Tag: India

India

  • President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভা নির্বাচনের (Rajya Sabha Polls) আবহেই ঘোষণা হয়ে গেল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Prez Poll) নির্ঘণ্ট। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করে ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। ভোট হবে ১৮ জুলাই। ফল ঘোষণা তার তিন দিন পরে। রাজ্যসভার ভোট ১০ জুন। আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১৫ জুন। ১৯ জুনের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে প্রার্থীদের। নয়া রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন ২৫ জুলাই। প্রসঙ্গত, এর আগের বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছিল ২০ জুলাই।

    আরও পড়ুন : শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ram Nath Kovind) কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবে ২৪ জুলাই। তার আগেই নির্বাচন করতে হবে নতুন রাষ্ট্রপতি। তাই এদিন ওই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।

    ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সরাসরি অংশ নেন জনগণ। ভারতে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র। এখানে জনগণ সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন না। তাঁদের হয়ে এই নির্বাচনে অংশ নেন জনপ্রতিনিধিরা। এই নির্বাচনে সাংসদ ও বিধায়ক মিলিয়ে অংশ নেবেন ৪ হাজার ৮০৯ জন। তাঁদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন নয়া রাষ্ট্রপতি।

    প্রত্যেক রাজ্যের ১৯৭১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতে সেই রাজ্যের সাংসদ, বিধায়কদের ভোটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এই সূত্র অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ভোটের মূল্য সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে কম সিকিমের। প্রত্যেক রাজ্যের বিধানসভা ভবন ও দিল্লিতে সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ভোটের জন্য বুথ তৈরি করা হয়।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলেও, শাসক কিংবা বিরোধী কোনও পক্ষই বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে শাসক শিবিরে কয়েকটি নাম ভেসে আসছে। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) এবার একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার পক্ষপাতী। যদি তা হয়, তবে দুটি নাম শোনা যাচ্ছে। এঁদের একজন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি ওড়িশার মানুষ। দীর্ঘদিন বিজেপির নেত্রী ছিলেন। দ্বিতীয়জন তেলঙ্গনার রাজ্যপাল তামিলিসাই সুন্দররাজন।

     

     

  • Commonwealth Games 2022: কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের প্রথম পদক! ভারোত্তলনে রুপো সংকেতের, শুভেচ্ছা মোদির

    Commonwealth Games 2022: কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের প্রথম পদক! ভারোত্তলনে রুপো সংকেতের, শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারোত্তলনে রুপো ভারতের। অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া হল। চোটের কারণে আটকে গেলেন সংকেত মহাদেব সরগর। তবে সংকেতের হাত ধরেই বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসের প্রথম পদক ঘরে তুলল ভারত। রুপো দিয়ে পদক জয়ের যাত্রা শুরু করল টিম ইন্ডিয়া। ভারতকে প্রতিযোগিতার প্রথম পদক এনে দিলেন সংকেত। পুরুষদের ৫৫ কেজি বিভাগের স্ন্যাচে সর্বোচ্চ ১১৩ কেজি ভার তোলেন তিনি। ক্লিন অ্যান্ড জার্কে তিনি ১৩৫ কেজি ভার তোলেন। সব মিলিয়ে ২৪৮ কোজি ভার তুলে রুপো জেতেন সংকেত। রুপো পাওয়ার পর সংকেত বলেন, “আমি আমার রুপোর পদক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উৎসর্গ করতে চাই। যাঁরা ভারতের স্বাধনতার জন্য নিজেদের জীবন দিয়েছেন।” দেশকে প্রথম পদক এনে দেওয়ার জন্য সংকেতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন ফাইনাল চলাকালীনই চোট পান সংকেত। সম্ভবত সেকারণেই সোনা হাতছাড়া হয়ে গেল তাঁর। সোনা পেলেন  মালয়েশিয়ার বিন কাসদান মহম্মদ আনিক। দু’বারের চেষ্টায় সব মিলিয়ে ২৪৯ কেজি ভার উত্তোলন করেছেন তিনি। মাত্র ১ কেজি কম ওজন তুলে রুপো পেয়েছেন ভারতের সংকেত। এটিই এবারের গেমসে ভারতের জেতা প্রথম পদক। চোটের জন্য সোনা জেতা হয়নি ভারতীয় ভারোত্তলকের। সেই সুযোগে ক্লিন অ্যান্ড জার্কে গেমস রেকর্ড গড়ে সঙ্কেতের কাছ থেকে গোল্ড মেডেল ছিনিয়ে নেন মালয়েশিয়ার প্রতিযোগী। 

