Tag: India

India

  • Ruchira Kamboj: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি ভারতের, ফের জানালেন রুচিরা

    Ruchira Kamboj: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি ভারতের, ফের জানালেন রুচিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভারত যে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, বিশ্বমঞ্চে ফের একবার তা জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj)। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখছিলেন রুচিরা। ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ সলিডারিটি উইথ প্যালেস্তাইন পিপল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল এদিন। সেই উপলক্ষেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি।

    ‘তামাম বিশ্বে মানবতার সঙ্কট’

    তিনি বলেন, “প্যালেস্তাইনে নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক ঐতিহাসিক। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যেও সম্পর্ক রয়েছে। প্যালেস্তাইনের বাসিন্দারা যাতে রাষ্ট্র ও শান্তি-সমৃদ্ধি পান, সেজন্য তাঁদের পাশে রয়েছে ভারত।” এর পরেই রুচিরা (Ruchira Kamboj) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে ভারত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। আমরা এটাও বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক মানবতা আইন সকলেরই মেনে চলা উচিত।” বর্তমান বিশ্বে যে মানবতার সঙ্কট চলছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রুচিরা। তিনি বলেন, “মানবতার এই সঙ্কটের দিনে মানবতা রক্ষায় চূড়ান্ত দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন বিশ্বের প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই।”

    গাজার অসহায়দের পাশে ভারত

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের জেরে বিপর্যস্ত গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দারা। এই গাজা স্ট্রিপেই ঘাঁটি গেড়েছিল প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র সংগঠন। এই সংগঠনই প্রথম হামলা চালায় ইজরায়েলে। প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। এই যুদ্ধের জেরেই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাজা স্ট্রিপ। গাজার অসহায় নাগরিকদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে ত্রাণ পাঠায় ভারত। এদিন সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে রুচিরা বলেন, “গাজা স্ট্রিপে ৭০ টন মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে ১৬.৫ টন ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “৭ অক্টোবর, প্রথম যেদিন ইজরায়েলের ওপর হামলা হয়েছিল, সে সম্পর্কেও আমরা জানি। আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সন্ত্রাসবাদের পক্ষে কোনও যুক্তিই খাড়া করা যায় না। আবার গাজায় যেসব নিরীহ মানুষ যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের নিয়েও ভারত উদ্বিগ্ন।” রুচিরা (Ruchira Kamboj) বলেন, “ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন ইস্যুতে ভারত বরাবরই আলোচনার পক্ষে। প্যালেস্তাইন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক, ভারত তা চায়। দুই দেশের সীমান্তেই বজায় থাকুক কাঙ্খিত শান্তি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Gautam Gambhir: ভারতের হারে উচ্ছ্বাস! পাকিস্তান সমর্থকদের তুলোধনা গম্ভীরের

    Gautam Gambhir: ভারতের হারে উচ্ছ্বাস! পাকিস্তান সমর্থকদের তুলোধনা গম্ভীরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত একদিনের বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2023) ক্রিকেটের আসরে পুরো টুর্নামেন্ট অপরাজেয় থেকেও ফাইনালে হেরে গিয়েছে ভারত। রোহিতদের এই পরাজয়ে উচ্ছ্বসিত বহু পাকিস্তানি সমর্থক। সোশ্যাল সাইটে তারা ভারতের এই পরাজয় উদযাপন করেছেন। এই মনোভাবের সমালোচনা করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। একই সঙ্গে তিনি ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও অধিনায়ক রোহিত শর্মার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তবে রোহিতের একটি মন্তব্য মেনে নিতে পারেননি গম্ভীর। 

    খেলোয়াড়োচিত মানসিকতা কাম্য

    ভারতের পরাজয়ে পাকিস্তানের সমর্থকরা সোশ্যাল সাইটে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, তার সমালোচনা করেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। তিনি বলেন,”নিজের দলকে সমর্থন করা ভাল। তাদের জয়-পরাজয়ের গঠনমূলক আলোচনা করুক সমর্থকেরা। কিন্তু নিজের দল সাফল্য না পেলে অন্য দলের পরাজয় কামনা করা ঠিক নয়। এই ধরনের আচরণ বৈরিতা বাড়ায়।” অনুরাগীদের এই আচরণের সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রামও। তাঁর কথায়, “এটা আসলে একটা খেলা। এখানে হার-জিত রয়েছে। হতাশা এলেও সমর্থকেরা যেন বিদ্বেষী না হন।”

    আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে সরছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! জানেন আয়োজনের নয়া দাবিদার কারা?

