Tag: India

India

  • S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে বলেছিলেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।এবার সেই একই পথ অনুসরণ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাসীর গায়ে লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকা, টান পড়েছে খাদ্যশস্যের ভাঁড়ারে। বাড়ন্ত সার এবং জ্বালানি।

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, অভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বের অবসান এখন সময়ের দাবি। সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার টেবিলে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই নিরাপত্তা পরিষদ কূটনীতির সব চেয়ে শক্তিশালী প্রতীক। এটি লক্ষ্য পূরণে সদা সচেষ্ট। এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এদিন সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০। অস্থায়ী দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এদিনের বৈঠকে ভারতের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। জয়শঙ্কর বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। বিশেষত বিশ্বের দক্ষিণ অংশ তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করছে। এই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও। তিনি বলেন, সেই কারণেই ভারত যুদ্ধ বন্ধে জোর দিচ্ছে।এর পরেই মোদির প্রসঙ্গ টানেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। যুদ্ধ করে মানবাধিকার কিংবা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার কোনও যাথার্থ্যতা নেই বলেও সওয়াল করেন জয়শঙ্কর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) সফর শেষ করলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (s Jaishankar)। এই সময় সীমায় তিনি বৈঠক করেছেন ৫০টিরও বেশি। এর মধ্যে ৪০টি বৈঠক হয়েছে মুখোমুখি। বাকিগুলির মধ্যে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক এবং গ্রুপ মিটিংও। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলি হয়েছে তাঁর সম পর্যায়ের মন্ত্রী বা সচিবের সঙ্গে।

    সোমবার ওয়াশিংটনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বৈঠক করেন মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রায়মান্ডোর সঙ্গে। সেখানে ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামোর পাশাপাশি দু দেশের মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন জয়শঙ্কর। এই সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পেন্টাগনের মতে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এটি নয়াদিল্লির একটি পদক্ষেপ।

    চলতি সফরে পাঁচ বাণে আমেরিকাকে বিদ্ধ করেছেন জয়শঙ্কর। এফ-১৬ বিমানের যন্ত্রাংশ প্রদান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, এগুলো বলে আপনি কাউকে বোকা বানাচ্ছেন না। প্রত্যেকেই জানেন কোথায় এবং কার বিরুদ্ধে এফ-১৬ ফাইটার জেট ব্যবহার করা হয়। একপেশে সংবাদ পরিবেশন করায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিশেষত ওয়াশিংটন পোস্টকেও একহাত নেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমি সংবাদ মাধ্যমের খবরে চোখ রাখি। আপনারা জানেন, কিছু সংবাদপত্র রয়েছে, তারা জানে না তারা কী সংবাদ পরিবেশন করছে। এমন কী তার নিজের শহরের খবরও কীভাবে পরিবেশন করছে। পাক-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, সততার সঙ্গে বলছি, এটা এমন একটা সম্পর্ক যাতে পাকিস্তানেরও ভাল হবে না, আমেরিকারও লাভ হবে না। আমেরিকার কাছে এই সম্পর্কের মানে কী, এই সম্পর্ক থেকে তারা কীই বা পাবে?

    আরও পড়ুন : একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাওয়া প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সাল থেকে গত চল্লিশ বছর ধরে ভারতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ছিল না। আমি হলফ করে বলতে পারি আমার আত্মীয়, আমার বাবা, দাদু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে কাজ করেছেন। তাই আমি ভাল করেই জানি ভারতের সঙ্গে আমেরিকার গাঁটছড়া বাঁধলে আদতে যে আমেরিকারই লাভ হবে সেকথা আমেরিকাকে বোঝাতে কত বেগ পেতে হয়েছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, যখন নাচ-গান চলছে তখন যদি আচমকাই ইন্টারনেট কেটে যায়… আপনি যখন মঞ্চে গেলেন আপনি বললেন মানুষের প্রাণহানির চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ইন্টারনেট কেটে যাওয়াটা, তখন আমি আর কীইবা বলতে পারি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপন্ন প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। দেনার দায়ে আকণ্ঠ নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। প্রতিবেশী দেশটিকে কীভাবে ঋণের ফাঁস থেকে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছে মোদির (Modi) ভারত। কেবল তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নয়াদিল্লি।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আমদানি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    তার পর থেকে এ পর্যন্ত আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়নি শ্রীলঙ্কার।এমতাবস্থায় দ্বীপবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল ভারত। কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে শ্রীলঙ্কার আধিকারিকদের সঙ্গে ঋণ শোধ নিয়ে প্রথম দফার বৈঠক হয়েছে। হাইকমিশন জানিয়েছে, আলোচনা হয়েছে আন্তরিক পরিবেশে। শ্রীলঙ্কা যাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে সাহায্য পেতে পারে, তার ব্যবস্থাও করার চেষ্টা চলছে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের?

    ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে এও জানানো হয়েছে, শুক্রবার আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থার কাছে শ্রীলঙ্কা একটি প্রেজেন্টেশন করবে। তুলে ধরবে তার ঋণ সমস্যার কথা। সেই ঋণ কীভাবে শোধ করা হবে, তা নিয়েও করা হবে পরিকল্পনা। হাইকমিশন এও জানিয়েছে, নয়াদিল্লি কলম্বোকে সমর্থন জুগিয়েই যাবে। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারত দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্টও করবে। এভাবেই ভারত রূপায়ণ করবে তার ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India-Pakistan: ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    India-Pakistan: ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিচারিতা আরও একবার সামনে এল। ভারতে নাকি সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। এমনই অভিযোগ করেন পাকিস্তানের নবনিযুক্ত বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। তবে মিথ্যা অভিযোগে ভারতকে নিশানা করতে গিয়ে নিজের জালেই জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।

    পাক বিদেশমন্ত্রী যে পাঁচটি মিথ্যা তথ্য পেশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে—
    ১) পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত ও তারা ভীষণভাবে নিরাপদ (minority rights)। 
    ২) তাঁর দেশে ধর্মীয় দিক থেকে সবাই নাকি স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারেন। 
    ৩) ভারত নাকি মুসলিম বিরোধী। 
    ৪) ভারতে নাকি সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। 
    ৫) ভারত নাকি হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

    পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যে ডাহা মিথ্যা বলছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, গোটা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান হল জঙ্গি কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর। পাকিস্তানের মাটিতে সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতা তো দূরঅস্ত, কোনও নিরাপত্তা নেই। তার বড় উদাহরণ, দিন দিন পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমছে। স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশ ছিল মুসলিম। আর ১৪ শতাংশ হিন্দু। তা কমতে কমতে আজ দাঁড়িয়েছে ১.৬ শতাংশে। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৬.২ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারেই উল্টো। ১৯৫১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ৮৪.১ শতাংশ হিন্দু বসবাস করতেন। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৯.৮ শতাংশ। কিন্তু মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪.২ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান এবং বাকিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালচ্ছ।  শুধু তাই নয়, ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটির (IFFRAS) তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েক বছরে পাকিস্তানে মুসলিমদের আধিপত্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে হিন্দু, খ্রীষ্টান সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা বেশ শোচনীয়। বিশেষ করে মহিলাদের। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছ। প্রশাসন কিংবা সরকারের কাছে গিয়ে কোনও সুরাহা হচ্ছ না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mahalaya 2022: মহালয়ার তর্পণ, এদিন কার কার উদ্দেশে জল দান করা হয় জানেন?

    Mahalaya 2022: মহালয়ার তর্পণ, এদিন কার কার উদ্দেশে জল দান করা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার (Mahalaya) তপর্ণ (Tarpan)। পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করার দিন। শাস্ত্রমতে, এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। শাস্ত্রের এই এই বিধান মেনে মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করে তামাম ভারত (India)।

    আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষে তর্পণ করাই বিধেয়। ভাদ্র পূর্ণিমার পরবর্তী প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত এই ১৬ দিন পিতৃপক্ষ। পুরাণ (Puranas) অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় আমাদের প্রয়াত পূর্ব পুরুষরা মর্তে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই সময় তাঁরা উত্তর পুরুষের হাতে জল-পিণ্ড আশা করেন। এই পক্ষে তাঁদের উদ্দেশে জল ও পিণ্ড দান করলে, তাঁরা শক্তি লাভ করেন। এটাই তাঁদের চলার পথের পাথেয়। তবে সিংহভাগ বাঙালি তর্পণ করেন কেবল মহালয়ার দিন। এদিন নদ্যাদি জলাশয়ে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করেন তাঁরা। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা এদিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধও করেন। শ্রাদ্ধ শেষে ব্রাহ্মণ ভোজন করাই রীতি। ব্রাহ্মণ ভোজন করালে দক্ষিণা দিতে হয়। তবে মহালয়ার দিন শ্রাদ্ধ শেষে ব্রাহ্মণ ভোজন করালে দক্ষিণা দিতে হয় না।

    আসলে তর্পণ হল স্মৃতি তর্পণ। বছরের একটি দিন শাস্ত্রজ্ঞরা উৎসর্গ করেছেন পিতৃপুরুষকে স্মরণ করার জন্য। আমরা নির্দিষ্ট দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করি। এঁদের থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের কাছে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই দৈনন্দিন কাজের চাপে ভুলে যাওয়া পিতৃপুরুষকে স্মরণ করতেই শ্রাদ্ধের আয়োজন। মহালয়ার দিন এই শ্রাদ্ধ করতে পারলে পরিবারের মঙ্গল হয় বলে লোকবিশ্বাস।

    মহালয়ার দিন আমরা যে পূর্ব পুরুষের উদ্দেশে জল এবং পিণ্ড দান করি, তা কেবল তাঁদের উদ্দেশেই নয়, গুরু এবং ঋষির উদ্দেশেও এদিন জলদান করা হয়। দৈনন্দিন চলার পথে যেসব ক্ষুদ্রাণুক্ষুদ্র কীট মরে, যাঁরা নিঃসন্তান, জল দেওয়ার কেউ নেই, মায় বাড়ির চাকর সবার উদ্দেশেই এদিন জলদান করা হয়। আগুনে পুড়ে মরে অনেক পতঙ্গ। তাদের আত্মার উদ্দেশেও জলদান করা হয় এদিন। শাস্ত্রবিদদের মতে, পিতৃপুরুষ সন্তুষ্ট হলে তাঁদের আশীর্বাদে জীবদ্দশায় মানুষ দীর্ঘায়ু, ধন সম্পত্তি, জ্ঞান, শান্তি এবং মৃত্যুর পর স্বর্গ লাভ করেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

     

  • Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) তিনি শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (PM Modi) যে উপযুক্ত সময়ে ঠিক কথাটিই বলেছেন তা মেনে নিলেন ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। নিউ ইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭ তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন ফান্সের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই মোদি যে ঠিক কথাই বলেছেন, তা মনে করিয়ে দেন মাক্রঁ।

    ওই অধিবেশনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিকই বলেছেন। তিনি বলেছিলেন এটা যুদ্ধের উপযুক্ত সময় নয়। এটা পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ কিংবা প্রতীচ্যের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের বিরোধিতাও নয়। এই সময়টা আমাদের সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মোকাবিলা করার সময়।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে ছ মাসেরও বেশি সময়। এহেন যুদ্ধের আবহে সম্প্রতি এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন মোদি ও মাক্রঁ। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখনই মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। এবং এটা আমি আপনাকে ফোনেও বলেছি। আজ আমরা মুখোমুখি আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে আমরা শান্তির পথে অগ্রসর হব, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত এবং রাশিয়া একজন আরেকজনের পাশে রয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    মোদি পুতিনকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহ নানা বিষয়ে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছি। আমাদের খাদ্যসঙ্কট মোকাবিলার পথ খোঁজা উচিত। জ্বালানির নিরাপত্তা এবং সারের সমস্যা সমাধানের পথও খোঁজা উচিত। ইউক্রেনে পাঠরত পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে সাহায্য করায় আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানাই। মোদির এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুতিন জানান, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বে তিনি ভারতের অবস্থান জানেন। পুতিন বলেন, আমি আপনার অবস্থান জানি। উদ্বেগের কারণও জানি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসবে ইতি টানব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Navy Chief: ভারত মহাসাগরে চিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তবে আমরাও প্রস্তুত, বললেন নৌসেনা প্রধান

