Tag: India vs South Africa

India vs South Africa

  • India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইশ গজে মধুর প্রত্যাবর্তন। ২৮ বলে ৫৯ রান, ৬টি চার ও ৪টি ছয়, ফের ঝড় তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে ভারতীয় দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করেছিল। জবাবে ৭৪ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এই ফরম্য়াাটে এটাই প্রোটিয়াদের ন্যূনতম স্কোর। ১৮ বলে শেষ ৫ উইকেট হারাল প্রোটিয়ারা। ১০১ রানে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সূর্যকুমারেরা।

    হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, হতাশ শুভমন

    শুভমন গিল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। চোট সারিয়ে কটকে প্রত্যাবর্তন দুই ক্রিকেটারের। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের উৎসাহ ছিল শুভমনকে নিয়ে। টেস্ট এবং এক দিনের দলের অধিনায়ক শুভমন। হতাশ করলেন শুভমন টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক। তবে নেতৃত্বের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া হার্দিক ঝড় তুললেন ব্যাট হাতে। তাঁর ২৮ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই এডেন মার্করামের দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছোন সূর্যকুমার যাদবেরা। শুভমন কটকের ২২ গজে টিকলেন ২ বল। করলেন ৪ রান। চিন্তায় রাখল অধিনায়ক সূর্যের ফর্মও। তবে ভারতীয় বোলাররা সফল ১০০ শতাংশই।

    ভারতীয় বোলাররা ১০০ শতাংশ সফল

    বল হাতে রাতের বারবাটি শাসন করলেন ভারতীয় বোলারেরা। ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হন কুইন্টন ডি কক (০)। অর্শদীপের এই ধাক্কা সামলানোর আগেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে অর্শদীপ আউট করেন ট্রিস্টান স্টাবসকে (১৪)। অক্ষর নিজের প্রথম ওভার করতে এসে তুলে নেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক এডেন মার্করামের (১৪) উইকেট। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান সফরকারীরা। সেই চাপের মুখে পর পর ফিরে যান মিলার এবং ফেরেইরা (৫)। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ম্যাচের ফলাফল এক রকম ঠিক হয়ে যায়। ভারতীয় বোলারদের দাপটে কেউই আর লড়াই করতে পারলেন না। ধস নামল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে। পর পর আউট হলেন জানসেন (১২), ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (২২), কেশব মহারাজ (০), অনরিখ নোখিয়া (১), লুথো সিমপালারা (২)। ১২.৩ ওভারেই শেষ হয়ে গেল তাঁদের ইনিংস। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম অক্ষর ৭ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১৪ রানে ২ উইকেট অর্শদীপের। এ দিন ১৭ রানে ২ উইকেট নিলেন বুমরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পূর্ণ করলেন তিনি। ১৯ রানে ২ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর। ১৬ রানে ১ উইকেট নিলেন হার্দিক। ১ রানে ১ উইকেট শিবমের। ভারতের ছ’জন বোলারই উইকেট পেলেন। তিনবছর আগে ভারতেরই বিরুদ্ধে রাজকোটে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ৷ যা এতদিন ছিল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাঁদের সর্বনিম্ন স্কোর ৷ মঙ্গলবার তা ভেঙে গেল ৷

    নিজের নয়, ভারতের প্রয়োজনই প্রাধান্য

    চোট সারিয়ে এশিয়া কাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নেন হার্দিক। জানান গত ছ’সাত মাস ধরে ফিটনেসের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন। যাতে দেশের জার্সি পরে নিজের সেরাটা দিতে পারেন। নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হার্দিক। হার্দিক বলেছেন, ‘‘গত ছ’-সাত মাস আমার ফিটনেস ভাল জায়গাতেই ছিল। শেষ ৫০ দিন পরিবার ছেড়ে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে থেকে খুব উপকৃত হয়েছি। বেশ কিছু দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছি। শট মারার সময় একটু সতর্ক ছিলাম। নিশ্চিত করতে চেয়েছি শটগুলো যাতে ঠিকঠাক হয়। শেষ দিকে কয়েকটা সাহসী শটও খেলতে হয়েছে। টাইমিং ঠিক রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমার এদিনের ব্যাটিংয়ে আমি সন্তুষ্ট।’’ নিজের বোলিং নিয়েও খুশি হার্দিক। তিনি বলেছেন, ‘‘মাঠে আমার ভূমিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না। নিজের দায়িত্ব জানি। আমি কী চাই সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের প্রয়োজন। ভারতের প্রয়োজন। এই মানসিকতা নিয়েই খেলতে নামি। এটা আমাকে ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করে।’’ জয়ের নেপথ্যে হার্দিকের অবদান মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও।

  • India vs South Africa: ভাঙলেন শচিনের রেকর্ড, স্ব-মহিমায় কিং কোহলি! রোহিত-বিরাটের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত

    India vs South Africa: ভাঙলেন শচিনের রেকর্ড, স্ব-মহিমায় কিং কোহলি! রোহিত-বিরাটের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ফের তার প্রমাণ মিলল বাইশ গজে। লাল বল থেকে সাদা বলে প্রত্যাবর্তন। সেই সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটেও ফিরল হাসি। রাঁচিতে এক দিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭ রানে হারিয়ে দিল ভারত (India vs South Africa)। দর্শকেরা যা দেখতে মাঠে এসেছিলেন, সেটা পেয়ে গেলেন। বিরাট কোহলির শতরান, রোহিত শর্মার অর্ধশতরান! আর কী চাই। কোহলি-রোহিতের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত। হাসি ফিরল গুরু গম্ভীরের মুখেও। প্রথমে ব্যাট করে ৩৪৯/৮ তুলেছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা আটকে গেল ৩৩২ রানে। একই সঙ্গে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়লেন কিং কোহলি। ছয়ের পর ছয় এল ‘রো-কো’র ব্যাট থেকে।