    রোহিত-দ্রাবিড় প্রসঙ্গ

    বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2023) ফাইনালের আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানিয়ে ছিলেন যে এবারের বিশ্বকাপটা তিনি রাহুল দ্রাবিড়ের জন্য জিততে চান। রোহিতের সেই বক্তব্য মেনে নিতে পারছেন না গম্ভীর (Gautam Gambhir)। তিনি বলেন, “দেশের জন্য বিশ্বকাপ জয়ের কথা ভাবা উচিত। বিশেষ কোনও ব্যক্তির জন্য নয়। রাহুল দ্রাবিড় বিশ্বকাপ জেতার বিষয়ে অবশ্যই যোগ্যতম ব্যক্তি। কিন্তু তাই বলে বিশেষ একজনের জন্য বিশ্বকাপ জিততে হবে এটা ভেবে নেওয়া এবং দলের অধিনায়ককে সাংবাদিকদের সামনে সেই কথা বলার কোনও মানে হয় না।” বিশ্বকাপের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে ইতিমধ্যেই দ্রাবিড়ের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে গম্ভীরের কথায়, রাহুল দ্রাবিড় যদি নিজে চান, তাহলে তাঁর চুক্তির মেয়াদ অবশ্যই বাড়ানো যেতে পারে। গম্ভীর বলেন, “গোটা একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া যে পারফরম্যান্স করেছে, সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। যদি আমরা একটা ম্যাচ দিয়েই কোন কোচকে বিচার করতে যাই, তাহলে সেটা অবশ্যই ভুল হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia T20: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে ৪৪ রানে জয়ী ভারত

    India vs Australia T20: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে ৪৪ রানে জয়ী ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল রোহিত শর্মার ভারত। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে (India vs Australia T20) জয়ী হল ভারত। রবিবার প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। ভারতের স্কোর হয় ২৩৫। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৩৬ রানের টার্গেট বেঁধে দেয় ভারত।

    ভারতের স্কোর ২৩৫

    রবিবাসরীয় সন্ধেয় ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত করে ২৩৫ রান। ভারতের তরফে অর্ধশতরান করেন যশস্বী, ঈশান ও ঋতুরাজ। শেষের দিকে ঝড় তুলেছিলেন রিঙ্কু সিংহ। ৯ বলে তিনি করেন ৩১ রান। থাকেন অপরাজিত। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেল ভারত। তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে কিউদের ৪৪ রানে পরাস্ত করল সূর্যকুমারের দল। টস করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান স্কিপার ম্যাথু ওয়েড। টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান তিনি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে খেলতে থাকে ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়।

    মাঠ দাপাল ভারত 

    মাত্র (India vs Australia T20) ২৩ বলে এই ওপেনার জুটি করে ৫০ রান। এদিন ১৪.১ ওভারে ১৫০ রান করে টিম ইন্ডিয়া। তার পরেই ২৯ বলে ফের অর্ধশত রান করেন ঈশান কিষান। ৫২ বলে অবশ্য আউট হয়ে যান ঈশান। তাঁকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন মার্কুয়াস স্টয়নিস। ভারতের এই জয়ের জেরে টি২০ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সূর্যকুমারের দল। ২০ ওভারে ৯ উইকেট খুইয়ে ১৯১ রানেই থমকে যেতে হয় টিম অস্ট্রেলিয়াকে। স্টয়নিসের উইকেটটি নেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মুকেশ কুমার। অক্ষর পটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান তিনি। অক্ষর পটেল নিয়েছেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে তিনটি উইকেট নেন নাথান এলিস। আর মার্কাস নেন একটি। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে এটিই ভারতের সর্বাধিক স্কোর। টি২০ আন্তর্জাতিক সেরার তালিকায় এই ইনিংস থাকছে পঞ্চম স্থানে।

    আরও পড়ুুন: “ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে” বিস্ফোরক দিলীপ