    আরও পড়ুন: কমনওয়লথ গেমসে ভারতের হয়ে নজরকাড়া সাফল্য

    আসলে ফাইনালের দ্বিতীয় বার ভারোত্তলন করতে গিয়েই কনুইয়ে চোট পেয়ে যান সংকেত। কিন্তু সেই যন্ত্রণা নিয়েও ৫৫ কেজি ক্লিন এন্ড জার্ক বিভাগে দ্বিতীয় চেষ্টায় ১৩৮ কেজি ওজন তোলেন সংকেত। তৃতীয়বার তিনি ১৪১ কেজি ওজন তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু চোটের জন্য সেটা সম্ভব হয়নি। নাহলে সোনার পদক তার খাতাতেই আসত। তবে চোট পাওয়ার পরও জেভাতে তিনি তৃতীয়বার বেশি ওজন তোলার চেষ্টা করলেন, সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ২০২০ সালে খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস থেকে উত্থান সংকেতের। তার ঠিক আগেই অবশ্য সিনিয়র ওয়েটলিফ্টিং ন্যাশনালেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কোলাপুরের শিবাজী ইউনিভার্সিটির ছাত্রের লক্ষ্য ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে নামা। আর সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য দিনে ১২ ঘণ্টা প্র্যাক্টিস করেন। তারই সুফল পেলেন বার্মিংহ্যাম গেমসের দ্বিতীয় দিনেই।

     
  • Hindustan motors: নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্সের “আইকনিক” কন্টেসা!

    Hindustan motors: নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্সের “আইকনিক” কন্টেসা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া অবতারে হিন্দুস্তান মোটর্সের (Hindustan motors) আইকনিক (Iconic) কন্টেসা (Contessa)! পেট্রোল বা ডিজেল নয়, বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসেবে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নষ্টালজিক এই গাড়ি।

    এক সময় হুগলি নদীর তীরে হিন্দমোটর রেলস্টেশন এলাকায় বিরাট কারখানা গড়ে তুলেছিল হিন্দুস্তান মোটর্স। কারখানায় কাজ হত দিনরাত। কারখানার সাইরেনে ঘুম ভাঙত গঙ্গাপারের বাসিন্দাদের। সাইরেনের শব্দ শুনেই কাজে যোগ দিতেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সুবিধার্থে তৈরি হয় আস্ত একটি রেলস্টেশন। কারখানার নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে স্টেশনের নাম হয় হিন্দমোটর। হিন্দমোটরের এই কারখানা থেকেই তৈরি হত বিখ্যাত গাড়ি অ্যাম্বাসাডর। মজবুত গাড়ি হওয়ায় গাড়িবিলাসীদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের গাড়ি ছিল অ্যাম্বাসাডর। তৈরি হত কন্টেসাও। যাঁরা আর্থিকভাবে খানিকটা বেশি স্বচ্ছল, তাঁরাই হাওয়া খেতে বেরতেন কন্টেসা চড়ে। 

    আরও পড়ুন : লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় মানুষের পছন্দ। অ্যাম্বাসাডরের বদলে বাজারে চলে আসে কম দামে হালকা গাড়ি। কমে যায় অ্যাম্বাসাডরের চাহিদা।  বন্ধ হয়ে যায় হুগলি নদীর পারের কারখানা। শোনা যাচ্ছে, এই কারখানাই ফের চালু হবে। এখানেই আবারও তৈরি হবে কন্টেসা। তবে পেট্রোল বা ডিজেল নয়, এবার কন্টেসা ছুটবে বিদ্যুৎ শক্তিতে। জ্বালানির দর ক্রমবর্ধমান। প্রত্যাশিতভাবেই বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির মার্কেট। এই বাজার ধরতেই বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনার ভাবনা কর্তৃপক্ষের।  

    আরও পড়ুন : নজরে রহস্যময় গাড়ি, কাশীপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু-তদন্তে গঠিত ৪ সদস্যের সিট

    হিন্দুস্তান মোটর্সের এক কর্তা বলেন, ইউরোপীয় একটি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে হিন্দুস্তান মোটর্স। প্রথমে বৈদ্যুতিক টু-হুইলার আনা হবে। পরে আসবে বৈদ্যুতিক চার চাকার গাড়ি। কন্টেসা এলেও, অ্যাম্বাসাডর ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এই নামে আর গাড়ি আনতে পারবেন না হিন্দুস্তান মোটর্স কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারণ ফরাসি গাড়ি সংস্থা পিজোকে ২০১৭ সালে ৮০ কোটি টাকায় এই গাড়ির সত্ত্ব বেচে দেয় হিন্দুস্তান মোটর্স। তাই অ্যাম্বাসাডরের বদলে আটের দশকের প্রিমিয়াম গাড়ি কন্টেসাকেই নবকলেবরে বাজারে এনে ছোট গাড়ির বাজার মাত করতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। তবে গাড়িটি ঠিক কবে বাজারে আসবে, সে ব্যাপারে রা কাড়েননি হিন্দুস্তান মোটর্স কিংবা ইউরোপীয় সংস্থার তরফে কেউই। অতএব, শুরু অপেক্ষার প্রহর গোণা!

