Tag: India

India

  • Indian Goods: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের পথে ট্রাম্প?

    Indian Goods: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের পথে ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অটল জেদের কাছেই হার মানতে চলেছেন মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! অন্তত ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি আনন্দ নাগেশ্বরনের বলা কথায় মিলল তারই ইঙ্গিত। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, তিনি আশা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীঘ্রই ভারতীয় পণ্যের (Indian Goods) ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করবে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পারস্পরিক শুল্ক কমাবে। নাগেশ্বরনের বক্তব্যে আশার আলো দেখছেন চড়া শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রফতানিকারীরা।

    ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার বক্তব্য (Indian Goods)

    নয়াদিল্লির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাগেশ্বরন জানান, অগাস্ট মাসে ওয়াশিংটন যে ২৫ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেছিল, তা নভেম্বরের শেষের দিকেই প্রত্যাহার করা হতে পারে। তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস ৩০ নভেম্বরের পর এই শাস্তিমূলক শুল্ক আর থাকবে না। এটি কোনও সুস্পষ্ট সূচক বা প্রমাণের ভিত্তিতে আমি বলছি না, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে এটি আমার আশা। আমি বিশ্বাস করি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শাস্তিমূলক শুল্ক নিয়ে একটি সমাধান হবে এবং আশা করি পাল্টা শুল্ক সম্পর্কেও সমাধান হবে।”

    প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ইঙ্গিত

    প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ইঙ্গিত, পারস্পরিক শুল্ক, যা বর্তমানে ২৫ শতাংশ রয়েছে, তা কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে আনা হতে পারে। তিনি জানান, সামগ্রিক শুল্কবিষয়ক বিরোধের সমাধান হতে পারে আগামী ৮–১০ সপ্তাহের মধ্যেই। তিনি অবশ্য এও জানিয়ে দেন, এটি তার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন, কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তার ভিত্তিতে নয় (Indian Goods)। প্রসঙ্গত, নাগেশ্বরনের এই মন্তব্য এসেছে এমন একটা সময়, যার কয়েক দিন আগেই ভারতের প্রধান বাণিজ্য আলোচক, বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল নয়াদিল্লিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এটি ছিল ভারত ও আমেরিকার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক, যেহেতু ট্রাম্প প্রশাসন গত মাসে ভারতীয় রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত চড়া শুল্ক হার ঘোষণা করেছিল। কারণ হিসেবে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US) ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনই মস্কো থেকে জ্বালানি বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে ভারত (Indian Goods)।

  • PM Modi: সুশীলা কার্কির সঙ্গে কথা মোদির, নেপালের পাশে থাকার আশ্বাস ভারতের

    PM Modi: সুশীলা কার্কির সঙ্গে কথা মোদির, নেপালের পাশে থাকার আশ্বাস ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কার্কির (Sushila Karki) সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই আলোচনা আন্তরিক এবং গঠনমূলক। ফোনালাপের সময় প্রধানমন্ত্রী নেপালে সাম্প্রতিক মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর সমবেদনাও জানান। প্রতিবেশী দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে নেপালের পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী ফের একবার সুশীলাকে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালের জাতীয় দিবস উপলক্ষে কার্কি ও নেপালের জনগণকে শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মিসেস সুশীলা কার্কির সঙ্গে আন্তরিক কথোপকথন হয়েছে। সাম্প্রতিক মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানিয়েছি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রচেষ্টায় ভারতের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। এছাড়া, আগামীকাল নেপালের জাতীয় দিবস উপলক্ষে তাঁকে এবং নেপালের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।” প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্মভার গ্রহণের জন্য কার্কিকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁর নিয়োগকে ‘নারী ক্ষমতায়নে’র এক উজ্জ্বল উদাহরণ আখ্যা দেন। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, “ভারত ও নেপাল যৌথ ইতিহাস, বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পালাবদলের সময় নয়াদিল্লি প্রতিবেশী দেশের মানুষের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।” তিনি বলেছিলেন, “আমি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে কার্কিকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি নিশ্চিত যে তিনি নেপালে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করবেন (PM Modi)।”

    নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী

    সুশীলা কার্কি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি নেপালের শীর্ষ আদালতের ওই পদে বসেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ায় তিনিই হলেন নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীও। প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর নিয়োগের কয়েকদিনের মধ্যেই নেপালে অবসান ঘটেছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার। এই অনিশ্চিয়তার সৃষ্টি হয়েছিল সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে হওয়া জেন জেডের আন্দোলনের জেরে, কেপি শর্মা অলি পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার পর (Sushila Karki)।

    নেপালের রাষ্ট্রপতি, শীর্ষ সামরিক কর্তারা এবং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী যুব আন্দোলনকারীদের বৈঠকের পর কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেল বলেন, “অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কার্কির নেতৃত্বে গঠিত নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছ’মাসের মধ্যে নতুন সংসদীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে (PM Modi)।”

  • Saudi Pakistan Defence Pact: ‘‘নিবিড় পর্যালোচনা করা হচ্ছে’’, পাকিস্তান ও সৌদির প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Saudi Pakistan Defence Pact: ‘‘নিবিড় পর্যালোচনা করা হচ্ছে’’, পাকিস্তান ও সৌদির প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের (Saudi Pakistan Defence Pact)। এ ব্যাপারে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, সরকার এই চুক্তি সম্পর্কে অবগত। তিনি একে দুই দেশের দীর্ঘদিনের ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক রূপ হিসেবে বর্ণনা করেন। জয়সওয়াল বলেন, “ভারত এই ঘটনার প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করছে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ছাড়াও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর এর প্রভাব নির্ধারণ করা যায়।”