    টিম ইন্ডিয়ায় অলরাউন্ডার তথা স্কিপার হার্দিক পান্ডের অভাব চোখে পড়ছিল প্রথম থেকেই। গোড়ালিতে চোট পেয়ে ম্যাচ থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ভারত করে ৩ উইকেটে ২৪০ রান। গত বছর অক্টোবরে গুয়াহাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারত করে ৩ উইকেটে ২৩৭ রান। এই খেলায় ১৬ রানে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া (India vs Australia T20)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MEA: নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে আমেরিকা, গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    MEA: নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে আমেরিকা, গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংগঠিত অপরাধী, বন্দুকবাজ, সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্য বিষয়ে ভারতকে তথ্য দিল আমেরিকা। সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল ভারত ও আমেরিকা। দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকেই ভারতের হাতে নানা তথ্য তুলে দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দেশের প্রতিনিধি। এই বৈঠকে দুই দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও হয়েছে আলোচনা।

    কী বললেন অরিন্দম বাগচি?

    ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমেরিকার দেওয়া এই তথ্যগুলিকে ভারত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। যেহেতু এর সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়গুলি যুক্ত রয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তথ্যগুলি দুই দেশের পক্ষেই উদ্বেগের কারণ। এজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমেরিকার দেওয়া তথ্যগুলিকে ভারত সিরিয়াসলি নিচ্ছে। যেহেতু এগুলি ভারতের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। আমেরিকার দেওয়া তথ্যগুলি সংশ্লিষ্ট বিভাগ যাচাই করেও দেখেছে।”

    ২+২ বৈঠক

    নভেম্বরের ১০ তারিখে ২+২ বৈঠকে বসে ভারত ও আমেরিকা। বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ও সে দেশের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ভারতের তরফে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক (MEA) বাণিজ্য, নিরাপত্তা, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ সহ নানা বিষয় উঠে এসেছে। কানাডায় বৃদ্ধি পাওয়া সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ভারতের তরফে।

    আরও পড়ুুন: ‘হিন্দুইজম’ নয়, সনাতন ধর্মকে বোঝাতে ব্যবহৃত হোক ‘হিন্দুত্ব’, সিদ্ধান্ত হিন্দু কংগ্রেসে

    গত জুন মাসে কানাডায় খুন হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। এই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে কানাডা। তলানিতে ঠেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। সেই সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসন সাফ জানিয়েছিল, কানাডার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে এই ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের বিচার ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। আমেরিকার এমন অবস্থান ভাল চোখে দেখেনি নয়াদিল্লি। সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার বুকে দাঁড়িয়েই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “কানাডা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক। আমাদের উচিত এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ভারত সব সময় এর বিরোধিতা করবে। আমেরিকা যখন কানাডা নিয়ে কথা বলে তখন তাদের দৃষ্টিভঙ্গী অন্যরকম থাকে। আমরা যখন কানাডা নিয়ে কথা বলি, তখন আমরা অনেক কিছু খুঁজে পাই। এনিয়ে আমেরিকানদের সঙ্গে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক (MEA) দৃঢ়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Darjeeling: ক্রিকেটে ভারতের হারে নিম্নরুচির উল্লাস! দার্জিলিংয়ে বন্ধ বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং

    Darjeeling: ক্রিকেটে ভারতের হারে নিম্নরুচির উল্লাস! দার্জিলিংয়ে বন্ধ বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে ভারত হেরে গেলে বাংলাদেশের একাংশ মানুষকে ব্যাপক নিম্নরুচির উল্লাস বিনিময় করে সামাজিক মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে দার্জিলিং (Darjeeling) এবং সিকিমের একাধিক হোটেলে বাংলাদেশিদের বুকিং নেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের একাধিক হোটেলে প্রবেশাধিকার বন্ধ করার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। যদিও হোটেল মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তেমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে। একই রকম ভাবে রায়গঞ্জের হোটেলেও প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কেন বন্ধ হোটেল (Darjeeling)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৯ নভেম্বর। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ফাইনাল ম্যাচ ছিল। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। টসে অস্ট্রেলিয়া জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ভারতকে ব্যাট করতে হয়। পরে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে হারিয়ে দেয়। আর এরপর থেকেই ভারতের পরাজয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক উল্লাসের চিত্র সামজিক মাধ্যমে দেখা যায়। ভারতের ক্রিকেটকে অপমানের পাশাপাশি ভারতের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে নিয়ে নিম্নরুচির মিম বানানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতেও ক্ষোভের চিত্র দেখা যায়। প্রতিবাদে দার্জিলিং (Darjeeling), সিকিমের বেশ কিছু হোটেলে বাংলাদেশের পর্যটকদের বুকিং বন্ধ করে হোটেল মালিকেরা।

