Tag: India

India

  • Mohan Bhagwat: ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতি (Nation) এগোচ্ছে। প্রগতির সেই ছবি সর্বত্র দেখাও যাচ্ছে। এই ভাষায়ই ভারতের প্রগতির জয়গান করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। শ্রী সত্য সাই ইউনিভার্সিটি ফর হিউম্যান এক্সিলেন্সের সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন ভাগবত।

    এদিনের সভায় আরএসএস প্রধান বলেন, ভারতের প্রগতির চিহ্ন সর্বত্র। অতীতের শিক্ষার সঙ্গে অধ্যাধুনিক শিক্ষার মেলবন্ধনেই এটা হয়েছে। ১০-১২ বছর আগে কেউ যদি বলত, ভারত সমৃদ্ধির পথে এগোবে, তাহলেও কেউই এটা সিরিয়াসলি নিতেন না। ভাগবত মনে করিয়ে দেন, এটা এখনই শুরু হয়নি। শুরু হয়েছিল ১৮৫৭ সালে, যাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বলেন, এই যে উৎকর্ষ আমরা পেয়েছি, সেটা পেয়েছি আধ্যাত্মিকতা দিয়ে। কারণ বিজ্ঞান সৃষ্টি উৎস ব্যাখ্যা করতে পারেনি। আরএসএস সংঘচালকের মতে, যে বিজ্ঞান আছে, তাতে বহির্বিশ্বের পাঠ সম্পর্কে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তাই সর্বত্রই দ্বন্দ্বের ছাপ স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন : ২০২৪ সালের মধ্যে ১ লক্ষ শাখা ! শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরিকল্পনা আরএসএস-এর

    এদিনের অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান বলেন, যদি আপনার ভাষা আলাদা হয়, তাহলে দ্বন্দ্ব। আপনার প্রার্থনার পথ যদি ভিন্ন হয়, দ্বন্দ্ব তাহলেও। আর দেশ যদি আলাদা হলে তো কথাই নেই, বিবাদ সেখানেও। তিনি বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশেরও দ্বন্দ্ব রয়েছে, দ্বন্দ্ব রয়েছে বিজ্ঞানের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতারও। গত হাজার বছর ধরে এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই আবর্তিত হচ্ছে বিশ্ব। সৃষ্টির রহস্য উদ্ঘাটনে বিজ্ঞানের কাছে কোনও ব্যাখ্যা নেই বলেই মনে করেন ভাগবত। বলেন, ভারতীয় ঐতিহ্যের মধ্যেই রয়েছে এর উৎস। তিনি বলেন, মন, বুদ্ধি এবং শরীরের সংযোগ ফ্যাক্টর হল আত্মা। আত্মার সহায়তায় কাজ করে এই ত্রয়ী। অনুরূপভাবে, ভগবান মানুষ এবং তাঁর আগ্রহ, সমাজ এবং তার আগ্রহ, সৃষ্টি এবং তার আগ্রহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। তিনি বলেন, সবাইকে ভালোবাসুন, সবার সেবা করুন। এই শব্দবন্ধটির মধ্যে লুকোনো দর্শনটি হল, সবই এক। সংঘচালক বলেন, এই যে বৈচিত্র, তা একদিন শেষ হয়ে যাবে। প্রকৃতিও ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু প্রকৃতির উৎস রয়ে যাবে। সেটি অক্ষয়, অমর।

     

    বেঁচে থাকাটাই যে জীবনের সব নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভাগবত। বলেন, স্রেফ খাওয়াদাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধি করাই মানুষের কাজ নয়, এগুলি পশুও করে। যোগ্যতমের উদ্বর্তনের তত্ত্ব কেবল জঙ্গলেই প্রযোজ্য। কিন্তু অন্যদের রক্ষা করাই মনুষ্যত্বের লক্ষণ। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাওস্কর, ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরিরঙ্গন সহ কয়েকজনকে সম্মানিত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।

