Tag: India

India

  • Pakistan Economic Crisis: পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কী জন্য জানেন কি?

    Pakistan Economic Crisis: পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কী জন্য জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ভারতের (India) এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। গত বছর মার্চের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে দ্বীপরাষ্ট্র। তার পর থেকে এ পর্যন্ত ছন্দে ফিরতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার পর এবার প্রায় একই হাল হতে চলেছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেরও (Pakistan Economic Crisis)। ইতিমধ্যেই সাহায্যের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করেছে ইসলামাবাদ। এখনও সাহায্য মেলেনি। তাই ক্রমেই হাঁড়ির হাল হচ্ছে পাক অর্থনীতির।

    হাইব্রিড সিস্টেম…

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পাকিস্তানের এই আর্থিক দুরাবস্থার জন্য দায়ী হাইব্রিড সিস্টেম। যে সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আইএসআইয়ের (ISI) ডিরেক্টর জেনারেল সুজা পাশা। ২০১০ সালে তিনি এই সিস্টেম চালু করেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে অশান্তি জিইয়ে রাখতে। যদিও পাকিস্তানের (Pakistan Economic Crisis) সিংহভাগ বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদদের মতে, ২০১৮ সালের অগাস্টে এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছিল হাইব্রিড সিস্টেম প্রজেক্ট ইমরান। সেজন্য ব্যবহার করা হয়েছিল সমস্ত অবৈধ সম্পদ। তার জেরে ব্যর্থ হয়েছিল বিলিয়ন বিলিয়ন লগ্নি। এসবের প্রভাবও পড়েছিল ইমরান সরকারের জমানায়। পাক অর্থনীতিবিদ খুররম হুসেনের মতে, পাকিস্তানের এই সংকট কাটাতে প্রয়োজন বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য। এজন্য রাজনৈতিক মূল্য চোকাতে হতে পারে। তিনি মনে করিয়ে দেন ক্ষমতায় আসার আগে শাহবাজ শরিফ একাধিকবার দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মিফতা ইসমাইলের সঙ্গে। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের শর্ত মেনে শাহবাজ যখন অর্থনৈতিক সংস্কার করতে শুরু করলেন, তখন দলেই শুরু হয় অশান্তি। দলীয় নেতাদের অনেকেই লন্ডনে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দরবার করতে শুরু করেন।

    আরও পড়ুুন: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    পাকিস্তানের (Pakistan Economic Crisis) বর্তমান অর্থমন্ত্রী ইশাক দার লন্ডনে শরিফকে জানান অর্থমন্ত্রী মতিফ ইসমাইল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারছেন না। এর পরেই মতিফকে সরিয়ে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় দারকে। তার পরেও বদলায়নি পাক অর্থনীতির হাল। পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই ভেঙে পড়েছে পাক অর্থনীতি। কী ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, কী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কেউই সংস্কারের রাস্তায় হাঁটেননি। সেই কারণেই লাগামছাড়া হয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। সরকারের ভুল নীতির জন্যই দেশে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারও তলানিতে। মড়ার ওপর ঘাঁড়ার ঘায়ের মতো রয়েছে চিনা ঋণের ফাঁদ। সব মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই গাড্ডায় পাক অর্থনীতির রথের চাকা। পাক সরকার এই ক্রাইসিস কীভাবে সামাল দেয়, এখন তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India vs New Zealand: দুরমুশ নিউজিল্যান্ড, সিরিজ জিতল ভারত

    India vs New Zealand: দুরমুশ নিউজিল্যান্ড, সিরিজ জিতল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঠ ভর্তি দর্শক। খেলা শুরুর প্রথম দিকে টান টান উত্তেজনাও ছিল। তার পরেই ম্যাচ হয়ে গেল এক পেশে। আট ঘণ্টার খেলা খতম হয়ে গেল মাত্র পাঁচ ঘণ্টায়। শামি, হার্দিকদের দাপটে নিউজিল্যান্ড (New Zealand) সিরিজ জয় করল ভারত (India)। প্রথমে বল হাতে মহম্মদ শামিরা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের ওপর রোলার চালিয়ে দেন। মাত্র ১০৮ রানে শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ২০.১ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন রোহিত শর্মা (India vs New Zealand)।