    হোটলে মালিকদের বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং (Darjeeling) এবং সিকিমে সব মিলিয়ে প্রায় ১১ টি হোটেলে বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং বাতিল করা হয়েছে। হোটেল চেনের মালিক বর্ধমানের এক বাসিন্দা রাম সরকার বলেন, “এটা কোনও সংগঠিত সিদ্ধান্ত নয়, ব্যক্তিগত ভাবে আমার সিদ্ধান্ত। আমরা ৪ টি হোটেল বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য বুকিং বাতিল ঘোষণা করেছি। যে ভাবে ভারতকে বাংলাদেশিরা অপমান করছেন, তাতে আমরা খুব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি। তাছাড়া বাংলাদেশিরা ভিসার ছবি পাঠিয়ে বুকিং করলেও অনেক সময় আসেন না। তাই প্রবেশ নিষিদ্ধ করছি।”

    উল্লেখ্য হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজয় খান্না বলেন, “সংগঠনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও তেমন নিষিদ্ধের কথা ঘোষণা করা হয়নি। ব্যক্তিগত হোটেল মালিকের সিদ্ধান্ত।”

    রায়গঞ্জে বন্ধ হল হোটেল

    দার্জিলিং-এর পর এবারে রায়গঞ্জ। রায়গঞ্জ শহরের বিশিষ্ট হোটেল ব্যবসায়ী অরিন্দম সিংহ রায় বলেন, “সবার আগে দেশ। তাই বাংলাদেশি সমর্থকদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমার দুটো হোটেলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কোনও বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘর ভাড়া দেবো না। তাতে ব্যবসায় ক্ষতি হয় হোক।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Canada Relation: কানাডাবাসীর জন্য ফের ই-ভিসা পরিষেবা চালু করল ভারত, বার্তা ট্রুডোকে!

    India Canada Relation: কানাডাবাসীর জন্য ফের ই-ভিসা পরিষেবা চালু করল ভারত, বার্তা ট্রুডোকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু’ মাসের মধ্যেই কানাডাবাসীর জন্য ই-ভিসা পরিষেবা চালু করল ভারত (India Canada Relationship)। কানাডায় শিখ নেতা খুনের পর তলানিতে ঠেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। তার জেরে ২১ সেপ্টেম্বর কানাডার নাগরিকদের ই-ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। পরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ২৬ অক্টোবর থেকে কানাডার নাগরিকদের ‘এন্ট্রি ভিসা’, ‘বিজনেস ভিসা’, ‘মেডিকেল ভিসা’ ও ‘কনফারেন্স ভিসা’ দেওয়া হবে। কানাডায় ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয়কুমার বর্মা বলেছিলেন, “কেবল চারটি ক্ষেত্রে ফের ভিসা দেওয়া চালু হয়েছে।” তবে বুধবার থেকে সব নাগরিককেই ই-ভিসা পরিষেবা দেওয়ার কথা জানাল ভারত। এই ভিসা ফের চালু হলে ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন কানাডার নাগরিকরা।

    কানাডাকে বার্তা

    এদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় উদ্বোধন হবে ভার্চুয়ালি জি২০ বৈঠকের। বৈঠকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উপস্থিত থাকবেন না। তবে যোগ (India Canada Relation) দেবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে গরহাজির থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। যদিও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। এহেন আবহে ই-ভিসা পরিষেবা চালু করে নয়াদিল্লি কানাডাকে বার্তা দিতে চাইছে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    ভারত-কানাডা সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসে কানাডায় খুন হন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্সে’র প্রধান হরদীপ সিং নিজ্জর। তিনি কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান ছিলেন। গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। ওই ঘটনায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে কানাডা। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদে নিজ্জর খুনে ভারতের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন। ট্রুডোর দাবিকে অবাস্তব ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নস্যাৎ করে নয়াদিল্লি। কানাডার অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণও চায় ভারত। কানাডার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তলানিতে ঠেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক।

    আরও পড়ুুন: ধর্মতলায় ‘শাহি’ সমাবেশ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দুয়ারে রাজ্য