    ভারতের প্রতিক্রিয়া (Saudi Pakistan Defence Pact)

    সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়সওয়াল বলেন, “আমরা সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিবেদন দেখেছি। সরকার অবগত ছিল যে এই উন্নয়ন, যা দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে, তা বিবেচনার অধীনে ছিল। আমরা এই উন্নয়নের প্রভাব আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কী হতে পারে তা পর্যালোচনা করব।” তিনি বলেন, “সরকার ভারতের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় এবং সব ক্ষেত্রে সামগ্রিক জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি

    প্রসঙ্গত, চুক্তিটি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রিয়াধ সফরের সময় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়েছে (Saudi Pakistan Defence Pact)। এই চুক্তিতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা এবং যৌথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে দুই দেশ। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোনও একটি দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা হবে। এটি দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা চলছে, তার প্রেক্ষাপটে ঘনিষ্ঠতর সামরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌদির যুবরাজের সম্পর্ক খুবই ভালো। তার পরেও তারা পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মূলত দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে বদলে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে। এখন দেখার, ভারতের সঙ্গে কেমন আচরণ করে সৌদি আরব (Saudi Pakistan Defence Pact)।

  • India Maritime Sector: সামুদ্রিক খাতে ৮০ লক্ষ কোটি বিনিয়োগ! তৈরি হবে ১.৫ কোটি কর্মসংস্থান, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোনোয়ালের

    India Maritime Sector: সামুদ্রিক খাতে ৮০ লক্ষ কোটি বিনিয়োগ! তৈরি হবে ১.৫ কোটি কর্মসংস্থান, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোনোয়ালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সামুদ্রিক খাতে (India Maritime Sector) ৮০লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসতে চলেছে। ভারতের বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল মঙ্গলবার এই কথা জানান। এর ফলে প্রায় ১.৫ কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ভারত সবুজ এনার্জি অর্থাৎ পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির ব্যবহার করে জাহাজ চলাচলের দিকে বড় পদক্ষেপ করবে। সোনোয়াল বলেন, “মারিটাইম অমৃতকাল ভিশনের মাধ্যমে ভারত সামুদ্রিক ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে একটি বিশ্বমানের সামুদ্রিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।”

    মারিটাইম অমৃতকাল ভিশন

    সোনোয়াল ভারতের সামুদ্রিক উন্নয়নকে “সমৃদ্ধি এবং ঐতিহ্যের গর্ব” হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই ভিশনের লক্ষ্যই হল, দেশের সামুদ্রিক খাতে ৮০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ নিয়ে আসা। ভারতকে ‘ব্লু ইকোনমি’ ভিত্তিক উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়া। এই বিনিয়োগ এলে কর্মসংস্থানের সুযোগ এক ধাপে অনেকটা বেড়ে যাবে। এই বিনিয়োগের ফলে ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৮৪০টি প্রকল্প গৃহীত হবে।

    সাগরমালা প্রকল্প

    ভারতের সামুদ্রিক রূপান্তরের প্রধান চালিকা শক্তি হল সাগরমালা প্রকল্প। এর আওতায় ৮৪০টি প্রকল্পের ভাবনা রয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য খরচ ধার্য করা হয়েছে, ৫.৮ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৭২টি প্রকল্প ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, যার মূল্য ১.৪১ লক্ষ কোটি টাকা। প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে, বন্দর আধুনিকীকরণ, উপকূলীয় শিপিং, অভ্যন্তরীণ জলপথ, মাছ ধরার বন্দর উন্নয়ন প্রভৃতি।

    বাধবন বন্দর

    মহারাষ্ট্রে নির্মিতব্য ৭৬,০০০ কোটি মূল্যের বাধবন বন্দর হবে বিশ্বের শীর্ষ ১০ কনটেইনার বন্দরের একটি। অবস্থানের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই বাধবন বন্দর। গুজরাট শিল্পাঞ্চল, পণ্য পরিবহণ করিডরেরও কাছাকাছি এটি। বৃহৎ কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা থাকবে এই বন্দরের। এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রুটে এই বন্দরের শক্তিশালী উপস্থিতি, একে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে দেবে।

    ভারতের বন্দর বিশ্বে সেরা

    বর্তমানে ভারতের ৯টি বন্দর বিশ্বসেরা ১০০ বন্দরের তালিকায় স্থান পেয়েছে। সোনোয়াল কেরলকে মারিটাইম ভিশন ২০৪৭-এ একটি মুখ্য রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করেন। কেরলেই রয়েছে ৫৪টি সাগরমালা প্রকল্প যার আর্থিক মূল্য ২৪,০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০টি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে – যার মধ্যে রয়েছে কোচি, কন্নুর ও থ্রিসূরের আধুনিক মাছ ধরার বন্দর। কোচিন বন্দর ও ভাল্লারপাদম ট্রানশিপমেন্ট টার্মিনালের সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    ইন্ডিয়া মারিটাইম উইক ২০২৫

    ২০২৫ সালে ভারতের মারিটাইম উইক অনুষ্ঠিত হবে অক্টোবর মাসে, মুম্বইতে। এতে অংশ নেবেন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক, সামুদ্রিক খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বরা। এখানে জাহাজ পরিবহণ খাতে কার্বন নিঃসরন (Decarbonisation), সরবরাহ শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা (Supply Chain Resilience), বন্দরে সাইবার নিরাপত্তা, টেকসই শিপিং প্রযুক্তি নিয়ে নানা আলোচনা হবে। এই উদ্যোগগুলি ভারতের সামুদ্রিক খাতকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে এবং দেশকে একটি পরিবেশবান্ধব, উন্নত ও কর্মসংস্থানমুখী অর্থনীতির পথে নিয়ে যাবে।