    এক দিনের ক্রিকেট…

    রায়পুরে এই প্রথমবার হল এক দিনের ক্রিকেট ম্যাচ। তাই দর্শকদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। জনগণের উৎসাহ এতটাই ছিল যে টিকিট ব্ল্যাক করছিলেন অনেকে। যদিও কালোবাজারি রুখতে তৎপর ছিল পুলিশ। টিকিট ব্ল্যাক করার অভিযোগে ন জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। এদিন প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। অধিনায়ক বলেন, দলের মধ্যে টস নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছিল। তাই কী ঠিক করেছিলাম, সেটা মনে করতে পারছিলাম না। আগের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেছি। তাই এই ম্যাচে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

    আরও পড়ুুন: আইএসএফের তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, বাঁশ নিয়ে তাড়া পুলিশকে

    এদিন খেলা (India vs New Zealand) শুরুর পর থেকেই পেসাররা দেখাতে থাকেন সুইংয়ের দাপট। নতুন সাদা বলের সুইং খুব বেশিক্ষণ থাকে না। তবে সে সময় পাননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। ভারতীয় বোলাররাই তাঁদের সে সময় দেননি। বল এতই সুইং করতে থাকে যে ১৫ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট খোয়ায় নিউজিল্যান্ড। ফিন অ্যালেনদের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের কেউ পেরোননি ১০ রানের চৌকাঠ। হার্দিক নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন। আউট হয়ে যান ডেভন কনওয়ে। পাঁচ উইকেট চলে যাওয়ার পর ধরে খেলার চেষ্টা করেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও গ্লেন ফিলিপ্স। গত ম্যাচে শতরান করলেও, এবার মুখ থুবড়ে পড়েন ব্রেসওয়েল। মাত্র ২২ রানেই থমকে যায় তাঁর ঘোড়া। শামির বলে আউট হন তিনি। ক্যাচটি নেন ঈশান কিষন। ব্রেসওয়েল ২২ রানে আউট হলেও, ৩৬ রান করেন ফিলিপ্স। ২৭ রান করেন মিচেল স্যান্টনার। পঞ্চাশ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১০৯ রান। ২০.১ ওভারে (India vs New Zealand) সেই রান তুলে নেয় ভারত। শুভমন গিল করেন ৪০ রান। কোহলি মাত্র ১১। ৫১ রান করেন রোহিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • PM Modi: ‘স্বাধীনতার পর নেতাজিকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে’, অনুযোগ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: ‘স্বাধীনতার পর নেতাজিকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে’, অনুযোগ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত এই দ্বীপগুলির নামকরণ করেছিলেন নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose) সুভাষচন্দ্র বসু স্বয়ং। নেতাজির দেওয়া সেই নামকে ব্রিটিশ সরকার কোনও মর্যাদা দেয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও মেলেনি স্বীকৃতি। আজ, ২৩ জানুয়ারি, নেতাজির ১২৭তম জন্মদিনে নামকরণ হল নামহীন দ্বীপগুলির। ভার্চুয়ালি নামকরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই দ্বীপগুলির নাম রাখা হচ্ছে ২১জন পরমবীর প্রাপকের নামে। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য দিল্লির কুর্সি দখল করে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনটিকে মোদি সরকার পরাক্রম দিবস বলে ঘোষণা করেছিল।

    সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপ…

    এর আগে, রস আইল্যান্ডকে সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপ এবং নীল ও হ্যাভলককে শহিদ ও স্বরাজ দ্বীপ নাম দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম ২১টি দ্বীপের নামকরণ হয় পরমবীর পুরস্কার প্রাপকদের নামে। নামকরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, এক সময় নেতাজিই এই সব দ্বীপের নামকরণ করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় মর্যাদা দেওয়া হয়নি। নেতাজির ১২৭তম জন্মবার্ষিকীতে তাই বীরদের শ্রদ্ধা জানাতে এই ভাবনা। নেতাজির ভাবনা সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একাধিক মিউজিয়ামও করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১২৫তম জন্ম দিবস দেশে ধুমধাম করে উদযাপন করা হয়েছিল। বাংলা থেকে দিল্লি হয়ে আন্দামান সর্বত্র নেতাজিকে স্মরণ করা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর নেতাজিকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। নেতাজিকে নিয়ে যত ফাইল রয়েছে, তা সকলের সামনে আনা হচ্ছে। যাতে মানুষ সব জানতে পারেন।

    আরও পড়ুুন: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    ২১টি দ্বীপের নামকরণের পিছনে যে এক ভারত (India), শ্রেষ্ঠ ভারতের ভাবনা রয়েছে, এদিন তাও স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, যে ২১ দ্বীপের আজ নামকরণ হল, সেখানে এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের ভাবনা। অমৃতস্য পুত্রঃ। বীরদের পরাক্রম বার্তা। তিনি বলেন, মাতৃভূমির জন্য যাঁরা নিজেদের জীবন দিয়েছেন, আজকের দিন তাঁদের। সেনা থেকে সিপাহী, আজকের দিন তাঁদের জন্য উৎসর্গ করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতাজির এই জন্মদিনে তাই পরাক্রম দিবস পালন করে চলেছি আমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • OXFAM: ভারতের এক শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে ৪০ শতাংশ সম্পদ!

    OXFAM: ভারতের এক শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে ৪০ শতাংশ সম্পদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) মোট সম্পদের ৪০ শতাংশ অধিকারে রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতে। জনসংখ্যার নীচের অর্ধেকের অধিকারে রয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ সম্পদ। সোমবার এক সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। দাভোসে ওর্য়াল্ড ইকোনোমিক ফোরামের অ্যানুয়াল মিটিংয়ের প্রথম দিনে অক্সফ্যাম (OXFAM) ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ভারতের ১০ জন ধনীতম ব্যক্তির সম্পদ দিয়ে এ দেশের সমস্ত শিশুকে স্কুলে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।

    রিপোর্ট…

    ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই সময়ে গৌতম আদানির কাছ থেকে এককালীন কর আদায় করলে সরকারের কোষাগারে আসতে পারত ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকা। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে এক বছরের জন্য ৫০ লক্ষের বেশি প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন দেওয়া যেত। প্রকাশিত রিপোর্টটির শিরোনাম সার্ভাইভাল অফ দ্য রিচেস্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদি ভারতের বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পদের ওপর দুই শতাংশ কর ধার্য করা হত, তাহলে তার পরিমাণ দাঁড়াত ৪০ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। যে টাকায় আগামী তিন বছর ধরে দেশের অপুষ্টিতে ভোগা মানুষকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া যেত।ওই রিপোর্ট (OXFAM) থেকেই জানা গিয়েছে, দেশের দশজন বিলিয়নিয়ারের এককালীন পাঁচ শতাংশ কর ধার্য হলে তা হত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বরাদ্দের চেয়ে দেড় গুণ বেশি। এই অর্থবর্ষে আয়ুষ মন্ত্রকের চেয়েও তা ঢের বেশি। প্রসঙ্গত, এই অর্থবর্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বরাদ্দ ৮৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর আয়ুষের বরাদ্দ ৩ হাজার ৫০ কোটি টাকা।