     

  • Hamid Ansari Contro: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের

    Hamid Ansari Contro: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির ডাকে ভারতে এসেছিলেন পাক সাংবাদিক নুসরত মির্জা। সংগ্রহ করেছিলেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে সেই তথ্য তুলে দিয়েছেন সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইকে। খোদ পাক সাংবাদিকের এই বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় গোটা দেশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তবে হামিদ যে মিথ্যে বলছেন, তা দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনীকার আদিস সি আগরওয়াল।

    ট্যুইটবার্তায় আদিস বলেন, জঙ্গিবাদের ওপর এক আলোচনাসভায় হামিদ ওই পাক সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওই আলোচনা সভায় যে হামিদ গিয়েছিলেন, তা স্বীকার করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সচিব জয়রাম রমেশ। তবে নুসরতকে যে হামিদই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তা অস্বীকার করেছেন তিনি। অথচ নুসরত মির্জাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন হামিদ আনসারি। জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতেই এখন তিনি অভিযোগ অস্বীকার করছেন। হামিদ যে মিথ্যে বলছেন, নানা তথ্য দিয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনেল কাউন্সিল অফ জুরিস্টের সভাপতি আদিস। তিনি আবার অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানও। আদিস জানান, তথ্যের ভিত্তিতে তিনি সত্য উদ্ঘাটন করতে চান।

    আরও পড়ুন : প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি

    আদিস বলেন, ২০১০ সালের ১১ ও ১২ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ জুরিস্টস অন ইন্টারন্যাশনাল টেররিজম অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস। নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে হয়েছিল ওই আলোচনা সভা। সভায় ছিলেন হামিদ। যদিও নুসরত ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন না। ছিলেন না অনুষ্ঠানেও। এমনকী, এই অনুষ্ঠানের উল্লেখ পরবর্তীকালে কেরননি মির্জা।

    আদিস বলেন, আমি ওই আলোচনাসভার আহ্বায়ক ছিলাম। যখন আলোচনাসভা আয়োজিত হচ্ছিল, তখন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল হামিদ আনসারিকে। হামিদের সচিবালয় থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আদিস আরও বলেন, উপরাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের তৎকালীন ডিরেক্টর ছিলেন অশোক দেওয়ান। তিনি আমাকে জানান নুসরতকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি স্বয়ং। যাই হোক, আমরা উপরাষ্ট্রপতির সেই অনুরোধ রাখতে পারিনি। কারণ ওই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের কোনও মিডিয়া কিংবা বিচারক এবং আইনজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

    আদিস বলেন, এরপর যখন দেওয়ান বিষয়টি জানতে পারলেন, তখন তিনি আমাকে ডেকে পাঠালেন। সেটি ছিল সভার আগের দিন। দেওয়ান আমাকে জানান, মির্জাকে আমন্ত্রণ না পাঠানোয় উপরাষ্ট্রপতি খুশি হননি, অপমানিত বোধ করেছেন। আগে তিনি ঘণ্টাখানেক সভায় থাকবেন বললেও, এখন তিনি জানিয়েছেন, কুড়ি মিনিট থাকবেন।

    আরও পড়ুন :কে হবেন উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী? শনিবার বৈঠকে বিজেপি

    আদিস বলেন, অনুষ্ঠানের দিন ঘড়ির কাঁটায় কুড়ি মিনিট হতেই সভাস্থল ছাড়েন হামিদ। যদিও কংগ্রেসের কিছু নেতা এনিয়ে সত্য গোপন করতে চাইছেন। তাঁরা এটা প্রমাণ করতে চাইছেন আমি প্রধানমন্ত্রীর সহ জীবনীকার বলেই এসব বলছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা বলছেন, মোদি ভক্ত হওয়ায় আদিস এসব বলছেন। ওঁদের দাবি, আসলে আমিই না কি নুসরতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। এখন দায় চাপাচ্ছি হামিদের ওপর।

