Tag: India

India

  • India US relation: ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন কর্তা

    India US relation: ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পাশে রয়েছে আমেরিকা (America)। সম্প্রতি একথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়া (Russia) -ভারত সম্পর্ক বহু পুরানো। তখন বন্ধু (Partner) খুঁজতে তারা প্রস্তুত ছিল না বলেও জানিয়েছে আমেরিকা।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বদলে গিয়েছে বিশ্বরাজনীতি। গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছে আড়াআড়িভাবে। একটা অংশ দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনের পাশে। আর একটি অংশ রাশিয়ার পাশে। ইউক্রেনের পাশে রয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকা। এমতাবস্থায় ভারত এখনও সম্পর্ক রেখে চলেছে রাশিয়ার সঙ্গে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের যে নিষেধাজ্ঞা কানে তোলেনি সাউথব্লক। যুদ্ধের আবহেও নিয়মিত জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। এ নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারির মুখেও পড়তে হয়েছে। তার পরেও দমানো যায়নি মোদির ভারতকে। কূটনৈতিক মহলের মতে, তাই ভারতের সঙ্গে ‘সন্ধি’ করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন,  আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে নানা বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। মস্কোর সঙ্গে বিভিন্ন দেশ আলাদা আলাদা সম্পর্ক রেখে চলেছে।

    এক সময় সৌদি আরব থেকে প্রচুর পরিমাণ তেল কিনত ভারত। তবে বর্তমানে সৌদি আরবকে পিছনে ফেলে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার জেরে মার্কিন ডলারে তেল কেনা যাচ্ছে না রাশিয়া থেকে। প্রত্যাশিতভাবেই সস্তা হয়েছে পুতিনের দেশের তেল। এই পরিস্থিতিতে তেলের ভাঁড়ার পূরণ করে নিতে মরিয়া ভারত। সেই কারণেই এখন রুপি-রুবেল মেকানিজম দিয়ে লেনাদেনা চালিয়ে যাচ্ছে মোদির ভারত ও পুতিনের রাশিয়া। কূটনৈতিক মহলের মতে, এটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকার।

    আরও পড়ুন : ভারতকে না কেনার হুঁশিয়ারি দিয়ে যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া থেকে বেশি তেল কিনেছে আমেরিকা!

    প্রাইস বলেন, ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরানো। এই সম্পর্ক এমন সময় বিকশিত হয়েছিল যখন আমেরিকা বন্ধু বেছে নিতে প্রস্তুত ছিল না। বর্তমানে এই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা যে বন্ধুত্বে আগ্রহী, সে কথা আমরা আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের জানিয়ে দিয়েছি।

     

  • R Ashwin: করোনা আক্রান্ত অশ্বিন! সংশয়ে ইংল্যান্ড সফর

    R Ashwin: করোনা আক্রান্ত অশ্বিন! সংশয়ে ইংল্যান্ড সফর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid-19 Positive) আক্রান্ত ভারতীয় অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। ভারতীয় টেস্ট দলের সঙ্গে তিনি ইংল্যান্ডে যেতে পারেননি। দলীয় সূত্রে খবর, নিভৃতবাসে রয়েছেন ভারতীয় স্পিনার। না-ও খেলতে পারেন অনুশীলন ম্যাচে।

    দু’দফায় ইংল‌্যান্ড সফরের উদ্দেশ‌্যে রওনা হয়েছে ভারতীয় দল। প্রথমে বিরাট কোহলি, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামিরা চলে যান। রোহিত শর্মা যান দু’একদিন পর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে কোচ রাহুল দ্রাবিড়,ঋষভ পন্থ এবং শ্রেয়স আয়ার সোমবার ইংল্যান্ড উড়ে গিয়েছেন।  কিন্তু অশ্বিন এখনও যাননি। খবর যা, তাতে ভারতীয় অফস্পিনার এখন নিভৃতবাসে । কোভিড প্রোটোকল মেনে চলছেন। তবে ভারত বনাম ইংল‌্যান্ড একমাত্র টেস্টের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা অশ্বিনের। তত দিনে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন, বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: গুজরাটকে আইপিএল জেতানোর পুরষ্কার? আয়ারল্যান্ড সফরে অধিনায়ক হার্দিক

    রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু ভারতেই থেকে যেতে হয়েছে অশ্বিনকে। ২৪ জুন থেকে লিস্টারশায়ারের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচ খেলার কথা ভারতের। সেই ম্যাচে অশ্বিনের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট। অশ্বিন ইংল্যান্ড যাবেন, তার আগে সব রকমের নিয়ম মেনে করোনামুক্ত হতে হবে তাঁকে। বিসিসিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, “করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ইংল্যান্ড যেতে পারেননি অশ্বিন। আমরা আশাবাদী, টেস্ট শুরু হওয়ার আগে সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি। অনুশীলন ম্যাচে তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম।” গত বছর শুরু হওয়া এই টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলেনি ভারত। সে সময় ভারতীয় দলের একাধিক সদস্যের করোনা হওয়ায় সিরিজের শেষ ম্যাচ না খেলেই ইংল্যান্ড ছেড়েছিল ভারত। গত বছর করোনায় ইংল‌্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ যখন অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় বন্ধ হয়, সিরিজে ২-১ এগিয়ে ছিল ভারত। 

    আইপিএল শেষ হলে তামিলনাড়ুর ক্লাব ক্রিকেটে খেলেন অশ্বিন। লাল বলের ক্রিকেটে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমে পড়েন তিনি। প্রসঙ্গত,ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত বছর টেস্ট সিরিজে একটি ম্যাচেও খেলেননি অশ্বিন।

  • Pakistan FATF Grey List: এখনই ধূসর তালিকামুক্ত হচ্ছে না পাকিস্তান, জানাল এফএটিএফ 

    Pakistan FATF Grey List: এখনই ধূসর তালিকামুক্ত হচ্ছে না পাকিস্তান, জানাল এফএটিএফ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর (Terror Funding) অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তার পরেও পাকিস্তানের (Pakistan) মাথা থেকে সরেনি ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড় ঘরে’র তকমা। নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর একাধিক শর্ত আরোপ করেছিল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ (FATF)। পাকিস্তানকে তারা রেখে দিয়েছিল ধূসর তালিকায়। এই তালিকা থেকে এখনই সরানো হচ্ছে না পাকিস্তানের নাম। শর্ত পূরণ হয়েছে কিনা, তা দেখেই ব্যবস্থা নেবে এফএটিএফ।

    আরও পড়ুন : ভারতকে বন্ধু হিসেবে চায় পাকিস্তান! বেনজির-পুত্রর মন্তব্যে বরফ গলার ইঙ্গিত?

    এফএটিএফের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ২০৬ জন। এর মধ্যে রয়েছেন আইএমএফ, রাষ্ট্রসংঘ, বিশ্বব্যাংক সহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। এফএএফটির প্রেসিডেন্ট মার্কাস প্লেয়ারের নেতৃত্বে সম্প্রতি বসেছিল পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। এই অধিবেশনেই অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আলোচনা হয় পাকিস্তান নিয়েও। ঠিক হয়, পাকিস্তান যথাযথভাবে সব শর্ত মেনেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সে দেশে যাবে এফএটিএফের প্রতিনিধি দল। শর্তপূরণ করলে তবেই অক্টোবরের দিকে ধূসর তালিকা থেকে সরানো হতে পারে শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) দেশের নাম। মার্কাস বলেন, পাকিস্তানকে এখনই ধূসর তালিকা থেকে সরানো হচ্ছে না। শর্ত পূরণে যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, তা দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    জন্মলগ্ন থেকেই নানা কারণে সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা বিভিন্ন দেশের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম। বিশ্বের একাধিক কুখ্যাত জঙ্গির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়েছে শেহবাজের দেশ। ভিন দেশেও যে সব জঙ্গির ঠাঁই হয়েছে, পাকিস্তান তাদেরও নিয়মিত অর্থ জুগিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। ইসলামবাদ জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে বিশ্ব দরবারে একাধিকবার সরব হয়েছে ভারত (India)। তার পরেও ইসলামাবাদ সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্য বন্ধ করেনি বলে অভিযোগ।