    শচিনকে ছাপিয়ে গেলেন

    রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে ১৩৫ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। যার সুবাদে টিম ইন্ডিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৩৪৯ রানের বিশাল স্কোর করতে সক্ষম হয়। এই ইনিংসে কোহলি ৫টি বড় রেকর্ড গড়েছেন। ছাপিয়ে গিয়েছেন মাস্টার-ব্লাস্টার শচিন তেন্ডুলকরকে। বিরাট কোহলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনও একটি ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। তিনি সচিন তেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। সচিন টেস্ট ক্রিকেটে ৫১টি সেঞ্চুরি করেছেন। কোনও ফর্ম্যাট (টি-২০, টেস্ট এবং ওয়ান ডে) -এ এর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি কারও ছিল না, কিন্তু এখন বিরাট কোহলি এগিয়ে গিয়েছেন। তিনি ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৫২টি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। বিরাট কোহলি ১৩৫ রানের এই ইনিংসে সচিন তেন্ডুলকরের আরও একটি বড় রেকর্ড ভেঙেছেন। তিনি ভারতে ওয়ানডে ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বেশি ৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। আগে এই রেকর্ড সচিন তেন্ডুলকরের নামে ছিল, যিনি ৫৮ বার এই কীর্তি গড়েছিলেন। কোহলি ৫৯ বার দেশের মাটিতে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৫০ বা তার বেশি রান করেছেন।

    রেকর্ডের পর রেকর্ড

    বিরাট কোহলি ভারতের কোনও একটি মাঠে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। রাঁচির ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বিরাট ৫ ইনিংসে ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট বিশাখাপত্তনম এবং পুনেতেও ৩টি করে সেঞ্চুরি করেছেন। তবে ওই দুই মাঠে যথাক্রমে সাত ও আটটি ইনিংস লেগেছে কোহলির। বিরাট কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ওয়ান ডে সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। রাঁচিতে কোহলির দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ষষ্ঠ ওয়ান ডে সেঞ্চুরি ছিল। বিরাট কোহলি ৩ নম্বর পজিশনে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ছক্কা মারা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। তিনি রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ড ভেঙেছেন, যিনি ৫৪০ ইনিংসে ২১৭টি ছক্কা মেরেছিলেন। বিরাট কোহলি তিন নম্বরে খেলে ৩২৭ ইনিংসে ২১৮টি ছক্কা মেরেছেন।

    রোহিতের পরিচিত মেজাজ

    দু’বছর আগের এক দিনের ক্রিকেট থেকে একটা ঘরানা শুরু করেছেন রোহিত শর্মা। ওপেন করতে নেমে এতটাই আগ্রাসী খেলছেন যে বাকিদের উপর চাপ কমে যাচ্ছে। তাঁকে সেই স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। রোহিতের লক্ষ্য থাকে পাওয়ার প্লে-তে যতটা সম্ভব রান তুলে নেওয়া। এর একটা উল্টো দিকও রয়েছে। চালিয়ে খেলতে গেলে আউট হওয়ার সম্ভাবনাও বহু গুণে বাড়ে। রোহিত অবশ্য কোনও দিনই সে সবের পরোয়া করেন না। সে কারণেই সাফল্য পাচ্ছেন। সিডনিতে শেষ যে ম্যাচটি খেলেছিলেন, সেখানে শতরান করে দলকে জিতিয়েছিলেন। রাঁচিতে তাঁর ব্যাট থেকে আগ্রাসী অর্ধশতরান দেখা গেল। এক রানের মাথায় ক্যাচ পড়েছে। তবু আগ্রাসনের রাস্তা থেকে সরেননি রোহিত। করবিন বশকে টানা দু’টি চার মেরেছেন। প্রেনেলান সুব্রায়েনকে পর পর দু’টি ছয় মেরেছেন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর জুটি। দু’জনের বোঝাপড়া কতটা ভাল তা এই ম্যাচেও বোঝা গিয়েছে। সিডনির পর রাঁচিতেও দু’জনের জুটি ভারতকে শক্তিশালী করেছে। ২০তম ওভারে মার্কো জানসেনকে ছয় মেরে শাহিদ আফ্রিদির নজির ভেঙে দিয়েছেন।

    ৬৮১ রানের পাহাড়

    ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) মধ্যে আয়োজিত প্রথম একদিনের ম্যাচে দুটো দল মোট ৬৮১ রান করে। এছাড়া দুই দলের হয়ে উড়ে যায় ২৮ গগনচুম্বী ছক্কা। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে এটাই সর্বাধিক রান। পাশাপাশি সর্বাধিক ছক্কা হাঁকিয়েছেন দুই দলের ব্যাটাররা। ইতিপূর্বে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ২০১৫ সালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৩৮ রান করেছিল। এরপর ভারত ব্যাট করতে নেমে ২২৪ রান করে। এই ম্যাচে দুটো দল মিলিয়ে মোট ৬৬২ রান করেছিল। আর হাঁকিয়েছিল ২৫ ছক্কা। এবার দশ বছরের পুরনো সেই রেকর্ড ভেঙে গেল।

  • Gautam Gambhir: গুরু গম্ভীরেই আস্থা বোর্ডের! শুভমনদের আরও একটু সময় দিতে চায় বিসিসিআই

    Gautam Gambhir: গুরু গম্ভীরেই আস্থা বোর্ডের! শুভমনদের আরও একটু সময় দিতে চায় বিসিসিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের পর ফের ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে অল্পের জন্য হার, আর তারপর গুয়াহাটিতে ৪০৮ রানে অসহায় আত্মসর্পণ। তবুও গুরু গম্ভীরেই (Gautam Gambhir) আস্থা রাখছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গম্ভীরকে কোচ পদ থেকে অপসারণের কোনও ইচ্ছা আপাতত বিসিসিআইয়ের নেই। তারা কোচের বিরুদ্ধে কোনও তাড়াহুড়ো করে পদক্ষেপ নেবে না, এ কথা জানিয়েছেন বোর্ডের এক কর্তা। দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হওয়ার পরে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিসিসিআই-এর উপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দিয়েছিলেন গম্ভীর। এবার তাঁর ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বিসিসিআই।