    আদিসের মতে, সত্য ধামাচাপা দিতেই এসব করা হচ্ছে। নিজেকে বাঁচাতেই এসব বর্ম ব্যবহার করছেন হামিদ। আদিস বলেন, আসল ঘটনা হল আমি যে আলোচনাসভার আয়োজন করেছিলাম, তাতে হামিদ এবং মির্জা একসঙ্গে ছিলেন না। কিন্তু, এই দুজন যে কনফারেন্সে একসঙ্গে ছিলেন, তা ছিল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স এগেইনস্ট টেররিজম।

    আদিস জানান, এই সভার আয়োজক ছিল জামা মসজিদ ইউনাইটেড ফোরাম। আলোচনা সভা হয়েছিল নয়াদিল্লির ওবেরয় হোটেলে। হামিদের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন জামা মসজিদের শাহি ইমাম আহমেদ বুখারি, ফারুক আবদুল্লা সহ বেশ কয়েকজন মুসলিম নেতা। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে, হামিদ এবং রমেশ সত্য গোপন করতে চাইছেন। আনসারিকে ক্লিনচিট দিতেই এটা করা হয়েছে। তাঁরা ইচ্ছে করেই জুরিস্ট কনফারেন্সের নাম নিচ্ছেন।

    আদিস জানান, ওই অনুষ্ঠানে মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন হামিদ ও নুসরত। ওই অনুষ্ঠান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সবাই ছিলেন। তা থেকে স্পষ্ট মঞ্চে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনুমোদন করেছিলেন হামিদ। এ থেকেও প্রমাণ হয় এক মঞ্চে ছিলেন হামিদ এবং মির্জা। তাই নুসরত যা বলছেন, তা ঠিকই বলছেন।

  • India China Talks:  সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ১৬তম বৈঠকে ভারত, চিনের কমান্ডাররা

    India China Talks: সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ১৬তম বৈঠকে ভারত, চিনের কমান্ডাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার হল ভারত (India) চিন (China) কমান্ডার স্তরের (Commander Level) ১৬তম বৈঠক। বৈঠক হয়েছে চুশুল (Chushul) সীমান্তে। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সংঘাত এড়াতেই চলছে আলোচনা। ভারতের তরফে বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেরই ১১ মার্চ ভারত-চিন কোর কমান্ডার স্তরের ১৫তম বৈঠকটি হয়েছিল।

    ১৭ জুলাইয়ের এই বৈঠকের আগে আরও ১৫ বার বৈঠকে বসেছে দুই দেশের সেনারা। সেনা পর্যায়ের ওই বৈঠকগুলির পরেও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের বিবাদ সম্পূর্ণ মেটেনি। এবার স্থায়ী সমাধান খোঁজার লক্ষ্যেই দীর্ঘ বিরতির পর এদিন ফের মুখোমুখি হয়েছে প্রতিবেশী এই দুই দেশ। ২০২০ সালের মে মাসে দুই দেশের বিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের বৈঠক হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও সমস্যা মেটেনি পুরোপুরি। এই আবহেই এদিন হয়েছে ফের বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে দুই দেশই সীমান্ত এলাকায় দেশের অভ্যন্তরে স্থায়ী নিরাপত্তা বজায় রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। সমস্যা এড়াতে সেনার পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও চলবে আলাপ আলোচনা।   

    আরও পড়ুন : মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত  

    ২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত এবং চিন সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এর পর থেকেই দুই দেশের সীমান্ত বরাবর প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সম্প্রতি চিনা সামরিক বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ভারতীয় আকাশসীমার খুব কাছে চলে এসেছিল। এরপরই দুই দেশের এই সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ভূরাজনৈতিক মহল। তামাম বিশ্বে ভূরাজনৈতিক চিত্র বদলে যাওয়ায় ভারতের পাশে দাঁড়াতে চিন যে আগ্রহী, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার তার ইঙ্গিত দিয়েছে বেজিং। ভারত যখন গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখনও ভারতের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিল ড্রাগনের দেশ। এই আবহে দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