    এফএটিএফ কোনও দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করার আগে দুটি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। একটি হল ‘ধূসর তালিকা’, অন্যটি ‘আরও বেশি ধূসর’। এই দুই তালিকাভুক্ত করে কোনও দেশকে দুবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তার পরেও কাজ না হলে ওই দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অনেক আগেই এফএটিএফের তরফে ইসলামবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, শর্ত ঠিক মতো পালন না করলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। গত চার বছর ধরে এফটিএফের ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। শেষমেশ ঘটতে চলেছে ‘শাপমুক্তি’! তবে এখনই নয়।

     

  • Russian Crude Oil: দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত  

    Russian Crude Oil: দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে রাশিয়ার (Russia) উড়াল পর্বতের অপরিশোধিত তেল (Ural Crude Oil) আমদানি (Import) করতে ইচ্ছুক ভারত (India)। তার জন্যে পিটার্সবার্গ থেকে নাভা সেভা বন্দর অবধি অপেক্ষাকৃত একটি ছোট রুটও বাছা হয়েছে। যাতে কম খরচে বিপুল পরিমাণে তেল আমদানি করা যায়। এই তেলের সবথেকে বড় বাজার হয়ে উঠেছে ভারত। তারপরেই তালিকায় রয়েছে চিন। কিন্তু চিনের থেকে আমদানির নিরিখে অনেক এগিয়ে ভারত। নতুন পথে তিন সপ্তাহের কিছুটা বেশি সময়েই তেল রাশিয়া থেকে পৌঁছে যাবে ভারতে। সুয়েজ খাল দিয়ে আনতে সময় লাগে দশ সপ্তাহেরও বেশি।     

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    মে মাসে ভারত রাশিয়া থেকে প্রতিদিনের হিসেবে ৮,৪০,৬৪৫ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনেছে। এই মাসে তা লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে ১০ লক্ষে। এপ্রিলে দৈনিক তেল কেনা হত ৩,৮৮,৬৬৬ ব্যারেল। আগের বছরে মে মাসে সেই পরিমাণ ছিল ১,৩৬,৭৭৪ ব্যারেল। 

    এই মুহূর্তের ট্রেন্ড দেখে বোঝা যাচ্ছে এই মাসে ভারতে মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির ২০%, রাশিয়ার থেকে কেনা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগের থেকেও ২% বেশি। 

    আরও পড়ুন: ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    এর একটা বড় কারণ আগের থেকে ৩০% কম দামে রাশিয়ার থেকে তেল কিনতে পারছে ভারত। তাই পশ্চিমা দেশগুলি  রাশিয়ার থেকে তেল কেনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও সেই পরামর্শকে গুরুত্ব দেয়নি ভারত। দেশের স্বার্থই সবার আগে, একথা স্পষ্ট করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। বর্তমানে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১২০ মার্কিন ডলার। কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতি ব্যারেল তেল ৯০ ডলারেও কমে কিনছে মোদি সরকার। দামে এই তারতম্য হওয়ার কারণ, ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বাদ দিয়েছে। এ বছরের শেষে রাশিয়ার কাছ থেকে ৯০ ভাগ তেল আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।     

    ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির বিষয়ে চুক্তি করেছে ভারতের বৃহত্তম তেল সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। রাশিয়া থেকে তিন মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানির চুক্তি করেছে তারা। 

    আগে রাশিয়া থেকে ভারতে তেল আমদানিতে পরিবহণ খরচ বিপুল থাকায় কম তেল আমদানি করা হত। কিন্তু রাশিয়া তেলের দাম কমানোয় সেই দুঃখ ঘুচেছে। এখন ছোট রুটে আরও অনেক লাভের মুখ দেখবে ভারত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যান্য তেল সংস্থাগুলিও চুক্তি সাক্ষর করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  

     

     

  • Cheetah in India: বাঘ আঁকা জাম্বো বিমানে করে ভারতে আনা হচ্ছে চিতা

    Cheetah in India: বাঘ আঁকা জাম্বো বিমানে করে ভারতে আনা হচ্ছে চিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামিবিয়ার (Namibia) মাটি ছুঁল বাঘ মুখ (Tiger Faced) আঁকা বিরাট জাম্বো জেট (Jumbo Jet)। বি ৭৪৭ বিমানটি এদিন নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহোয়েকের মাটি ছুঁল। এই বিমানটিতে করেই ভারতে (India) নিয়ে আসা হবে আটটি চিতা (Cheeta)। উইন্ডহোয়েকে ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে একটি বিশেষ পাখি বাঘের দেশে শুভেচ্ছার বার্তা বয়ে নিয়ে এল।    

