Tag: India

India

  • Sri Lanka: প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    Sri Lanka: প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি অবস্থা জারি হল শ্রীলঙ্কায়। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্পণ করলেন সামরিক বাহিনীর হাতে। গণবিক্ষোভ সামাল দিতেই এই পদক্ষেপ বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর। প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র জানান, আইনের প্রয়োগ যথাযথ করতেই এই কড়া আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলি। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছে তারা।

    ভয়ঙ্কর আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র। সম্প্রতি, ঋণখেলাপি তকমা লাগে দেশের মাথায়। তলানিতে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার। চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে জ্বালানি সঙ্কট। বিদেশি মুদ্রার অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজের পরীক্ষা। ডলার বাড়ন্তে আমদানি বন্ধ নিউজ প্রিন্ট। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সংবাদপত্র।

    জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ। ইতিমধ্যেই ভিটে ছেড়ে ভারত সহ বিভিন্ন দেশের শরণ নিতে শুরু করেছেন শ্রীলঙ্কাবাসীর একাংশ। এহেন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত সহ একাধিক দেশ। তার পরেও হাল ফেরেনি দেশের আর্থিক অবস্থার। তাই নিত্য বিক্ষোভ-অশান্তি। 

    আরও পড়ুন: আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    মাসকয়েক আগে পদত্যাগ করেছে গোটা মন্ত্রিসভা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার পরেও ফেরেনি শ্রীলঙ্কার আর্থিক হাল। এই অবস্থায় রাস্তায় নেমে পড়েছেন পড়ুয়ারাও। সংসদে যাওয়ার প্রধান রাস্তাও অবরোধ করে। আন্দোলনকারীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। তারপরেও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। আইইউএসএফ নেতা ওয়াসান্থা লিয়াংগে বলেন, আমরা পার্লামেন্টে যাওয়া-আসার সব রাস্তা বন্ধ করে দেব। তার আগে প্রেসিডেন্টকে ইস্তফা দিতে হবে। এদিকে, অনাস্থা আনতে স্পিকারের কক্ষেও এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা।

    ক্রমেই জোরাল হচ্ছে গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবি। কূটনৈতিক মহলের দাবি, এই সব পরিস্থিতি সামাল দিতেই তড়িঘড়ি জারি করা হল জরুরি অবস্থা। 

  • Neeraj Chopra: আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, বুদাপেস্টে সেনা জয়ের শপথ নীরজের

    Neeraj Chopra: আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, বুদাপেস্টে সেনা জয়ের শপথ নীরজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৯ বছর পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (World Athletics Championships 2022) ভারতকে পদক এনে দিতে পেরে খুশি টোকিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী (Tokyo Olympics) নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। একটুর জন্য হাতছাড়া হয়ে যায় সোনা। রুপো পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় নীরজকে। তবে কোনও পদকই তাঁকে তৃপ্ত করে না বরং জেতার নেশা আরও বাড়িয়ে দেয় বলে জানালেন ২৪ বছরের নীরজ। এবার রুপো পেলেও সামনেরবার বুদাপেস্টে বসবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। সেখানে আরও ভাল খেলে সোনাজয়ই পাখির চোখ নীরজের। 

    আগামী মাসেই নীরজ নামবেন কমনওয়েলথ গেমসে। তবে রয়েছে চোট-শঙ্কাও। নীরজ বলেন, “এদিন চতুর্থ থ্রো আরও দূরত্বে যেতে পারতো। কিন্তু জ্যাভলিন ছুড়তেই উরুর কাছে, কুঁচকিতে যন্ত্রণা অনুভব করি। সে কারণে পরের দুটি থ্রোয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারিনি।” উরুতে ব্য়ান্ডেজ বেঁধে রেখেছেন শক্ত করে। ঠিক কী হয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তবে, নীরজের আশা, এই চোট তাঁর কমনওয়েলথ গেমসে নামার পথে বাধা তৈরি করবে না।

    আরও পড়ুন: ফের গড়লেন ইতিহাস, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় নীরজের, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