    ভারতে লিঙ্গ বৈষম্য যে এখনও প্রবল, রিপোর্টে (OXFAM) উল্লেখ করা হয়েছে তাও। বলা হয়েছে, ভারতের পুরুষ কর্মীরা যেখানে এক টাকা রোজগার করেন, সেখানে মহিলাদের আয় ৬৩ পয়সা। তফশিলি জাতির কোনও কর্মীর আয় ৫৫ পয়সা। আর গ্রামীণ কোন কর্মীর আয় শহরের কর্মীদের ২০১৮-’১৯ সালের আয়ের অর্ধেক। অক্সফ্যামের ভারতের সিইও অমিতাভ বেহার বলেন, দেশের দলিত, আদিবাসী, মুসলমান, মহিলা এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা এই সিস্টেমে ভুগতেই আছেন, যে সিস্টেমে ধনীতমদের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে।

     

  • POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা ভারতীয় (India) ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই  উক্তি যিনি করেছেন, তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ আয়ুব মির্জা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার একথা বলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ। বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। দশা হয়েছে শ্রীলঙ্কার মতো। পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। এমতাবস্থায় পাকিস্তান পুড়ছে বাসিন্দাদের ক্ষোভের আগুনে। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গিলগিট বাল্টিস্তানের বাসিন্দারা।

    মির্জা বলেন…

    মির্জা বলেন, দেশে খাদ্য সংকট তীব্র। খাবার সংগ্রহ করতে পথে নেমেছেন বাসিন্দারা। বাজারে অমিল আটা-গম-ময়দা। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে এক দিনে গমের মূল্য বেড়েছে ১২০০ টাকা। দেশবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন। সরকার ময়দার ডিপোগুলো তালা দিয়ে রেখেছে। সেখানে ময়দাও নেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় প্রতিটি শহরে লোকজন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। সেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন ছাত্র, আইনজ্ঞ, নাগরিক সমাজ মায় মহিলারাও।

    জানা গিয়েছে, গত বেশ কয়েক দিন ধরে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন বাল্টিস্তানবাসী (POK)। গম সহ নানা খাদ্যশস্যের ওপর ভর্তুকির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। লোডশেডিং ও অবৈধভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তান সেনা অবৈধভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গা দখল করছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। পাক সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

    মির্জা বলেন, পাকিস্তানের যুব সমাজ আওয়াজ তুলেছে ভাঙা সম্পর্ক (ভারতের সঙ্গে) জোড়া লাগাও। তাঁরা চাইছেন, ঋণের ফাঁদে পড়ে থাকা দেশ থেকে বেরিয়ে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে যোগ দিতে। গিলগিট বাল্টিস্তানে বসানো হয়েছে খালসা সরকার ট্যাক্স। তার জেরেও আন্দোলন হয়েছে আরও তীব্র।

    আরও পড়ুুন: ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার চিনের তৈরি অস্ত্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CAA: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    CAA: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ (CAA) লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন। ভারতবর্ষের (India) নাগরিক হলে কারওর ক্ষমতা নেই আপনাকে তাড়ায়। যিনি এই কথাগুলি বললেন, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর সভায় আমজনতাকে ওই আশ্বাস দেন সুকান্ত। বাসন্তীর ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন মিঠুনও। ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়কও বলেন, সঠিক ভোটার কার্ড ও আধারকার্ড যদি থাকে, আপনাকে কেউ তাড়াবে না। নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। তিনিও বলেন, ভুল প্রচার হচ্ছে।