  • PM Modi: “নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও ভয় পায় না”, জন্মদিনে বললেন মোদি

    PM Modi: “নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও ভয় পায় না”, জন্মদিনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা নয়া ভারত। এই ভারত কাউকে ভয় পায় না। নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও (Nuclear Threats) ভয় পায় না। ভারতীয় সেনা ঘরে ঢুকে শত্রুদের নিকেশ করে আসতে পারে।” বুধবার ৭৫তম জন্মদিনে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন মধ্যপ্রদেশের ধর এলাকায় সরকারি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ফের একবার পাকিস্তান ও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের ভিডিওর কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, “আমাদের সেনারা পাকিস্তানের হাঁটু ভেঙে দিয়েছে।”

    জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তিই ঠিক (PM Modi)

    তিনি বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের স্বীকারোক্তিই ঠিক। পাকিস্তানের চোখের পলক পড়ার আগেই অপারেশন সিঁদুরে ওদের হাঁটু ভেঙে দেওয়া হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারের কাছে সর্বোচ্চ প্রাধান্য হল ভারতমাতাকে রক্ষা করা। পাকিস্তানি জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল। আমরা অপারেশন সিঁদুরে ওদের নাম ও নিশান মুছে দিয়েছি। চোখের পলক পড়ার আগেই ওদের ধরাশায়ী করে দিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী।” তিনি বলেন, “গতকালই দেশ তথা তামাম বিশ্ব সাক্ষী থেকেছে আর এক জঙ্গি কীভাবে কেঁদে কেঁদে বর্ণনা দিয়েছে। জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারই পাকিস্তানের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের এই স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে যে নতুন ভারত কেবল দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসের জবাবই দেয় না, বরং কারও পারমাণবিক হুমকিকেও ভয় পায় না।”

    আসিম মুনিরের হুমকি

    তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির পরমাণু যুদ্ধের ভয় দেখিয়ে গোটা বিশ্বকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন। ইসলামাবাদ বলছে, ভবিষ্যতে ভারত-পাক যুদ্ধ হলে অর্ধেক দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে।” এর পরেই মোদি (PM Modi) বলেন, “নতুন ভারত এমন হুমকিকে ভয় পায় না। ভারতীয় সেনা যেভাবে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো জঙ্গিদের খতম করেছে, তেমনই দেশের মাটিতে ঢুকে যারা নাশকতা চালাতে আসবে, তাদেরও ধ্বংস করবে (Nuclear Threats)।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে আমরা জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে দিয়েছি। জইশের জঙ্গিরাই পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলেছিলেন, “ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরে ভাওয়ালপুরে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে মাসুদ আজহারের পরিবার।”

    মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির ভিডিও বার্তা

    মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির ভিডিও বার্তায় দেখা গিয়েছে, এই জঙ্গি নেতাকে ঘিরে রয়েছেন পাক সেনার কয়েকজন আধিকারিক। অপারেশন সিঁদুরের পর এতদিন ধরে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিল জইশ নেতারা। এই প্রথম তাঁরা সংগঠনের বিরাট ক্ষতির কথা কবুল করে নিলেন নিজেরাই। শুধু তাই নয়, তিনি জইশের দিল্লি ও মুম্বই হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পাকিস্তানের বালাকোট অঞ্চলের গুরুত্বের কথাও। তিনি (PM Modi) বলেন, “তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর আমির-উল-মুজাহিদিন মওলানা মাসুদ আজাহার পাকিস্তানে ফিরে আসেন। তাঁর চিন্তা ও কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বালাকোটের মাটি তাঁকে আশ্রয় দেয়। এখানকার প্রতিটি (Nuclear Threats) কণা তাঁর কাছে ঋণী। সেই আজাহারই দিল্লি ও মুম্বইকে কাঁপিয়েছিল।”

    জইশ জঙ্গিদের সৎকারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ

    ইলিয়াসের দাবি, ‘ভাওয়ালপুরে নিহত জইশ জঙ্গিদের সৎকারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ সরাসরি দেওয়া হয়েছিল পাক সেনার সদর দফতর থেকে। সেনাপ্রধানের নির্দেশে সেখানে পাঠানোও হয়েছিল জেনারেলদের। তার পরে পাক সেনা ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করে, যাতে ভাওয়ালপুর ও জইশের যোগসূত্র প্রকাশ্যে না আসে।’ জইশ কমান্ডারের এই স্বীকারোক্তিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। সেটি হল, অপারেশন সিঁদুরের পর পাক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের এই অভিযান নাড়িয়ে দিয়েছে তাদের নেটওয়ার্কের ভিত। ভিডিওতে ইলিয়াস স্বীকার করেন, ৭ মে ভাওয়ালপুরে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের সদর দফতরে ভারত যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, তা ছিল ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ। সেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন হিন্দু পর্যটক। ভাওয়ালপুর ছাড়াও পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আরও আটটি জঙ্গি ঘাঁটিও চোখের নিমেষে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বিমান বাহিনী।

    সুস্থ নারী, শক্তিশালী পরিবার অভিযান

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বিজেপির সেবা পক্ষ অভিযানেরও সূচনা করেন। ফি বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা নানান সেবামূলক কাজ করেন। ধরের ওই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান, দেশে শুরু হচ্ছে সুস্থ নারী, শক্তিশালী পরিবার অভিযান। এই অভিযানে বিনামূল্যে ওষুধ ও নানান টেস্টের সুবিধা পাবেন মহিলারা। এতে উপকৃত হবেন ৪ কোটিরও বেশি মহিলা। মানসিক স্বাস্থ্য, অ্যানিমিয়া ও লাইফস্টাইল সংক্রান্ত রোগের সুবিধাও মিলবে সেবা পক্ষের ওই বিশেষ শিবিরে (Nuclear Threats)। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মেগা ইন্টিগ্রেটেড টেক্সাটাইল রিজিওন অ্যান্ড অ্যাপারেল পার্কেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ওই অনুষ্ঠানে। বলেন, “দেশের কোটি কোটি মা-বোন আমায় আশীর্বাদ করেছেন। ধরে দেশের বৃহত্তম ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল পার্ক দেশের শিল্পকে নয়া শক্তি দেবে। কৃষকরা পাবেন ন্যায্য মূল্য (PM Modi)।”