    অগাস্টের ১৭ তারিখে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হচ্ছে ৮টি চিতা। এগুলির মধ্যে পাঁচটি পুরুষ, তিনটি স্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিতা পুনরুদ্ধার প্রোগ্রামের সূচনা করবেন। ঘটনাচক্রে এই দিনটি আবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও। এদিনই চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে ওই পার্কে। সেই চিতা আনতেই নামিবিয়া গিয়েছে ওই বিশেষ বিমান। জানা গিয়েছে, চিতাগুলিকে নিয়ে বিমানটি অবরতণ করবে জয়পুরে। সেখান থেকে সেগুলিকে কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হবে হেলিকপ্টারে করে। যে জেটে করে চিতাগুলিকে নিয়ে আসা হবে, তার অন্দরসজ্জায় বিশেষ বদল নিয়ে আসা হয়েছে। মেইন কেবিনে থাকবে চিতার খাঁচা। পুরো যাত্রাটি চিতারা থাকবে পশু চিকিৎসকদের তত্ত্ববধানে। বিমানটির সামনের দিক আঁকা হয়েছে জঙ্গলের রাজার মুখের আদলে। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়ান শেষে বিমান ছোঁবে ভারতের মাটি। সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ সকাল সাতটা নাগাদ বিমানটি এসে পৌঁছবে জয়পুরে। পরে সেখান থেকে চিতাগুলিকে নিয়ে আসা হবে পার্কে। পুরো যাত্রা পথে চিতাগুলিকে কোনও কিছু খেতে দেওয়া হবে না।

    জানা গিয়েছে, প্রথম এক মাস চিতাগুলিকে খাঁচাবন্দি করে রাখা হবে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর সেগুলিকে ছাড়া হবে জঙ্গলে। চিতা পৃথিবীর দ্রুততম স্থলচর প্রাণী। ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে দৌড়তে পারে এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটি। চিতা ও চিতাবাঘ এক নয়। ভারতে চিতাবাঘ থাকলেও, চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে স্বাধীনতার কালে। সেই কারণেই চিতার বংশ বৃদ্ধি ঘটাতে মধ্যপ্রদেশের জাতীয় পার্কে ছাড়া হবে নামিবিয়ার চিতা।  

     

     

  • Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইনের (Places of Worship Act, 1991) বিরোধিতায় করা নতুন করে আর কোনও আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই মর্মে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত একটি বেঞ্চ। উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নিত্য জমা পড়ছে একের পর এক আবেদনপত্র (Petition)।  তার প্রেক্ষিতেই এদিন এই রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তবে আদালত এও জানিয়েছে, চাইলে আগে গৃহীত হওয়া ৬টি আবেদনের সঙ্গে নিজেদের আবেদন জুড়ে দিতে পারবেন নতুন আবেদনকারীরা। 

    ২০২১ সালের মার্চ মাসে দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, আইন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রীদের নোটিশ পাঠায়। কারণ তার আগে উপাসনাস্থল আইনে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন জনৈক অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। ১৯৯১ সালে আইনে পরিণত হয় উপাসনাস্থল বিল। এই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার আগে যে ধর্মীয় স্থানের চরিত্র যা ছিল, তা বজায় থাকবে। 

    আরও পড়ুন : শিন্ডে শিবিরকে স্বীকৃতি, লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ ঠাকরের

    এই আইনের বিরুদ্ধেই প্রায় প্রতিদিনই আলাদতে জমা পড়ছে পিটিশন। তার প্রেক্ষিতেই এদিন ছটি মামলা গ্রহণের কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট। উপাধ্যায়ের দাবি, ১৯৯১ সালের উপাস্থল আইন ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক। কারণ ধর্মীয় কাঠামোর ক্ষেত্রে কোনও একটি বছর নির্দিষ্ট করে দেওয়া ঠিক নয়। তাঁর দাবি, এই আইনের ফলে হিন্দু, জৈন, শিখ এবং বৌদ্ধদের উপাসনাস্থল আইনের প্রতিবাদে কোর্টে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আইনের দুই, তিন ও চার নম্বর ধারাকেও চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। তাঁর মতে, উপাসনাস্থল আইনের এই ধারাগুলি নাগরিকদের প্রার্থনার অধিকার এবং ধর্মীয় প্রচারে হস্তক্ষেপ করে। সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রখার পরিপন্থীও এই আইন। 