     

  • Nupur Sharma: “সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত নয়, নূপুরের পাশে দাঁড়ান”, পরামর্শ ডাচ নেতার

    Nupur Sharma: “সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত নয়, নূপুরের পাশে দাঁড়ান”, পরামর্শ ডাচ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদকে (prophet) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma)। বাতিল করা হয়েছে তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদও। এমতাবস্থায় তাঁর পাশে দাঁড়ালেন নেদারল্যান্ডের দক্ষিণপন্থী নেতা গির্ট উইলডার্স (Geert Wilders)।তিনি বলেন, সত্যি কথা বলে বিপাকে পড়ছেন নূপুর। তাঁর জন্য গর্বিত হওয়া উচিত ভারতীয়দের।

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। নূপুরের সেই বিতর্কিত মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার দায়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ নবীন কুমার জিন্দালকে (Naveen Jindal)। তার পরেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি ইসলামিক দেশগুলির (Islamic countries)। ঘটনার জেরে কুয়েতের এক সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষ ভারতীয় পণ্য বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে কাতার। নূপুরকে গ্রেফতারির দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এহেন পরিস্থিতিতে নূপুরের পাশে দাঁড়ালেন নেদারল্যান্ডসের ওই নেতা।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    উইলডার্স বলেন, নূপুরের বক্তব্যের পর ইসলামিক দেশগুলি ভারতের সঙ্গে যে ব্যবহার করছে, তা হাস্যকর। নূপুরের সমর্থনে একটি ট্যুইটও করেন উইলডার্স। লেখেন, কখনওই আল কায়দার মতো ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের কাছে নতি স্বীকার করো না। কারণ তারা বর্বরতার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। পুরো ভারতের উচিত নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁকে সমর্থন করা। আল কায়দা এবং তালিবান আমাকে তাদের হিটলিস্টে রেখেছিল কয়েক বছর আগেও। এ থেকে একটাই শিক্ষা, সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত করো না। কখনওই না!  

    [tw]


    [/tw]

    উইলডার্স বলেন, ভারতীয় বন্ধুরা ইসলামিক দেশগুলিকে ভয় পেও না। স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াও। রাজনীতিবিদ নূপুর শর্মাকে রক্ষা করার জন্য অটল থাকো। ইসলামিক দেশগুলিকে নিয়ে ক্ষোভ উগরে উইলডার্স বলেন, মুসলিম দেশগুলি ভণ্ড। সেখানে গণতন্ত্র, আইনি শাসন, নাগরিকের স্বাধীনতা নেই। ওই দেশগুলিতে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হন। এরা যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, সেভাবে আর কেউ করে না। উইলডার্স নেদারল্যান্ডসের পার্টি ফর ফ্রিডমের প্রতিষ্ঠাতা। দলটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল। ১৯৯৮ সাল থেকে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের নেতা ছিলেন। ইসলামের সমালোচনার জন্য পরিচিত।

    আরও পড়ুন : কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

    এদিকে, হজরত মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিকর ট্যুইট করার অভিযোগ উঠেছিল কানপুরের বিজেপি নেতা হর্ষিত শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলা হয়েছে তাঁর বিতর্কিত ট্যুইট।

     

     

  • Dark Times: বকেয়া বিল, অন্ধকারে ডুববে ১৩টি রাজ্য! জানুন তালিকায় কোন কোন জায়গা

    Dark Times: বকেয়া বিল, অন্ধকারে ডুববে ১৩টি রাজ্য! জানুন তালিকায় কোন কোন জায়গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনটা এ দেশে অতীতে হয়েছে কি না তা বলা মুশকিল। তবে বিদ্যুৎ ঘাটতি এবং বকেয়া বিল না মেটানোর জন্য শীঘ্রই অন্ধকারে ডুবতে চলেছে দেশের   ১৩টি রাজ্য। ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে। পাওয়ার এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে বিদ্যুৎ কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, ঝাড়খণ্ড, বিহার, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড় সহ মোট ১৩টি রাজ্যের উপর।