  • Operation Sindoor: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান, বিপাকে ট্রাম্প

    Operation Sindoor: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান, বিপাকে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান (Pakistans Foreign Minister)। ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) মন্তব্যের জেরে ফাঁপরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে বিপাকে ফেলেছেন খোদ পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা (Operation Sindoor) বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। তাঁর কবুল করা কথাতেই ফেঁসে গেলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় নরেন্দ্র মোদির ভারত। এই অপারেশনে সফল হয় ভারত। তার পরেও বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। কারণ, যুদ্ধ বিরতির কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। এর পরেই বিরোধীদের দাবিতে তুলকালাম হয় সংসদে। তাঁদের বক্তব্য, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির কথা কেন ঘোষণা করবে তৃতীয় পক্ষ। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি কোনও তৃতীয় পক্ষের কথা শুনে হয়নি। এবার সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের মুখে। তিনি বলেন, “ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা, তবে ভারত তাতে রাজি হয়নি।” তিনি কবুল করেন, “যুদ্ধ থামাতে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওর কাছে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি তুলেছিল ইসলামাবাদ।” যদিও শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক এই বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নয়াদিল্লি সব সময় ভারত ও পাকিস্তানের যাবতীয় বিষয় কঠোরভাবে দ্বিপাক্ষিক হিসেবেই দেখে।”

    পাক বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    যুদ্ধবিরতি নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা তৃতীয় পক্ষের জড়িত থাকার বিষয়ে আপত্তি করি না। তবে ভারত বরাবর স্পষ্ট করে বলে আসছে- এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোনও আপত্তি নেই। তবে (Operation Sindoor) আলোচনা ব্যাপক হতে হবে। আগেও আমরা সন্ত্রাসবাদ, বাণিজ্য, অর্থনীতি, জম্মু-কাশ্মীরের মতো বিষয়ে আলোচনা করেছি।” দার জানান, এর আগে মে মাসে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওয়াশিংটন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী)। বলেছিল (Pakistans Foreign Minister), ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হবে একটি নিরপেক্ষ স্থানে। যদিও ২৫ জুলাই ওয়াশিংটনে রুবিওর সঙ্গে পরবর্তী এক বৈঠকে দারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারত এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত বলেছে এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আমরা কোনও কিছুর জন্য ভিক্ষা করছি না। আমরা একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা বিশ্বাস করি যে আলোচনা এগিয়ে যাওয়ার পথ। তবে আলোচনার জন্য দু’জনের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।” তিনি সাফ জানান, ভারত যদি সাড়া দেয়, তবে পাকিস্তান এখনও আলোচনায় অংশ নিতে ইচ্ছুক। দার বলেন (Operation Sindoor), “কোনও দেশ যদি আলোচনা চায়, তবে আমরা খুশিই হব। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমরা আলোচনায় বিশ্বাস করি। তবে ভারত যদি না চায়, তাহলে আমরাও এগোব না।” অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছিল, এদিন তাও জানান পাক বিদেশমন্ত্রী। তিনি কবুল করেন, “পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিল (Pakistans Foreign Minister)।”

    শিমলা চুক্তি

    উল্লেখ্য যে, ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত শিমলা চুক্তির অন্যতম শর্তই ছিল ভারত ও পাকিস্তানের কোনও সমস্যার সমাধান দ্বিপক্ষিক স্তরে হবে। সংবাদ মাধ্যম ‘আল জাজিরা’কে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সে কথা মনেও করিয়ে দেন দার। শুধু তা-ই নয়, ১৯৯৯ সালে লাহোর ঘোষণার সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বিজপেয়ী যখন পাকিস্তানে যান, তখনও তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনার সময়ই এই বিষয়টি উঠে এসেছিল (Operation Sindoor)। জানা গিয়েছে, রুবিও তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারত সব সময় বলে এসেছে, এটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়, তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই। অথচ সেই দেশেরই রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প গত মে মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “আমার মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।”

    বিক্রম মিস্রির দাবি

    ট্রাম্পের এহেন দাবির পরে পরেই ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এসেছিল পাকিস্তানের তরফে। তবে ভারত তৃতীয় পক্ষের কোনও হস্তক্ষেপ মানেনি। বিদেশসচিব জানান, পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় ডিজিএমও-কে ফোন করে যুদ্ধবিরতির আবেদন করেন। তার পরেই বিকেল ৫টা থেকে গুলি চালানো বন্ধ করার বিষয়ে বোঝাপড়া হয় দুই দেশের মধ্যে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারত তাঁকে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে বলেছে। তখনই তাঁর দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন শিমলা চুক্তির পর (Pakistans Foreign Minister) থেকে নয়াদিল্লি শুধুই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পক্ষপাতী (Operation Sindoor)।

  • Green Energy in India: ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ভারত

    Green Energy in India: ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবীকরণযোগ্য জ্বালানি (Green Energy in India) খাতে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করছে ভারত। ০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে চলেছে দেশ। ‘পুনর্ণবীকরণযোগ্য এনার্জি’র ক্ষেত্রে ২০৩০-এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনোর কথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi)। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত “পাঞ্চজন্য ইনফ্রা কনক্লেভ ২০২৫”-এ ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

    চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে দেশ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Pralhad Joshi) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কখনও নিজের বা মন্ত্রিসভার জন্য সহজ লক্ষ্য নির্ধারণ করেন না। তিনি সব সময় এমন চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য স্থির করেন যা আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহিত করে।” মন্ত্রী যোশী আরও বলেন, “নবীকরণযোগ্য জ্বালানি খাতেও প্রধানমন্ত্রী একটি অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। আমরা ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্য পূরণের অর্ধেক পথ অতিক্রম করেছি। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছি।”

    ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন -এর মূল উদ্দেশ্য

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে চালু হওয়া ‘ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন (NGHM)’-এর মূল উদ্দেশ্য ভারতের জ্বালানি ব্যবস্থাকে রূপান্তরিত করা এবং দেশকে বিশ্বব্যাপী সবুজ হাইড্রোজেন (Green Energy in India) উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত করা। এর জন্য ₹১৯,৭৪৪ কোটির বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে এবং এটি চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর নির্মিত। এগুলি হল নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো, চাহিদা তৈরি, গবেষণা ও উদ্ভাবন, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা। মন্ত্রী যোশী (Pralhad Joshi) জানান, ইতিমধ্যেই কাণ্ডলা, পারাদীপ ও তুতিকোরিন বন্দরে বিশেষ হাইড্রোজেন হাব গড়ে তোলা হচ্ছে, যা ভারতের সবুজ হাইড্রোজেন (Green Energy in India) রফতানির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, এনটিপিসি, রিলায়েন্স, আইওসিএল-এর মতো বড় সংস্থার পাশাপাশি বহু স্টার্ট-আপ এবং এমএসএমই (MSME) সবুজ হাইড্রোজেন খাতে বিপুল বিনিয়োগ করছে, যার ফলে গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী ভ্যালু চেইন। তৈরি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই ভারতে সবুজ-বিপ্লব

    ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন (Green Energy in India) মিশন-এর লক্ষ্য হল বার্ষিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন, ১২৫ গিগাওয়াট নতুন নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ক্ষমতা, ৮ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ, ৬ লক্ষ নতুন চাকরি, প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গম কমানো। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi) জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই ফুয়েল বেসড বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। ২০৩০-এর মধ্যে ‘পুনর্ণবীকরণযোগ্য এনার্জি’ থেকে ৫০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্য স্থির করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জলবায়ু নিয়ে ভারত তার লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে। সবুজ ও পরিষ্কার পরিবেশ তৈরির পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই হবে ভারতের সবুজ-বিপ্লব। ভবিষ্যৎ হবে স্বনির্ভর।

  • Muhammad Masood Azhar: ‘অপারেশেন সিঁদুর’-এই ছিন্নভিন্ন মাসুদের পরিবারের সদস্যরা! স্বীকার জইশ কামান্ডারের

    Muhammad Masood Azhar: ‘অপারেশেন সিঁদুর’-এই ছিন্নভিন্ন মাসুদের পরিবারের সদস্যরা! স্বীকার জইশ কামান্ডারের

    মাধ্যম নিউজ: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ছিন্নভিন্ন হয়েছে মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবার। পাকিস্তানের মুখ পুড়িয়ে এবার মন্তব্য জইশ কামান্ডারের। ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। মঞ্চের দুই দিকে বন্দুকধারী রক্ষী ছিল কঠিন পাহারায়। মাইক নিয়ে হাত উঁচু করে জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলছে, “গত ৭ মে ভারত যখন বাহাওয়ালপুরের জঙ্গি ডেরায় হামলা চালিয়েছিল সেই সময় সেই সময় জইশ প্রধান মৌলনা মাসুদ আজাহারের পরিবারের সদস্যদের টুকরো টুকরো করে নিঃশেষ করা হয়েছিল। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে সবকিছু।” এই মন্তব্যে ফের একবার ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে পাকিস্তানের থোতা মুখ ভোঁতা হয়েছে। জঙ্গি উৎপাদনকারী দেশের কুকর্ম আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে।

    কী বলল জইশ কমান্ডার (Muhammad Masood Azhar)?

    পাকিস্তানের স্বঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলে, “ভারতের হামলায় মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরিবারের একাধিক সদস্য মারা পড়েছে।” জইশের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে ওই কমান্ডারকে আরও বলতে শোনা যায়, “আমরা দেশের সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে কাবুল, কান্দাহার, দিল্লির সঙ্গে লড়াই করছি। মাসুদ আজাহারের পরিবার সদস্য এবং পুত্রকে বোমায় টুকরো টুকরো করা হয়েছে।” ভারতের সেনাবাহিনী যে ভাবে অপারেশন সিঁদুরকে (Operation Sindoor) সুপরিণতি দিয়েছে তাতে ফের একবার আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের জয়ই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ভারত বিরোধীরা ঘরেবাইরে জঙ্গিদের মন্তব্যে আরও কোনঠাসা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর

    পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের একটি শহর হল বাহাওয়ালপুর। জইশ-ই-মহম্মদের (Muhammad Masood Azhar) সদর দফতর মারকাজ সুবহান আল্লাহ নামে একটি স্থানে অবস্থিত। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের অভ্যন্তরে ১০০ কিমি গভীরে অবস্থিত এই জঙ্গি ডেরা। আর এখানেই ভারতীয় সেনা ব্যাপক আঘাত করেছিল। এটা ছিল জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর। তাকে সম্পূর্ণ ভাবে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এই আস্তানায় মাসুদের পরিবারের আত্মীয়রা থাকত। ধ্বংসের পর উপগ্রহের চিত্র প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Operation Sindoor)। স্পষ্ট দেখা গিয়েছে পাকজঙ্গি ঘাঁটির অবস্থা কতটা করুণ। সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