     

  • Har Ghar Tiranga: তিন দিন ধরে ২০ কোটি বাড়িতে উড়বে জাতীয় পতাকা ! কেন্দ্রের নয়া প্রচার ‘হর ঘর তেরঙ্গা’

    Har Ghar Tiranga: তিন দিন ধরে ২০ কোটি বাড়িতে উড়বে জাতীয় পতাকা ! কেন্দ্রের নয়া প্রচার ‘হর ঘর তেরঙ্গা’

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: শুরু হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের (central government) ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) অভিযান। আগামী মাসে তিনদিনের জন্য সারা দেশে ২০ কোটিরও বেশি বাড়িতে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হবে। আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের (Azadi Ka Amrit Mahotsav) অঙ্গ হিসাবে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah ) এই প্রচার কর্মসূচির ব্যাপারে পর্যালোচনা করেছেন। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পদাধিকারীদের সঙ্গে তিনি এ নিয়ে আলোচনা করেন। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে ১৩ অগস্ট থেকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত তিরঙ্গা পতাকা ওড়ানো হবে। বিভিন্ন সংগঠনও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিও এর অন্তর্ভুক্ত। এমনটাই বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

    বিবৃতি অনুযায়ী, এদিন ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ ভারত মাতার সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করার প্রচারে অংশ নেবেন। এটি মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের একটি নতুন বোধ জাগিয়ে তুলবে। বিবৃতি অনুসারে অমিত শাহ বলেন, ২২ শে জুলাই থেকে সমস্ত রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটের হোমপেজে জাতীয় পতাকা থাকবে। এছাড়া নাগরিকদের প্রতি তাঁর আর্জি সবাই যেন তাঁদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতে তেরঙ্গা প্রদর্শন করেন। এমনকি তেরঙ্গার সঙ্গে একটি সেলফি তুলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করার কথাও বলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: আপনার আধার কার্ড দিয়ে অন্য কেউ সিম তোলেনি তো? আজই জেনে নিন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্যভাবে আজাদি কি অমৃত মহোৎসবকে পালন করতে চাইছেন। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ প্রতিটি নাগরিকের জন্য গর্বের বিষয়। ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচার দেশপ্রেমের চেতনাকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যাবে, বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল ‘প্রভাত ফেরি’। তাই রাজনৈতিক দল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং সমবায়গুলিকে নিজেদের অঞ্চলে প্রভাত ফেরির আয়োজন করতে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যখন শিশু, বৃদ্ধ, যুবক এবং কিশোররা একসঙ্গে ভারত মাতার গান গাইবে এবং তেরঙ্গা হাতে নিয়ে ‘প্রভাত ফেরি’ তে অংশ নেবে, তখন ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি নিজে থেকেই সফল হয়ে যাবে।

     

  • Pakistan Crisis: এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় পাকিস্তানও?   

    Pakistan Crisis: এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় পাকিস্তানও?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেনায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। একই অবস্থা জাম্বিয়ারও। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারের হাঁড়ির হাল আরও কয়েকটি দেশের। এই তালিকায় যোগ হতে চলেছে পাকিস্তানের নামও। অন্ততঃ ইন্টারন্যাশনাল রেটিং এজেন্সির বক্তব্য এমনই।

    চিনা (China) ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। দেশের জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য। বিদেশি মুদ্রার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা হচ্ছে লোডশেডিং। একই কারণে বিদেশ থেকে আনানো যাচ্ছে না সংবাদপত্র ছাপার কাগজ। যার জেরে দীর্ঘ দিন এদেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সংবাদপত্র ছাপার কাজ। জ্বালানির দাম অগ্নিমূল্য হওয়ায় রাস্তায় গাড়িঘোড়াও চলছে কম। জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট হাউসের দখল নিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের আমজনতা।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা

    কেবল শ্রীলঙ্কা নয়, অর্থনীতির করুণ দশা পৃথিবীর আরও কয়কটি দেশেরও। টার্কি, ইজিপ্ট, টিউনিশিয়া, ইথিওপিয়া, পাকিস্তান (Pakistan), ঘানা এবং এল সালভাডর রয়েছে এই তালিকায়। এই দেশগুলিও বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে পারছে না। এই দেশগুলিতেও জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্যে মূল্য আকাশ ছোঁওয়া। সেই সঙ্গে বাড়ছে গ্লোবাল ইন্টারেস্ট রেটও। 

    ফিচ রেটিংসের বিচারে কেবল এই দেশগুলোই নয়, তারা চিহ্নিত করেছে ১৭টি দেশকে। যারা এখনই বৈদেশিক ঋণ শোধে অপারগ। এদের মধ্যে রয়েছে শেহবাজ শরিফের দেশ পাকিস্তানও। এই ১৭টি দেশের তালিকায় রয়েছে বৃহৎ শক্তিধর দেশ রাশিয়াও। আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অর্থনৈতিক লেনদেন করতে পারছে না পুতিনের দেশ। প্রত্যাশিতভাবেই তারাও পারছে না বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে।

    আরও পড়ুন : অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    শ্রীলঙ্কা, জাম্বিয়ার পর এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে পাকিস্তান, লেবানন, টিউনিশিয়া, ঘানা, ইথিওপিয়া, ইউক্রেন, তাজিকিস্তান, এল সালভাদর, সুরিনাম, ইকুয়েডর, বেলিজ, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া, বেলারুশ এবং ভেনেজুয়েলা। এই দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রার হাঁড়ির হাল। তাই যে কোনও সময় এদের গায়েও সেঁটে যেতে পারে ঋণখেলাপির তকমা।

     

  • India Population: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত, বলছে রিপোর্ট

    India Population: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংখ্যার (Population) নিরিখে আর কিছু দিনেই চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল দেশ হতে চলেছে ভারত (India)। সোমবার এমনই দাবি করা হয়েছে একটি রিপোর্টে। 

    আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে চিনের (China) থেকেও বেশি জনসংখ্যা হবে ভারতের। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) প্রকাশিত ‘দ্য ওয়ার্লড পপুলেশন প্রসপেকট্স ২০২২’ নামের এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই বছর নভেম্বরেই ৮০০ কোটিতে দাঁড়াবে বিশ্বের জনসংখ্যা। ভারতের পাশাপাশি গোটা পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি। রাষ্ট্রসংঘের এই রিপোর্ট চিন্তা বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতির বৃদ্ধি দ্রুত হলেও, জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে চাপে পড়তে পারে ভারত। 

    আরও পড়ুন: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত 

    রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্ট বলছে, এ বছরের নভেম্বরে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে। ১৯৫০-এর পর থেকে গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে গিয়েছিল। ২০২০-তে তা এক শতাংশের নীচে নেমে যায়। কিন্তু নতুন এই রিপোর্ট বলছে, ২০৩০-এর মধ্যে জনসংখ্যা ছাড়াবে ৮৫০ কোটি। ২০৫০-এ তা গিয়ে হবে ৯৭০ কোটি। 

    আরও পড়ুন: চিন থেকে উদ্ধার ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জায়েন্ট পান্ডার জীবাশ্ম    

    পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সবচেয়ে জনবহুল। এখনও চিনের জনসংখ্যা বিশ্বে মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশের বসবাস এ অঞ্চলেই। তারপরেই রয়েছে ভারত। রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি হবে সবচেয়ে বেশি। ভারত ছাড়াও সে তালিকায় রয়েছে, কঙ্গো, মিশর, পাকিস্তান, নাইজিরিয়া, ইথিয়োপিয়া এবং তানজানিয়া।      