    Indian Navy Chief: ভারত মহাসাগরে চিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তবে আমরাও প্রস্তুত, বললেন নৌসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) চিন (China) শক্তিশালী প্রতিপক্ষ (Formidable Challenge), তবে আমরাও প্রস্তুত। মঙ্গলবার একথা বললেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল (Navy Chief Admiral) আর হরি কুমার। তিনি জানান, সীমান্তে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ চিন। কেবল স্থলপথ নয়, জলপথেও তারা ক্রমেই ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তও দেশের নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি স্বরূপ বলেও জানান নৌসেনা প্রধান।

    এদিন নৌসেনা প্রধান বলেন, চিন কেবল যে স্থলপথেই আমাদের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাই নয়, জলসীমায়ও তারা ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে তারাও আমাদের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ভারতের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, সীমান্তে প্রতিদিনই প্রতিযোগিতা বাড়ছে। কখনও কখনও তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে টেস্টিং লিমিটও। তিনি বলেন, সম্মুখসমর না হলেও, সম্ভাব্য প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

    কেবল চিন নয়, ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও যে ক্রমেই সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে, সেদিকেও নজর রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নৌসেনা প্রধান। তিনি জানান, অর্থনৈতিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান তার সেনা বাহিনীতে আধুনিকীকরণ করে চলেছে। অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, আমাদের পশ্চিম দিকে রয়েছে পাকিস্তান। অর্থনৈতিক নানা বাধা থাকা সত্ত্বেও তারা ক্রমেই সেনাবাহিনীতে আধুনিকীকরণ করে চলেছে। বিশেষত নৌসেনায়। এই সব সামরিক চ্যালেঞ্জ ছাড়াও রয়েছে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের বিপদ। তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদ এখনও দেশের নিরাপত্তার পক্ষে সব চেয়ে বড় হুমকি। নৌসেনা প্রধান বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের আকার, আকৃতি-প্রকৃতি। এই সমস্ত অদৃশ্য শত্রু এক ধাপ করে এগিয়ে রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের ধরণ, হাতিয়ার করছে প্রযুক্তিগত কৌশলকে। এগুলোর মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।

    আরও পড়ুন : পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রবল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান। মৃতের সংখ্যা পার হয়ে গিয়েছে হাজার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। ভয়াল এই বন্যার আগেই দেউলিয়া হওয়ার জোগাড় হয়েছিল সে দেশের অর্থনীতির। সেই আবহেও সেনায় আধুনিকীকরণ হবে বলে নানা সময় জানিয়েছিলেন সে দেশের সেনা কর্তারা। আমেরিকা থেকে কয়েকশো কোটি টাকার এফ ১৬ বিমানের যন্ত্রাংশও কিনেছে। এদিন কৌশলে নৌসেনা প্রধান সেই বিষয়টিরই উল্লেখ করলেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cheetah in India: রাতের বিমানে ভারতে, কুনো জাতীয় উদ্যানে ৮টি চিতা পৌঁছবে বায়ুসেনার ‘চিনুক’ কপ্টারে

    Cheetah in India: রাতের বিমানে ভারতে, কুনো জাতীয় উদ্যানে ৮টি চিতা পৌঁছবে বায়ুসেনার ‘চিনুক’ কপ্টারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ভারতে এসে পৌঁছবে ৮টি চিতা (Cheetah)। একটি বাণিজ্যিক বিমানে করে চিতাগুলিকে ভারতে (India) নিয়ে আসা হচ্ছে আফ্রিকা (Africa) মহাদেশের দেশ নামিবিয়া থেকে। সেখান থেকে চিতাগুলিকে নিয়ে আসা হবে রাজস্থানের জয়পুরে। পরে সেখান থেকে বাঘ প্রজাতির ওই প্রাণীগুলিকে নিয়ে আসা হবে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে (Kuno National Park)। এজন্য প্রস্তুত ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) হেভিলিফট হেলিকপ্টার চিনুক (Chinook)।