    ১৫ একর জমির উপর নির্মিত

    মাসুদ ইলিয়াসের মন্তব্য ছিল পাকিস্তানের জন্য দারুণ ধাক্কা। সে নিজেই স্বীকার করে নেয় যে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং ৪ জন সহযোগী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে মাসুদ আজাহারের বোন, তার স্বামী এবং বেশ কয়েকজনের শিশু। যদিও প্রথমে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম প্রথমে ১৪ জনের মৃত্যু সংবাদ পরিবেশন করেছিল। পরে অবশ্য মাসুদ নিজেই স্বীকারোক্তি করে। তবে এই জঙ্গি ডেরাটি মোট ১৫ একর জমির উপর নির্মিত। এখানে কট্টর ধর্মীয় জিহাদ এবং মৌলবাদের শিক্ষা প্রদানের কাজ চলত।

    ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা হয়েছিল

    ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে মুখপাত্র হিসেবে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং যৌথ সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছে ভারতীয় সেনা (Operation Sindoor)। তার মধ্যে বাহাওয়ালপুরের এই জঙ্গিঘাঁটিও ছিল। আগেও বারবার ভারতের বিরুদ্ধে এই জঙ্গি আস্তানা থেকে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়।” জঙ্গিদের (Muhammad Masood Azhar) প্রতি পাকসেনা বাহিনী কতটা সহমর্মী তা আরও স্পষ্ট হয়েছিল যখন মৃত জঙ্গিদের জানাজায় তাঁদের স্পষ্ট উপস্থিতি সংবাদ মাধ্যমে দেখা গিয়েছিল।

    মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি

    ভারতের কাছে মাসুদ আজাহার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। ২০০০ সালে জইশ-ই-মহম্মদ নামে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলে মাসুদ। ভারতে লাগাতার হামলার ছক করে ইতিমধ্যে কুখ্যাত মাসুদ আজাহার। তার হামলা করা ষড়যন্ত্রগুলির মধ্যে হল- ২০০১ সালে সংসদে হামলা, ২০০৮ সালে মুম্বই জঙ্গি হামলা এবং ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বিমানঘাঁটিতে হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিল এই জঙ্গি। আন্তর্জাতিক মহলে লাগাতার পাকিস্তানের এই জঙ্গিকে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দাবি করে আসছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তান সরকার সম্পূর্ণ ভাবে এই জেহাদি সংগঠনের সহযোগিতা নেয় এবং তাদের লালনপালন করে থাকে। তবে অপারেশন সিঁদুরে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলিকে যে ব্যাপক ভাবে আঘাত করেছে তাও আরও একবার স্পষ্ট হয়।

  • Donald Trump: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ট্রাম্পের দেশ

    Donald Trump: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ট্রাম্পের দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের। নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক পোক্ত করতে চাইছে রাশিয়ার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও (Donald Trump)। বিশ্ব মঞ্চে ফের একবার ভারতের সঙ্গে তার অটল বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করল রাশিয়া। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক (Trade Talks) নিয়ে রাশিয়ার আশ্বাস, নয়াদিল্লির সঙ্গে তার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক ব্যাহত করতে বহিরাগত শক্তির যে কোনও প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটিতে জারি করা এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, “ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক স্থির এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে এবং এই প্রক্রিয়া ব্যাহত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।” আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি রাশিয়ার সঙ্গে বহুমুখী সহযোগিতার প্রতি ভারতের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে, যাকে রাশিয়া দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের চেতনা ও ঐতিহ্য বলে অভিহিত করেছে।

    ভারত অপরিহার্য খেলোয়াড় (Donald Trump)

    এদিকে, দেরিতে হলেও শেষমেশ বোধহয় হয়েছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি স্বীকার করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যস্থতা করা তার আগের ধারণার চেয়েও কঠিন বলে প্রমাণিত হচ্ছে। ওয়াশিংটন নয়াদিল্লির সঙ্গে স্থগিত থাকা বাণিজ্য আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে এগিয়ে চলেছে। আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো বিশ্বের বৃহৎ শক্তিধর দুই দেশের ভারতকে নিয়ে এই দড়ি টানাটানি নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় অবস্থানকেই তুলে ধরছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, ভারত মস্কোর একটি স্থিতিশীল অংশীদার এবং ওয়াশিংটনের অর্থনৈতিক গণনায় এক  অপরিহার্য খেলোয়াড় (Trade Talks)।

    যৌথ প্রকল্পে কাজ

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি দেশ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, পারমাণবিক শক্তি উন্নয়ন, মানবযুক্ত মহাকাশ অভিযান, এবং রাশিয়ায় তেল অনুসন্ধানে ভারতের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। দুই দেশ একই সঙ্গে কাজ করছে তাদের জাতীয় মুদ্রা ব্যবহারে পেমেন্ট সিস্টেম বিস্তৃত করার এবং বিকল্প পরিবহণ ও নয়া রুট তৈরিতে। এই উদ্যোগগুলিকে একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা বর্তমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল কোনও ব্যবস্থাই নয়।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা

    মার্কিন (Donald Trump) রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তার পরেও রাশিয়া থেকে নিয়মিত তেল কিনে চলেছে ভারত। পশ্চিমী চাপ উপেক্ষা করেও নিজের সিদ্ধান্ত অটল থাকায় নয়াদিল্লির ব্যাপক প্রশংসাও করেছে রাশিয়া। শুধু তাই নয় (Trade Talks), স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণে অটল থাকায় নয়াদিল্লিকে সাধুবাদও জানিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি আন্তর্জাতিক বিষয়ক কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের প্রতিনিধিত্ব করে। এই অংশীদারিত্বে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং মজবুত কূটনৈতিক সম্পর্ককে।”