    যে সব রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেখানকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে বকেয়া টাকা শোধ করেনি রাজ্য। তাই সেখানে নেমে আসতে পারে অন্ধকারের ঘনঘটা। তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, ঝাড়খণ্ড, বিহার, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড়- এই ১৩টি রাজ্য শীঘ্রই অন্ধকারে ডুবতে পারে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের হাজার কোটির উপহার ওষুধ সংস্থার ! শীর্ষ আদালতে জানাল মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংস্থা

    পাওয়ার সিস্টেম অপারেশন কর্পোরেশন লিমিটেড (POSOCO) তিনটি পাওয়ার এক্সচেঞ্জকে এ নিয়ে বার্তা দিয়েছে। ১৩টি রাজ্যের ২৭টি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে অচিরেই এই ১৩টি সংস্থায় বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যেতে পারে। আর তার ফল ভুগতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। ১৩টি রাজ্যের মোট ৫,০৮৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে থাকা POSOCO সারা দেশে বিদ্যুৎ বন্টনের প্রতিটি দিক দেখাশোনা করে। এই প্রথম ভারতে একসঙ্গে এতগুলো রাজ্যের বিদ্যুৎ কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল এই সংস্থা। অতীতে কিছু রাজ্যর উপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে একসঙ্গে ১৩টি রাজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘটনা এই প্রথম। ১৩টি রাজ্যের সংস্থাগুলিকে লেট পেমেন্ট করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদও পূর্ণ হয়েছে। তাই এই ১৩টি রাজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     
  • Abdul Rauf Azhar: আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

    Abdul Rauf Azhar: আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূল চক্রী আব্দুল রউফ আজহারকে (Abdul Rauf Azhar) রাষ্ট্রসংঘে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করল চিন। জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষনেতা মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) ভাইকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল ভারত ও আমেরিকা। রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারত ও আমেরিকার এই যৌথ প্রস্তাবে বাধ সাধে বেজিং। 

    ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান ছিনতাই কাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিল সে। দাদা মাসুদ আজহারকে ভারতের কারাগার থেকে ছাড়াতেই এই অপহরণের পরিকল্পনা করে রউফ। ২০০১-এর সংসদ হামলা এবং ২০১৬-য় পাকিস্তানের পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলাতেও নাম জড়িয়েছে তার। তালিবান, আল-কায়দা, লস্কর-ই-তইবা এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রউফ আজহারের। ২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর রউফ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৪৮ বছর বয়সি রউফের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের বেশ কয়েকটি রেডকর্নার নোটিশ মুলতুবি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    রাষ্ট্রসঙ্ঘে সম্প্রতি ভারত ও আমেরিকার তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, মাসুদ আজহারের ভাইকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তার গতিবিধির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক। রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদের সমস্ত সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে সায় দিলেও ভেটো প্রদানের ক্ষমতাধারী চিন (China) বাধা দেয়। চিনের আপত্তিতেই আপাতত প্রস্তাবটি মুলতুবি রাখা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদের শ্যালক মক্কিকে নিষিদ্ধ করতে পদক্ষেপ করেছিল ভারত। কিন্তু সেবারও বাধা দেয় চিন। মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী হাফিজ সইদের সঙ্গে জেহাদি কাজে যুক্ত রয়েছে মক্কি। কাশ্মীর উপত্যকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র পাচারে জড়িত রয়েছে সে। তাকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রস্তাব পেশ করেছিল নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিনের ভেটোয় সেই প্রস্তাবও পাশ হয়নি।

  • India on Pakistan: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    India on Pakistan: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদ (Prophet) বিতর্কে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। তার সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিল নয়াদিল্লি (New Delhi)। দাগল পাল্টা তোপও। সাফ জানাল, যে দেশ নিজেদের সংখ্যালঘু মানুষকে রক্ষা করতে পারে না, সেই দেশের  কোনও যোগ্যতা নেই ভারতের (india) বিষয়ে কথা বলা।