    এদিনের খেলা প্রসঙ্গে নীরজ বলেন, “পরিস্থিতি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। সামনের দিক থেকে হাওয়া আসছিল। একে কঠিন প্রতিযোগীরা রয়েছেন, সেই সঙ্গে আবহাওয়ার এই অবস্থা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে দেয়। তবে আমি মনে মনে নিশ্চিত ছিলাম, ভালো থ্রো আসছেই। আমি প্রথম তিনটি ক্ষেত্রেও চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বড় থ্রো আসেনি। ফলে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও যেভাবে কামব্যাক করেছি তাতে ভালো লাগছে।” ১৯ বছর পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ভারতকে পদক এনে দিতে পেরে খুশি নীরজ। এর আগে ২০০৩ সালের প্যারিস চ্যাম্পিয়নশিপে লং-জাম্পে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন অঞ্জু ববি জর্জ (Anju Bobby George)। 

    নীরজ জানান, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কোনও চাপ অনুভব করেননি। সেরাটা দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য ছিল। নিজের সেরা সাফল্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই তিনি ট্র্যাকে নামেন।  প্রতিবার কোনও অ্যাথলিটই সোনা জিততে পারেন না। কিন্তু নিজের সেরাটা উজাড় করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়, বলে জানান নীরজ। 

     

  • Modi Biden Meeting: “ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আস্থার সম্পর্ক”, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য মোদির

    Modi Biden Meeting: “ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আস্থার সম্পর্ক”, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টোকিওতে চলছে কোয়াড বৈঠক (Quad summit)। তারই ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের দুই রাষ্ট্রপ্রধান। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) বলেন, “ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক (India US relation) সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক রয়েছে। ফলে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য বিষয়েও বিভিন্ন সময় দুই দেশ একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে।” 

    ইউক্রেনের (Ukraine) ওপর রাশিয়ার আগ্রাসনের এদিন কড়া নিন্দা করেছেন বাইডেন (Joe Biden)। এবিষয়ে ভারতের (India) অবস্থানের প্রশংসা করেছেন তিনি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের (Ukraine Russia war) ফলে যেভাবে গোটা বিশ্বে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা করেন দুই রাষ্ট্রনেতা।

    আরও পড়ুনঃ বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে যখন আমেরিকা হুঁশিয়ারি জারি করেছিল, যে দেশ রাশিয়াকে সমর্থন করবে তারাই আমেরিকার শত্রু হিসেবে বিবেচিত হবে। এমতাবস্থায় ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনার নিন্দা করেছিল গোটা বিশ্ব। অনেকেরই মনে হয়েছিল এবার আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হবে। এই ঘটনার কোনওরকম প্রভাব যে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে পড়বে না এদিন তা পরিস্কার করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, কোনও দেশের রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেটা আমেরিকার দেখার বিষয় না।

    আরও পড়ুনঃ ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    কোভিড (covid-19) পরিস্থিতি সামলানোর বিষয়েও মোদিকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন বাইডেন। চিন (China) যে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে অসফল হয়েছে সেকথাও এদিন বলেন মার্কিন প্রধান। 

    [tw]


    [/tw]

    জো বাইডেন আরও বলেন, “এমন অনেক কিছু আছে যা আমাদের দুই দেশ একসঙ্গে করতে পারে এবং করবেও। মার্কিন-ভারত অংশীদারিত্ব তৈরির লক্ষ্যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি এও বলেন যে, “আমি খুশি যে আমরা ভারতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা, ক্লিন এনার্জি উদ্যোগের জন্য বিনিয়োগ করতে পেরেছি। আমি আনন্দিত যে আমরা ভারত-মার্কিন ভ্যাকসিন অ্যাকশন প্রোগ্রাম পুনর্নবীকরণ করছি।” 

    কোয়াড বৈঠকের পরে আধঘণ্টা বৈঠক করেন মোদি-বাইডেন। এর আগে শেষ এপ্রিলে একসঙ্গে হয়েছিলেন এই দুই নেতা। 

       

  • China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা ছিল প্রজেক্ট হবে ১৫টি। খরচ হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে (China Pakistan Economic corridor) মোট ১৫টি প্রজেক্টের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৩টি। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রত্যাশিতভাবেই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার।

    ২০১৩ সালে চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত চুক্তি হয়। ৪৬ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করে পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে চিন এই করিডর তৈরির চুক্তি চূড়ান্ত করে। পরে বিনিয়োগ আরও বাড়ে। শেষ হয় চিনের কাশগড় থেকে কারাকোরাম হাইওয়ে হয়ে পাকিস্তানের গ্বাদর (Gwadar) পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ। করিডর বরাবর পরিকাঠামোও তৈরি হয়েছে। শেষ হয়েছে আরও দুটি প্রকল্প। তবে বাকি ১২টি প্রকল্পের কাজ বিশ বাঁও জলে। এর মধ্যে রয়েছে জল সরবরাহ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টও। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার। তবে কাজ ঠিকঠাক গতিতেই এগোচ্ছে বলে দাবি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা কর্তাদের।