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ছটি নতুন আবেদনপত্র জমা হয়েছে। উপাধ্যায় ছাড়াও ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আরও একটি পিটিশন জমা পড়েছে আদালতে। পিটিশনটি দাখিল করেছেন জনৈক অনিল কাবর্তা। তাঁর দাবি, ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা জমি কিংবা নতুন কোনও জমিতে গড়ে তোলা হোক মসজিদগুলি। মন্দিরের ছাদ, দেওয়াল, স্তম্ভ কিংবা ভিতও যদি ভেঙে পড়ে এবং সেখানে নিত্য নমাজ পড়া হয়, তাহলেও মন্দিরের চরিত্র বদলায় না। জনৈক দেবকীনন্দন ঠাকুরের পিটিশনেও এই ‘ঐতিহাসিক ভুলে’র উল্লেখ রয়েছে।

    আরও পড়ুন : সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

  • Cheetah: বিলুপ্তির ৭০ বছর পর ফের ভারতে আসতে চলেছে চিতা?

    Cheetah: বিলুপ্তির ৭০ বছর পর ফের ভারতে আসতে চলেছে চিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া চিতা (Cheetah), ফের আসতে চলেছে ভারতে। মঙ্গলবার কেন্দ্রের কর্তারা ঘোষণা করেছেন যে, এই বছরের অগাস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিতার একটি ব্যাচ ভারতে স্থানান্তরিত করা হবে। তবে কোভিড অতিমারীর ফলেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিতা আমদানিতে দেরি হয়েছে বলে জানা যায়।

    ১৯৫২ সালেই ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়েছিল চিতা। পাঁচ-ছয়টি চিতার প্রথম দলকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে (Kuno National Park ) স্থানান্তর করা হবে। এই প্রথম একটি বৃহৎ মাংসাশী প্রাণীর আন্তর্মহাদেশীয় স্থানান্তর করা হবে।

    মঙ্গলবার পরিবেশ মন্ত্রকের একজন শীর্ষ কর্তা বলেন, “চিতা আনার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে। এখন বিদেশমন্ত্রকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। বর্তমানে আমাদের একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছে।”

    দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দল ১৫ই জুন ভারতে আসবে এবং স্থানান্তরের ব্যবস্থাগুলি দেখবে সঙ্গে পার্কটি পরিদর্শনও করবে৷ ভারত সরকারের তরফ থেকে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (National Tiger Conservation Authority) বা এনটিসিএ (NTCA) ও ভারতের বন্যপ্রাণী ইনস্টিটিউট (Wildlife Institute of India) এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক

    নথি অনুযায়ী, কোরিয়ার (Koriya) মহারাজা রামানুজ প্রতাপ সিং (Maharaja Ramanuj Pratap Singh Deo) ১৯৪৭ সালে ভারতের শেষ তিনটি এশিয়াটিক চিতা (Asiatic Cheetah) শিকার করে গুলি করে হত্যা করার সময় থেকেই ভারত থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় চিতা। পরে ১৯৫২ সালে ভারত সরকার, চিতাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। যদিও কয়েক দশক ধরে ভারতে চিতাকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা চলছিল, এবং বর্তমানের প্রস্তাবটি ২০০৯ সালে প্রথম আনা হয়েছিল। পরিকল্পনাটি ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা পাশ হয়েছিল।

    মুকুন্দারা হিলস টাইগার রিজার্ভ (Mukundara Hills Tiger Reserve), রাজস্থানের শেরগড় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (Shergarh Wildlife Sanctuary in Rajasthan), গান্ধী সাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (Gandhi Sagar Wildlife Sanctuary), কুনো ন্যাশনাল পার্ক (Kuno National Park), মাধব ন্যাশনাল পার্ক (Madhav National Park )এবং মধ্যপ্রদেশের নৌরাদেহি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ( Nauradehi Wildlife Sanctuary )- এই ছয়টির মধ্যে কুনো ন্যাশনাল পার্ক চিতা স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত বলে জানা গেছে। WII বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, একবার আফ্রিকান চিতাদের প্রথম দল ভারতীয় অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হলেই আগামী কয়েক দশক ধরে, ৩৫-৪০টি চিতা সারা দেশে স্থানান্তরিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই সোশ্যাল মিডিয়া-কেন্দ্রিক নিয়ম জারি করতে চলেছে কেন্দ্র?

