ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Border Gavaskar Trophy: মেলবোর্নে ধরাশায়ী! অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিদায়ের পথে ভারত

    Border Gavaskar Trophy: মেলবোর্নে ধরাশায়ী! অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিদায়ের পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার (India vs Australia) কাছে ১৮৪ রানে পরাজিত ভারত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার গাভাসকর ট্রফি (Border Gavaskar Trophy) জয়ের স্বপ্নও শেষ। বিদায়ের ঘণ্টা বাজছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দৌড় থেকেও। মেলবোর্ন টেস্ট জেতায় আগামী বছরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রায় উঠেই গেল অস্ট্রেলিয়া. আর, এই ম্যাচ হারায় পিসিটি কমে গেল টিম ইন্ডিয়ার। যার ফলে, ভারত কার্যত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে ছিটকে গেল। 

    লজ্জার হার রোহিতদের

    মেলবোর্নে ভারতের জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৩৪ রান। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩২৯ রান তাড়া করেও জিতেছে ভারত। রান তাড়ায় ভারতের শুরুটাও ভালো হয়েছিল বলা যায়। যশস্বী এবং রোহিত শর্মা ধৈর্য ধরে ব্য়াটিং করছিলেন। মুহূর্তের ভুলে ছন্দপতন রোহিতের। লোকেশ রাহুলকেও সেই ওভারেই ফিরিয়ে ভারতের চাপ বাড়িয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। যশস্বীর সঙ্গে জুটি বাঁধেন বিরাট কোহলি। অফস্টাম্পের বাইরের বল ছেড়ে দেন। মনে হয়েছিল, লম্বা ইনিংস খেলবেন। লাঞ্চ ব্রেকের ঠিক আগের ওভারেই মনোসংযোগে ব্যাঘাত বিরাটেরও। সেখান থেকেই ম্যাচটা যেন বেরিয়ে যায়। মাঝের সেশনটা উইকেটহীন হলেও চায়ের পর পন্থের উইকেট টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। দ্রুত তিন উইকেট হারায় ভারত। এরপর পুরো ওভার টিকে থাকা কঠিন ছিল। যশস্বীর ফেরাটা যেন শেষ ধাপ। 

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আশা!

    চলতি সিরিজে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ৫ম টেস্ট হবে শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি থেকে। চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২-১ এর লিড নিয়েই সিডনিতে নিউ ইয়ার টেস্টে নামবে অস্ট্রেলিয়া। আর ভারতের সামনে একদিকে যেমন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জটিল অঙ্ক, তেমনই বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি (Border Gavaskar Trophy) হাতছাড়া হওয়ারও আতঙ্ক। তবে মেলবোর্নে হারের পরও ক্ষীণ আশা রয়েছে ভারতের (India vs Australia)  টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছানোর। সেক্ষেত্রে সিডনিতে প্রথমে জিততে হবে, এরপর তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কার দিকে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দু টেস্টের সিরিজ খেলবে অস্ট্রলিয়া। সেই সিরিজে শ্রীলঙ্কা ১-০ বা ২-০ ব্যবধানে অজিদের হারিয়ে দেয় তবেই ভারত ফাইনালে জায়গা করে নেবে। যার সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে। দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতে পরের বছরে লর্ডসের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia: নীতীশের শতরানে ম্যাচে ফিরল ভারত! এবার বুমরা-সিরাজদের লড়াই

    India vs Australia: নীতীশের শতরানে ম্যাচে ফিরল ভারত! এবার বুমরা-সিরাজদের লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলবোর্নে ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ। ভারত এখনও পিছিয়ে ১১৬ রানে। হাতে রয়েছে আর এক উইকেট। খেলার বাকি আর দু’‌দিন। ম্যাচে ফলাফলের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। তবে বৃষ্টি শনিবার মেলবোর্নে খেলায় দু’‌বার ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। চায়ের বিরতির আগে একবার বৃষ্টি হয়। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। আবার তার পর খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর ফের বৃষ্টি ও মন্দ আলোর জন্য খেলা বন্ধ হয়। তৃতীয় দিন আর খেলা হয়নি। মেলবোর্নে শনিবার নীতীশ রেড্ডি ও ওয়াশিংটন সুন্দরের লড়াই ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। ম্যাচ ড্রয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই জাগিয়ে তুলেছে নীতীশের লড়াকু শতরান।  অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৯ উইকেটে ৩৫৮ রান। 

    নীতীশের রেকর্ড

    বক্সিং ডে টেস্টে শতরান হাঁকানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিরাট কোহলির সঙ্গে একই তালিকায় নাম লেখালেন নীতীশ রেড্ডি (Nitish Reddy)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শনিবার দুরন্ত অপরাজিত শতরান হাঁকান অন্ধ্রপ্রদেশের তরুণ অলরাউন্ডার। ২১ বছর ২১৪ দিন বয়সে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন নীতীশ। কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্টে খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি। বক্সিং ডে টেস্টে খেলতে নেমে শুধুমাত্র মেলবোর্নেই শতরান হাঁকানো পঞ্চম ভারতীয় ব্যাটার হয়ে গেলেন তরুণ অলরাউন্ডার। এর আগে বীরেন্দ্র সেওয়াগ, বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানে বক্সিং ডে টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।