    গম্ভীরকে সময় দিতে আগ্রহী বিসিসিআই

    বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, “এখনই গম্ভীরকে সরিয়ে দেওয়ার কথা আমরা ভাবছি না। ও একটা দল তৈরি করছে। ২০২৭-এর বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর গম্ভীর এবং নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠক হবে বোর্ডকর্তাদের। সেখানেই গম্ভীরকে জিজ্ঞাসা করা হবে, দলের এই রূপান্তরের সময়টাকে কী ভাবে দেখছে ও।” তিনি বলেছেন, “দুম করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে নয় বিসিসিআই। দল এখন রূপান্তরের মধ্যে রয়েছে। বিশ্বকাপ সামনেই। তা ছাড়া ওঁর চুক্তি হয়েছে ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তাই এখনই গম্ভীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বিসিসিআই নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবে।” বুধবার সিরিজ হারের পর নিজের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেছিলেন, “এটা তো বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমি আগেও একটা কথা বলেছি, আজও বলছি। ভারতীয় ক্রিকেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমি নই। মনে রাখবেন, আমি সেই একই লোক যে ইংল্যান্ডে ভালো ফল করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং এশিয়া কাপ জিতেছে।”

    গম্ভীর স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পর থেকে গৌতম গম্ভীরকে কোচের পদ থেকে সরানোর দাবি করা হচ্ছে। সমর্থক থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ গম্ভীরকে সরানোর দাবি করতে শুরু করেছেন। গম্ভীরের জমানায় ভারত সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করলেও লাল বলের ক্রিকেটে দলের ফর্ম পড়তে শুরু করেছে। গম্ভীর যখন টেস্ট দলকে পেয়েছেন তখন দলে একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, চেতেশ্বর পূজারার মতো সিনিয়র প্লেয়াররা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এই চারটে জায়গা ভরাট করার জন্য গম্ভীর তরুণদের দিকে ঝুঁকছেন। এতগুলো নতুন মুখকে তৈরি করতে যেই সময় দেওয়া দরকার সেটা নেই। অনেকে দাবি করেছেন, গম্ভীর রঞ্জি ট্রফির পারফরম্যান্স দেখে দলে না নিয়ে তিনি আইপিএল-এ পারফরম্যান্স দেখে দলে নিচ্ছেন। এবার গম্ভীরকে কোচের পদ থেকে সরানো নিয়ে মুখ খুলল বিসিসিআই। গম্ভীর জমানায় ভারত টেস্টে এমন কিছু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে যা অতীতে ছিল না। ঘরের মাঠে দুটো টেস্ট সিরিজে হার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রবেশ করতে না পারা। ঘনঘন দলের প্রথম একাদশে বদলের মতো ঘটনা ঘটেছে। যার পর প্রশ্নের মুখে গম্ভীরের স্ট্র্যাটেজি। তবে বিসিসিআই এখনই গম্ভীরকে সরাতে চাইছে না।

  • India vs South Africa: রোহিত-কোহলি-অশ্বিনের অভাব বুঝছেন গম্ভীর! দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪০৮ রানে হার ভারতের

    India vs South Africa: রোহিত-কোহলি-অশ্বিনের অভাব বুঝছেন গম্ভীর! দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪০৮ রানে হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোহিত, কোহলি এবং অশ্বিন দীর্ঘ দিন ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। দেশের মাটিতে একের পর এক সাফল্য দিয়েছেন দলকে। এই তিন জনের অভাব যে পূরণ করা যায়নি তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) কাছে হারের পর। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে গম্ভীর বলেন, “এই হারের দায় সকলের। তবে শুরুটা আমাকে দিয়েই হবে। আসলে এটাই হল রূপান্তরের (ট্রানজিশন) শুরু। আপনাকে সময় দিতেই হবে।” উদাহরণ হিসাবে গম্ভীর তুলে ধরেছেন ওয়াশিংটন সুন্দরের কথা। তিনি বলেছেন, “আমরা ওয়াশিংটনকে যতটা বেশি সম্ভব সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনি যদি ভাবেন ১০০-র বেশি টেস্ট খেলা অশ্বিনের মতো খেলে দেবে ওয়াশিংটন, তা হলে তরুণ ছেলেটার উপরে অবিচার করা হবে। এটা নিয়ে আপনাদেরও ভাবা উচিত। সবে ১০-১২-১৫টা টেস্ট খেলেছে ওরা। এখনও শেখার অনেক জায়গা রয়েছে। বিভিন্ন পরিস্থিতি, বিভিন্ন পরিবেশে বল করা শিখছে।”

    ক্রিকেটারদের সময় দেওয়া দরকার

    এর পরেই গম্ভীর বলেছেন, “এত বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে একসঙ্গে হারালে সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। এই জন্যই এটাকে রূপান্তর বলছি। এই ক্রিকেটারদের সময় দেওয়া দরকার। আমার মনে হয় না আগে কখনও একই সঙ্গে ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই রূপান্তর হয়েছে বলে। আগে ব্যাটিং বিভাগ ভালো থাকত। বোলিং বিভাগে রূপান্তর হত। অথবা উল্টোটা। এই দলে পুরোটাই নতুন করে তৈরি হচ্ছে। সকলের এটা বোঝা উচিত, এই দলে যারা বসে আছে তাদের সেই যোগ্যতা এবং দক্ষতা রয়েছে। আমরা সকলেই টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা দেখতে চাই। সেটার জন্য অভিজ্ঞতা দরকার। এর পর যখন ওরা কঠিন পরিবেশে গিয়ে খেলবে, ঠিক কাজের কাজ করে দেবে।”

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকা

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকাতেও লজ্জার মুখে পড়ল ভারত। পাঁচ নম্বরে নেমে গেল ভারত। ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করে দক্ষিণ আফ্রিকা দুই নম্বরে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল। তারা চারটি টেস্ট খেলে তিনটিতেই জিতেছে। একটিতে হেরেছে। তাদের শতকরা পয়েন্ট এখন ৭৫.০০। শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তারা চারটি টেস্ট খেলে চারটিতেই জিতেছে। তাদের শতকরা পয়েন্ট ১০০। বুধবার গুয়াহাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দ্বিতীয় টেস্টে ৪০৮ রানে হেরে গেল ভারত। গুয়াহাটি টেস্টে ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল ৫৪৯ রানের। ভারত হেরেছে ৪০৮ রানে। টেস্ট ক্রিকেটে রানের নিরিখে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০০৪ সালের। সে বার নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৪২ রানে হেরেছিল তারা। জেসন গিলেসপি এবং গ্লেন ম্যাকগ্রার বোলিংয়ের সামনে দুই ইনিংসেই গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে সাড়ে ৩ দিনেই শেষ গম্ভীরের ভারত। ৪০৮ রানে গুয়াহাটি টেস্টে হারতে হল ভারতকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪০ রানে গুটিয়ে গেল ভারত।

  • India Vs South Africa: লাঞ্চের আগে চা বিরতি! ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টে কেন ঘটল এমন ঘটনা?