    কানাডা থেকে গম আমদানি কমিয়ে দেয় ভারত। বিপাকে পড়েন কানাডার কৃষকরা। কারণ কানাডা থেকে সব চেয়ে বেশি গম আমদানি করে ভারত। তার জেরে ফসলের উচ্চমূল্য পান কানাডার কৃষকরা। আমদানি কমাতেই কানাডায় কমে যায় গমের দাম। তার পরেই সুর নরম করে কানাডা। ই-ভিসা পরিষেবা ফের চালু করে ভারত কানাডাকে বার্তা পাঠাল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: লোহিত সাগরে ছিনতাই ভারতমুখী পণ্যবাহী জাহাজ! লোপাটের নেপথ্যে হুথি?

    Israel Hamas War: লোহিত সাগরে ছিনতাই ভারতমুখী পণ্যবাহী জাহাজ! লোপাটের নেপথ্যে হুথি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে ছিনতাই হয়ে গেল পণ্যবাহী জাহাজ। ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের ওই জাহাজটির আসার কথা ছিল ভারতে। ইজরায়েলের (Israel Hamas War) দাবি, জাহাজটি ছিনতাই করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুথি। হুথির পাশাপাশি জাহাজ ছিনতাইয়ের নেপথ্যে রয়েছে ইরানের হাতও।

    ভারতে আসার পথে ছিনতাই 

    ব্রিটেনের একটি সংস্থার মালিকানাধীন জাহাজটি জাপানের একটি সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী নিয়ে জাহাজটি ভারতের দিকে যাচ্ছিল। জাহাজে ছিলেন ইউক্রেন, বেলারুশ, মেক্সিকো সহ বিভিন্ন দেশের ২৫ জন কর্মী। পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাই করার অভিযোগ কবুল করেছে হুথি। ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠনটি জানিয়েছে, একটি ইজরায়েলি পণ্যবাহী জাহাজকে দক্ষিণ লোহিত সাগরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হুথির তরফে জানানো হয়েছে, জাহাজে থাকা ২৫ জন কর্মীকে ইসলামিক রীতিনীতি ও আদর্শ অনুযায়ী হেফাজতে রাখা হবে।

    কী বলছে ইজরায়েল?

    ইজরায়েলি (Israel Hamas War) সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ লোহিত সাগরে ইয়েমেনের কাছে হুথিরা একটি পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণ করেছে। জাহাজটি তুরস্ক থেকে ভারতের পথে রওনা হয়েছিল। যাত্রাপথে সেটি অপহৃত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের নাগরিক সেই জাহাজে রয়েছে। তবে এটি ইজরায়েলি জাহাজ নয়।  ইজরায়েলের কোনও নাগরিকও এই জাহাজে ছিলেন না। গোটা বিশ্বে এর প্রভাব পড়বে। ঘটনার জেরে ইরানকেও দুষছে ইজরায়েল। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সচিবালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের মদতে আন্তর্জাতিক জলপথের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘মাথা উঁচু করে ফিরব’, ভারতীয় দলকে ভরসা জোগালেন শুভেন্দু

    গত ৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপের হামাস প্রথম ইহুদি দেশ ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায়। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ইহুদিদের। ছোড়া হয় রকেটও। তার জেরে ইজরায়েলের বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। এর পরেই পাল্টা আঘাত হানে তেল আভিভ। ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপ দীর্ঘ দিন ধরে দখল করে রেখেছে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। সেই হামাসরাই ইজরায়েল আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। হামাসের পাশে দাঁড়ায় হুথিও। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও, পরোক্ষে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছে ইরানও। হামাস পাশে পেয়েছে তুরস্ককেও। মাসাধিক কাল ধরে চলা যুদ্ধে ইতিমধ্যেই দু’ পক্ষের অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের হানায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে হামাস। এমতাবস্থায় ছিনতাই করা হল আস্ত একটি জাহাজ। যারা ছিনতাই করল, তারা হামাসের সহযোগী। যুদ্ধের ((Israel Hamas War)) ‘রক্ত’ কতদূর গড়ায়, এখন তাই দেখার!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India’s GDP: ৪ লাখ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাল মোদির ভারত, এর আগে রয়েছে কারা?