    সিএএ…

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সিএএ (CAA) নিয়ে আম আদমির ভয় কাটাতে উদ্যোগী হল গেরুয়া শিবির। সেই কারণে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বেছে নেন বাসন্তীর সভাকেই। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস হল, যাঁরা ভারতের নাগরিক, তাঁদের কেউ তাড়াবে না। সে তিনি যে ধর্মেরই হোন না কেন।ওই সভায় সুকান্ত বলেন, সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না। সহ নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন। ভারতবর্ষের নাগরিক হলে কারওর ক্ষমতা নেই আপনাকে তাড়ায়। বিজেপির বাংলার সভাপতি হিসেবে আমি কথা দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই যে ভারতবাসীর প্রকৃত বন্ধু, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন সুকান্ত। বলেন, লকডাউনের সময় বাড়িতে রেশন পৌঁছনো থেকে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা, সব কিছুই করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই নরেন্দ্র মোদিই ভারতবাসীর আসল বন্ধু।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও সুকান্ত বলেন, সিএএ (CAA) নিয়ে এখনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ভারতবর্ষের কোনও সম্প্রদায়ের মানুষেরই দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। সিএএ লাগু হলেও, যাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক, তাঁরা ভারতবর্ষেই থাকবেন। কাউকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা হবে না। এদিনের সভায় ‘মহাগুরু’ মিঠুনও বলেন, আপনাদের কাছে আসল আধারকার্ড, আসল ভোটার পরিচয়পত্র থাকলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। কেউ আপনাকে এ দেশ থেকে বের করতে পারবে না। মুসলমানেরাও যে বিজেপির পাশে রয়েছেন, এদিন সেকথা স্মরণ করিয়ে দেন মিঠুন। তিনি বলেন, গুজরাট নির্বাচনে মুসলমান ভাইবোনেরা ভোট না দিলে এত ভোটে জিততে পারত না বিজেপি। উত্তর প্রদেশেও মুসলমানেরা ভোট না দিলে এত আসন পাওয়া যেত না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • SIMI: সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    SIMI: সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও সংগঠন যারা ভারতে (India) ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে সিমিকে (SIMI) নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। সেই সংক্রান্ত মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতে এদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।

    সিমি…

    এদিন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে, সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে। এরা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক ইসলামি অর্ডার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের যে লক্ষ্য, তা আমাদের দেশের আইনের পরিপন্থী। বিশেষত, তাদের মূল লক্ষ্য হল ভারতে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা। ২০০১ সালেই এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিমিকে (SIMI)। কারণ ওই সংগঠন আইনবিরুদ্ধ নানা কার্যকলাপ করছিল। এ দেশে তাদের ৩৬টিরও বেশি শাখা সংগঠন রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে তারা তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাখিল করা হলফনামায় বলা হয়েছে, ৩৬টিরও বেশি ফ্রন্ট অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে এদেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিমি। এই ফ্রন্ট অর্গানাইজেশনগুলো নানাভাবে সিমিকে সাহায্য করছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থ সংগ্রহ, পুস্তিকার মাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া, ক্যাডারদের সংগঠিত করা ইত্যাদি। সিমি বিভিন্ন রকম বেআইনি কাজকর্মও করছিল। এই সব কাজ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে ভয়ঙ্কর হুমকি স্বরূপ।

    আরও পড়ুুন: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২৫টি আসন পাবে বিজেপি! দাবি সুকান্তর

    বুধবার কেন্দ্রের দাখিল করা হলফনামা নিয়ে শুনানি হবে বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের এজলাসে। সুপ্রিম কোর্টেই সিমির (SIMI) এক প্রাক্তন সদস্য পিটিশন দাখিল করেছিল। ২০১৯ সালে ইউএপিএ ধারায় সিমিকে যে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দাখিল করা হয় ওই পিটিশন। এদিন কেন্দ্রের তরফে দাখিল করা হলফনামায় এও বলা হয়েছে, সিমিকে (SIMI) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও বিভিন্ন সংগঠনের নামে বেআইনি কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এর প্রতি যারা সহানুভূতিশীল, তারা। এই সব সংগঠন মুসলিম তরুণদের মনে জেহাদির ধারণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে, তাদের ব্রেইন ওয়াশ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যা দরকার, ভবিষ্যতে তার সবই করবে ভারত (India)। শনিবার চেন্নাইয়ের তুঘলকের ৫৩তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে ফের চিনকে (China) এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারি চলার সময়ও চিন যে বারংবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তর সীমান্তে বিশাল বাহিনী এনে আমাদের চুক্তি ভঙ্গ করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে চিন। জয়শঙ্কর বলেন, মনে করুন, কোভিড অতিমারির সময় ২০২০ সালের মে মাসেও এ রকমই হয়েছে। আমরাও যোগ্য এবং কঠিন জবাব দিয়েছিলাম। এবং এর কৃতিত্ব বিদেশমন্ত্রী দিলেন সেনাবাহিনীকে। তিনি বলেন, কঠিন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে চরম আবহাওয়ার মধ্যেও আমাদের বাহিনী সীমান্ত রক্ষা করেছে।