    India Vs South Africa: লাঞ্চের আগে চা বিরতি! ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টে কেন ঘটল এমন ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাঞ্চের আগে চা বিরতি! অবাক লাগছে, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা (India Vs South Africa) দ্বিতীয় টেস্টে ঘটল এমন ঘটনা। ১৮৭৭ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেটের যে ছন্দ চলে আসছে, এ বার তা উল্টে গেল। এটি নিছক কোনও অদ্ভুত ফুটনোট নয়। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে প্রথম বার, একটি নিয়মিত দিনের খেলায় বিরতির ক্রম পাল্টে গেল। সাধারণত ধারা থাকে— টস → লাঞ্চ → চা → স্টাম্পস। কিন্তু গুয়াহাটিতে এ বার হলো— টস → চা → লাঞ্চ → স্টাম্পস। গুয়াহাটির বরষাপাড়া স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের খেলার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৭/৬।

    কেন লাঞ্চের আগে চা

    উত্তর-পূর্ব ভারতের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেশের অন্য অংশের তুলনায় অনেক আগে হয়। গুয়াহাটি, প্রায় ৯০° পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত, যেখানে সূর্য ওঠে এবং অস্ত যায় মুম্বই বা দিল্লির চেয়ে অনেক আগে। তবুও এই শহর অনুসরণ করে ভারতীয় সময় (IST), যা নির্ধারিত ৮২.৫° পূর্ব দ্রাঘিমায়। ফলে বিকেল ৪:৩০-এর মধ্যেই এখানে সন্ধ্যার আবহ তৈরি হয়— ৯০ ওভার শেষ করতে তখন বড় সমস্যা হয়। খেলার সময় বাঁচাতে, বিসিসিআই ও ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা সম্মত হয়েছে গুয়াহাটি টেস্ট সকাল ৯টায় শুরু করার বিষয়ে, যা সাধারণ ভারতীয় টেস্ট টাইমিংয়ের আধঘণ্টা আগে। দিনের কাঠামো হল, প্রথম সেশন: সকাল ৯টা – ১১টা, চা বিরতি: ১১টা – ১১:২০, দ্বিতীয় সেশন: ১১:২০ – ১:২০, লাঞ্চ বিরতি: ১:২০ – ২:০০, তৃতীয় সেশন: ২:০০ – ৪:০০ (সর্বোচ্চ ৪:৩০ পর্যন্ত বাড়ানো যাবে)।

    ব্যাটে-বলে লড়াই

    নেতৃত্বের ব্যাটন শুভমন গিলের হাত থেকে ঋষভ পন্থের হাতে গেলেও টস ভাগ্য বদলাল না। টস জিতে অজানা পিচে প্রথমে ব্যাটিং নিতে ভুল করেননি বাভুমা। ব্যাট করতে নেমে ঝুঁকিহীন থাকার চেষ্টা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরাও। দুই ওপেনার এডেন মার্করাম এবং রায়ান রিকলটন ধীরে শুরু করেন। প্রথম উইকেটের জুটিতে তাঁরা তোলেন ৮২ রান। ৩৮ রান করে বুমরার বলে আউট হন মার্করাম। তার আগে পর্যন্ত প্রায় নিখুঁত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার। যদিও শুরুর দিকে মার্করামের দেওয়া সহজ ক্যাচ স্লিপে ফেলে দেন লোকেশ রাহুল। এ দিন অধিনায়ক হিসাবে বাভুমা ১০০০ টেস্ট রান পূর্ণ করলেন। বাভুমাকে (৪১) আউট করেন রবীন্দ্র জাদেজা। এদিন ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার কুলদীপ ৪৮ রানে ৩ উইকেট নেন। ৩০ রানে ১ উইকেট জাদেজার। ৩৮ রানে ১ উইকেট বুমরার। দিনের শেষবেলায় ১টি উইকেট পান মহম্মদ সিরাজ।

  • India Vs South Africa: ‘‘ইডেনের পিচ বিপজ্জনক ছিল না, আমরা পারিনি’’ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর মানলেন গম্ভীর

    India Vs South Africa: ‘‘ইডেনের পিচ বিপজ্জনক ছিল না, আমরা পারিনি’’ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর মানলেন গম্ভীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্টে অপরাজিত রইল বাভুমার নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা (India Vs South Africa)। ভারতের মাটিতে ১৫ বছর পর টেস্ট ম্যাচে জয় পেল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে গেল ভারতীয় দল। ইডেন গার্ডেন্সে ৩০ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ শেষে দলের ব্যর্থতা মেনে নিলেন কোচ গৌতম গম্ভীর। জানালেন, পিচ নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই তাঁর। ভারতীয় দলের হেড কোচের কথায়, ‘আমরা এই পিচই চেয়েছিলাম। আমরা যে পিচ চেয়েছি সেই পিচই পেয়েছি। এখানকার কিউরেটর আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন। আমার মনে হয় না এই উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। এই উইকেট মানসিক কাঠিন্যের পরীক্ষা নেয়। যারা ভালোভাবে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করতে পেরেছে, তারা রান করেছে।’