    গতকাল ছিল ১১ জুলাই, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এদিনই এই রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এই বিশেষ দিনের উদযাপনের কথা বলা হয় ১৯৮৯ সালে যখন সারা বিশ্বের জনসংখ্যা পেরিয়ে যায় ৫০০ কোটি। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে চলেছে এই দিন। এই বছর সারা পৃথিবীর জনসংখ্যা হতে চলেছে ৮০০ কোটি। প্রসঙ্গত ২০১১ সালে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা ছুঁয়েছিল ৭০০ কোটি। 
      
     

  • ASIA Cup 2022: কোথায় এশিয়া কাপ? শ্রীলঙ্কা না বাংলাদেশ

    ASIA Cup 2022: কোথায় এশিয়া কাপ? শ্রীলঙ্কা না বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক অস্থিরতায় জেরবার শ্রীলঙ্কা (Srilanka)। তাই দ্বীপরাষ্ট্র থেকে আসন্ন এশিয়া কাপ (ASIA Cup 2022) সরানোর কথা ভাবছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC)। আগামী অগস্টে শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ হওয়ার কথা। একটি সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (Asian Cricket Council) বাংলাদেশ  ক্রিকেট বোর্ডকে (Bangladesh Cricket Board) তৈরি থাকতে বলেছে। কয়েক দিন আগেও শ্রীলঙ্কা থেকে এশিয়া কাপ সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবেনি এসিসি। কিন্তু শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের বাসভবন বিক্ষোভকারীদের দখলে চলে যাওয়ার পরেই আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না এসিসি।

    শ্রীলঙ্কার অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। শ্রীলঙ্কায় কী শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপের ম্যাচ হবে? প্রশ্ন ক্রিকেট মহলে। অবস্থা খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাওয়ার পর সেখানকার মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁর বাসভবন সাধারণ মানুষের দখলে। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (BCCI) সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না। তবে আমরা নজর রাখছি। অস্ট্রেলিয়া দল বর্তমানে সেখানে খেলছে। সত্যি বলতে শ্রীলঙ্কা দলও ভাল পারফর্ম করছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন আরও এক মাস অপেক্ষা করা যাক।’

    আরও পড়ুন: শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জয় বঙ্গকন্যা মেহুলির

    ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের এশিয়া কাপে খেলার কথা। ষষ্ঠ দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত, হংকং, সিঙ্গাপুরের মধ্যে যে কোনও একটি দেশের খেলার কথা। এই চারটি দেশকে নিয়ে একটি যোগ্যতা অর্জন প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররাও এই মুহূর্তে একেবারেই শ্রীলঙ্কায় গিয়ে খেলতে চাইছেন না। তাঁরা তাঁদের আপত্তির কথা নিজেদের দেশের বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছে। সব থেকে বড় কথা, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডও বর্তমান পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপের মতো বহুদেশীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন করার ব্যাপারে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নয়। তবে তারা এখনই কিছু বলতে চাইছে না। এশিয়া কাপ আয়োজনের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে সিংহলীরা। তবে শ্রীলঙ্কা যদি একান্তই না পারে তাহলে এ ব্যাপারে এখন বাংলাদেশই এগিয়ে রয়েছে। 

  • Ramnath Kovind: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    Ramnath Kovind: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পাঁচ বছরের কার্যকাল। সেই মেয়াদ শেষ হতে বাকি হাতে গোণা কয়েকটা দিন। এই পাঁচ বছরে রাষ্ট্রপতি (President) হিসেবে কী করলেন রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)? নয়া রাষ্ট্রপতি শপথ নিলেই অবসরে চলে যাবেন কোবিন্দ। শুরু অখণ্ড অবসর। এবার নিজের মতো করে সময় কাটাবেন তিনি। আসুন জেনে নেওয়া যাক, গত পাঁচ বছরে কী কাজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।  