    ভারত-সহ বিভিন্ন দেশকে চাপ

    রাশিয়ার এহেন প্রশস্তিবাক্য এসেছে এমন একটা সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump) ভারত-সহ বিভিন্ন দেশকে চাপ দিচ্ছেন রাশিয়া থেকে তেল না কিনতে। এই জন্যই চাপানো হয়েছে চড়া শুল্ক। তার পরেও ভারত মস্কোর সঙ্গে তার জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যবসা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছে। রাশিয়া একে “বিশ্বাসভিত্তিক, দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব” বলে উল্লেখ করেছে। এদিকে, প্রথম থেকেই ভারতকে চাপে ফেলতে নানা চেষ্টা করে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক চাপানো হল ৫০ শতাংশ। তার পরেও নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার। যার নিট ফল, ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফেল। ট্রাম্প এবার ইউকে-কে বলল ভারত থেকে তেল না কিনতে। কিন্তু মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির স্বার্থে মাথা নোয়াল না ব্রিটেনও।

    ট্রাম্পের পরিকল্পনা ব্যর্থ

    আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ল ট্রাম্পের পরিকল্পনা। জি-৭ গোষ্ঠীকেও ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয় (Trade Talks)। শেষমেশ নেটোকে বলছে ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করতে। কিন্তু ‘সুপার পাওয়ার’ হতে চলা ভারতের ওপর শুল্ক চাপাতে অস্বীকার করে একের পর এক মিত্র দেশগুলি। উল্টে রাশিয়া ও চিন ভারতকে সমর্থন করে মোদির হাত শক্ত করল। এসসিও-ব্রিকসকে ভাঙার পরিকল্পনাও ব্যর্থ। এহ বাহ্য। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে না পেরে এখন ট্রাম্প স্বীকার করছেন, ওটা গভীর সমস্যা। এত সহজে মিটবে না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে (Donald Trump) বেগ দিতে গিয়ে উল্টে একা হয়ে গিয়েছে ট্রাম্পের দেশ। তাই মোদির প্রতি সুর নরম করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আবারও আলোচনার টেবিলে বসছে ভারত ও আমেরিকা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দিল্লিতে আসছে উচ্চস্তরের এক মার্কিন প্রতিনিধি দল। আমেরিকার প্রধান বাণিজ্য আলোচনা নেতা ব্রেন্ডেন লিঞ্চ এই দলের নেতৃত্ব দেবেন। ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন বাণিজ্যমন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল।

  • India vs Pakistan: পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিল আইসিসি, নিজেদের লোককেই সাসপেন্ড করল পিসিবি

    India vs Pakistan: পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিল আইসিসি, নিজেদের লোককেই সাসপেন্ড করল পিসিবি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: করমর্দন-বিতর্কে পাকিস্তানের (India vs Pakistan) দাবি খারিজ করল আইসিসি। এশিয়া কাপ থেকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে সরানোর দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান। না হলে বুধবার আমিরশাহি ম্যাচ বয়কটের হুমকিও দিয়েছিল তারা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই আইসিসির একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, ‘‘সোমবার রাতে আইসিসি জবাব পাঠিয়ে দিয়েছে পিসিবিকে যে, পাইক্রফ্টকে সরানো হবে না। তাদের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে।’’

    পাকিস্তানের দাবি অযৌক্তিক

    আইসিসি সূত্রে খবর, পাকিস্তানের কোনও দাবি মানা হবে না। আইসিসি কর্তারা পাকিস্তান (India vs Pakistan) ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের দাবি মেনে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ নেই। হ্যান্ডশেক বিতর্কে পাইক্রফ্টের ভূমিকা ছিল অতি নগণ্য। তিনি শুধু পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘাকে একটি সতর্কতামূলক বার্তা দিয়েছিলেন। টসের সময় হ্যান্ডশেককে কেন্দ্র করে যাতে প্রকাশ্যে কোনও অপ্রীতিকর বা লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি হিসেবে। জিম্বাবোয়ের ৬৯ বছর বয়সি পাইক্রফ্ট আইসিসির এলিট প্যানেলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারিদের অন্যতম। সব মিলিয়ে তিনি ৬৯৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। রবিবারের ম্যাচের ঘটনায় পাইক্রফ্টের কোনও দোষ খুঁজে পাননি আইসিসি কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান কী করে সে দিকেই নজর ক্রিকেটবিশ্বের।

    পাক ক্রিকেট কর্তাকেই সরানো হল

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে হ্যান্ডশেক বিতর্কে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট নির্দোষ, আইসিসি-র এই চিঠি পেয়েই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মহসিন নকভির বোর্ড থেকে। সেই নির্দেশ পেয়েই দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে নিষেধ করেছিলেন পাইক্রফ্ট। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও প্রধান নকভি। দু’টি দায়িত্বই সামলান তিনি। সূত্রের খবর, পিসিবির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট অপারেশনস উসমান ওয়ালহা তাঁর দলের অধিনায়ককেই জানাননি প্রতিযোগিতা চলাকালীন কী নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এর পরেই নাকি ক্ষুব্ধ পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি, যিনি আবার বর্তমান এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও, জাতীয় দল ও অধিনায়ক এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়ার জন্য ওয়ালহাকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওয়ালহারই নাকি দায়িত্ব ছিল পাক অধিনায়ক সলমন আঘাকে ‘‘নো-হ্যান্ডশেক’’ নীতি জানানোর। কিন্তু তিনি তা জানাননি। পাকিস্তান অধিনায়ককেও দেখে তাই মনে হচ্ছিল, তিনি কিছু জানেন না। পিসিবির একটি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘‘টসের সময় ওয়ালহার জানানো উচিত ছিল যখন দুই অধিনায়ক করমর্দন করেননি। তিনি যে ভাবে ওই পরিস্থিতি সামলেছেন তাতে প্রচণ্ড ভাবে ক্ষুব্ধ নকভি।’’