    কথা ছিল, প্রজেক্টের ৯০ শতাংশ টাকাই খরচ করবে ড্রাগনের দেশ। বাকি টাকা দেবে পাক সরকার। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, চিনের আগ্রহের তালিকায় থাকা ৩টি প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকিগুলির কাজ কবে শেষ হবে, তা কেউ জানে না। এই অর্থনৈতিক করিডরের একাংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর দিয়ে। যার প্রতিবাদও জানিয়েছে ভারত। তবে ভারতের ওই প্রতিবাদ কানে তোলেনি পাক সরকার।

    প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে পাক ব্যবসায়ীদের তরফেও। জানা গিয়েছে, করিডর বেয়ে হু হু করে পাকিস্তানে ঢুকছে সস্তার চিনা পণ্য। আর পাকিস্তানের পণ্য চিনে ঢুকছে অত্যন্ত কম। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ পাক ব্যবসায়ীরা। করিডর অথরিটিকে বাতিল করার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনি বলেন, এটি একটি অপ্রয়োজনীয় সংস্থা। যে কেবল দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি।

     

  • Indian Air Force: ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে মাঝ আকাশে জ্বালানি দিল আমিরশাহীর রিফুয়েলার

    Indian Air Force: ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে মাঝ আকাশে জ্বালানি দিল আমিরশাহীর রিফুয়েলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত(India) ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (United Arab Emirates) মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান। এর মাধ্যমে দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে। সম্প্রতি, আরব আমিরশাহীর সঙ্গে একটি নতুন চার-দেশীয় জোট গঠন করেছে ভারত। ওই জোটে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলও। জোটের নাম আই২ইউ২ (I2U2)।

    এবার ফের আরব ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। শুক্রবার আমিরশাহীর বিমান বাহিনী ভারতীয় বায়ুসেনার Su-30 MkI  যুদ্ধবিমানগুলিতে  মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরতে সাহায্য করে। শুক্রবার ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) নিজেদের ট্যুইটার (Twitter) অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি শেয়ার করেছে। এর জন্য আরব আমিরশাহী বায়ুসেনার (UAE Air Force) প্রশংসাও করেছে ভারত (India)।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর বায়ুর রেজিস্ট্রেশন শুরু, কীভাবে করবেন আবেদন?

    ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলি যাতে কোনও বাধা ছাড়াই মিশর (Egypt) যাতায়াত করতে পারে, তার জন্য আরব বায়ুসেনার রিফুয়েল ট্যাঙ্কারের (এমআরটিটি) সাহায্যে আকাশপথেই জ্বালানি (Fuel) সরবরাহের ব্যবস্থা হয়। মিশরের ‘ট্যাক্টিকাল লিডারশিপ প্রোগামে’ (Tactical Leadership Program) যাওয়ার জন্য প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে টানা আকাশে ছিল ভারতের যুদ্ধবিমানগুলি। এর ফলেই মাঝপথে জ্বালানির কমতি হলে যাতে কোনও সমস্যা দেখা না দেয়, তার জন্য আরব বিমান বাহিনী সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। 

    আরও পড়ুন:চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    শুধু এবারই নয়, এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে, ফ্রান্স থেকে ভারতে যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি রাফাল বিমানকে মাঝআকাশেই জ্বালানি সরবরাহ করেছিল আমিরশাহীর রিফুয়েল ট্যাঙ্কার। উল্লেখ্য, ভারত ফ্রান্স (France) থেকে ৩৬টি রাফাল (Rafale) জেট কিনেছে, যার সবকটিই ভারতে চলে এসেছে।

     

  • IMF on Wheat export ban: ভারতকে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি আইএমএফ-র

    IMF on Wheat export ban: ভারতকে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি আইএমএফ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার (Wheat export ban) সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আরজি জানাল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (International Monetary Fund), সংক্ষেপে আইএমএফ (IMF)।

    সম্প্রতি, দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (World Economic Forum) একটি বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা (Kristalina Georgieva) বলেন, আমি জানি ভারতের প্রায় ১৩৫ কোটি লোককে খাওয়ানো প্রয়োজন। তাপপ্রবাহের জেরে সে দেশে যে কৃষি উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেয়েছে, তাও জানি। তা সত্ত্বেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি ভারতকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাব। কারণ যত বেশি দেশ রফতানি বিধিনিষেধের দিকে পদক্ষেপ করবে, তা দেখাদেখি অন্যরাও তা করবে। এতে আমরা সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যর্থ হব।

    আরও পড়ুন : গম-ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াল ড্রাগনের দেশ!