    পিচ নয়, দল পারেনি মানলেন গম্ভীর

    শনিবার খেলার শেষে পুজারা বলেছিলেন, ইডেন গার্ডেন্সের এই পিচে চতুর্থ ইনিংসে ১২০ রান তাড়া করাও কঠিন হতে পারে। তাঁর কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিলেন ঋষভ পন্থেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস ১৫৩ রানে শেষ হওয়ায় ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৪ রান। সেই রান তুলতেই কেঁপে গেল শুভমন গিলহীন ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। ৯৩ রানে শেষ হয়ে গেল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। নিজেদের পছন্দের পিচে ৩০ রানে হেরে গেল গৌতম গম্ভীরের দল। পিচ নিয়ে তিন দিন ধরে নানা কথা হলেও গম্ভীর ম্যাচ হেরে কোনও অভিযোগ করলেন না। বরং নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিলেন। গম্ভীর মানতে চাননি ইডেনের ২২ গজ স্পিন সহায়ক ছিল। জোরে বোলারদের বেশি উইকেট পাওয়ার তথ্যকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছেন। রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গম্ভীর বলেছেন, ‘‘ইডেনের পিচ বিপজ্জনক ছিল না। খেলার উপযোগী ছিল। টেম্বা বাভুমা তো রান করল। ওয়াশিংটন সুন্দরও ভাল ব্যাট করল। অক্ষরও তো খেলল। খেলা যাবে না, এমন উইকেট তো ছিল না। জানি না কেন বার বার স্পিন সহায়ক পিচ বলা হচ্ছে! জোরে বোলারেরাই বেশি উইকেট পেয়েছে এই টেস্টে। ব্যাটারদের টেকনিক, মানসিক শক্তি এবং ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয় এ রকম পিচে। আমরা পারিনি।’’

    ভারতের কাঁটা বাভুমা

    ভারতের (India Vs South Africa) লক্ষ্য ‘কঠিন’ করে দিলেন টেম্বা বাভুমা। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ককে আউট করতেই পারলেন না জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজারা। ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন চোট সারিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা ব্যাটার। ম্যাচের প্রথম দিনই ইডেনের ২২ ব্যাটারদের বধ্যভূমি হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গিয়েছিল। সেই পিচেই অপ্রতিরোধ্য দেখাল বাভুমাকে। ১৩৬ বলের ইনিংসে নিজের দলকে লড়াই করার জায়গায় পৌঁছে দিলেন বাভুমা। একমাত্র ব্যাটার হিসাবে ইডেন টেস্টে অর্ধশতরান করলেন। ৫০ রান করতেই ইডেনের দর্শকেরা দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানালেন তাঁকে। বাভুমার লড়াই ছাড়া রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ভাল ব্যাট করলেন করবিন বসও (২৫)। তিনি আউট হওয়ার পর অবশ্য ভারতকে বেশি বেগ পেতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল আউট করতে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম জাদেজা ৫০ রানে ৪ উইকেট নেন। ২ রানে ২ উইকেট সিরাজের। ৩০ রানে ২ উইকেট কুলদীপ যাদবের। ১টি করে উইকেট নেন অক্ষর এবং বুমরা।

    কেমন খেলল ভারত

    ওয়াশিংটন সুন্দর (৩১) ছাড়া ভারতের আর কারও মধ্যে বাভুমাসুলভ লড়াই দেখা গেল না। প্রথম ওভারেই মার্কো জানসেনের বলে আউট হয়ে যান যশস্বী জয়সওয়াল (০)। তৃতীয় ওভারে জানসেন তুলে নেন লোকেশ রাহুলের (১) উইকেট। ১ রানে ২ উইকেট হারানো দলের ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করেন ওয়াশিংটন এবং ধ্রুব জুরেল। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়ার পর সাইমন হারমারকে অযথা ছক্কা মারতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিলেন জুরেল (১৩)। এর পর হারমারের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে দলকে খাদের কিনারায় পৌঁছে দেন পন্থ (২)। লাভ হয়নি জাদেজার (১৮) আগ্রাসী ব্যাটিংয়েও। ২২ গজের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করে গেলেন ওয়াশিংটন। তাঁকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে পারলেন না কেউ। অক্ষর শেষবেলায় আগ্রাসী ব্যাটিং করে চেষ্টা করেছিলেন একটা। কিন্তু হারমারের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন ২৬ রান করে। বাউন্ডারির দিকে মুখ করে দৌড়ে দুরন্ত ক্যাচ নিলেন বাভুমা। তাঁর ওই ক্যাচই ১৫ বছর পর ভারতের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট জয় নিশ্চিত করে দেয়। স্পিন সহায়ক উইকেটে সাইমন হারমারের বল খেলতে সমস্যা পড়লেন ভারতীয়েরা। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ উইকেট নিলেন। খরচ করলেন ২১ রান। ১৫ রানে ২ উইকেট মার্কো জানসেনের। ৩৭ রানে ২ উইকেট কেশব মহারাজের।

    লজ্জার রেকর্ড

    দেশের মাটিতে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে এটি ভারতের (India Vs South Africa) সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০০৬ সালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ ইনিংসে ১০০ রানে অল আউট হয়েছিল ভারত। সেই রেকর্ড এ দিন ভেঙে গেল। সব মিলিয়ে টেস্টে এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান তাড়া করতে গিয়ে হার। ১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বার্বাডোজে ১২০ রান তাড়া করতে পারেনি ভারত। দেশের মাটিতে এটিই ভারতের সর্বনিম্ন রান তাড়া করতে গিয়ে হার। গত বছর স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলতে গিয়ে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে ০-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ় হেরেছিল গম্ভীরের ভারত। এ বার হার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। একই ভাবে। দু’টেস্টের সিরিজ় জেতার আর সুযোগ নেই ভারতের সামনে। গুয়াহাটিতে জিতে খুব বেশি হলে ড্র করতে পারেন শুভমনেরা।

  • India vs South Africa:  সব ছাপিয়ে প্রশ্নের মুখে ইডেনের ২২ গজ, রবিতেই শেষ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ?