    ১৭ অগাস্ট নামিবিয়া থেকে কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হচ্ছে ৮টি চিতা। এগুলির মধ্যে পাঁচটি পুরুষ, তিনটি স্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) চিতা পুনরুদ্ধার প্রোগ্রামের সূচনা করবেন। ঘটনাচক্রে এই দিনটি আবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও (PM Modi birthday)। এদিনই চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে ওই পার্কে। সেই চিতা আনতেই নামিবিয়া গিয়েছে বাঘ মুখ আঁকা বিশেষ বিমান। বিমানে চিতাগুলি নিয়ে আসা হবে জয়পুরে। সেখান থেকে সোজা পার্কে।

    সরকারি সূত্রে খবর, বিমানে করে চিতাগুলিকে প্রথমে জয়পুরে নিয়ে আসা হবে। সেখান থেকে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের চিনুক হেলিকপ্টারে করে বাঘ প্রজাতির ওই প্রাণীগুলিকে নিয়ে আসা হবে কুনো ন্যাশনাল পার্কে। সরকারি সূত্রে এও জানা গিয়েছে, নামিবিয়া থেকে চিতাগুলিকে কুনো জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি কোনও বিমানবন্দরে নামানোর চেষ্টা চলছে। তা সম্ভব না হলে সেগুলিকে নামানো হবে জয়পুরে। সেখান থেকে অতিথিরা পৌঁছে যাবে কুনো জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে।

    আরও পড়ুন : বাঘ আঁকা জাম্বো বিমানে করে ভারতে আনা হচ্ছে চিতা

    জানা গিয়েছে, ৭০ বছর পরে ভারতে ফের দেখা যাবে চিতা। ১৯৫২ সালে ভারতে চিতাকে বিলুপ্ত প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তার পর এই প্রথম নিয়ে আসা হচ্ছে চিতা। চিতা বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডও। বাঘ প্রজাতির এই প্রাণীগুলিকে বাঁচাতে আগামী পাঁচ বছর ধরে তারা খরচ করবে ৫০.২২ কোটি টাকা। এজন্য চলতি বছরের ২ অগাস্ট ন্যাশনাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটির সঙ্গে মউ স্বাক্ষরও করেছেন ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্তৃপক্ষ। চিতা আসার খবরে উৎসাহিত কুনো ন্যাশনাল পার্কের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নবাগত অতিথিদের বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • EPFO: ইপিএফও-তে নতুন সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০.৫৮ লক্ষ! কীসের ইঙ্গিত, বাড়ছে চাকরির সম্ভাবনা?

    EPFO: ইপিএফও-তে নতুন সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০.৫৮ লক্ষ! কীসের ইঙ্গিত, বাড়ছে চাকরির সম্ভাবনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা কালে (Covid-19) অনেকেই চাকরি হারিয়েছিলেন। তবে ছবিটা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। তার বড় ইঙ্গিত মিলল কেন্দ্রীয় শ্রম দফতরের একটি রিপোর্টে। যেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রায় ১৮.২৩ লক্ষ সদস্য যুক্ত হয়েছে ইপিএফও’তে (EPFO)।  পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর এই মাসে ইপিএফও’তে যুক্ত হওয়া সদস্য সংখ্যার চেয়ে এবার সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৪.৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে নতুন সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০.৫৮ লক্ষ। পে রোল ডাটা থেকে আরও একটা তথ্য সামনে এসেছে যে, এই নতুন সদস্যের মধ্যে আবার অধিকাংশের বয়স ১৮-২৫ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ চাকরির বাজার আবার উর্দ্ধমুখী হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    এবছর জুলাইয়ে ইপিএফও’তে যুক্ত হওয়া নতুন প্রায় সাড়ে দশ লক্ষ্য সদস্যর মধ্যে মহিলা চার লক্ষের বেশি। জুলাইয়ে নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা প্রায় ৩৪.৮৪শতাংশ, যা গত বছরের একই মাসের হিসেবের তুলনায় অনেকটা বেশি। শুধু তাই নয়, সারা বছরে মাসের নিরিখে যুক্ত হওয়া সদস্য সংখ্যার বিচারের জুলাই মাসেই সবচেয়ে বেশি মহিলা নতুন কর্মজীবন শুরু করেছেন বলে তথ্যে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    রাজ্য ওয়াড়ি হিসেবে দেখা গিয়েছে কর্নাটকের পাশাপাশি, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি থেকেই বেশি সদস্য ইপিএফও’তে নতুন করে যোগ দিয়েছেন। এই রাজ্যগুলি থেকে ইপিএফও-তে প্রায়  ১২.৪৬ লক্ষ নতুন সদস্য যোগ দিয়েছেন। পরিসংখ্যানে আরও দেখা গিয়েছে, স্কুল, বিল্ডিং ও কনস্ট্রাকশন শিল্প এবং ফিনান্সিয়াল সেক্টরেই সবচেয়ে বেশি চাকরি হয়েছে। কারণ, এই সেক্টরগুলি থেকেই ইপিএফও’তে নতুন সদস্য যোগ দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। অতএব আগামী দিনেও যে এই সেক্টরগুলিতে চাকরি হবে, এমন আশা করাই যেতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি (Terrorist) সন্দেহে গ্রেফতার মালদহের সুজাপুরের নাজিরপুর এলাকার যুবক। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হল হাসনাত শেখকে। সাহারানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police) এসটিএফ (STF)। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের (Al Queda Indian Sub Continent) সদস্য। ২০১৫ সালে খুন হন বাংলাদেশি ব্লগার (Blogger) অভিজিৎ রায়। ওই ঘটনায় হাসনাতের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। ধৃতকে জেরা করে এ রাজ্যে জঙ্গিদের শেকড় কতটা গভীরে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।  

    পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পঁচিশের হাসনাত প্রথমে সুজাপুরের লাল মহম্মদ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। পরে পড়াশোনা করে বর্ধমানের একটি মাদ্রাসায়। বছর সাতেক আগে ধর্মশিক্ষার জন্য সে চলে যায় উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের একটি মাদ্রাসায়। মাস চারেক পরে মৌলবী হয়ে ফেরার কথা ছিল তার। ঘটনার জেরে বিস্মিত হাসনাতের প্রতিবেশীরা। নাজিরপুর এলাকায় ভদ্র ও মৃদুভাষী হিসেবেই পরিচিত ছিল সে। তাই তার সঙ্গে জঙ্গিযোগের খবর মেনে নিতে পারছেন না হাসনাতের পরিবারও। হাসনাতের মা রেজি বিবি বলেন, কিছু দিন আগেই ছেলে বাড়ি ঘুরে গেল। ওর কাছে ফোন ছিল না। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার মাদ্রাসা হস্টেলের সুপারের ফোন থেকে বাড়িতে কথা বলত। আমি বিশ্বাস করি না জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ওর আছে।   

    আরও পড়ুন : বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    তবে এসটিএফ সূত্রে খবর, হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সদস্য। সূত্র মারফত তদন্তকারীরা খবর পেয়েছিলেন, বাংলাদেশি ব্লগার অভিজিৎ রায় খুনের নেপথ্যে ছিল আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট নামক জঙ্গি সংগঠনের হাত। ওই ঘটনায় সম্প্রতি ফয়জল আহমেদ নামে ধৃত এক বাংলাদেশিকে জেরা করে হাসনাতের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এর পরেই হাসনাতকে গ্রেফতার করতে উঠপড়ে লাগে পুলিশ। প্রথমে তদন্তকারীরা যান সুজাপুরে। সেখানে তার নাগাল পাননি তাঁরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন, হাসনাত রয়েছে সাহারানপুরে। এর পরেই তদন্তকারীদের একটি দল চলে যায় সেখানে। দিন কয়েক ধরে কড়া নজর রাখা হয় হাসনাতের গতিবিধির ওপর। শেষমেশ বুধবার গ্রেফতার করা হয় তাকে। নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়।

    উত্তর ২৪ পরগনার শাসন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর। গত এক মাসেরও কম সময়ে এই এলাকা গুলি থেকে এসটিএফের হাতে গ্রেফতার সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন জঙ্গি। এবার সেই তালিকায় উঠল মালদহের সুজাপুরের নামও। কারণ সাহারানপুরে ধৃত হাসনাত এখানকারই বাসিন্দা।  

    বাংলা কি তবে ক্রমেই জঙ্গিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share