    প্রসঙ্গত, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার অংশ হিসেবে গত ১৩ মে গম রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। ভারতের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছিলেন জি-৭ (G-7) দেশগুলির কৃষিমন্ত্রীরা। ভারত বিশ্বে অন্যতম বড় গম রফতানিকারী দেশ। তাই গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই বিপাকে পড়ে পশ্চিমের দেশগুলি। জার্মানির কৃষিমন্ত্রী সেম ওজদেমির বলেন, যদি সবাই রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বা বাজার বন্ধ করতে শুরু করে, তাহলে সঙ্কট আরও বাড়বে। তিনি বলেন, আমরা ভারতকে জি-২০ (G-20) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। জানা গিয়েছে, জুনে জার্মানিতে হবে জি-৭ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেখানে ভারতকে জি-২০-র দায়িত্ব নেওয়ার সুপারিশ করতে পারে পশ্চিমের দেশগুলি।

    যদিও, ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য বিপণন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ট্যুইটারে বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের এক শতাংশেরও কম গম রফতানি করে ভারত। আমাদের রফতানি নিয়ন্ত্রণ বিশ্ববাজারকে প্রভাবিত করবে না। আমরা দুর্বল দেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলিতে রফতানির অনুমতি দিয়ে যাচ্ছি। 

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাহত জোগান, ভারত থেকে গম কিনবে মিশর

    অবশ্য গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে ভারতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে চিন (China)। ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করে প্রতিবেশী দেশটি বলেছে, ভারত নিজেরাই খাদ্য সঙ্কটে থাকে। আজ পশ্চিমের কোনও দেশ যদি ভারতের মতো বিশ্ব খাদ্য সঙ্কটের (World Food Crisis) মুখে পড়ে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করত, তখন প্রশ্ন উঠত কি? চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে জি-৭ দেশগুলিকে ভারতের সমালোচনা না করে নিজেদেরই খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলায় এগিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতকে দোষারোপ করলে খাদ্যসঙ্কট মিটে যাবে না। প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আজ জি-৭ দেশগুলি ভারতের কাছে আবেদন করছে যাতে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়। তাহলে এই দেশগুলি খাদ্য সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে নিজেরা কেন গম রফতানি বাড়াচ্ছে না? 

     

  • Modi-Macron: মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    Modi-Macron: মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের ইউরোপ সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই তিন দিনে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন নর্ডিক দেশগুলির রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে। এই সফরের শেষ দিনে মোদি সাক্ষাৎ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। আলোচনা হয়েছে আরও একাধিক বিষয়ে।

    দু’ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আসলে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ হলেও, বকলমে যুদ্ধ হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির। এমতাবস্থায় ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বে চিড় ধরানোর লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনতে নিষেধ করেছেন একাধিকবার। তাতে কান না দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই চলেছে সাউথ ব্লক। এমন আবহে মোদির ইউরোপ সফর গুরুত্বপূর্ণ বই কি!

    তিন দিনের ইউরোপ সফরের শেষ দিনে ফান্সে পা রাখেন মোদি। বুধবার প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিসে প্যালেসে বৈঠকে বসেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিজে পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করেছেন বলে খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আদতে কোনও পক্ষেরই জয় হবে না বলেও মাক্রঁরকে জানিয়ে দিয়েছেন মোদি। যুদ্ধের দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাবের জেরে আসলে গরিব দেশগুলির ক্ষতি হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির ফ্রান্স ছাড়ার পরেই বিবৃতি জারি করা হয়েছে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়ার্ত্রার তরফে। তিনি জানান, দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বিশ্ব সহ নানা বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বিনয় বলেন, দুই রাষ্ট্র নেতার আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, মহাকাশ, সিভিল নিউক্লিয়ার সহযোগিতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত-ফ্রান্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপরও মাক্রঁ জোর দিয়েছেন বলেও জানান বিদেশ সচিব।     

     

     

  • Olympic Games 2036: ২০৩৬ অলিম্পিক্সের বিডিং, আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল রাশিয়া