    India’s GDP: ৪ লাখ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাল মোদির ভারত, এর আগে রয়েছে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের অর্থনীতিকে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায় এই প্রত্যয় ঝরে পড়তে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। তাঁর সেই আত্মবিশ্বাস যে নিছক স্বপ্ন নয়, ঘোর বাস্তব, তার প্রমাণ মিলল আজ, রবিবার। এদিন ৪ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের মাইল ফলক ছুঁয়ে ফেলল ভারত।

    মোদি সরকারের লক্ষ্য 

    জিডিপির (India’s GDP) নিরিখে আমেরিকা, চিন, জাপান এবং জার্মানির পরেই ঠাঁই করে নিল মোদির ভারত। ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপিকে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে মোদি সরকার। এদিন মিলল তারই প্রমাণ। প্রসঙ্গত, আইএমএফের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনলাইনে রিয়েল টাইমে বিভিন্ন দেশের জিডিপি দেখানো হয়। সেখানেই দেখা গেল ভারত রয়েছে পাঁচ নম্বরে।রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনুমান, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি (India’s GDP) বৃদ্ধি হবে ৬.৫ শতাংশ।

    ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির পরিমাণ 

    যদিও এই বৃদ্ধির পরিমাণ দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি হবে বলেই জানা গিয়েছে বহু সংস্থার অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিবেগ দেখে আমি আশা করছি, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধি আমাদের অবাক করে দিতে পারে।” প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি ঘটেছিল ৭.৮ শতাংশ।

    আইএমএফের জিডিপির তালিকায় দেখা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী জিডিপির তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিন। তৃতীয় স্থানটি দখল করেছে এশিয়ার দেশ, জাপান। চার নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ জার্মানি। পাঁচ নম্বরে ফের এশিয়ার দেশ ভারত। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ নম্বরে ছিল ব্রিটেন। সেই ব্রিটেনকে সরিয়ে পাঁচ নম্বর জায়গাটি দখল করেছে ভারত। এবার জিডিপির তালিকায়ও পাঁচ নম্বরে চলে এল মোদির দেশ।

    আরও পড়ুুন: কেরলের কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন উন্নিথান?

    ভারতীয় অর্থনীতির এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত নেট নাগরিকরাও। এক নেট নাগরিক লিখেছেন, ভারতীয় অর্থনীতির ৪ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছে যাওয়া ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতীয় অর্থনীতিকে ৫ লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করার পথে একটি মাইলফলক (India’s GDP)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Myanmar: শরণার্থীর ভিড়ে মিশে দেশে ঢুকছেন মায়ানমারের সেনাকর্মী, মাথাব্যথা বাড়ছে ভারতের

    Myanmar: শরণার্থীর ভিড়ে মিশে দেশে ঢুকছেন মায়ানমারের সেনাকর্মী, মাথাব্যথা বাড়ছে ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে চলছে ঘোর যুদ্ধ। ভয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে মায়ানমারবাসী। পিঠ বাঁচাতে জনতার ভিড়ে মিশে গিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে মায়ানমারের (Myanmar) সেনারাও। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে হাজার পাঁচেক মায়ানমারবাসী। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সেনাকর্মীও রয়েছেন। ভারতে ঢোকার জন্য মিজোরাম সীমান্তে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন বহু শরণার্থী।

    জুন্টা সেনার বিরুদ্ধে লড়ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী

    বছর কয়েক আগে অং সান সু চি-র দলকে সরিয়ে মায়ানমারের রাশ হাতে নেয় সেনা পরিচালিত জুন্টা সরকার। সম্প্রতি জুন্টা সেনার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তার পর থেকেই চলছে দু’ পক্ষে তুমুল সংঘর্ষ। মণিপুর, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ড এই তিন রাজ্যের সীমানা লাগোয়া ভারত-মায়ানমার সীমান্ত রয়েছে দেড় হাজার কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই অঞ্চলে দেড়শোরও বেশি জনগোষ্ঠীর বাস। ভারতে ঢুকে এদের ভিড়েই মিশে যাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা (Myanmar)। দিন কয়েক আগে এ দেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন মায়ানমারের ৩৯ জন সেনাকর্মীও। রবিবার ঢুকে পড়েছে আরও পাঁচজন। এঁদের শনাক্ত করে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    ভারতের শিরঃপীড়ার কারণ 