  • Mohan Bhagwat: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে (Hyderabad) সংগঠনের নয়া ভবনের উদ্বোধনে এসে এমনই দাবি করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এর পাশাপাশি তাঁর দাবি, সত্যকে কোনওদিনই চেপে রাখা যায় না। তা একদিন না একদিন নিজের পথ করে নেবে।

    ভাগবতের মতে, আরএসএস কর্মীদের আত্মত্যাগের কারণেই আড়েবহরে বেড়েছে আরএসএস। তিনি বলেন, আরএসএস কর্মীরা অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। আর তা করতে পেরেছেন বলেই মজবুত হয়েছে সংগঠন। বিরোধীদের উদ্দেশে ভাগবত বলেন, কিছু মানুষ আছেন যাঁরা মনে করেন তাঁরাই একমাত্র সঠিক। আর বাকিরা ভুল। আর যখনই তাঁদের বিরোধিতা করা হয়, তাঁরা চেষ্টা করেন ন্যায় ও সত্যকে চেপে রাখতে। তিনি মনে করিয়ে দেন, হিংসা দিয়ে সত্যকে চেপে রাখা যায় না।

    আরও পড়ুন : হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    তেলঙ্গনায় দলীয় কর্মীদের সাফল্যেও তিনি যে অভিভূত, তাও দেরাজ গলায় প্রবীণ এই আরএসএস নেতা। তিনি বলেন, অনেক লড়াইয়ের শেষে এই সাফল্য পেয়েছেন এখানকার যুব নেতারা। তিনি বলেন, আমি তেলঙ্গানায় এবিভিপি ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। আমি দেখেছি কীভাবে তারা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে। আজ এই ভবনের উদ্বোধন বুঝিয়ে দিচ্ছে আন্দোলন কতটা ইতিবাচক হয়ে উঠেছে।

    সংগঠন বাড়ায় যে বিপদ হতে পারে সে ব্যাপারে সংগঠনের ছাত্র ও কর্মীদের সতর্ক করে দেন আরএসএস প্রধান। বলেন, এই সময় সতর্ক না হলে সমস্যা হতে পারে। আরএসএসের জনপ্রিয়তা এখন বাড়ছে। জনপ্রিয়তা নিজেই ভবিষ্যতে পথ আটকে দিতে পারে। সংঘপ্রধান মনে করিয়ে দেন, আমাদের কাছে সাফল্য কোনও গন্তব্য নয়, এটি হল যাত্রা।

    আরও পড়ুন : সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    হিন্দুত্ববাদীদের অতিসক্রিয়তা যে তিনি ভালো চোখে দেখছেন না, দিন কয়েক আগে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ভাগবত। তিনি বলেছিলেন, সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন কী? জ্ঞানবাপী নিয়ে আমাদের আলাদা ভক্তি থাকতেই পারে, তাই বলে সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব খুঁজতে বেরনো অনুচিত।

     

  • Indian Defence: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর! ৭৬ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনায় সায় কেন্দ্রের

    Indian Defence: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর! ৭৬ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনায় সায় কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতা বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্র কেনায় মিলল ছাড়পত্র। সায় দিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of defence)। এজন্য অনুমোদন করা হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা। ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (defence acquisition council) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath singh) এর সভাপতিত্বে ওই বৈঠক হয়।

    জানা গিয়েছে, এই অর্থে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য রাফ টেরেন ফর্ক লিফ্ট ট্রাক (RTFLT), ব্রিজ লেইং ট্যাঙ্ক (BLT), হুইলড্ আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল (WhAFV), অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (ATGM) কেনা হবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি উয়েপন লোকেটিং রাডারও (WLR) কেনা হবে। ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নৌবাহিনীর জন্য পরবর্তী প্রজন্মের করভেট (NGC) যুদ্ধজাহাজ কেনায়ও মিলেছে সায়। মোট ৮টি করভেট (Corvette) নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি, নজরদারি এবং এসকর্ট অপারেশনকে আরও অত্যাধুনিক করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।