    সংঘর্ষ…

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসে পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষ হয় চিন ও ভারতীয় সেনার। ২০২২ সালের শেষের দিকেও অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে চিনা ফৌজ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ করে ভারতীয় সেনা। তার জেরে দু পক্ষে সংঘর্ষ হয়। দু পক্ষের কেউ নিহত না হলেও, জখম হন বেশ কয়েকজন। পরে ভারতীয় সেনার তাড়া খেয়ে বাঙ্কারে ফিরে যায় লালফৌজ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ২০ ডিসেম্বর চুশুল-মলডো সীমান্তে চিনের দিকে ১৭তম বার বৈঠকে বসেন চিন ও ভারতের সেনা কর্তারা।

    আরও পড়ুুন: ‘দেশ বাঁচাতে আমাদের একমাত্র পথ হল…’, কী বললেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?

    এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ভারত এমন এক দেশ, যে কোনও দেশকে আঘাত করে না। তবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যা দরকার, তার সবটাই করে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ভারতের ক্ষেত্রে ইতিহাসের পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থানও এই দেশের গুরুত্ব বাড়িয়েছে। ভারতের নামে যে মহাসাগর, তার কেন্দ্রে রয়েছে ভারতীয় উপদ্বীপ। তিনি (S Jaishankar) বলেন, আমাদের অংশগ্রহণ ছাড়া এশিয়ার মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। ভারত মহাসাগরের ভৌগলিক গুরুত্ব আজ আরও বেশি। সেই কারণে গোটা দুনিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ভারত। জয়শঙ্কর বলেন, ভারত যত বেশি অংশগ্রহণ করবে, তত তার গুরুত্ব বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sri Lanka: ‘দেশ বাঁচাতে আমাদের একমাত্র পথ হল…’, কী বললেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?

    Sri Lanka: ‘দেশ বাঁচাতে আমাদের একমাত্র পথ হল…’, কী বললেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে টান। মন্ত্রিসভার মুখপাত্র এবং পরিবহণ মন্ত্রী বন্দুলা গুণবর্ধনে বলেছেন যে প্রেসিডেন্ট (President) বিক্রমসিংহে মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন রাজকোষের তহবিল উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে সব মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন তাদের জন্য বরাদ্দ করা আনুমানিক ব্যয় পাঁচ শতাংশ কমাতে। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কা। তার জেরে দেশটিতে তীব্র হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট।

    অর্থনীতির হাঁড়ির হাল…

    ১৯৪৮ সালের গ্রেট ব্রিটেনের হাত থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে এই প্রথম শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির এমন হাঁড়ির হাল হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে গত বছরের এপ্রিলে নিজেকে আন্তর্জাতিক ঋণ খেলাপি ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। জনরোষের চাপে পড়ে বদল হয় সরকার। প্রেসিডেন্ট হন বিক্রমসিংহে। তার পরেও দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যের খুব একটা উন্নতি হয়নি। এমতাবস্থায় দেশকে বাঁচাতে সহায় হতে পারে একমাত্র আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। সেকথা স্বীকারও করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার দুপুরে প্রেসিডেন্টের অফিসে ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি দেশের অর্থনীতির হাল তলানিতে। আমি জানি দেশবাসী কী চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন।