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) বলেন, পাকিস্তান থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে এবং মন্তব্য আসছে, তা আমরা দেখেছি। অন্য দেশ কীভাবে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আচরণ করছে, তা নিয়ে লাগাতার সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘনকারী কোনও দেশের মন্তব্য যে কতটা অযৌক্তিক, সেটা কারও কাছে অস্পষ্ট নয়। হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান এবং আহমদীয় সহ সংখ্যালঘুদের ওপর যে ধারাবাহিক হত্যালীলা চালাচ্ছে পাকিস্তান, তা দেখে আসছে গোটা বিশ্ব।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে দিনকয়েক আগে বিতর্কিক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা (Nupur Sharma)। তড়িঘড়ি দল তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়। যদিও নূপুরের দাবি, তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তবে নূপুরের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকে ইসলামিক দেশগুলি (Islamic countries)। সৌদি আরব, কাতার, ইরান এবং কুয়েতও নিন্দা করে নূপুরের মন্তব্যের। ভারতীয় দূতকে তলব করে কাতার। বিতর্কিত মন্তব্যের ঘটনায় নাম জড়ায় বিজেপি মুখপাত্র নবীন কুমার জিন্দলেরও (Naveen Jindal)। তাঁকে বহিষ্কার করে দল।

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    এই আবহে পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) ট্যুইটারে লেখেন, আমাদের প্রিয় পয়গম্বরের বিরুদ্ধে ভারতের বিজেপি নেতা যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করছি। আগেও একাধিকবার বলেছি যে মোদির আমলে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা পদদলিত হচ্ছে এবং মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে বিশ্বের নজর দেওয়া উচিত এবং ভারতকে শাস্তি দেওয়া উচিত।

    পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যেরই কড়া জবার দিয়েছে সাউথ ব্লক। বলা হয়েছে, সমস্ত ধর্মের প্রতি ভারত সরকারে সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। সেটা পাকিস্তানের মতো নয়। যেখানে ধর্মান্ধদের প্রশংসা করা হয় এবং তাঁদের সম্মানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়।

    ঘটনার পরে পরেই অবশ্য ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, হজরত মহম্মদ সম্পর্কে যে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে, তা নয়াদিল্লির অবস্থান নয়। পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ বলা হয়েছে, আমরা পাকিস্তানকে বিপজ্জনক প্রচার ও ভারতে বৈষম্য বাড়ানোর চেষ্টা করার বদলে সে দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও জনকল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাই।

  • China Nuclear Arsenal: পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত? 

    China Nuclear Arsenal: পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারমানবিক অস্ত্রসম্ভার (Nuclear Arsenal) বাড়াচ্ছে চিন (China)। এই মুহূর্তে ভারতের (India) প্রতিবেশী এই দেশটির হাতে রয়েছে ৩৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড (warheads)। পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১৬৫টি। আর ভারতের হাতে রয়েছে মাত্র ১৬০টি। সুইডেনের এক সংস্থার রিপোর্টে এমনই তথ্য মিলেছে।

    সুইডেনের অস্ত্র ব্যবসা ও নিরস্ত্রীকরণ ট্র্যাকিং ওয়াচডগ স্টকহোম ইন্টারন্যাশনার পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট, সংক্ষেপে সিপ্রি (sipri) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তার বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক সমীকরণগুলো পাল্টাতে শুরু করেছে। তাই সামরিক দিয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছে ড্রাগনের দেশ। তারা জোর দিয়েছে মূলত পারমাণবিক প্রতিরোধ ও পাল্টা হামলার ওপর।

    আরও পড়ুন : ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    সিপ্রি জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে চিনের ওয়ারহেড মজুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এই ওয়ারহেডগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারা বিমানের সাহায্যে ব্যবহার করা যাবে।

    প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এক দশক আগেও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি মূলত তরল জ্বালানিযুক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নির্ভর করত। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্থলভাগ থেকে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব।সমুদ্র ভিত্তিক কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাত্রও ছিল লালফৌজের দেশে। ২০১৭ সাল থাকে বদলাতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক সমীকরণ। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধে নেমেছে চিন। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তির হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে চিনকে। এর পরই সমরসজ্জা বাড়ানোয় জোর দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বৃদ্ধি করার কথা স্বীকারও করেছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহে। তিনি বলেন, চিন যেভাবে পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধে নিজেদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত করেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, চিন পারমাণবিক অস্ত্রের দিক থেকে নিজেদের ক্ষমতা বাড়ালেও, তা আত্মরক্ষার জন্য। চিন কোনওদিনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না। তাঁর এই ‘স্বীকারোক্তি’র পরে পরেই প্রকাশ্যে আসে সিপ্রির প্রতিবেদন।

    আরও পড়ুন : ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় এবার মার্কিন অস্ত্র?