    ভারতের রাষ্ট্রপতি পদটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্টই সব। আর ভারতে (India) রাষ্ট্রপতি পদটি আলঙ্কারিক। ব্রিটেনের মতো এখানেও প্রধানমন্ত্রীই সব। তবে আলঙ্কারিক হলেও ভারতে রাষ্ট্রপতির হাতে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সে যাই হোক, গত পাঁচ বছর ধরে এই পদে ছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। এই পাঁচ বছরে তিনি স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টি বিলে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও একটি বিল সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর সম্মতির জন্য যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলটি আর বিল থাকে না, পরিণত হয় আইনে। তাঁর কার্যকালে রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টি বিলে। এগুলির মধ্যে রয়েছে গুজরাট কন্ট্রোল অফ টেটরিজম অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইম বিল ২০১৫।  

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থন করে বিজেপিকে বার্তা উদ্ধব ঠাকরের?

    এই পাঁচ বছরের মেয়াদের কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন তিনটি স্টেট বিলও। এর মধ্যে দুটি বাংলার। এদের একটি হল, জেসপ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অফ আন্ডারটেকিং বিল ২০১৬) এবং ডানলপ ইন্ডিয়া লিমিটেড(অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অফ আন্ডারটেকিং বিল ২০১৬)। বিল দুটিতে স্বাক্ষর করেননি রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলেনি তামিলনাড়ুর এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্স বিল ২০১৭-ও।

    আরও পড়ুন : দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    নিয়ম অনুযায়ী, কোনও একটি বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যপালের সম্মতির জন্য সেটি পাঠানো হয় রাজভবনে। রাজ্যপাল বিলটি আটকে রাখতে পারেন অথবা রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য বিলটি তিনি পাঠাতে পারেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। বাংলার দুটি এবং তামিলনাড়ুর একটি বিলের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। তিনটি বিলেই রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলেনি। কোবিন্দের হাতে শেষ যে বিলটি পাশ হয়েছে, সেটি হল ক্রিমিনাল ল’(মধ্যপ্রদেশ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল) ২০১৯। তাঁর আমলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিলও আইনে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ইউপি’জ মিনিমাম ওয়েজেস(অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০১৭। এই আইনের মাধ্যমে ব্যাংকের মাধ্যমে মজুরি পাবেন উত্তর প্রদেশের শ্রমিকরা।

     

  • I2U2: ছয় ক্ষেত্রে যৌথ লগ্নি আইটুইউটু-র, প্রথম প্রজেক্ট ভারতে

    I2U2: ছয় ক্ষেত্রে যৌথ লগ্নি আইটুইউটু-র, প্রথম প্রজেক্ট ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইটুইউটু-র (I2U2) প্রথম প্রজেক্ট হতে চলেছে ভারতে (India)। কৃষি (Agriculture), খাদ্য (Food) এবং গ্রিন এনার্জি-র (Green Energy) ক্ষেত্রে হবে এই বিনিয়োগ। চার দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে একথা।

    আই টু ইউ টু-র অর্থ ইন্ডিয়া ও ইসরায়েল এবং আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। বৃহস্পতিবার হয় এই চার দেশের প্রথম ভার্চুয়াল সম্মেলন। এদিনের সম্মেলেন যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। উদ্বোধনী বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা সংকট ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথম বৈঠকেই ভারতে খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।

    আরও পড়ুন : মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়?

    ভার্চুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আইটুইউটু গোষ্ঠীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, গোটা বিশ্বে যেভাবে অনিশ্চয়তা বাড়ছে, তার মধ্যে ব্যবহারিক সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য এটি অত্যন্ত ভাল একটি মডেল। মোদি বলেন, এই গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী শক্তি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। প্রথম শীর্ষ সম্মেলন থেকেই আইটুইউটু একটি ইতিবাচক অ্যাজেন্ডা প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্প চিহ্নিত করেছি এবং সেই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি রোডম্যাপও তৈরি করেছি।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন?