    আরও পড়ুুন: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কীভাবে হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। জীবনযাত্রার মান এক লপ্তে গিয়েছে অনেকখানি বেড়ে। মূদ্রাস্ফীতির কারণেই এটা হয়েছে। তিনি বলেন, সেই কারণেই বদলে যাচ্ছে দেশবাসীর জীবনযাত্রার ধরন। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রেসিডেন্ট বলেন, নানা কারণে দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হয়েছে। যা ঘটে গিয়েছে, তা নিয়ে এখন আর আলোচনা করার কোনও প্রয়োজন নেই। এর পরেই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের সামনে এখন একমাত্র অপশন খোলা রয়েছে, সেটি হল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের সাহায্য। অন্যথায় আমরা দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে পারব না। তিনি বলেন, নানা কারণে আমাদের এখন প্রচুর ঋণ হয়ে গিয়েছে। আমরা জাপানের সঙ্গে আলোচনা করছি। ঋণদাতা দেশগুলির মধ্যে জাপানও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, জাপান ছাড়াও চিন এবং ভারত থেকেও আমরা ঋণ নিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Generic Medicine: বাড়ছে করোনা, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে   

    Generic Medicine: বাড়ছে করোনা, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ! যে ভারতের (India) বিভিন্ন অঞ্চলে দখলদারি করতে মুখিয়ে রয়েছে চিন (China), করোনা পরিস্থিতিতে সেই ভারতের ওষুধের দিকেই হা-পিত্যেশ করে রয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। হ্যাঁ, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের (Generic Medicine) চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে। চাহিদা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সে দেশে বিক্রি হচ্ছে ব্যাপক জাল ওষুধ। চিনের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন ক্রেতাদের।

    করোনার ঢেউ…

    সম্প্রতি চিনে ফের আছড়ে পড়েছে করোনার ঢেউ। এক সময় চিনেই প্রথম মিলেছিল মারণ এই ভাইরাসের দেখা। সেখানে থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল তামাম বিশ্বে। পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও, ব্যতিক্রম কেবল চিন। অথচ করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে নানা পন্থা অবলম্বন করেছে বেজিং। নেওয়া হয়েছিল জিরো টলারেন্স নীতিও। তার পরেও রোখা যায়নি করোনার বাড়বাড়ন্ত। জানা গিয়েছে, চিনে ফি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমিতের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। এমতাবস্থায় চিনের ভরসা ভারতের জেনেরিক ড্রাগ। রবিবার চিনের ন্যাশনাল হেল্থ সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ফাইজারের তৈরি প্যাক্সলোভিডকে রেজিস্টার অফ ড্রাগের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। কারণ কোম্পানির কোটেশন চড়া। যেহেতু প্যাক্সলোভিডের সরবরাহ কম, তাই চিনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় ওষুধের জেনেরিক ভার্সানের (Generic Medicine) দাম গিয়েছে চড়ে।

    আরও পড়ুুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    সে দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে…অন্তত ভারতে উৎপন্ন চারটি জেনেরিক কোভিড ওষুধ-প্রাইমোভির, প্যাক্সিসটা, মলনুনাট এবং মলনাট্রিস বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রাইমোভির এবং প্যাক্সিসটা দুটোই প্যাক্সলোভিডের জেনেরিক ভার্সান। বাকি দুটি মলনিপিরেভির জেনেরিক ভার্সান। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই চারটি ওষুধ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগ করার কথা বলেছেন। তবে চিনে এটির প্রয়োগ বৈধ নয়। বেজিং মেমরিয়াল ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান হি জিয়াওবিং সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভারতই একমাত্র দেশ যেখানকার সোর্স বিশ্বস্ত, যার কোভিড ওষুধে গ্যারান্টিযুক্ত ফল হচ্ছে। তিনি বলেন, কিছু অবৈধ গোষ্ঠী এই ওষুধগুলির বিপুল চাহিদাকেই কাজে লাগাচ্ছে। তারা জাল ওষুধ তৈরি করছে। এতে রোগীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এদিক, ভারত চিনকে এই বলে আশ্বস্ত করেছে যে তারা ইচ্ছে করলে সে দেশের নাগরিকদের জন্য ওষুধের দাম কমাতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share