    Olympic Games 2036: ২০৩৬ অলিম্পিক্সের বিডিং, আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস (2036 Olympic Games) যাতে ভারতে (India) আসে, তার চেষ্টা করছে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (Indian Olympic Association)। মূলত আমেদাবাদ (Ahmedabad) কেই বেছে নেওয়া হয়েছে ২০৩৬ অলিম্পিক গেমসের জন্য। ভারতের এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া। শুধুমাত্র সমর্থনই করেনি, অলিম্পিক ডিং ও গেমস আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে রাশিয়া (Russia)। তারা জানিয়েছে, যদি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (International Olympic Committee) ২০৩৬ অলিম্পিক্স ভারতকে দেয়, তাহলে তা আয়োজনে রাশিয়া বড় সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: রাশিয়ায় খুলবে ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন! ইঙ্গিত পুতিনের

    উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) ফলে রাশিয়াকে বহু দেশ বয়কট করেছে। খেলার জগতেও রাশিয়াকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরনো বন্ধু রাশিয়ার পাশে থেকেছে ভারত। ফলস্বরূপ,  রাশিয়া ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। বুধবার ভারত সফরে এসে রুশ ক্রীড়ামন্ত্রী ওলেগ মাতিস্তিন (Oleg Matytsin) বলেছেন, “ভারতকে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতে সহায়তা করতে পারলে রুশ বিশেষজ্ঞরা খুব খুশি হবেন।“  তিনি ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) এর সঙ্গে একটি বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

    ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নারিন্দার বাত্রা ( Narinder Batra) ২০২১ সালের থেকেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। তিনিই প্রস্তাবে জানিয়েছেন, আমেদাবাদকে কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করার। গুজরাটের আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের স্বপ্ন দেখছে ভারত। এখনও পর্যন্ত কিছুই ঠিক না হলেও গুজরাটের অ্যাডভোকেট জেনারেল কামাল ত্রিবেদী (Kamal Trivedi) হাইকোর্টে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁরা এখন থেকেই ২০৩৬ অলিম্পিক্সের আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে এবং অলিম্পিক কমিটি ২০২৫ সালে সাইট পরিদর্শন করতে আসবে। 

    আরও পড়ুন:ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    ভারতে এসে নারিন্দার বাত্রার সঙ্গে দেখা করে ওলেগ বলেন, “যদি অলিম্পিক গেমস আয়োজনের স্বপ্ন সত্যি হয়, তাহলে দেশের উন্নয়নে আরও একটি বড় দিক উঠে আসবে। আমরা অলিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য ও নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করার জন্য সব সময় প্রস্তুত, এবং আমরা অনেক বার এমনটা করেছি। ফলে যদি ভারতে অলিম্পিক্স হওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়, তাহলে রুশ বিশেষজ্ঞরা ভারতে অলিম্পিক গেমস আয়োজনে সাহায্য করতে পেরে খুব খুশি হবে।“

    [tw]


    [/tw]

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্যেই অলিম্পিক্স-সহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ রয়েছে রাশিয়া। এমন সময়েই নিজেদের ক্রীড়াক্ষেত্রকে ঠিক রাখতেই ভারতকে খেলার জগতে সাহায্য করতে রাশিয়া আগ্রহী হয়েছে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

  • LCA Tejas: চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    LCA Tejas: চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালয়েশিয়াকে (Malaysia) লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (Light Combat Aircraft) বা এলসিএ (LCA) বিক্রির বরাতের দৌড়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে ভারত (India)। এ ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি (New Delhi) পিছনে ফেলে দিয়েছে চিন (China) ও দক্ষিণ কোরিয়াকে (South Korea)।

    জানা গিয়েছে, মালয়েশিয়ার ব্যবহৃত রুশ সুখোই এসইউ ৩০ (Sukhoi Su-30) যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অতিরিক্ত জিনিসপত্রও অন্তর্ভুক্ত থাকবে ভারতের এই বরাতের মধ্যে। ভারত তার তেজস এলসিএ-র (Tejas LCA) জন্য একটি আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করছে মালয়েশিয়া সরকারকে। জানিয়ে দিয়েছে, প্রযুক্তিগত দক্ষতার কারণে এটি মালয়েশিয়ার এসইউ ৩০ জেট বিমানের সমতুল্য হতে পারে তেজস।

    আরও পড়ুন : অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদনের প্রথম দিন কেমন সাড়া?