    আবেগতাড়িত নীতীশের বাবা বাবা 

    ছেলের সেঞ্চুরি হাঁকানোর মুহূর্তে গ্যালারিতে ছিলেন নীতীশের (Nitish Reddy) বাবা মুতিয়ালা রেড্ডি।  নীতীশের বাবা মুতিয়ালা রেড্ডি বলেন, ”আমাদের পরিবারের জন্য ভীষণ স্পেশাল একট দিন। সারাজীবন এই দিনটা আমরা মনে রাখব। ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে ও রান করে এসেছে। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বড় রান পেল। দুর্দান্ত অনুভূতি। আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই মহম্মদ সিরাজকে। ও যখন ৯৯ রানে ব্যাটিং করছে, তখন সিরাজ স্ট্রাইকিং এন্ডে ছিল। ও সুন্দরভাবে ওভারটা কাটিয়ে দিয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ওকে।”

    আপাতত প্রথম ইনিংসে ভারত এখনও ১১৬ রানে পিছিয়ে। ফলো অন বাঁচালেও ম্য়াচ বাঁচানোর সম্ভাবনা কিন্তু এখনও ক্ষীণ বলা যায়। কারণ প্রথম ইনিংসে হাতে আর মাত্র ১ উইকেট। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ দিনের সকালে আর কত রান যোগ করতে পারেন নীতীশ বোর্ডে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরা, সিরাজ, আকাশ দীপরা কত দ্রুত উইকেট তুলতে পারেন, তারই অপেক্ষায় ভারতীয় সমর্থকেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia: মেলবোর্নও মাতাতে পারল না ভারতীয় ব্যাটাররা, ব্যাতিক্রম যশস্বী

    India vs Australia: মেলবোর্নও মাতাতে পারল না ভারতীয় ব্যাটাররা, ব্যাতিক্রম যশস্বী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পথ ক্রমশ কঠিন করে তুলছে ভারত। অ্যাডিলেড, ব্রিসবেনের পর মেলবোর্নেও (Melbourne Test) সেভাবে পারফর্ম করতে পারল না ভারতীয় দলের টপ অর্ডার। দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৪ রানের জবাবে ভারতের স্কোর ১৬৪ রানে ৫ উইকেট। এখনও ভারত (India vs Australia) পিছিয়ে ৩১০ রানে। তৃতীয় দিনে ভারতের প্রথম টার্গেট হলো ফলোঅন সেভ করা।

    অনবদ্য অস্ট্রেলিয়া

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা পাকা করতে শেষ দুটি টেস্টে জিততেই হবে ভারতীয় দলকে। কিন্তু, বক্সিং ডে টেস্টে সেই সম্ভাবনা খুবই কম। প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৩১১ রানে ৬ উইকেট। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়া ৪৭৪ রানে পৌছে যায়। সৌজন্যে স্টিভ স্মিথের অনবদ্য শতরান ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের লড়াকু ৪৯ রানের ইনিংস। বোলিংয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ। এছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা ৩টি, আকাশ দীপ ২টি ও ওয়াশিংটন সুন্দর একটি উইকেট শিকার করেন।

    ব্যার্থ ভারতীয় ব্যাটাররা

    রান তাড়া করতে নেমে ধাক্কা খায় ভারত। মেলবোর্নে মিডল অর্ডার থেকে উঠে ওপেনিংয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তিনি ফের ব্যর্থ হন। ৩ রান করে আউট হন ভারত অধিনায়ক। এরপর যশস্বী জয়সওয়াল ও কেএল রাহুল দলকে টানার চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ পারেননি। ২৪ রান করে আউট হন কেএল রাহুল। এরপর বিরাট কোহলি ও যশস্বী জয়সওয়ালের পার্টনারশিপ ভারতীয় দলকে ম্যাচে ফেরায়। যশস্বী অর্ধশতরান পূরণ করেন। অন্যদিকে বিরাটও ক্রমশ জমাট হয়ে রান করতে থাকেন। দুই জনে ১০০ রানের পার্টনারশিপও তৈরি করেন। যশস্বী ক্রমেই শতরানের দিকে এগিয়ে চলছিলেন, ঠিক তখনই ঘটল বিরাট ছন্দ পতন। বিরাট কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হলেন যশস্বী। যশস্বীর আউকে বিরাট ভুল বললেও কম বলা হবে। ভারতীয় ওপেনার শট মেরে রান নিতে দৌড়ান। কিন্ত কোহলি দৌড় শুরু করে থেমে যান। কিন্ত দ্রুতবেগে তখন উইকেটের অন্য প্রান্ত চলে গিয়েছেন। কামিন্স বল নিয়ে উইকেটরক্ষককে থ্রো করলেই সহজেই যশস্বীকে আউট করে দেন ক্যারি। ফলে ১১৮ বলে ৮২ রানে আউট হলেন তরুণ ওপেনার। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি চার এবং একটি ছক্কা।

    যশস্বী আউট হতে নামানো হয় নাইট ওয়াচম্যান আকাশ দীপকে। তাঁর দায়িত্ব ছিল দিনের বাকি সময় টুকু ক্রিজে টিকে থাকা। কিন্তু আকাশের আগেই আউট হলেন কোহলি। ৩৬ রান করে বোল্যান্ডের বলে আউট হলেন কোহলি। সেই বাইরের বলেই আউট হলেন কোহলি। এরপরই ভারতীয় শিবিরে শুরু হয়ে যায় উদ্বেগ। গাব্বায় ব্যাট হাতে ফলো-অন বাঁচালেও মেলবোর্নে ব্যর্থ হলেন আকাশ। ১৩ বলে ০ রান করে বোল্যান্ডের বলেই আউট হলেন আকাশ। ২য় দিনের শেষে ক্রিজে আছেন জাদেজা(৪) এবং পন্থ(৬)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share