    India vs South Africa: সব ছাপিয়ে প্রশ্নের মুখে ইডেনের ২২ গজ, রবিতেই শেষ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডেন টেস্ট শুরু হওয়ার আগে থেকেই পিচ নিয়ে প্রচুর জল্পনা হয়েছে। খেলা শুরু হতেই পিচ নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে উঠল। ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে রবিবার তৃতীয় দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট। ইডেন গার্ডেন্সের ২২ গজে ব্যাটারদের ‘অসহায়তা’ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে পিচের মান নিয়ে। অনিল কুম্বলে, চেতেশ্বর পুজারাদের মতো বিশেষজ্ঞেরা বিরক্ত। ম্যাচের প্রথম দিনের খেলার পরই পিচের সমালোচনা করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ। দু’দিনে পড়ল ২৬ উইকেট, সর্বোচ্চ রান ৩৯।

    ইডেনের পিচ নিয়ে বিরক্ত প্রাক্তনরা

    ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি এমন উইকেট তৈরি করেছেন, যেখানে খেলা পাঁচ দিনই গড়াবে। কিন্তু ম্যাচ বলছে অন্য কথা। সুজন দাবি করেছিলেন, স্পোর্টিং উইকেট তৈরি করেছেন। ব্যাটার-বোলার সকলেই কিছু না কিছু সাহায্য পাবেন। দর্শকেরা উপভোগ্য টেস্ট ক্রিকেট দেখতে পাবেন চার-পাঁচ দিন ধরে। যদিও খেলার গতিপ্রকৃতি তা বলছে না। অসমান বাউন্স থাকা পিচকে বিপজ্জনক বললেন পুজারা। শনিবার চা বিরতির সময় পিচ নিয়ে আলোচনার সময় কিছুটা বিরক্ত মনে হল ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে। তিনি বলেছেন, ‘‘এই পিচ ব্যাটারদের সাহায্য করছে না। আউটগুলো দেখলেই ব্যাটারদের অসহায়তা বোঝা যাবে। তাদের বিশেষ কিছু করার থাকছে না। বল কোন উচ্চতায় আসবে বোঝা যাচ্ছে না। কোনও বল লাফিয়ে উঠছে। আবার কোনওটা নেমে যাচ্ছে। পিচে বেশ কিছু ছোট ফাটল তৈরি হয়েছে। বল পড়ে প্রত্যাশার থেকে বেশি ঘুরছে।’’

    পিচ নিয়ে বিরক্তি দু’শিবিরেই

    পিচ নিয়ে বিরক্তি রয়েছে দু’শিবিরেই। প্রথম দিন চা বিরতির পর থেকেই ধুলো উড়তে শুরু করেছিল ইডেনের পিচে। দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই ফাটল দেখা গিয়েছে। অসমান বাউন্সের সমস্যা তো রয়েছেই। খুশি নন কুম্বলেও। শনিবার বুমরার হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা একটা বলে জোর বেঁচে যান দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রায়ান রিকেলটন। বড় আঘাত পেতে পারতেন তিনি। তা দেখে কুম্বলে বলেন, ‘‘পিচ কেমন আচরণ করবে বোঝাই যাচ্ছে না। এমন পিচ প্রত্যাশিত নয়। ভারতকে এখানে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হবে। আমার তো মনে হচ্ছে তৃতীয় ইনিংসে ব্যাট করাই কঠিন হবে বেশ। জয়ের লক্ষ্য ১৪০-১৫০ রানের বেশি হলে ভারতীয় দলকেও সমস্যায় পড়তে হতে পারে।’’

    ইডেনের পিচে সমস্যায় ব্যাটাররা

    ঘরের মাঠে ভারতীয় দল কোনও সুবিধা পাচ্ছে না। ইডেন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৮৯ রানেই অলআউট হয়ে গেল ভারতীয় দল। গতকাল টেস্টের প্রথম দিনে বল হাতে জাদু দেখিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। আর শনিবার বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন সাইমন হার্মার। তিনি মাত্র ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধা করতে পারছেন না প্রোটিয়া ব্যাটারেরাও। জাডেজা, কুলদীপ, অক্ষরেরা বল ঘোরাচ্ছেন। বাউন্সও পাচ্ছেন! বল পিচে পড়ার পর কেমন আচরণ করবে বোঝা যাচ্ছে না। বাভুমা ছাড়া কেউ লড়াই করতে পারলেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন ২৯ রানে। ৭৮ বলের ইনিংসে প্রমাণ করে দিলেন তাঁর রক্ষণ কতটা মজবুত।

    দায় এড়াতে পারবেন না সৌরভও

    দ্বিতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে ৬৩ রানে। তাদের হাতে রয়েছে ৩ উইকেট। বাভুমারা সুবিধাজনক জায়গায় নেই ঠিকই। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে এই রানটা তোলাও কঠিন হতে পারে। শুভমন ব্যাট করতে না পারলে আরও কঠিন। স্বাভাবিক ভাবেই পিচের মান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে সিএবিকে। নিশ্চিত ভাবে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (ICC)। সিএবি-র সভাপতি হিসেবে দায় এড়াতে পারবেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। এখন একমাত্র ভারতের জয়ই ইডেনের মান বাঁচাতে পারে।

  • India vs South Africa: টেস্ট ক্রিকেটের মাহাত্ম্য দেখাল ভর্তি ইডেন, প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত

    India vs South Africa: টেস্ট ক্রিকেটের মাহাত্ম্য দেখাল ভর্তি ইডেন, প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটের উন্মাদনা যে এরকম হতে পারে, তা ইডেন না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। একেবারে হাউসফুল গ্যালারি বলা চলে। মধ্যাহ্নভোজের পর তো গ্যালারির কোথাও সেভাবে ফাঁকা দেখাই গেল না। টেস্ট ক্রিকেটেও ইডেনের গ্যালারি যেন টি-টোয়েন্টির মেজাজ দেখাল। বুমরা, সিরাজ, কুলদীপদের জন্য দর্শকদের চিৎকার আর চেনা মেক্সিকান ওয়েভ। ইডেন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের প্রথম দিন গ্যালারিতে উপস্থিত ৩৫০২২ দর্শক। প্রথম দিনের শেষে ২০ ওভারে ভারতের স্কোর ৩৭/১। কে এল রাহুল ১৩ রানে ও ওয়াশিংটন সুন্দর ৬ রানে অপরাজিত। দ্বিতীয় দিন শনিবারও গ্যালারি ভরবে বলার অপেক্ষা রাখে না। একে ছুটির দিন, তার উপর ব্যাট করবেন গিল-রাহুলরা।