     

  • India-China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন হাইওয়ে চিনের! জানুন কোথা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা

    India-China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন হাইওয়ে চিনের! জানুন কোথা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর একটি নতুন হাইওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করছে চিন (China)। ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য বেজিংয়ের এই প্রচেষ্টা বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

    তিব্বতের লুঞ্জে কাউন্টি থেকে জিনজিয়াং অঞ্চলের কাশগারের মাঝা পর্যন্ত এই নতুন রাস্তাটি ২০৩৫ সালের মধ্যে তৈরি করার কথা ভাবছে বেজিং। মোট ৪৬১,000 কিলোমিটার এই হাইওয়ের যে অংশটি লুঞ্জে কাউন্টির মধ্য দিয়ে যাবে সেটা অরুণাচল প্রদেশের ভিতরে। তবে চিনের দাবি ওই অঞ্চলটি দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। চিনেরে এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই রাস্তাটি সিকিম সীমান্তবর্তী কাম্বা কাউন্টির  মধ্য দিয়ে যাবে। যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছে। নেপাল সীমান্তের কাছে জি৯৫ সড়ক গির কাউন্টির মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    পরিকল্পিত রাস্তাটি তিব্বত, নেপাল এবং ভারতের মধ্যে বুরাং কাউন্টির খুব কাছ দিয়ে চলে যাবে। নতুন রাস্তার বিশদ বিবরণ এখনও অস্পষ্ট। তবে মনে করা হচ্ছে ওই রাস্তা তৈরি হলে তা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ডেপসাং সমভূমি, গালওয়ান উপত্যকা এবং হট স্প্রিংসের কাছাকাছিও যেতে পারে।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাস, অর্থাৎ গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan clash) সময় থেকেই হট স্প্রিংয়ের পেট্রোল পয়েন্ট ১৫ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে দুই দেশের প্রায় শ’খানেক সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর আগে একাধিক আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একাধিক ফ্ল্যাশপয়েন্টগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। সমঝোতা মোতাবেক অস্থায়ী পরিকাঠামো সরিয়েছে দুই সেনাই। কিন্তু হট স্প্রিং, গোগরা ও ডেপসাং সমতলে সমস্যা এখনও মেটেনি। ডেপসাং এলাকায় ২০১৩ সাল থেকেই আগ্রাসী চিন। সেখানে ভারতকে টহলদারি করতে দিচ্ছে না লালফৌজ। ডেমচকে ঘাঁটি গেড়েছে তারা। তবে ডেপসাং ইস্যু নিয়ে সমঝোতা বেশ কঠিন কাজ বলেই মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। তাই আপাতত গোগরা-হট স্প্রিং এলাকা থেকে চিনা সেনা প্রত্যাহারের দাবিতেই জোর দিয়েছে ভারত। এই অবস্থায় নতুন রাস্তা আবার সীমান্ত-সমস্যা দূরীকরণে বেজিংয়ের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। 

  • Sri Lanka: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    Sri Lanka: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির (Dumb Bets) কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। তার জেরেই ভেঙে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দেশ। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছেন সিআইএ (CIA) প্রধান বিল বার্নস (Bill Burns)। বিলের মতে, শ্রীলঙ্কার এই ভুল দেখে বিশ্বের অন্য দেশগুলির সচেতন হওয়া উচিত।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নেয় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। সরকারের এই ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল গুণতে হয় দ্বীপবাসীদের। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় আমদানি বন্ধ। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান গোতাবায়া। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতির কারণ যে চিন থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া, তা জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। বিল বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রীলঙ্কার দিকে তাকানো উচিত। চিনের কাছে ঋণে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র। চিন থেকে ঋণ নিয়ে অবিবেচকের মতো কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা। যার জেরে ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। দুর্দশার শিকার হয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রবাসী। বদলে গিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও। তিনি বলেন, কেবল মধ্য প্রাচ্য কিংবা দক্ষিণ এশিয়া নয়, গোটা বিশ্বকেই এ ব্যাপারে চোখকান খোলা রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    শ্রীলঙ্কায় পরিকাঠামো সহ নানা খাতে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে চিন। বিপুল পরিমাণ সুদ মেটাতে গিয়েই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে দেশ। ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ শ্রীলঙ্কা। জনসংখ্যা ২২ কোটির কাছাকাছি। অবস্থানগতভাবে ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় মোদি সরকারের থেকে প্রচুর সাহায্য পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তার পরেও শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছে ভারতকে। যাতে বিপর্যয়ের হাত থেকে টেনে তোলা যায় দ্বীপরাষ্ট্রকে।

     

LinkedIn
Share