    জানা গিয়েছে, এই বিশেষ চুক্তির জন্য অন্য দুই প্রতিযোগী দেশ চিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে ভারত। কারণ তাদের সুখোই ফাইটারগুলিতে কাজ করতে রাশিয়ান নির্মাতাদের সঙ্গে কোনও চুক্তি নেই। বর্তমানে মালয়েশিয়ার ১৮টি এসইউ ৩০ এমকেএম ফাইটার রয়েছে। এগুলি মূলত এমকেআই সংস্করণের মতো। যা ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্যাকেজ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের সরকারের আলোচনার শেষেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

    আরও পড়ুন : “অগ্নিপথ পছন্দ না হলে সেনায় আসবেন না”, স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) আবহে রাশিয়ার (Russia) ওপর জারি হয়েছে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা। তার জেরে প্রভাবিত হয়েছে মালয়েশিয়ার মতো বেশ কয়েকটি দেশ। এমতাবস্থায় মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনী ১৮টি নতুন লাইট ফাইটার জেটের সন্ধান করছে। তাই ভারতীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তার স্বল্প অধিগ্রহণ খরচ এবং উচ্চ প্রযুক্তিগত রেটিং দিয়ে চিন ও কোরিয়াকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে।

    সাউথব্লক একটি আধুনিক এইএসএ রাডার সহ তেজস এমকেওয়ানএ (Tejas Mark 1A) সংস্করণটির প্রস্তাবও দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করতে মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনীর বর্ষীয়ান কয়েকজন সদস্যের একটি দল ভারত সফর করে গিয়েছে। অর্ডার ধরতে ভারত মালয়েশিয়ায় এলসিএ বহরের সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং পরিষেবার সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ভারতীয় এলসিএ-র দাম ইউনিট প্রতি ৪২ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন : তারুণ্যে ভরপুর সেনা! অগ্নিপথ সঠিক দাবি কংগ্রেস নেতার

  • I2U2 Summit: নতুন চার-দেশীয় গোষ্ঠী ‘আই২ইউ২’-র সদস্য ভারত, আছে কারা?

    I2U2 Summit: নতুন চার-দেশীয় গোষ্ঠী ‘আই২ইউ২’-র সদস্য ভারত, আছে কারা?

    নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বিশ্ব-রাজনীতি। বদলে যাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণও। তাই তৈরি হচ্ছে নয়া গোষ্ঠী। এমনই একটি গোষ্ঠীর চার সদস্য রাষ্ট্র হল ভারত (India), আমেরিকা (US), ইসরায়েল (Israel) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE)। নয়া এই গোষ্ঠীর নাম আই২ইউ২ (I2U2)। এই গোষ্ঠীর প্রথম ভার্চুয়াল বৈঠক হতে চলেছে জুলাই মাসে। যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয়ে আলোচনাই প্রাধান্য পাবে ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে।

    আরও পড়ুন : পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত?

    গত কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর তা আরও গতি পেয়েছে। এই আবহেই গড়ে উঠেছে নয়া জোট আই২ইউ২। আই২ বলতে ইন্ডিয়া ও ইসরায়েলকে বোঝাচ্ছে। আর ইউ২ বলতে বোঝানো হচ্ছে ইউএই এবং ইউএস-কে।

    বৈঠকের কথা স্বীকার করছে হোয়াইট হাউস-ও। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের জোটকে পুনরুজ্জীবিত করতে বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হচ্ছে ভার্চুয়াল এই শীর্ষ সম্মেলনের।

    আরও পড়ুন : প্রথাগত চিকিৎসাকে মূল ধারায় আনতে হু-এর সঙ্গে বৈঠকে ভারত

    গত বছর অক্টোবর মাসে ভারত, আমেরিকা, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তখন এই চার দেশের জোটকে বলা হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন। তবে এবার আই২ইউ২ নামের এই নয়া গোষ্ঠীর ভার্চুয়াল সম্মেলনে যোগ দিতে চলেছেন চার দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাই।  

    এদিকে, ১৩ থেকে তিন দিনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাওয়ার কথা। এই সময় ইসরায়েল  ছাড়াও বাইডেন যাবেন সৌদি আরব সফরে। এই সময়ই হতে পারে আই২ইউ২-র ভার্চুয়াল সম্মেলন।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার জেরে বিশ্বজুড়ে দর বেড়েছে জ্বালানির। এমতাবস্থায় সৌদি আরব সফরে গিয়ে বাইডেন সে দেশকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলতে পারেন। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে।   

     

LinkedIn
Share