    বুমরার বাউন্সে কাহিল

    ইডেনে তেম্বা বাভুমার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টস হারেন ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন বাভুমা। শুরুটা খারাপ করেননি দুই ওপেনার এডেন মার্করাম এবং রায়ান রিকেলটন। দিনের শুরুতে তাঁদের আগ্রাসী মেজাজে দেখে মনে হচ্ছিল টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে একদম ঠিক করেছেন বাভুমা। কিন্তু বুমরা-কুলদীপদের দাপট শুভমন গিলের টস-হতাশা উধাও করে দিল প্রথম দু’ঘণ্টাতেই। বুমরার লাইন-লেংথে বার বার ঠকে গেলেন প্রোটিয়া ব্যাটারেরা। নিখুঁত জায়গায় বল রেখে গেলেন। খেলার অযোগ্য ইয়র্কার দিলেন। ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে নিলেন অনায়াসে। তাঁকে সঙ্গ দিলেন কুলদীপ যাদব। কয়েক দিন পরই তাঁর বিয়ে। ভাল ফর্মে রয়েছেন। ২ উইকেট নিলেন ৩৬ রান খরচ করে। প্রথম দিনের ২২ গজ থেকে যে স্পিনারেরা দারুণ সাহায্য পেয়েছেন, তা নয়। তবু কুলদীপের বল পড়তে পারলেন না টেম্বা বাভুমা, উইয়ান মুলডারেরা। দুটি উইকেট নিলেন সিরজাও আর একটি নিলেন অক্ষর প্যাটেল। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও ব্যাটারই দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রথম ইনিংস শেষ হল ১৫৯ রানে। ৫৫ ওভার ব্যাট করলেন তাঁরা।

    সাবধানী ভারত

    ভারতের ব্যাটারেরা ২২ গজে বেশ সাবধানী। দক্ষিণ আফ্রিকার হাল দেখে লোকেশ রাহুলেরা ঝুঁকি নিয়ে হাল (পড়ুন ব্যাট) চালাতে চাইছেন না। যশস্বী জয়সওয়াল (১২) রান পেলেন না। মার্কো জানসেনের বলের লাইন বুঝতে পারলেন না। রাহুল দুর্গ আগলাচ্ছেন ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে। দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দল এক উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান করেছে। কেএল রাহুল ১৩ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ৬ রানে ব্যাট করছেন। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দল ১২২ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে পিছিয়ে রয়েছে। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্টের ২২ গজ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে যথেষ্ট টানাপোড়েন চলেছে। গৌতম গম্ভীরের পছন্দ হয়নি ২২ গজ। সিএবির প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়কে নিজের আপত্তি জানান ভারতীয় দলের কোচ। সুজন অবশ্য পিচের চরিত্র পরিবর্তনের চেষ্টা করেননি। তবু যতটা পেরেছেন শেষ তিন-চার দিনে ২২ গজকে গম্ভীরের পছন্দ মতো করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাতে সমস্যা কিনা, তা এখনই বলা কঠিন। তবে ইডেনের ২২ গজে আপাতত সাবধানী ভারতও।

    কড়া নিরাপত্তা ইডেনে

    দীর্ঘ ৬ বছর পর কলকাতায় টেস্ট (Test Cricket)। তাও আবার টেস্ট বিশ্বজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে খেলছে শুভমন গিলের ভারত (India)। ইডেন জুড়ে এবারে নিরাপত্তা বেশ জোরদার করা হয়। রাজধানীতে বিস্ফোরণের জেরে আরও টাইট সিকিউরিটি শহরের একাধিক জায়গায়। টেস্টের প্রথম আধঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেখা গেল একাধিক গেটের বাইরে লম্বা লাইন। কড়া চেকিংয়ের পরই গ্যালারিতে ঢুকতে পারছেন দর্শকরা। গ্যালারিতেও দেখা গেল পুলিশের কড়া নজরদারি।

     

     

     

  • India vs South Africa: নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ইডেন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্যে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত ভারত

    India vs South Africa: নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ইডেন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্যে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট জ্বরে কাঁপছে কলকাতা। ইডেনে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট। তবে, দিল্লি বিস্ফোরণের পর দেশে জারি হয়েছে উচ্চ সতর্কতা তাই নিরাপত্তায় কোনওরকম ফাঁক রাখতে চায় না কলকাতা পুলিশ। গোটা ইডেনকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। খেলা চলাকালীন দর্শকদের ভিড়ের মধ্যেই থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ, আর বাইরে–ভিতরে ফেন্সিং জুড়ে মোতায়েন থাকবে বিশাল বাহিনী। ক্লাবহাউস ও ভিভিআইপি জোনেও থাকবেন সিনিয়র অফিসাররা। এছাড়াও স্টেডিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, কুইক রেসপন্স টিম (QRT) সহ একাধিক বিশেষ ইউনিট মোতায়েন থাকবে।

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্য

    ছ’বছর পর আবার ইডেন গার্ডেনে ফিরছে টেস্ট ক্রিকেট। বহুপ্রতীক্ষিত ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্ৰিকা (India vs South Africa) ম্যাচকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শহরজুড়ে উন্মাদনা। কিন্তু ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল জানিয়ে দিলেন, এই ম্যাচ শুধু আবেগ নয়। বরং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পথে এক বড় পরীক্ষা। আর তাই প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে তিনি যেমন সমীহ করছেন, তেমনই চ্যালেঞ্জ নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও জানালেন। গিল বলেন, “বুধবার পিচ যেমন দেখেছিলাম, আজ এসে দেখছি একটু আলাদা। কাল সকালে আবার দেখলেই নিশ্চিতভাবে বোঝা যাবে। আপাতত দেখে মনে হচ্ছে পিচ শুকনো, যেখানে রিভার্স সুইং ভূমিকা নিতে পারে।”