    পড়শি দেশের এই গৃহযুদ্ধই শিরঃপীড়ার কারণ হচ্ছে ভারতের। তাই ‘মিশন মায়ানমার’ হাতে নিয়েছে নয়াদিল্লি। এর লক্ষ্য হল, মায়ানমার সীমান্তবর্তী ভারতের গ্রামগুলির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং মায়ানমারের দুর্গতদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। মায়ানমারের পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, সেই চেষ্টাও করছে নয়াদিল্লি। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

    আরও পড়ুুন: গাজায় প্রবীণ হামাস নেতার বাড়িতে হানা ইজরায়েলের, কোথায় গেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা মায়ানমারে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছি। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে মিজোরামের জোখাওথারের উল্টো দিকে, মায়ানমারের চিন প্রদেশের রিখাওদার এলাকায় তীব্র লড়াইয়ের ফলে, মায়ানমারের নাগরিকরা ভারতে পালিয়ে আসছেন। আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি এই ধরনের ঘটনা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” তিনি বলেন, “মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের অবস্থান খুব স্পষ্ট। হিংসা বন্ধ হোক, এটাই চায় ভারত। আমরা চাই গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতির সমাধান হোক।” বাগচি বলেন, “মানবিক কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেশী রাজ্যের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যারা মায়ানমারে (Myanmar) ফিরে যেতে ইচ্ছুক, আমরা তাদের ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিয়েছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Niti Aayog Report: ফের এক গোল চিনকে! স্কুল শিক্ষায় বেজিংকে পিছনে ফেলল মোদির ভারত?

    Niti Aayog Report: ফের এক গোল চিনকে! স্কুল শিক্ষায় বেজিংকে পিছনে ফেলল মোদির ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল শিক্ষায় চিনকে পিছনে ফেলে দিল ভারত। বর্তমানে ভারতে স্কুলের সংখ্যা চিনের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি (Niti Aayog Report)। সরকারি নীতির কারণে চিনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি স্কুল। সেগুলিকে সচল রাখতে একটিকে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্যটির সঙ্গে। কেউ কেউ আবার পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যাচ্ছে।

    পাততাড়ি গোটাচ্ছে স্কুল

    জিনপিং সরকারের কঠোর নিয়ম, অতিমারি-উত্তর কালে অর্থনৈতিক মন্দা ও বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকায় সে দেশের স্কুলগুলির দশা বেহাল। স্কুল শিক্ষার বিষয়ে নীতি আয়োগের সর্বশেষ রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে এসব তথ্য। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন থেকেও জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে এক লক্ষ ৮০ হাজারের কাছাকাছি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। চিনা শিক্ষা ব্যবস্থার এক তৃতীয়াংশই ছিল এই প্রতিষ্ঠানগুলি। প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশোনা করত ৫ কোটি ৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। এই স্কুলগুলির সিংহভাগই হয় ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে, নয়তো একটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যটিকে।

    হা-পড়ুয়া দশা 

    কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে চিন ছেড়েছেন বহু বিদেশি। চিন-তাইওয়ান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জেরেও জিনপিংয়ের দেশ ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে থিতু হয়েছেন অনেকে। এসব কারণেও চিনে কমেছে বিদেশির সংখ্যা। যার প্রভাব পড়েছে ড্রাগনের দেশের বেসরকারি স্কুলগুলিতে। কারণ এই স্কুলগুলিতেই পড়ত তাঁদের ছেলেমেয়েরা (Niti Aayog Report)। নীতি আয়োগের রিপোর্টে এও জানা গিয়েছে, সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে চিনকে পিছনে ফেললেও, ভারতের বহু অঙ্গরাজ্যের স্কুলগুলিরও হা-পড়ুয়া দশা। অনেক রাজ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ জনেরও কম শিক্ষার্থী রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল বলে কিছু নেই, পুলিশও কন্ট্রোলে নেই’’! থানায় যুবকের মৃত্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

    এর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, দুর্বল পরিকাঠামো, প্রধান শিক্ষক কিংবা অধ্যক্ষের অভাব সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এই স্কুলগুলি। সেই কারণেই কমেছে পড়ুয়ার সংখ্যা। সমস্যার সমাধানে স্কুলগুলির একটিকে অন্যটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নীতি আয়োগ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এভাবে দূর করা যেতে পারে হা-পড়ুয়া দশা। জাতীয় শিক্ষা নীতির সুপারিশ মেনে রাজ্যগুলিকে বড় দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল তৈরির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে (Niti Aayog Report)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share