    আরও পড়ুন : সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    উপকূলরক্ষী বাহিনী (Coast Guard) অত্যাধুনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এজন্য একটি প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বাহিনীর নানা সারফেস ও অ্যাভিয়েশন অপারেশন, লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এবং এইচআর প্রক্রিয়াগুলি জিডিটাইজ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। আত্মনির্ভরতার পথে চলতি বছর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রফতানি করে ভারত। লোকসভায় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়েছে প্রায় ৬ গুণ। চলতি অর্থবর্ষের ২১ মার্চ পর্যন্ত ১১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন : হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    আত্মনির্ভর ভারত গড়তে প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তার প্রমাণ মিলেছে নানা সময়। ২০২১ সালে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ (Akash) মিসাইল রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনাথ জানান, ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে মহাকাশ গবেষণা ও প্রতিরক্ষা সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার সরঞ্জাম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

     

     

  • India Fuel Exports: পেট্রল-ডিজেলে কর ছাড় কেন্দ্রের, দাম কমবে কি?  

    India Fuel Exports: পেট্রল-ডিজেলে কর ছাড় কেন্দ্রের, দাম কমবে কি?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রল (Petrol), ডিজেলে (Diesel) কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)। তেল উৎপাদনকারী সংস্থা এবং তেল শোধনকারী সংস্থাগুলির ওপর থেকেও উইন্ডফল করের বোঝা কমানো হয়েছে। পাশাপাশি, কমানো হয়েছে রফতানি শুল্কও। 

    এতে অবশ্য সরাসরি লাভবান হবে না আমজনতা। তবে ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হতে চলেছে দেশের বৃহত্তম পেট্রোলিয়াম পণ্য রফতানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ওএনজিসির (ONGC) মতো সরকারি তেল সংস্থাগুলি।

    বিশ্বব্যাপী কমেছে অপরিশোধিত তেলের (Crude Oil) দাম। তার প্রেক্ষিতেই পেট্রোলিয়াম পণ্য রফতানির বাড়তি লাভের ওপর কর (Windfall Tax) ছাঁটল সরকার। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই ডিজেল, পেট্রল এবং বিমান জ্বালানি রফতানির ওপর উইন্ডফল ট্যাক্স আরোপ করেছিল কেন্দ্র। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে আমজনতা সরাসরি লাভবান না হলেও, বিমান জ্বালানির দাম কিছুটা কমতে পারে।

    আরও পড়ুন : পেট্রল-ডিজেলে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রই, দাবি অর্থমন্ত্রীর

    জানা গিয়েছে, সরকার প্রতি লিটার পেট্রলে ৬ টাকা করে রফতানি কর কমিয়েছে। ডিজেল এবং বিমান জ্বালানিতে উইন্ডফল কর কমানো হয়েছে লিটার প্রতি দু’টাকা হারে। আগে দেশে উৎপাদিত প্রতি টন অপরিশোধিত তেলের জন্য কর নেওয়া হত ২৩ হাজার ২৫০ টাকা করে। সরকারের নয়া ঘোষণায় লিটার প্রতি তা কমে হচ্ছে ১৭ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, বিশেষ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে রফতানি শুল্কে ছাড় দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। ২০ জুলাই থেকেই কার্যকর করা হবে নয়া দর। প্রসঙ্গত, দেশীয় বাজারে জ্বালানির জোগান কমে যাওয়ায় রফতানিতে কর বসানোর কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুন : উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় এও জানানো হয়েছে, স্পেশাল ইকনমিক জোন থেকে কোনও পণ্য রফতানি করলে সে ক্ষেত্রে আবগারি বিভাগ থেকে ছাড় দেওয়া হবে। তবে কোন পণ্য রফতানি করলে কত ছাড় মিলবে, সে সম্পর্কে বিশদে কিছু জানানো হয়নি সরকারের তরফে।

     

LinkedIn
Share