    ইডেনের পিচ নিয়ে চিন্তা

    ইডেনের কিউরেটরের কাছে ভারতীয় দল নাকি আবদার করেছে প্রথম দিন থেকেই বল টার্ন করানোর। তবে গিল এও মনে করিয়ে দেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার হাতেও মহারাজ, মুত্থুস্বামী, হারমারের মতো স্পিনার আছে। তাই লড়াই যে সমানে সমান হবে, সেটা বলাই যায়।” রঞ্জিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও মহম্মদ শামির বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই গিল স্পষ্টভাবে বলেন, “শামি ভাইয়ের মতো বোলারকে বাদ দেওয়া সত্যিই কঠিন। কিন্তু সিরাজ, বুমরাহ, আকাশ প্রত্যেকেই দারুণ ফর্মে আছে। এই সিদ্ধান্ত নির্বাচকদের। আমাদের পেসাররা জানে, ভারতের পিচে কীভাবে সফল হতে হয়।” সিরিজের গুরুত্বের প্রসঙ্গে গিল বলেন, “বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে গেলে এই সিরিজে ভালো খেলতেই হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা খুবই শক্তিশালী দল। কঠিন মুহূর্ত আসবে, কিন্তু আমরা জানি কীভাবে সেটা সামলাতে হয়। চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমরা।”

    নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ইডেন

    দিল্লি বিস্ফোরণের পর শুধু মাঠের ভিতরে নয়, ইডেনের চারপাশেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে তৈরি হচ্ছে বাঙ্কার, যেখানে থাকবেন কমব্যাট ফোর্সের সদস্যরা। স্টেডিয়াম ঘিরে বেশ কয়েকটি রাস্তায় শুক্রবার থেকে যান চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ আনা হবে। এছাড়াও স্টেডিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, কুইক রেসপন্স টিম (QRT) সহ একাধিক বিশেষ ইউনিট মোতায়েন থাকবে। ম্যাচের ৫ দিন ইডেন গার্ডেন সহ ময়দান এলাকায় সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সমস্ত রকম পণ্যবাহী যানচলাচল (Kolkata) বন্ধ রাখা হবে।

    দুরন্ত ফর্মে ভারত

    শুভমান গিলের (Shubman Gill) নেতৃত্বে ভারতীয় নতুন টেস্ট দল বর্তমানে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের (India vs England Test Series) বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল ব্লু ব্রিগেডরা। এরপর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India vs West Indies Test Series) বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে জয় ছিনিয়ে নিয়ে প্রভাব ফেলেছে তারা। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa Test Series) বিপক্ষে লাল বলের ক্রিকেটে মাঠে নামতে চলেছে ঋষভ পন্থরা (Rishabh Pant)। এই বছর প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC) ফাইনালে পৌঁছেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা ফাইনালে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার (AUS vs SA) বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল। গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে শক্তিশালী অজি বাহীনিদের ৫ উইকেটে হারিয়ে আইসিসি (ICC) ট্রফি জয় করে প্রোটিয়ারা। ফলে ভারতের বিপক্ষে তাদের আসন্ন টেস্ট সিরিজ জমজমাট হয়ে উঠতে চলেছে।

     

  • PM Modi Meets Indian Cricketers: প্রধানমন্ত্রীই অনুপ্রেরণা! জানালেন হরমনরা,ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে এগিয়ে আসার আহ্বান মোদির

    PM Modi Meets Indian Cricketers: প্রধানমন্ত্রীই অনুপ্রেরণা! জানালেন হরমনরা,ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে এগিয়ে আসার আহ্বান মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারীশক্তির দাপটে বিশ্বমঞ্চে গর্বিত হয়েছে ভারত। প্রথমবার মহিলাদের বিশ্বকাপ এসেছে দেশে। ইতিহাস গড়া হরমনপ্রীত কৌরের ব্রিগেডকে এবার সংবর্ধনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, ভারকীয় মহিলা ক্রিকেট দলের এই সাফল্য দেশের প্রতিটি মেয়েকে উজ্জবীতি করবে। নতুন প্রেরণা জোগাবে। ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে মেয়েদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে ভারতের মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের আপ্যায়ন করেন।

    স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন হরমনপ্রীত

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দলকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের লাগাতার তিনটি পরাজয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার হওয়ার পরে টুর্নামেন্টে তাদের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, ভারতীয় দল লিগ পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অধিনায়ক হরমনপ্রীত জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি কীভাবে সবসময় বর্তমানে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান যে, এটি তাঁর জীবনের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে, অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারলিন দেওলের ক্যাচটির কথাও স্মরণ করেন, যা নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন হরমনপ্রীত। তাঁর মনে পড়ে গিয়েছিল আট বছর আগের কথা। ২০১৭ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে মাত্র ৯ রানে হারের পরও তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে সেবার ট্রফি ছাড়াই। এবার যেন সব আক্ষেপ মেটালেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা।

    প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁদের অনুপ্রেরণা

    স্মৃতি মন্ধানা বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছেন এবং তিনি সকলের জন্য অনুপ্রেরণা ছিলেন। তিনি জানান যে, কীভাবে আজ মেয়েরা প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কারণে ভাল পারফর্ম করছে। দীপ্তি শর্মা বলেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দীপ্তি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি হাসিমুখে দীপ্তির ইনস্টাগ্রামে লেখা ‘জয় শ্রী রাম’ এবং তাঁর হাতে থাকা ভগবান হনুমানের উল্কির কথাও উল্লেখ করেন। দীপ্তি বলেন, “ওই উল্কি ও বিশ্বাসই আমাকে শক্তি জোগায়।”

    ‘ফিট ইন্ডিয়া’ আন্দোলনের বার্তা

    গত বছর ভারতের পুরুষদের দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের পরনে ছিল ভারতের জার্সি। তবে হরমনপ্রীতেরা জার্সির বদলে ফরম্যাল পোশাকে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন হরমনপ্রীতেরা। মোদির হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি তুলে দেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবিও তোলেন। সকল ক্রিকেটারের সই করা একটি জার্সিও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন হরমনপ্রীত। সেই জার্সির নম্বর ‘১’। তাতে লেখা রয়েছে ‘নমো’। সব শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি খেলোয়াড়দের ‘ফিট ইন্ডিয়া’ আন্দোলনের বার্তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আজকের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্থূলতা বাড়ছে। তাই শরীরচর্চা ও সুস্থ থাকার বার্তা প্রতিটি স্কুলে, প্রতিটি মেয়ের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”

LinkedIn
Share