    পাকিস্তানের সরে দাঁড়ানো অসম্ভব

    পিসিবির এক সূত্রের দাবি, ‘পাকিস্তানের এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম। সেটা করলে, জয় শাহের নেতৃত্বাধীন আইসিসি পিসিবিকে বড় জরিমানা করতে পারে। সেটা আমাদের বোর্ড হতে দিতে পারবে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বোর্ডের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না।’ গত পরশু থেকেই পিসিবি (PCB) একযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে ভারত ও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে (Andy Pycroft)। অভিযোগ ‘স্পিরিট অফ ক্রিকেট’ (Spirit of Cricket) লঙ্ঘনের। এমনকি, পাইক্রফটকে সরানো না হলে পরের ম্যাচ বয়কট করার হুমকিও শুনিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি এই মুহূর্তে এমন দাঁড়িয়েছে, যে বয়কট না করলেও এশিয়া কাপ থেকে তাদের ছুটি হয়ে যেতে পারে। পাক শিবিরের আশঙ্কা বাড়িয়েছে পয়েন্ট তালিকা। গ্রুপ এ–তে ভারতের অবস্থান নির্ভেজাল নিরাপদ। শুভমান–সূর্যরা ইতিমধ্যেই সুপার ফোরের টিকিট কেটে ফেলেছেন। অন্যদিকে ওমানকে হারিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE) এখন চাঙ্গা মেজাজে। ফলে আগামী বুধবার দুবাইয়ে পাকিস্তান-ইউএই ম্যাচ কার্যত নকআউট। দুই দলের ঝুলিতেই এখন ২ পয়েন্ট। জয়ী দল ৪ পয়েন্টে নিশ্চিত করবে সুপার ফোরের টিকিট। হেরে যাওয়া টিম ছিটকে যাবে।

    রবিবার ফের ভারতের সামনে!

    মঙ্গলবার আইসিসি অ্যাকাডেমিতে ভারত এবং পাকিস্তানের ট্রেনিং করার কথা। সময় আলাদা হলেও, পরের ম্যাচের জন্য একই ভেন্যুতে প্রস্তুতি নেবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। সন্ধে ৬টা থেকে রান ৯টা পর্যন্ত ভারতের ট্রেনিং। রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্র্যাকটিস করবে পাকিস্তান। বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচ পাকিস্তানের। জিতলে রবিবার সুপার ফোরে আবার ভারতের মুখোমুখি। প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের প্রথম সাক্ষাতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। কোনও বিভাগেই সূর্যকুমার যাদবদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি সলমন আঘার দল। এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর টেস্ট ক্রিকেটে দশ হাজারি ক্লাবের প্রথম সদস্য গাভাসকর কটাক্ষ করে বলেছেন, পাকিস্তানের জাতীয় দল এখন পোপটওয়াড়ি দলের (Pakistan Popatwadi team) কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। মারাঠি ভাষায় পোপট মানে হল টিয়া পাখি আর ওয়াড়ি মানে মাঝারি। গাভাসকর আদতে মুম্বই নিবাসী। মুম্বইয়ের দুর্বল দলকে বলা হয় পোপটওয়াড়ি দল। ম্যাচের কথা বলতে গেলে, ভারত একতরফাভাবে পাকিস্তানকে পরাজিত করে সাত উইকেটে ম্যাচটি জিতেছে। ভারত ২৫ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তানকে পরাজিত করে বর্তমান টুর্নামেন্টে তাদের টানা দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেছে। এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, পাকিস্তান ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান করে। জবাবে, ভারত ১৫.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩১ রান করে ম্যাচটি জিতে নেয়। ভারতীয় বোলারদের পর, ব্যাটাররাও হতাশ করেননি এবং সহজেই লক্ষ্য অর্জন করেন।

    হাত মেলালে সেটাই অস্বাভাবিক

    হ্যান্ডশেক বিতর্কে অবশেষে মুখ খুলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রবিবার এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। এই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা করেই চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ভারতীয় দল ও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর পাক বোর্ডকে কড়া জবাব দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সরকারি ভাবে বিসিসিআই কোনও বিবৃতি না দিলেও সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সূর্যকুমার যাদবেরা যা করেছেন, তা একেবারে ঠিক। ভারতীয় বোর্ড ক্রিকেটারদের পাশে রয়েছে। ওই আধিকারিক বলেন, “দেখুন, ক্রিকেটের নিয়মে খেলা শেষে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক নিয়ে কিছু লেখা নেই। সাধারণত সম্মান জানাতে দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলান। বিশ্ব জুড়ে সেটাই দেখা যায়। কিন্তু এর তো কোনও নিয়ম নেই। তা হলে পাকিস্তান কোন ভিত্তিতে অভিযোগ করছে।” ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক তাতে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলালে সেটাই অস্বাভাবিক হত। সূর্যেরা ঠিক করেছেন। তিনি বলেন, “যদি কোনও নিয়মই না থাকে তা হলে সূর্যেরা একদম ঠিক করেছে। যে দেশের সঙ্গে আমাদের এত খারাপ সম্পর্ক, যে দেশ সব সময় আমাদের খারাপ চেয়েছে তাদের সঙ্গে হাত কেন মেলাব। কোনও রকম সম্পর্ক রাখব না। সূচি অনুযায়ী ভারত খেলেছে। তার বেশি কোনও সম্মান দেখানো হবে না।”

LinkedIn
Share