    মোদি জানান, আইটুইউটু গোষ্ঠীর কাঠামোর অধীনে জল, শক্তি, পরিবহণ, মহাকাশ, স্বাস্থ্য এবং খাদ্য- নিরাপত্তার এই ছটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত চার দেশ। মোদি বলেন, এই গোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি ও অ্যাজেন্ডা প্রগতিশীল ও বাস্তবোচিত। তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতামূলক কাঠামো ক্রমবর্ধমান গ্লোবাল অনিশ্চয়তার মুখে ব্যবহারিক সহযোগিতার জন্য একটি ভালো মডেল।

    জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যে দুশো কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে এ দেশে, তাতে তারা বেশ কয়েকটি খাদ্য নিরাপত্তা পার্ক গড়ে তুলবে। প্রকল্পের জন্য জমি দেবে ভারত সরকার। পার্কগুলির সঙ্গে কৃষকদের যুক্ত করার কাজও করবে সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রথম যে দুটি প্রজেক্টের ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, সে দুটি হল খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রিন এনার্জি। এর মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ হল খাদ্য নিরাপত্তা। কারণ তামাম বিশ্ব আপাতত ভুগছে খাদ্য অনিশ্চয়তায়।

     

  • India: জনসংখ্যার কারণে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পেতে পারে ভারত

    India: জনসংখ্যার কারণে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পেতে পারে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরই বিশ্বের সব থেকে জনবহুল (Most Populous) দেশ হতে চলেছে ভারত। গতকাল এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাড়িয়ে যাবে দেশ। ভারতের (India) জনসংখ্যার এই ব্যাপক বৃদ্ধির পূর্বাভাসে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল। অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু এর মধ্যেও লুকিয়ে রয়েছে কিছু ভালো দিক।

    আরও পড়ুন: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত, বলছে রিপোর্ট

    মনে করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়ে উঠলে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ (UN Security Council Membership) পেতে পারে ভারত।  ইউএন ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স (DESA) এর জনসংখ্যা বিভাগের প্রধান জন উইলমোথ সোমবার বলেন, ভারত সব থেকে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে প্রমাণিত হলে, অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছু বাড়তি সুবিধা পাবে। 

    তিনি জানান, ভারত সবচেয়ে জনবহুল দেশের খেতাব পেলে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদ পাওয়ার তাদের দাবি আরও জোরদার হবে। 

    জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচটি দেশ চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র। বাকি ১০টি দেশ অস্থায়ী সদস্য। ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে দু বছরের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়। এর আগে ১৯৫০-৫১, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭২-৭৩, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৮৪-৮৫, ১৯৯১-৯২ এবং সাম্প্রতিক অতীতে ২০১১-১২ ও ২০২১-২২ সালে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল ভারত। কিছুদিন আগেই চলে যায় সেই অস্থায়ী সদস্য পদ।  

    জাতিসংঘের একটি রিপোর্ট বলছে, এ বছরের নভেম্বরে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে। ১৯৫০-এর পর থেকে গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে গিয়েছিল। ২০২০-তে তা এক শতাংশের নীচে নেমে যায়। কিন্তু নতুন এই রিপোর্ট বলছে, ২০৩০-এর মধ্যে জনসংখ্যা ছাড়াবে ৮৫০ কোটি। ২০৫০-এ তা গিয়ে হবে ৯৭০ কোটি।

    জনসংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এখনও চিনের জনসংখ্যার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের পুরো জনসংখ্যার ২৬ শতাংশের বসবাস এ অঞ্চলেই। তার মধ্যে চিন এবং ভারতে ১৪০ কোটির বেশি জনসংখ্যা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি হবে সবচেয়ে বেশি। ভারত ছাড়াও সে তালিকায় রয়েছে, কঙ্গো, মিশর, পাকিস্তান, নাইজিরিয়া, ইথিয়োপিয়া এবং তানজানিয়া।

     

LinkedIn
Share